আমরণ প্রেমতৃষ্ণা পর্ব ১৯

আমরণ প্রেমতৃষ্ণা পর্ব ১৯
তানহা ইসলাম বৈশাখী

স্নিগ্ধ সকালের ঝলমলে রোদ। সোনালি সূর্য শিখা সরাসরি এসে পড়ছে ছাদের উপর। হালকা রোদে মিষ্টি বাতাসের মাঝে ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে দাড়িয়ে আছে প্রার্থ। হাতে আধপোড়া সিগারেট। চুলগুলো অগোছালো হয়ে পরে আছে কপাল জুড়ে। সূর্যের সোনালি রশ্মিতে বহ্নিশিখার ন্যায় জ্বলজ্বল করছে কালো চুলগুলো। চোখদুটো আনমনে পরে আছে অদূরের রাস্তার পারে। সেখানে দুটো নেড়ি কুকুর একবার ঝগড়া করছে। একে অপরের উপর ঘেউ ঘেউ করে উঠছে। তো আবার মিশে যাচ্ছে দুজন। একে অপরের শরীরের ঘ্রান নিচ্ছে। জিভ দিয়ে লেহন করছে। প্রার্থর সকল মনোযোগ সেই প্রানী দুটির উপর।
হঠাৎ ছাদের দরজার কাছে থেকে ভেসে এলো অন্তর আওয়াজ। অন্ত ডেকে বলছে।
“-প্রার্থ ভাই! নিচে বড়মা তোমাকে ডাকছে।
প্রার্থ আস্তে ধীরে পেছনে ঘুরলো। সিগারেটটাও প্রায় শেষের পথে। জলন্ত সিগারেটে আরো একটা টান দিলো। সেটাকে ফেলে পায়ের নিচে পিষে ফেললো। মুখ থেকে একগাদা ধোয়া উড়িয়ে দিলো আকাশে। নিকোটিনের সেই সাদা ধোয়া মিলিয়ে গেলো হাওয়ায়।
সে গম্ভীর স্বরে ছোট্ট করে ডাকলো অন্তকে। বললো।

“-এদিকে আয়।
অন্ত দরজাতেই দাড়িয়ে ছিলো। ছেলেটা ইদানীং একেবারে চুপচাপ হয়ে গেছে। চোখ মুখের দিকে তাকানো যায় না। যেন এই বয়সেই ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে গেছে।
ভাইয়ের আদেশ শুনে চটপট এগিয়ে গেলো প্রার্থর কাছে। সামনে গিয়ে দাড়াতেই প্রার্থ প্রশ্ন করলো তাকে।
“-ভালোবাসা কি রে অন্ত?
ছেলেটা ঘাবড়ে যায় প্রার্থর এমন কথায়। হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন করলো? সে চশমাটা ঠেলে নিচের দিকে তাকিয়ে বললো।
“-আমি কি করে বলবো ভাই?
প্রার্থ পকেট থেকে সিগারেট বের করলো আরেকটা। পুড়ে যাওয়া তামাটে দুটো ঠোঁটের মাঝে চেপে ধরলো সেটা। ম্যাচ দিয়ে জালিয়ে নিয়ে সেটা আবার পকেটে ভরলো। সিগারেটটায় দুটো টান দিয়ে বললো।
“-খাবি?
অন্ত নিতান্তই ভদ্র একটা ছেলে। বাইরে বন্ধুদের সাথে টুকটাক আড্ডা ছাড়া আর কিছুই করে না। সিগারেট তো ছুয়েও দেখেনি কখনো। এরকম ভদ্র একটা ছেলে যে কি করে প্রেমে পড়লো বুঝেই আসছে না।
সে দুপাশে মাথা নেড়ে বললো।
“-না
“-কেন? একটু খেয়ে দেখ। ভালো লাগবে। তোর ভেতরের চাপা কষ্ট এই ধোঁয়ার মতো আকাশে বিলীন হয়ে যাবে। নে ধর।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অন্ত ভাবলো। সত্যিই কি তাই? ধুমপান করলে ভেতরের কষ্ট সব হাওয়ায় বিলীন হয়ে যায়? এটা কি আদোও সম্ভব? যদি তাই হয় তাহলে অন্ত শুধু সিগারেটই খাবে আর কিছু খাবে না।
দুঃখ গুলো বিলীন করার উদ্দেশ্যে হাত বাড়ালো প্রার্থর এগিয়ে দেওয়া সিগারেটের দিকে। তখনই হাতটা সরিয়ে আনলো প্রার্থ। অধর ভাজে পুরে সেটাতে আরেকটা টান দিয়ে বললো।
“-না থাক। তোর খেতে হবে না। পরে আবার অভ্যেস হয়ে যাবে। এগুলো খাওয়া ভালো নয়। মানুষ ম*রে যায়।
“-তাহলে তুমি কেন খাও ভাই?
প্রার্থ স্বাভাবিক ভাবেই বললো।
“-আমি খাই আমার মনের সুখে।
অন্ত আবারও প্রশ্ন করলো।
“-তোমার মনে অনেক সুখ?
“-হুম বলতে পারিস।
দুই ভাই চুপ হয়ে গেলো। দুজনের মনে যে সুখ নেই সেটা তাদের দুজনেরই জানা আছে। কিছুক্ষণ পর প্রার্থ আবার বললো।
“-অন্ত!
“-হু ভাই?

