Love Triangle part 18
তাসনিয়া রহমান স্নিগ্ধা
আরিফিন ভাইয়া আর রাতে আমার রুমে আসলো না।নানু কে পাঠিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে গেল।মেজো মামী আর মা এসে খাইয়ে দিয়ে গেল আমাকে। খাওয়ার পর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিলো। লম্বা রেস্ট দরকার একটা! সেজন্য ই ঘুমের ওষুধ। ওষুধ খেয়ে দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে গেলাম আমি।
ঘুম ভাঙল সকাল ছয়টায়। আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলাম।মা ছিলো আমার সাথে। রুমের জানালা খোলা। বাইরে কুয়াশা রুমে ঢুকছে মনে হচ্ছে। আমার শরীরটা ফ্রেশ লাগছে খুব।উঠে বেড থেকে নেমে বাইরে এলাম।পাশের ওয়াশ রুমে গিয়ে দাঁত ব্রাশ করে মুখ ধুয়ে বের হলাম।দেখি ইফাদ ভাইয়া টিভির সামনে বসেছে। বারান্দায় টিভি আছে। সেখানেই সে। আমি ভাইয়া কে এক নজর দেখে রুমে চলে আসছিলাম,ভাইয়া ডাকলো।
‘ গুড মর্নিং আহি!’
আমি থেমে গেলাম। ভাইয়ার দিকে পিছন ঘুরে তাকিয়ে হাসিমুখে বললাম, ‘ গুড মর্নিং ‘
রুমে ঢুকে গেলাম। তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে সোয়েটার পরলাম একটা। এরপর চাদর গায়ে দিয়ে বের হলাম। ঠান্ডা কম লাগছে এখন।আমাকে বের হতে দেখে ইফাদ ভাইয়া সাথে সাথে ডাকলো,
‘ আহি! তুই কি ফ্রি এখন?’
‘ হ্যা ফ্রি ই তো।’
‘ এইদিকে আয়।কথা আছে তোর সাথে।’
আমি ভাইয়ার দিকে এগিয়ে গেলাম। বললাম কি কথা বলো।ভাইয়া বললো ছাদে চল। আমাদের নিরিবিলি পরিবেশে কথা বলা দরকার।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আমি কথা বাড়ালাম না।ভাইয়ার সাথে ছাদে উঠে এলাম। কুয়াশা ময় সকাল।ছাদের দক্ষিণ দিকে বেঞ্চ পাতানো আছে। রেলিংয়ের সাথে। সেখানে আবার আরিফিন ভাইয়া ছোটখাটো একটা বাগান ও করেছে।টবে বিভিন্ন গাছ।জায়গা টা সুন্দর।আমরা দুজনে সেখানে এসে বসলাম।বেঞ্চে। পাশাপাশি দুজন। এরপর চুপচাপ গাছ দেখতে লাগলাম। বিভিন্ন অর্কিডের চারা লাগিয়েছে। হাইব্রিড গোলাপ আছে অনেক। হলুদ,লাল,সাদা,গোলাপী রঙের গোলাপ। সবগুলো ফুল ফুটেছে।কি সুন্দর লাগছে দেখতে। আমি ফুল দেখছি এমন সময় ইফাদ ভাইয়া নিরবতা ভেঙ্গে ডাকলো আমাকে।
‘ আহি!’
‘ হু বলো।’
‘ আমি তোকে এখানে কেন ডেকেছি জানিস?’
আমি ফুল দেখতে দেখতেই বললাম,
‘ না।’
‘ আমি বলছি কেন ডেকেছি।তার আগে তুই বল তুমি কি এখন ঠিক আছিস?সিক বা বিরক্ত লাগছে এমন?’
আমি ভাইয়ার দিকে তাকালাম।
‘ আমি ঠিক আছি।কি বলবা বলো।’
‘ বলছি। তার আগে বল এসব শোনার পর তুই আমার উপর রাগ করতে পারবি না।
‘ ঠিকাছে।বলো তুমি।’
আমার উত্তর পেয়ে ভাইয়া চুপ করে রইলো কিছুক্ষণ। এরপর বললো,
‘ আচ্ছা আহি! নিজের দোষগুলো নিজে শুনতে কেমন লাগে বল তো?’
‘ আমি ঠিক বুঝলাম না তোমার কথা।’
‘ এই ধরো, তুই কিছু দোষ করেছিস।আমি সেগুলো তোর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি।এতে তোর ভালো লাগবে নাকি খারাপ?’
