শেষ থেকে শুরু পর্ব ২১

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২১
Sabihatul sabha

আয়ান রেগে কোমরে হাত দিয়ে বেলীর দিকে তাকিয়ে আছে ।
বেলী আয়ানকে দেখেই নিজের সামনে বালিশ এনে বলে উঠলো, ‘ আয়ানের বাচ্চা তুই কোন সাহসে আমার শরীরে হাত দিয়েছিস.? তুই আমার থেকে দশহাত দূরে থাক! খবরদার দ্বিতীয় বার আমার শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে তোর হাত ভেঙে দিব!’
আয়ান প্রথম রেগে থাকলেও বেলীর কথা শুনে গা দুলিয়ে হেঁসে উঠলো।
” ছিঃ কি বিশ্রী হাসি!”
আয়ান বাঁকা হাসি দিয়ে বেলীর দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,’ তুই আমার বিয়ে করা বউ শরীর ত ছুঁতেই পারি’

” তোর উপর ঠাডা পরবো আয়ান আমার দিকে আসলে”
” তুই আমার কোমর ভেঙেছিস আর আমি তোর কোমর ভাঙবো না!.?”
” আমার থেকে দূরে থাক! কাছে আসবি না,আমি চিৎকার করছি!”
” হ্যাঁ কর চিৎকার! ড্যাং ড্যাং করে ত বিয়ের আসনে বসে পরলি জামাই পালায় গেছে সেই খবর নাই.? তোর জন্য আমার জীবনডা শেষ হয়ে গেল! আমার স্বপ্ন, আমার জবা, আয়ান রাগে ছটফট করতে করতে বলে উঠলো, ‘ আমি তোকে ছাড়বো না বেলী, আমি তোকে সত্যি আজ গলা টিপে খু’ন করবো।’
আয়ানের চোখ ছলছল করছে, জ্বলজ্বল করছে চোখের তাঁরা বেলী ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পেছন থেকে আয়ানের রিভলবার কাঁপা হাতে ওর সামনে ধরে বললো,’ আয়ান তুই আমার সামনে আসলে আমি সুট করবো, দূরে থাক!দূরে থাক বলছি!’
আয়ান রেগে বলে উঠলো, ‘ তুই এটা পেলি কোথায়.? ‘

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তোতলাতে তোতলাতে বেলী বলে উঠলো, ‘ এই রুম থেকে খুঁজে বের করে রেখে ছিলাম! ‘
” বেলী, বেলী শোন এটা আমার হাতে দে ”
” একদম না তুই এই রুম থেকে বের হ”
” বেলী লাস্ট বার বলছি এটা আমাকে ফিরিয়ে দে না হয় ভালো হবে না”
বেলী দিলো না আয়ান রেগে এগিয়ে এসে ওর বালিশে হাত দেওয়ার আগেই চোখ বন্ধ করে বেলী রিভলবারে টিপ দিল, সাথে সাথে বিকট শব্দ হলো স্তব্ধ হয়ে গেলো পরিবেশ, ভয়ে কেঁদে উঠলো বেলী, তখনো বেলীর চোখ বন্ধ। মাথায় খেলে গেলো আয়ানের বুকে কি লেগেছে.? আয়ান ঠিক আছে ত.? চটজলদি চোখ খুলে সামনে তাকালো বেলী।

জবা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে ডায়েরির দিকে।
ব্যাগ থেকে মায়ের বহুপুরোনো একটা শাড়ি বের করে গায়ে জড়িয়ে নিল।
বাবার মুখে শুনেছিল মায়ের ভীষণ পছন্দের শাড়ি ছিল এটা।
কারণ এটা নাকি তার প্রাণপ্রিয় বান্ধবীর দেওয়া।
জবা শাড়িটা গায়ে জড়িয়ে আয়নায় নিজেকে ভালো করে দেখে নিল। চোখ বন্ধ করে মায়ের গায়ের গন্ধ নেওয়ার চেষ্টা করে বললো,’ তোমার সাথে যে তোমার গায়ের গন্ধ ও হাওয়ায় মিশে গেছে মা! এই শাড়ি গায়ে যে তোমার গায়ে শেষ জড়ানো ছিল মা! আমি কাউকে ছাড়বো না মা! কাউকে না….’
জবার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরছে।

জবা শাড়ি গায়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসছে।
প্রথম জবার দিকে চোখ পরলো লতিফার।
লতিফা হা করে তাকিয়ে রইলো জবার দিকে।
লতিফাকে ডাকতে ডাকতে রান্না ঘর থেকে খন্তি হাতে বেরিয়ে আসলো শার্লিন বেগম।
লতিফা কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিজেও তাকালো সিঁড়ির দিকে।
শার্লিনের মুখ আপনার আপনি বলে উঠলো, ‘ এই শাড়িতে তোমাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে’
জবা ঠোঁটের কোনে হাসি ঝুলিয়ে বলে উঠলো, ‘ আমার মায়ের শাড়ি, মায়ের শাড়ি ত সব সময় মেয়েকে সুন্দর লাগে, মনে হয় মা জড়িয়ে রেখেছে ।

শার্লিন বেগমের ইচ্ছে করলো এই প্রথম জবার গালে হাত রেখে বলতে, ‘ মা কে ভীষণ ভালোবাসো.?’
কিন্তু মনের কথা মনেই রয়ে গেল। এখনো ত জবার পরিচয় কেউ জানে না। কি জানি মা আছে কিনা!
জবা গেলো রান্না ঘরে শার্লিন বেগম কে হেল্প করতে।
শার্লিন বেগম নিষেধ করলো কুলসুম জানতে পারলে রাগ করবে। জবার এখন রেস্ট নেওয়া জরুরি।
জবা তাও আজ নিজ হাতে রান্না করলো।
শার্লিন বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো,’ আজ যদি হয় এই বাড়িতে আমার শেষ দিন তাহলে আপনি অনেক খুশি হবেন তাই না.?’
শার্লিন বেগম চমকে তাকালেন জবার দিকে জবা তখনো ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে তাকিয়ে আছে শার্লিন বেগমের মুখের দিকে।

বেলী ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সামনে তাকিয়ে দেখলো আয়ান রাগী তবে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে বেলীর দিকে।
বেলী এলোমেলো ভাবে আয়ানের দিকে এগিয়ে এসে ওর বুক, হাত, শরীরে দেখতে লাগলো।
আয়ান রেগে বলে উঠলো, ‘ এই এই কি করছিস!.? লজ্জা করছে না একজন ছেলেকে এভাবে দেখতে। ‘
‘ চুপ থাক আয়ানের বাচ্চা কোথাও লাগেনি ত.?’
‘ আমি তোর থেকে বড় বেলী ভুলে যাস না! আমি এখন গিয়ে সবাই কে বলবো অভ্র এই গুন্ডি মেয়েকে বিয়ে না করে ত বেঁচে গেলো এখন আমার কি হবে.? প্রথমেই বউ জামাই কে খু’ন করার চেষ্টা করেছে। আরেকটু হলে এখন আমি উপরে চলে যেতাম।
বেলী ভয়ে চুপসে বললো,’ বাসার কাউকে কিছু বললে আমিও বলে দিব তুই আমার শরীরে হাত পা দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিস!’

আয়ান গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ ছিঃ বেলী তোর মিথ্যা বলতে বুক কাঁপবে না.? আমি চাইলে এখনি তোকে আমাকে মারার জন্য জেলে পুরে দিতে পারি, মিথ্যা বলার জন্য কারাগারে পাঠিয়ে দিতে পারি সারাজীবনের জন্য। ‘
বেলী এইসব বিষয় ভীষণ ভয় পায়। সে তার সারাজীবন জেলে, কারাগারে কাটাতে চায় না। এমনিতেই জীবনটা কারাগারের থেকে কঠিন হয়ে গেছে ভাবতেই মলিন হেঁসে আয়ানের দিকে হাত দুটো বাড়িয়ে দিয়ে বললো,’ ফাঁসি হবে না.? প্লিজ আয়ান জীবন ত এমনিতেই কারাগারের থেকেও কঠিন হয়ে গেছে, জীবনের যখন বেঁচে থাকার কারণ হারিয়ে যায় তারপর কি আর কোনো কিছু কারাগারের থেকে কম লাগে.? আমি এই যন্ত্রণা নিতে যে পারছি না, পারছি না এক বাড়িতে তার সামনে শ্বাস নিতে এর থেকে ভালো আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দে প্লিজ।’
বেলীর অসহায় চোখের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে নিল আয়ান।

