পারমিতা পর্ব ৩৫

পারমিতা পর্ব ৩৫
Nabila Ahmed

কিছুক্ষণ আগে।
স্টেজে দাঁড়িয়ে গান গাইছে অরিয়ন। গান খাইতে থাকা অরিয়নের নজর একটু পর পরই মিতার দিকে যাচ্ছে। পরীকে কেন আজ এতো সুন্দর লাগছে অরিয়নের কাছে তা বুঝতে পারছে না। তবে শুধু এতোটুকুই মনে হচ্ছে যতোবার মিতার দিকে তাকাচ্ছে ততোবারই অরিয়নের নিশ্বাস আটকে আসছে।

I’d wanna hold you just for a while and die with a smile.
গানের লাইনটা গাইতেই আবারও মিতার দিকে তাকাতেই একটু অবাক হয় অরিয়ন। মিতার কপালের দিকে লাল রঙের লাইটের আলোর মতো কিছু দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত আলোটা সরে সরে তার জায়গা বদল করছে। আশে পাশের কোথা থেকে এই আলো আসছে তা দেখার জন্য সব লাইটের দিকে ভালোভাবে তাকায় অরিয়ন।
গানে ব্যস্ত সবাই কারো মুখের দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করেনি। সকলের নজর শুধু স্টেজে দাঁড়িয়ে থাকা অরিয়নের দিকে। চারপাশ একবার দেখে যখনও আলোর উৎস খুজে পেলো না অরিয়ন তখন আবারও মিতার দিকে তাকায়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

If the world was ending, I’d wanna be next to you.
লাইনটা গাইতে গাইতেই আবারও মিতার দিকে তাকায় অরিয়ন। লাল রঙের আলোটা একবার কপাল বরাবর ও একবার বুকের দিকে দেখা যাচ্ছে।
“লেজার রশ্মি” মনের মধ্যে কথাটা উঠতেই মাইক ফেলেই দৌড় দেয় অরিয়ন।
মিতার সামনে এসে দাঁড়ায় অরিয়ন। মিতার দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আগেই গু*লি এসে লাগে অরিয়নের বুকে। নিমিষেই মাটিতে লুটিয়ে পরে অরিয়ন।

–রিয়নননননননননননন…
চিৎকার করে উঠে মিতা।
–আফনানননননননন….
আফরিনও চিৎকার করে উঠে।
–রিয়ন, কি হয়েছে তোমার? রিয়ন? রিয়ন কথা বলো?
মাটিতে পড়ে থাকা অরিয়নকে ধরে বলতে থাকে মিতা।
–ভাইয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া…
–অরিয়ননননননননন….
দূর থেকে ভেসে আসে সকলের আওয়াজ।

হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে অরিয়নকে। বাড়ির সকলেই আর বেশি অপেক্ষা না করেই সাথে সাথে নিয়ে এসেছে। হাসপাতালে আনার সাথে সাথেই অরিয়নকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আনিকা চৌধুরী আর মায়া চৌধুরী অনবরত কেঁদেই যাচ্ছে। তাদের পাশেই রয়েছে হাবিব চৌধুরী ও ওয়াহিদ চৌধুরী। দু জনের চোখেও পানি দেখা যাচ্ছে।
অপারেশন থিয়েটার থেকে একটু দূরেই দাঁড়িয়ে আছে আফরিন, মিতা আর আবরার। সকলেই কান্নায় ব্যস্ত।
–কি হলো কিছু… কিছু বুঝে উঠার সময় ও পেলাম না।
বলে আবরার।
–আফনানের চোখেই পড়তে হলো।
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে আফরিন।
মিতা কেঁদেই যাচ্ছে। কি বলবে? এতোকিছু কি কম ছিলো যে নতুন করে মিতার জন্য অরিয়নের প্রাণের উপর দুই বার করে বিপদ যাবে? কেনো মিতাকে বাঁচাতে অরিয়নকেই এগিয়ে আসতে হবে? কেন অরিয়নের উপর বিপদ আসার আগে মিতার মৃত্যু হয় না?
–ছাড়ো আমাকে, ছাড়ো।
দূর থেকে আনিকা চৌধুরীর কথা ভেসে আসে।
–আনিকা মাথা ঠান্ডা করো, অরিয়নের কিছু হবে না।
হাবিব চৌধুরী আনিকা চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে কথাগুলো বলতে থাকে।

