উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৮

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৮
আফিয়া আফরোজ আহি

শোকের ছায়ার শোকাহত পুরো খান বাড়ি। থমথমে মুখর পরিবেশ। কারো মুখে হাসি নেই। হাসি এক প্রকার বিদায় নিয়েছে আমাদের বাড়ি থেকে। সময়টা যেন থমকে গেছে সপ্তাহ খানেকের জন্য। কেউ এখনো ঘোর থেকেই বের হতে পারেনি। আজ সপ্তাহ খানেক হয়ে গেল দাদুমনি আমাদের মাঝে নেই। বিষন্ন মনে ব্যালকনিতে বসে আছি। চারপাশের সব কেমন বিষিয়ে গেছে। অনুভূতি গুলোও বিষাক্ত লাগছে। এইযে দমকা হাওয়া এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে সেটাও মনে হচ্ছে এক রাশ বিষন্নতা নিয়ে এসেছে। মনমরা হয়ে আছে পুরো বাড়ি। কারো মনের অবস্থা ভালো নেই। আমার বিষন্নতা অনুভব করার মাঝে রুমে প্রবেশ করলো আদ্র ভাই। পুরো রুম খুঁজেও আমায় না পেয়ে হাতের ট্রে ট্রি-টেবিলের ওপর রেখে এগিয়ে এলেন ব্যালকনিতে। আমায় বিষন্ন মনে বসে থাকতে দেখে নীরবে পাশে বসলেন।

“কি ভাবছিস?”
আনমনে জবাব দিলাম,
“দাদুমনির কথা”
“মনে পড়ছে?”
“বড্ড”
বলতে বলতে কান্না করে দিলাম। আমার ভালোবাসার একটা বিশাল অংশ জুড়ে দাদুমনির অস্তিত্ব। আদ্র ভাই উষ্ণ পরশে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। আমার মাথাটা ওনার কাঁধে রেখে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“একদিন আমাদের সবাইকেই এই পৃথিবী, আত্মীয়-স্বজন, ভালোবাসার মানুষ সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে। আমাদের জন্য কারো জীবনই কারো জন্য থমকে থাকবে না। হয়তো খানিকক্ষণের কষ্ট, দুঃখ অনুভব হবে তবে কয়েকদিন পর আমরা সব ভুলে আমাদের ব্যাস্ত জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাবো। কেউ সারাজীবন আমাদের সাথে রয়ে যাবে না। এমনকি এইযে আমি তোকে এতো কিছু বলছি আমিও একদিন থাকব না। তাই সত্যিটা মানতে শেখ রোদ”
বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠলো। কেমন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। হাঁসফাঁস লাগছে, অস্তির অস্তির লাগছে। আদ্র ভাইয়ের কথার বিপরীতে কোনো কথা বললাম না। কিছু বলার মতো কোনো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ আদ্র ভাইয়ের প্রতিটা কথাই যে সত্যি। একটাও মিথ্যা নয়। মন দিয়ে আদ্র ভাইয়ের কথা গুলো ভাবছি আর নিজেকে বোঝাচ্ছি। সত্যিটা মানতে চেষ্টা করছি। আদ্র ভাই কপাল কুঁচকে ভরাট কণ্ঠে সুধালেন,

“শুনলাম সকাল থেকে কিছুই খাসনি? কারণ কি?”
ক্লান্ত কণ্ঠে বললাম,
“খেতে ইচ্ছে করছে না”
“অসুস্থ হওয়ার শখ জেগেছে? তোর জন্য মেঝ আম্মুও না খেয়ে আছে। এখন কি বাড়ি শুদ্ধ মানুষ নিয়ে অসুস্থ হবি?”
কোনো কথা বললাম না। আদ্র ভাই উঠে দাঁড়ালেন। আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,
“খেতে চল”
“খাবো না, ইচ্ছে করছে না”
“খাবার খাবি নাকি থাপ্পড় খাবি? কোনটা?”

