ঠকেছি পর্ব ৪
সুমাইয়া আফরিন ঐশী
“রিধান ভাই, আপনি কি সাত-সকালে আমাকে ভাত খাওয়ানোর জন্য থানায় এসেছেন?”
“আমি তো তাও তোকে ভাত খেতে বলছি, তোর স্বামী তো তোকে সারাদিনটাতে এক গ্লাস পানিও দিলো না।”
উনার গা-ছাড়া কথাতে, আমার এতক্ষণের তেজওয়ালা মুখটা আমসি হয়ে গেল। রিধান ভাই সবটা জেনেও আমাকে মুখের উপর এসব বলছেন? আমার মনের অবস্থা জেনেও তার বলা এই কথাটা, এই মুহূর্তে আমাকে ভীষণ পীড়া দিচ্ছিল। আমি কেবল তার দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,
“আপনি কি আমাকে খোঁচা দিচ্ছেন, রিধান ভাই?”
উনার আবারও সেই গা জ্বা/লানো উত্তর,
“মিথ্যে তো আর কিছু বলিনি। তোর কাছে এটা খোঁচা মনে হলো কেন, তনু?”
বিরক্তিতে আমার মুখ কুঁচকে এলো। গা-টাও জ্বলে গেল শিরশির করে! মা কেন এই হতচ্ছাড়াটাকে এখানে নিয়ে এলো? দুনিয়াতে কি আর কোনো মানুষ ছিল না? রিধান ভাইটাও কেমন কেমন করে আজকাল। উনি তো এমন ছিলেন না। বিদেশে গিয়ে কি উনি বদলে গেছেন?
আমার বিরক্তিকর মুখ দেখে মা আমাদের দু’জনের মধ্যে ফোঁড়ন কাটল। রিধান ভাইকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
“আহ, রিধান? এসব এখন থাক না, বাপ।”
মায়ের প্রত্যুত্তরে রিধান ভাই গড়গড় করে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আমার খিদে পেয়েছে, খালা। আমার এখন ভাত খেতে ইচ্ছে করছে। থানার ওপাশটাতে একটা হোটেল আছে, শুনেছি, ওরা দারুণ রাঁধে। আমি এখন সেখানে গিয়ে ভাত খাব। তুমি কী যাবে আমার সঙ্গে?”
সকাল সকাল রিধান ভাই ভাত খায়? অদ্ভুত তো! যে ছেলে শুধু একবেলা ভাত খায়, ডায়েটের জন্য তাও পরিমাণ মতো, সে এখন থানাতে এসেছে এই ভোর বেলা ভাত খেতে! জগতের সব অদ্ভুত ব্যাপার আমার সঙ্গেই ঘটতে চলছে বুঝি।
আমার ভাবনার মধ্যে মা-ও আমতা আমতা করল,
“খিদে তো আমারও পেয়েছে। কিন্তু….”
মায়ের এ বাক্যের পূর্ণতা মেলে না। রিধান ভাই তাকে থামিয়ে দিল। মায়ের হাত ধরে বলল,
“চল তো, খালা। আগে পেট ঠান্ডা হোক, তারপর দুনিয়া ঠান্ডা করব!”
চোখের সামনে থেকে ওরা দু’জন চলে গেল। মা’কে জোর করেই রিধান ভাই নিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, থানার কোনো আসামিকে টেনে হিঁ/চড়ে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে ডিউটিরত কিছু পুলিশ তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে। অদ্ভুত, তারাও কিছু বলছে না। এদের ব্যবহার আমাকে পুরোপুরি হতাশ করল। কি আশ্চর্য!
ওরা তো গেল ভাত খেতে, আমি কী করব? এখন এখানে একা-একা দাঁড়িয়ে থাকার কোনো মানেই হয় না। অগত্যা আমিও বিরক্তির শেষ পর্যায়ে গিয়ে ওদের পিছু নিলাম।
আমরা তিনজন এখন বসে আছি একটা হোটেলে। মা আর রিধান ভাই আমার সামনাসামনি চেয়ারে বসেছে, আর আমি তাদের বিপরীত চেয়ারে বসে আছি। আমাদের আশেপাশে বেশ কিছু মানুষ বসেছে। কেউ খাচ্ছে, কেউবা খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে, কেউবা প্রিয়জনদের সঙ্গে আলাপ করছে! কিন্তু আমরা তিনজনই এখন চুপচাপ। রিধান ভাই ফোনে কী যেন করছে, মা আড়চোখে বারবার আমাকে দেখছে। আমি তাতে আগ্রহ দেখালাম না। এখানে আসার পর থেকেই আমার খিদে অনুভব হলো। হোটেল থেকে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের চমৎকার ঘ্রাণ নাকে আসছে। এতে আমার পেটে গুড়গুড়িয়ে উঠছে। তখন আমি অনুভব করলাম, খিদে কাকে বলে!
এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, দুনিয়ার সব খাবার আমার পেটে ধরবে। ওরা কখন খাবার দেবে, কখন খাবো আমি? এতটুকুও তাড়না আমার সইছে না। এই মুহূর্তে জগতের কোনো চিন্তা আমার মাথাতেই নেই! এতে মনেমনে বেশ অস্বস্তি হচ্ছিল আমার। এই ভেবে যে, আমি তো খেতে আসতে চাইনি, তখন উল্টো রিধান ভাইকে ধুয়ে দিচ্ছিলাম। এখন যদি সেধে এসে আগে আগে খাবার চাই, ইজ্জত থাকবে? রিধাইন্না যে লাগামহীন মানুষ, দেখা গেল এতোগুলা মানুষের মধ্যে উনি আমাকে কিছু একটা বলে দিলো। এরপর লজ্জায় আমার নাক-কান কা টা গেল! আমি সেরকম রিস্ক নিলাম না।
ভাগ্যিস, আমাদের নীরব অনুভূতি মানুষ অনুভব করতে পারে না। আমার ভাবনার মাঝেই হোটেল বয় এসে খাবার দিয়ে গেলো। রিধান ভাই অর্ডার করেছে সাদা ভাত, বেশ কয়েক পদের ঝাল ঝাল ভর্তা আর দেশি মুরগির ভুনা। সবগুলোই আমার খুব প্রিয়। খাবার সামনে আসার পরই আমি খাওয়া শুরু করেছি। বেশ কয়েক বেলা পর ভাত পেয়ে, বেশ তৃপ্তি নিয়ে আমি খাচ্ছি। আমার খাওয়ার মধ্যেই আচমকা রিধান ভাই মিহি স্বরে শুধালো,
“মামলা করেছিস?”
রিধান ভাইয়ের কণ্ঠে খানিকটা উদ্বেগ, কিন্তু আমার কণ্ঠে গাঢ় দৃঢ়তা। আমি দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দিলাম,
“হ্যাঁ।”
“কি কি বিষয়ে করলি?”
উনার ফের প্রশ্নে আমি ততক্ষণ জবাব দিলাম না। বরং লেকপিসটাতে একটা কামড় দিয়ে মজা করে খেলাম। এরপর একটু পানি খেয়ে পরিষ্কার গলায় বললাম,
“প্রথমেই দ্বৈত বিবাহ মামলা করেছি। তিনি আমাকে না জানিয়ে, আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এটা আমার এবং আমার সন্তানের অধিকার নিয়ে খেলা।”
(আইনি ধারা: দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ৪৯৪
শাস্তি: সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা।)
মা আমার কথাতে বেশ চমকালো। উনি খাওয়ার হাত থামিয়ে দিলেন এবং বেশ আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলো,
“বলিস কি? তাহলে আর কী কী করলি?”
আমি ঠোঁট এলিয়ে হাসলাম। বললাম,
“নারী নির্যা/তনের মামলা করেছি। গর্ভাবস্থায় আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যা/তন করা হয়েছে।”
(আইনি ধারা: নারী ও শিশু নি/র্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ধারা ৩, ৪, ৫
শাস্তি:
ধারা ৩: অঙ্গহানি বা বিকৃতি ঘটালে মৃ/ত্যু/দ/ণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা।
ধারা ৪: যৌ ন নি/র্যাতনের জন্য যাবজ্জীবন কারাদ/ণ্ড এবং জরিমানা।
ধারা ৫: অপহরণ বা পাচারের জন্য মৃ/ত্যুদ/ণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদ/ণ্ড এবং জরিমানা।)
মা সরু চোখে আমাকে দেখলো। আবারও বললো,
“আর কিছু?”
“হ্যাঁ, আরো আছে।”
“বল তো… শুনি?”
আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে মা আর রিধান ভাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম,
“হ্যাঁ, ভরণপোষণ মামলা করেছি। আমি এবং আমার সন্তানের জন্য অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে।”
(আইনি ধারা: মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১-এর ধারা ৩, ৪
শাস্তি: স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্ত্রীর এবং সন্তানের ভরণপোষণ নিশ্চিত করা স্বামীর বাধ্যবাধকতা।)
এ পর্যন্ত শুনে রিধান ভাই বললো বেশ গম্ভীর কণ্ঠে,
“এইটা তো তোর অধিকার। আর কিছু?”