আমি এক পলক ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘ অবশ্যই ভালো লাগবে আমার। তুমি দোষ গুলো দেখিয়ে দিলে তবেই তো আমি নিজেকে সংশোধন করতে পারব।’
‘ তাহলে তুই শুধরে যা।প্লিজ!’
আমি বুঝতে না পেরে কিছুটা বিরক্ত গলায় বললাম,
‘ মানে?’
ভাইয়া আমাকে দেখছিলো আর কথা বলছিল এতক্ষণ।এবার আমার থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বললো,
” মানে টা এই যে তুই নিজের আবেগ, চরিত্র দুটোই নিয়ন্ত্রণে আন।’
আমি বিস্ফোরিত চোখে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।কি বলছে এসব। আমার চরিত্র নিয়ন্ত্রণ মানে? ইফাদ ভাইয়া আমার দিকে তাকালো। এরপর হাসলো।বললো,
‘ চরিত্রের কথা বললাম বলে অবাক লাগছে না খুব?লাগারই কথা।আসলে আমরা কেউই আমাদের নিজেদের চরিত্র কেমন তা জানি না। বুঝতেও পারি না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের নিঃস্বার্থ কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। কিন্তু কি জানিস পাখি? আমাদের জীবনে এমন নিঃস্বার্থ শুভাকাঙ্ক্ষীর অনেক বেশি অভাব।তোকেই দেখ।তুই কেমন তা তোকে বুঝানোর জন্য কেউ নেই।এই আমি ছাড়া।আহি, আমার তোকে কষ্ট দিতে খুব খারাপ লাগে জানিস? আমি না তোকে আমার নিজের বোন মৌ এর থেকেও বেশি ভালোবাসি।কেন তা জানিনা। তোকে সবসময় ভুল পথ থেকে দূরে রাখতে চাই,ভালো দেখতে চাই,সুখী দেখতে চাই। আমার সাধ্যে কুলায় না বলে সবসময় তোকে সাহায্য করতে পারি না। কিন্তু এখন যেহেতু তোকে সাহায্য করা আমার সাধ্যে আছে তখন তো সাহায্য করতেই হবে।কি,তাই না?বল?’
ভাইয়া উত্তরের আশায় আমার দিকে তাকালো। আমি ভাইয়ার থেকে চোখ নামিয়ে মাথা নেড়ে বললাম, ‘ হ্যা।’
ভাইয়া ফের বলতে শুরু করলো।
‘ তুই হয়ত জানিস না তুই কতটা ড্যাম চরিত্র নিয়ে ঘুরছিস।তোর চোখে কালো চশমা পরা। ফিলিংসের সাগর নিয়ে ঘুরছিস। আমি কেন বলছি এসব তাই ভাবছিস?
আহি!আমি তোকে খুব ভালো করে চিনি।তুই নিজেও নিজেকে এতটা চিনিস না যতটা আমি তোকে চিনি।তুই কি করিস না করিস সমস্ত খবর আমি পাই। রিসেন্ট গুলো বলি?ওই ডাক্তার ফাইয়াজ তোর সাথে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করেনি?’
আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললাম।ভাইয়া বললো,
‘ তুই এমন মেয়ে যে যে তোর এত বড় ক্ষতি করলো,তোকে সমাজ আর পরিবারের সামনে নিচ করলো চরিত্রহীনা বানালো তুই তার প্রেমে পড়ে গেলি।প্রেমে রেসপন্স ও করতে চাচ্ছিলি আবার।যদিও এসবের আগেই রিমি তার ড’গ কে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করলো।তুই সুযোগ পেলি না। এরপর কি হলো? ক্যাপ্টেন তৌকির আর রিমি তোকে নিয়ে ডিল করলো তুই ওতে রাজি হয়ে গেলি। কেন?তোর আত্মসম্মানবোধ নেই? তুই মানুষ না অন্য কিছু?আত্মসম্মানবোধ ছাড়া তো কোন মানুষ বাঁচতে পারে না।তুই সেটা বিকিয়ে দিলি কিভাবে? ওদের ডিলে সম্মতি দিলি।
কালকে যখন আমি মজা করে বললাম তৌকির তোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তুই তখন লজ্জা পেলি।ওকে তোর মনে ধরে গেছে। কত সহজে।যেই বিয়ের প্রস্তাব দিলো অমনি ঢ্যাং ঢ্যাং করে রাজি হয়ে গেলি।মানে মিনিমাম আত্মসম্মান থাকলে এমনটা হওয়ার কথা না।যেই মেয়ে একের পর এক এই সেই ঝামেলায় পরছে তার সেইসব ঝামেলা না মিটিয়ে বিয়ে করার শখ হয়েছে! তা-ও আবার বোনের রিজেক্ট করা পাত্র কে।এতই বিয়ে করার ইচ্ছে তাহলে বল, আমি তোকে ইনটেক কারো সাথে বিয়ে দিচ্ছি। অন্যের রিজেক্ট করা পাত্র কে কেন বিয়ে করবি।তুই যেখানে দেখলি দাদু তোর প্রস্তাব দিলোই না তৌকিরের ফ্যামিলি কে সেখানে তুই কিভাবে রাজি হলি? চক্ষু লজ্জা বলতে কিছু নেই তোর?দেখলি তো কিভাবে অপমান করলো। তারপরও তুই কালকে রাতে তৌকির কে বিয়ের জন্য হ্যা বললি। কেন আহি? তৌকির ছাড়া পৃথিবীতে কি আর কোন ছেলে নেই?যে শুরুতে তোকে শালি বানাতে চেয়েছে, যার ফ্যামিলি তোকে পছন্দ করে না তাকে তুই কেন বিয়ে করবি?’
