একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৪৫
Mousumi Akter
নিজের স্বামীর কাছে আদরের,আহ্লাদের হয়ে থাকাটা একমাত্র ভাগ্যবতী নারীদের কপালেই থাকে। সেই ভাগ্যবতী নারীদের মাঝে সারাহ অন্যতম। রোশান সকাল এবং দুপুরের রান্না আজ নিজ হাতে করেছে। ইচ্ছা করেই করেছে। মেয়েরা তো আজীবন ই রান্না করে এবং করবে। মাঝে মধ্য তাদের ও একটু রান্না করে খাওয়ানো দোষের কিছু নয়। এটা ভালবাসার ই একটা অংশ। সারাহ বিছানায় বসে ফোন চাপাচাপি করছে। মৃন্ময়কে ফোন দিচ্ছে। মৃন্ময় তখন মেসের বিছানায় সুয়ে সুয়ে সিগারেট টানছে।
দ্বীপ পাশে সুয়েই ফোনে সদ্য প্রেম হওয়া না দেখা মেয়েটার সাথে চ্যাটিং করছে। তন্ময় ছোঁয়াকে না পেয়ে এক বুক জ্বালা বুকে চেপে রেখে মৃন্ময় কে স্বান্ত্বনা দিয়ে চলেছে। এটা হয়ত একমাত্র তন্ময়ের দ্বারাই সম্ভব। ভেতরে যত ঝ’ড় ই চলুক না কেন? বাহিরে সে চুপচাপ থাকে। কাউকে কিচ্ছু বুঝতে দেয়না। তার আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস। নিজের ভালবাসার প্রতি ও অগাধ বিশ্বাস। সে জানে যে ছোঁয়া নিজের ইচ্ছায় তাকে ছেড়ে যায়নি, একদিন ফিরে আসবে। এবং আসতেই হবে। কিন্তু মৃন্ময় অবুঝ৷ ও কিছুই সহ্য করতে পারেনা। সারাদিন সিগারেট খায়, রাতে ঘুমের ওষুধ, হাত কা-টা খাবার না খাওয়া, হাউমাউ করে কাঁন্না। একদম ই অবুঝ এবং পা-গ-ল। তিন বন্ধুর গুনাবলী একদম তিন রকমের হয়েছে। তন্ময় মন দিয়ে বই পড়ছে। মৃন্ময়ের ফোন বেজে চলেছে অথচ রিসিভ করছে না। তন্ময় মৃন্ময়কে ডেকে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” ফোনটা রিসিভ কর।”
মৃন্ময় ফোনের দিকে না তাকিয়ে তন্ময় কে বলল,
” আমাকে একটু শিখিয়ে দিবি, কীভাবে কষ্ট কম হয়। মানে আমি তোর মত স্বাভাবিক থাকতে চাই। বই পড়তে চাই, ঘুমোতে চাই, হৃদয়ের যন্ত্রণা কমাতে চাই। তুই তো আমার চেয়েও কোটি কোটি গুন বেশী ভালবাসিস ছোঁয়াকে। তাহলে ছোঁয়া ছাড়া কীভাবে আছিস? কীভাবে বই পড়িস, কীভাবে ঘুমাস, কীভাবে আমাকে সান্ত্বনা দিস। কই আমিতো তোকে স্বান্ত্বনা দিতে পারিনা। ”
তন্ময় বই বন্ধ করে মৃন্ময়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
” যারা প্রকাশ করেনা, ওদের কষ্ট ও অপ্রকাশিত, ভেতরটা ভেঙে যায় বাজে আঘাতে কিন্তু শব্দ হয়না৷ যারা প্রকাশ করতে পারে ওদের কষ্ট অধিক হালকা হয়ে যায়। আমি তোর চেয়ে হাজার গুন বেশী ভালবাসি এটা ভুল। যার যার ভালবাসা তার তার কাছে শ্রেষ্ঠ। এটা তুলনা করা পরিমাপ সম্ভব নয় গাঁধা। তুই ফোনটা রিসিভ কর।”
তন্ময়ের গভীর কথায় প্রকাশ পেল সে মৃন্ময়ের থেকে বেশী কষ্ট পাচ্ছে। তবুও কত শান্ত রয়েছে। অথচ মৃন্ময়ের মনে হচ্ছে তার ম’রে যাওয়া উচিৎ। মৃন্ময় ভারী একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে ফোন রিসিভ করল। ফোন রিসিভ হতেই সারাহ বলল,
” মৃন্ময় কি করিস?”
