রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫৭
সিমরান মিমি
সকাল এগারোটার মতো বাজে।সময়টা খুব বেশিও নয়।কিন্তু রোদের তপ্ততা যেন দুপুরের কাঠখোট্টা পরিবেশের মতো।চারপাশের মানুষ জন অস্থির হয়ে উঠছে ক্রমশ।সকালেই এই অবস্থা,না জানি দুপুর গড়ালে কি হবে?বিলাসবহুল গাড়িটি সরদার বাড়ির গেটের সামনে থামলো।গাড়ি দেখতেই বাহাদুর কাকা তড়িঘড়ি করে গেট খুলে দিলো।ড্রাইভার একটানে গেরেজের সামনে থামলো।দরজা খুলে ব্যাগ হাতে নেমে পড়লো স্পর্শী।মা-বোনের জন্য অপেক্ষা না করেই হনহন করে ঢুকে পড়লো বাড়িতে।পিপাশা চিন্তিত হলো।
স্পর্শীর হুট করে এই চেঞ্জ হয়ে যাওয়া হাবভাব ভালো ঠেকছে না।এই যেমন তিনি চেয়েছিলেন মেয়ের কাছে দুদিন থাকবেন ;কেননা এখনো শামসুল সরদার সম্পর্ক টা মানতে পারেননি।এতে বরং অশান্তি হবে।কিন্তু এমনটা পরিকল্পনা করে গেলেও সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেন নি।স্পর্শী এতে মোটেও সায় জানায় নি।তার সোজাসাপটা কথা এ বাড়িতে এক ঘন্টাও নয় বরং আর্শিকে নিয়ে যাবে।পরিকল্পনা হীন হুট করে হয়ে যাওয়া নামমাত্র সম্পর্ক ;যেখানে দু পরিবার ই বিয়েটা মানে নি।সেখানে সেধে গিয়ে রাত যাপন করা খুবই লজ্জাজনক এবং অপমানের।পারতপক্ষে মেয়ের যুক্তিতে সায় দিলেও এখন তো ঘটনা উলটো লাগছে।স্পর্শী তাদের কে ছেড়েই একা একা চলে গেছে।হয়তো এখান থেকে সোজা রুমে গিয়ে বসে থাকবে।এমনটা হলে কিভাবে অন্যদের সামলাবে?অসুস্থ মেয়েটাকে সেঁধে নিয়ে এসে কি আবারো অপমানের সম্মুখীন করবে?
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
ঠোঁট দুটো গোল করে লম্বা করে শ্বাস নিলেন পিপাসা।আর্শির হাত ধরে ধীর পায়ে নিয়ে আসলেন দরজার দিকে।ড্রয়িং রুমে ঢুকতেই স্তব্ধ হয়ে গেলেন।সোভাম সোফায় বসা, আর পাশেই শামসুল সরদার।আতংকে মুখটুকু পাংশুটে হয়ে গেল আর্শির।ভয়গুলো ঝেঁকে ধরলো প্রবলভাবে।আজ প্রায় দু মাস পর এ বাড়ির চৌকাঠ পার হচ্ছে।সকালে বের হওয়ার আগে সোভামকে দেখেননি পিপাশা।ভেবেছিলেন আসতে আসতে আরো কয়েকদিন লাগবে।ততদিনে বাড়ির সবাইকে মানিয়ে নিবেন।কিন্তু যত ঝামেলা সব একইদিনে।হয়তো সকালেই চলে এসেছে।চোখ ঘুরিয়ে আশপাশে তাকালো।আর্শির লাগেজ টা সোফার পেছনে পড়ে আছে।
কিন্তু স্পর্শী নেই।ঢোক গিলে ছোট মেয়ের হাত টা শক্ত করে ধরলো।দরজার সামনে কারো অস্তিত্ব অনুভব করতেই তাকালো শামসুল।থমকে গেলো দুজনেই।নিস্পৃহ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।বাক-প্রতিবন্ধীর ন্যায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ।সেই ছোট্ট চঞ্চল-অভিমানী মেয়েটা আর মেয়েতে নেই।সে এখন একজন পরিপূর্ণ নারী।যার ভেতরে এখন নতুন আরেক প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে।পূর্ণতা তাকে ঘিরে রেখেছে চারদিক থেকে।গায়ে জড়ানো বেগুনি বর্নের শাড়িটা তার পরিবর্তনের সবথেকে বড় কারন।মুখগুলো আগের তুলনায় সামান্য গোল হয়েছে।হয়তো ওজন বৃদ্ধির কারনে।শামসুল সরদার স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।