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম। কান্না পাচ্ছে খুব। নিচের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি আটকাবার চেষ্টা করে গেলাম বৃথাই।ভাইয়া আমার উত্তর না পেয়ে নিজে নিজেই বলে চললো,
‘ তুই মানুষ হিসেবে ও অনেক নিম্নমানের।আর সবার প্রেম তোর চোখে পড়ে কিন্তু যেই ছেলে তোর জন্য দিনেরাতে কষ্ট পাচ্ছে তার প্রেম তোর চোখে পড়ে না। ফাইয়াজের মিথ্যে প্রেম,তৌকিরের দায়িত্ব বোধ চোখে পড়লো, কিন্তু আরিফিন তোকে এতটা ভালোবাসে এটা তোর চোখে পড়লো না।’
আমি ইফাদ ভাইয়ার দিকে চোখ তুলে তাকালাম।চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে সেদিকে খেয়াল নেই। আমি ভীষণ রকমের অবাক হয়েছি ভাইয়ার কথা শুনে।অবাক হয়েই বললাম,
‘ কি বললে? আরিফিন… আরিফিন ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে?’
‘ হুম।ও কবে থেকে ভালোবাসে তা জানিনা কিন্তু আমাকে জানিয়েছে তুই এইচএসসি দেওয়ার পর। শেষ পরীক্ষার দিন তোকে আনতে গেছিল এক্সাম সেন্টারে। গিয়ে দেখে তুই অন্য কার সাথে যেন যাচ্ছিস ঘুরতে।ছেলেটা এটা দেখে কষ্ট পেয়েছিল খুব। বাসায় এসে দিকবিদিক ভুলে দাদু আর সবার সামনে বললো নিজের কথা।ও তোকে সেদিন বিয়ে করবে বলে দিয়েছিল সবাইকে। তোকে মেজো চাচী যে এক্সট্রা আদর করে না?এটা শুধু শুধু না।ছেলের বউ হিসেবে দেখে বলেই।তোর সব খেয়াল রাখার চেষ্টা করে।তুই একটু কষ্ট পেলে আমি ওকে তোর থেকে দ্বিগুণ কষ্ট পেতে দেখি সবসময়।কত কেয়ার করে দেখিস না?
