প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ৪
আদ্রিতা নিশি
সারহান নিজ রুমে ডিভানে বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করছে। সন্ধ্যার পর থেকে এতোক্ষণ একটানা কাজ করে যাচ্ছে সে। সামনে ইলেকশন কাজের চাপটা একটু বেশীই। ঘাড়টা কেমন ধরে আসছে।ঘাড়ের একপাশে টনটনে ব্য থা অনুভুত হচ্ছে তার।এই মুহুর্তে এক কাপ কফি হলে মন্দ হয়না।সে ল্যাপটপ বন্ধ করে দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির দিকে তাকালো।ঘড়িতে দশটা বেজে পাঁচ মিনিট।সারহানের ক্লান্ত শরীর।সারাদিন চারিদিকে দৌড়োদৌড়ি করতে করতে কখন সময় পার হয়ে যায় বুঝতেই পারেনি সে।তার ওপর আরেক ঝামেলা নিশাদ।এটাই এখন তার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।সেদিন আরেকটু মা রা উচিত ছিলো।এখনো যেনো মন ভড়ছে না।
~সারহান আসবো?
আজমল সাহেবের কন্ঠস্বর শুনে সারহান ডিভান থেকে দাঁড়িয়ে বললো~আসুন চাচা।
আজমল সাহেব সারহানের রুমে ঢুকলেন গম্ভীর মুখে।সারহান তা পরখ করলো।হয়তো কোনো বড় ঝা মেলা বেঁধেছে সে কারণেই এসেছেন।সারহান আজমল সাহেবকে বললো~চাচা বসুন।
আজমল সাহেব বললেন~আমি বসতে আসিনি তোমার সাথে জরুরী কথা ছিলো।
সারহান আজমল সাহেবের থেকে দুরত্ব বজায় রেখে দাড়িয়ে বললো~জ্বি। বলুন।
আজমল সাহেব চোখের চশমা ঠেলে গম্ভীরমুখে জানতে চাইলেন~ তুমি নিশাদকে মেরে ছো?
সারহান নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দিলো~হ্যা মে রেছি।
~তোমার থেকে এমনটা আশা করিনি। তুমি হয়তো ভুলে গেছো অরিত্রিকার সাথে নিশাদের বিয়ের কথা চলছে।বিয়েটা সেদিনই হতো কিন্তু তুমি মাঝ পথে নিশাদের গাড়ি আঁটকে কয়েকজনকে দিয়ে পিটি য়েছো। এটা কি ধরণের অসভ্যতা? আমাদের একটা রেপুটেশন আছে।তা তুমি নিশাদের কাছে শেষ করে দিয়েছো।ভেবেছো এসব কারণে যদি বিয়েটা না হয় কি হবে?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সারহানের মাঝে কোনো হেলদোল নেই।সে দায়সারা ভঙ্গিতে বললো~ আপনি তো আমায় ভালো করে চিনেন। কোনো কারণ ছাড়া তো তাকে মারি নি।কারণ ছিলো বলেই মেরে ছি।এর কারণটা আপনাকে পরে বলবো এখনো সময় আসেনি।আর অরিত্রিকার তো বিয়ে হয়ে যায়নি। ওই নিশাদের থেকে অনেক ভালো ছেলে আছে খুঁজে দেখুন। এখন আমার মনে হচ্ছে অরিত্রিকা যেহেতু বিয়েটা করতে চায়না, এখন বিয়ে না দেওয়াই উচিত।পড়ালেখা করতে থাকুক। আঠারো বছর চলছে সংসারের বুদ্ধি তার মাঝে আসেনি। সবসময় বাচ্চামো করে।
আজমল সাহেব কিছুটা সময় নিশ্চুপ থেকে বললেন~ভেবে দেখবো।
আজমল সাহেব আর এক মুহুর্ত দেরি না করে প্রস্থান করলেন। সারহান জোরে একটা শ্বাস ছাড়লো।সে ভেবে পায় না তার চাচা একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে অবুঝের মতো রা গ করে মেয়ে বিয়ে দেয়।এসব ভাবতেই সে হাসলো খানিকটা। সবকিছু এতো সহজে হয়ে গেলে গেম খেলার মজা কেউই পাবেনা।
অরিত্রিকা হাতে ফোন নিয়ে বসে আছে। তার মেজাজ বিগ ড়ে আছে।এদিকে তিশা বার বার কল করে যাচ্ছে।এতেই বিরক্ত অরিত্রিকা।ফোন তুললেই শুরু হয়ে যাবে সারহানের গুনগান।সে ভেবে পায়না অন্যরা এতো গুনগান করে কিন্তু সারহানের কোনো গুন তার চোখে পরেনা।তার কাছে মনে হয় শুধু সুদর্শন আর গম্ভীর মানব। যার মধ্যে কোনো ফিলিংস নেই।যন্ত্র মানব একটা।ইশরা নবনীতার পাশে বসে চিপস খাচ্ছে আর অরিত্রিকার কান্ড দেখছে।
ইশরা এক টুকরো চিপস মুখে পুড়ে বললো~ আমার খুব ভয় করছে?