মুখ ফুলিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। আদ্র ভাই বেসিন থেকে হাত ধুয়ে এলেন। সোফায় বসে আমায় পাশে বসতে ইশারা করলেন। ভাত মাখিয়ে মুখের সামনে ধরলেন। খাবার দেখেই বমি চলে এলে। আদ্র ভাই দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“সকাল থেকে না খেয়ে থাকলে যা হয় আরকি। তাড়াতাড়ি মুখ খোল”

বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে। নাহয় দেখা যাবে এখন শুরু হয়ে যাবে ধমকা ধমকি। বিগত দিন গুলোতে এগুলোই হয়ে আসছে। কেউ না কেউ এসে জোর করে খাইয়ে দিয়ে যাচ্ছে। নাহয় আমার খাওয়ার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। আমি এখনো কেমন ঘোরের মাঝে আটকে গেছি। মনে হচ্ছে এই বুঝি দাদুমনি আমায় ডাক দিবেন। কাছে ডেকে চুল হাত বুলিয়ে দিবেন, মজার মজার কাহিনী শুনাবেন, গল্প করবেন। কিন্তু সেগুলো কিছুই হচ্ছে না। দাদুমনির ঘরে গেলে স্মৃতিরা কেমন গলা চেপে ধরে। দম বন্ধকরা অনুভূতি। রুমে সব কিছুই আগের মতো আছে খালি রুমে অবস্থান করা মানুষটা নেই। এখন আম্মু কিছু বললে বা বকা দিলে আমি মুখ ফুলিয়ে কার কাছে যেয়ে বিচার দিবো? কে আম্মুকে বকুনি দিয়ে বলবে, “বউমা আমার রোদ সোনাকে কিছু বলবে না”! কথা গুলো ভাবতে ভাবতে চোখ ভিজে এলো। আদ্র ভাই খাওয়ানো রেখে চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলল,

“খাওয়ার সময় কান্না করতে নেই”
খাবার যেন আমার গলা দিয়ে নামতেই চাচ্ছে না। গলায় আটকে আছে। না পারছি গিলতে আর না পারছি ফেলতে। পানি দিয়ে কোনো মতে গিললাম। আদ্র ভাই ফের মুখের সামনে খাবার ধরলে আটকে দিয়ে বললাম,
“আর খাবো না”
“না খেলে কিভাবে হবে বল? অসুস্থ হয়ে যাবি তো। আর একটু খেয়ে নে”
না চাইতে বাকিটা খেয়ে নিলাম। আদ্র ভাই উঠে চলে যাবে এমন সময় খেয়াল হলো তার দিকে। মানুষটার পরনে সকাল বেলা অফিসে পরে যাওয়া সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট। সকালে শার্ট ইন করা থাকলেও এখন একপাশ বের করে রাখা। ওপরের দুটো বোতাম খোলা, চুলগুলোও এলোমেলো। তারমানে উনি এসে ড্রেস চেঞ্জ না করেই সরাসরি আমার রুমে এসেছেন।

“তুমি মাত্র অফিস থেকে এসেছো?”
আদ্র ভাই যেতে গিয়েও থেমে গেলেন। পিছনে ফিরে বললেন,
“হ্যাঁ”
“ফ্রেশ না হয়েই আমাকে খাওয়াতে চলে এলে? ফ্রেশ এলেই পারতে”
“বাড়িতে এসে যখন শুনলাম তু্ই খাসনি তখন আর অন্য কিছু ভাবার সময় পাইনি। মেঝ আম্মুকে খাবার রেডি করতে বলে আমি রুমে এসে কোনো মতে কোট আর টাই খুলে বিছানার ওপরে ফেলে চলে এসেছি। ইচ্ছে ছিলো সকাল থেকে না খেয়ে থাকার জন্য তোকে কষিয়ে দুটো থাপ্পড় লাগাবো। কিন্তু তোর মুখ দেখে আর সাহস হয়নি”
“ড্রেস টা চেঞ্জ করে এলে পারতে”

“আমার ড্রেস চেঞ্জ করার চেয়েও তোর খাওয়াটা বেশি জরুরি ছিলো। আমি ড্রেস পড়ে চেঞ্জ করলেও সমস্যা নেই কিন্তু তু্ই বেশিক্ষন না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবি”
আদ্র ভাই থামলেন। মানুষটা আমার জন্য এতটা ভাবে? এতটা ডেসপারেট উনি আমার জন্য? কিন্তু কেন? শুধু কিছু কাজিন বলে? নাকি অন্য কিছু? মাথায় উল্টোপাল্টা চিন্তা এলেও সেগুলো দূর করে দিলাম। উনার মুখের দিকে তাকালাম। মুখটা শুকিয়ে আছে। তারমানে উনিও খায় নি। নিজে খায়নি আবার আমায় এসেছে শাসন করতে। হুহ, বজ্জাত লোক একটা!

