রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫০
সিমরান মিমি
“আম্মু, এভাবে ভেঙে পড়ছো কেন?আব্বু ভীষণ স্ট্রং।দেখবে খুব তাড়াতাড়ি’ই সুস্থ হয়ে যাবে।”
মলিন চোখে তাকালো পিপাসা।চোখ দুটো তার অশ্রুতে টইটম্বুর।দু পাশ দিয়ে নার্স রা যাওয়া আসা করছে নির্দিষ্ট কেবিনে।করিডোরের বিপরীত পাশে রাখা কাঠের বেঞ্চিটাতে বসে আছে তারা।হাতের বৃদ্ধাঙুল উঁচিয়ে সযত্নে মুছে নিলো অশ্রু।মলিন কন্ঠে বললো,
“উনি কেমন সেটা আমার থেকে ভালো আর কে বুঝবে?সবার সামনে যে শক্ত,গম্ভীর,রাগী খোলস টা দেখিয়ে বেড়ান;উনি মোটেও তেমন না।ভেতর টা নরম,স্নিগ্ধ।লোকটা সারাটা জীবন দুঃখ সয়ে সয়ে পার করে দিলেন।সুখের অপেক্ষা করতে করতে আজ বার্ধক্যে পৌঁছেছেন।তাও পেলেন না সুখ।না পেল স্ত্রী,আর না তো সন্তান।আজ আমার আফসোস হচ্ছে।ভীষণ রকম আফসোস।আমি নিজের জেদকে প্রাধান্য দিয়ে অনেক অন্যায় করেছি তার সাথে।পুরো উনিশ টা বছর স্ত্রী-সন্তান হীন একা রাখলাম।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
আজ যখন এতোগুলো বছর পর ফিরলাম তারপরেও নত হলাম না।কেন হলাম না?উনার তো আমার প্রতি অভিমান থাকা টা স্বাভাবিক ছিলো।আমার উচিত ছিলো নত হয়ে তার মান ভাঙানো।কিন্তু আমি করি নি।বরং ওনার সাথে মান ভাঙার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলাম।আজ যদি নিজেদের মধ্যে সবটা ঠিক করে নিতাম। তাহলে অন্ধকার ঘরে এভাবে একাকী গুমরে মরতে হতো না।তুই জানিস তোর বাবা একাধারে কতক্ষণ অন্ধকার ঘরের মধ্যে পড়ে ছিলো?কেউ বুঝতেও পারে নি লোকটা অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে।বুকে ব্যাথায় না উনি ডাকতে পেরেছেন আর না তো কেউ তার রুমে দেখতে এসেছে।আজ যদি আমি থাকতাম তাহলে ডাক্তারের কাছে আনতে এতোটা দেরী হতো না।আর নাতো উনি এতোটা কষ্ট পেতেন।”
মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো স্পর্শী।সব কিছুর জন্য আফসোস হতে লাগলো।মস্তিষ্ক বলছে এতোকিছুর জন্য দায়ী সে।একে তো আর্শী পালিয়েছে,তার উপর সে নিজে ঘর ছেড়ে বাবাকে আরো একা করে দিয়েছে।সবচেয়ে বড় কথা হস্পিটালে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে।উফফফ!কেন করলো এমন?রাগ টাকে এতোটা প্রাধান্য দেওয়া মোটেই উচিত হয়নি।
সোভাম হস্পিটালের দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।চোখদুটো তার ফ্লোরে নিমজ্জিত। নানা উল্টা-পাল্টা চিন্তা আসছে মাথার মধ্যে। বাবার যদি কিছু হয়ে যায়?তাহলে নিজেকে কি করে ক্ষমা করবে সে?এই বয়সে বাবার কাঁধের ভর একটু কি নিজের কাঁধে নেওয়া যেত না?কেন এতটা টেনশনে রাখলো। মনে পড়তে লাগলো পুরোনো সেই কথাগুলো।কতবার শামসুল সরদার তাকে রাজনীতির দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছে।কিন্তু সে করেনি।বরাবরই এসব মারামারি, বিশৃঙ্খলা অপছন্দের।বাবাকে বারংবার বারণ করেও সরাতে পারে নি।সেই কৈশোর থেকেই তো সে রাজনীতিতে জড়িয়ে।