রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৬৫
সিমরান মিমি
_”শ্রাবণী রায় কত নাম্বার কেবিনে আছে?ও কি সুস্থ আছে?”
চমকে তাকালো মেয়েটি।হাতের ফাইল টিকে যথা
স্থানে রেখে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।সামনে অস্থির চিত্তে দাঁড়িয়ে এলোমেলো প্রশ্ন করা মানবী’র দিকে তাকিয়ে বললো,_”দুঃখিত ম্যাম!আমি আপনার কথাটা বুঝতে পারলাম না।”
হতাশ হলো স্পর্শী।রাগ ও লাগলো।কিছু বলে ওঠার প্রয়াস করতেই সোভাম টেনে নিয়ে গেল পেছনে।এরপর এগিয়ে এসে রিসিপশনের মেয়েটির উদ্দেশ্যে বললো,
_”শুনুন,সন্ধ্যার পর একটা মেয়ে ভর্তি হয়েছে এখানে।গ্রামের কিছু মানুষ ভর্তি করিয়েছে।ও…”
পুরো কথাটা শেষ করার আগেই মেয়েটা তড়িঘড়ি করে বলে উঠলো,
_”ওহহ,বুঝতে পেরেছি।রেপ করা হয়েছে ওই মেয়েটার কথা বলছেন তো।ওনাকে তো থার্ড ফ্লোরে শিফট করা হয়েছে।দাঁড়ান আমি কেবিন নম্বর টা দেখে বলছি।”
এরপর একজন নার্সকে ডেকে কিছু জিজ্ঞেস করলো।কথা শেষ হতেই সোভাম সরদারের দিকে তাকিয়ে বললো,_”জ্বী,ওনাকে ফোর জিরো সেভেন (407) কেবিনে নেওয়া হয়েছে।”
মুহুর্ত ব্যয় করলো না স্পর্শী।সোভাম কে রেখেই লিফটের দিকে এগিয়ে গেল।ইতোমধ্যে ভাইকে ফেলে দরজা বন্ধ ও করে দিয়েছে প্রায়।এরমধ্যেই সোভাম চিপকে ঢুকে পড়লো।দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
_”থাপ্পড় খেয়েছো?দেখছিলে না আমি আসছি।তাও কেন বন্ধ করছিলে?”
উত্তর দিলো না স্পর্শী।কিয়দংশ সময় ব্যয় করে বললো,_”আমার দ্রুত যাওয়া প্রয়োজন।”
_”তুমি ডাক্তার নও যে মিনিট খানেক দেরি করলে রোগীর অসুবিধা হবে।”
আর কোনো কথা হলো না।থমথমে মুখে স্পর্শী তাকিয়ে রইলো ফ্লোরের দিকে।মাথাভর্তি দুশ্চিন্তা রা কিলবিল করছে।নানাপ্রকারের সম্ভাবনা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।লিফট থামতেই দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেল কেবিনের দিকে।নির্দিষ্ট কেবিনটার ভেতরে ঢুকতেই থমকে দাঁড়ালো।এই রুমে মোট চারজন রোগী রয়েছে।দুটো সিজারের;দেখেই বোঝা যাচ্ছে সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চা।যার মা এখনো মিসিং হয়তো তাদেরকে এখনো আনা হয়নি।রুমের বাম দিকের সিট এ রয়েছে একজন অসুস্থ বৃদ্ধা। আর অপরপ্রান্তে একজন যুবতী মেয়ে।যিনি চাঁদর মুড়ি দিয়ে কাঁতরাচ্ছেন।পাশেই একজন গ্রাম্য মধ্যবয়সী মহিলা।স্পর্শী আলতো পায়ে ভেতরে ঢুকলো।মেয়েটার পেছনে দাঁড়িয়ে ডাকলো,
_”শ্রাবণী?”
চমকে পেছনে তাকালো মেয়েটা।মুহুর্তেই ভ্রুঁ কুঁচকালো স্পর্শী।নাহ!এটা তো শ্রাবণ নয়।তাহলে সে কোথায়?দু পা পিছিয়ে আবারো রুমের বাইরে এলো।নম্বর টা মিলিয়ে নিয়ে অবাক হলো।নার্সের কথা অনু্যায়ী এটাই সেই কেবিন।তাহলে শ্রাবণী কোথায়?সোভাম ভ্রুঁ কুঁচকে স্পর্শীর কাজকর্ম দেখতে লাগলো। এরপর চাপা আওয়াজে বললো,
_”কি সমস্যা?করতে চাইছো টা কি?”
_”এই মেয়েটা কে?”