–আমাকে ছাড়ো হাবিব।
এক ধাক্কা দিয়ে হাবিব চৌধুরীকে দূরে সরিয়ে দেয় আনিকা চৌধুরী।
হাবিব চৌধুরী দূরে সরে যেতেই হাটা শুরু করে আনিকা চৌধুরী। ক্ষণিকের মধ্যে গিয়ে পৌঁছায় মিতার সামনে।
–ঠাসসসসসসসস…
মিতার গালে থাপ্পড় মা*রে আনিকা চৌধুরী।
–আনিকা আন্টি!!
অবাক হয়ে বলে আফরিন।
–মা? কি করলে তুমি?
চেঁচিয়ে উঠে আবরার।
–অলক্ষি, অপয়া। আমার ছেলের জীবনটা নিয়েই শান্তি হবে তোর তাই না?
মিতার বাহু ধরে কাঁদতে কাঁদতে চেঁচিয়ে বলতে থাকে আনিকা চৌধুরী।
–আমার ছেলের পিছু কেন ছাড়ছিস না? কেন? আমার অরিয়নের কিছু হলে তোকে আমি খু*ন করে ফেলবো।
আবারও বলতে থাকে আনিকা চৌধুরী।

–আপা ছাড়ুন ওকে। আনিকা ছাড়ো মিতাকে। কি আজে বাজে বলছো তুমি!
মায়া চৌধুরী আর হাবিব চৌধুরী, আনিকা চৌধুরীর হাত ধরে টানতে টানতে বলে।
–আজেবাজে বলছি আমি,হাবিব? আজেবাজে বলছি? এই মেয়ের জন্য আমার অরিয়ন ম*রতে বসেছে।
–শয়তান মেয়ে, আমার মেয়ের জীবন নিয়ে শান্ত হয়নি তোর মন? এখন আবার আমার ছেলের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু করেছিস?
আবারও মিতার বাহু ধরে ঝাকিয়ে বলে আনিকা চৌধুরী।
আনিকা চৌধুরীর কথা শুনতেই সকলের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল মিতা আর আনিকা চৌধুরীর দিকে। মিতা যে নাকি এতোক্ষণ মাথা নিচু করে সব সহ্য করে যাচ্ছিলো আনিকা চৌধুরীর কথা শুনতেই মাথা উঁচু করে তাকায়।

“আমার মেয়ের জীবন নিয়ে শান্ত হয়নি তোর মন? এখন আবার আমার ছেলের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু করেছিস?”
“আমার মেয়ের জীবন নিয়ে শান্ত হয়নি তোর মন? এখন আবার আমার ছেলের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু করেছিস?”
আনিকা চৌধুরীর কথাগুলো বার বার মাথায় ঘুরছে মিতার। কি বলে আনিকা চৌধুরী এসব? তার মেয়ে? আনিকা চৌধুরীর কোনো মেয়ে ছিলো? অরিয়নের বোন ছিলো কোনো? কিছুই মাথায় ঢুকছে না। অবাক হয়ে তাকায় মায়া চৌধুরী ও হাবিব চৌধুরীর দিকে। তাদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে কেউ তাদের মাথা বন্দুক তাক করে রেখেছে।
–আনিকা…
দুঃখভরাক্রান্ত কণ্ঠে বলে উঠে হাবিব চৌধুরী।
–কী হাবিব কী? আর কতদিন আমার কষ্টের চাইতে এই মেয়ের ভালো বড় করে দেখবে তুমি? আর কতদিন?
কাঁদতে কাঁদতে হাবিব চৌধুরীকে প্রশ্ন করে আনিকা চৌধুরী।
–এই মেয়ের জন্য আমার অহনাকে হারিয়েছি আমি। আমার ছোট্ট অহনা। আর এখন, এখন আমার অরিয়নকেও কেড়ে নিবে এই মেয়ে।
মিতার দিকে ঘৃণার চোখে তাকিয়ে বলে আনিকা চৌধুরী।

–মা?
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ডাক দিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় মিতা। এগিয়ে যায় মায়া চৌধুরীর দিকে।
–মা? কি বলছে আন্টি এসব?
মায়া চৌধুরীকে ধরে জিজ্ঞেস করে মিতা।
মায়া চৌধুরীর চোখে পানি। অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকায় মিতার দিকে।
–কি বলছে উনি? আমি মে*রে ফেলেছি কাকে? অহনা কে মা?
প্রশ্ন করে মিতা। ক্ষণিকের জন্যও মিতার চোখ থেকে পানি পড়া বন্ধ হচ্ছে না।
মায়া চৌধুরী একবার হাবিব চৌধুরী ও আনিকা চৌধুরীর দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকায়। এরপর আবারও নিজের নজর ফেরায় মিতার দিকে। করুন সেই চাহনি যেন মিতার নজর থেকে আড়াল হলো না।
–এখন চুপ করে আছো কেন মায়া? তোমার গুনধর মেয়েকে বলো অহনা কে? বলো কিভাবে আমার ছোট্ট অহনাকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে ও। বলো কেন ওকে আমি দেখতে পারিনা।
মায়া চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলে আনিকা চৌধুরী।

–আপা প্লিজ।
অনুরোধের সুরে বলে মায়া চৌধুরী।
–আমি কি সত্যি কাউকে খু*ন করেছি?
প্রশ্ন করে মিতা।
–না না না, তুই এরকম কিছুই করিস নি। তুই নিজেও..
–যদি নাই করে থাকি তবে কেন? কেন তোমরা কখনো আমার প্রতি আন্টির কঠোর ব্যবহারের প্রতিবাদ করোনি? কেন কখনো বলোনি মিতার সাথে এভাবে কথা বলবেন না? কেন সবাই সব দেখেও না দেখার মতো ছিলে? জবাব দেও মা।

মায়া চৌধুরীর কথা শেষ হওয়ার আগেই বলা শুরু করে মিতা।
মায়া চৌধুরী আর কোনো কথা বললো না। মাথা নিচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে লাগলো। হাবিব চৌধুরী ততোক্ষণে টেনে আনিকা চৌধুরীকে নিয়ে গেছে।
হঠাৎ করেই মিতা কেমন যেন পাথরের মতো হয়ে গেল। নিজের জায়গায় গিয়ে আবারও বসে অপেক্ষা করতে থাকে। চোখ দিয়ে পানি পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল যেদিকে চোখ যায় সেদিকে।
-মিতা ত..
–নো আরিয়ান ভাইয়া.. আমি এখন কিছুই শুনতে চাই না।
আবরার কথা বলার জন্য মিতার পাশে গিয়ে বসতেই চুপ করিয়ে দেয় মিতা।
এদের কারো কাছ থেকেই মিতা আর কিছু শুনতে চায় না। আগে কোথায় ছিলো এরা? সবাই সব জেনেও মিতাকে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেনি। খু*ন, মিতা কারো খু*ন করেছে। সে কেউটা আর অন্য কেউ না। আনিকা চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে অহনা চৌধুরী। আরিয়ান আর অরিয়নের একমাত্র বোন। এই কারণেই হয়তো আরিয়ান আর অরিয়ন কখনো আনিকা চৌধুরীর বিপক্ষে কথা বলেনি। মিতার জন্য প্রতিবাদ করেনি।
কথাগুলো ভাবতেই মিতার মুখে তাচ্ছিল্যের এক হাসি ফুটে উঠে। “গু*লিটা কী আমার লাগলে বেশি ভালো হতোনা? একই অপরাধ আর কতবার করবো আমি?” মনে মনে ভাবে মিতা।

কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে পুলিশের ভীর জমে যায়। বিশিষ্ট শিল্পপতি হাবিব চৌধুরীর ছেলের গায়ে গু*লি লেগেছে তাও নিজেদের পার্টিতে তা যেন এখন দেশের সব থেকে বড় খবর। সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকার পরও কিভাবে পার্টিতে গু*লি চললো তাই বুঝে উঠতে পারছে না কেউ।
হাবিব চৌধুরী ও ওয়াহিদ চৌধুরী পুলিশের সাথে সব কিছু নিয়ে কথা বলতে ব্যস্ত। আনিকা চৌধুরীর পাশেই বসে আছে মায়া চৌধুরী। অপেক্ষা করছে অরিয়নের খবর আসার।
দীর্ঘ ৫ ঘন্টা অপারেশন চলার পর থিয়েটারের লাইট বন্ধ হতেই দৌড়ে দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় আনিকা চৌধুরী। মিতা আর আফরিন ও নিজের জায়গা থেকে উঠে দাঁড়ায়। আবরার তাড়াহুড়ো করে গিয়ে নিজের মার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

–ডাক্তার এখন অরিয়নের কি অবস্থা? অরিয়ন ঠিক হয়ে যাবে তো?
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে আনিকা চৌধুরী।
–আমরা গু*লি বের করে নিয়েছি। আর একটুর জন্য হৃদপিণ্ডে লাগেনি তাই বেঁচে গিয়েছে। কেবিনে নিলে দেখা করতে পারবেন।
জানায় ডাক্তার।
–ধন্যবাদ ডাক্তার।
বলে মায়া চৌধুরী।
— আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
বলতে থাকে আনিকা চৌধুরী।

অরিয়নকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছে। সবাই কেবিনে বসে অপেক্ষা করছে অরিয়নের জ্ঞান ফিরার। মিতা নিজের জায়গায় এখনো পাথরের মতো বসে আছে। কেবিনে আসেনি।মিতার সাথে এতোক্ষণ আফরিনও বসে ছিলো। একটু আগেই কেবিনে গেছে অরিয়নকে দেখতে।
সকাল ৬ টা করে অরিয়নের জ্ঞান ফিরে। ডাক্তার জানিয়েছে কিছুদিন বেড রেস্টে থাকতে হবে অরিয়নকে।
–এখন তো অরিয়নের জ্ঞান ফিরেছে, এখন বাসায় চলো। একটু ফ্রেশ হয়ে আবার এসো।
হাবিব চৌধুরী আনিকা চৌধুরীকে বলে।
–না, অরিয়নকে এভাবে রেখে আমি যাবো না।
জানিয়ে দেয় আনিকা চৌধুরী।

–ভাবী, আপনি যান। গতকাল থেকে আপনার শরীরটাও ভালো নেই। খাওয়া দাওয়া করে আসেন। আমরা তো আছি এখানে।
বলে ওয়াহিদ চৌধুরী।
–না ওয়াহিদ। অরিয়নকে একা রেখে আমার পক্ষে বাসায় যাওয়া সম্ভব নয়।
বলে আনিকা চৌধুরী।
–তাহলে…তাহলে চলো নাস্তা করিয়ে আনি। তাতে তো সমস্যা হওয়ার কথা নেই। নাস্তাও যদি করতে না চাও তাহলে তোমাকে এখানে আর আসতেও দিবো না, আনিকা।
বলে হাবিব চৌধুরী।
–জ্বি আপা, হাবিব ভাই ঠিক বলেছে। নাস্তা করে আসুন।
বলে মায়া চৌধুরী।
–ওকে।

হাবিব চৌধুরী, আনিকা চৌধুরী আর মায়া চৌধুরী গিয়েছে নাস্তা করতে। ওয়াহিদ চৌধুরী কেবিনে আছে। সাথে আবরার আর আফরিন ও আছে।
সবাই চলে যেতেই কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে ওয়াহিদ চৌধুরী। হেটে চলে যায় মিতার সামনে।
–অরিয়নের জ্ঞান ফিরেছে।
বলে ওয়াহিদ চৌধুরী।
ওয়াহিদ চৌধুরীর কথা শুনে মিতা উঠে দাঁড়ায়। মুখে নেই কোনো এক্সপ্রেশন। হেটে কেবিনের দিকে এগোতে থাকে। ওয়াহিদ চৌধুরী কিছু বললো না। মিতা কী করছে তা দেখার চেষ্টা করলো। কেবিনের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখতে পায় ঘুমন্ত অরিয়নকে। বুকে ব্যান্ডেজ করা। হাতে স্যালাইন চলছে। বেডের একপাশে আবরার বসে আছে অন্য পাশে চেয়ারে বসে আছে আফরিন।
মিতাকে দেখতেই আফরিন কিছু বলতে নিয়েও বললো না। মিতার নজর শুধুই বিছানায় শুয়ে থাকা অরিয়নের দিকে। আফরিন আবরারের দিকে তাকিয়ে চোখে কিছু ইশারা করতেই আবরার আর আফরিন উঠে দাঁড়ায়। মিতাকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায় আবরার।

–ধৈর্য্য ধর। ও এখন ভালো আছে।
মিতার মাথায় হাত রেখে কথাটা বলেই রুম থেকে বেড়িয়ে যায় আফরিন।
কেবিনের দরজা লাগতেই মিতা ধীরপায়ে গিয়ে দাঁড়ায় অরিয়নের বেডের কাছে। বেডের একপাশে বসে মিতা। নিজের হাত দিয়ে আলতো করে অরিয়নের ডান হাত স্পর্শ করে। চোখ দিয়ে আবারও পানি পড়তে শুরু করেছে মিতার।

পারমিতা পর্ব ৩৪

কারও উপস্থিতি, কারও স্পর্শ কখন থেকে অরিয়ন বুঝতে পারলো তা জানেনা। শুধু জানে হঠাৎ করে বুক ধুকধুক করা শুরু হয়েছে। মন বার বার বলছে “রুমে পরী আছে”। হাতে স্পর্শ অনুভব করতেই তা যেন নিশ্চিত হয়ে গেলো অরিয়নের কাছে। সাথে সাথেই চোখ খুলে তাকায়।

পারমিতা পর্ব ৩৬