ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪২

ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪২
Arishan Nur

বাতাসের দমকা হাওয়ায় মনে প্রশান্তি খেলে যায়। পিচঢালা রাস্তায় আরামে কুকুর ঘুমাচ্ছে। কেমন হুহু বাতাস যেন আজ, প্রকৃতির মাঝেও বেজায় বিষন্নতা। সমুদ্র সবে বাড়ি ফিরলো। এয়ারপোর্টে থেকে সরাসরি হাসপাতালেই গেলো। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আজকেই প্রথম বাড়ি আসা। বাসায় তার অপেক্ষায় ছিলো মা। তাকে দেখামাত্র সমস্ত দুঃখ চেপে রেখে একটা হাসি দিলো। সমুদ্র ফিরতি হাসি উপহার দিতে পারে না। কেমন এলোমেলো ওর চালচলন।

সমুদ্র গুটিগুটি পায়ে নিজের রুমে ঢুকলেই ক্রমশ চাপা আর্তনাদ অনুভব করে। রুমের চারিদিকে চোখ বুলালো। যেভাবে রেখে গিয়েছিলো তেমন-ই আছে সবকিছুই। কেউ কোনো কিছু সরায় নি। সে রুমে এলো। বিয়ের পর যতোবারই রুমে ঢুকেছে আয়নার হাসিমুখ বা মনমরা মুখ দেখেছে। আজকে রুমটা সম্পূর্ণ ফাঁকা। কেউ নেই রুমে। ফাঁকা রুমটায় তার কেমন দমবন্ধ লাগে। অস্থির লাগে৷ কোথায় জানি শুনেছে, পুরুষ সবকিছু এডজাস্ট করতে পারলেও, খালি ঘরে এডজাস্ট করতে পারে না।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সমুদ্র আলমারি খুলতেই আরোও বেশি থমকে দাঁড়ায়। আয়ুর জামা-কাপড়ের ভীড়ে তার শার্ট-প্যান্ট কিছু ই নজরে আসছে না। সমুদ্র ওর একটা মোলায়েম সুতির ওড়না হাতে নেয়। এরপর চুপচাপ বেডে গিয়ে বসে। ওড়না হাতে নিয়ে বসে থাকে। নানান চিন্তা মাথায় আসে। কয়েক পল সেভাবেই কেটে যায়। ঝিম মেরে বসে থাকে সে। হুট করে কাঁধে কারো হাত রাখার স্পর্শে ওর ধ্যান ভাঙ্গে। পেছনে তাকাতেই নিজের মাকে দেখামাত্র কেমন একটা শান্তি লাগে তার৷ জীবনের যেই পর্যায়েই থাকি না কেনো, প্রতিটা পর্যায়ে মা-বাবাকে দরকার।
মিসেস রোদেলা করুণ গলায় বলে, ” কী হয়েছে বাবু?”

সমুদ্র তার মায়ের কোলে মাথা রেখে বললো, ” আম্মু, আমার কিছু ভালো লাগছে না। আয়না কবে সুস্থ হবে?”
রোদেলা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ” তুই ওর যত্ন নে। আয়ু এম্নেই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। ডাক্তারও লাগবে না ওর। ওর দরকার যত্ন আর ভালোবাসা। মেয়েটা ছোট থেকেই যত্নে বড় হয়েছে তো। এজন্য অযত্ন নিতে পারেনা।”

সমুদ্র আস্তে করে বলে, ” আমি ওকে অনেক যত্নে রাখবো।”
রোদেলা বলে, ” তোর ভাগ্য অনেক ভালো। দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়েছিস। অনেকেই আছে যারা কখনো লাইফে সেকেন্ডে চান্স পায় না। আজীবন অনুশোচনা নিয়ে ঘুরে।”
সমুদ্রের চোখ গড়িয়ে একফোঁটা অশ্রু পরে। সে দ্রুত নিজেকে সামলে নেয়। উঠে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায়। ওয়াশরুম থেকে ফিরে বারান্দায় যেতেই চোখ গেলো আয়নার লাগানো নয়নতারা গাছটার দিকে। আয়না খুব শখ করে এই গাছটা লাগিয়েছে। তবে, পানির অভাবে গাছটা শুকিয়ে যাচ্ছে। সে দ্রুত গাছের টবে পানি দিয়ে দু’পল অপেক্ষা করে আপনমনে বলে উঠে, ” আয়ু এবং আয়ুর সংস্পর্শে থাকা সবকিছুর-ই যত্ন নিবো আজ থেকে।”