“-বলতো ভালোবাসার অনুভুতি কেমন হয়? তোর তো জানা আছে। আমার জানা নেই। তাই তোকে জিজ্ঞেস করছি।
অন্ত ভয় পেলো। ভাই কি করে জানলো অন্তর জানা আছে। জিভে ঠোঁট ডুবিয়ে বললো।
“-ভাই তু..তুমি কি বলতে চাইছো?
প্রার্থ মুখে ‘চ্ব’ সূচক শব্দ করে বললো।
“-সহজ কথাই তো বললাম বুঝতে পারছিস না? তুই তো আমার ছোট কিন্তু তোর অনুভুতি মনেহয় আমার বড়। আমি আমার অনুভুতি বুঝতে অক্ষম। তুই বল ভালোবাসলে কেমন অনুভুতি হয়।
অন্ত ঘাবড়ে গেলো আবার। বললো থেমে থেমে।
“-ভ..ভাই! আসলে আমি। প..প্রিয়া ওই আমি।
“-এত তোতলাচ্ছিস কেন? আমি কিছু বলেছি তোকে? ভয় পাচ্ছিস কেন? তুই প্রিয়ুকে ভালোবাসিস। তা বাসতেই পারিস। আমি বাধা দিয়েছি নাকি?
অন্ত’র অন্তরাত্মা শুকিয়ে কাঠ। ভয় হচ্ছে মনে ভীষন। প্রার্থ ভাই তার গোপন অনুভুতি জেনে গেলো? এখন যদি কিছু বলে? যদি প্রিয়ার থেকে দূরে থাকতে বলে। তাহলে?
সে ভয় গ্রস্থ মনে বলে উঠলো।

“-তু..তুমি কি করে জানলে একথা। ভাই সত্যিই বলছি আমি ওকে অনেক…..
“-আমি কিছু বলেছি তোকে? আমি জানি তুই ওর জন্য সঠিক না ভুল। শুধু মনে রাখবি তুই আমার ভাই প্রিয়ু আমার বোন। তোর অনুভুতির জোয়ারে যেন কারো কোন ক্ষতি না হয়। প্রিয়াকে তোর নিজের করার দায়িত্ব তোকেই দিলাম কিন্তু ও যদি তোকে না চায় তাহলে তুই কোনরকম জোর জবর্দস্তি করতে পারবি না।
এতক্ষণে অন্তর ভয় এবং অবাকের রেশ দুটোই কেটে গেছে। সে সময় নিয়ে বললো।
“-ভাই একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
“- হুম।
“- আমি তো আমার ফিলিংস সম্পর্কে কাউকে জানাইনি। আমার কয়েকটা বন্ধু ছাড়া আর কেউ জানেনা একথা। তাহলে তুমি কি করে টের পেলে?
প্রার্থ ধীরে সুস্থে সিগারেটটা শেষ করলো। এরপর গলার শ্লেষা পরিষ্কার করে বললো।
“-তোর চোখে প্রিয়ুর জন্য আকুলতা দেখেছি। কখনো কখনো ব্যাকুল হতে দেখেছি । বড় ভাই হই তোর। এইটুকু অনুভুতি বুঝবো না?
অন্ত নিরেট হাসে। বলে চতুরতার সাথে।

