পারমিতা পর্ব ৩৪
Nabila Ahmed
ড্রয়িং রুমে বসে কফি খাচ্ছে অরিয়ন। হাতে পাশেই ল্যাপটপ রাখা। মিতার সাথে কথা বলা শেষ করে নিজের রুমে চলে যায় অরিয়ন। গতকাল রাতে মিতাকে দেখবে বলে বাড়িতে তাড়াতাড়ি চলে আসে অরিয়ন। কিন্তু মিতা তখন নিজেদের বাড়ি চলে গেছে। গেস্ট রুম থেকে বের হয়ে যেতে নিয়েও বের হলো না অরিয়ন। বিছানায় নিজের গা এলিয়ে দেয়। মিতার সব কিছুই যেন স্বস্তি নিয়ে আসছে অরিয়নের জীবনে। খালি রুমটাও যেন অরিয়নকে ফিল করাচ্ছে মিতার উপস্থিতি। শুয়ে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলো খেয়াল করেনি অরিয়ন। সকালে ঘুম ভাঙ্গলে অপেক্ষা করতে থাকে মিতার। মিতা যখন আসলো তখন এই ভেবে রাগ উঠে গেলো অরিয়নের যে, মিতা নিজেকে অরিয়নের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।
কফি খেতে ব্যস্ত থাকা অরিয়নের সামনে হাবিব চৌধুরী এসে দাঁড়ায়। মাথা উঁচু করে নিজের বাবার দিকে তাকায় অরিয়ন।
–কিছু বলবে?
কফি মগ টেবিলের উপর রেখে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিব চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে অরিয়ন।
হাবিব চৌধুরী কোনো জবাব দিলো না। অরিয়নের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
–কিছু কী হয়েছে?
বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে অরিয়ন।
–ঠাসসসসসসসসসসস।
হঠাৎ করে বিদ্যুতের গতিতে হাবিব চৌধুরীর হাত গিয়ে স্পর্শ করে অরিয়নের গালকে। থাপ্পড় বসিয়ে দিয়েছেন হাবিব চৌধুরী। হাবিব চৌধুরীর থাপ্পড়ে ব্যাথা পাইনি অরিয়ন। তাও হঠাৎ করে এরকম হওয়ায় মুখ অন্য দিকে সরে গেলো। অরিয়ন অবাক হয়ে নিজের বাবার দিকে তাকায়।
–এতো বড় সাহস তোর? তুই মিতার গায়ে হাত তুলিস?
অরিয়নের শার্টের কলায় ধরে বলে রাগান্বিত হাবিব চৌধুরী।
এতোক্ষণে হাবিব চৌধুরীর রাগ বুঝতে পারছে অরিয়ন। তাও কিছু বললো না। মাথা নিচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে রইল অরিয়ন।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
–এই শিক্ষা দিয়েছি তোদের? কাপুরুষের মতো নিজের স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার?
অরিয়নের কলার ধরা অবস্থায় চেঁচাতে থাকে হাবিব চৌধুরী।
–জবাব দে, কী জন্য মিতার গায়ে হাত তুলেছিস?
আবারও প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।
কি জবাব দিবে অরিয়ন? এই যে মিতার ঐ কথাটা শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেছিলো অরিয়নের? নাকি মিতা অরিয়ন সম্পর্কে এমনটা ভাবতে পারে তা বুঝে কষ্ট লাগছিলো অরিয়নের তা? নাকি নিজেকে প্রতিবার মিতার সামনে হেল্পলেস মনে হয় তা? নাকি নিজের কোনো কিছুই আর কন্ট্রোল করার ক্ষমতা নেই অরিয়নের তা?