বিকেল হওয়ার আগে থেকেই আয়না পুনরায় সমুদ্রের জন্য অস্থির হয়। ডাক্তার রোকসানা আসলে ওনাকে বলে, ” আপনি সমুদ্রকে আসতে বলেন। ও অনেকক্ষণ ধরে নাই।”
রোকসানা মূলত ভিজিটিং এ এসেছিলো। আয়নার উন্নতি দেখে ফাহাদ সাহেবকে একটু সরিয়ে এনে বলে উঠে, ” আপনারা চাইলে আয়নাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারেন আগামীকাল৷ এখন ওর ফ্যামিলির সাপোর্ট দরকার। সবার ভালোবাসা দরকার। আমাদের যা সেবা দেওয়ার দিয়ে দিয়েছি। মেডিসিন চলুক। সপ্তাহে সপ্তাহে চেক করলেই ইনাফ। বাসায় যাক। ও হাসপাতালে বিরক্ত হচ্ছে।”
ফাহাদ সাহেব আয়নার রিলিজ দেওয়ার কথা শুনে অনেক বেশি খুশি হন৷ মেয়েকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবে এরচেয়ে সুখকর খবর আর কি হতে পারে? প্রতিটা হাসপাতালের রোগীর স্বজনদের জন্য বুঝি রুগীর রিলিজ হওয়ার দিনটা সবচেয়ে আনন্দের!

আয়না বিকেলের নাস্তা খেলো না। সমুদ্র আসলে নাকি ওর সাথে খাবে একেবারে। কেবিনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলো। বেডেও বসে না। অপেক্ষায় থাকে। শায়লা চৌধুরী রোদেলাকে কল দিয়েছিলো আরোও ঘন্টা খানেক আগে। তখন নাকি ঘুমে ছিলো সমুদ্র। আয়না অবশ্য আগের মতো এগ্রেজিভ হচ্ছে না। তবে সমুদ্রের জন্য একদম দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। ফাহাদ সাহেব অনেক করে বলছে, কিন্তু আয়না শুনে না। একবার তো রুমের বাইরে চলে যাচ্ছিলো৷ পরে ফাহাদ সাহেব গিয়ে কেবিনে ধরে এনেছে।

সন্ধ্যার দিকে আয়না ভীষণ ব্যাকুল হয়। বারবার একি প্রশ্ন করতে থাকে। নার্স সন্ধ্যায় মেডিসিন দিতে আসলে সেটাও নেয় নি। একটাই কথা সমুদ্র আসলে খাবে। ফাহাদ সাহেব দ্রুত সমুদ্রের ফোনে কল লাগায়।
অবশেষে সন্ধ্যা সাত’টা বাজলে সমুদ্র হন্তদন্ত হয়ে আসে হসপিটালের কেবিনে। আয়না ওকে কেবিনে প্রবেশ করতে দেখে অনেক খুশি হলো। ও সোফায় বসা ছিল। সমুদ্রকে দেখামাত্র ছুঁটে এসে বাবার সামনেই ওকে জড়িয়ে ধরে বলে, ” এতোক্ষণ কই ছিলে তুমি? তোমাকে মিস করছিলাম। আর যাবা না কোথাও।”
সমুদ্র আলতো করে ওকে জড়িয়ে রেখে বললো, ” আচ্ছা, সোনা। কোথাও যাবো না।”

–” আমাকে রেখে কোথাও যাওয়া চলবে না।”
–” কোথাও গেলেও তোমাকে পকেটে করে ঢুকায় নিয়ে যাবো।”
সমুদ্র ওকে বেডে বসিয়ে দিয়ে বলে, ” ঘুমিয়েছিলে তুমি? ”
আয়না মাথা নাড়িয়ে বলে, ” এখন ঘুমাবো।”

সমুদ্র ওকে মেডিসিন খাইয়ে দেয়। ফাহাদ-শায়লা আর কেবিনে থাকতে পারবে না। কেবিনে থাকার সময় দু’জনের কেউ কোনো কথা বলে নি। শায়লা চৌধুরী কে রেখে ফাহাদ সাহেব একাই বেরিয়ে গেলেন বিনা বাক্য ব্যয়ে। শায়লা দু’দণ্ড থেমে একাই রওনা হলেন নিজের বাসার উদ্দেশ্য। ফাহাদ সাহেব এখনো তার উপর ক্ষুব্ধ। নিজের বাসায় শায়লাকে কোনোদিন সহ্য করবে না।
কেবিনে তখন আয়না-সমুদ্র একাই ছিল। আয়না সমুদ্রের সঙ্গে অনেক গল্প করছে। সমুদ্র ওর চুলে তখন তেল দিয়ে দিচ্ছিলো। এই তেল নাকি মাথা ঠাণ্ডা রাখে। আম্মু আসার সময় হাতে ধরিয়ে দিলো।
সমুদ্র বলে, ” আজকে থেকে প্রতি সপ্তাহে তোমার চুলে তেল দিয়ে দিবো। চুলের অবস্থা ভালো। স্যাম্পু করে করে কেমন রাফ হয়ে গেছে।”

