হলুদ বসন্ত পর্ব ৩০

হলুদ বসন্ত পর্ব ৩০
জাওয়াদ জামী জামী

” আমার ওপর রাগ করেছ, মা? তোমার বাবা-মাকে আমি যাচ্ছেতাই বলে অপমান করলাম। ” ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল অবনী।
” মোটেও না। আমি কি তোর ওপর রাগ করতে পারি? আর তাছাড়া শুরুটা তারাই করেছিল। এসব নিয়ে এতকিছু না ভেবে নিজের কথা ভাব। ইশু তো চলে গেল, যাওয়ার পর ফোন দিয়েছিল তোকে ? ইশু ফ্ল্যাট নিলে তোর সেখানে গিয়ে থাকতে হবে। তাই এবার ঢাকা যাওয়ার সময় নিজের সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাবি। সংসারের বাকি জিনিসপত্র আমি আর তোর মা গিয়ে দিয়ে আসব। তোর সংসার আমরা নিজের হাতে সাজিয়ে দেব। ”
” এতকিছু ভেবে রেখেছ তুমি! এত ভালো কেন তুমি, মা? তোমার মত শ্বাশুড়ি অনেক ভাগ্য করলে পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত অভিযোগের কোন সুযোগ তুমি দাওনি। তোমার মত শ্বাশুড়ি যদি প্রতিটা ঘরে থাকত, তবে সেই সংসারে কখনো অশান্তি হতোনা। ” অবনী সুকৌশলে নাজমা আক্তারের প্রশ্ন এড়িয়ে গেল। ইশরাক ঢাকা যাওয়ার পর অবনীর সাথে যোগাযোগ করেনি।

” পাজি মেয়ে, এভাবে আমাকে মাথায় তুলতে হবেনা। এক কাজ কর, বাগানে গিয়ে কয়েকটা লেবু নিয়ে আয়। আব্বাকে লেবু পানি দিতে হবে। কিন্তু ঘরে কোন লেবু নেই। আমি ততক্ষণে হাতের কাজ সেড়ে নেই। ”
” আচ্ছা যাচ্ছি। ”
অবনী বাগানে এসে বেশ কয়েকটা লেবু তুলে নিয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়িয়েছে। কিন্তু সামনে রিশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে নিজেও থমকে দাঁড়াল। চার বছর পর দেখা হল রিশার সাথে।
” রিশাপু! ”
” কেমন আছিস, অবনী? সংসার জীবন কেমন কাটছে? ” কয়েক ধাপ এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল রিশা।
” খুব ভালো আছি। আর সংসার জীবনও ঝাক্কাস কাটছে। এবার বল তুমি কেমন আছো? ”
” ভালো তো থাকবিই। একজনের ছুঁড়ে ফেলা জিনিস নিয়ে তোর মত মেয়েরাই ভালো থাকতে পারে। তা ইশরাক তোকে ভালোবাসে তো? সে তো আবার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতনা। দিনরাত আমার পেছনে কুকুরের মত ঘুরত। সেই তারই হুট করে বিয়ের কথা শুনে আমি চমকে গেছিলাম। ও ছুঁয়েছে তোকে? বিছানায় গেছিস তোরা? ”
রিশার কথা শুনে ঘৃণায় অবনীর শরীর রি রি করছে। একটা মেয়ের মুখের ভাষা যে এতটা জঘন্য হতে পারে এটা ওর ধারনায় ছিলনা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” তুমি একজন বিবাহিতা নারী হয়েও আমাদের বিষয়ে এত আগ্রহী কেন? নাকি জ্বলছে? তোমাকে পাগলের মত ভালোবেসেও ইশরাক আজাদ শেষমেশ আমাকে বিয়ে করেছে জন্য কি ইগোতে লাগছে? আর কি বললে, তুমি তাকে ছুঁড়ে ফেলেছ? ভুল, তুমি স্বার্থপরের মত একটা প্রতিষ্ঠিত ছেলেকে বিয়ে করতে গিয়ে ইশরাককে ধোঁকা দিয়েছ। বেইমানী করেছ তার সাথে। তার ভালোবাসা তোমার মত প্রতারকের হৃদয় ছুঁতে পারেনি, তাই তুমি তাকে কুকুর বলতে পারলে। আসলে তো কুকুর তুমি। টাকার গন্ধ পেয়ে ইশরাকের নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে পায়ে মাড়িয়েছ তুমি। কিন্তু আজ দেখ, ইশরাক তোমার হাজবেন্ডের থেকে কোন অংশেও কম নয়। সবকিছু জানার পরে বুঝি ভেতরের জ্বলুনি কমাতে আমাকে কথা শোনাতে এসেছ? তুমি কি ভেবেছিলে, তোমার কাছে প্রতারিত হয়ে ইশরাক দেবদাস হয়ে জীবন কাটাবে? তুমি যদি নিজের সুখ খুঁজতে অন্য একজনের হাত ধরতে পার, তবে সে কেন বিয়ে করতে পারবেনা? তোমার লজ্জা করছেনা, পরপুরুষের ব্যাক্তিগত ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে? সে আমাকে ছুঁয়েছে কিনা, আমরা বিছানায় গেছি কিনা, সেটা একান্তই আমাদের ব্যাক্তিগত বিষয়। বিষয়টা মাথায় রেখে কথা বলবে। ”
” তুই কিন্তু আমাদের মাঝে পিওনের কাজ করতি। চিঠি বহন ছিল তোর কাজ। যেই দেখলি আমি নেই আর অমনি ওকে বিয়ে করে ফেললি? কি করো পারলি রে? একটুও বিবেকে বাঁধলনা? আমাদের ব্যাপারে প্রথম থেকেই সবকিছু জানতিস তুই। তারপরও লোভ সামলাতে পারলিনা? ”

