প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৫

প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৫
নবনীতা শেখ

-“বাড়িতে মেয়ে আনো?”
সাঁঝের হাতে ঝুলছে লাল রঙের ইনার। হৃদ থতমত খেয়ে পালাক্রমে সাঁঝের মুখের দিকে ও হাতের দিকে তাকাল। কল্পনায় তো সুন্দর সুন্দর জিনিস ঘটে। এত বাস্তবিক কল্পনায় না-হয় মেয়েটা তাকে একটা চুমুই খেতে পারত? অথচ তা না হয়ে এটা কী হচ্ছে? এমন লজ্জাজনক কল্পনা কে করে ভাই?
হৃদের কলিজা ছিঁড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভীষণ অসহায় গলায় বলতে লাগল,
-“ট্রাস্ট অন মি, তুমি ছাড়া কেউ নেই আমার লাইফে।”
সাঁঝের গলার স্বর আরও করুণ হয়ে উঠল,
-“তাহলে তুমি পরো এগুলো?”

জ্বরাক্রান্ত অবস্থায় হৃদ লাফিয়ে উঠল। সাঁঝের হাত থেকে ওগুলো নিয়ে লুকোতে গিয়ে দু-বার উষ্টাও খেল। শেষমেষ তা ট্রাউজারের পকেটে লুকিয়ে ফেলে এদিক-ওদিক তাকিয়ে এবার নিজেকে লুকোনোর জায়গা খুঁজতে লাগল। থমথমে মুখে বলল,
-“আমার লাস্ট বার্থডেতে এক হারামি বন্ধু গিফট করেছিল। এভাবে তাকিয়ে আছো কেন আমার দিকে? চোখ সরাও। আমি লজ্জা পাচ্ছি।”
সাঁঝ চোখ সরাল না। চোখ দুটো সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া ঘোড়ার ডিমের আকৃতির মতো বড়ো বানিয়ে বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
-“তোমার বার্থডে কবে গেছে?”
-“সাড়ে ছয়মাস আগে।”
-“আর তুমি সাড়ে ছয়মাস ধরে এই জিনিসটা এখানে রেখেছো?”
হৃদের ফরসা মুখ রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। সে সাফাই দিয়ে যাচ্ছে তবু,
-“খেয়াল ছিল না..”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“খেয়াল? খেয়াল কেন থাকবে? সব খেয়াল কই থাকে? অন্য মেয়েদের ওপর?”
হৃদ নতমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কল্পনা ও বাস্তবের সংমিশ্রণ এতই দৃঢ় হয়? মনে হচ্ছে এসব সত্যিই ঘটছে। পুরো আধঘন্টা! ত্রিশ মিনিট! এক হাজার আটশত সেকেন্ড! হৃদের বিভ্রম কেটে গেল পরবর্তী মুহূর্তেই। থম মেরে তাকিয়ে রইল সাঁঝের দিকে। হতবুদ্ধি চাহনি তার, বিমূর্ত কণ্ঠ,
-“সাঁঝ?”
মেয়েরা বহুবার প্রেমে পড়ে। কখনো একটু একটু করে প্রিয় পুরুষের গোটা পৌরুষের প্রেমে পড়ে যায়। কখনো বা তার মুখে নিজের ডাকনাম শুনে অকস্মাৎ প্রেম সাগরে ডুব মারে। ব্যাপারটা কেমন যেন! সর্বাঙ্গে বিদ্যুৎ খেলে গেল সাঁঝের। হতভম্বের মতো তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। পাঁচটা সেকেন্ড! আর তারপর নিজেকে স্বাভাবিক করার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় মেতে উঠল। এদিক-ওদিক তাকিয়ে নিজেকে ব্যস্ত করে নিয়ে বলল,
-“হু?”

সাঁঝের মতিগতির দিকে তীক্ষ্ণ চাহনিতে তাকিয়ে রয়েছে হৃদ। বাস্তবতা কঠিন, রূঢ়। কল্পনার সাগরে ভেসে বেড়ানো হৃদ আচমকা ভীষণ গম্ভীর হয়ে উঠল। প্রজ্জ্বলিত চাহনি সরু দেখা গেল। হাঁপ ছেড়ে বিছানায় বসল সে। সাঁঝের দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করল,
-“এখানে এসেছো কেন?”
ঠোঁট উলটে ফেলল সাঁঝ,
-“কোনো সমস্যা?”
-“সমস্যা তো বটেই।”
-“কী সমস্যা?”