কিভাবে আলাদা করবে?শেষে পারলো না আর বাবাকে সরাতে।কিন্তু নিজেও যে খুব ওতোপ্রোতভাবে এই কর্মকান্ডে জড়িয়েছে তা নয়।ব্যাস বড় সড় কোনো মিটিং-মিছিল হলে সেখানে যেত।কিন্তু বাকি সময় টা নিজের স্বপ্নের পেছনে খাটিয়েছে।বড় বড় টুরিস্ট স্পটের কাছাকাছি জমি কিনে আধুনিক রিসোর্ট বানাতে মশগুল সে।প্রথম প্রথম শামসুল বাধা দিলেও পরে লাভের দিকে খেয়াল করে আর বাধা দেয় নি।একাই ভাইদের নিয়ে সামলেছে রাজনীতি।
দীর্ঘশ্বাস ফেললো সোভাম।হয়তো রাজনীতিতে জড়ালে বাবার টেনশন টা অনেক টা কমাতে পারতো।
চাচা এবং রিহান দূরে বসে আছে।তারাও চিন্তায় মগ্ন।শান্তি সরদার বাড়িতে চলে এসেছে আরো আগেই।বারবার ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছে কেন তাকে আগে বলা হলো না।কেন তাকে সাথে নিয়ে যাওয়া হলো না।ওমন সিরিয়াস মুহুর্তে বিষয়টা ভীষণই বিরক্তিকর ঠেকছিলো সোভামের কাছে।ফলস্বরূপ ধমক দিয়ে ফোন কেঁটে দিয়েছিলো।তবে এখন আফসোস হচ্ছে।ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার জোড়েই হয়তো এমন উদ্ভট কথা বলেছে।এভাবে রুড বিহেভ করা মোটেই উচিত হয়নি।ডাক্তার বের হয়েছে।তাকে দেখতেই সোজা হয়ে দাঁড়ালো।চিন্তিত কন্ঠে বললো,
“সব কি ঠিক আছে?আব্বুর কি অবস্থা এখন?”
ডাক্তার সাহেব গম্ভীর মুখশ্রী নিয়ে তাকালেন।সিরিয়াস কন্ঠে বললেন,
“উনি শ্বাস করতে পারছেন না।নিঃশ্বাসের তোড়ে বুকে ব্যথা পাচ্ছেন।আপাতত অক্সিজেন খুলছি না আমরা।ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে।এবার ঘুম ভাঙার পর দেখা যাবে বাদবাকিটা।তবে আমরা আশাবাদী নিশ্চয়ই স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন।চিন্তার কোনো কারন নেই।”
“ঘুম কখন ভাঙবে ডক্টর?ঘুম ভাঙার পর কি ওনার কাছে যেতে পারবো? ”
কপালে ভাঁজ ফেলে ডাক্তার বললেন,
“খুব বেশি প্রয়োজন না হলে যাওয়ার দরকার নেই।আর ঘুম টা আগে ভাঙুক।এরপরে আমরা চেক করে আপডেট জানাবো।”
চলে গেলেন ডাক্তার।সোভাম চাচার দিকে চাইলো।পাশেই রিহান ঘুমে ঢুলছে।ঘড়ির কাঁটা ভোর সাড়ে চারটাকে ছোঁবে।শান্ত কন্ঠে বললো,
“সকাল হতে তো বেশিক্ষণ বাকি নেই।একটু বসে বিশ্রাম নিয়ে নেও।সারারাতে তো আর কিছু খাওয়া হয় নি।সকাল টা হোক,দেখি আশেপাশে কি পাই।”
এরপর এগিয়ে গেলো স্পর্শীর দিকে।তারা কিছুটা দূরে থাকা বেঞ্চিতে বসেছে।এপাশের বেঞ্চিতে বসা আছে চাচা এবং রিহান।স্পর্শীর কাছাকাছি যেতেই ব্যস্ত পায়ে উঠলো স্পর্শী।সোভামের কাছে গিয়ে বললো,
“কি হয়েছে?ডাক্তার কি বেরিয়েছে?আব্বুর অবস্থা কেমন?”
_ঘুমাচ্ছে।ঘুম ভাঙার পর বাকিটা বোঝা যাবে।আর তো ঘন্টাখানেকের মধ্যেই সকাল হয়ে যাবে।তোমরা বরং আলো ফুটতেই বেরিয়ে যেও।সারা রাত তো ঘুমাতে পারো নি।”
ভ্রুঁ কুঁচকে তাকালো স্পর্শী। বললো,
“আমি কেন যাবো?তুমি ও তো ঘুমাও নি।তুমি যাও!”
কপালের মাঝখান টাতে ভাঁজ ফেললো সোভাম।বললো,
“আরে আশ্চর্য! আমি যাবো কেন?আমি গেলে আব্বুকে দেখবে কে?”