” তাকে ছেড়ে যেতে তোমার যখন বিবেকে বাঁধেনি, তখন তাকে বিয়ে করতে আমার কেন বিবেকে বাঁধবে! চিঠি দেয়া-নেয়া করেছি বলেই যে তাকে বিয়ে করতে পারবনা, এমন হাদিস কোথায় পেয়েছ? আমাকে এতকিছু জিজ্ঞেস করছ কেন তুমি? হিংসেয় নাকি রাগে? নাকি তোমার স্বামী তোমাকে দুরছাই করে? নাকি সে তোমাকে বিছানায় নেয়না? ”
অবনীর কথাগুলো শুনে রিশা কি একটু কুঁকড়ে গেল? অবনী দেখল কয়েক সেকেন্ডের জন্য রিশার চেহারা ছাইবর্ণ হয়ে গেল। কিন্তু খুব দ্রুতই রিশা নিজেকে সামলে নিল।
” খুব বড় বড় কথা শিখেছিস দেখছি! এত বেশি অহংকার ভালো নয় বুঝলি? ”

” কথা শিখেছি! কই? আমি তো শুধু তোমার কথার উত্তর দিলাম। ইট মেরেছ কিন্তু পাটকেল খাবেনা এটা কি করে হয়? ভবিষ্যতে আমার সামনে এসে এমন আবোলতাবোল কথা বলবেনা বুঝলে? সেদিন কিন্তু এই সামান্য কথাতে থামবনা আমি। সেদিন সবার সামনে তোমার মুখোশ খুলে দেব বলে দিলাম। সর তো, যেতে দাও আমাকে। যতসব ফালতু লোকজন এসে ঝামেলা করে। ” রিশাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বাড়ির দিকে গেল অবনী।
রিশা হতভম্ব হয়ে অবনীকে যেতে দেখল। অবনীর চোখেমুখে সুখীভাব প্রকট। যা দেখে বুকের ভেতর দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে রিশার। অথচ সুখী হওয়ার কথা ছিল ওর। চার বছর আগে ইশরাকের সাথে অবনীর বিয়ের কথা শুনে রিশা কোন প্রতিক্রিয়াই দেখায়নি। কিন্তু বিয়ের তিন বছর পর যখন জানতে পারল, ওর স্বামী ওকে রেখে অন্য মেয়েতে মজেছে, তখন থেকেই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে সে। আর তাই হিংসা হয়েছে অবনীর ওপর। যে জায়গায় ওর থাকবার কথা ছিল, সেই জায়গায় আজ অবনী রাজত্ব করছে। বিষয়টা কিছুতেই মানতে পারেনা রিশা। গতকাল রাতে বাড়িতে এসে যখন শুনেছে, ইশরাক অবনীর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হয়েছে, তখন থেকেই ও নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। ফলশ্রুতিতে আজ এসেছিল অবনীর মুখোমুখি হতে ওকে কিছু কটু কথা শোনাতে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ও নিজেই অবনীর কাছে অপমানিত হল। রাগে, দুঃখে রিশার চোখে পানি আসল।

” অবনী, এত দেরি করলি কেন? আব্বা সেই কখন থেকে তোকে ডাকছে। দে লেবুগুলো আমাকে দে। ”
” তোমার না হওয়া বউমার সাথে কথা বলছিলাম, মা। সে আমাকে অপমান করার চেষ্টা করছিল। তোমার ছেলের রাজ কপাল বুঝলে? তার বিয়ের পরও প্রাক্তন এসে নিজের অধিকার দেখাতে চাচ্ছে। এমন কপাল কয়জনের হয়! ”
” রিশা এসেছিল? কোথায় সে? আর সে তোকে কি বলেছে? অবনী, তুই ওরা কথা মন-মস্তিস্ক থেকে ঝেড়ে ফেলে দে। তুই ভালো করেই জানিস ও কেমন মেয়ে। ” উদগ্রীব হয়ে বললেন নাজমা আক্তার।
” বাদ দাও তো, মা। ওর কথা কে শুনেছে। একটা ফালতু মেয়ের কথায় আমি নাচব, এটা কি তোমার মনে হয়? ও নির্ঘাত সংসার জীবনে অসুখী। তাই আমার সংসার ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি সেটা হতে দিলে তো। ”
অবনীর কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন নাজমা আক্তার। কিন্তু তিনি নিশ্চিন্ত হতে পারলেননা। ভয় হচ্ছে তার।
” তুই তাড়াতাড়ি ঢাকা ফিরে যা। আমার ভয় হচ্ছে। ও যদি ইশরাকের সাথে দেখা করে? ইশরাক যদি ওকে গ্রহন করে? আমি সহ্য করতে পারবনা, মা। ” ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন নাজমা আক্তার।

” মা, এত ভয় পাচ্ছ কেন? নিজের ছেলেকে চেনোনা তুমি? তোমার কি মনে হয়, তোমার ছেলে বোকা? যে তাকে আঘাত দিয়েছে, অপমান করেছে তাকে সে গ্রহণ করতে আদৌও পারে? কক্ষণো না, মা। সে মরে যাবে, তবুও ঐ মেয়ের ছায়াও মাড়াবেনা। তাই চিল কর। যাও মাথা ঠান্ডা করে বস। তোমার জন্য লেবুর শরবত নিয়ে আসছি। ”
এবার যেন স্বস্তি পেলেন নাজমা আক্তার। অবনীকে শান্ত থাকতে দেখে তার ভালো লাগছে। কিন্তু ভয় যাচ্ছেনা ভেতর থেকে। অবনী দাদুকে লেবু পানি দিয়ে বড়মার জন্য লেবুর শরবত নিয়ে আসল। দাদী আর ফুপুদেরও দিল।

” বড় বউমা, দাদু ভাই কি বাসা দেখছে? অবনীর তো ঢাকা যাওয়ার সময় প্রায় হয়ে এসেছে। ” আব্দুর রহিম জিজ্ঞেস করলেন।
” বাসা দেখছে আব্বা, কিন্তু পছন্দ হচ্ছেনা ওর। ও প্রতিদিন অফিস থেকে বেরিয়েই বাসার খোঁজ করছে। ”
” ভালো একটা বাসা পেলেই শান্তি পাই। দাদু ভাইয়ের খাওয়ার কষ্ট হচ্ছে খুব। অবনী থাকলে রান্না করে দিতে পারত। আচ্ছা, অবনী আর সাদাফ একসাথে যাবে? ”
” অর্নার পরীক্ষা কাল থেকে শুরু হবে। প্রথমদিন ওকে নিয়ে সাদাফ পরীক্ষার কেন্দ্রে যাবে। কালকের পরদিন ওরা যাবে। অবনীর ব্যাগপত্র অনেকগুলো হবে। অবনী একা সবগুলো নিতে পারবেনা। সেজন্য সাদাফকে যেতে হবে। ”
” দাদু ভাইয়ের জন্য তরকারি রান্না করে পাঠিয়ে দিও। ছেলেটা অনেক দিন ধরে খাবার কষ্ট করছে। ”
” দেব, আব্বা। অবনীকে বলেছি। ও নিয়ে যাবে। ”

” টেনশন করবিনা একদম। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা কেন্দ্রে থাকব। মনে রাখিস এবারেও দেশ সেরা হতে হবে তোকে। ”
” কালকের পরদিন তো তুমি চলেই যাবে। তখন বুঝি আমার টেনশন হবেনা? তুমি থাকলে একটু টেনশন মুক্ত থাকি। ”
” কি করব বল, যেতেই হবে। অবনী এবার বোধহয় সাথে বেশকিছু ব্যাগ নিবে। ওর একা একা ব্যাগগুলো নিয়ে কষ্ট হবে। আর তাছাড়া আমার জরুরী কয়েকটা ক্লাস আছে। সব মিলিয়ে যেতেই হবে। তবে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেড়োনোর আগে এবং রাতে নিয়ম করে ভিডিও কলে কথা বলব। রাগ করিসনা। ”
” রাগ করব কেন! আমাকে কি তোমার স্বার্থপর মনে হয়? নিজের সুবিধার জন্য তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে পারি আমি? কাল রাতের গাড়িতে যাবে? নাকি আগামী পরশু সকালে? ”
” রাতের গাড়িতেই যেতে হবে। পরদিন অবনীর ক্লাস আছে। জানিসই তো ওর ক্লাস মিস গেলে কত সমস্যা? অবনী বারোটার গাড়িতে টিকেট কাটতে বলেছে। ”