অরিত্রিকা ভ্রু কুঁচকে বললো~কেনো?
ইশরা কিছুটা এগিয়ে এসে ফিসফিসিয়ে বললো~ভুলে গেছিস?আজ তোর ওই না হওয়া বরকে যে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলি এটা যদি সারহান ভাই জানতে পারে তোর কি হবে বুঝতে পারছিস?সাথে আমাকেও।
অরিত্রিকা কথাটা শুনে মুখ বাকালো। তারপর বললো~ আমি কি উনাকে ভয় পাই নাকি?
ইশরা শুনে বিদ্রুপ করে হেসে বললো~ সারহান ভাইয়ের সামনে গেলেই তো হাঁটু কাপে তোর।তোর বেস্টির সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি।সারহান ভাইকে চিঠি দিলো আবার উনার খবর নেয়ার জন্য বারবার কল করে যাচ্ছে।একেই বলে ভালুপাসা।
অরিত্রিকা কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো~তুই কিন্তু বেশী বকছিস…..
আরো কিছু ইশরাকে বলবে এমন সময় আবারো কল এলো অরিত্রিকার ফোনে।অরিত্রিকার মেজাজ এবার তুঙ্গে। নাম্বারটা অচেনা।তার মানে নাম্বার বদলে কল দিয়েছে তিশা।সে খিঁচে যাওয়া মেজাজ নিয়ে কল ধরে বললো~ তোকে বলেছি না আমায় কল দিবি না।তাও কল কেন দিচ্ছিস।এখন আবার সারহান ভাইয়ের খবর নিতে শুরু করিসনা। সন্ধ্যা থেকে সারহান ভাই, সারহান ভাই করে মাথা পাগল বানিয়ে দিচ্ছিস।কি আছে ওই সারহান ভাইয়ের মধ্যে হ্যা?শুধু দেখতে সুন্দর তাই এমন করে উঠে পরে লেগেছিস।তোর নজর লেগেই সারহান ভাইয়ের পেট খারাপ হবে আমার কথা মিলিয়ে নিস।এই চুপ করে আছিস কেন কথা বল?
~তোর কথা শেষ হয়েছে নাকি এখনো বাকি আছে? থাকলে বলে ফেল।
অরিত্রিকা সারহানের গম্ভীর কন্ঠস্বর শুনে হতবিহ্বল হয়ে গেলো।সে ফোনটা কান থেকে সরিয়ে সামনে উঁচিয়ে তুলে দেখলো অচেনা নাম্বার। তারমানে এটা সারহানের নাম্বার। অরিত্রিকার ভয়ে গলা শুকিয়ে গেলো। এবার তার কি হবে?
ইশরা অরিত্রিকা কে ঠায় হয়ে বসে থাকতে দেখো গুঁতো দিয়ে বললো~ কিরে কই হারাইলি?
অরিত্রিকা অন্যমনষ্ক ভাব নিয়ে বলে উঠলো~সারহান ভাইয়ে হারিয়ে গেছি।
ইশরা মুখে চিপস দিয়ে এই কথা শুনে খুক খুক করে কেশে উঠলো। তার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।এসব কি বললো অরিত্রিকা? সে কি ভুল শুনছে?ইশরা অবাক হয়ে বললো~ এই তোর মাথা গেছে কি বলছিস তুই?
অরিত্রিকা নড়েচড়ে বসলো।ভাবলো সে ইশরাকে কি বলেছে সে।জিভ কেটে কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো~ আরে সারহান ভাই কল করেছে আর আমি উনাকে তিশা ভেবে উল্টা পাল্টা কথা শুনিয়েছি। এখন আমার কি হবে বইন।
ইশরা সারহানের কথা শুনে মেকি হেসে বললো~ কি আর হবে দুই গালে চারটা থা প্পড় খাবি। কেন কল করেছে দেখ না হলে আরও দুইটা বেশী ও খাইতে পারিস।
অরিত্রিকা করুণ চোখে তাকালো ইশারার দিকে।ইশরা ইশারা করলো কথা বলার জন্য। অরিত্রিকা ঢোক গিলে ফোনটা কানে ধরলো।ধরতে ভেসে আসলো সারহানের বাজখাঁই আওয়াজ।
~ এতোক্ষণ ধরে কথা বলে যাচ্ছি কোনো উত্তর দিচ্ছিস না কেনো?