“-ভাই তুমি আমার না বলা অনুভুতি গুলো বুঝে ফেললে অথচ তোমার নিজের অনুভুতি বুঝতে পারছো না। অনুভুতির যতাকলে পিষে যাচ্ছো তবুও মনকে বুঝতে দিচ্ছো না।
প্রার্থ বিস্মিত চোখে তাকালো। ছেলেটা ক্ষানিকটা অবাকও হলো বোধহয় অন্তর কথায়। মনে হলো একদম সঠিক জায়গায় হাত দিয়েছে অন্ত। বোকা অন্তটাও কত চতুর হয়ে যাচ্ছে আজকাল। প্রার্থর ভেতরের অজানা তুফানও তার চোখে পড়লো?
অন্ত প্রার্থকে নিশ্চুপ দেখে বললো।
“-ভাই তুমি আর অনুভুতিদের দূরে ঠেলে দিও না। তোমার যদি আমাদের মনের খবর জানার মতো ক্ষমতা থাকে তাহলে তোমার নিজের মনের খবরও বোঝার কথা। কিন্তু তুমি হয়তো বুঝতে চাইছো না। আটকে রেখো না আর তাদের। ছেড়ে দাও, মুক্ত করে দাও। দেখবে এই অনুভুতির থেকে মিষ্টি আর সুখকর অনুভুতি বোধহয় দুনিয়ার আর কিছুতে নেই।
অন্ত কথাটুকু শেষ করেই পা বাড়ালো। দাঁড়িয়ে রইলো না আর। ভাইও একটু ভাবুক। একটু বুঝুক।
বিমূঢ়, বিধ্বস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো প্রার্থ। অনুভুতিহীন চোখে তাকিয়ে রইলো সুদুর আকাশে। মস্তিস্কে নিপুণ হস্তে লিখলো নতুন কিছু। নিগূঢ় ভঙ্গিতে উপস্থাপন করতে চাইলো অব্যক্ত অনুভুতি। যেগুলো থেকে সে পিছু হটতে চেয়েছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা বোধহয় হলোনা। পেঁচিয়ে গেলো অদ্ভুত এক বেড়াজালে।

সকালের নাস্তার সময়। খাবার টেবিলে বসে আছে সকলে। আজ অহনা বেগমও অফিসে যাননি। রোজ রোজ অফিসের এত এত কাজ করতে করতে হাপিয়ে গেছেন মধ্যবয়স্ক মহিলাটি। বয়স আর কতই হবে। এই ছত্রিশ বা সাইত্রিশ । অথচ কাজের তাড়নায় সে এতটা ক্লান্ত যে তাকে তার বয়সের থেকেও দ্বিগুন বয়স্ক লাগে। আজ কাজের চাপ একটু কম। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেটুকু কাজ আছে বাড়িতে বসেই করবে আজ আর অফিসের দিকে পা মারাবে না।
খাবার টবিলে আরো বসে আছে অন্ত, প্রান্ত, প্রার্থ এবং পূর্নিমা। সানা নেই। পুষ্পর যাওয়ার পরের দিনই তাকে ইতালি যেতে হয়েছে। তার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। না চাইতেও তাকে যেতে হয়েছে। সাথে অবশ্য অহনা বেগমও যেতে চেয়েছিলেন তার ভাইকে দেখতে কিন্তু যেতে পারেনি। একে তো অফিসের কাজ তার উপর তার পাসপোর্টেও নাকি কিসের ইস্যু হয়েছে। তাই আপাতত দেশ থেকেই খবর রাখছে তার।
নিঃশব্দে খাওয়ার মাঝে হঠাৎ অহনা বেগমের ভরাট কন্ঠ ভেষে আসলো।

