রাজবধূ পর্ব ৫
রেহানা পুতুল
শুনে তালুকদারের সেজো ছেলের বউ ডলি বলল,
“আমি জানি কে মলম কিনে আনলো? কে তার পায়ে লাগিয়ে দিলো।”
অন্যরা তার দিকে তাকিয়ে রইলো বিভ্রান্তি চোখে।
বড় বউ রানী বলল,
“কে আনলো? কে লাগাইলো?”
“কে আবার। আমাদের রাজ সাহেব।”
“তুই ক্যামনে জানস?”
“কমনসেন্স ভাবি। যেখানে তাহার বিবির চুল,শাড়ি ধরলো বলে তিনি সীমান্তর গায়ে হাত তুলল। সেখানে ঠ্যাং মচকে গেলো তার বিবির। সে চুপ করে থাকবে?”
“কস কি তুই? নাও হইতে পারে?”
“কইলাম তো। আবার কি না হইবো? তাইলে কি নিশিরাতে আপনি গিয়া মলম লাগাইছেন? মিলায়া নিবেন পরে।”
“বউর ঘ্রাণ না পাইতেই এত উতলানো দরদ?আল্লাগো। এইটা ত অসুবিধার কথা।”
ভাবুকের মতো মুখ তুলে বলল রানী।
জোছনা ডলির উদ্দেশ্যে বলল,
“সাইজ্জা ভাবির কি বেরেন। বাব্বাহ!”
ডলি গর্বের সুরে বলল,
“দেখতে হবে না আমাকে। তালুকদার ঘরের সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা করা বউ আমি। ম্যাট্রিক পাশ। বিয়া না হইলে কলেজ পাশও দিতাম।”
রানী অন্যদিকে চলে গেলো ডলির কথা না শোনার ভান করে। ডলি বরাবরই তাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলে। আর সয়না। জোছনা বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“রাজ ভাইয়ের বউ কয় কেলাস পাশ ভাবি?
” উনি বিয়া পাশ। আর কোন পাশ লাগবে না।”
টিপন্নি করে কথাটা বলল আদুরী। ডলি হেসে উঠলো। বলল,
“তিনি অধ্যায়ন করিলে সামনের বছর আমার সমান হইবে। নয়তো নিচেই,পিছেই পড়িয়া রইবে।”
শিখার উদ্দেশ্যে ডলির ঠাট্টা করে বলা বাক্যটি শুনে আদুরীও বিদ্রুপের হাসি হাসলো। সে জোছনাকে বলল,
“মলম আমার কাছে দে। তুই তোর কাজে যা। আর শোন,শিখা জিজ্ঞেস করলে বলবি তোর মায় রাতে তার পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়েছে। কি মনে থাকবে? তোর মাকে গিয়ে এটা শিখিয়ে দে। যা। ”
জোছনা মলমটা দিয়ে দিলো আদুরীর হাতে। মাথা হেলিয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করলো এবং চলে গেলো।
সুফিয়া বিবি এতক্ষণ নিজের রুমে থেকে সব কথা শুনতে পেলো। আদুরীকে ডেকে বলল,
“ঠিক করছস। এই না হইলো আমার যোগ্য মাইয়া। মতির মা তারে বিকাল বেলায় সেবাযত্ন করলো। রাইতের বেলায়ও মতির মা লুকায়া তারে মলম লাগায়া দিতেই পারে। সে তার মাইয়া জোছনার বয়েসী। ওই মাইয়া যদি জানে জামাই রাইতে আইসা তার পায়ে মলম লাগায়া দিছে। তাইলে তার পাওয়ার বাইড়া যাইবো। ”
“হুম সেটাই। মতির মা চাচীর কথাই এখন তাকে বলব গিয়ে।”
