মেহেরজান পর্ব ৩০

মেহেরজান পর্ব ৩০
লেখনীতে- সোহা

ভোরের আলো ফুটলো। পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ জড়ালো হলো। খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছে তারা। রাউশি আর মেহরান ঘুমিয়েছে ভোররাতের দিকে। তবে রাউশি খুব একটা ঘুমাতে পারে নি। বাইরে থেকে কিছু আওয়াজ শুনেই শোয়া থেকে উঠে গায়ে শাল জড়িয়ে বেরিয়েছে ঘরের বাহিরে। হাসনা বেগম আর বৃষ্টি রান্নার আয়োজন করছিলো। বৃষ্টি বিভিন্ন তরকারি কাটছিলো উঠোনে বসে। আর হাসনা বেগম রুটি বানাচ্ছিলেন। রাউশিকে এতো ভোরে উঠতে দেখে হাসনা বেগম চমকালেন। জিজ্ঞাসা করলেন,
“একি তুমি উইঠা পড়ছো? রাইতে কি ভালা ঘুম হয় নাই?”
রাউশি বৃষ্টির পাশে গিয়ে দাঁড়ালো,
“অনেক ভালো ঘুম হয়েছে আন্টি।”

বৃষ্টি মুখ টিপে হাসলো।সে রাতে একবার টয়লেটে যাওয়ার জন্য উঠেছিলো তখন মেহরান আর রাউশিকে কিছুটা দূরে বসে থাকতে দেখেছে।রাত তখন গভীর।বৃষ্টির এতটুকু তো ধারণা হয়েছে এদের মধ্যকার ভালোবাসা সত্যিই অনন্য যেন।রাউশি টিউবওয়েলের সামনে গিয়ে মুখ ধুয়ে নিলো। উঠোনের বামদিকের নিমগাছটা থেকে একটি কচি ডাল ভেঙ্গে তা দিয়ে দাত ঘষলো কিছুক্ষণ। এরপর কুলি করে এসে বৃষ্টির পাশে হাটু ভেঙ্গে বসলো।বৃষ্টি বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তোমরা কি আজই চলে যাবে?”
রাউশি সেই প্রশ্নের উত্তর দিলো না বরং উল্টো বৃষ্টিকে প্রশ্ন করলো,
“তোমরা কি আমাদের সাথে যাবে?”
বৃষ্টি হতচকালো।এটা কি করে হয়? মাথা দুদিকে ঘুরিয়ে বলল,
“না না তা কি করে হয়?”
রাউশি শুনলো না তার কথা।ঘাড় এলিয়ে বলল,
“দেখো তোমরা এখানে পূর্বস্থানীয় নও। এছাড়া আঙ্কেলের বয়স হয়েছে।এই বয়সেই অনেক পরিশ্রম করে। ঢাকায় গেলে তুমি নিজেই একটা জব করতে পারবে।আঙ্কেলেরও কিছুটা চাপ কমবে।তোমাদের থাকার ব্যবস্থা আমিই করে দেব।তুমি শুধু হ্যা বলে দাও ফার্স্ট।”

বৃষ্টি বুঝলো রাউশি অনেক মিশুক স্বভাবের। বৃষ্টি মায়ের দিকে একপলক তাকালো। সত্যিই তার বাবার এখানে অনেক বেশিই কষ্ট হয়।বৃষ্টির নিজের একটা জব থাকলে হয়তো কিছুটা হলেও বাবার কষ্ট লাঘব হতো।তবে তার এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন নেই তেমন।শুধুই তো এইচএসসি পাস করেছে।হতাশার শ্বাস ফেললো বৃষ্টি। বৃষ্টির মনোভাব যেন রাউশি বুঝে গেলো।বৃষ্টির কাঁধে হাত রেখে বলল,
“বাই এনি চান্স তুমি তুমি কি নিজের যোগ্যতা খুঁজছো?চিন্তা নেই আমি তো আছি।”
বৃষ্টি ভাবুক হলো। নিজের যোগ্যতায় কিছু করতে চায় সে।বৃষ্টি ভাবলো বাবার সাথে কথা বলবে।মতিন মোড়ল রাউশি ওঠার কিছু সময় আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছে কাজের উদ্দেশ্যে।দুপুরে রান্নার জন্যও বাজার নিয়ে আসবেন।
রাউশি হাতে হাতে সহায়তা করলো কিছুক্ষণ। গল্প করলো বৃষ্টির সাথে।দেখতে দেখতে ঘণ্টা খানেক পেরিয়ে গেলো।