অবাক হলো সোভাম।বললো,_”এই মেয়েটা কে মানে?এটাই তো সেই মেয়ে।তুমি তো বললে তোমার পরিচিত।তাহলে?”
কিছু ভেবে পেল না স্পর্শী।আমতা-আমতা করে চাপা গলায় বললো,_”তুমি কি শিউর ভাইয়া?এটাই সেই মেয়ে।”
_”হ্যাঁ,ওই যে পাশে মহিলাদের দেখছো, ওরাই নিয়ে এসেছে।”
_”ওহহ!”
বলে সামনে এগিয়ে গেল স্পর্শী।তাহলে কি শ্রাবণ ঠিকঠাক ভাবেই বাড়ি পৌছেছে।ওর কোনো ক্ষতি হয়নি।ভাবতে ভাবতেই মেয়েটার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।ইশশ!অল্পবয়সী মেয়ে।আঠারো কি উনিশ বছর হতে পারে।মাথায় হাত দিয়ে স্পর্শী পাশে দাঁড়ালো।সোভাম সরদারকে কে না চেনে?স্পর্শী যখন তার সাথে কথা বলছিলো তখন তারা অবাক নয়নে তাকিয়েছিলো।পরিচিত ভেবেই টুলে বসা মহিলা নিজে উঠে বসতে দিলো।বাধ সাধলো না স্পর্শী।টুলে বসে মেয়েটার হাত ধরে নরম কন্ঠে বললো,
_”তোমার কি খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে?আমাকে বলো।আমি তোমায় আরো ভালো ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো।খুব বেশি কি খারাপ লাগছে?”
মেয়েটার চোখ দুটো বন্ধ।কাত হয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে সে।মাথা দুপাশে নেড়ে অস্ফুটস্বরে বলল,
_”নাহ!”
মুহুর্তেই চোখের কোণ থেকে গরম জল সুখ তারার মতো খসে পড়লো।অন্তরে যেন কাঁটা বিঁধে গেল স্পর্শীর।শরীরটা কেমন কেঁপে উঠলো।মেয়েরা আজ ও কেন এতোটা অসহায়?আর ছেলেরাই বা কেন এতোটা নরপিশাচ হয়।ওদের কি হৃদয় নেই?অনুভব করার শক্তি নেই।এই মুখটুকু যখন যন্ত্রণায় ছটফট করছিলো তখন কি একটুও মায়া হয় নি।ওদের মা-বোনের কথা মনে পড়েনি?যদি শারীরিক তৃষ্ণা টা এতোটাই প্রখর হয় তো বিয়ে কেন করে না।স্পর্শী হাত টা বাড়িয়ে চোখের পানিটা আঙুলে নিয়ে নিলো।এরপর কানের কাছে গিয়ে চাপাস্বরে বললো,_”ওরা ক-জন ছিলো?”
মেয়েটা আধো আধো চোখ টা খুললো।স্পর্শীকে দেখে নিলো স্নিগ্ধ দৃষ্টি দিয়ে।পরক্ষণেই সেই চোখ নিভে গেল।মুখটা নড়ে উঠলো।চাপা আর্তনাদ করে বললো,
_”তিনজন।”
জমে গেল স্পর্শী।হিমশীতল শরীরটাকে শক্ত করে বসে রইলো।সময় নিলো কিছুক্ষণ।মেয়েটাকেও সময় দিলো।এরপর কিছুক্ষণ নিরবতা কাটিয়ে আবারো চাপা স্বরে বললো,
_”কারা ছিলো?এই এলাকার মেয়ে তুমি;নিশ্চয়ই জানোয়ার গুলো তোমার অপরিচিত ছিলো না।”
মেয়েটি শুকনো ঢোক গিললো।এরপর স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে বললো,_”আমি নাম জানি না সবার।সিএনজি ড্রাইভার ছিলো।কাকা ওদের দেখেছে।উনি ভালো করে বলতে পারবেন।”
দ্রুত টুল থেকে উঠে দাঁড়ালো স্পর্শী।গটগট পায়ে এগিয়ে এলো দরজার দিকে।সোভাম এখনো বাইরে দাঁড়ানো।অসস্তি অনুভূত হওয়ায় সে আর ভেতরে ঢোকে নি।স্পর্শী বের হতেই এগিয়ে গেল বোনের দিকে।কিছু বলার প্রয়াস করতেই থামিয়ে দিলো।বললো,
_”ড্রাইভার ছিলো নাকি।এত জঘন্য একটা ঘটনা।পুলিশের কাছে নিশ্চয়ই এতোক্ষণে সব বলে দিয়েছে।আসামী দের কি ধরেছে?”