“রাজের বউরে মলম দিয়া এদিকে আয়। কথা আছে। ধর। আংটিটাও দিয়া আয়। নইলে পাঁচ কথা শুরু হইবো।”
আদুরী শিখার রুমে গেলো। শিখা আদুরীর দিকে তাকালো।
“তোমার পায়ের ব্যথা কমেছে? ”
“হ্যাঁ আপু কমছে। আলহামদুলিল্লাহ।”
“নাও। মলম রাখো। এটা রাতে মতির মা চাচী এসে তোমার পায়ে লাগিয়ে দিলো। তুমি ঘুমিয়ে ছিলে বলে বলতে পারনি। এই আংটিটা নাও। আম্মা দিয়েছে। কালকের উপহারের। সবার ভাগে একটা করেই পড়েছে।”
শিখার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো মতির মায়ের কথা শুনে। যাক এই বাড়িতে এমন কেউ আছে। যে তাকে মেয়ের মতো মমতায়, যত্নে আগলে রাখবে। হোক না তিনি এদের কাজের মানুষ। মানুষ তো। এইতো শ্রেষ্ঠ পরিচয়। তার মনটা আদ্র হয়ে উঠলো মতির মায়ের জন্য। ইচ্ছে করছে এখনি গিয়ে উনার পায়ের ধূলো মাথায় নিতে। মলমটা লাগিয়ে দেওয়ার পর হতেই পায়ের ব্যথার অনেকখানি উপশম হয়েছে।
“আপু আমাদের বাড়ি কবে যামু? কে নিয়া যাইবো আমারে?”
সলজ্জ কন্ঠে বলল শিখা।
“এটা আমি জানিনা। মনে হয় ভাইয়াই নিয়ে যাবে তোমাকে। আমি আব্বাকে বলব।”
শিখার সারামুখে খুশীর ঝিলিক উদ্ভাসিত হলো বাবার বাড়ির যাওয়া শুনে।
আদুরী মায়ের রুমে এসে শিখার যাওয়ার কথা বলল। সুফিয়া বিবি বলল,
“আমার পছন্দ বাদ দিয়া তোর বাপে ছেলেরে হাত কইরা এই মাইয়ারে বিয়া করাইছে। তাই এই মাইয়ার কোনকিছুই আমি জানিনা। তারে ক গিয়া। ”
“আম্মা কি কথা আছে বললেন যেন?”
“এহন না। সেই মাইয়ারে নিয়া রাজ স্বশুর বাড়ি গ্যালে সেই সুযোগে কমু। দেয়ালের ও কান আছে। তোর বাপের লগেও তখন আমার বোঝাপড়া আছে। তোর ভাইরাও থাকবো আলোচনায়।”
আদুরী গিয়ে তার বাবাকে শিখার কথাটা জানিয়ে এলো।
রাজ মায়ের রুমে এলো ঘরের পিছনের সাইড দিয়ে। দুঃখ প্রকাশ করে বলল,
“মা শিখাকে এ কেমন রুমে থাকতে দিলেন? আমাদের কাজের লোকেরা যেই রুমে ঘুমায়, সেই রুমে আপনার ছোট ছেলের বউকে ঘুমাতে দেওয়া ঠিক হলো? বাসায় কি থাকার রুমের অভাব? সে গরীব বলে এতটা তুচ্ছ করে দেখলেন? এতে আপনি অপমানিতবোধ করেন নি?”
সুফিয়া বিবি গরম চোখে ছেলের দিকে চাইলেন। রুক্ষ গলায় বললেন,
“ঘরের রাজত্ব আমার। আমি কারে কই ঘুমাইতে দিমু সেইটা আমার বিষয়। তুই ক্যামনে জানলি? তারমানে কাইল রাইতে তুই হের পায়ে মলম লাগায়া দিলি?”
রাজ মায়ের মুখে এই কথা শুনে হকচকিয়ে গেলো। ইতস্ততবোধ করলো। মনে মনে বলল,
“রাতের বিষয় দিনের আলোয় এলো কিভাবে? শিখা? বালিকাটা আসলেই অবুঝ।”
“আপনার পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করিনি বলে এর উপর সেই জেদ ঝাড়বেন আম্মা?”