“-প্রার্থ তোর কনসার্ট কবে?
প্রার্থ খাবারে মনোযোগ রেখেই বললো।
“-আজকেই ।
“-আজ রাতে?
“-হুম।
তিনি আবার বললেন।
“-তোর চাচ্চু বলছিলো তোদের জন্য একটা টুরের ব্যাবস্থা করবে। কোথায় যাবি বল?
“-কোথাও না কাকিমা। সামনে রবিবারে কার্তিকের বিয়ে তুমি তো জানোই।
“-তাতে কি? কার্তিকের বিয়ে শেষেই যাবি। তোদের বিয়ে তো অনেকদিনই হলো। কোথাও যাবি না?
প্রার্থ কিছু বললো না। অহনা বেগম আবার বললেন।
“-পুষ্প কবে আসছে? গেছে তো মনেহয় অনেকদিনই হলো।
পূর্নিমা বললেন।

“-হুম গেলো তো অনেকদিন। প্রায় ১৭ দিন তো হবেই। একবার এসে বললো পরিক্ষা নাকি ওখানে থেকেই দিতে চায়। এখানে পড়ায় মন বসবে না তাই আমিও আর আটকালাম না। কিন্তু ওকে ছাড়া প্রিয়াকে ছাড়া বাড়িটা একদম ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।
অহনা বেগম খাওয়ার ফাকে বললেন
“-তাহলে প্রার্থ গিয়ে নিয়ে আসছিস না কেন? কার্তিকের বিয়েতে আমি আর তোর চাচ্চুতো এমনিতেও যেতে পারবো না। সামনে কাজের চাপ প্রচুর। পূর্নি আপাও যেতে পারবে না কোলাহলের মাঝে। পুষ্প আর প্রিয়া কে নিয়ে আয়। ওদের সবাইকে নিয়ে যাস।
প্রার্থ শুধু বললো।
“-হুম দেখছি।
এরপর আর এই টপিক নিয়ে কথা হলো না। চুপচাপ যার যার খাবার শেষ করলো।
প্রার্থ মনে মনে ভাবতে লাগলো কি করে পুষ্পকে আনা যায়। ও মেয়ে যে শেয়ানি হয়েছে তাতে মনেহয় না প্রার্থ বললে সে চলে আসবে। কিন্তু বিয়েতে ওকে নিয়েই ছাড়বে যে করেই হোক। প্রার্থও তো দেখতে চায় তার অনুভুতির কি নাম দেওয়া যায়।

বিকেল ৪ টা। টিভির সামনে অলস ভঙ্গিতে বসে আছে দুই বোন। সামনে তাদের মুড়িমাখা। বিকেলে তারা বসবে অথচ খাওয়ার কিছু থাকবে না তা কি হয় নাকি?
প্রিয়া টিভিতে তামিল সিনেমা দেখছে বিজয়ের। সে আবার এসব একশান মুভি দেখতে পছন্দ করে। পুষ্পও বসে বসে তাই দেখছে। তার কোলে আবার এলাচি গুটিসুটি হয়ে বসে আছে। একদম ভদ্র একটা বিড়ালছানা তার। মালিকের কাছে থাকলে তার আর কিচ্ছু লাগে না।
আচমকা পুষ্পর ফোনটা ভাইব্রেশনে মুডে বেজে উঠলো। ফোনটা টি টেবিলের উপর থাকায় কেপে কেপে উঠলো। পুষ্প যন্ত্রটা উঠিয়ে দেখলো কার্তিকের ফোন। স্ক্রীনে কার্তিক ভাইয়া লেখা নামটা জ্বলজ্বল করছে। পুষ্প জানে কার্তিক কেন ফোন করেছে। তবুও ফোনটা তো কেটে দেওয়া যায় না বা ফেলে রাখা যায় না। সে যথেষ্ট সম্মান করে কার্তিককে। তাই অনিচ্ছা থাকা সত্তেও ফোনটা তুললো। প্রিয়াকে টিভির সাউন্ড অফ করতে বললো।
সে সাউন্ড অফ করে বোনের কানের কাছে কান নিলো কার্তিকের কথা শোনার জন্য।
পুষ্প ফোন তুলে বললো।