আমি বললাম,
“উনার নামে আমি প্রতারণার মামলাও করেছি। আমাকে ধোঁ কা দিয়ে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে আমাকে বিয়ে করেছেন।”
(আইনি ধারা: দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ৪২০
শাস্তি: সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদ/ণ্ড এবং জরিমানা।)
মা বিস্মিত হলেন আমার হাবভাব দেখে। স্বামীর ক্ষেত্রে আমি এতটা কঠোর হতে পারব, মা হয়তো ভাবতেই পারেননি! এই তো দু’দিন আগেও আমি তার জন্য অঝোর কেঁদেছিলাম। স্বামীর টেনশনে ম রে যাচ্ছিলাম! এসব ভাবলেই আজ হাসি পায়, তাচ্ছিল্যের হাসিতে দুনিয়া ভরে যায়! আমি মুচকি মুচকি হাসলাম। চুপ রইলাম বেশ কিছুক্ষণ। যা দেখে মা অধৈর্য হয়ে আমাকে তাড়া দিলেন,
“শেষে আর কিছু বলবি? আরো আছে না-কি?”
“আরো একটা আছে।”
“কি? কোন বিষয়ে?”
“সম্পত্তি দাবির মামলাও আমি এর সঙ্গে করেছি। আমার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে চাই।”
(আইনি ধারা: সিভিল মামলা (সম্পত্তি দাবির ক্ষেত্রে)
শাস্তি: সন্তানের অধিকার অনুযায়ী সম্পত্তি বণ্টনের আদেশ।)
সবটা শুনে মা জিজ্ঞেস করলেন, “মামলা মোট হলো ক’টা?”
আমি পৈ!শাচিক হাসি দিয়ে বললাম, “পাঁচটা।”
আচমকা রিধান ভাই আমাকে বাহবা দিয়ে বললেন,
“বাহ বাহ! তোর সাহস তো দেখছি অনেক বড় হয়েছে, তনু!”
আমিও তাকে ভাব নিয়ে বললাম,
“জানি, আমি। এটা আমার লড়াই, আমার অধিকার!”
রিধান ভাই আর কিছু বললেন না, নিজের খাওয়ায় মনোযোগ দিলেন। মা-ও আর কথা বাড়ালেন না। তার চোখেমুখে লেপ্টে আছে উৎফুল্লতা! আমিও ওদের নিয়ে আর ভাবলাম না। আমি এখন ভাবছি আমার ভবিষ্যতের কথা, আমার অনাগত সন্তানের কথা, আমার অধিকারের কথা। আবার পৈ!শাচিক হেসে ভাবছি, ওরা যখন মামলার নোটিশগুলো পাবে, ওদের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে?
আমাকে কি হু/মকি দেবে, না-কি আবারও মাহিম সব মিটমাট করতে আসবে? কিন্তু আমি তো তাকে মন থেকেই ক/বর দিয়েছি। এখানে মাহিমের কোনো স্থান নেই, কোনো জায়গা নেই। ও কেমল আমার কাছে একজন অপরাধী!
আমার দেহে প্রাণ থাকা অবধি আমি লড়ব। নারীকে যারা শুধু দুর্বল ভেবে বসে আছে, তাদের আমি আমার সাহসিকতা দেখিয়ে দেব। হাজার হাজার ঠকে যাওয়া নারীকে শেখাব, অধিকার রক্ষার লড়াই!
না না, এই লড়াই কেবল আমার নিজের জন্য নয়, বরং সমাজের অন্য অন্য অবহেলিত নারীদের জন্যও একটি উদাহরণ।
এসব ভাবনার মাঝে কখন যে নিজের প্লেট ভর্তি খাবারটা শেষ করেছি, খেয়াল করিনি। আমার ভাবনায় ভা!ঙন ঘটল মায়ের ডাকে,
“তনু? তনু?”
খানিকটা হকচকিয়ে গেলাম আমি। তবুও নিজেকে সামলে জবাব দিলাম,
“হ্যাঁ, মা।”
“আর ক’টা ভাত দিব, মা? নিবি আরেকটু?”