কি বলবেন তিনি?এই মুহুর্তে কি বলা উচিত তার?ভেবে পেলেন না।সোভাম নিজেও বাবার দিকে তাকিয়ে রইলো।বাবার নিস্তব্ধতা দেখে নিজেই নিস্তেজ হয়ে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে রইলো।রাগ অভিমান তার ও কম নয়।এই বাড়িতে এতোগুলো বাচ্চা অথচ কোনো মেয়ে নেই।আজন্মকাল কুঁড়ে খাওয়া একটা বোনের অভাব পূর্ণ হয়েছে সৎ বোনদের দিয়ে।চাইলেও পারছে না খুব বেশি আদর দিতে;আর না তো শাসন করতে।এই যে মধ্যভাগে বিচরণ করছে এক দেয়াল।শক্ত দেয়াল যেটা সৎ নামে পরিচিত।হুট করে বোন ভেবে শাসন করলে যদি বাবা কষ্ট পায়।যদি সবাই ভাবে সৎ বোন বলেই এমন শাসন;আপন হলে কখনোই করতো না।বুক চিরে লম্বা শ্বাস টেনে পুণরায় সোফায় বসলো।পিপাসা মেয়েকে নিয়ে এগিয়ে এলো আরেকটু।কাঁপা কন্ঠে আর্শিকে উদ্দেশ্য করে বললো,
_”ও অনেক অসুস্থ।আর এই সময়টা আমি মেয়েকে দূরে রাখবো না।তাই সাথে নিয়ে এসেছি। আপনার যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে বলে দেবেন। আমি ওকে নিয়ে সদরে বাসা রাখবো।”
ক্রোধান্বিত দৃষ্টিতে তাকালেন শামসুল।ধমক মেরে বললেন,
_”তোমার সাহস তো কম না।তুমি একে তো ওকে নিয়ে……..”
শামসুল সরদার পুরো বাক্য শেষ করতে পারলেন না।এর আগেই পিপাসা থামিয়ে দিলেন।তড়িঘড়ি করে বললেন,
_”আমি কিচ্ছু জানি না।যা জিজ্ঞেস করার সেটা আপনার বড় মেয়েকে করেন।আমি আসতে চাইছিলাম না।ও নিজেই আর্শিকে নিয়ে আসছে।আপনি বরং ওর সাথে কথা বলুন।”
বলেই আর্শির হাত ধরে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলেন।অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো দুজন।তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে রুমে ঢুকলো স্পর্শী।গরমে এতটাই অস্থির লাগিছে যে এই মুহুর্তে গোসল না করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে।রুমের ভেতর ঢুকতেই বাবাকে নজরে এলো।তিনি থমথমে মুখে বিছানার পাশে বসে আছেন।স্পর্শী তোয়ালে রেখে ত্রস্ত পায়ে বাবার পাশে গিয়ে বসলো।শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
_”কি হয়েছে?তুমি কি কিছু বলবে?”
শামসুল সরদার সাবধান হলেন।মেয়ের সামনে উল্টাপাল্টা কোনো কথা বলা যাবে না।তাহলে পূর্বের মতো ঘটনা পুনরায় ঘটতে একটুকুও সময় লাগবে না।চোখ বন্ধ করে নিজেকে সামলে নিলেন।কন্ঠকে নিচুতে এনে শান্তস্বরে বললেন,
_”তুমি যে আজ তোমার বোনকে আনতে যাবে, সে ব্যাপারে আমাকে আগে জানাও নি কেন?নাকি আমাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করো নি।”
চমকালো স্পর্শী।বললো,
_”কেন? মা তোমাকে জানায় নি?”
_”হ্যাঁ, জানিয়েছে।কিন্তু সে বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যাপারে কিছু বলেনি।বলেছিলো সেখানে কিছুদিন থাকবে।আমি সেই ব্যাপারেও মত দেই নি,সেখানে বাড়ি আসার কথা তো ভাবনার বাইরে।”
স্পর্শী সজাগ দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকালো।সন্দেহ নিয়ে বললো,
_”ওকে যে আমি নিয়ে আসতে গিয়েছি এ ব্যাপারে কে বলেছে তোমাকে।মা নিজেই তো গেল।”
ভ্রুঁ কুঁচকে ফেললো শামসুল।তড়িঘড়ি করে বললো,
_”কিন্তু তোমার মা ই তো বললো যে তুমি নাকি নিয়ে এসেছো।সে এই ব্যাপারে কিছু জানে না।”
ধীরে ধীরে সংকুচিত ভ্রুঁ স্বাভাবিক হলো স্পর্শীর।চোখে মুখে ফুটল এক নিরব হাসি।মা তার দোহাই দিয়ে নিজে বেঁচে গেছে।বাবার প্রশ্নে পুনরায় সজাগ হলো স্পর্শী।শান্ত স্বরে বুঝিয়ে বললো,