আয়না একা একাই অনেক কিছু বলছিলো। হুট করে ও বায়না ধরলো, লাল শাড়ি পরবে। সমুদ্র আকাশ থেকে পড়ে।হাসপাতালে কে লাল শাড়ি পরতে চায় ভাই?
সে আমতাআমতা করে বলে, ” আয়ু, আজ না কালকে লাল-কালো যে রঙের শাড়ি পরতে মন চায় পরে বসে থেকো। তবে আজ না। এটা হাসপাতাল।”
আয়না একদম জেদ ধরে বাচ্চাদের মতো। সমুদ্র ধৈর্য্য ধরে ওকে নানা বাহানা দিয়ে বুঝায়। এরপর বলে, আচ্ছা আসো, তোমাকে একটা গান শুনাই।”
মূলত গান শুনিয়ে ওর মাইন্ড ডাইভার্ট করার চেষ্টা চালায়।
সমুদ্র আয়নাকে নিজের কাছে বসিয়ে গান গায়,

“আমার ভিনদেশি তারা
একা রাতের আকাশে
তুমি বাজালে একতারা
আমার চিলেকোঠার পাশে
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্প বলো কাকে?”
আয়না গানটা মনোযোগ দিয়ে শুনলো চুপচাপ। এরপর প্রশ্ন করলো, ” তোমার ভীনদেশী তারা কে?”
সমুদ্র ওর সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিয়ে বলে, ” তুমি।”
রাত নয়টায় আরেকবার ডাক্তার রোকসানা আর একজন নার্স এলেন। রোকসানা ম্যাডাম কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর আয়নাকে উদ্দেশ্য করে বলে,” রাতে খেয়ে নাও। তারপর ঘুমাও।”
আয়না বলে, ” আমাকে সমুদ্র খাইয়ে দিবে।”
রোকসানা ম্যাডাম বলে, ” আচ্ছা বেশ তো। ঘুমিয়ে যাও দ্রুত। কালকে বাসায় যাবে। খুশি তো?”
আয়না বলে, ” তাড়াতাড়ি ঘুমাবো না।”

–” কেনো?”
সমুদ্র আয়নার খাবার গুলো প্লেটে সার্ভ করছিলো, পাশাপাশি আয়নার কথাও শুনছে।
আয়না রোকসানা ম্যাডাম এর উত্তরে বলে, ” রাতে জলদি ঘুমাবো না৷ রাতে সমুদ্র আমাকে আ৷ দর করবে। দ্রুত ঘুমালে হবে না।”
আয়নার এহেন কথায় নার্স সহ, ডাক্তার দুইজনেই হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সমুদ্রের লজ্জায় ওই মুহূর্তে পালিয়ে যেতে মন চাচ্ছিলো। সে খুকখুক করে কেশে উঠে।কিছু বলতেও পারছে না লজ্জায়। একদম নতজানু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে৷

আয়না বলতেই থাকে, ” আমি লাল শাড়ি পরবো। লাল শাড়ি পরলে ও আমাকে অনেক আদর করে।”
নার্স আর ডাক্তার দুইজনেই দ্রুত প্রস্থান করে। তবে ওরনারা যাওয়ার পর আয়না বায়না ধরলো, ওর অনেকগুলো আদর লাগবে। ও ভাত খেতে চায় না। আ -দর খাবে। কেমন বাদড় মেয়ে! সমুদ্রের চেহারা তখন দেখার মতো ছিলো!
হাসপাতালে কেউ এমন আবদার কীভাবে করে? কীভাবে ওকে বুঝাবে!
আয়নার জোড়াজুড়ি তে সমুদ্র ওর কপালে একটা প্রগাঢ় অনুভূতি সম্পন্ন উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া এঁকে দেয়।
আয়না ওকর বুকের দিকে শার্ট একপ্রকার খামচে ধরে বলে, ” এরকম চাই না। ওইদিনকারটার মতো চাই।”
–” কোনদিনের মতো আয়ু?”
–” ওইযে গাড়িতে বসে!”