নয়টা বাজে মেহরান ঘুম থেকে উঠলো।রাতে দেরি করে ঘুমানোতে এত দেরিতে ঘুম ভাঙলো তাও বাইরে থেকে শোরগোলের কারণে।রাউশিকে পাশে না পেয়ে একবার এদিকে ওদিক তাকালো।বাইরে থেকে গলার শুনে আর দরজা হালকা খোলা দেখে বুঝলো মেয়েটা বাইরে।মেহরান ফোনটা খুঁজলো।ঘুমঘুম চোখে নুজাইশকে কল করলো।তবে পেলো না।এবার উঠে বসলো মেহরান।আর তখনই বাইরে থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পেলো মেহরান। সঙ্গে সঙ্গেই তাড়াহুড়ো করে বেরোলো ঘর থেকে।আর তখনই নজর গেলো সামনে মতিন মোড়লের রক্তাক্ত নিথর দেহের ওপর।মেহরান স্তব্ধ হলো,থমকালো।বৃষ্টি বাবার লাশের পাশে বসে কাঁদছে আর হাসনা বেগম অপলক স্বামীর লাশের দিকে চেয়ে আছেন চুপচাপ।যেন শোকে পাথর হয়ে গেছেন। মেহরান রাউশিকে দেখতে পেলো বৃষ্টির কাছে।এছাড়া চারপাশে লোকজন ভরে গেছে। অনেক পুরুষ,মহিলা,যুবক,যুবতীরাও ভিড় করেছে।মেহরানকে ঘর থেকে বেরোতে দেখে কিছুজন আবার কেমন করে যেন তাকালো।

রাউশি তখনও মেহরানকে খেয়াল করে নি। তার এখনও হাত পা কাঁপছে।কি থেকে কি হয়ে গেলো ভেবে? মতিন মোড়লকে নাকি রাস্তায় বাড়ি ফেরার সময় কেউ দাও দিয়ে কু*পি*য়ে*ছে।কে করেছে এটা কেউ জানে না।রাস্তাটা নির্জন ছিলো বিধায় কাজটা খুব সহজেই করতে পেরেছে খুনী।কেউ দেখেও নি কাউকে।মতিন মোড়লের নিথর দেহটা দেখার পর পরই কিছু জন মানুষ ধরে এনেছে বাড়িতে।হাসনা বেগম সেসময় হাড়ি- পাতিল ধোঁয়াধুঁয়ি করছিলেন কলপাড়ে। রাউশি আর বৃষ্টি বসে বসে কাজ করছিলো আর কথা বলছিলো।তখনই নিয়ে আসা হয় মতিন মোড়লের লাশটা।হাসনা বেগম তো একটা চিৎকার দিয়ে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যান।আর বৃষ্টি যেন বাবার এমন অবস্থা বিশ্বাসই করতে পারছিলো না।সৃষ্টি সেসময় ঘুম থেকে উঠে বাবার লাশ দেখে যেন পুরো পা থেকে মাটির তলা সড়ে গিয়েছিলো। এতকিছুর মাঝে মেহরানকে ডাকাও সম্ভব হয়ে ওঠে নি রাউশির।কাকে রেখে কাকে সামলাবে এই অবস্থা।একদিনেই এই পরিবার কত আপনজন হয়ে গেছে তাদের। আর তাদেরও কি একটা হৃদয়বিদারক ঘটনাই না ঘটলো।রাউশি বৃষ্টির পাশে বসে ছিলো। সামনে থেকে মেহরানকে থমকানো দৃষ্টিতে চুপচাপ এগিয়ে আসতে দেখে ছলছল চোখে তাকালো।মেহরানও রাউশির টলমলে চোখ দেখে তার কাছে গেলো। কিছু মহিলা সড়ে দাঁড়ালো।রাউশি বৃষ্টির পাশে বসে থেকেই মেহরানকে কান্নাভেজা আওয়াজে বলল,

“কে যেন উনাকে মেরে ফেলেছে।”
আর কিছু বলতে পারছে না রাউশি নিজেও। গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না।মেহরানের মাথাও যেন কিছুক্ষণের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।রাউশির কথা শুনে ফোনটা হাতে নিয়ে আবারও নুজাইশকে কল করলো। এবার দুবার রিং হতেই নুজাইশ কল রিসিভ করলো।মেহরান চোখ বুজে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,
“মতিন আঙ্কেল আর নেই। তুই ইমিডিয়েটলি এখানে চলে আয়।”
নুজাইশকে কিছু বলতে না দিয়ে কল কেটে দিলো মেহরান।আশেপাশে একবার তাকালো। লোকজন তার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।মেহরান এবার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে শান্ত আওয়াজে জিজ্ঞাসা করলো,
“বাবার লাশের পোস্টমর্টেম করাতে চাও বৃষ্টি?”

