রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫২

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫২
সিমরান মিমি

_”যতদিন না সুস্থ হচ্ছো ততদিন এখানেই থাকতে হবে।মা পার্লারে গেলেও সমস্যা নেই।আমার এক্সাম শেষ। আপাতত মাসখানেকের জন্য লম্বা ছুটি।আমি রান্নাবান্না করে খাওয়াবো আর দেখ ভাল করবো।ঠিক আছে?”
সানন্দে দুপাশে মাথা নাড়ালেন শামসুল।সোভাম হাসলো।অতি উৎসাহের সাথে বললো,

_”তাহলে এখানে আমার আর কোনো প্রয়োজন নেই।তোমার মেয়েই তো একশো।আমি যেতেই পারি। কি বলো?”
দ্রুত মাথা নাড়ালো শামসুল।ঢাকায় এসেছে ইতোমধ্যে চার দিন হয়ে গেছে।কিছুটা সুস্থ দেখেই হস্পিটাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে।উদ্দেশ্যে পিরোজপুরের দিকে থাকলেও মেয়ে তার সম্মতি দেয় নি।তার এক কথা এখন সাভারে যেতে হবে।সেখানে কিছুদিন থেকে প্রতি সপ্তাহে ডক্টরের কাছে এসে চেক আপ করতে হবে।এবং পুরোদমে সুস্থ হওয়ার পরেই পিরোজপুরে পা রাখতে পারবে।প্রথমে না করলেও সেটা মানাতে পারলেন না শামসুল।বাধ্য হয়ে মেয়ের রাগ ভাঙাতে আসতেই হলো।গত কালকেই তারা সাভারে এসেছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

_”না না।আমি এখানে আর গুণে গুণে দুইদিন থাকবো।তোমার মাকে বলে দিয়েছি পার্লার বিক্রি করে দিতে।আমরা সবাই পিরোজপুরে যাচ্ছি দুদিন পরেই।একসাথে দ্বিতীয়বার চেক আপ করে বাড়ি চলে যাবো।তারপর না হয় খুব বেশি প্রয়োজন হলে পনেরো দিন পর পর চেক আপ করিয়ে যাবো।”
চোখ দুটোর পরিসর হ্রাস করে বাবার দিকে তীর্যক দৃষ্টি দিলো স্পর্শী।গম্ভীর ভঙ্গীমায় প্রশ্ন ছুঁড়ে মারলো।
_”মা কি তোমায় পার্লার বিক্রি করার ব্যাপারে কথা দিয়েছে?”
ঘাবড়ে গেলেন শামসুল।মুহুর্তেই স্ত্রীয়ের বলা সাবধানী বার্তা গুলো দৃষ্টি সীমানায় ভেসে উঠলো।পিপাসা পইপই করে বলে দিয়েছে যেন এই বিষয়ে স্পর্শীকে কিছু না বলা হয়।কিন্তু সে মানতে পারে নি সেই বার্তা।কথার ফাঁপড়ে বলেই বলেছে।নিজেকে সংযত করে মেয়ের উদ্দেশ্যে বললেন,

_”না কথা দেবে কেন?আমি তাকে বলেছিলাম আরো আগেই।সে বলেছে ভেবে দেখবো।এই বিষয়ে নাকি তোমার সাথে কথা না বলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।আমাকে সরাসরিই বলে দিয়েছে।”
ভ্রুঁ কিঞ্চিৎ কুঁচকে তাকালো স্পর্শীয়া।হাতের মুঠোয় নেওয়া বাবার হাতটাকে তড়িৎ গতিতে ছেড়ে দিলো।উঠে দাঁড়িয়ে রাগত কন্ঠে বললো,

“যত্তসব ফাঁপড়বাজি।ওতো ওকালতি করতে হবে না।আমি কি কাউকে বারন করেছি যেতে।তোমার ইচ্ছে হলে বউকে নিয়ে চলে যাও।কিন্তু আমি যাচ্ছি না।যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমার বোন শান্তি এসে মায়ের সামনে ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণে আমি শান্তি পাচ্ছি না।আর এর আগে সরদার বাড়িতে ঢোকার কোনো চিন্তাও আমি করছি না। ”
ধুপধাপ পা ফেলে চলে গেল স্পর্শী।বাবা আর সোভাম কে তার রুমেই থাকতে দিয়েছে।সে মায়ের সাথে ঘুমায়।যদি ও খাবার রুমে একটা খাট পাতা আছে যেখানে আর্শি মাঝেমধ্যেই ঘুমাতো।কিন্তু সে রুমে আপাতত যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।যদি রিহান ভাই বা চাচা থাকতো সেক্ষেত্রে হয়তো খাবার ঘর টাই তাদের জায়গা হতো।
সোভাম বাবার পাশে বসলো।ভ্রুঁ উঁচিয়ে বললো,