অরিয়ন কোনো জবাব না দিয়েই চুপ করে রইল।
–জবাব দে অরিয়ন, তা না হলে আমি ভুলে যাবো তুই আমার ছেলে।
চিৎকার করে বলে হাবিব চৌধুরী।
আনিকা চৌধুরী বাইরে থেকে সরেমাত্র বাড়িতে পা দিয়েছে। বাড়িতে ঢুকতেই ড্রয়িং রুমে হাবিব চৌধুরী আর অরিয়নকে এভাবে দেখে অবাক হয়ে যায়। হাতে থাকা ব্যাগ ফেলেই দৌড়ে চলে যায় দু জনের কাছাকাছি।
–হাবিব ছাড়ো, কি করছো তুমি? ছাড়ো বলছি।
হাবিব চৌধুরীর হাত ধরে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে আনিকা চৌধুরী।
–ছেড়ে দিবো? তোমার গুনধর ছেলেকে জিজ্ঞেস করো কি করেছে ও।
আনিকা চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলে হাবিব চৌধুরী।
–কী করেছে? তুমি ওর কলার ছাড়ো।
আনিকা চৌধুরী হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলে।
আনিকা চৌধুরীর চেষ্টায় হাত ছেড়ে দেয় হাবিব চৌধুরী। অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে অরিয়নের দিকে।
–কী করেছিস তুই? হাবিব এতো রেগে গেলো কেন?
অরিয়নের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে আনিকা চৌধুরী।
অরিয়ন কিছু না বলে চুপ করে রইল।
–কী হয়েছে বল?
আবারও প্রশ্ন করে আনিকা চৌধুরী।
–বল, বল তোর মাকে যে তোকে শিক্ষা দিয়েছি আমরা। বল যে, নিজের ওয়াইফের গায়ে হাত তুলিস তুই।
বলে হাবিব চৌধুরী।
–কীহ?
অবাক হয়ে বলে আনিকা চৌধুরী।
–কীহ না। বলো হ্যাঁ। মিতাকে থাপ্পড় মেরেছে। ভাগ্যিস আমি দেখেছিলাম তা না হলে…কতদিন ধরে এসব করে আসছিস?বল, জবাব দে।
অরিয়নের দিকে আবারও এগিয়ে যেতে যেতে বলে হাবিব চৌধুরী।
–থামো হাবিব। এই জন্য তুমি অরিয়নের গায়ে হাত তুলেছো?
অবাক হয়ে হাবিব চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে আনিকা চৌধুরী।
–ঐ মেয়েটা কিছু করেছে বলেই মে*রেছে। অরিয়ন শুধু শুধু গায়ে হাত তোলার মতো ছেলে না।
বলে আনিকা চৌধুরী।
–আর ইউ সিরিয়াস আনিকা?
অবাক হয়ে বলে হাবিব চৌধুরী।
আনিকা চৌধুরী কিছু বললো না। নিজের একনিষ্ঠ মতামতে স্থির রইল।
–যাই করুক, গায়ে হাত তোলার অধিকার ওর নেই।
দাঁতে দাঁত চেপে বলে হাবিব চৌধুরী।
–ছেলে মেয়ে নষ্ট হয়ে গেলে তাকে শাসন করাত অধিকার সবার আছে। আর ঐ মেয়ে কতটা ভালো তা জানা আছে আমার। দোষ ঐ মেয়ের আমি জানি।
বলতে থাকে আনিকা চৌধুরী।
অরিয়ন নিজের হাত শক্ত করে মুঠ করে রেখেছে। দাঁতে দাঁত চেপে ধরা।
–তুমি আর তোমার ছেলে একই রকম। এখন মনে হচ্ছে, ওর জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছি তোমার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে।
কথাটা বলেই ড্রয়িং রুম থেকে চলে যায় হাবিব চৌধুরী।
–তোর বাবার কথায় কিছু মনে করিস না। আমি জানি তোর কোনো দোষ নেই। হাতে ব্যান্ডেজ করা কেন? হাত কাটলো কীভাবে?
অরিয়নের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে নিতেই হাতের দিকে চোখ যায় আনিকা চৌধুরী।
–তেমন কিছু না।
কথাটা বলেই ল্যাপটপ নিয়ে ড্রয়িং রুম থেকে চলে যায় অরিয়ন।
আনিকা চৌধুরী নিজের জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। “এই মেয়েটা এখন বাবা ছেলের মধ্যেও সমস্যা শুরু করে দিয়েছে। ম*রে গেলেও বাঁচতাম” মনে মনে বলে আনিকা চৌধুরী।
আজ আফরিনদের বাড়িতে পার্টি রাখা হয়েছে। মিতা সকাল সকাল এই বাড়িতে চলে এসেছে। রাতে হাবিব চৌধুরী, আনিকা চৌধুরী, অরিয়ন ও আবরার আসবে। পুরো পার্টিটা সারপ্রাইজ হিসেবে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে মায়া চৌধুরী। খুশিতে আফরিনকে সব বলেই দিয়েছে, লুকাতে পারেনি। আফরিন যদিও প্রথমে না করেছিলো কিন্তু নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করতে শেষমেশ রাজি হয়ে যায়।
পার্টিটা ক্লাবে না রেখে বাড়িতেই আয়োজন করার ব্যবস্থা করেছে মায়া চৌধুরী। পুরো বাড়ি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ড্রয়িংরুম পুরো খালি করে এক পাশে স্টেজ করা হয়েছে। অন্য পাশে সবার বসার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকেই মায়া চৌধুরীর সাথে হাতে হাতে এই কাজ ঐ কাজ করছে মিতা। আফরিন ও বসে নেই, আফরিনও টুকিটাকি কাজ করছে।
সন্ধ্যা ৭ টা।
বাড়িতে মেহমান আসা শুরু করেছে। মায়া চৌধুরী আর ওয়াহিদ চৌধুরী রেডি হয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মেহমানদের স্বাগতম জানাচ্ছে।
আফরিনের রুমে বসে আছে আফরিন আর মিতা। আফরিনের গায়ে সাদা রঙের ফুলহাতা একটা গাউন। মুখে হালকা পাতলা মেকাপ করা হয়েছে। কাধ পর্যন্ত থাকা চুলগুলো এখন খানিকটা বড় হয়েছে তাই চুল ছেড়ে রেখেছে আফরিন। মিতার চোখে পানি, দৃষ্টি আফরিনের গাউনের দিকে। এই আফরিন এক সময় ফুলহাতা জামা পছন্দ করতো না কিন্তু আজ, আজ শরীরের দাঁগ ঢাকতে ফুলহাতা জামা পড়তে হয়েছে আফরিনকে।
–তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে, মিতা।
চুল আঁচড়াতে আচঁড়াতে বলে আফরিন।
–এইতো আপু, এখন ই যাচ্ছি। তুই নিচে চলে যাও। সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।
হাতে নিজের গাউন নিয়ে ওয়াশরুমের দরজার কাছে গিয়ে বলে মিতা।
–ওকে। বেশি লেট করবি না কিন্তু।
কথাটা বলেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আফরিন।
মিতাও ওয়াশরুমে চলে যায়। আফরিন ধীরে ধীরে হেটে বারান্দায় আসে। পুরো বাড়ি আজ হরেক রকমের লাইটিং দিয়ে সাজানো। সিড়িগুলো ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। নীল গোলাপ দিয়ে। আফরিনের পছন্দের রঙ।
নিচে নামতেই মায়া চৌধুরী দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে আফরিনকে। এতোদিন পর আফরিনকে দেখতে সকলেই হাজির হয়েছে।
মিতার পরনে আজ গ্রীন কালারের গাউন। জরি সুতার কাজ পুরো গাউনে। চুলগুলো ছাড়া, সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি। আফরিনের মতো হালকা মেকাপ করেছে মিতা। নিজের বোনের জন্য দেওয়া এই পার্টিটা সুন্দরভাবে কাটুক এটাই মিতার একমাত্র কামনা। একদিন আগে অরিয়নের সাথে ঝগড়া হওয়ার পর, হাবিব চৌধুরী সব জানার পর অরিয়ন আর হাবিব চৌধুরীর মধ্যে কি হয়েছে তা মিতা জানেনা। শুধু জানে এরপর আর অরিয়ন মিতার রুমে আসেনি।
মিতাও এড়িয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেদিন অরিয়নের কথা শুনে মিতার বুঝতে বাকি রইল না যে, আফরিন যতোটা ভেবেছিলো তার থেকেও বেশি অরিয়ন নির্ভর হয়ে পড়েছে মিতার উপর। তা না হলে একটা মানুষ লা*শ দেখতে প্রস্তুত তাও তাকে ছাড়তে প্রস্তুত নয় এটা কোনো স্বাভাবিক মানুষের চিন্তা হতে পারে না। তাড়াতাড়ি করে একবার নিজেকে দেখে হাটা শুরু করে।
বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে মিতা। পুরো বাড়িতে মেহমানে ভরে গেছে। উপর থেকে নিজের মা বাবা আর আফরিনকে খোজার চেষ্টা করছে মিতা। মায়া চৌধুরীকে এক পাশে কারো সাথে কথা বলতে দেখেই হাসি ফুটে মিতার চোখে। ধীরে ধীরে সিড়ি বেয়ে নেমে আসে মিতা।
–মা আপু কোথায়? দেখছি না যে।
মায়া চৌধুরীর কাছে যেতেই প্রশ্ন করে মিতা।
মাথা ঘুরিয়ে মিতার দিকে তাকায়। পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার মিতাকে দেখতেই মুখে এক আলতো হাসি ফুটে।
–মাশ আল্লাহ। আমার মেয়েকে তো আজ হুরপরী লাগছে।
বলে মায়া চৌধুরী।
–কিন্তু আপু থেকে বেশি না। আপুকে সব সময় বেশি সুন্দর লাগে।
মুখ ভেংচি দিয়ে বলে মিতা।
–তাই নাকি? আফরিন তো উলটোটা ভাবে।
হেসে বলে মায়া চৌধুরী।
–বাদ দেও সেই কথা। আপু কোথায়?
প্রশ্ন করে মিতা।
–এখানেই তো ছিলো। ঐ দিক টায় আছে নাকি দেখ তো।
আশেপাশে মিতাকে খুজতে খুজতে বলে মায়া চৌধুরী।
–আচ্ছা আমি যাচ্ছি। তুমি কথা বলো।
–আচ্ছা।
আফরিনকে খুজতে খুজতে মিতা প্রায় হাপিয়ে উঠেছে। একে তো গাউনটা অনেক ভারী তার উপর এপাশ থেকে ওপাশ খুজতে খুজতে মিয়ার অবস্থা কাহিল।
“ধুর, কোথায় চলে গেলে আপু?” কোমরে হাত রেখে বিরবির করে বলে মিতা। হুট করেই চোখ যায় ড্রিংকস সেকশনের দিকে। আফরিনের গাউনের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। মানুষের জন্য এতোদূর থেকে স্পষ্ট সব দেখা যাচ্ছে না। মিতা তাড়াতাড়ি করে একটু এগিয়ে যেতেই দেখতে পায় আফরিন দাঁড়িয়ে আছে। আফরিনের সামনেই টুলের উপর বসে আছে আবরার। কিছু একটা নিয়ে দুজনে কথা বলছে। আবরারের পরনে আজ ব্লু কালারের স্যুট। আবরারের পাশেই বসে আছে অরিয়ন। পরনে ব্লাক কালারের স্যুট।
অরিয়ন তাকিয়ে আছে আবরার আর আফরিনের দিকে। নাকি শুধুই আফরিনের দিকে? এক অজানা দৃষ্টিতে আফরিনের দিকে তাকিয়ে আছে অরিয়ন। “কি সেই চাহনির মানে? ভালোবাসা?” প্রশ্ন জাগে মিতার মনে। আবরারের সাথে কথা শেষ করতেই আফরিন ফিরে তাকায় অরিয়নের দিকে। অরিয়নের দিকে তাকাতেই আফরিনের ঠোঁটে বিশাল এক হাসি ফুটে উঠেছে। অরিয়নও আলতো করে এক হাসি দিলো।
“তোর কারণে এরা আজ আলাদা, তোর কারণে এরা একে অপরকে মেনে নিতে পারছে না, ভালোই হতো যদি তুই মরে যেতি” মিতার মনে কথাগুলো উঠতে থাকে। বুঝতে পারে চোখ ভিজে এসেছে মিতার। মিতা আর সেদিকে না গিয়েই উলটো দিকে হাটতে থাকে।
–লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান।
সকলের উদ্দেশ্যে বলে উঠে আবরার।
সবাই খাওয়া যার যার টেবিলে বসে আছে। মিতার পাশে আফরিন বসা। অন্য টেবিলে হাবিব চৌধুরী, ওয়াহিদ চৌধুরী, আনিকা চৌধুরী ও মায়া চৌধুরী বসে আছে। অরিয়নকে দূরের কোনো টেবিলে দেখা যাচ্ছে।
–আফরিন আপু সব বিপদ-আপদ পেরিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছে তাই বিশাল খুশি আমরা। তাই এই দিকে আপুকে ডেডিকেট করে একটা গান গাইবো আমি।
আবরার কথাটা বলতেই সকলে খুশিতে চেচিয়ে উঠে।
Tum Aaye To Aaya Mujhe Yaad
Gali Mein Aaj Chand Nikla
Jaane Kitne Dinoon Ke Baad
Gali Mein Aaj Chand Nikla
Jaane Kitne Dinoon Ke Baad
Gali Mein Aaj Chand Nikla
Gali Mein Aaj Chand Nikla
Gali Mein Aaj Chand Nikla
Tum Aaye To Aaya Mujhe Yaad
গান গাওয়া শেষ হতেই সকলে হাতে তালি দিতে থাকে।
–সেই হয়েছে আরিয়ান ভাইয়ায়া…অনেক সুন্দর।
চেয়ার থেকে উঠে চেঁচিয়ে বলে মিতা।
পাশেই আফরিন হাতে তালি দিচ্ছে। মুখে ফুটে আছে বিশাল হাসি।
–এখন গান গাইবে অরিয়ন ভাইয়া।
কথাটা বলেই হুরহুর করে হেটে গিয়ে অরিয়নের হাতে মাইক দিয়ে দেয় আবরার।
মিতা দূর থেকে দেখছে অরিয়ন গান গাইতে চাচ্ছে না। আবরার হাত ধরে জোড়াজুড়ি করছে। একটু রাগ করার অভিনয়ও করছে। অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায় অরিয়ন। স্টেজের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ায়।
I, I just woke up from a dream.
Where you and I had to say goodbye.
And I don’t know what it all means.
But since I survived, I realized.
Wherever you go, that’s where I’ll follow.
Nobody’s promised tomorrow.
So I’ma love you every night like it’s the last night.
Like it’s the last night.
If the world was ending, I’d wanna be next to you.
If the party was over and our time on Earth was through.
I’d wanna hold you just for a while and die with a smile.
If the world was ending, I’d wanna be next to you.
পারমিতা পর্ব ৩৩
গান গাইতে গাইতেই কী হলো কেউ কিছু বুঝে উঠার সময় পেলোনা। মাইক ফেলেই দৌড় দেয় অরিয়ন। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে অরিয়নের দিকে। হঠাৎ করে কেনো দৌড় দিলো বুঝতে পারছে না। অরিয়নের দৌড় দেখে আফরিন আর মিতা নিজেদের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। মিতা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে অরিয়ন দৌড়ে এই টেবিলের দিকেই এগিয়ে আসছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই মিতার সামনে এসে দাঁড়ায় অরিয়ন।
–শিউউউউউউউউ..
মিতার কানে একটা অদ্ভুত শব্দ আসতেই মাটিতে লুটিয়ে পরে অরিয়ন।