“-হ্যা ভাইয়া কেমন আছেন?
কার্তিক নিরেট গলায় বললো।
“-কেমন আছি পরে বলবো। আগে বলো তুমি বিয়েতে আসবে না বলেছো কেন? আমি তো তোমাকে আলাদা ভাবে বলেও রেখেছিলাম।
পুষ্প কি বলবে এখন? সে যে প্রার্থর কারনে যেতে চাইছে না সেটা কি করে বলবে? কিন্তু অজুহাত তো একটা দিতেই হবে। তাই বললো।
“-আসলে আমার শরীরটা বেশি ভালো নেই। তাই যেতে চাইছিলাম না।
“-আমি তো আজ আসতে বলিনি। বিয়ে তো রবিবারে। আজ সোমবার। এখনো অনেকদিন বাকি। রবিবারে আসতে সমস্যা হবে না নিশ্চয়ই। আর সুস্মিতাও বারবার বলেছে যেন তুমি আসো। ও দেখতে চেয়েছে তোমাকে।
“-কিন্তু ভাইয়া আমি তো যেতে পারবো না প্রিয়াকে পাঠিয়ে দেবো নাহয়…
“-কেন আসবে না শুনি? আমাকে কি ভাইয়া মনে করো না? নাকি আমরা অন্য ধর্মের বলে আসতে দ্বিধা বোধ করছো?
পুষ্প চোখ মুখ খিচে বললো

“-ছিঃ ছিঃ ভাইয়া কি বলেন? এরকম কেন মনে করবো? আমাকে কি এমন মনেহয়? আমি তো সবসময় আপনাকে বড় ভাই হিসেবে সম্মান করি। কিন্তু….
“-তাহলে আর কোন কিন্তু নয়। তোমাকে বিয়ের দিন দেখতে চাই মানে চাই। প্রার্থ কে পাঠিয়ে দেবো। তুমি আর প্রিয়া চলে আসবে। যদি না আসো তাহলে ভাববো আমি যা ভাবছি তাই।
পুষ্প কোন উপায় না পেয়ে হাল ছেড়ে দিলো। সে কখনো কার্তিক ভাইকে আলাদা কিছু মনে করেনি। বড় ভাইয়ের মতো সম্মান করেছে সবসময়। কার্তিক লোকটাও তেমনই। একেবারে ছোট বোনের মতো আদর করেছে সবসময় পুষ্প প্রিয়াকে। প্রার্থর বন্ধুদের মাঝে সবাই বেশ ভালো মিশুক। সবার সাথেই একদম মিশে যায়। শুধু প্রার্থটাই কেমন। একরেখা স্বভাবের। চুপচাপ গম্ভীর আর নির্দয় এক পুরুষ।
পুষ্প চুপ করে আছে বলে কার্তিক আবার বললো।

আমরণ প্রেমতৃষ্ণা পর্ব ১৮

“-কি? আসবে তো?
পুষ্প তপ্ত শ্বাস ছেড়ে বললো।
“-হুম আসবো।
“-আচ্ছা থ্যাংক ইউ। আমি তাহলে প্রার্থকে বলে দিচ্ছি। তোমাকে নিয়েই চলে আসবে।
কথা শেষে ফোনটা কেটে দিলো সে। পুষ্প হতাশ বসে রইলেও প্রিয়ার মাঝে উৎফুল্লতার শেষ নেই। হৈ হৈ করে নাচছে সে। পুষ্প যাবে না বলে যে কতটা মনমরা হয়েছিলো মেয়েটা। এখন যাওয়ার কথা শুনে খুশিতে একেবারে লাফিয়ে উঠছে।

আমরণ প্রেমতৃষ্ণা পর্ব ২০