_”আমি যা বলছি চুপচাপ বোঝার চেষ্টা করো।আমি এমন কিছু করছি না যাতে তোমার অসম্মান হয়।একটু মন দিয়ে শোনো।আর্শি তোমারই মেয়ে।সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে,তোমাকে কষ্ট দিয়েছে, সেটা সম্পুর্ন আলাদা ব্যাপার।সেটা তোমাদের দু বাপ-মেয়ের মধ্যে থাকবে।তুমি কেন এই কথা অন্যদের জানিয়ে তাদেরকে লায় দেবে।ছেলে ওদের ও পালিয়েছে।সম্মান ওদের ও নষ্ট হয়েছে।কিন্তু একটা বিষয় দেখো ওরা কিন্তু তোমার মতো এভাবে রাগ করে বসে নেই।ওরা ঠিকই ঘরের ছেলে-বউ ঘরের মধ্যে রেখেছে।
বাইরের মানুষকে আস্কারা দেয় নি।তুমি হয়তো জানো না আংকেল মানে পরশ শিকদারের বাবা এখনো আর্শি বা পাভেলের সম্পর্ক মানে নি।কিন্তু এ বিষয়টা কাউকে জানায়নি।অথচ তুমি কি করেছো?পুরো এলাকা জানে তুমি মেয়েকে পরিচয় দিচ্ছো না।এভাবে আস্কারা দেওয়াটা কি উচিত হয়েছে?এতে অন্যরা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে।একটা দিক খেয়াল করো,ওদের দলের যে ছেলেপেলে এরা পাভেল তো দূর আর্শিকে নিয়েও কখনো টু শব্দটা করার সাহস পাচ্ছে না।অথচ তোমার দলের ছেলেপেলে পাভেল তো সামান্য আর্শিকে নিয়েও টিটকারি মেরে কথা বলছে কিন্তু তুমি নিরব।এতে কি তোমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে না?
সেসব বাদ দাও।আর্শি ছোট,তার উপর অসুস্থ।মা কিছুতেই ওকে একা ছাড়বে না।ও বাড়িতে যাওয়ার পর সবাই মাকে আর্শির সাথে থেকে যাওয়ার জন্য জোর করছিলো।তুমি ভেবে দেখো ওখানে যদি একটাবার মা থেকে যেতো তাহলে তার পরেরদিন ই পরশ শিকদার ঢোল পিটিয়ে জনগণকে জানাতো।সে খুবই দয়ালু। ভাইয়ের বউ তো আছেই, সাথে ভাইয়ের শাশুড়ী কেও আশ্রয় দিয়েছে।সেক্ষেত্রে তোমার সম্মান কি আদৌ থাকতো?সে জন্যই তো আমি ওদের পরিকল্পনা সফল হতে দেইনি।জোর করে আর্শিকে সাথে নিয়ে এসেছি।এখন তুমিই ভেবে দেখো,আমি কি সত্যিই কোনো ভুল করেছি আব্বু?”
মেয়ের কথার প্যাঁচে মাথার মধ্যে চক্কর কাঁটলো শামসুল সরদারের।ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে মিনমিনে স্বরে বললেন,
_”তোমার যুক্তি ঠিক।কিন্তু….”
_”কিন্তু কি?”
গুছিয়ে উঠতে পারলেন না নিজের কথা।ক্রমশ নিজ যুক্তি এলোমেলো করে ফেলছেন শামসুল।স্পর্শী আবারো সতর্ক হলো।সন্দেহী দৃষ্টিতে বললো,
_”তুমি কি কিছু ভাবছো আব্বু?”
মাথা নাড়ালেন শামসুল।বললেন,
_”হ্যাঁ।আচ্ছা,ওইদিন পরশ শিকদারের কথা তোমার মনে আছে?ও শেষ দিকে দুজন নাতনির কথা বললো।কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না।নাতি তো একজন হওয়ার কথা।কিন্তু ও দুজনের কথা উল্লেখ করলো কেন?কোন নাতির ইঙ্গিত দিলো ও?”
খুকখুক করে কেশে উঠলো স্পর্শী। আমতাআমতা করে বললো,
_”আরে না।ও ঢপ মেরেছে। এমন কিছু না।তুমি বাদ দাও।”
_”না মামুনি।কথাটা ফেলে দেওয়ার মতো না।ও কিছু না জেনে বলবে না।নিশ্চয়ই কোনো ইঙ্গিত দিয়েছে।কিন্তু নাতি-নাতনিই বা কোত্থেকে আসবে?আর্শি ছাড়া আর……..”
বিপাকে পড়লো স্পর্শী।তড়িঘড়ি করে বাবাকে থামিয়ে দিলো।কথা পাল্টাতে বললো,
_”আচ্ছা আব্বু,সোভাম ভাইয়া কোথায় ছিলো এতোগুলো দিন।ও তো প্রায়ই বাড়িতে থাকে না।তুমি কি জানো কিছু?”