সুফিয়া বিবি চুপ রইলেন মেঘমুখে। রাজ ভারমুখে চলে গেলো পা ঘুরিয়ে।
জয়নুল তালুকদার দোতলায় ছেলের রুমে গেলেন। বললেন,
“আব্বা ভালো আছেন? নাস্তা করছেন?”
রাজ বাবাকে দেখে খুশী হলো।
“ভালো আছি বাবা। নাস্তা করিনি। আপনার শরীরের কি অবস্থা। মেডিসিন খাচ্ছেন ঠিকভাবে?”
“হ খাইতাছি বাপ।”
মায়ের রুমে যাওয়ার বিষয়টি পিতাকে অবগত করলো রাজ। তিনি বললেন,
“আব্বা আমি তোমার আগেই দেখছি, বউরে কই থাকতে দিছে। তোমার মা তার ভাইজিকে বিয়ে করনি বইলা কালসাপ হইয়া আছে। জানইতো হের স্বভাব। তাই চুপ কইরা আছি। নতুন বউয়ের সামনে ঘরে হাঙ্গামা হলে ভারি বেইজ্জতির কারবার হইয়া যাইবো। তোমার ত শহরে চইলা যাইতে হইবো। আদুরী কইলো বউ বাপের বাড়ি যাইতে চায়। তার মন খারাপ। আর এমনিতেই বিয়ার দুইদিন পর নিয়ম স্বশুর বাড়ি যাইতে হয় ছেলেদের বউ নিয়া। তোমার মায়তো এসব কিছুই নিয়ম কানুন বলে দিবেনা এখন তোমারে। সব আমারেই করতে হইবো। তুমি বউরে দেখছো?
” আপনি বিয়ের আগে বলছেন আমার দেখা জরুরী নয়। চাঁদমুখ মেয়ের। আমি কাল বিকালে একটু দেখলাম ওরে। সত্যিই সে চাঁদমুখ। আপনার পছন্দের প্রশংসা করতেই হয় বাবা।”
চোখ নামিয়ে বলল রাজ।
জয়নুল তালুকদার উপরের দিকে দু’হাত তুলে ধরলেন মোনাজের ভঙ্গিতে। লাখো কোটি শুকরিয়া জানালেন স্রস্টার প্রতি।
“সে তোমাকে দেখছে?”.
” না বাবা। কিভাবে দেখবে?”
” সেটাও কথা। তাহলে তারে আদুরী তোমার রুমে নিয়া আসুক। দেখা কইরা আলাপ কইরা নাও। পরে বিকালে তাদের বাড়ি যাও। আর তুমি চইলা গ্যালে সে তোমার এই রুমেই থাকবো। যখন তুমি বাড়ি আইবা। সে অন্য রুমে ঘুমাইবো।”
রাজ বাবার আদেশের অপেক্ষার প্রহর গুনছিলো। বাবাকে সে ভালোবাসে। শ্রদ্ধা করে। মানে। অবাধ্য হতে পারে না বাবার।
“কেউ আনতে হবে না বাবা। তাকেও বলার দরকার নেই। সে পায়ে ব্যথার জন্য সিঁড়ি বেয়ে উপরে আসতে পারবে না। আমি নাস্তা খেয়ে রেডি হয়ে নিজেই যাব তার রুমে। সারপ্রাইজড হবে।”
” হ তাইলেও চলে। আগে থেইকা পরিচিত হইয়া নিলে ভালো। নয়তো আচম্বিতে তোমারে দেইখা ভড়কাইয়া যাইতে পারে। ছোট মেয়ে।”