~আমি শুনতে পাইনি।
~ পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করবি আমার সাথে।
কথাটা বলেই কল কেটে দিলো সারহান।অরিত্রিকা ফোন হাতে নিয়ে অসহায়ের মতো বসে রইল। সাদাত অরিত্রিকার রুমে এসে ইশরাকে মিটিমিটি হাসতে দেখলো তার পাশেই অরিত্রিকা থমথমে মুখে বসে আছে।
সাদাত ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো~ এই অরিত্রি তোর কি হয়েছে? মুখ গোমড়া করে বসে আছিস কেনো?
অরিত্রিকা মুখ গোমড়া করে বললো ~ তোর ওই বজ্জাত ভাইয়ের জন্য। আজ আবার আমায় অপমান করার জন্য ডেকেছে।আমার কপাল টাই ফাটা বাঁশ তা না হলে এতো অপমা নিত হতাম।
সাদাত শুনে দাঁত কেলিয়ে হেসে বললো~ এইসব বলিস না। ভাই শুনলে ওই নিশাদের সাথে বিয়ে দিয়ে এখান থেকে তাড়াবে তোকে।
~তোর ভাইয়ের কাজই তো এমন।আমি বলে দিলাম তোর ভাইয়ের কপালে বউ জুটবেনা। বিয়ে করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই বউ পালাবে জানালা দিয়ে।
~আমার কপালে বউ জুটবে কি জুটবেনা তোকে মতামত জানাতে বলেছি?
কারো গম্ভীর কন্ঠস্বর শুনে অরিত্রিকা, ইশরা আর সাদাত দরজার দিকে তাকালো।তাকাতেই দেখলো কালো টাউজার আর কালো টি শার্ট পরিহিত সারহানকে।বুকে হাত গুজে তাদের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।তিনজনেই ভুত দেখার মতো চমকে উঠলো। অরিত্রিকার মনে পরলো কে যেনো বলেছিল যেখানে বাঘে র ভ য় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। অরিত্রিকা এবার তোর কি হবে কেউ বাচাতে পারবেনা এই রগচটা মানুষটির থেকে।কাচুমাচু ভঙ্গিতে তিনজনকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সারহান এগিয়ে আসলো।
সারহান ইশরা আর সাদাতকে উদ্দেশ্য করে বললো~ অরিত্রিকার সাথে কিছু কথা আছে। তোরা দুজন একটু বাহিরে যা।
সাদাত যেনো হাঁপ ছেড়ে বাচলো।কোনো মতে সে কেবলাহাসি দিয়ে বললো~ ঠিক আছে ভাই।এই ইশরা চল।
ইশরাও তড়িঘড়ি করে সাদাতের পিছু পিছু রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। অরিত্রিকার ভয়ে রক্ত শীতল হয়ে গেছে।সে চোরা চোখে সারহানকে দেখে বোঝার চেষ্টা করছে রেগে আছে কিনা? সারহান অরিত্রিকার পড়ার চেয়ার টেনে সামনাসামনি দুরত্ব রেখে বসলো। অরিত্রিকার কিছুটা পিছিয়ে বিছানায় উঠে বসলো।
সারহান শান্ত কন্ঠে শুধালো~ তোকে আমার সাথে দেখা করতে বলেছিলাম?যাসনি কেনো?
অরিত্রিকার অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।সে ভীতিগ্রস্থ হয়ে বললো~ যাচ্ছিলাম তো।তার আগেই আপনি এসে গেছেন।
সারহান ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো।সে বললো~ আমি যা জানতে চাইবো সবকিছুর উত্তর দিবি।
~ঠিক আছে।
সারহান জিজ্ঞেস করলো~ নিশাদকে দেখতে হাসপাতালে কেনো গিয়েছিলি?