চটে গেল স্পর্শী।দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
“তো আমি যাবো কেন?আমিও তো আব্বুর’ই মেয়ে।আমিও ওনাকে দেখে রাখবো।”
নিঃশব্দে হেসে ফেললো সোভাম।না চাইতেই স্পর্শীর কান টেনে ধরলো।আলতো হেসে বললো,
“আব্বু সুস্থ হোক।তারপর তোমাকে নতুন করে কথাবার্তা বলা শেখাতে হবে।দুদিন পরে বিয়ে দেওয়ার পর তো আমার ভোগ।এভাবে মুখের উপর নাক উঁচিয়ে উদ্ভট কথা বললে তো সংসার টিকবে না।
থেমে,
” আমি কি বলেছি তুমি এখানে থাকতে পারবে না।বললাম,সারারাত জেগেছো গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিবে সকাল সকাল।আব্বু অসুস্থ,কাকাসহ রিহান ও আছে এখানে।এতোগুলো মানুষ, খাবে কি?বাইরের খাবার কি আর আব্বুকে খাওয়ানো যাবে? হস্পিটালের কেন্টিন থেকে তো আব্বু জীবনেও খাবে না।গিয়ে বিশ্রাম-টিশ্রাম নিয়ে খাবার নিয়ে আসবে।এটুকুই।”
নাক ছিটকালো স্পর্শী।অন্যদিকে তাকিয়ে মুখ ফুলিয়ে বললো,
“সে যাই হোক।আম্মু যাবে খাবার আনতে।কিন্তু আমি আব্বুকে রেখে কোথাও যাচ্ছি না।”
অসস্তিতে পড়লো পিপাসা।আশেপাশে তাকিয়ে ম্লানমুখে জড়তা নিয়ে বললো,
“আগে ওনার ঘুম ভাঙুক,সুস্থ হোক।ওনার সাথে কথা বলে তবেই খাবার আনতে যাবো। তার আগে খাওয়ার দরকার নেই।আমি যাবো না।”
বলে চলে গেল সেখান থেকে।অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো দুজন।কিছুক্ষণ থম মেরে সেদিকে তাকাতেই হেসে ফেললো তারা।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সাতটা।আজ আর আশেপাশে পাখির কলকাকলি কিচিরমিচির আওয়াজ নয়।বরঞ্চ তার পরিবর্তে শোনা যাচ্ছে গাড়ির উদ্ভট হর্ণের আওয়াজ।যদিও হস্পিটালের ভেতর তোড়ায় আওয়াজ না এলেও শব্দটা একেবারে ঠুনকো ও নয়।একাধারে বেশ কিছুক্ষণ চলমান থাকলে সেটা ঘুম ভাঙাতে যথেষ্ট। সোভাম চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো।মাথাটা ভীষণ ই ধরেছে।উফফ!এ কেমন যন্ত্রণা! চোখ মুখ খুলে বিকৃত মেজাজ টাকে ঠিক করতে হাটতে লাগলো করিডোরে।বাকিরা এখনো হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে।দরজা টা কে আলতো ঠেলে ভেতরে উঁকি মারলেও হতাশ হলো।বাবার এখনো ঘুম ভাঙেনি।পুণরায় দরজা টাকে লাগিয়ে হেঁটে গেল নিচে।
হস্পিটালের আশেপাশে হাঁটতেই চোখে পড়লো দুরের এক দোকান।মাথা টা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। এই মুহুর্তে চা খাওয়া ভীষণ ই প্রয়োজন।হেঁটে গিয়ে দাঁড়ালো দোকানের সামনে।চা অর্ডার দিয়ে দাঁড়ালো সেখানেই।কেউই এখনো পর্যন্ত কিচ্ছু খায় নি।সবাই কে অভুক্ত রেখে তার কি খাওয়া উচিত হবে?নাহ!এটা অত্যন্ত খারাপ।শুধুমাত্র চা টা মিনিট খানেক ব্যয় করে খেয়ে আবারো হস্পিটালের উদ্দেশ্যে আসলো।মাথা টা অনেক হালকা লাগছে।কেবিনের সামনে আসতেই দেখলো সবাই জেগে গেছে।সোভাম এগিয়ে গেল।শান্ত কন্ঠে বললো,
“চাচা,নিচে একটা খাবার হোটেল আছে।আব্বুর ঘুম তো এখনো ভাঙেনি।চলো খেয়ে আসি।”
থেমে,
স্পর্শীয়া,আন্টিকে নিয়ে আসো।”
বাঁধ সাধলো পিপাসা।মাথা নাড়িয়ে বললো,
“তোমরা যাও খেয়ে আসো।আমি এমনিতেও বাইরের কিছু খাই না।খেতেও ইচ্ছে করছে না।”
মেনে নিলো সবাই।বাঁধা দিলো না কেউ’ই।একে একে চারজন চলে গেল লিফটের দিকে।প্রায় মিনিট বিশেক একাকী বসে রইলো পিপাসা।মাথা ভর্তি নানা বিদঘুটে জল্পনা-কল্পনা। মন বার বার অশনি সংকেত দিচ্ছে।মনে হচ্ছে লোকটা আর বেঁচে নেই।মৃত অবস্থাতেই পড়ে আছে ওখানে।আর তারা সবাই অপেক্ষা করছে বাইরে বসে।না না!থমকে দাঁড়ালো পিপাসা।ছুটে গেল দরজার কাছে।শব্দহীণ আলতো হাতে দরজা টা খুলে ভেতরে ঢুকে চাপিয়ে দিলো।ধীর পায়ে এগিয়ে গেল স্বামীর দিকে।তার এই নিস্তেজ দেহটা প্রতি মুহূর্তে এক ভয়ংকর ঘটনার সংকেত দিচ্ছে।দম বন্ধ লাগছে পিপাসার।লোকটা যে শ্বাস নিচ্ছে তার কোনো রেসপন্স ই পাওয়া যাচ্ছে না।কাঁপা কাঁপা হাতে বুকের উপর রাখা চাঁদর টা সরালো।গায়ের গেঞ্জিটা গুছিয়ে মাথাটা রাখলো বুকের উপর।মুহুর্তেই সস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো।নাহ,লোকটা দম নিচ্ছে।
“একি!কি করছেন আপনি?”