চমকে উঠলেন শামসুল।অবাকের ভঙ্গিতে বললো,
_”তুমি কি সোভাম কে সন্দেহ করছো?ওতো ব্যবসার কাজে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকে।আচ্ছা,তুমি কি বলতে চাইছো ও লুকিয়ে বিয়ে করেছে।আর ব্যবসার অজুহাতে অন্য কোথায় সংসার পেতেছে? সেখানেই কি আমার নাতি হবে?
থেমে ব্যতিব্যস্ত কন্ঠে বললো,
_”হতেই পারে।ও ঘনঘন বাড়ির বাইরে থাকে।ও নিশ্চয়ই লুকিয়ে বিয়ে করেছে।তোমার সন্দেহই ঠিক।আমি যাচ্ছি ওর কাছে।”
বোকার মতো তাকিয়ে রইলো স্পর্শী।ইতোমধ্যে বিছানা থেকে উঠে পড়েছেন শামসুল।স্পর্শী খপ করে হাত ধরলো।বললো,
_”প্লিজ আমার নাম বলো না।তুমি যেন সন্দেহ করেছো ;সেভাবেই বলবে।”
বজ্রপাত পড়লে যেমন সোজা হয়ে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকে,এই মুহুর্তে ঠিক তেমনই অবস্থা সোভামের।চোখ দুটো যেন বাইরে বেরিয়ে আসবে।বাবার মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বললো,
_”কি বললে তুমি?”
ক্ষেপে গেলেন শামসুল।তেজ নিয়ে বললেন,
_”আমি এটাই বলতে চাইছি যে আমার একটা সন্তান কেও আমি মানুষ করতে পারি নি।প্রত্যেকে আমায় ঠকাচ্ছে।ওরা নাহয় দুবোন দূরে ছিলো কিন্তু তুমি তো আমার কাছেই ছিলে।কিভাবে পারলে এমনটা করতে?আমি কি তোমার পছন্দ তে বাঁধা দিতাম?ব্যবসার কথা বলে দিনের পর দিন বাইরে থেকেছো।চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেছি আমি।আর তুমি কি না আমাকে লুকিয়ে অন্যকোথাও বিয়ে করে সংসার করছিলে।কে সেই মেয়ে।এ বারে সবটা ক্লিয়ার আমার কাছে।তুমি এই জন্যই রাজনীতিতে জড়াও নি।কারন ওই মেয়ে তোমাকে বারন করেছে।আর সেজন্য তুমি দিনের পর দিন তার কথাই শুনেছো।আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। আজ এতোগুলো দিন পেরিয়ে গেছে, এমনকি বাচ্চাও হবে অথচ তুমি আমাকে জানালে না।”
হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো সোভাম।কাতর কন্ঠে বললো,
_”আব্বু,এটা তুমি কি বলছো?এসব কে বলেছে?কার থেকে শুনেছো?আরে আজব!আমি কেন লুকিয়ে বিয়ে করতে যাবো?তুমি জানো আমি রিসোর্টের জন্য বিভিন্ন জায়গায় জমি দেখতে যাই।সেখানে জমি দেখা,কেনা থেকে শুরু করে রিসোর্ট বানানো পর্যন্ত কত কাজ।লেবার রা কাজ করলেও সেগুলো আমাকে গিয়ে দেখতে হয়।এতে কি কম দিন যায়?এজন্যই তো দূরে থাকা লাগে।আর তুমি কিসব উদ্ভট কথা ভাবছো।”
_”হ্যাঁ বুঝেছি।ওই রিসোর্ট বানাতে গিয়েই ওখান কার কোনো স্থানীয় মেয়েকে বিয়ে করেছো।সেটা কোন জায়গায়?কুয়াকাটা,পঞ্চগড়,সুন্দরবন,নাকি রাঙামাটি? কোন জায়গার মেয়ে?”
_”ধুর!কি হইছে তোমার?এগুলা কি শুরু করছো?”
শামসুল সরদার শান্ত হলেন।এরপর ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন,
_”তুমি কি বিয়ে করোনি?”
_”না।”
_”আচ্ছা,ঠিক আছে।তাহলে আমি তোমার বিয়ে দিবে।খুব শীঘ্রই।”
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সোভাম।কপালে হাত দিয়ে বললো,
রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫৬
_”আরে আজব!এগুলা কি শুরু করলা?হুট করে বিয়ে কেন?আব্বু,তুমি একটু ঘুমাও প্লিজ!আমার মনে হচ্ছে স্ট্রোক করার পর থেকে তুমি কেমন হয়ে গেছো।আমার কাজ আছে।আমি যাচ্ছি।”
চলে গেলো সোভাম।শামসুল অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।তার মন পুরোপুরি ভেঙে গেছে। সোভাম বিয়ে করতে রাজী না।তারমানে পুরো ঘটনাটাই সত্যি।সে বিয়ে করেছে আর সেখানে ছেলে-মেয়েও আছে।