বৃষ্টি কাঁদতে কাঁদতেই মাথা দুদিকে দুবার নাড়ালো।লাশের ময়নাতদন্ত করাতে চায় না সে।মেহরানও আর কিছু বললো না।কি করবে সেটাও বুঝতে পারছে না মেহরান। এদিকে চারপাশের লোকজন কানাঘুষা করছে ‘এইরা কেরা?কোইথেইকা আইছে মোড়ল বাড়িত?’
মেহরান সেসবে কান দিলো না।একটু সাইডে গিয়ে নুজাইশকে আবারও কল দিলো আর কিছু একটা বললো।

দেখতে দেখতে মতিন মোড়লের যানাজা শেষ হলো।কবর দেওয়া হলো বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে।নুজাইশ আর মেহরানই করে দিলো সমস্ত ব্যবস্থা।বৃষ্টির পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন মতিন মোড়ল।উনার এমন মৃত্যুতে অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন এলাকার মানুষজন। এছাড়া হাসনা বেগম,সৃষ্টি শোকে পাথর বনে রয়েছে। বৃষ্টি নিজেকে কোনোরকম সামলে রেখেছে। মেহরানদের সাহায্য করলো সে নিজেও। রাউশির তার মামার কথা মনে পড়ে গেলো। আজ হঠাৎ বাবা মায়ের কথাও যেন খুব বেশি মনে পড়ছে।মিস করছে উনাদের। কেমন আছে সবাই? বাড়ির সবাই কেমন আছে? তারাও নিশ্চয় রাউশিদের অনেক বেশি মিস করছে।
বিকেলের দিকে সমস্ত কিছু সেড়ে মেহরান আর নুজাইশ বাড়িতে ফিরলো।সবাই কেমন মূর্তির মতো বসে রয়েছে।শুধু রাউশি এদিকে তাকাচ্ছে বারবার।মেহরানকে দেখে এগিয়ে গেলো তাদের দিকে,
“শুনুন না। এখন কি হবে? আমি চাই বৃষ্টিদেরও আমাদের সাথেই ঢাকায় নিয়ে যেতে।”

নুজাইশ রাউশির দিকে তাকালো। মেহরান হাসনা বেগমের দিকে তাকালো।স্বামীর মৃত্যুশোকে মানুষটা কেমন একদৃষ্টে সামনে তাকিয়ে রয়েছেন।উনাদের এখানে একা রেখে যাওয়া মানেই হলো শেয়ালের কাছে মুরগি রেখে যাওয়া।প্রতিবেশিরা হিংস্র হয়ে উঠবে উনাদের ওপর।মেহরান পুলিশ লাগিয়ে দিয়েছে মতিন মোড়লের খুনিকে খোঁজার জন্য।এছাড়া আজ প্রতিবেশিরাও নানা কথা বলছিলো মেহরান নুজাইশকে নিয়ে বৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে করে।এসবে পাত্তা না দিলেও পরবর্তীতে যে অনেক ঝামেলাই পড়তে হবে তা নিশ্চিত।তাই আগামীকালই এখান থেকে চলে যেতে হবে।এছাড়াও খান বাড়ির সবাই ঢাকা চলে যাবে আগামীকাল।

মেহরান রাউশির দিকে তাকালো।মেয়েটার চোখমুখ শুকনো।রাউশির মাথায় ডান হাতটা রেখে বলল,
“আমাদের সাথেই যাবে উনারা।উনাদের এখানে একা রেখে যাওয়া ঠিক হবে না।”
নুজাইশও সম্মতি জানালো।এদিকে বাড়িতে নুজাইশের থাকা সম্ভব নয়।এমনিতেও দুজন মেয়ে আছে।আবার মেহরান রাউশি।লোকজন তিলকে তাল বানিয়ে নানাকিছু ছড়িয়ে দিয়ে পরে না আবার কোনো বিপদ হয়।তাই নুজাইশ সন্ধ্যা সাতটার দিকে চলে গেলো।
রাতের দিকে বাড়িতে হঠাৎ দুজন মহিলা আর এক মেয়ে আসলো।মেয়েটা বৃষ্টির বয়সী।মহিলা দুজন হাসনা বেগমকে মতিন মোড়লের নানা ঋণের কথা বলা শুরু করলেন। সবাই শুনলো সব।বৃষ্টি বলল,
“আপনাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করে দেবো আমি।কিছুদিন সময় দিন।”
এক মহিলা খ্যাঁক করে উঠলেন,

