রাজবধূ পর্ব ১০

রাজবধূ পর্ব ১০
রেহানা পুতুল

মাঝরাতে চারদেয়াল ভেদ করে শিখার আর্তচিৎকার কারো কানেই পোঁছাল না। কেবল অশরীরী আত্মার মতো শিখার সেই নৈরাশ্যবাদী চিৎকার দেয়ালেই ঘুরলো প্রতিধ্বনি হয়ে।
হাসু ঘাবড়ালো না এতে। বরং মনে বিরক্তির উদ্রেক হলো তার। শিকারির ফাঁদে পাখি না আটকা পড়লে শিকারির উত্তেজিত হওয়াই বাঞ্চনীয়। তার ধারণা ছিলো শিখা এতটুকুন একটা মেয়ে। ভয়ে নিরব থাকবে। সে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থেকেই কর্কশ স্বরে বলল,

” থামো। তোমার চাইতে দেখি তোমার গলার স্বর অনেক লম্বা। আমি দরজা দিলাম এইজন্য,
আজ বুবুর কথা শুনে মনে হইলো তোমারে এরা কেউই দেখতে পারে না। তাই আমি মামা হিসেবে তোমার ভালোর জন্যই কিছু পরামর্শ ও উপদেশ দিতে আসলাম। যেন তোমার মঙ্গল হয়। দিনেতো সবাই থাকে। সুযোগ হবে না। দেয়াল ঠেসে দাঁড়ায়া আছো কেন? কাছে আসো। আস্তে করে সব বলি। কি করবা, ক্যামনে চলবা। দেয়ালেরও কান আছে।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শিখা মৃগী রোগীর ন্যায় ঠকঠক করে কাঁপছে। ভেবে কূল পাচ্ছে না কি করবে। কোন রুমে কে ঘুমায় সেতো জানে না। আর জানলেও এই ঘোর নিশিতে কাজ হবে না। সবাই অর্ধমৃত হয়ে আছে। তারা উঠতে উঠতে হাসু তার সঙ্গে কোন বড় নোংরামি করে ফেলতে পারে। তাই সে ঘর থেকেই বেরিয়ে যাবে ঠিক করলো মনে মনে।
হাসুর কথা তার বিশ্বাস হচ্ছে না। দিনেই এসব বলা যেতো। সে ভীতু হতে পারে। কিন্তু তত বোকা নয়। স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সে। ভালোমন্দের তফাৎ বিচার করার নূন্যতম জ্ঞানবুদ্ধি তার হয়েছে।
“মামা দরজার সামনে থেইকা সইরা যান কইছি। আমি বাথরুমে যামু।”
হাসু সরে গেলো দরজা ছেড়ে। শিখা দরজা খুলতে গেলে সে পিছন হতে শিখার সরু কোমর একহাত দিয়ে পেঁচিয়ে ধরলো। আরেক হাত দিয়ে শিখার মুখ চেপে ধরলো। বিছানায় চিৎ করে শুইয়ে দিলো। শিখার দুই পা ঝুলে আছে খাটের নিচে। নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারছে না কিছুতেই।

শিখার নিটোল অঙ্গে হাসু হাতের খেলায় মেতে উঠলো। শিখা তার এক পা দিয়ে কষে হাসুর অ*ণ্ড * কোষ বরাবর লাথি মেরে বসলো। হাসু ওহ! বলে কুঁকিয়ে উঠলো তীব্র যন্ত্রণায়। বসে পড়লো। সেই সুযোগে শিখা রুম থেকে বের হয়ে গেলো। প্রায় দৌড়ে ঘরের পিছনের দরজা খুলে চলে গেলো উঠানের মাঝে। সামনের দরজা দিয়ে সে চাইলেও বের হতে পারতো না। লোহার গেটে বড় লোহার একটা তালা মারা থাকে। চাবি কোথায়,কার কাছে সে তাও জানে না।

কোনদিকে ভ্রুক্ষেপ করল না শিখা। হন্তদন্ত হয়ে একটি আম গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলো। বক্ষ দুরুদুরু করে কাঁপছে। আবছা আলোয় দেখলো মাটিতে একটা গাছের ডাল পড়ে আছে। সে শক্তপোক্ত ডালটি হাতে নিয়ে নিলো।
হাসু শশব্যস্ত হয়ে উঠানে ছুটে গেলো। ক্ষ্যাপাটে ক্ষুধার্ত কুকুরের ন্যায় শিখাকে তল্লাশি করছে সব চিপাচাপার মধ্যে।
খনিক বাদেই শিখা তার গা ঘেঁষে হাসুর উপস্থিতি টের পেলো। সে পিছন হতে ডালটা তুলেই সজোরে হাসুর মাথায় আঘাত করলো। লালসায় ব্যর্থ হওয়া অসফল হাসু মাটিতে কাত হয়ে পড়ে গেলো।