এইসব কিছুই তোর চোখে পড়লো না।চোখ পড়লো ওই দুই ***** এর উপর। যেগুলো একটাও তোকে পিউর ভাবে চায়নি।দুটোই নিজের স্বার্থে চেয়েছে।কালকে যখন তুই বিয়েতে হ্যা বললি আমার ইচ্ছে করছিল সবার সামনে তোকে থা’প্প’ড় মা’র’তে। আঙ্কেল আর সবাই ছিলো বলে আমি অনেক কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করেছি।তুই তুই না ভালো হয়ে যা আহি। ছেলেটা কে মে’রে ফেলিস না।কালকে তুই যখন তৌকিরের সাথে কথা বলছিলি তখন সব শুনেছে আরিফিন। দরজার পাশেই ছিলো। দুপুরে এতকিছু বুঝানোর পর, চোখে আঙুল দিয়ে নিজের ফিলিংস টা দেখানোর পরও যখন তুই তাকে বুঝলি না তখন তার মনের অবস্থা টা কেমন হচ্ছিল বুঝতে পারছিস?সারা রাত কান্না করেছে। ফজরের সময় অনেক কষ্টে নিজেকে শান্ত করে ঘুমিয়েছে।
আহি!বোন আমার।’
আমি ভাইয়ার দিকে তাকাতে পারছি না। নিচের দিকে তাকিয়েই অস্পষ্ট স্বরে বললাম,
‘ হু।’
ভাইয়া ভাঙা গলায় বললো,
‘ তুই আরিফিন কে অতটা পছন্দ করিস না জানি। কখনও বিয়ে করবি বলে ভাবিস নি,ওর দিকে খেয়ালই করিস নি এটাও জানি। আমি এতকিছু বললাম তারপরও তোর মনে ওর জন্য জায়গা হবে কি-না জানিনা আমি। কিন্তু প্লিজ, আমি তোকে রিকুয়েস্ট করছি তুই আরিফিন কে একটু বাঁচার সুযোগ করে দে।তুই আজকে যদি তৌকির কে বিয়ে করিস ও নিজেকে শেষ করে ফেলবে।আহি!তুই আরিফিন কে বিয়ে করতে না চাইলে করিস না,মন থেকে পছন্দ করতে না চাইলে করিস না। তুই তৌকির কে যদি বিয়ে করতে চাস তাহলে ওকেই বিয়ে করিস। কিন্তু এখন না। প্লিজ!আই রিকুয়েস্ট ইউ।ছেলেটা শেষ হয়ে যাবে।তুই আরিফিন কে বুঝতে দিস না আর যে তুই ওকে পছন্দ করিস না।এত রুড ব্যবহার না করে একটু ভালো ব্যবহার কর ওর সাথে।
আমাদের মত নরমাল ব্যবহার। বিরক্ত হস না ওর প্রতি।ছেলেটা তোকে অনেক বেশি চায় রে সেজন্য ই এইরকম অপ্রস্তুত ধরনের আচরণ করে।একটু সহ্য করে নে। অন্তত কিছু দিন?আর যদি তুই তৌকির কেই বিয়ে করতে চাস তাহলে ও তো তোর ওর সম্পর্কে সম্পূর্ণ ইনফরমেশন, সবকিছু সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে? মানুষটাকে বুঝতে হবে তো না?কটা দিন সময় নে না হয় এই জন্য ও। তৌকির কে বুঝ।আর সবকিছু বুঝ।ইয়ার ফাইনাল দে। সবকিছু দেখার বুঝার পরও যদি তোর মনে হয় যে আরিফিন না, তোর জন্য তৌকিরই ঠিক তখন না হয় তুই ওকে বিয়ে করিস?তুই আজকে তৌকির কে ফিরিয়ে দে। আরিফিন এর সামনে।ওকে শান্ত কর একটু।পরে আলাদাভাবে ওকে জানিয়ে দিস কিছুদিন সময় নিবি এরপর বিয়ে করবি। কেমন?’
আমি চুপ করে রইলাম।বেঞ্চের দেয়ালে হেলান দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম।কি বলব কি করব বুঝতে পারছি না। কষ্ট হচ্ছে কেন জানি খুব। আমি এমন কেন? ভাইয়া ফের বললো,
‘ আমি তৌকির কে বলছি তোর সময় লাগবে।সে যেন এসে একটু অভিনয় করে শুধু।ও অভিনয় কিন্তু ভালোই পারে। বুঝিয়ে বললে এটাও পারবে।তুই নিচে আয়। ব্রেকফাস্ট কর।’
ভাইয়া উঠে চলে গেল। আমি ভাইয়ার যাওয়ার দিকে দেখলাম। আমার খুব ইচ্ছা করছে এখন কান্না করতে কিন্তু চোখে পানি আসছে না কেন জানি। আমি অনেক ভুলই করেছি। কিন্তু সেগুলো কখনও ভুল বলে মনে হয়নি।ভাইয়া ঠিকই বলেছে। আমার চরিত্র আসলেই অনেক ড্যাম। ভালো করা লাগবে নিজেকে।আরিফিন ভাইয়া!
Love Triangle part 17
আমি অনেক কষ্টে নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে নিচে এলাম।ইফাদ ভাইয়ার রুমে এসে দেখি আরিফিন ভাইয়া ঘুমাচ্ছে। আমি বের হয়ে এলাম রুম থেকে। এরপর নিজের রুমে ফিরে এলাম। নিজেকে একটু স্বাভাবিক হতে সময় দিতে হবে। কথাগুলো হজম করার জন্য সময় দরকার সময়! আমার এখন নিজেকে সময় দেওয়া দরকার। আমি দরজা লক করে বেডে উপুড় হয়ে শুয়ে রইলাম।বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম, নিজেকে স্বাভাবিক করতে।