চমকালো সোভাম।বললো,
_”নাহ!সেরকম তো কিছু শুনলাম না।ড্রাইভার বলেছে তিনি কাউকে দেখেন নি অন্ধকারে।আর মেয়েটাও অসুস্থ ছিলো।সুস্থ হওয়া না পর্যন্ত ডক্টর বারন করেছে তার কাছে প্রশ্ন করতে।”
_”কিন্তু মেয়েটা তো বললো ড্রাইভার দেখেছে।”
থেমে মুখশ্রী শক্ত করে কঠিন কন্ঠে বললো,”চলুন।ড্রাইভারের কাছে যাবো।”
সোভাম বাঁধা দিলো।ধমক মেরে বললো,
_”আরে আশ্চর্য! পুলিশ আছে,গ্রামের লোকজন আছে, তারা জিজ্ঞেস করবে।তোমার এতে নাক গলানোর কিচ্ছু নেই।রাত হয়েছে।এক্ষুণি আমার সাথে বাড়ি যাবে।পরশু বিয়ের অনুষ্ঠান।ঝামেলা পাকিয়ো না।আব্বু রাগ করবে।”
স্পর্শী ভ্রুঁ কুঁচকে তাকালো।বললো,_”আরে বাহ!এতোদিন তো রাজী’ই ছিলে না।আর এখন বিয়ে বিয়ে করছো কেন?মেয়েটাকে দেখেছো?এর বাবা-মা এখনো কেউ আসে নি।হয় এখনো তাদের কানে যায় নি, নাহয় লজ্জায় ঘরের মধ্যে নুইয়ে পড়ে রয়েছে।আমি আরো ঘন্টা দুয়েক থাকবো এখানে।তোমার খুব বেশি তাড়া থাকলে চলে যাও।”
সোভামের কাছ থেকে কোনোপ্রকার উত্তরের আশা না করেই হেঁটে গেলো সামনের দিকে।লিফটে ঢুকে সরাসরি গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে এলো।পুলিশ কে চোখে পড়তেই সেদিকে এগিয়ে গেল।তারা হস্পিটালের সামনের চায়ের দোকানে নাস্তা করছে।দুজন হাবিলদার করিডোরের বেঞ্চিতে বসে আছে।স্পর্শী এগিয়ে গেলো।গম্ভীর কন্ঠে বললো,
_”ড্রাইভার কোথায়?”
হাবিলদার চমকে গেলো।পেছনে সোভামকে দেখে খানিকটা তটস্থ হয়ে দাঁড়ালো।বললো,
_”কোন ড্রাইভার?”
_”যে কিনা মেয়েটাকে রায় বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলো। ওই ড্রাইভারের কথা বলছি।”
একে অন্যের দিকে চোখাচোখি করলো পুলিশ।এরপর বললো,
_”উনার তো মাথা ফেটে গেছে।হস্পিটাল থেকে একটু আগেই বাসায় গেছে।”
_”ছেলেগুলো কারা ছিলো উনি কি কিছু বলেছেন?”
বিরক্ত হলো হাবিলদার।বললো,_”নাহ!উনি কাউকে দেখেনি।”
আর কথা বাড়ালো না স্পর্শী।সোজা চলে এলো রিসিপশনের দিকে।মেয়েটির উদ্দেশ্যে কাঠকাঠ কন্ঠে বললো,
_”ওই অসুস্থ মেয়েটা আর ড্রাইভারের ফুল ডিটেইলস দিন।
➤
_”দরজা খুলুন।এক্ষুণি।”
ভেতর থেকে অনবরত ধাক্কা শুনে ঘাবড়ে গেলেন হাফসা বেগম।স্বামী জাকির হোসেন নড়েচড়ে বসলেন।স্ত্রী য়ের দিকে তাকিয়ে কাঁপা কন্ঠে বললেন,
_”মনে হয় আবার পুলিশ আসছে।দরজা টা খুইলা দাও।”
হাফসা বেগম তাই করলেন।দুয়ার খোলার সাথে সাথের বাতাসের দমকা হাওয়ার সাথে ভেতরে ঢুকলো স্পর্শীয়া।অদুরে উঠানে দাঁড়িয়ে আছে সোভাম।তার চোখেমুখে বিরক্তি ছড়িয়ে আছে প্রবল ভাবে।স্পর্শীকে হাফসা বেগম দেখতেই বললেন,
_আপনি কেডা?”