“তুমি খেয়েছো?”
“যার নিজের খাওয়া দাওয়ার খেয়াল নেই সে এসেছে আমার খবর নিতে। যা ভাগ”
“আমি জানি তুমি খাওনি। নিচে যেয়ে আগে খাবে তারপর অন্য কিছু”
আদ্র ভাই পিছু ফিরে মুচকি হাসলেন। অতঃপর প্রস্থান করলেন।

সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। বয়ে চলে নিজ গতিতে। কেটে গেছে দিন কয়েক। সবাই এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে নিজ নিজ কাজে। আমিও কলেজ পড়াশোনায় মন দিয়েছি। এখন বেশির ভাগ সময় নিজের রুমেই কাটাই। আগের মতো কারো সাথে তেমন কথাও বলিনা। তেমন আড্ডাও দেই না। সকাল বেলা কলেজ যাই আসতে আসতে দুপুর। এসে খেয়েদেয়ে ঘুম। ঘুম ভাঙে সন্ধ্যা নাগাদ। ঘুম থেকে উঠে বই নিয়ে বসি। এই আমার নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যাবেলা ইভা, রোশনি মাঝে মাঝে গল্প করার জন্য ডাকতে এলেও যাই না। এখন আর আগের মতো গল্প আড্ডায় মন টানে না।

একাকিত্বই বেশি ভালো লাগে। তবে কয়েকদিন যাবত খেয়াল করেছি ইভান ভাই আমায় কিছু বলতে চাচ্ছে। কিন্তু ওনাকে দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই ওনাকে ইগনোর করে চলছিল। সামনে পড়লেও এড়িয়ে যাচ্ছি ম এমন ভাব করছি যেন তাকে আমি দেখিই নি। আদ্র ভাইরা বাড়ি চলে গেছে প্রায় চার পাঁচ দিন হবে। আরুর স্কুল, ফুফার অফিস, তার ওপর বাড়ি খালি পড়ে আছে তাই চলে গেছে। তারচেয়ে বড় কথা এখানে থাকলে ফুপ্পি কান্না কাটি করে। একটু পর পর দাদুমনির রুমে যাবে আর কান্নায় ভেঙ্গে পরবে। তখন ফুপ্পিকে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই এক প্রকার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েই ওরা চলে গেছে। আদ্র ভাই মাঝে মাঝে কল দেয়, খোঁজ খবর নেয়। আমিই তার সাথে কথা বলিনা। কখনো ফোন তুলিনা তো কখনো এটা সেটা বাহানা দিয়ে রেখে দেই। মন মেজাজ ভালো নেই। কারো সাথে কথা বলতেই ভালো লাগে না। একা থাকায় অভ্যাস করে নিচ্ছি।

টেবিলে বসে বসে এসব আজগুবি কথা ভাবছিলাম। এমন সময় রুমে প্রবেশ করলো শুভ ভাই। পরনে তার অ্যাশ কালার শার্ট, কালো প্যান্ট। শার্ট এর ওপরে এপ্রোন। গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলানো। একদম পারফেক্ট ডক্টর ডক্টর লাগছে। ডক্টর লাগবে কেন? আমায় ভাই তো ডক্টরই। আমিও না! আমার হ্যান্ডসাম ভাইকে দেখে মুহূর্তেই যে কোনো মেয়ে প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য। শুভ ভাই এসে পাশের চেয়ারে বসলেন।
“পড়ছিস?”
“না মশা মারছি”
“আমার তো তাই মনে হচ্ছে। আমাদের বাড়ির পড়াচোর নিজ ইচ্ছেতে পড়তে বসেছে এটাও কি ভাবা যায়?”
“ভাবা লাগবে কেন? সরাসরি লাইভ দেখে নেও”
“লাইভ দেখেও বিশ্বাস হচ্ছে না!”
“তাহলে চোখ বুজে থাকো”

বলে বইয়ের দিকে তাকালাম। শুভ ভাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভাইয়ার চাহনিতে অবাকতার ছাপ।
“হুট্ করে এতটা চুপচাপ হয়ে গেলি কেন পাখি? আমার পাখি তো এমন ছিলো না। আমার পাখি ছিলো এক চঞ্চল সত্ত্বা যে পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখতো। পড়াশোনায় ফাঁকিবাজি করতো, যখন তখন আমার কাছে বায়না ধরতো। হটাৎ করে এমন পাল্টে গেলি কেন? তোকে যে এই রূপে মানায় না”
শুভ ভাই থামলেন। সময় নিয়ে ভাইয়ার কথা গুলো ভাবলাম। অতঃপর ধীর কণ্ঠে বললাম,
“সব সময় মানুষ এক রকম থাকে না। মানুষ পরিবর্তনশীল। কিছু শোক মানুষকে পাথর বানিয়ে দেয়”
“এতটা পরিপক্ক কথা কবে শিখলি পাখি? তোকে যে অপরিপক্কতাই মানায়। আমরা সবাই আমাদের সেই পুরোনো চঞ্চল রোদ কে মিস করছি। সবাই তোর এই পরিবর্তনে চিন্তিত। আবার আগের মতো হয়ে যা না পাখি”
কথা ঘুরানোর জন্য বললাম,