মৃন্ময় গভীর একটা দীর্ঘঃশ্বাস ছেড়ে বলল,
“সিগারেট গিলতেছি।”
সারাহ খুশিতে বেশ উত্তেজিত। উত্তেজিত কণ্ঠে বলল,
“তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।”
মৃন্ময় বিরক্ত কণ্ঠে বলল,
“তুই কি আমার সাথে মজা নিচ্ছিস? এসব সারপ্রাইজ টারপ্রাইজ এর মুডে আমি আছি এখন?”
“আই নো বাট এটা তোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সারপ্রাইজ। প্লিজ আসার সময় সিগারেট খেয়ে আসিস না যেন।”
“দেখ সারাহ, আমার মন মেজাজ সত্যি ভাল নেই। কিছু বলার থাকলে বল৷ এত কাহিনী করিস না।”
সারাহ বুঝল এভাবে বললে মৃন্ময় আসবে না। তরীর ব্যাপার টা বলতেই হবে। সারাহ উল্লাসিত কণ্ঠে বলল,
“তরীকে একটা বাসায় আমি দেখেছি, চল তোকে নিয়ে যাবো। সেইজন্যই সারপ্রাইজ দিতে চাইছিলাম।”
সাথে সাথে মৃন্ময়ের বুকের মাঝে ভয়াবহ ভাবে কম্পন শুরু হল। হৃদযন্ত্র এতদিন অচল ছিলো তা দ্রুত উঠা নামা শুরু করল। মৃন্ময় সোয়া থেকে উঠে বসল। আনন্দে সিক্ত চোখ মুখ নিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে বলল,
“সত্যি, তুই সত্যি বলছিস।কই আসব আমি? এখনি আসতেছি। ও যেন হারিয়ে না যায়৷ প্লিজ দেখে রাখ ”
তন্ময় টেবিল ছেড়ে উঠে এলো। দ্বীপ মোবাইল রেখে দিলো। ওরা দু’জনেই বুঝল তরীর সন্ধান পেয়েছে মৃন্ময়।
সারাহ মৃন্ময়ের আনন্দ দেখে হাসতে হাসতে বলল,
” এখন আসা লাগবেনা। ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সামনে আসবি ঠিক বিকাল তিনটায়।” বলেই সারাহ ফোন কেটে দিলো। মৃন্ময় এক লাফে খাট থেকে নেমে বলল,
“তন্ময়, দ্বীপ আমি আসতেছি।”
তন্ময় সন্দিহান কণ্ঠে বলল,
“কোথায়?”
“সারাহ তরীর সন্ধান পেয়েছে।”
দ্বীপ বলল,
“সিরিয়াসলি কোথায়? ”
” কোথায় যেন দেখেছে, সারাহ বিকাল তিনটায় যেতে বলেছে। বাট আমি এখনি যেতে চাই যদি ও আবার হারিয়ে যায়।”
তন্ময় বলল,
” যেহেতু সারাহ’র নজরে পড়েছে আর হারাবেনা। কুল হ।”
সারাহ’র ফোনে কথা শেষ হলে, রোশান এক প্লেট ভাত মাখিয়ে এনে বিছানায় বসে সারাহ’কে বলল,
” ফোনে কথা শেষ হল।”
সারাহ রোশানের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি জবাব দিল,
” হ্যাঁ শেষ, আপনি কি ওই বুইড়া লোককে বলেছেন কি বলতে বলেছি।”
রোশান সারাহ’র গালে খাবার দিতে দিতে বলল,
” জি ম্যাডাম ভাল ভাবে বলেছি। লোকটা মেয়ে বিয়ে দিতে পারলেই বেঁচে যায় যেন। এমন ভাবে বলেছি মেয়ে তোমার সাথে পাঠাবেই। ইচ্ছা করছে লোকটাকে পুলিশে দিই। কিন্তু এখনি সেসব করতে গেলে ঝামেলা হয়ে যাবে।”
সারাহ খাবার খেতে খেতে বলল,
” কি ইচ্ছে হচ্ছে জানেন?”