উত্তর দিলো না স্পর্শী।তাকে পাশ কাঁটিয়ে চলে গেল ভেতরে।জাকির হোসেন এখনো আধশোয়া হয়ে পড়ে আছে বিছানায়।তার সামনে গিয়ে কাঠকাঠ কন্ঠে বললো,
_”আমি স্পর্শীয়া সরদার।শামসুল সর্দারের মেয়ে।পুজা আমার পরিচিত।ঘটনাটা আপনার গাড়িতে বসেই ঘটেছে।সে যাই হোক,আপনার ঘাবড়ানোর কোনো দরকার নেই।শুধুমাত্র এটুকু বলুন,’ছেলে তিনটা কে ছিলো।”
শুকনো ঢোক গিললেন জাকির।কিছুটা চোট নিয়ে বললেন,
_”আমি আগেই পুলিশ রে জবান দিয়া দিছি।আমি কাউরে দেখি নাই।আমার মাথায় বারি মারার সাথে সাথে বেউশ হইয়া পড়ি।কারা ছিলো জানি না আমি।অন্ধকারে দেহি নাই।”
_”আপনি অজ্ঞান হলেও পুজা ঠিকই সজ্ঞানে ছিলো।সবাইকে দেখেছে।সবটা জানিয়েছেও।তাহলে আমি কি ধরে নেব ধর্ষক তিন জন না চারজন ছিলো।”
আঁতকে উঠলো জাকির হোসেন।হাউমাউ করে কেঁদে দিয়ে বললেন,
_”আল্লাহর কসম ম্যাডাম।এইটা আপনি কি কইলেন।পুঁজার বয়সী আমার ও একটা মাইয়া আছে।পুজা নিজেও আমার মাইয়ার মতো।প্রায়ই আমার গাড়িতে আসে-যায়।আপনি ওরে জিজ্ঞেস করেন আমি ওরে মাইয়ার মতোই দেখি।”
বুক চিরে নিঃশ্বাস দিলো স্পর্শী।বললো,
_”হ্যাঁ, পুজা আপনার মেয়ের মতোই।সেটা আমিও মানি।এবং আপনিও এটা মেনে নিন আজ পুজা হলে, কাল পুজার জায়গায় আপনার মেয়ে হবে।নাম গুলো বলুন আংকেল।এই ঘটনা আবারো ঘটার আগে ওই জানোয়ার গুলোকেই দুর্বল করে দেই।”
জাকির হোসেন দুপাশে মাথা নাড়ালেন।এরপর কাতর কন্ঠে বললেন,
_”আমি কিছু বলতে পারমু না।আমরা দিন আনি দিন খাই।আমাগো ক্ষমতা নাই আপনাগো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।শিকদার রা কিছু করলে তার বিরুদ্ধে আপনারা লড়তে পারবেন।আপনারা কিছু করলে শিকদার রা লড়বো।কিন্তু আমরা পারমু না।আমার মাইয়াডার বিপদ হইবো ম্যাডাম।আপনি পুজার থেইকা শুইনেন।আর এখন তো আপনারা মিইল্লা গেছেন।খালি খালি আমারে কেন বিপদে ফালাইবেন।”
_”ওকে,বুঝলাম।”
বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে এলো স্পর্শী।দ্রুতপায়ে উঠোনে নেমে এগিয়ে গেল গাড়ির দিকে।সোভাম তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো।বললো,
_”তা গোয়েন্দাগিরি করে কি জানতে পারলে?”
স্পর্শী চমকে ভাইয়ের দিকে তাকালো।এরপর নিজেও হাসলো।রহস্যময়ী সে হাসি।বললো,
_”যেটা জানার ছিলো, সেটাই জেনেছি।”
মুখটা গম্ভীর হয়ে গেলো সোভামের।এরপর আর কোনো কথা বললো না।সোজা গাড়ি স্টার্ট দিলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।ব্রিজের গোড়ায় এসে রাস্তা পাল্টাতেই ক্ষেপে গেল স্পর্শী।চেঁচিয়ে উঠলো। বললো,
_”আরে তুমি কোথায় যাচ্ছো?হস্পিটালে চলো ভাইয়া।আমার কাজ আছে।আরে ভালো হচ্ছে না কিন্তু!
সোভাম দুম করে ব্রেক কষলো।এরপর পিছু ফিরে রাগত স্বরে বললো,
রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৬৪
_”একদম কোনো শব্দ করবে না।অনেকক্ষণ যাবৎ ঘুরছি তোমার কথা মতো।এখন সোজা বাসায় যাবে।আব্বু বার বার কল করছে।নিয়ে যখন আমি এসেছি,তখন বাড়ি পর্যন্ত দিয়ে আসাটাও আমার দায়িত্ব। এরপর তোমার ইচ্ছা হলে তুমি সারারাত বাইরে থেকো।আমি বাঁধা দেবো না।”