অভ্র হসপিটাল থেকে এসে সোফায় বসে লতিকা কে ডাকলো।
‘ জ্বে ভাইজান বলেন’
অভ্র খেয়াল করলো আজ রান্না ঘরে জবার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
” তোমার ভাবিকে বলো এক গ্লাস পানি দিতে”
” ভাইজান আমি দেই.?”
অভ্র কপালে দুই আঙ্গুল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেই বললো,’ লতিকা আমি কি বলেছি.?’
অভ্রর কন্ঠ শুনেই বুঝলো লতিকা অভ্র রেগে আছে।
লতিকা জবার পেছনে দাঁড়িয়ে মিনমিনে সুরে বললো,’ ভাবি ছোট্ট ভাইজান বলছিল তারে আমনে পানি দিতেন।’
জবা ভ্রু কুঁচকে ড্রয়িং রুমে তাকিয়ে বুঝলো কথা না বাড়িয়ে গ্যাস কমিয়ে রান্না ঘর ছাড়লো।
চোখের সামনে রিনঝিন শব্দে চুড়ি বেজে উঠতেই অভ্র চোখ তুলে তাকালো।
জবা পানি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

অভ্র জবার দিকে একবার তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিল।
জবার হাত থেকে গ্লাস নিয়ে পানি পান করে গ্লাস ওর হাতে দিতেই জবা জিজ্ঞেস করলো, ‘ আর কিছু লাগবে ছোট ভাই.? ‘
অভ্র ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,’ ছোট ভাই.?’
‘ সম্পর্কে ত ছোটই, বড় ভাইয়ের বউ আমি।’
অভ্র বাঁকা হেঁসে বললো,’ আচ্ছা! ‘
জবা সিরিয়াস মুখে বললো,’ হুম, আর কিছু লাগবে.?’

অভ্র জবার দিকে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। এই মেয়ে এতো সাজগোজ কেন করেছে.? আর এতো খুশি খুশি ভাব কেন.? গোপনে গোপনে কি মতলব করছে.? কিছু ত একটা করেছে ওর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
অভ্র হাল্কা হেঁসে বললো, ‘ লাগবে ত অনেক কিছুই আপাতত আমার রুমে এক কাপ কফি নিয়ে আসেন। ‘
অভ্র রুমে চলে যেতেই জবা রান্না ঘরে গিয়ে ওর জন্য কফি করে নিয়ে গেলো।
অভ্র আবারও অবাক হলো কিছুটা এই ঘারত্যাড়া মেয়ে এতো ভালো কবে হলো.? এর এই ভালো হওয়ার আড়ালে কিছু ত একটা রয়েছে, কি করতে চাচ্ছে.?
অভ্র কফি হাতে নিয়ে জবার দিকে এক পা দুই পা করি এগিয়ে আসলো।
জবা অভ্রের তাকানো দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলো।
অভ্র ওর দিয়ে ঝুকে বললো,’ কফি তে চিনি কম হয়েছে ‘
জবা ভীতু কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ আমি চিনি দিয়ে দিচ্ছি’
অভ্র বাঁকা হেঁসে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কফি জবার দিকে এগিয়ে ধরলো।
জবা এক চামচ চিনি দিলো। অভ্র বললো,’ আরও’

জবা আরও এক চামচ দিলো, অভ্র বলে উঠলো, ‘ আরও’
জবা আরও এক চাপচ দিলো, অভ্র আবারও বললো,’ আরও’
জবা রাগে অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে।
অভ্র এক হাতে কপালে স্লাইড করে এদিক ওদিক তাকিয়ে বললো,’ এইবার খেয়ে দেখো মিষ্টি হয়েছে কিনা!’
জবা রেগে বলে উঠলো, ‘ এক কাপ কফিতে পাঁচ চামচ চিনি দিয়েছি আপনার এখনো মনে হচ্ছে চিনি হয়নি.?’
‘ এক বার একটু দেখলে কি হবে.?’
‘ আমার খাওয়া কফি আপনি খাবেন.?’
অভ্র রেগে জবার বাহু শক্ত করে চেপে ধরে বলে উঠলো, ‘ এতো কথা কেন বলো তুমি.? মুখ বন্ধ রাখা যায় না.? যা বলেছি তাই করো!’
ব্যাথায় জবার চোখের কোনে জল জমা হয়।
অভ্রের হুশ ফিরতেই জবাকে ছেড়ে দিয়ে বলে উঠলো, ‘ সরি, সরি কান্না করো না প্লিজ’
জবা ছলছল চোখে কফির মগে এক চুমুক দিয়ে অভ্রের হাতে কফির মগ ধরিয়ে রুম থেকে এক ছুটে বেরিয়ে গেলো।
অভ্র নিজের এই কারণে অকারণে রাগ দেখে নিজেই বিরক্ত হলো।
কফির দিকে তাকিয়ে এক চুমুক দিয়ে চোখ মুখ খিঁচে ফেললো, এতো মিষ্টি! এমনিতেই এতো চিনি তার উপর এই মেয়ের এক চুমুকে কফি হয়ে গেছে মিষ্টির এক টুকরো খন্ড! ‘