“তোমার বাপ মইরা গেছে। এহন তো টাকা কামানির লাইগা আর নাই কেউ। তা কোন হান থাইকা টাকা দিবা তুমি।আমরা এইগলা বুঝি না।আইজকাই টাকা দেওন লাগবো।”
মেহরান আর রাউশি এই প্রতিবেশিদের আচরণে অবাক না হয়ে পারলো না।আজই এ বাড়ির একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করলো। আর আজই এদের এমন ব্যবহার সত্যিই ভারি অদ্ভুত।এদিকে হাসনা বেগম শাড়ির আঁচল মুখে গুঁজে নিরবে কাঁদছেন।স্বামী মারা গেলো কয়েক ঘণ্টা হলো না আর এখনই এরা এসেছে টাকা চাইতে।কি মানুষ!
মহিলা দুজনের চোখ গেলো মেহরান আর রাউশির দিকে।রাউশি এদের একজনকে চেনে।উনি সেই মহিলা যিনি গতকাল রাউশির জামাটা নিজের দাবী করে নিয়ে গেছেন।গতকালই উনার ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা হয়ে গেছে রাউশির।
মহিলা একজন বৃষ্টিকে তাচ্ছিল্য করে বলল,

“এইডি কেরা? তোগোর বাড়িত কি হরে? পুলাডা কি নাগর নাকি?”
মেহরান রেগে গেলো।রাউশিও ক্ষেপলো। এদিকে বৃষ্টি আর সহ্য করতে না পেরে উঁচু গলায় ক্রোধ ঢেলে বলল,
“বাজে কথা বলবেন না।আপনার সব কথা সহ্য করছি বলে ভাববেন না যে আপনার বাজে কথাও হজম করে নেব।মুখ সামলে কথা বলতে আসবেন।বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে।আপনাদের মতো ছোটলোকের মুখ যেন আর না দেখি আমাদের বাড়ির আশেপাশে।”

মহিলাটা রেগে গেলেন।হাত উঠালেন বৃষ্টিকে মারার জন্য।রাউশি গিয়ে ধরলো মহিলার হাত,
“আপনার হাত বেশি চলতেই পারে, তবে সেটা অবশ্যই অন্যদের ওপর। আমাদের আপনজনদের ওপর এই হাত যদি উঠানো দেখি আমি নিজে এই হাত ভেঙ্গে দেব।”
এত দুঃখ কষ্টের মাঝে রাউশির মুখে আপনজন শব্দটা শুনে ভীষণ ভালো লাগলো বৃষ্টির।এদিকে মহিলাটি হাত মোচড়ামুচড়ি করছেন।রাউশি হাতটা আবারও মুঁচড়ে দিয়েখ্যাঁক করে উঠে আবারও কিছু বলতে যাবে রাউশি হাতটা মুচড়ে দিয়ে বলল,

“অনেক্ষণ যাবৎ আপনার বাজে কথা শুনেছি বলে, দ্বিতীয়বার এই কাজটা মোটেও করবেন না।নয়তো আপনাদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেটা এই রাউশি খুব ভালো ভাবেই জানে।আপনার পাওনা টাকা আপনারা খুব শিঘ্রই পেয়ে যাবেন। এখন এখান থেকে চলে যান দ্রুত।নয়তো কখন কি হয়? সেটা আমিও ভালোভাবে বলতে পারবো না।”
হাত ছুড়ে দেওয়ার মতো ছুড়লো রাউশি। মহিলা একবার রাউশি আর তার পেছনে মেহরানের দিকে তাকালো।কিছু না বলে শুধু চোখ রাঙিয়ে চলে গেলো তারা।রাউশি বৃষ্টির পাশে এসে দাঁড়ালো।কাঁধে হাত রেখে বলল,
“আমরা আগামীকাল চলে যাব।”
বৃষ্টি কেমন ম্লান চোখে তাকালো রাউশির দিকে।রাউশি বৃষ্টির ডান হাত ধরে বলল,
“তোমরাও আমাদের সাথেই যাবে।সবকিছু রেডি করে নাও রাতের ভেতরেই।আর পাওনা টাকা পরিশোধ করে দেব।”

মেহেরজান পর্ব ২৯

বৃষ্টি বিরোধিতা করে বলল,
“না তা কি করে হয়?”
রাউশি আবারও বৃষ্টির কাঁধে ভরসার হাত রেখে বলল,
“তুমি নাহয় যখন একটা ভালো মাইনের চাকরি করবে তখন পরিশোধ করে দিও।”
বৃষ্টি স্থির দৃষ্টে রাউশির দিকে তাকালো। হাসনা বেগমও তাকিয়ে আছেন রাউশিদের দিকে।এমনিতেই আজ জীবনের যেন অর্ধেক গতি হারালেন তারওপর প্রতিবেশিদের বাজে ব্যবহার আবার এখন রাউশিদের এমন কথা ঠিক কিভাবে নেবেন বুঝতে পারলেন না।

মেহেরজান পর্ব ৩১