অরিত্রিকা তো এইবার শেষ? সামনে মনে হচ্ছে যম বসে আছে তার।সে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো ~আমি যেতে চাইনি আম্মু জোর করে পাঠিয়েছিলো।আমি যেয়ে উনার সাথে একটাও কথা বলিনি।চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম।
সারহান নিজেকে শান্ত করে বললো~ আমি চাইনা নিশাদের সাথে তোর বিয়ে হোক।এটা জেনে রাখ চাচাও নিশাদের সাথে তোর বিয়ে দিবেনা।তাই ওর আশেপাশে যেনো তোকে না দেখি। এটাই লাস্ট ওয়ার্নিং দিলাম তোকে।
অরিত্রিকার সারহানের দিকে পিটপিটিয়ে চাইলো। তার কথাটা শুনে বিশ্বাস হচ্ছেনা।ওই বেয়াদব ছেলের সাথে বিয়ে হবেনা শুনেই মনে মনে সে অনেক খুশিতে। খুশিতে দুই এক লাইন হিরো আলমের গান গাইলে মন্দ হয়না। তবে এখন গাওয়া যাবেনা। গাইলেই অপ মান করবে।সে খুশি হয়ে বললো~ধন্যবাদ সারহান ভাই।এতোদিনে আপনি আমার মাথা থেকে ওই নিশাদের নামের প্রেতা ত্মা কে নামালেন।বাপরে জানেন কি লু চু ওই ছেলে? হাসপাতালে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলো।আমি মুখ ভেংচি দিয়ে অন্যদিক তাকিয়ে ছিলাম। এই খুশিতে আপনাকে দোয়া করে দিলাম আপনার বউ যেনো জানালা দিয়ে না পালায়। আপনার সাথেই যেনো সুখে থাকে।
সারহান বিরক্তি প্রকাশ করে বললো ~ইডিয়েট।
সারহানের কথা শুনে অরিত্রিকার হাসিখুশি মুখটা চুপসে গেলো।সে ভুলেই গিয়েছিলো সামনে আস্ত এক ব দ লোক বসে আছে।
~এতো ন্যাকামি কি করে করিস?
~মেয়েরা ন্যাকামি করে জানেননা।আপনি জানবেন কি করে আপনি তো ছেলে।
সারহান রুষ্ট হয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো। তার এখন মাথা খারাপ করার ইচ্ছে নেই।এখানে থাকলে নিশ্চিত তার মাথা খারাপ হয়ে যেতে পারে।সারহান রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো~ আমার বউ নিয়ে তোর না ভাবলেও চলবে।আমি যাকে বিয়ে করবো সে অন্তত তোর মতো মাথা মোটা হবেনা।
অরিত্রিকার ক্ষুব্ধ হয়ে তাকালো সারহানের দিকে।সারহান রুমের বাহিরে পদার্পণ করেছে। সব সময় অপ মান। সে বলেই অপমান সহ্য করছে। এমন অপমান বউকে করলে দুদিনও টিকবেনা।অরিত্রিকা আর এই নিয়ে ভাবলোনা।সে তো খুশি বিয়েটা হবে না। এবার তো গান গাওয়াই যায়।
অরিত্রিকা গলা ছেড়ে গাইতে লাগলো।
~ও বেবি কাম কাম কাম টু মি……….
নয়ন তালুকদার হসপিটালের কেবিনে বসে আছেন।রা গে ফুঁসছেন তিনি।নিশাদ আধশোয়া হয়ে বসে আছে তার মুখ থমথমে।সে মনে মনে অনেক চিন্তিত।
নয়ন তালুকদার ক্ষুদ্ধ হয়ে বললেন~ওই সারহান তোমার কেবিনে ঢুকে হুম কি দিয়ে গেলো আর তুমি কিছু করতে পারলেনা?
~কেবিনে কেউ ছিলোনা তাই কিছু বলতে পারিনি।ওই ছেলেকে বিশ্বাস নেই যদি খু ন করে দিতো?
নয়ন তালুকদার বিরক্ত হলো এমন কথা শুনে।তিনি বললেন~ সারহান তোমায় পাবলিক প্লেসে কু ত্তা মা রা মারলো তাও নিজেকে বাচাতে পারোনি। আমি ভেবে পাচ্ছিনা ওই চৌধুরী বাড়ির মেয়েকে কেনো তোমার বিয়ে করতে হবে? মেয়ের কি অভাব পরেছে?
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ৩
নিশাদ গা গুলিয়ে হাসলো।তারপর চোখমুখ শক্ত করে বললো~ তুমিও না মামু। এটা ভেবে রাখো আমি কখনোই কোনো কাঁচা কাজ করিনা।এবারও প্ল্যান মতোই এগিয়েছিলাম কিন্তু সারহান সবকিছুতে পানি ঢেলে দিলো।আমার মনে হচ্ছে সারহান আমার পরিকল্পনা জেনে গেছে।