সমুদ্রের খেয়াল আসে না। পরবর্তীতে মনে পরলো, ওর ফ্রেন্ডের বিয়ের প্রোগ্রাম শেষ করে আসার পথের ঘটনা। আয়না ঘুমেত ঘোর এসে যাচ্ছে তাও বাদ ড়ামি কমে না। সমুদ্রের গালে আলতো ঠোঁট ছু’য়ে দেয়। এরপর খুব অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে সমুদ্রের ঠোঁটে এটাক মারে। সমুদ্র তব্দা মেরে সটান করে দাঁড়িয়ে থাকে। সে সম্পূর্ণ হতবাক। মনে মনে ভাবে, ” ডাক্তারের বউরা-ই হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি নিয়মভঙ্গ করে দেখি!”
আয়না ওইরাতে টানা ঘুমিয়েছিলো। একবারও উঠে নি ঘুম থেকে। পরদিন সকাল হলেই ওকে রিলিজ দেওয়া হলো। আয়না নিজ থেকে বলে, ” আমি আব্বুত বাসায় যাবো।”

সমুদ্রের সামান্য মন খারাপ হয়। ভেবেছিলো তার শূন্য ঘর আজ পূর্ণ হবে। তবে সে নিজেই আয়নাকে নিয়ে শ্বশুড়বাড়ি যায়। আলিয়া বোনের জন্য একটা কেক আনিয়েছে। বাসায় এলেই আলিয়া ওকে ফুল দিয়ে স্বাগতম জানায়। কেক কেটে দু’বোন কেক খায়। আয়না বাসায় এসে মনে হচ্ছে অনেক খুশি৷ সেদিন রাতে সমুদ্র আয়নার বাসায় রাত্রিযাপনের সিদ্ধান্ত নিলো।

রাতের খাওয়ার পর আলিয়া নিজের রুমে এলে, দেখলো শ্রাবণের কল এসেছিল। সে কল ব্যাক করলে, শ্রাবণ সঙ্গে সঙ্গে ফোন ধরলো। দুজনেই কিছু ক্ষণ কথা বলে। এরপর হুট করে শ্রাবণ বলে উঠে, ” এক কাজ করি, ভাইয়া-ভাবী সহ সিলেট থেকে ঘুরে আসি। কী বলো? ভাবীরও রিফ্রেশমেন্ট হবে। ভাইয়া ভাবীর খেয়াল রাখবে। তোমাদের একটা ভ্যাকেশন দরকার। একটু প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া দরকার। তাহলে মাইন্ড রিফ্রেশ হবে।”
আলিয়া বলে, ” আই ডোন্ট নো। ভাইয়া-আপা রাজী হবে কীনা। আপা মাত্র হাসপাতাল থেকে ফিরলো।”
–” কয়েকদিন পর যাওয়ার প্লান করতে বলি!”

সেদিন রাতেই শ্রাবণ সমুদ্রকে আয়নাকে নিয়ে সিলেট ঘুরে আসার বুদ্ধি দিলো। সমুদ্রের আইডিয়াটা মনে ধরলো। সে শ্রাবণকে সব ব্যবস্থা করতে বললো। তবে আরোও সাতদিন পরে ট্যুর প্লান করতে বললো। আয়না ততোদিনে পুরাপুরি রিকোভার করবে। ফোনে কথা বলার সময় ই আয়না শুনেছে ওরা সিলেট যাবে। ও খুশিতে আত্মহারা যেনো!

সমুদ্র ফোন রেখে আয়নার ঔষধ-পত্র দেখছিলো। এমন সময় আয়না ওর হাতে গুতা দিয়ে বলে, ” আমাকে সিগারেট দাও। সিগারেট খেতে মন চাচ্ছে।”
সমুদ্র বলে, ” তোমার ক্ষুধা পেয়েছে নাকি? দেখো সি গারেট কোনো খাওয়ার জিনিস না। এটা খেলে পেট ধরবে না। তারচেয়ে বরং কুকিজ-বিস্কুট খাও।”
আয়না চিন্তিত গলায় বলে, ” তাহলে তুমি খাও কেনো?”
–” আয়া খাই না তো।”
আয়না বলে, ” আমি দেখেছি তোমাকে সি গারেট খেতে। এখন আমিও তোমার মতো সিগারেট খাবো। দাও বলছি।”

ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪১

সমুদ্র ওকে নিজের কাছে টেনে এনে কোলে বসিয়ে, আয়ুর ফোলা ফোলা গালে আলতো করে ঠোঁট ছু’য়ে দিলো প্রায় আড়াই মিনিট ধরে।
তারপর সে বলে, ” এটাই সিগারেট খাওয়া। ”

ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪৩