রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৮

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৮
সিমরান মিমি

ভোরের আলো সদ্য ফুঁটতে শুরু করেছে।রাতের কালো অন্ধকার যুক্ত আকাশ টিতে ধীরে ধীরে লালচে আভা দৃশ্যমিত হচ্ছে।গাছের সবুজ বর্ন এখনো স্পষ্ট না দেখা গেলেও একটা কালচে পাতার অবয়ব চক্ষুসম্মুখে ফুঁটে উঠেছে।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো ফজরের আজান দিয়ে ফেলবে।তার পরক্ষণেই ধরণী সেজে উঠবে আলোয় প্রস্ফুটিত হয়ে।আরামদায় একটা আসনের মধ্যে গুটিশুটি পাঁকিয়ে শুয়ে আছে স্পর্শীয়া।এই আসনটি কোনো বস্তুর তৈরী নয়,বরং এটা রক্তমাংসে গড়া একটা মানুষের শরীর।অত্যন্ত ছোট্ট প্রশস্ত ডাবল সোফাটাতে স্ত্রীকে মূল্যবান মুক্তার ন্যায় ঝাপটে বুকের মধ্যিখানে লুকায়িত করে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে পরশ শিকদার।পাশ থেকে যেন গড়িয়ে না পড়ে যায় সেজন্য সুরক্ষা হিসেবে পেঁচিয়ে রেখেছে দু বাহু দিয়ে পিঠময় আবদ্ধ করে।মোটা কম্বলটা দিয়ে পেঁচিয়ে শক্ত করে দলা পাকিয়ে বেঁধে রেখেছে বক্ষপিঞ্জরে।তারা শুয়েছিলো সেই বেলকুনিতে।শক্ত পাটি বিছিয়ে।কিন্তু এই শীতের রাতের ঠান্ডা হাওয়া ও শিশিরের প্রকোপে যেকোনো সময় গলাব্যথা বা জ্বর বাড়তে পারে ভেবেই রাত দুটো নাগাদ চলে এসেছে রুমে।ঘুমন্ত স্পর্শীকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিতে গিয়েও শেষে মন সায় দেয় নি।পাশের ডাবল সোফাটার দিকে নজর যাওয়ার পর আর মুহুর্ত ও দেরী করেনি।একপ্রকার বুকের উপর নিয়ে শক্ত করে কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে ঘুমিয়েছে সেখানেই।

শীতের ঠান্ডা সকালে এই পুরুষালি বুকের ওম ছেড়ে একদম উঠতে মন চাইছে না স্পর্শীর।কিন্তু উঠতে হবে। রাতের ঝামেলা দ্রুত মেটাতে হবে।যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়ংকর ঘটনা প্রেমা ঘটিয়েছে তাতে পরশ বা পাভেলের ঘুম ভাঙার সাথে সাথে এ বাড়ি ত্যাগ করতে হবে।সে সময় কথা বলার সময়টুকুও পর্যন্ত পাওয়া যাবে না।কোনোরকম আলগোছে স্বামীর দৃঢ় বন্ধন হতে মুক্ত হলো স্পর্শী।কপালে আলতো ঠোঁট ছুঁইয়ে গায়ে চাঁদর পেঁচিয়ে বেরিয়ে কক্ষ ত্যাগ করে।আশেপাশে না তাকিয়েই এই ভোরবেলা চলে এলো সোভামের কক্ষের সামনে।কিছু সময়ের পার্থক্য নিয়ে ধীরে ধীরে দরজা ধাক্কাতে লাগলো স্পর্শী।সোভাম ঘুম ঘুম চোখে বিরক্তি নিয়ে দরজা খুললো।স্পর্শীকে এই সাড়ে চারটার সময় দেখে আশ্চর্য হলো।কন্ঠে সন্দেহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

_“আবার কি কিছু হয়েছে?”
উত্তর দিলো না স্পর্শী।দ্রুত পায়ে ঢুকে গেল রুমের ভেতরে। সুইচবোর্ড খুঁজে লাইট জ্বালিয়ে সোভামের সামনা-সামনি বসলো।কন্ঠে গাম্ভীর্যতা নিয়ে তাড়া দিয়ে বললো,
_“যা জিজ্ঞেস করছি সোজাসাপ্টা উত্তর দিবে।এমনিতেও ঘুম ভাঙার সাথে সাথে শিকদার বাড়ি যেতে হবে।তখন আর জিজ্ঞেস করার সুযোগ পাবো না।”
সোভাম অবাক হলো না।স্পর্শী যে তাকে কাল রাতের ঘটনা নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবে এ ব্যাপারে সে নিশ্চিত ছিলো।স্পর্শী নিজের কাছে কোনো জড়তা রাখলো।সোজাসাপটা গলায় বললো‚

_“আমি জিজ্ঞেস করবো না যে প্রেমা কেন গতরাতে তোমার রুমে এসেছিলো বা কি জন্য এসেছিলো।কারন তুমি কথা অনেক ঘোরাবে।আমি শুধু জানতে চাই ও তোমার রুমের সামনে আসার পরেও কেন তুমি ওকে তাড়িয়ে দাও নি?কেন তুমি উলটো দরজা বন্ধ করেছিলে ওকে ভেতরে নিয়ে?”
এরকম প্রশ্ন মোটেও আশা করে নি সোভাম।ভেবেছিলো হয়তো প্রেমা কেন এসেছে সেই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবে।এর উত্তর ও ভেবে রেখেছিলো সোভাম।প্রেমাকে জিজ্ঞেস করো এটুকু বলে পাঠিয়ে দেবে।কিন্তু এমন ত্যাড়া প্রশ্ন যে করবে সেটা ভাবেনি।পুরো প্রশ্ন টাতে কাঠগড়ায় সোভামকেই দাঁড় করিয়েছে।চুপ করে অন্যদিকে তাকিয়ে এড়িয়ে গেলো প্রশ্নটি।কিন্তু স্পর্শী টললো না।বললো,
“কি হলো,উত্তর কেন দিচ্ছো না?প্রেমা না হয় আবেগের বশে তোমার রুমে এসেছে।ও তোমাকে পছন্দ করে বলে।কিন্তু তুমি কেন ওকে বের করে দাও নি?”

_“স্পর্শীয়া,ঘুমাবো আমি।বের হও এখন।আমি কোনো উত্তর দিতে বাধ্য নই।”
স্পর্শী ভ্রুঁ কুঁচকে ফেললো।শক্ত হয়ে বসেই রইলো সেখানে।সেই দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে উঠে দাঁড়ালো সোভাম।স্পর্শী যে প্রশ্নের উত্তর না নিয়ে যাবে না এটা ওই দৃষ্টিতেই লিপিবদ্ধ। রেগে জেদ নিয়ে পূর্বের মতো বললো,
“আর্শিও তো আবেগে পড়ে গভীর রাতে পালিয়ে গেছিলো পাভেলের কাছে।ও কেন তাড়িয়ে দেয় নি?”
তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো স্পর্শী।বললো,“ফালতু যুক্তি।আমাকে কি পাভেল শিকদার পেয়েছো যে যা-তা বোঝাবে?পাভেল ওইদিন তাড়িয়ে দেয় নি কারন ও আর্শিকে ভালোবাসতো। আর ও যেমন ওকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে কলঙ্কিত করেছে,ঠিক সেভাবে লোকমুখের বিষাক্ত কথা থেকে বাঁচাতে বিয়ে করে সম্মান ও দিয়েছে।এবার তুমি বলো তোমার উদ্দেশ্য কি?তুমিও কি পাভেলের মতো প্রেমাকে ভালোবাসো?বিয়ে করবে ওকে?”
হচ্ছে না। মন মতো কিছুই হচ্ছে।কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে এমন জ্বালাময়ী প্রশ্নোত্তর নেওয়া খুবই বিরক্তিকর।ধমক দিয়ে বললো,

_“অহেতুক কথা বলো না।এমন কিছুই হবে না।”
নিজেকে শান্ত করলো স্পর্শী।এভাবে কথা বললে উত্তর পাওয়া অসম্ভব।সে আবারো বসলো।ভাইয়ের কাছে বসে শান্ত স্বরে বললো,
_“ভাইয়া শোনো।সরাসরি উত্তর দাও।বিষয়টা এখন আর তোমার আর পরশ শিকদারের মধ্যে রেষারেষির মতো সম্পর্কে নেই।এখানে প্রেমা আছে।ওর কথা ভাবো।বেচারি বড্ড আবেগী।তোমাকে পছন্দ করে।ও কাল রাতে খুব বড় একটা ভুল করে ফেলেছে।হয়তো তুমি পাশ কাটিয়ে নিশ্চিন্তে চলে যেতে পারবে। কিন্তু ও পারবে না।বিশাল আঘাত পাবে।দেখো,তুমি যদি ওকে পছন্দ না-ই করো তাহলে এতোটা প্রশ্রয় কেন দিলে?কি জন্য?শুধু কি আর্শি আর আমার জন্য।যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে এখন-ই আমাকে বলো।”

সোভাম গম্ভীরচিত্তে অন্যদিকে তাকিয়ে গমগমে আওয়াজে বললো,
_“কারো সাথে শত্রুতার জেরে আমি কখনো তার বোনকে ব্যবহার করবো না।আর এই শিক্ষা সোভাম সরদার কখনো পায়নি।তবে শিকদার দের হাঁড়ে হাঁড়ে এরকম কাপুরুষতা অস্তিত্ব আছে।”
স্পর্শী চোখ বন্ধ করে পরবর্তী চাল সাজিয়ে নিলো।অনেকক্ষণ ভেবে-চিনতে ভাবুক স্বরে বললো,
_”যদি প্রতিশোধ নিতে প্রেমাকে প্রশ্রয় না দিয়ে থাকো তাহলে কারন কি ছিলো?আমি কি ধরে নিবো,তাহলে তুমিও প্রেমাকে পছন্দ করো।সেজন্যই কি বাঁধা দেও নি?”
চমকে উঠলো সোভাম। বললো,
_“সেরকম কোনো বিষয়-ই না।আমি কেন পছন্দ করতে যাবো ওই মেয়েকে। ফালতু বকবে না।অনেক হয়েছে এবার যাও।”
স্পর্শী মেনে নিলো।বললো,

_“বেশ!এমনিতেও কাল যা ঘটেছে তাতে প্রেমার কলঙ্ক রটতে সময় লাগবে না।বাড়িতে কথা হয়েছে ওরা দ্রুত-ই ওর বিয়ে দিয়ে দিবে।বাচ্চা মেয়ে,আবেগী বয়স ভুল করেছে।বিয়ে দিলে ক-মাস সংসার করার পর আবেগ সেকেন্ডে ভুলে যাবে।প্রেমার সাথে কাল রাতেই কথা হয়েছে।ওকে আমি আগেই বুঝিয়েছিলাম ও মরিচীকায় হাঁটছে।রাস্তাটাও ভুল।ও ভেবেছিলো তুমিও ওকে পছন্দ করো।আর যদি না করো তাহলে বাবা-ভাইয়ের কথামতো বিয়ে করে নেবে।এক রাতেই অনেক শুধরে গেছে মেয়েটা।আমাকে ব্যাস জানার জন্য-ই পাঠিয়েছিলো। জেনে গেলাম,এবারে নিশ্চিন্ত।মেয়েটা ভুল করেছে, আবার শুধরেও নেবে।মাঝখান থেকে এতো ঝামেলা।যাই হোক,আজ মনে হয় আমরা চলে যাবো।আর্শি থাকবে।প্রেমার বিয়েটা হয়তো এ সপ্তাহেই হয়ে যাবে।ডেট ফিক্সড হলেই আর্শিকে নিয়ে যাবো।খেয়াল রেখো ওর।ঘুমাও এখন।”

সোভামের থেকে কোনোরকম উত্তর বা প্রশ্নের অপেক্ষা না করেই রুম ত্যাগ করতে উদ্যত হলো স্পর্শী।হতবাক,হতবিহ্বল হয়ে নিষ্পলক তাকিয়ে রইলো সোভাম।আলতো চেঁচিয়ে বললো,
“বাচ্চা মেয়ে একটা।ওর আবার কিসের বিয়ে দেবে?”
ঠোঁট কামড়ে হাসলো স্পর্শী।পরক্ষণেই চোখেমুখে গম্ভীরতা এনে কপাল কুঁচকে বললো,
“সেটা তো তোমার ভাবার প্রয়োজন নেই।ওর স্বামী আর বাপ-ভাই বুঝে নেবে।”
রাগে গিজগিজ করতে করতে বিছানা থেকে উঠলো সোভাম।সশব্দে ধাক্কা দিয়ে দরজা বন্ধ করলো।জেদের সম্পুর্ণ প্রতিফলন ঘটিয়ে ব্যঙ্গ করে বললো,

_“এতোটুকু মেয়ের আবার স্বামী।মাই ফুট!”
ক্রমশ শরীর জ্বলছে।দাঁতে দাঁত চেপে বললো,_বিশ্বাসঘাতক,সব ক’টা বিশ্বাসঘাতক।রাত কাটতে পারলো না, এরমধ্যে বিকল্প ভেবে টেবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও বসে আছে।গিরগিটি!
স্পর্শী সোভামের রুম থেকে নেমে সোজা বাবার ঘরের সামনে দাঁড়ালো।সামনের চুলগুলোকে সামান্য এলোমেলো করে চোখটাকে ঢলে লাল করে নিলো।কপালে বিস্তর চিন্তার ভাঁজ এনে ধাক্কাতে লাগলো দরজা।হতভম্ব হয়ে গেলো পিপাসা।দ্রুত দরজা খুলে বিধ্বস্ত মেয়েকে দেখতেই শিউরে উঠলেন।স্পর্শী মাকে দেখতেই নাকে টান দিলো।চোখে-মুখে অসহায়ত্ব এনে এগিয়ে গেলো বিছানার দিকে।বাবা শামসুল সরদার ইতোমধ্যে উঠে বসেছেন।হতবাক হয়ে মেয়েকে কিছু বলতে যাবেন এর আগেই স্পর্শী বলা শুরু করলো। কিছুটা রাগ,অভিমান ও কষ্ট মিলিয়ে গমগমে কন্ঠে বললো,

_”আব্বু,এটা কোনো কথা?কিভাবে পারলো ভাইয়া এমন টা করতে।বুঝলাম আর্শি আর আমার বিয়েতে ও রাজী ছিলো না।শিকদার দের পছন্দ করে না।তাইবলে সেই শোধ আমার ঐ বাচ্চা ননদ টার উপরে তুলবে।তুমিই বলো একজন মানুষ লায় না দিলে কিভাবে আরেকটা মেয়ে তার রুমে যায় তাও মাঝরাতে?ধরে নিলাম গেছে,তো ওর কি উচিত ছিলো তাড়িয়ে দেওয়া?তা না করে উলটো ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে সবাইকে দেখিয়েছে।মেয়েটার মান সম্মান সব শেষ।আবেগী মেয়ে,সোভাম ভাইকে পছন্দ করে খুব।আমি ভাইয়াকে বোঝালাম, তুমি যে কথায় কথায় পাভেলকে টানো,আর্শি পালিয়ে গেলেও তো পাভেল ওকে ছাড়েনি।বরং সম্মান দিয়ে ঘরে তুলেছে।