“আমার কথা বাদ দেও। তুমি তোমার কথা বলো আজ কয়টা মেয়ে পটিয়ে এলে শুনি? যদিও তুমি যা হ্যান্ডসাম দেখতে তোমায় দেখে মেয়েরা এমনি এমনি পটে যাবে”
“তু্ই ও না। তবে আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে। শুনবি?”
এক্সাইটেড হয়ে বললাম,
“দেরি কিসের তাত্তাড়ি বলো”
“আজকে ক্লাস করাচ্ছি, বোঝানো শেষে কারো প্রশ্ন আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে একটা মেয়ে উঠে দাঁড়ালো। আমিও তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
“জি বলুন কি জানতে চান?”
মেয়েটা হুট্ করে জিজ্ঞেস করে বসলো,
“আপনি কি সিঙ্গেল নাকি বিবাহিত?”

বিশ্বাস কর আমি মেয়েটার কথা শুনে পুরো বাক্কেল বনে গিয়েছিলাম। আমার এই চার বছরেই ক্যারিয়ারে আমি এমন কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হয়নি। আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য ব্লক হয়ে গিয়েছিলাম”
আমি অতি উৎসাহিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“এরপর তুমি কি বললে?”
“কি আর বলবো গম্ভীর কণ্ঠে বলেছি,
“এরকম ফালতু কথা কখনো জিজ্ঞেস করবেন না। আমার এগুলো পছন্দ নয়। পড়া রিলেটেড কোনো প্রশ্ন জানতে চাইলে জিজ্ঞেস করতে পারেন নাহয় বাড়তি কোনো কথা বলেন না”
বিপরীতে মেয়েটা বিড়বিড় করে বলল,

“খারুশ লোক”
“তারপর তুমি কিছু বলনি?”
“না। কিন্তু মেয়েটা বসার পর আমার দিকে এমন তীক্ষ্ণ চোখ তাকিয়ে ছিলো মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই আমায় ভস্ম করে দিবে। মেয়ে হবে কোমল, নমনীয়, শান্ত স্বভাবের। আর এই মেয়েটা পুরো গুন্ডি। কথা বার্তা, তাকানোর ধরণ পুরোই আলাদা”
“মেয়েটা কেমন দেখতে?”

“আমার অতো কিছু দেখার সময় নেই। আমার ওই গুন্ডি, বাঁদর মেয়েটাকে দেখা ছাড়াও অনেক কাজ আছে”
আমি শুনে হতাশ। পুরাই হতাশ! আমার ভাইয়ের দ্বারা এটাই সম্ভব। এর দ্বারা জীবনে কিচ্ছু হবে না।
“আমি কিন্তু কথাটা শুধু তোকে বলেছি তু্ই আবার সবাইকে বলে বেড়াস না। এটা তোর আর আমার সিক্রেট”
শুভ ভাই মানুষটা এমনই। তার সমস্ত কথা রাখার ভান্ডার আমি। সবার সাথে তার গম্ভীরতা চললেও আমার বেলায় চলে না। আমার সাথে তার আলাদাই সখ্যতা। কোনো কিছু ঘটলে সবার আগে এসে আমায় বলবে।
“ওক্কে বলবো না। কিন্তু আমার ঘুষ কই? ঘুষ দেও”
“ঘুষ?”

“অবশ্যই। আমি তোমার কথা লুকিয়ে রাখবো আর তুমি আমায় কিছু দিবে না তা কখনো হয়! তাড়াতাড়ি আমার ঘুষ দেও”
শুভ ভাই পকেট হাতড়ে কিছু একটা খুঁজলেন। অতঃপর একটা কিটক্যাট ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
“এই নে”
“তুমি কবে থেকে কিটক্যাট খাওয়া শুরু করলে?”
“তোর জন্যই কিনেছিলাম”
“ও আচ্ছা”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৭

ফের চুপ মেরে গেলাম। শুভ ভাই মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কাতর কণ্ঠে বলল,
“আবার আগের মতো হয়ে যা না পাখি। তোকে এই শান্ত রূপে মানায় না। আমি আমার সেই পুরোনো চঞ্চল পাখিকে মিস করছি। অনেক মিস করছি”
বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। শুভ ভাই উঠে যেতে যেতে বলল,
“সামনের মাসে টেস্ট এক্সাম মন দিয়ে পড়। আর আমার কথাটা ভেবে দেখিস”
শুভ ভাই চলে গেল।আমি তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ৯