আজ সবাই এক সাথে খাবার টেবিলে বসেছে।
শফিক সাহেব, রফিক সাহেব, শার্লিন বেগম, শায়েলা সিদ্দিকী, কুলসুম বেগম, আয়ান, অভ্র, বেলী।
কয়েক জোরা চোখ কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো জবার শরীরে জড়িয়ে রাখা শাড়িটার দিকে।
জবা সবাই কে খাবার বেড়ে দিচ্ছে সাথে হেল্প করছে শার্লিন বেগম।
বেলী নিচের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
সে আসতে চায়নি জবা জোর করে এনেছে।
বেলীর পাশের চেয়ারে বসে আছে অভ্র। বেলীর চোখ বার বার ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, বেলী এক হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ মুছছে সবার আড়ালে।
সবার আড়াল করতে পারলেও জবার চোখের আড়াল হলো না বেলীর ছলছল চোখ জোরা। নিজের এতো কাছে বসে আছে তার না হওয়া পাষাণ পুরুষটি, এতো বড় প্রতারণা করার জন্য বেলী কি শাস্তি দিবে তাকে.? অভ্র জেনো ওর পাশে বসে ওকেই শাস্তি দিচ্ছে!

লতিকা সবাই কে বললো আজ জবা নিজ হাতে রান্না করেছে।
আয়ান চুপচাপ খেয়ে উঠে চলে গেলো। জেনো সে জবার সামনে থেকে পালিয়ে গেলো। সে ত কথা দিয়ে ছিল জবাকে কখনো ছেড়ে যাবে না অথচ ঘুম ভেঙে জবা হারানোর আগেই আয়ান অন্য কারো হয়ে গেলো। জবা কি অভিমান করেছে তার উপর নাকি রাগ করেছে.???’
আয়ানের পর বেলীও হাত ধুয়ে ভালো লাগছে না বলে চলে গেলো।
সবাই শুধু চুপচাপ ওদের দুই জনের চলে যাওয়া দেখলো।
অভ্র জবাকে একের পর এক হুকুম দিচ্ছে, যেমন কখনো এটা দাও, ওটা দাও, পানি দাও জবাও চুপচাপ সবকিছু এগিয়ে দিচ্ছে।

জবা অভ্রর খাওয়া দেখে বিরবির করে বলে উঠলো, ‘ কতোদিনের যে না খাওয়া এই লোক, দেখে মনে হচ্ছে সপ্তাহ খানেক এর পেটে খাবার পরেনি। অথচ রাতেও সে আমার সামনে খেয়ে ছিল আজ এতো কেন খাচ্ছে.? এর উপর অন্য কিছু বস করেনি ত.?? ভীতু চোখে জবা অভ্রর খাওয়া দেখছে।
কুলসুম বেগম খাওয়া শেষ করে অফিসের বিষয় শফিক সাহেবের সাথে কথা বলছে তখনি দারোয়ান ছুটে আসলো।
দারোয়ান কে এভাবে ছুটে আসতে দেখে সবাই দরজার দিকে তাকালো।
কুলকুল বেগম ভ্রু কুঁচকে বলে উঠলো, ‘ মিন্টু তোমার পেছনে পুলিশ কেন.?’
দারোয়ান মিন্টু মিয়া কিছু বলার আগেই পুলিশের পেছন থেকে একটা ছেলে বাড়িতে প্রবেশ করে বলে উঠলো, ‘ আমি বলছি আম্মু!’

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২০

পরিচিত কন্ঠ শুনে ভয়ে জমে গেলো কুলসুম বেগম, থমথমে মুখে বলে উঠলো তুমি!!।
জবা বাঁকা হেঁসে মনে মনে বলে উঠলো, ‘ প্রথম সারপ্রাইজ, দ্বিতীয়টা ত বাকি আছে এখনো!’
অভ্র অবিশ্বাস কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ ভাই!’

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২২