সাঁঝ হাতের সবকিছু ফেলে হৃদের সামনে এসে দাঁড়াল। পরনে গাঢ় সবুজ রঙের কুর্তি, একটা সাদা রঙের ওড়না কোমড়ে গোঁজা, চুলগুলো কাটা দিয়ে মাথায় আটকানো। ঘামের বদৌলতে কয়েকটা চুল কপালে, গালে লেপটে রয়েছে। অষ্টাদশীর ছোট্ট শ্যাম মুখটার দিকে হৃদ স্থির তাকিয়ে রইল। একই প্রশ্ন আবারও করায় এবার হৃদ বলল,
-“হঠাৎ আসা জলোচ্ছ্বাসে কার কী ভালো হয়েছে?”
-“কী?”
প্রথম দফায় সাঁঝ চমকে গেল, অবুঝের মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল কিছুটা সময়। ছোট্ট এই বাক্যটা বুঝতে তার বেশ অনেকটা সময় লেগে গেল। আর তারপর সে ঠোঁট চেপে ধরল। মাথা নাড়ল দু’ধারে। হৃদ বলল,
-“কিছু সত্যি উত্তর চাই। দেবে?”
-“হুম। জিজ্ঞেস করুন।”
-“তুমি কি আমার প্রতি অ্যাট্রাক্টেড হচ্ছো?”
সাঁঝ ইতস্তত করতে করতে বলল,

-“হুম।”
-“অ্যাফেকশন?”
-“জানি না। সম্ভবত না।”
-“তবে কী? মনে যা আছে জানাও।”
সাঁঝ বড়ো করে শ্বাস টানল। আর তারপর বলল,
-“মনে যা চলছে তা জানালে আমি লজ্জায় মারা পড়ব।”
ঠাট্টার এক হাসি হৃদের ঠোঁট ছুঁয়ে গেল। রসিকতার সুরে হৃদ বলল,
-“তাই নাকি? তবে তো শুনতেই হয়।”
-“আমি পারব না।”
-“পারতেই হবে।”
-“ইশ না!”
-“হ্যাঁ।”
-“তবে কানে কানে বলব।”
-“ঠিকাছে ম্যাডাম, তাই বলুন।”
সাঁঝ সত্যি সত্যি হৃদের কানের কাছে মুখ নিল। ফিসফিসানো আওয়াজে বিড়বিড় করে বলল,

-“আসলে… ”
-“হুম, আসলে?”
-“আমি..”
-“আপনি..”
-“আপনাকে…”
-“আমাকে!”
-“পরে বলব, আমার শরম করে।”
আর এ কথা বলেই সাঁঝ ভোঁ দৌড় লাগাল। হৃদ ভ্যাবাচেকা খেয়ে কিছুক্ষণ বসে রইল। মেয়েটার চোখের সামনে থেকে গায়েব হতে সম্ভবত এক ন্যানোসেকেন্ডও লাগেনি। কী হলো এটা?
সাঁঝ রান্নাঘরে চলে এলো। মস্তিষ্কে ঘুরতে লাগল হৃদের বলা সে কথা! হঠাৎ আসা জলোচ্ছ্বাসে কার কী ভালো হয়েছে? হয়নি তো কী হয়েছে? এবার হবে। সাঁঝের কপালের ভাঁজ তিনটে ঠোঁটের কার্ণিশে মুচকি হাসি হয়ে লেপটে গেল।

আজ পূর্বিকা শাড়ি পরে এসেছে রাফির সাথে দেখা করতে। শাড়ি সে সামলাতে পারে না ঠিক। তবে পরলে খুব অদ্ভুত লাগে! অনেকটা দুপুরের ঝলমলে রোদ্দুরে এক খণ্ড বাঁকা চাঁদ যেন। কিছুটা অগ্নিকুণ্ডে প্রতীয়মাণ বরফের মূর্তির মতো। শান্ত-শীতল ও অপার্থিব সৌন্দর্যে মলিনতা! এমন সুন্দর দেখায় পূর্বিকাকে। সেই সৌন্দর্য দেখার জন্য মনের চোখ লাগে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে তো কেবল কটাক্ষই করা যায়। যেমনটা রাফি করে বসল দেখা হওয়ামাত্র!
রেস্টুরেন্টে ঢুকে পূর্বিকাকে দেখেই রাফি বিদ্রুপের হাসি দেখিয়ে বলল,
-“কী হে, ললনা? রাতে ঘুমাও না নাকি? চোখের নিচের গর্ত দেখছো? কাজল কেনার জন্য পয়সা খরচ করা লাগে না।”
রসিকতাটা কেন যেন পূর্বিকার গায়ে তীক্ষ্ণ সূচ হয়ে বিঁধল। অস্বাভাবিকতার সাথে মেয়েটা স্বাভাবিক থাকার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে বলল,
-“হ্যাঁ। তোমারই কাজকাম। প্রেমিকার চোখের কাজল কেনার পয়সাটা বেচে গেল। তোমারই লাভ।”
হো হো করে হেসে সামনে বসল রাফি,
-“তারপর বলো, আজ এত রঙ্গ করে শাড়ি পরার কারণ কী?”
-“এমনিই। পরতে পারি না নাকি?”
-“পারো। কিন্তু তুমি কি আয়নায় নিজেকে দেখছো? তোমার ড্রেসিং সেনস মেবি গতবারের বন্যায় ভেসে গেছে। ক্যাটক্যাটে সবুজ রঙের শাড়ির সাথে কেউ ক্যাটক্যাটে লাল রঙের ব্লাউজ পরে? তোমারে পুরাই আধখাওয়া তরমুজের মতো লাগতেছে মাইরি।”
স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল পূর্বিকা। তারই মধ্যে রাফি ফের বলল,