রোশান খুব কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে বলল,
” কি?”
সারাহ চোখ মুখ রাগান্বিত ভাব করে বলল,
” ওই দিশার মাথার চুল সব ছিঁ’ ড়ে ফে’ল’তে। আমার প্রচন্ড ঝ’গ’ড়া করতে ইচ্ছা করছে। ওই মহিলা যেন আমার সামনে না আসে। ”
রোশান আরেক লোকমা খাবার সারাহ’র গালে তুলে দিয়ে বলল,
” নিজেকে সংযত করো একটু। এখনি কিছু বললে আবার তরীকে নিয়ে হারিয়ে যাবে। বুঝে যাবে তুমি ওর ব্যাপারে বুঝে গিয়েছো বা মৃন্ময়ের পরিচিত।”
সারাহ খাবার খেতে খেতে বলল,
” দেখুন বুঝলে বুঝুক। আমি ওকে ভয় পাইনা। এইবার কিছু করতে আসলে পুলিশ ডেকে এনে টাইট করে দিবো। আমি ওই দিশার নাম ই সহ্য করতে পারছি না। মৃন্ময়ের নামে কত বড় কলঙ্ক দিয়ে দিলো।”
গল্পে গল্লে সারাহ’র খাওয়া শেষ হল। কিছুক্ষণের মাঝেই তরী আর দিশা এলো। দিশার উদ্দেশ্য ভিন্ন, সে রোশান কে দেখতেই এসছে। দিশার চরিত্রে ভীষণ সমস্যা আছে। ইয়াং ছেলে এবং টাকা দুইটার ওপর ই ঝোঁক বেশী৷ ওদের দেখেই রোশান আলমারি খুলে নিজের শার্ট খুঁজছে। একটা আকাশি রঙের শার্ট দ্রুত গায়ে দিলো। সারাহ দিশার সাথে কথা বলল না। তরীকে বলল,
“তরী আসো আমি তোমাকে ফ্রেসিয়াল করিয়ে দিই। ”
তরী এসব ফ্রেসিয়াল সম্পর্কে বোঝেনা। তাই সারাহ’র দিকে তাকাল। দিশা মিনিটে কয়েকবার করে রোশানের দিকে তাকাচ্ছে। সারাহ’র চোখ তা এড়াল না। রাগে সমস্ত শরীর কাঁপছে সারাহ’র। সে দিশার মুখে একটা ফেসপ্যাক লাগিয়ে অন্য একটা রেডি করছে। দিশা সারাহ’কে বলল,
” আপনি ওনার ওয়াইফ তাইনা?”
রাগে সারাহ’র সমস্ত শরীর রি রি করছে। মাথায় আ’গু-ন জ্বলছে। মানে এত মানুষ রেখে তার জামাই কেই আগে চেনা হয়ে গিয়েছে। সারাহ গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
” কি মনে হচ্ছে?”
” ওয়াইফ ই মনে হচ্ছে, তাই এলাম।”
সারাহ আর কোনো কথা বাড়াল না। দিশাই আবার বলল,
” আপনি ফ্রেসিয়াল ও পারেন?”
সারাহ ভ্রু কুচকে দিশার দিকে তাকিয়ে বলল,
” ফ্রেসিয়াল ও পারেন মানে? আমার সম্পর্কে কি আগেই কিছু জানা ছিলো আপনার?”
দিশা অনিচ্ছাকৃত হেসে জবাব দিলো,
” না তা নয়। সব সময় কি থ্রি পিস ই পরেন? নাকি ওয়েস্টার্ন ও পরেন।”
দিশার একটা কথা ও সারাহ’র ভাল লাগছে না। এখনি ঠাস ঠা স করে কয়েকটা থা’প্পা’ড় মারতে মনে চাচ্ছে। সারাহ বাঁকা কণ্ঠে উত্তর দিলো,
“কেন আপনি কি গিফট করবেন নাকি নানী?”
দিশা নানী সম্মোধন শুনে বলল,
“নানী মানে?”
” নানী মানে নানার বউ। এক নাম্বার বা দুই নাম্বার যেটাই হোক।”
দিশা আবার ও অবাক হয়ে প্রশ্ন করল,
” নানী ডাকছেন কেন?”
সারাহ আবারও বাঁকা উত্তর দিল,
“নানার বউ কে কি খালাম্মা ডাকব?”
“নানা কে?”
সারাহ বাঁকা জবাব বহাল রেখে বলল,
“আপনারা সোয়ামি। গুনে গুনে আমার নানার চেয়ে সামান্য একটু বয়সের পার্থক্য।”
দিশা চোখ বড় বড় করে বলল,
“তাই বলে আপনি নানা ডাকবেন?”
সারাহ বিরক্ত কণ্ঠে বলল,
“কেন এটা কি কোনো পাপী শব্দ৷ আমার ছোট নানা আমার জামাই এর চেয়েও বয়সে ছোট হবে। বয়স কম বলে কি আমি তাকে নানা না ডেকে কাকা ডাকব নানী। ”
“আমি জাস্ট জিজ্ঞেস করছিলাম আপনি ওয়েস্টার্ন পরেন কীনা!”
সারাহ আবার ও বাঁকা উত্তর দিলো,
“হ্যাঁ পরি, মাঝে মাঝে হাফ প্যান্ট এবং ম্যাকসি ও পরি যখন অন্যোর জামাই কে দেখি। আই আম জোকিং ইয়ার ডোন্ট মাইন্ড। মাইন্ড করেছো? শোনো মাইন্ড করলে আমার সাথে কথা বার্তা বলার দরকার নাই। এত মাইন্ড ওয়ালা মহিলা আমার ভাল্লাগেনা। আমার আসলে সবাইকে এত সম্মান দিয়ে আপনি বলতে ভাল্লাগেনা। তাই তুমিই বললাম।”
দিশার অপমানে লেগেছে তবুও বলল,
“না না মাইন্ড করি নাই।”
“মাইন্ড না করলে আর একটা কথা বলি?”
“হুম।”
“ওয়েস্টার্ন এ তোমাকে কিন্তু ক্ষ্যাত লাগতেছে। নতুন নতুন ওয়েস্টার্ন পরতেছো বুঝি। ”
কথাটা দিশার চরম অপমানে লাগল। তাও স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,
“না ছোটবেলা থেকেই পরি।”
সারাহ তরীর ফ্রেসিয়াল শেষ করে মেকাপ শুরু করল। আর দিশাকে বলল,
“একটা কথা বলোতো?”
“কি?”
সারাহ খুঁচা মেরে বলল,
“কেমনে বুইড়া পটাইলা। না মানে তুমি উনারে চুমু দেও কেমনে? ভেবেই কেমন একটা লাগতেছে। ”
দিশার মন খারাপ হল। সে রোশানের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কপালে ছিলো তাই হয়েছে। এখন আর ভাল লাগেনা এই অভিশপ্ত জীবন।”
“এইজন্য বুঝি ইয়াং ছেলে দেখলে নজর দেও। যা খুশী করো আমার জামাই এর দিকে তাকাইও না। ”
দিশা তখন ও রোশানের দিকে তাকিয়ে আছে। রোশান দিশার চাহনি দেখে রুম ত্যাগ করল। সারাহ তখন তরীকে তার বেনারসি থেকে একটা লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি পরালো। খুব ভালভাবে মেকাপ করিয়ে একদম প’রী’র মত সাজিয়ে গুছিয়ে দিশার সামনে নিয়ে বলল,
” দেখোতো কেমন লাগছে নানী?”