আমি অনুভব করলাম, আমার পেটে এখনো খিদে রয়েছে। এতটুকু খাবারে পেট ভরেনি। আমি কোনো কিছু না ভেবেই বললাম,
“দাও।”
মা বেশ আয়েশ করে আমার প্লেটে ভাত তুলে দিলেন, ভর্তা তুলে দিলেন, নিজের বাটিতে রাখা মাংসও তুলে দিলেন। আমি খাচ্ছি। আজকের মাংসটা বেশ মজা হয়েছে। আমার আরেক বাটি খেতে ইচ্ছে করছে। রিধান ভাইয়ের মাংসের বাটিটা এখনো ভরা। উনি এখনো ছুঁয়েও দেখেননি। আমি সেদিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে আছি। যা লক্ষ্য করে রিধান ভাই আচমকা আমার দিকে নিজের মাংসের বাটিটা এগিয়ে দিয়ে বললেন,
“নে, খেয়ে নে।”
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আমি সত্যি সত্যিই তার দেওয়া মাংসের বাটিটার সবটুকু মাংসই নিজের প্লেটে তুলে নিলাম, যেন আমি এতক্ষণ ধরে এটারই অপেক্ষা করেছিলাম। আমার ছেলেমানুষী দেখে রিধান ভাই কেমন করে যেন একটু হাসলেন। কিন্তু ততক্ষণে কিছু বললেন না। বললেন আমার খাওয়ার পর। আচমকা রিধান ভাই মা’কে দেখিয়ে বললেন,
“দেখলে খালা, কে যেন বলছিল আমি ভাত খাব না। আমার কি সেই মানসিকতা আছে? এনিয়ে আমাকে কত হু/মকি-ধা!মকি! এখন দেখলে, নিজেরটা তো খেলোই, সঙ্গে আমার মাংসের বাটিটাও সাফ করে দিলো! রা ক্ষ স একটা!”
তার কথায় মা-ও মিটমিট করে হাসলেন।
আকস্মিক, রিধান ভাইয়ের এমন খোঁটা শুনে আমার লজ্জায় ম রে যেতে ইচ্ছে করল। বদলোক! এজন্যই তো বলি, এই লোক তখন এত সাধুগিরি কেন দেখালো! আমার ইচ্ছে করছে এখন পেট থেকে সবটুকু খাবার বের করে উনাকে ফেরত দিয়ে দিতে। তা তো আর সম্ভব না! আমি ছ্যাঁৎ করে উঠলাম আচমকা,
“আমি কি আপনার কাছে আপনার মাংসের বাটি চেয়েছিলাম, রিধান ভাই? নিজেই সেধে দিয়ে এখন আবার আমাকে খাবারের খোঁটা দিচ্ছেন?”
“আমি কি স্বেচ্ছায় দিয়েছি? যেমন করে তুই তাকিয়ে ছিলিস, ওই মাংস আমি খেলেই তো আজ আমাকে ছোট ঘরেই কেবল দৌড়াদৌড়ি করতে হতো!”
আমি লাস্ট আমার প্লেটে তাকিয়ে দেখি একটা হাড় অবশিষ্ট রয়েছে। আমি সেটাই ওনাকে দিয়ে মিছেমিছি রাগ দেখিয়ে বললাম,
“নেন আপনার মাংস, খাবো না আর…!”
বলে আমি উঠে গেলাম, বেসিনে হাত ধুতে। রিধান ভাই পেছন থেকে ছ্যাঁৎ করে উঠলেন। আমি সেসব পাত্তা দিলাম না। এর মধ্যে, ওদের খাওয়াও শেষ। রিধান ভাই বিল দিলেন, আমরা তিনজন একসঙ্গে হোটেল থেকে বেরিয়ে এলাম। এরপর টঙ দোকানে দাঁড়িয়ে চা খেলাম। সবটাতেই আজ বেশ তৃপ্তি পাচ্ছি আমি, আমার সঙ্গে মা-ও। এটা ভাবতেই অবাক লাগে, আজ এমন একটা মুহূর্তে কীভাবে আমি এত আরাম করে খাচ্ছি! মানুষ বড় অদ্ভুত! অদ্ভুত তার মন। মন কখন কী চায়, তা আমরা নিজেরাও বুঝি না। আমি এই মুহূর্তে এসব বুঝতেও চাই না। সেদিন থানার আরো বেশ কিছু কাজ রিধান ভাইকে সঙ্গে নিয়ে গুছিয়ে ফেললাম আমরা। এখনো আদালতের ব্যাপার-স্যাপার বাকি পড়ে আছে! সেখানে আমাকে দরকার হবে।
ঠকেছি পর্ব ৩
তাই,আমরা আর বাড়ি গেলাম না। অসুস্থ শরীর নিয়ে বারবার এত দূর জার্নি আমি এখন নিতে পারব না। এই ভেবে মা ও রিধান ভাই এখানে একটা আবাসিক হোস্টেলে দুই রুম নিলেন। এক রুমে আমি আর মা, অন্য রুমে রিধান ভাই।