-“ওয়েট! তরমুজের মতো তো লাগতেছেই। সেই সাথে আরও কিছু একটা.. কী জানি! পেটে আসতেছে মুখে আসতেছে না। এই পূর্বি, হেল্প করো তো! কী যেন? করো না ভাই!”
পূর্বিকা হতবুদ্ধি হয়ে তাকিয়ে থেকে বলল,
-“আমি কীভাবে বলব?”
-“হুম। তাই তো। তুমি কীভাবে বলবা! ওয়েট! মনে পড়ছে।”
-“কী?”
-“তোমাকে রঙ জ্বলে যাওয়া বাংলাদেশের পতাকার মতো লাগতেছে। হ! এটা পার্ফেক্ট। কী জোশ!”
পূর্বিকার কান্না পেয়ে গেল। ষোড়শীর মতো অভিমানী কান্না। অথচ তার ম্যাচিউরিটি তাকে কাঁদতে দিলো না। শক্ত পাথরের মতো বসিয়ে রাখল। খাবার পরিবেশন করলেন ওয়েটার। রাফি খাওয়া শুরু করে ফের বলল,
-“তো বলো! কী অবস্থা?”
-“ভালো, রাফি। তোমার কী অবস্থা?”
-“আমার তো সবসময়ই ভালো থাকে। কিন্তু তোমারে দেখে ভালো মনে হইতেছে না। এই চব্বিশের যুবতী বয়সে একটু তরতাজা থাকবা! গায়ে জোশ থাকবে। চোখ-মুখে একটা আলাদাই গ্লো থাকবে। ঠিক না? অথচ তোমারে দেখলে মনে হয় পাঁচ-দশ বছর ধরে সংসার করতেছো, দুই/তিনটা বাচ্চা সামলাইতেছো। এভাবে হলে কি চলবে? আমার চেয়ে তোমার বয়স বেশি মনে হয়। আমার আম্মা তো দেখেই আমার দিকে জুতা ছুড়ে মারবে! যে কী মেয়ে পছন্দ করছি! এরকম হলে চলবে না। পানির বোতলটা এদিকে পাস করো তো!”
রাফি হাঁপিয়ে উঠল কথা বলতে বলতে। পূর্বিকা পানির বোতল এগিয়ে দিলো। রাফি পানি খেয়ে বলল,

-“তুমি খাচ্ছো না কেন?”
হাসল পূর্বিকা,
-“খিদে নেই। তুমি খাও।”
-“আগে বললেই হতো। এখন খাবার অর্ডার করার পর এটা বলতেছো ক্যান?”
-“সরি, ভুল হয়ে গেছে। বিলটা আমি পে করে দিচ্ছি।”
-“আচ্ছা দেও।”
-“আমার একটু কাজ আছে, রাফি। যাওয়া লাগবে।”
-“হ্যা, যাও।”
পূর্বিকা সত্যি সত্যি বিলটা দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়ল। কিছু সম্পর্কের তেঁতো ভাবটা বাড়তে বাড়তে বিষাক্ত হয়ে পড়ে। তারপরও সেখানে থাকা যেন জেনেশুনে বিষ পান করার মতো ব্যাপার। পূর্বিকা সানন্দে দুঃখ পেতে মরিয়া। তাই তো বিগত সময় ধরে একটু একটু করে বিষ পান করে যাচ্ছিল। এখন আর মৃত্যুও হচ্ছে না। পরিশেষে সবকিছুরই একটা সীমান্ত থাকে। রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোতে বেরোতে পূর্বিকা সেই সীমাটা পাড় করে ফেলল। ওদিকে রাফি যেন অতীতের জালে আটকা পড়ে রইল।