থমকে দাঁড়ালো পিপাসা।দরজার কাছেই ভ্রুঁ কুঁচকে তাকিয়ে আছে নার্স।ভীষণ অসস্তিতে পড়লো।কিন্তু প্রকাশ করলো না।থমথমে কন্ঠে বললো,
“আমার স্বামী।গেঞ্জি গুছিয়ে গেছিলো।ঠান্ডা লাগতে পারে তাই ঠিক করে দিচ্ছিলাম।”
নিভু নিভু চোখ দুটো চকচক করে উঠলো।শুষ্ক ঠোঁট জোড়া আপনা-আপনি ই চওড়া হয়ে উঠলো শামসুল সরদারের।নার্সের কর্কশ কন্ঠের ধমকের ঘুম টা ভেঙে গেছে তার।ডান হাত টার মুঠো খুলে পিপাসার হাতের আঙুল গুলো ছুলো।থমকে গেল সে।চমকে তাকালো পেছনে।অস্ফুটস্বরে আর্তনাদ করে বললো,
“আপনার ঘুম ভেঙেছে?কেমন লাগছে এখন?বুকে কি ব্যথা হচ্ছে?”
কোনো সাড়া দিলো না শামসুল।হাত টাকে আলতো উঁচিয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ার ইশারা করলো।দ্রুত খুললো নার্স।আস্তে করে মুখ থেকে শব্দ বের করলো। কিন্তু সেটা খুবই অস্পষ্ট এবং আওয়াজ হীন।পিপাসা ঝুকলো।স্বামীর উদ্দেশ্যে আদুরে কন্ঠে বললো,
“আপনি আরেকবার বলুন।আমি কিচ্ছু শুনি নি।”
শামসুল অস্পষ্ট কন্ঠে আবারো বললো।এরমানে এই যে,”সে ঠিক আছে।শ্বাস নিতে পারছে।অক্সিজেন মাক্স পড়তে চায় না কারন এতে তার নাকে সুরসুরি লাগে।শুধুমাত্র বুকে ভার হয়ে আছে এবং কথা বলতে গেলে বুকটা চিরে ওঠে।”
“আস্তে আস্তে।উড়ে উড়ে তো যাবো না।একটু ধৈর্য্য ধরো। গাড়িটা স্টার্ট নিতে দাও।”
কেঁদে উঠলো আর্শি।রাগত স্বরে বললো,
“আপনি মজা করছেন?হ্যাঁ করবেন ই তো।বাবা টা তো আমার।আপনার কি?”
কানে নিলো না পাভেল।গাড়ি স্টার্ট দিতেই পরশ উঠে বসলো ড্রাইভিং সিটের পাশে।প্রেমা ছুটে উঠলো পেছনে আর্শির পাশে।একহাতে ভাবিকে জড়িয়ে নিলো সান্নিধ্যে। পাভেল অবাক হলো।বললো,
রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৪৯
“তুই কোথায় যাচ্ছিস?শামসুল সরদার কে দেখতে নাকি?”
দীর্ঘশ্বাস ফেললো পরশ।হতাশার সুরে বললো,
“তুই ভুলে যাচ্ছিস আমার টা এখনো সরদার বাড়িতে আছে।তুই না গেলেও সমস্যা নেই কিন্তু আমার যাওয়া বাধ্যতামূলক।