” আবার কবে আসবে? ”
” যখন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসবে, যখন মনে হবে, একজনের মায়াবী মুখখানা না দেখতে পেলে আমার পুরো দুনিয়ায় আঁধার নেমে আসবে। ঠিক তখনই চলে আসব আমি। ”
সাদাফের কথায় লজ্জা পায় অর্না। লাজুক হেসে মুখ লুকায় ওড়নার আড়ালে।
পরদিন অর্নাকে নিয়ে অবনী আর সাদাফ পরীক্ষা কেন্দ্রে যায়। পুরোটা সময় ওরা কেন্দ্রের পাশেই ছিল। এক সময় অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বেরিয়ে আসল অর্নি। ওরা জিজ্ঞেস করায় বলল পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। এরপর ওরা তিনজন মিলে প্রথমে রেস্টুরেন্টে গেল। সেখানে খাওয়াদাওয়া করে এরপর গেল টিকেট কাটতে। বাড়িতে ফিরতে ফিরতে ওদের বিকেল হয়ে গেল।
বাড়িতে ফিরেই অবনী গোছগাছ শুরু করল। নাজমা আক্তার শুরু করলেন রান্না। ছেলেদের জন্য তিনি তিন ধরনের মাংস রান্না করলেন। আরও কিছু রান্না করতে চাইলে সাদাফ নিষেধ করল।
রাত সাড়ে এগারোটায় ওরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে বিশ মিনিট লাগবে। ওদেরকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছে দিতে ইসহাক আজাদ এবং ওয়াহাব আহমেদ দুই ভাই-ই গেলেন।

সকাল দশটার দিকে অবনীকে হোস্টেলের সামনে নামিয়ে দিল সাদাফ। একে একে ওর ব্যাগগুলো সিএনজি থেকে নামিয়ে গেটের সামনে রাখল। ওরা আরও আগেই পৌঁছাত। কিন্তু পথিমধ্যে গাড়িতে সমস্যা দেখা দেয়ায় তিন ঘণ্টা লেট হয়েছে পৌঁছাতে। অবনী একজনকে ডেকে ব্যাগগুলো ভেতরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করল। সাদাফ সিএনজির ভাড়া মিটিয়ে দিল৷
” ভাইয়া, তুমি একটু অপেক্ষা কর, আমি তরকারিগুলো গরম করে নিয়ে আসছি। নয়তো তুমি হোস্টেলে পৌঁছে দেখবে সব নষ্ট হয়ে গেছে। ”
” গরম করবি কিভাবে? রান্নার ব্যবস্থা আছে তোদের? ”
” তুমি জানোনা, ব্যবস্থা থাকেনা করে নিতে হয়? আমরাও ব্যবস্থা করে নিয়েছি। তুমি দশ মিনিট অপেক্ষা কর। আমি আসছি। ”
” তুই শুধু আমার খাবার গরম করে নিয়ে আয়। ভাইয়া এসে নিজের খাবার নিয়ে যাবে৷ এখন গেলে ভাইয়াকে পাবোনা। ”
” আচ্ছা। ”

অবনী রুমে গিয়ে সবগুলো তরকারি গরম করল। ইশরাকের ভাগেরটা রেখে সাদাফের গুলো নিয়ে বাহিরে আসল৷
” এই নাও। রুমে গিয়ে বক্স থেকে বের করে রেখ। নয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। আর আমি ফোন করলে চলে এস। তোমাদের জন্য রান্না করে রাখব। ”
” তুই অযথা ঝামেলা করতে যাবি কেন? আগে যা করেছিস ঠিক আছে। সামনে তোর পরীক্ষা। রান্নার চিন্তা না করে পড়ায় মন দে৷ ”
” পড়ার চিন্তা আমার আছে। তুমি নিজের চিন্তা কর। আর দেরি করোনা, হোস্টেলে যাও। সারারাত ঘুমাতে পারোনি। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লম্বা একটা ঘুম দাও। ”

হলুদ বসন্ত পর্ব ২৯

” তোর এ বেলায় আর ঘুম হবেনা। ক্লাস আছে বোধহয়? বিকেলে ঘুমিয়ে নিস। নয়তো শরীর খারাপ হবে। নিজের খেয়াল রাখিস। আর ভাইয়া আসলে তাকে দেরি করাসনা। ”
” আচ্ছা, আচ্ছা। ”
সাদাফ চলে গেলে অবনীও রুমে চলে যায়। অবনী লক্ষ্য করলনা মাহি নামের ওর সিনিয়র সেই ছেলেটি এতক্ষণ ওদের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। তার চোখে ছিল ঘৃণা আর রাগ।

হলুদ বসন্ত পর্ব ৩১