শিখা দৌড়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো। এলোমেলো পায়ে এসে নিজের রুমের দরজায়ও ছিটকিনি আটকিয়ে দিলো। কোন টুশব্দটি করল না। অনবরত কাঁপছে প্রচন্ড ঝড়ে তালপাতা কাঁপার ন্যায়। তার হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক গতিতে উঠানামা করছে। মেঝেতে হেলান দিয়ে গুটিসুটি মেরে বসলো দুই হাঁটু ভাঁজ করে। ডুকরে কেঁদে উঠলো।
“আম্মাগোওওও…ও আম্মা। আমারে কই বিয়া দিলা? বিয়ার দিন থেইকা দেখতাছি এদের নির্দয়তা। এইখানে বাঁচন যাইবো না আম্মা। আমি আইজ, এখন, খুব ডরাইছি আম্মা। আমারে নিয়া যাও তোমার কাছে। আমার ভালো খাওন,ভালো পিন্দন চাইনা। আমাগো বাড়িতে শাকপাতা,আর শুটকি দিয়া ভাত খাইলেও অনেক ভালো ছিলাম আম্মা। আমি পড়ালেখা করুম। আমার আব্বার স্বপ্ন পূরণ করুম। অনেক বড় হমু। মাইনষের উপকার করুম। সংসার আমার লাগব না আম্মা। ”

ষোড়শী শিখার বিলাপের মিহি স্বরের কান্না কেউই শুনতে পেলনা। রাতের নৈঃশব্দ্যতায় সেই আঁখিভেজা কান্না মিলিয়ে গেলো বাতাসার মতো। সবাই বেঘোরে ঘুমাচ্ছে সুখ স্বপ্ন দেখতে দেখতে। কাঁদতে কাঁদতে শিখার হেঁচকি উঠে গেলো গলায়। আধগ্লাস পানি খেয়ে নিলো। এই পানিটুকু সে রাতের জন্য রুমে এনে রাখে। নয়তো পিপাসায় গলা শুকিয়ে গেলেও এখানে পানি পায়না সে। ডাইনিং টেবিল তার রুম থেকে দূরে। কেননা রাতের অন্ধকারে সেখানে পানি খেতে গেলে আবার কোন অঘটন ঘটে আর তার উপর অত্যাচার নেমে আসে।
শিখা বিছানার উপরে উঠে গেলো। নিচে ঠান্ডা লাগছে। চিন্তা করছে হাসু লোকটা কি ওভাবেই পড়ে আছে? কই দরজায় ত কারো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। শিখার ভীরু দুটি আঁখিতে ঝিমুনিভাব নেমে এলো। একসময় তলিয়ে গেলো গভীরঘুমে।

হেমন্তের শিশির ভেজা ভোর। সেই ভোরের আকাশে হালকা কুয়াশা। প্রকৃতিতে মৃদু শীতের আমেজ। ফুলবানু ও বাদশা পাশাপাশি বসে আছে একটা শিমুল গাছের গোড়ায়। এটা তালুকদার বাড়ির জংগলের শেষ সীমানা। ওরা তাদের গৃহভৃত্য। তাই প্রভাতকালেই উঠতে হয় তাদের প্রত্যেকের। নিদ্রা না ফুরোলেও। ফুলবানু ও বাদশা গাছগাছালীর নানা কাজের ছুতোয় ভোর ও সন্ধ্যায় এদিকে চলে আসে। দুজনে ক্ষণকাল বসে প্রণয়ালাপ করে। হাস্যরসের খুনসুটিতে মেতে উঠে শিশুর মতো। তারা দুজন এ স্থানটির নাম দিয়েছে প্রেমকুঞ্জ। ওদের প্রণয়ের সময়কাল এক বছর। শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের উপরে জুতোর তলা ঢলতে ঢলতে ফুলবানু বাচ্চামো গলায় বাদশাকে বলল,

“বাদশা ভাই, আমারে ফুল আইনা দেন না।”
“কোন ফুল?”
“কোন ফুল মানে? চউক্ষের সামনে কোন ফুল দেখা যাইতেছে?”
“ওহ। বুঝছি। কামিনী ফুল। বয়। আনতাছি।”
বাদশা কিছু শুভ্ররঙা কামিনী ফুল ছিঁড়ে নিলো দু’হাত ভরে। এনে ঢেলে দিলো ফুলবানুর ওড়নার কোঁচায়। ফুলবানু কিছু ফুল নাকে চেপে ধরলো। বনের উদাসী পাখির মতো ঠায় চেয়ে রইলো কুয়াশায় জড়াজড়ি করে থাকা দুটো গাছের দিকে। বলল,
“ফুলের খুশবু আমার কি যে ভালো লাগে বাদশা ভাই। আমার আগে থেইকাই শখ,ফুল ভালোবাসা ছেলের লগেই যেন আমার বিয়া হয়। আমি একটা ফুল বাগান করমু তার বাড়িতে যাইয়া। অবসর হইলেই ফুলের বাগানে বইসা থাকুম।”

ফুলবানুর অনুভব,অনুভূতিকে যত্নের সাথে গুরুত্ব দিলো বাদশা। সে কামিনী ফুলগুলোর মাঝ থেকে কয়েকটি ফুলের লাগোয়া কাণ্ড ফুলবানুর খোঁপায় গুঁজে দিতে দিতে আপ্লুত স্বরে বলল,
“তোর নাম এর লাইগাই ফুলবানু। ফুল তোর চুলেই শোভা পায়। ”
“আমার না ভারি ডর করে বাদশা ভাই।”
“ক্যান? ক্যান ডর করে ফুল?”
“তালুকদার ঘরে প্রেম পিরিতি নিষিদ্ধ। যদি আমরা দুইজন ধরা খাইয়া যাই। মাইরা ফালাইবো।”
ফুলবানুর একহাত বুকের মাঝে চেপে ধরে বাদশা বলল,
“আমাগো ভালোবাসা হইলো পিউর লাভ। লাইলী মজনুর মতোন। দেহ আলাদা হইলেই অন্তর আলাদা করন যাইব না ফুল। ফুল আর বাদশার অন্তর একসঙ্গে মিশা আছে লবন পানির মতন। আমরা যেই সাবধান হইয়া চলি ধরা খাওনের সুযোগ নাই। আমরাতো প্রেম করি এই বাগান আর জঙ্গলে আইসা।”
“সত্য কইছেন বাদশা ভাই। এই গাছ,লতাপাতা,ফুল,পাখি,কীটপতঙ্গ আমাগো প্রেমের সাক্ষী। বিয়ার সময় হেগোরে দাওয়াত দিতে হইবো।”

খিলখিল হাসিতে বাদশার গায়ে লুটোপুটি খায় ফুলবানু।
“হইছে আমার কটকটির মা। ল যাই। আলো ফুইটা যাইতাছে। সবাই উইঠা গ্যাছে এবার। তুই নারকেল গুলা ঝুড়িতে ল আগায়া। আমি সুপারি নিতাছি।”
তারা দুজন উঠে যায় সেদিনের রোমাঞ্চের ইতি ঘটিয়ে। কয়েক পা এগিয়ে এলেই ফুলবানু বিষ্ফোরিত গলায়,
“ও আল্লাহগো ওই দেহেন এইটা কি?”
বাদশা পা চালিয়ে যায়। ফুলবানু থরথর করে কাঁপতে থাকতে।
” ফাটা হাসু মামা না বাদশা ভাই?”

বাদশার মুখ দিয়ে রা সরেনা। ফুলবানু হাউকাউ করতে করতে বাড়ির অন্দরমহলে ছুটে যায়। সঙ্গে করে নিয়ে আসে সবাইকে। কিছু লাল জংলী পিঁপড়া মৃতের শরিরে অবাধে বিচরণ করছে। জমে শক্ত হয়ে আছে। কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে সামনের উঠানে এনে একটি পাটিতে হাসুকে রাখলো। সুফিয়া বিবি ছুটে এসে ভাইয়ের গায়ের উপর আছড়ে পড়লো। আহাজারি করে রোদন করছে সৎ ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে।
বড় তালুকদারের শালার লা*শ পাওয়া গেলো তাদের বাড়ির জঙ্গলে। এক দু’কান করে এ খবর চাউর হতে কালক্ষেপণ হলো না। উঠানে জনস্রোতের মতো উৎসুক মানুষের ঢল বাড়তে লাগলো ক্রমশ। হৈ চৈ কানাঘুঁষা আরম্ভ হলো।
কে মারলো? কেন মারলো? কোন মানুষ নাকি জ্বিন, ভূতে মারলো?

তালুকদার পরিবারের সবাই স্তম্ভিত! এমন নৃশংস ঘটনা তাদের পরিবারে এই প্রথম ঘটলো।
ঘরে বাইরে হুলুস্থুল অবস্থা শুরু হলো। সঙ্গে তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি। শিখা আওয়াজ শুনতে পেয়ে শোয়া থেকে গড়িয়েই বিছানা হতে নেমে গেলো। অজানা আশংকায় তটস্থ হয়ে গেলো সে। অবিন্যস্ত শাড়ির কুচি ও আঁচল ঠিক করে জানালাটা মেলে দিলো। তাকে থাকতে দেওয়া রুমটিতে মাত্র একটি জানালা রয়েছে। রুমটি ছোট হলেও জানালাটি আয়তনে ও প্রস্থে দালানের বাকিসব জানালার মতোই। সে বাইরে এক ঝলক তাকালো। দেখলো ঘরের পিছনের এই পাশটা অন্যসময়ের মতই ফাঁকা। তারমানে কোলাহল সামনের দিক হতে আসছে।

শিখা তার রুমের কাঠের দরজার হাতাটি খুলতে যাবে। তক্ষুনি তার কাঁধ স্পর্শ করে কিছু একটা মেঝেতে পড়লো। সে সামান্য ব্যথা পেলো। তবে সহনীয়। চোখের কোণে সীমাহীন বিরক্তিভাব ফুটে উঠলো। শিখা দরজা থেকে হাত সরিয়ে নিলো। ঝুঁকে সেটা তুলল। সাদা পলিব্যাগ দিয়ে পেঁচানো ছোট্ট একটি ভাঙ্গা ইটের টুকরো। পলিব্যাগ ছিঁড়ে নিলো। ভিতর থেকে আবিষ্কার হলো সাদা কাগজের একটি চিরকুট। তাতে লেখা রয়েছে,
” শিখা তোমার জানালা খোলার অপেক্ষায় ছিলাম। দূর হতে ছুঁড়ে মারার জন্য ইটের টুকরো ব্যবহার করতে হলো। কাল রাতের ঘটনা আবেগে পড়ে দ্বিতীয় কাউকেই বলতে যেওনা। জেনে রাখো,তাতে তুমি বিপদে পড়ে যাবে। বাঁচার পথ খুঁজে পাবে না। অন্যদের মতো তুমিও হঠাৎ শোনার মতো করে দুঃখ প্রকাশ করবে।”

ইতি, তোমার চেনা শুভাকাঙ্ক্ষী।
শিখা গুরুত্ব সহকারে বার তিনেক পড়লো চিরকুটটি। সাবধান বাণীগুলো তার খুব পছন্দ হলো। বারবার পড়ায় মুখস্থ হয়ে গেলো। বালিশের নিচে রেখে দিলো সযতনে। জানালায় গিয়ে যতদূর যায় দৃষ্টি মেলে দিলো। কোথাও কেউ নেই। নেই কোন মানুষের অস্তিত্ব!
শিখা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে দরজা খুলে বের হলো। সামনের দরজায় গিয়ে পা রাখলো মাথা ঢেকে। তার কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতে হয়নি। করতে চায়ওনা সে। এই পরিবারের কেউ আজ পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া তার সঙ্গে যেচে আন্তরিক হয়ে কথা বলেনি। হয়তো কোনদিন বলবেও না। গরীব ঘরের মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের জাত খোয়াবে নাকি। তারসঙ্গে শুধু কাজ করা লোকগুলোই এগিয়ে কথা বলে। কারণ তার ও তাদের একই শ্রেণী।
জোছনা তাকে দেখেই কণ্ঠকে খাদে নামিয়ে বলল,

” ভাবি উঠছেন নি। এইদিগেতো তুলকালাম কাণ্ড! ফাটা হাসুর লা* শ পাওয়া গ্যালো বাড়ির পিছনের জঙ্গলে। ভাবি আমার মনে হয় সে কোন আকাম করতে ওইখানে গ্যাছে আর ভূতে ঘাড় মটকাইয়া দিছে।”
“কি আকাম হইতে পারে?”
অস্ফুট স্বরে জানতে চাইলো শিখা।

রাজবধূ পর্ব ৯

“ভাবি হ্যাতে নেশার বোতল খায়। ডাইল খায়। এইটা ফুলবানু আমারে কইছে। কার এত ঠ্যাকা পড়ছে হ্যাতের মতন মাইনষেরে মাইরা জেলের ভাত খাওনের? আপনে নতুন বউ। উঠানের দিকে যাইয়েন না। ঘরের ভিতরেই থাকেন।”
শিখা নির্বিকার! একাধিক প্রশ্নবাণে তার হৃদয়টা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। হায় খোদা! দয়া করুন! সামান্য একটা ডালের আঘাতে একজন পুরুষ মরে গেলো? কিন্তু অতদূরে নির্জনে জঙ্গলে তার মৃতদেহ কিভাবে গেলো? আর চিরকুট দেওয়া সেই আড়ালের ব্যক্তিটিই বা কে? সে কিভাবে রাতের বিষয় জানলো? কি হচ্ছে এই বাড়িতে এসব? এতো দেখি সবই রহস্য আর ধুম্রজালের খেলা। শান্তি কোথায় এই বাড়িতে?

রাজবধূ পর্ব ১১