কিন্তু তুমি কেন প্রেমার এমন অসম্মান করলে?এখন তো স্বীকার ও করছো না।’আব্বু ও কোনো উত্তর দিলো না আমাকে।বরংচ ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দিলো।মেয়েটা আবেগী,কালকে ওরা দু-ভাই অনেক বকেছে,মেরেছে।এখন বাড়ি যাওয়ার পর ও বাবা-মা বকবে,মারবে।আর কত কি?যখন শুনতে সোভাম ও স্বীকার করছে না তখন আরেক জায়গায় জোর করে হলেও বিয়ে দিতে চাইবে।যদি এতো ঝামেলা,অপমানের মধ্যে মেয়েটা সুইসাইড করে বসে,তখন?প্রেমার ভাবসাব মোটেও ভালো না আব্বু।যে-কোনো সময় একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে।কাল সারারাতে তোমার জামাই আর আমি ঘুমাই নি।ওকে আমাদের রুমে চোখে চোখে রেখেছি।তুমি একবার ভাবো,যদি এমন কিছু হয়ে যায় তখন আর্শির অবস্থা কি হবে?ও তো অসুস্থ!এখন-ই এই অবস্থায় ও বাড়ির সাথে সম্পর্ক নষ্ট হলে ও কতটা ভেঙে পড়বে।কেন করলো ভাইয়া এমন?“

আর কিছু বলতে পারলো না স্পর্শী।এর আগেই পিপাসা বিলাপ জুড়ে বসলো।হায়হায় করে বললো,
_“আল্লাহ!আমার মেয়ে দুটোর বিয়ে হতে পারেনি এর আগেই সংসার ভেঙে যাবে।আপনার ছেলে এমনটা কিভাবে করতে পারলো?ওকি ওর বোনদের কথাও একবার ভাবে নি।আমার স্পর্শীটার বিয়ে হলো পরশু মাত্র।নাইওর টাও শেষ হতে পারলো না-এর মধ্যেই….. ”
উত্তেজিত হয়ে পড়লেন শামসুল।ক্রমশ স্পর্শীকে বোঝানোর স্বরে বললো,
“তুমি চিন্তা করো না মামনি।আমি দেখছি ওই হতচ্ছাড়াকে।”
বলে বিছানা থেকে নামতেই হাত চেপে ধরলো স্পর্শী।বললো,
_“এখনই যেও না।কথা কাটাকাটি হবে,তোমার জামাইরা বাড়িতে এখনো।শুনলে হুলস্থুল বাঁধাবে।আমরা যাওয়ার পরে বুঝিও তোমার ছেলেকে।”

দরজা খোলার আওয়াজ পেতেই পরশ তাকালো।শীতে কাঁপতে কাঁপতে রুমে ঢুকছে স্পর্শী।দ্রুতপায়ে স্যান্ডেল খুলে ঢুকে পড়লো পরশের কম্বলের মধ্যে।ঠান্ডা পা দুটি ছোঁয়াতেই দাঁত-মুখ খিঁচে নিলো পরশ।বললো,
_“এই সকালে গেছিলে কোন মহাকার্য উদ্ধার করতে?“
_“দুটো আগুন জ্বালাতে।”
পরশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,_“আগুন মানে?কোথায় জ্বালিয়েছো?”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৭

স্পর্শী ক্ষেপলো।বললো,_”বাড়িতে।পরক্ষণেই ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,_“বোকা বোকা কথা বলবে না তো।রান্নাঘরে গেছিলাম।দুটো চুলা জ্বালিয়েছি পানি গরম করতে।”
পরশ আর মাথা ঘামালো না।কন্ঠে গাম্ভীর্য এনে বললো,_“এখন আর শুতে হবে না।ওঠো, ব্যাগ গোছাও।বাড়ি ফিরবো।”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৯