দিশার তরীর প্রশংসা করতে রাজি নয়। তাইতো মুখ সিঁটকে বলল,
” জানিনা।”
সারাহ বলল,
” তুমি কি তাহলে দিনকানা?”
দিশা সন্দিহান চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
“মানে?”
” মানে এইযে এত সুন্দর দেখাচ্ছে তরীকে, তাও তুমি চোখে দেখছো না।”
” ওর ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে চাইনা।”
সারাহ খানিকটা কর্কশ কণ্ঠে বলল,
” ওর ব্যাপার কিছু বলার যোগ্যতা থাকলে তবে তো বলবে।”
বলেই রোশান সিদ্দিকী’কে ডেকে বলল,
” আমরা রেডি আপনি বের হন।”
দিশা বলল,
” উনিও যাবেন?”
সারাহ কৌতুহলী চোখে দিশার দিকে তাকিয়ে বলল,
” উনিও যাবেন মানে? হোয়াট ডু ইউ মিন বাই উনি? উনি আমার উনি, নট ইওরস। ভুলে,ভুলক্রমে কোনোভাবে যদি আমার উনাকে তুমি উনি বলে ডাকো আমার হাত আর তোমার গাল।”
দিশা আশ্চর্য হল সারাহ’র ব্যবহারে। সে উঠে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে সারাহ’কে বলল,
” আশ্চর্য! তুমি এরকম ব্যবহার কেন করছো আমার সাথে। সেই প্রথম থেকেই অকারণ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছো। আমাকে ফান করে অনেক অপমান ও করেছো আমি কিচ্ছুই মনে করিনি। কিন্তু কেন? সমস্যা কি? ঠিকই তরীর সাথে ভাল ব্যবহার করছো। ”
সারাহ ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,
” সমস্যা তোমার নিজের ভেতরে। তুমি বারবার আড়চোখে,বাঁকা চোখে আমার স্বামীর দিকে তাকাচ্ছো। তুমি আমাকে চিনোনা। তোমার চোখ দু’ টো তুলে কয়েক খন্ড করে ছেড়ে দিবো, যাতে কোনদিন অন্যোর স্বামীর দিকে নজর দিতে না পারো। আমার স্বামীকে তোমার ভাই হিসাবেও দেখতে হবেনা, আঙ্কেল হিসাবেও না, চাচা,মামা,খালু কিচ্ছুই না। ওর জীবনে কোনো মেয়ের সাথে অন্য কোনো সম্পর্কের প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু মেয়ের জন্মই হয়েছে অন্যোর বয়ফ্রেন্ড, অন্যোর স্বামী কেড়ে নিয়ে সংসার করার জন্য।”
দিশা ভীষণ অবাক হয়ে বলল,
” জাস্ট তাকিয়েছি বলে এমন করবা।”
” জাস্ট তাকাবা কেন? তাকাতে হলে তোমার বুইড়া জামাই এর ভুড়ির দিকে তাকাও। নট রোশান সিদ্দিকী।”
রোশান সারাহ’র রাগারাগি দেখে এগিয়ে এসে সারাহ কে শান্ত কণ্ঠে বলল,
” শান্ত হও। আমার দু’চোখ তুমি ছাড়া অন্য কিছুতে আসক্ত নয়। দেরি হচ্ছে চলো। ”
পরে দিশার দিকে তাকিয়ে বলল,
একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৪৪
” আমাদের ফ্ল্যাটে এভাবে আর আসবেন না আপনি। আমার ওয়াইফ খারাপ ব্যবহার করলে আমি তার বিচার করতে পারব না। আমার ওয়াইফ যা বলবে, যা করবে ওটাই আমার কাছে রাইট। আপনার স্বামীকে কথা দিয়েছি উনার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিবো। সেই দায়িত্ব টুকু পালন করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ ”