তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ১২
Raiha Zubair Ripti
ঢাকা মেডিক্যালের পাশে থাকা একটা কফিশপ। তিন নম্বর চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছে নীরা। বারবার হাত ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে সময় দেখছে। বিশ মিনিট হলো সে বসে আছে। এদিকে ক্লাসের ও সময় হয়ে যাচ্ছে। বিরক্ত হয়ে বসা থেকে উঠে বের হতে নিলে আচমকা এক রমণী তার সামনে এসে দাঁড়ায়। নীরা ভরকে যায়। মাথা তুলে তাকাতেই দেখতে পায় তার বাবার প্রাক্তন স্ত্রী কে। চোয়াল দ্বয় শক্ত হয়ে আসলো। শ্রেয়া চেয়ার টেনে মুখে হাসি টেনে বসতে বসতে বলল-
-” সরি ফর লেট। চলে যাচ্ছিলে। বসো।
নীরা বসলো না।
-” আপনি আমাকে গতকাল মেসেজ দিয়ে এখানে আসতে বলেছিলেন?
-” হুম।
-“হাউ ডেয়ার ইউ সেন্ড মি অ্যা মেসেজ ফ্রম অ্যান আননোন নাম্বার অ্যান্ড টেল মি টু কাম হিয়ার?
শ্রেয়া স্মিত হাসলো। নীরার বাহুতে হাত রেখে বলল-
-” কাম ডাউন নীরা। এতো রেগে যাচ্ছ কেনো?
নীরা হাত টা ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলল-
-” একদম স্পর্শ করবেন না আমায়। আপনি জানেন না আমি কেনো রেগে যাচ্ছি? আই হেট ইউ মিসেস শ্রেয়া খন্দকার।
-” আচ্ছা শোনো আমার কথাটা।
-” আপনার কোনো কথাই আমি শুনতে চাই না। ফারদার আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।
-” আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি।
-“ কিসের সাহায্য? কে চেয়েছে আপনার কাছে সাহায্য? আমি? আমি তো আপনাকে সেই ছোট থেকে সহ্য করতে পারি না।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-” দেখো একটা সময় আমি তোমার বাবা কে ভালোবাসতাম। এখনও বাসি। একটা বাচ্চা জন্ম না দেওয়ায় তোমার বাবা আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি আমার ভালোবাসা পেয়েও ধরে রাখতে পারি নি। তাই আমি চাই তুমি তোমার ভালোবাসা পাও। তারজন্য আমি..
-” তার জন্য আপনি কি? তারজন্য আপনি আমাকে কুবুদ্ধি দিতে এসেছেন? ভালোই করেছে বাবা আপনাকে ডিভোর্স দিয়েছিল। আপনি নিজে আপনার বোনের ভালোবাসাকে কেঁড়ে নিয়ে সুখী হতে চেয়েছিলেন। কারো ভালোবাসা কেড়ে নিয়ে সাময়িক সুখ পাওয়া যায় তবে তা দীর্ঘ স্থায়ী হয় না। আপনার মত মানুষের সাথে আর যাই হোক সংসার টা হয় না। না আপনি ভালো মেয়ে,না হতে পেরেছেন ভালো স্ত্রী আর না হতে পারতেন একজন ভালো মা। সেজন্য উপরওয়ালা আপনার কোল খালিই রেখেছে।
-“ তুমি আমাকে অপমান করছো নীরা।
-“ যেচেই তো এসেছেন অপমান হতে। কান খুলে একটা কথা শুনে রাখুন। আমি তাকে পাওয়ার আশায় ভালোবাসলেও..এখন আর তাকে পাওয়ার আশা আমি করি না। আপনার মতো ছিনিয়ে নেওয়ার স্বভাব আমার নেই। যে চলে যায় স্ব ইচ্ছায় তাকে ফিরিয়ে আনার বৃথা চেষ্টা করে সময় অপচয় করার মতো মেয়ে আমি না। তাই উসকানি দিতে আসবেন না আমায়। ভালো থাকবেন।
নীরা চলে গেলো। শ্রেয়া থমথমে মুখ করে বসে রইলো।
আজ রোজ ডে। কিন্তু আরাধ্যর তো তেমন কেউ নাই যে তাকে রোজ এনে দিবে। তার বউ তো কথায় কথায় ছ্যাত ছ্যাত করে উঠে। একটু কাছে গেলেই বিদ্যুৎের মত ঝাটকা দেয়। এই মেয়ের জন্য শুধু শুধু টাকা খরচ কে গোলাপ এনে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। দেখা যাবে গোলাপ টা ছুঁড়ে ফেলে দিবে। বিছানায় বসে ভাবছে আরাধ্য। তার ফ্রেন্ড রা একটা আজ বিকেলে ক্যাম্পাসে খাওয়ার আয়োজন করেছে। এখন আরুকে কিভাবে বলবে সাথে যেতে। সবাই যদি জিজ্ঞেস করে আরুর কথা। তখন কি বলবে আরু তার বউ? তাহলে তো জেঁকে ধরবে বিয়ে কবে করেছে সেটা নিয়ে। ধূর আরুকে নিয়ে যাওয়ার কি দরকার। এই রিমি টাও না একদম যা-তা। রিমিকে বলাই ভুল হয়েছে বিয়ের কথাটা।
আরু সবে ভার্সিটি থেকে ফিরেছে। আরাধ্য কে বিছানায় বসা দেখে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে আরাধ্য কে সেই আগের ভঙ্গিতে দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো-
-” কিছু হয়েছে?
-” হ্যাঁ হয়েছে তো।
-” কি?
-” রেডি হ। তোকে নিয়ে এক জায়গায় যাব।
-“ কোথায়? বাই এনি চান্স আপনি কি আমায় রোজ ডে উপলক্ষে রোজ কিনে দিতে চাইছেন?
-” সেগুরে বালি। তুই কে রে যে তোকে রোজ কিনে দিতে নিয়ে যাব আমি? রেডি হ..যমের দরবারে যাব তোকে রেখে আসবো ওখানে। আর যম কে বলে আসবো তোর মাথায় যেন কিছু ভালো বুদ্ধি ঢুকিয়ে দেয়।
আরুর মুখে রাগেরা এসে হানা দিলো।
-” একদম বাজে কথা বলবেন না। আমি কোথাও যাব না।
-” আরে রেডি হ বোইন। ভার্সিটি যাব। ফ্রেন্ডরা খাবারের আয়োজন করেছে।
-” তো সেখানে গিয়ে আমি কি করবো?
-” তুই তো জীবনে ভালোমন্দ খেতে পারিস নি। সে জন্য ভালোমন্দ খাওয়াতে নিয়ে যাব। এখন প্যাঁচাল কম পেরে রেডি হ।
-” শাড়ি পড়বো নাকি থ্রি-পিস?
-” বিয়ের লেহেঙ্গা পড় বোন।
-” অসহ্যকর।
আরু একটা সাদা থ্রি-পিস পড়ে নিলো। এরমধ্যে আরাধ্যও রেডি হয়ে নিলো। দুজনে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য ড্রয়িং রুমে আসতেই দেখলো আয়ুশ হেলেদুলে আসতেছে। হাতে তার লাল টকটকে গোলাপ। থেকে থেকে গুনগুন করে গান গাইছে আর ফুলে চুমু খাচ্ছে। আরাধ্য ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো-
-” তুই এই সময় এখানে কেনো? কার সাথে এসেছিস?
আয়ুশ আরাধ্যর দিকে তাকিয়ে বলল-
-” ওহ্ ব্রো তুমি? আমি একাই এসেছি।
-” হাতে কি এটা?
-” অন্ধ নাকি তুমি? দেখতে পাচ্ছ না হাতে কি?
-” না দেখতে পাচ্ছি না।
-” হাতে আমার ভালেবাসার লাল গোলাপ।
-” কিসের জন্য?
-” তোমার বোনের জন্য। আজ রোজ ডে না। সেজন্য আমি রোজ নিয়ে এসেছি। হয়ার ইজ ইউর সিস্টার?
-“ ওর রুমে।
-” তোমরা কোথাও যাচ্ছ?
-” হু।
-” কোথায়?
-” তোকে বলতে হবে কোথায় যাচ্ছি? দেখছিস না আমরা কাপল। আর কাপল রা কোথায় যেতে পারে?
-” অনেক জায়গায়ই তো যেতে পারে। রেস্টুরেন্টে, পার্কে,শপিংমলে।
-” আমরা হোটেলে যাচ্ছি ডেট করতে। আসছি।
আরাধ্য আরু কে নিয়ে চলে গেলো। আয়ুশ ফুল টা নিয়ে আরশির রুমে গেলো। আরশি কে শুয়ে শুয়ে ফোন টিপতে দেখে আয়ুশ আরশির সামনে ফুল নিয়ে হাত বাড়িয়ে বলল-
-” হেই আরশি..হ্যাপি রোজ ডে। ওয়ান রোজ ফ্লোয়ার মেরে তারাফ সে। প্লিজ ইউ এক্সেপ্ট ইট। তাহলে আমি ভেরি হ্যাপি হবো।
আরশি ফুলটার দিকে একবার তাকিয়ে বলল-
-” ধন্যবাদ ভাইয়া।
আয়ুশ আশাহত হয়ে বুকে হাত দিয়ে বলল-
-” প্লিজ ডোন্ট কল মি ভাইয়া। আই উইল বি ইউর ছ্যাইয়া। মামনি কোথায়?
-” রুমে।
আয়ুশ সন্ধ্যার রুমের দিকে গেলো। আরশিও পেছন পেছন আসলো। সন্ধ্যার রুমে ঢুকে সন্ধ্যার পাশে বসলো আয়ুশ। সন্ধ্যা বই পড়ছিলো। আয়ুশ কে দেখে বইটা রেখে বলল-
-” আরে আয়ুশ কার সাথে আসলে?
-” একাই এসেছি। তোমার ছেলে আর আমার আপু আমাকে রেখে ঘুরতে চলে গেছে। আমার ভীষণ মন খারাপ এজন্য।
-” কোথায় গেছে?
-” বলল হোটেলে রুম ডেট করতে।
সন্ধ্যা বিষম খেলো।
-” আচ্ছা মন খারাপ করিস না। আমি তুই,আরশি আর তোর চাচা ঘুরতে যাব ওকে?
আয়ুশ উৎফুল্ল হয়ে বলল-
-” ওকে। চাচা কে ফোন দাও।
সন্ধ্যা ফোনটা নিয়ে আষাঢ় কে ফোন দিলো। আষাঢ় রোগী দেখছিলো। ফোন দু বার কেটে যাওয়ার পর আষাঢ় নিজেই কল ব্যাক করলো।
-” হ্যালো সন্ধ্যাবতী বলো।
-” ফ্রী আছেন?
-” কেনো বলোতো? প্রেম করতে চাইছো আমার সাথে?
-” প্রেম কি আর দিনে করার বয়স আছে আমাদের?
-” মন্দ বলো নি কথাটা।
-” এখন কাজের কথায় আসা যাক।
-” বলো শুনছি।
-” ফ্রী থাকলে আমাদের ঘুরতে নিয়ে চলুন। আয়ুশ এসেছে।
-” এক ঘন্টা পর বের হই। তাহলে অবশিষ্ট রোগী গুলোকে দেখে যেতে পারবো।
-” ঠিক আছে।
সূর্য পশ্চিম আকাশে লালচে আভা ছড়িয়ে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। আকাশের রঙ কখনো কমলা, কখনো বেগুনি, কখনো আবার হালকা লালের ছোঁয়া নিয়ে এক অদ্ভুত রূপ ধারণ করেছে। চারপাশে হালকা ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে, বাতাসে মিশে আছে নাম না জানা ফুলের মিষ্টি গন্ধ। পাখিরা সারাদিনের ক্লান্তি শেষে গাছের ডালে ফিরে যাচ্ছে, তাদের কিচিরমিচির শব্দ যেন বিকেলের সুরেলা সংগীত হয়ে বাজছে। আরু সারা রাস্তা মুগ্ধ হয়ে দেখতে দেখতে ক্যাম্পাস অব্দি আসলো। ক্যাম্পাসের এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে কিছু ছেলে। আরাধ্য আরুকে নিয়ে সেদিকে এগিয়ে গেলো। দেখে মনে হলো ছেলেগুলো আরাধ্যর ফ্রেন্ড। হ্যান্ডশেক করে কুশলাদি করলো। আচমকা এক ছেলে আরুর দিকে তাকালো। আপাদমস্তক আরুকে দেখে আরাধ্য কে বলল-
-“এই, এটা কাকে সাথে নিয়ে এসেছিস তুই, আরাধ্য?”
সৌরভের এমন প্রশ্নে আরু একদম অপ্রস্তুত হয়ে যায়। আরাধ্য একবার আরুর দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় উত্তর দেয়,
-“চাচার মেয়ে আমার..
আরাধ্যর কথা শেষ হতে না দিতেই সৌরভ বলে ওঠে,
-“ওহ্! চাচার মেয়ে মানে তোর বোন, কাজিন!”
এই বলে সৌরভ হাসিমুখে আরুর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়,
-“হাই, কিউটিপাই! আই’ম সৌরভ। হোয়াট ইজ ইউর নেইম?”
আরু কিছুটা বিরক্ত হয়ে হ্যান্ডশেক না করেই ঠান্ডা গলায় বলে,
-“আরু।”
-“নাইস নেম! আই লাইক ইট!” — সৌরভের চোখে দুষ্টুমির ঝিলিক।
আরাধ্য এবার সৌরভের দিকে কড়া দৃষ্টিতে তাকায়। তার চোখে রাগের স্পষ্ট ছাপ। ঠান্ডা গলায় বলে,
-“আই লাইক ইট মানে কী?”
সৌরভ হেসে আরাধ্যর কাঁধে হাত রাখে, তারপর সাইডে টেনে নিয়ে ফিসফিস করে বলে,
-“দোস্ত, তোর বোনকে আমার বেশ পছন্দ হইছে। প্লিজ, একটু সেটিংটা করায় দে, হা?”
আরাধ্যর ভেতরটা যেন আগুন হয়ে জ্বলে ওঠে। কত বড় সাহস সৌরভের! নিজের বউয়ের সাথে ‘সেটিং’ করানোর কথা বলছে! মুহূর্তেই রাগে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করে তার। ইচ্ছে করে ক্যাম্পাসের মধ্যেই সৌরভ কে গণধোলাই দিতে। নিজেকে শান্ত করে ঠান্ডা স্বরে বলল-
-” এসব ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল সৌরভ। তা না হলে মোটেও ভালো হবে না।
কথাটা বলেই আরুর হাত ধরে চলে গেলো আরাধ্য। আরাধ্যর আরেক ফ্রেন্ড শান্ত আরাধ্যর যাওয়ার পানে তাকিয়ে বলল-
-” আরাধ্য চেঁতে গেলো কেনো?
সৌরভ মুচকি হেঁসে বলল-
-” বড় ভাই তো..বোনের গার্ডিয়ান হচ্ছে। ব্যপার না ম্যানেজ করে নিব আরাধ্য কে। আর মেয়েটা সিঙ্গেল হলে আটকায় কে আমাকে।
আরাধ্য আরুকে নিয়ে রিমির কাছে গেলো। রিমি খাবার সাজাচ্ছিল ঘাসের উপর বিছানো চাদরের উপর। আরু আর আরাধ্য কে দেখে বলল-
-” এসে পড়েছিস তোরা। অপেক্ষায় ছিলাম তোদের। আর আরু এদিকে আসো।
আরু বিস্ময় হলো তার মুখে নিজের নাম শুনে। চিনে তাহলে তাকে? আরু এগিয়ে গিয়ে বসলো।
-” খুব মিষ্টি দেখতে তুমি। আরাধ্য তো আমাদের দাওয়াতই দেয় নি বিয়েতে। আমরা কি গিফট ছাড়া যেতাম বলো?
-” একদম বাজে কথা বলিস না তো রিমি। তোর কথা শুনে আরুকে আনাটাই ভুল হয়েছে।
-” কেনো কি হইছে?
-” ঐ সৌরভ..
-” হু সৌরভ কি থামলি কেনো?
সৌরভ আসছে বলে থেমে গেলো আরাধ্য। আরুর মন খারাপ হলো আরাধ্যর ওমন কথা শুনে যে তাকে আনাটা ভুল হয়েছে। আরাধ্য সময় গুনতে লাগলো কখন সে এখান থেকে চলে যাবে আরুকে নিয়ে।
সন্ধ্যার দিকে আষাঢ় আসলো সন্ধ্যাদের নিয়ে বের হতে। আয়ুশ,আরশি পেছনে বসেছে গাড়ির। সন্ধ্যা সামনে। আষাঢ় একটা গোলাপ এনেছিল৷ সেটা সন্ধ্যার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল-
-” ফর ইউ মাই লাভলি ওয়াইফ।
আয়ুশ সেটা দেখে ফেললো। সামনের দিকে ঝুঁকে বলল-
-” চাচ্চু তুমিও মামনি কে ফুল দিলে! আমিও দিয়েছি।
-” কাকে তোমার মামনি কে?
তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ১১
-” না না মামনিকে তো দেওয়ার জন্য তুমি আছো। আমি তো আরশি কে দিয়েছি। আরশির তো কেউ নেই ফুল দেওয়ার জন্য। সেজন্য আমিই দিয়েছি।
আষাঢ় সন্ধ্যার দিকে একবার তাকালো। সন্ধ্যা গোলাপের দিকে তাকিয়ে আছে। আষাঢ় ভেবে পায় না আয়ুশের ভবিষ্যৎ টা আসলে কেমন হবে? এই ছেলে কি এমনই থেকে যাবে বড় হলেও? যদি আরশি তাকে বিয়ে না করে তখন এই ছেলে কি করবে? হার্ট অ্যাটাক করে তো ম’রেই যাবে বোধহয়।