সাঁঝ আজ হৃদের জন্য রান্না করেছে। জ্বরের ঘোরে সে-সময় স্যুপটা খেয়ে হৃদ স্বাদ বোঝেনি ঠিকই। তবে এখন তো বুঝতে পারছে। মুখটা যে একটু তেঁতো হয়ে আছে। সেটুকু না-হয় বাদই দিলাম। তা ছাড়াও যে সাঁঝ দুইজনে খাওয়ার মতো তরকারিতে ডালের চামচের এক চামচ ভর্তি লবণ, দুই চামচ ভরে হলুদ ও অন্যান্য মশলা দিয়ে রেঁধেছে, সেটাকে কী বলা যেতে পারে?
সাঁঝ ঠিক বলেছিল। সে অমৃত রান্না করে। একবার তার হাতের রান্না কেউ মুখে দিলে, আমৃত্যু জিভ থেকে স্বাদ সরবে না। এমন স্বাদ লেগে থাকবে যেন জিভটা বাসন মাজার স্পঞ্জ দিয়ে ঘসলেও উঠবে না। সে কথা হৃদ হারে হারে টের পেল। তরকারি দিয়ে দুই লোকমা ভাত খাওয়ার পর হৃদ বলল,
-“জ্বরের মুখে ভালো লাগছে না। একটু ডাল দাও।”
সাঁঝ ভাতের মধ্যে দুই চামচ ডাল ঢেলে দিলো। স্মিত হেসে বলল,
-“কেমন হয়েছে?”
-“ভালো।”
হৃদ অল্প একটু ভাত মাখিয়ে মুখে নিতেই চোখ-মুখ বন্ধ করে ফেলল। চিবাতে আর ইচ্ছে করল না। ঢোক গিলে সবটা পেটের ভেতর চালান করে দিয়ে বলল,
-“ডালে কয় চামচ চিনি দিয়েছো?”
-“চিনির বয়ামে যেই ছোট চামচ ছিল না? ওটার আট চামচ। কম হয়েছে? আমারও মনে হচ্ছিল, আরেকটু দেওয়া লাগবে। দাঁড়াও, আমি বয়ামটা আনছি। তুমি ভাতের ওপর ছিটিয়ে নাও।”

-“কার কাছ থেকে শিখেছো এসব?”
-“একজন ইউটিউবার। সেই জোশ রান্নার চ্যালেঞ্জ নেয়। দারুণ লাগে।”
-“আর কী দিয়েছো ডালে?”
-“মেথি, তিশি আর কালোজিরা। দেখতে সুন্দর লাগছে। খেতেও ভালো হবে নিশ্চিত। আমি চুলে দেই এগুলা। এত সিল্কি লাগে। খেতে কেমন?”
-“অমায়িক!”
সাঁঝের চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে উঠল, উৎফুল্লতা নিয়ে বলল,
-“আরেকটু দেই?”
হৃদের নিজের জন্মের পর থেকে করে যাওয়া পাপগুলোর হিসেব করে যাচ্ছিল। হিসেব করে দেখা গেল, কথায় কথায় অর্ণবকে লাত্থি মারা ছাড়া সে তেমন আহামরি দোষ করেনি। নাকি করেছে? মনে পড়ছে না তার। প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে তা মনে করতে লাগল। অবশেষে আর না পেরে খাবারের প্লেটটা একটু পাশে সরিয়ে রেখে হৃদ টেবিলে মাথা ঠেকাল। আজই অর্ণবের কাছে মাফ চাইতে হবে।
সাঁঝ অস্থির হয়ে উঠল,

প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৩+১৪

-“কী হয়েছে? ঠিক আছো?”
-“নাহ। তুমিও মাফ করে দাও।”
সাঁঝ কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,
-“ও গো, মাফ চাইছো কেন?”
-“তুমি না মাফ করলে এমন শাস্তি সবসময় পাওয়া লাগবে।”
-“তুমি মাফ চেও না, স্বামী। আমি তোমায় অনেক আগেই ক্ষমা করেছি। জ্বর বেশি লাগছে? কষ্ট হচ্ছে? আল্লাহ, আপনি আমার স্বামীকে আর কষ্ট দেবেন না, প্লিজ।”
সাঁঝের কান্নাভেজা কণ্ঠ শুনে হৃদের বলতে ইচ্ছে করল, “শাস্তি তো তুমি দিচ্ছো, গিন্নি! এমন কী পাপ করেছি তোমার সাথে, যার জন্য এভাবে কিডনিতে ভূমিকম্প সৃষ্টিকারী শাস্তি দিচ্ছ?”

প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৬