_”কি করবা এখন?আমার তো কালকের মধ্যে যেতে হবে।”
_”তোর কি মনে হয় শান্তি ক্ষমা চাইবে?”
_”বাপরে!ক্ষমা চাইবে, তাও তোমার বোন।দেখো চেষ্টা করে।চাইলে তো ভালোই।”

ছাদের একাংশের কোনায় রাখা ছোট্ট একটা টুল।পড়ন্ত বিকেলের ছায়া গুলো নেমে পড়েছে ধরনীতে।রোদের নেই কোনো ছিঁটেফোঁটা ও।টুলের উপর বসে একধ্যানে দুরের ঘাসের দিকে তাকিয়ে আছে আর্শি।মন টা পড়ে আছে এখনো সেই পাঁচ দিন আগে।বাবা তাকে মেয়ে বলে মানতেই চাইলো না।ছুঁতেও দিলো না একটু।আচ্ছা! কেমন আছে সে?সুস্থ হয়েছে কি?গত পাঁচ দিনের মধ্যে মাত্র দুবার কথা হয়েছে মায়ের সাথে তাও খুব অল্পসময়ের জন্য।বাবাকে বাড়িতে নিয়ে যাবে শোনার পর থেকে আর কল করা হয় নি।যদিও দুবার কল করেছিলো।কিন্তু ওপাশ থেকে ফোন রিসিভড করা হয় নি।হয়তো বিরক্ত ছিলো।হওয়াটাই স্বাভাবিক।কেন ধরবে তার ফোন?সে তো ধরার মতো কোনো কাজ করেনি।কিন্তু খুব একটা যে ভুল ও করেছে তাও মনে হচ্ছে না।বরং সঠিক সময়ে সঠিক কাজ টা করেছে।হয়তো দুদিন পর পরিবারের সামনে ধরা পড়তো পারতো।তারা যখন দেখতো পাভেল শিকদারের সাথে সম্পর্ক তখন তো আর হুশ-জ্ঞান’ই রাখতো না।চোখ বুঝে হাতের ফোন টাকে নিয়ে ভেঙে ফেলতো।শ্বাস নেওয়ার আগে বিয়ে ঠিক করতো।জোর করে হলেও বিয়ে দিয়ে ছাড়তো।

কিন্তু এত্তো এত্তো ঝামেলা সেসময় কি আর্শি পারতো সমাধান করতে?আপু নিজেও তো এই সম্পর্কের বিপক্ষে ছিলো।শেষে সারাটা জীবন গুমরে মরতে হতো।তার থেকে যা হয়েছে, যা করেছে বেশ করেছে।হয়তো সবাই কষ্ট পেয়েছে, এমনকি এখনো পাচ্ছে কিন্তু দিনশেষে আর্শি তো একটু শান্তিতে চোখ বুঝতে পারছে।জীবন টা তার।ভালো থাকার অধিকার ও তার।যে ভালো রাখবে তার কাছে আসাই উচিত।এই যে শ্বাশুড়ী দিনে দিনে ভীষণ যত্ন করছে তার।কখন কি লাগে সেদিকে কড়া নজর রাখে এরকম শাশুড়ী কি আদৌ জুটতো।ননদ টাতো বেস্ট ফ্রেন্ডের মতো সারাক্ষণ লেগে থাকে আষ্টেপৃষ্টে। ভাসুর তেমন ভাবে কথা না বললেও দেয়ালের মতো জড়িয়ে থাকে দূর থেকে।ছোট ভাইয়ের সুরক্ষার গন্ডি সে।কেউ টু শব্দটা করার আগেই সে সামনে আসে।এটাই তো অনেক স্বামীকে রক্ষা করলেই তো হয়,আলাদা করে ভাইয়ের বউয়ের জন্য কি কিছু করতে হয় নাকি? সবার কথা মনে পড়তেই মাথা য় এলো শশুরের কথা।হ্যাঁ শ্বশুর।তিনি এখনো মুখ ফুটে হ্যাঁ বা না কিচ্ছু বলেন নি।ওই সামনে আসলে চুপচাপ নিজের মতো বসে থাকে।সময়ের সাথে সাথে তিনিও মেনে নিবেন।

আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো আর্শি।আজ এতোগুলো দিন পরেও কেউ মেনে নিলো না তাকে।না বোন কথা বললো আর নাতো বাবা।চোখ দুটো বন্ধ করে নিলো।নিঃশ্বব্দে দুপাশ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।মনকে খুব কড়াভাবে শাসালো সে।যদি তার ফোনে,যোগাযোগ করানোর চেষ্টায় তারা বিরক্ত হয় তাহলে আর যোগাযোগ করবে না আর্শি।যদি তারা তাকে ভুলে থেকে শান্তি পায় তাহলে জ্বালাবে না সে।
“ভুমমম্!”
চমকে পেছনে তাকায় আর্শি।অট্টহাসিতে মেতে উঠেছে প্রেমা।হাসতে হাসতে বললো,

_”ভয় পেয়েছো?তোমায় দেখেই বোঝা যাচ্ছে।একদম চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে দেখো।”
উত্তর দিলো না আর্শি।আচমকাই প্রেমার হাত টা শক্ত করে ধরলো।আকুতি নিয়ে বললো,
_”আমার একটা কাজ করে দেবে,প্লিজ!”
_”আরে এভাবে বলছো কেন?কি করতে হবে বলো।”
আর্শি প্রেমাকে নিয়ে নিচে চলে এলো।হাতের ফোন টাকে একটা গিফট ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে সাদা একটা কাগজ নিলো।গুটি গুটি অক্ষরে লিখলো,
_”আব্বু,এটা আপনার দেওয়া প্রথম উপহার ছিলো।ভালোবেসে দিয়েছিলেন বলেই নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলাম।তবে এখন হয়তো আমার প্রতি সেই ভালোবাসা টা আর বেঁচে নেই আপনার।না থাকাটাই স্বাভাবিক।উপহার টা ফেরত দিলাম বলে ভাববেন না আমি আপনাকে ভালোবাসি না।কিন্তু যেখানে আপনার হাতটা ছোঁয়ার ও অধিকার আমি হারিয়েছি সেখানে ফোন টাকে আর রাখতে পারছি না।মনে হচ্ছে এই ফোনটা রাখার যোগ্যতা আর আমার নাই।সাবধানে থাকবেন।নিজের যত্ন নেবেন।ভালোবাসি আপনাকে।”

ইতি আর্শীয়া শিকদার
কাগজের টুকরো টা ছলছলে চোখ নিয়ে লিখে গিফট ব্যাগের মধ্যে রাখলো।এরপর প্রেমার হাতে দিয়ে বললো,
“এটা প্লিজ সরদার বাড়ির কারো হাতে দিয়ে দিও।ওরা তো সদরে কেউ না কেউ আসবেই।দু এক দিনের মধ্যে একজনের সাথে হলেও তো দেখা হবে।প্লিজ দিয়ে দিও।”
“কিন্তু ওনারা কি এসেছে?”
“হ্যাঁ, তোমার ভাই তো বললো সকালে সোভাম ভাইকে দেখেছে।মনে হয় ওরা চলে এসেছে।আর না এলেও সমস্যা নাই।তোমার ব্যাগে রেখে দাও।যখন দেখা হবে কষ্ট করে একটু দিয়ে দিও।”

ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই রাতের নিকষকালো অন্ধকার বিদায় নিয়েছে।সারারাত মন খারাপের বয়ে চলা বৃষ্টির পর সকাল টা বেশ স্বচ্ছ লাগছে।পাতার রঙ গুলো কেমন উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।এ যেন রঙের বাহার।মুখ খানি গোমড়া করে বিরক্তিকর মুখশ্রী বানিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে স্পর্শী।পাশেই লাউড স্পিকারে দেওয়া ফোন কানে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পিপাসা।ফোনের ওপ্রান্তে আছে এক নারী।যিনি কর্কশ কন্ঠকে হঠাৎই নমনীয়তায় রুপান্তরিত করলেন।বললেন,

“দেখো পিপাসা,সেদিন ছেলের নামে বাজে কথা বলায় রাগের মাথায় তোমাকে নিয়েও অনেক আজেবাজে কথা বলেছিলাম।ওগুলো আমার মনের কথা না।আমি বলতে চাই নি।কিন্তু রাগের মাথায় বলে ফেলছি।যাই হোক,তোমার ঘর,তোমার সংসার।তুমিই সামলাবা।আমি কে?আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে।শুধু শুধু আমার কথায় রাগ করে বাড়ির বাইরে থাকাটা ভালো দেখায় না।তোমাদের জন্য ভাইজান আমারে দোষ দিতাছে।ওইদিনের কথা ভুলে যাও। আমি চাই না আমার জন্য তোমরা বাড়ির বাইরে থাকো।এতে আমার কি লাভ বলো?”
হাসলো পিপাসা।শান্ত কন্ঠে বললো,