“হুম। সে ছোট বলেই ত তাদের পক্ষ হতে থানায় যেতে হলো আপনার অনুমতি নেওয়ার জন্য।”
“হ্যাঁ, আমারে কাইল চেয়ারম্যানও জিগাইলো। এত অল্প বয়েসী মেয়ে বিয়া করাইলাম। পুলিশ বাড়িতে আসেনাই? জেরা করেনাই? আমি চেয়ারম্যানকে কইলাম সব হাত করছি। আইচ্ছা আব্বা থাকো। গেলাম। একটু জিরামু।”
নাস্তা খেয়ে শিখা রুমে একা বসে আছে। পাংশুটে মুখ। কেউ কোন কাজের ফরমায়েশ দিচ্ছে না। কি করবে সে। যেচে কাজ করতে গেলেও যদি কথা শুনতে হয়। নিলির্প্ত চাহনি জানালার ফাঁক গলিয়ে নারকেল,সুপারি বাগানের দিকে। তার হৃদয়ে নববরের মুখ দর্শন করার কোন উদগ্রীবতা ও উৎফুল্লতাও নেই। বরং চায়, না দেখা হোক। না কাছাকাছি হোক।
কাঁচা বয়স। জ্ঞান সীমিত। তাই বুঝে নিলো,
নিচু দরিদ্র ঘরের মেয়ে আমি। রাজকপাল নিয়ে জন্মেছি বলেই এমন বড় অবস্থাসম্পন্ন ঘরের বউ হওয়ার সৌভাগ্য হলো। পরিবারে লোক বেশী। আর লোক যেখানে বেশি, সেখানে দোষত্রুটিও বেশী। আম্মা বলছে, শ্বশুর বাড়িতে নতুন নতুন অনেকেই অনেক কথা বলে। ওসব মনে গাঁথতে নেই। উড়ায়া দিতে হয় ঘুড়ির মতো। থাউক। খাওয়া পরার ত আর কোন অভাব হবে না।
ভাবনা শেষেই শিখা দেখতে পেলো বাগানের ভিতর থেকে ফুলবানু আসতেছে। হয়তো কোন কাজে গিয়েছে। তার একটু পরেই দেখলো বাদশাও আসতেছে। ধরে নিলো বাদশাও হয়তো কোন কাজে গিয়েছে।
জয়নুল তালুকদার সুফিয়ার রুমে এলেন। ঠান্ডা সুরে বললেন,
“বিবি তোমার সঙ্গে ও বাকি সবার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।”
“কন। হুনি আপনার কি আলাপ? আছেন ত মৌজে। নিজের দিলের আউশ মেটাইতে পারলেন। কি এমন ইতিহাস, যার লাইগা এই মাইয়া বিয়া করাইতেই হইলো আপনার? যন্ত্রণায় ত আছি আমি।”
” এখন না। রাজ বধূ নিয়া শ্বশুর বাড়িতে যাউক বিকালে। তারপর বলব। রাজরে সাদি জোর কইরা করাই নাই সুফিয়া। তুমিওতো তোমার ভাইজি আঁখিমনির কথা কইলা। রাজ করল না ক্যান? আমি মানা করছি? কও? সেতো তোমার ভাইজিরে চিনে,দেখছে কত। আর এই শিখারে দ্যাখেওনাই কোনদিন। তার মনে ধরলো ক্যান সব শুইনা? আমার কি ভুল ?”
“হইছে যান। আমার কথাও তখন বলুম। হেরা দুইজন চইলা গ্যালে।”
জয়নুল উঠে চলে গেলো আফসোস করতে করতে। বুঝতে পারলো সুফিয়া বিবির মেজাজের ঝাঁঝ একই অবস্থায় আছে। কোন ব্যত্যয় ঘটেনি আজ চারদিনেও।
আজ আদুরীর মন বাড়াবাড়ি রকমের খারাপ। কারণ তার জন্য বিয়ের সম্বন্ধ এসেছে। তাকে বিয়ে দিবে। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর বাবা,মা তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। তালুকদার ঘরের এমনিতেই ঠাটবাট। অত পড়ে কি হবে। জজ, ব্যারিস্টার ত হবে না। হবার দরকারই বা কি। ঘরেও বেকার বসে থাকবে কেন। সংসার করুক। সেই ভালো।
আদুরী বাড়ির অদূরে গিয়ে একটি প্রাচীন তেঁতুল গাছতলায় বসে আকুল নয়নে কেঁদে বুক ভাসিয়ে ফেলছে। সে শোয়েব নামের একটি ছেলেকে ভালোবাসে। কিন্তু পরিবার তাকে শোয়েবের হাতে ভুলেও তুলে দিবে না। এর বড় কারণ দুটো। এক,শোয়েবরা মধ্যবিত্ত। দুই, তালুকদার বংশের কোন ছেলেমেয়ে কোনদিন সম্পর্ক করে বিয়ে করতে পারবে না। পরিবার দেখে শুনে বিয়ে দিবে সন্তানদের। তালুকদার পরিবারের অনেক নিয়মের মধ্যে এটাও একটা বড় নিয়ম।
রাজ ড্রেসিং টেবিলের বিশাল আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘরোয়াভবে রেড়ি হলো। একটি টিশার্ট পরে নিলো। পরনে কালো রঙের নতুন ট্রাউজার। হাতে ব্র্যান্ডের ঘড়ি। শুকনো ঝরঝরে চুলগুলোয় চিরুনি বুলিয়ে নিলো। পায়ে চামড়ার ফ্ল্যাট স্যান্ডেল। তুরুস্কের দামী পারফিউমের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিলো সারাগায়ে। প্রবল উত্তেজনা নিয়ে রাজ দোতলা থেকে নামলো।
শিখা উঠে দাঁড়ালো। মনস্থির করলো , কেউতো তাকে ঘর,বাড়ি,বাগান,পুকুর চারপাশ ঘুরিয়ে দেখাল না। সে একাই ঘুরে ঘুরে সব দেখবে। আর কত এভাবে শুয়ে বসে থাকা যায়। কেউ তার কাছে আসে না। দু’চারটা কথা বলে না ভালো করে। সবাই আপন কাজে মগ্ন। সেতো এখানে মগ্ন হবার কিছুই পেল না।
আলগোছে শাড়ির কুচি ধরে খানিক উপরে তুলে নিলো সে। পা বাড়ালো রুম থেকে বের হওয়ার জন্য। সামনে চোখ যেতেই দেখলো, শ্যামবর্ণের লম্বা, চওড়া, সুদর্শন এক যুবা পুরুষ দরজার দু’পাশে দু’হাত দিয়ে দাঁড়ানো। তার এক পায়ের উপর আরেক পা পেঁচিয়ে রাখা। দৃষ্টি গভীর! স্থির! ঠোঁটের কোণে খেলা করছে মৃদু হাসি। সে হাসি রোমাঞ্চিত! পুলকিত!
শিখা পা পিছিয়ে নিয়ে দপ করে বিছানায় বসে পড়লো। ভাবলো সীমান্তের মতো কেউ ফাজলামো করতে এসেছে। ভীরু চোখে চেয়ে,
রাজবধূ পর্ব ৪
“আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়া আপনে কে?”
রাজ সম্মোহিত চোখে চেয়ে আছে শিখার পানে। শিখা বিরক্ত হলো এবার।
গোল গোল চোখে চেয়ে বলল,
“যাইবেন? না চিল্লামু আমি?”
শিখার কথা রাজ শুনতে পেল না। গম্ভীর অথচ মোহনীয় স্বরে বলল ,
“তুমি আমার জীবনে অজস্র কাঁচের গুঁড়ির মাঝে এক টুকরো জ্বলজ্বলে হিরক খন্ড। আমি তোমায় লুকিয়ে রাখবো।”