“জ্বি আপা!আপনার কথা ঠিক।আমি বোকা বলেই আজ উনিশ টা বছর ধরে ঘরের বাইরে।যদি আগেই বুঝতাম কারো কথার উপর ভিত্তি করে ঘর থেকে বের হওয়াটা বোকামি, তাহলে আজ আমার ভরপুর সংসার থাকতো।আর আমি আপনার কথায় কিছু মনে করেনি।আপনার কথা মাথায় নেওয়াই বোকামি।আমি বুঝতে পারছি।”
ওপাশ থেকে কথা আর দীর্ঘস্থায়ী করলো না শান্তি।স্বামীর চাপ আর ভাইয়ের অনুরোধের কারনে আজ নত হতে হলো।ফোন কাঁটার সাথে সাথেই দম ছাড়লেন শামসুল।স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে বললেন,

“এবার হয়েছে?এবার তো বাড়ি যাওয়া যায়, তাই না?”
নাক মুখ কুঁচকালো স্পর্শী।বললো,
“নাহ!মনমতো হয় নি।”
ফুসে উঠলেন পিপাসা।ধমক মেরে বললেন,
_”এবার কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে স্পর্শী।মার খাবি কিন্তু।বয়স্ক মানুষ যা বলেছে এটাই অনেক।”

ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে নয়টা।কলেজের গেটের সামনে বান্ধবীদের নিয়ে ঝালমুড়ি খাচ্ছে প্রেমা।চারপাশে লোকজনের বিস্তর কোলাহল।এর মধ্যেই চোখ পড়লো দুরের এক জনাকীর্ণ জায়গায়।প্রায় বিশ পঁচিশ জন সোভাম সরদার কে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।হয়তো কোনো আলোচনা চলছে।মুহুর্তেই আর্শির কথা মাথায় এলো।ব্যাগে হাত দিয়ে গিফট ব্যাগ টা হাতে নিয়ে নিলো।ভেতরের ফোন,চার্জার আর চিঠিটা দেখে নিলো।বান্ধবীদের দাঁড়াতে বলে এগিয়ে গেল গুটি গুটি পায়ে।হাতে ব্যাগ আর চিঠি টা নিয়ে ভীড়ের কিছুটা বাইরে দাঁড়ালো।উঁকি মেরে সোভামের উদ্দেশ্যে ডাক ছুঁড়ে দিয়ে বললো,

_”এই যে,ভাইয়া।শুনছেন?একটু এদিকে আসবেন।”
চমকে তাকালো সোভাম।তার আলোচনা প্রায় শেষ। পরশ শিকদারের ছোট বোনকে দেখতেই ভ্রুঁ কুঁচকে ফেললো।দু পা সামনে এগিয়ে আসতেই বিনয়ী হাসলো প্রেমা।এক হাতে চিঠিটা এগিয়ে দিয়ে অন্যহাত দিয়ে গিফটব্যাগ টা ধরলো।মিষ্টি কন্ঠে বললো,
_”এটা আপনার জন্য।ধরুন।”
আশেপাশের লোকজনের প্রায় চোখ কপালে উঠে এসেছে।অসস্তিতে পড়লো সোভাম।এভাবেই বিস্তর জনগণের মধ্যে কোনো কিশোরী তাকে প্রেমপত্র দিচ্ছে, সাথে গিফট ও। ভাবতেই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছে।পাশ থেকে রিহান বের হলো।সোভামের উদ্দেশ্যে নিচু স্বরে বললো,

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫১

“ভাই,বেয়ান সাহেবা তোকে লাভ লেটার দিচ্ছে।কি ব্যাপার?”
দাঁতে দাঁত চেপে ধরলো সোভাম।বেয়ান শব্দটা শুনতেই আর্শির কথা স্মরণে এলো।মুহুর্তে ই চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।পরপর’ই প্রেমার উদ্দেশ্যে কিছু কঠোর শব্দ প্রয়োগ করলো।বললো,
“ভাইদের মতোই চরিত্রহীন হয়েছো।অসভ্য মেয়ে!লজ্জা করে না এভাবে নিজের চরিত্র টাকে ঢালাও ভাবে লোকের সামনে প্রকাশ করতে?”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫৩