তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৩

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৩
ফারহানা নিঝুম

আকাশটা ঘন কালো, যেন এক অদৃশ্য চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে সবকিছু। চারপাশ নিস্তব্ধ, শুধু দূর থেকে ভেসে আসা ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ যেন রাতের সঙ্গীত হয়ে বাজছে। চাঁদ নেই, তারা লুকিয়ে আছে মেঘের আড়ালে, আর বাতাসে ভাসছে এক অদ্ভুত শূন্যতা।
হালকা শীতল বাতাস গায়ে এসে লাগছে, এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা এনে দিচ্ছে মনজুড়ে। রাস্তার বাতিগুলো টিমটিম করে জ্বলছে, যেন ক্লান্ত চোখে রাতের নিস্তব্ধতা দেখছে। দূরের কোনো বাড়ির জানালা দিয়ে ক্ষীণ আলো বেরিয়ে আসছে, কিন্তু তার চারপাশের অন্ধকার এত গভীর যে সেই আলোও যেন হেরে যাচ্ছে। জানালার কাছে চুপটি করে বসলো ফারাহ। নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে অপর প্রান্তের ব্যক্তিটি।
অনেক্ষণ ধরে চলছে নিরবতা। নিরবতা ভেঙ্গে ফিসফিসিয়ে কেউ বলল।

“মিসেস শেখ।”
উত্তর কি করবে ফারাহ?করা কি উচিত?
“আপনার হাত স্পর্শ করুন আবার।”
চমকায় ফারাহ।আর তো কিছু নেই, শুধু বালা দুটো ব্যতীত।
“হাতে কিছু নেই তো।”
বিস্ময় নিয়ে শুধোয় ফারাহ। দুষ্টু হাসলো তাশফিন, নেশা’তুর কন্ঠে বলল।
“ভেজা ভেজা ভাব অনুভব করো সুখ, তোমার হাতে গভীর চুমু খাচ্ছি। তোমার উপর শুয়ে আছ এত চটপট করছো কেন? উফ্ আমার আদর করতে বাধা দিচ্ছো। ”
তীব্র ভাবে সর্বাঙ্গ ঝাঁকুনি দিয়ে উঠলো ফারাহর।কী ভাবনা? লোকটা এতদূর ভাবছে, এরকম দুষ্টু ভাবনা।
চট করে হাত সরিয়ে ফেলল ফারাহ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“এবার কন্ঠনালিতে হাত স্পর্শ করুন।”
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মতো চোখ দুটো তে বিস্ফোরণ ঘটে ফারাহর।
“আপনি কী সব বলছেন?
কন্ঠনালি প্রচন্ড ভাবে কাঁপছে। এবারেও হাসলো তাশফিন।
“যা বলছি করো।”
কম্পিত হচ্ছে কবুতরী পেলব।
“কিছু নেই তো।”
টান টান হয়ে বিছানায় শুইয়ে পড়ে তাশফিন, অনূভুতি অন্য রকম।
“দৃষ্টি বুলিয়ে দেখো লালচে রঙা আমার দেওয়া দুষ্টু কিছু।খুব করে একটা বাজে কামড় দিয়েছি রাতেই! তুমি তো বার বার বলছিলে আমাকে আপনার বুকের ভেতর নিয়ে নিন লেফটেন্যান্ট সাহেব। আমি পারছি না দূরে থাকতে।আরো কত কি!আর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক কথা হচ্ছে তোমার ব…

“ইস্।”
থামিয়ে দিলো ফারাহ তাশফিন কে।
কন্ঠনালির ঠিক নিচে ছোট্ট টকটকে লাল চিহ্ন দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল ফারাহর। এটা কখন হলো?সে তো ব্যথা পায়নি।
“এটা কিসের দাগ?”
“মিসেস আসলে বলব কিসের দাগ ঠিক আছে!নাকি এখুনি শুনবে? আচ্ছা অপেক্ষা করানোর দরকার নেই এখুনি বলছি।রাতে তোমার ওড়না ছিলো আমার হাতে,আর আমার ঠোঁট ছিলো তোমার গলায়
এরপর পাগল পাগল উন্মাদতা সেই চাহনি। অনূভুতি আর ঠিক তার পরেই তোমার…
চট করে ফোনটি কে টে গেল। বিস্ময়কর সবটা, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ফারাহ। এটা কিসের দাগ?কিয়ৎক্ষণ কি একটা ভেবে চরম পর্যায়ে অবাক হলো।কি বলছে এই লোকটা!অবাকের পর অবাক হচ্ছে।কি ঠোঁটকাটা রে বাবা!এর আগে তো এমন ছিলো না!

রৌদ্রস্নান দুপুরে পথ যেন আগুনের আঁচে পুড়তে থাকা একফালি স্বর্ণরেখা। খাঁ খাঁ রোদে পথের ধুলো যেন গনগনে কয়লার মতো উষ্ণ, যার ওপর দিয়ে হেঁটে গেলে পায়ের তলায় দহন টের পাওয়া যায়। আশেপাশের গাছপালা যেন নীরব হয়ে গেছে, পাতাগুলো রোদের তাপে ঝিমিয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে শুকনো পাতা খসে পড়ে, ধুলো উড়িয়ে নিয়ে যায় হালকা হাওয়া।
পথের পাশে ছায়াহীন ঘাসগুলো রোদের উত্তাপে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পথের ধারে শুকিয়ে ফাটা মাটি দেখা যায়, যেন রোদ তাকে চিরে ফেলেছে। ফাঁকা রাস্তায় এক-আধটা ছায়া খুঁজে ক্লান্ত পথিক আশ্রয় নেয়, গাছের গোড়ায় বসে ঘাম মুছে নেয় হাতের চিলতে কাপড়ে।
দূরে কোথাও একটা কাক তৃষ্ণায় কর্কশ স্বরে ডেকে ওঠে, পাশের কোনো শুকনো ডোবা থেকে ব্যাঙের লুকিয়ে থাকা ডাক শোনা যায় ক্ষীণস্বরে। বাতাস পর্যন্ত যেন ক্লান্ত, অলসভাবে এক চিলতে গরম হাওয়া নিয়ে আসে, যা শরীরে লাগলেই অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে।

ফারাহ কে বগলদাবা করে নিয়ে যাচ্ছে ঝুমুর।তাশফিনের কড়া হু’কুম যাতে ফারাহ কে তার কলেজে ভর্তি করানো হয়।ঝুমুর এ বছরে অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, ফারাহ যদি তার কলেজেই ভর্তি হয় তাহলে সুরক্ষিত থাকবে। সৌহার্দ্য কাল সকাল সকাল গিয়ে ফারাহর সব কাগজপত্র নিয়ে চলে এসেছে কৃষ্ণপুর থেকে। খচ্চ’র বেডা তাকে শান্তি দিচ্ছে না, কষ্টে বুকটা ফে টে যাচ্ছে ফারাহর। বিয়ে হয়েছে এসেছে তিন চার দিন হলো সবে,এর মধ্যেই পড়ার ভূত টা ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছে এই লোক?
মুখের শোচনীয় অবস্থা দেখে হাসি পাচ্ছে ঝুমুরের। কিন্তু সশব্দে হাসলো না। মৃদু স্বরে হেসে শুধোয়।
“মন খারাপ ছোট ভাবি?”
একরাশ বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে ফারাহ।
“তোমার ভাইয়ের আমার শান্তি স’হ্য হয় না আপু।”
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে ঝুমুর, বিনুনি টেনে দেয় ফারাহর।
“আহা কষ্ট। দেখো ভাইয়া কিন্তু যা করছে তোমার ভালোর জন্যেই করছে।”
চিকন নাকের ডগা ফুলে উঠে ফারাহর।

“কচু করছে!এই ভালোটা কিছুদিন পরে করলে কি হতো? জীবনটা প্যারাময় কেন বানিয়ে দিচ্ছে?”
ঝুমুর বেশ বুঝতে পারছে ফারাহর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ খুব একটা নেই। তবে তাশফিনের আদেশ অনুসারে তাকে পড়ানোর দায়িত্ব ঝুমুরের উপরেই দিয়েছে।
“উঁহু এরকম করলে তো হবে না। ভাইয়া ফিরলে খবর আছে।”
কষ্টের বুকটা ফেটে যাচ্ছে ফারাহর। এ কোন মুসিবতের ভেতরে পড়ল সে?বউ ফেলে চলে যাওয়া স্বামী আবার পড়াশোনা নিয়ে পড়েছে? উফ্ এগুলো মানা যায় না।
কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই ঝুমুর নিজ দায়িত্বে তাকে ভর্তি করিয়ে দিলো। ফারাহ চাইলে আজ থেকেই ক্লাস করতে পারে,এই তো গতকাল নাকি ওদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান হবে। চারিদিকটা সাজানো গোছানো হচ্ছে। মনে পড়ে যাচ্ছে স্নেহার কথাটা। মেয়েটা নেই,মন ভারী হচ্ছে তার। ইস্ স্নেহাও যদি একসাথে থাকতো তাহলে?
মন আঙিনায় খারাপ লাগারা ভিড় জমিয়েছে।

“ছোট ভাবি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকো এখুনি আসছি আমি।”
চমকালো ফারাহ। ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলল।
“কোথায় যাচ্ছ আপু?”
“তুমি দাঁড়াও ফরম পূরণ করে অফিস রুমে জমা দিয়ে আসি।”
ফারাহ কথা বাড়ালো না,চুপটি করে বেঞ্চে বসে পড়ল। ঝুমুর হাতের ফরম নিয়ে এগিয়ে গেল অফিস রুমের দিকে।
“হ্যালো বিউটিফুল লেডি।”
পুরুষালী কন্ঠস্বর ঘাবড়ে গেল ফারাহ। চকিতে দৃষ্টি ঘুরিয়ে সেদিক পানে চাইলো।হলুদ রঙা টি শার্ট জড়িয়ে এক পুরুষ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।দেখে বোঝাই যাচ্ছে ফারাহর থেকে বয়সে অনেক টা বড় হবে।
“আমাকে বলছেন?”
খানিকটা অস্বস্তি নিয়ে শুধোয় ফারাহ, প্রত্যুত্তরে চমৎকার হাসি উপহার দিল সেই অচেনা পুরুষ।
“জ্বি এখানে তুমি ছাড়া তো আর কাউকে দেখছি না।”
অকস্মাৎ”তুমি” সম্বোধন টা মোটেও পছন্দ হলো না ফারাহর।
“ঠিক আছে বুঝলাম,তবে আপনি কি আমার পরিচিত?”

দুদিকে মাথা নাড়িয়ে না বলল সেই পুরুষ। অদ্ভুত হাসলো ফারাহ, বিদ্রোহী কন্ঠে বলল।
“আমি যতদূর জানি একজন অপরিচিত যে কাউকে সে মেয়ে হোক বা ছেলে,তাকে কখনোই প্রথম সাক্ষাতেই তুমি বলা যায় না। যেহেতু আপনি আমাকে চিনেন না আর না আমি আপনাকে চিনেন না সেই হিসেবে আমাকে তুমি বলাটা মোটেও পছন্দ হলো না।”
সামনের সুদর্শন পুরুষ অবাক নেত্রে তাকালো। এগিয়ে এলো দু কদম।
“আয় হায় ছোট্ট মেয়ে তো ফায়ারফক্স!”
কপালে কিঞ্চিৎ ভাঁজ পড়ল ফারাহর।
“বাই দ্যা ওয়ে আমি আর্দ্র। তুমি?”
“থ্যাংকস বাট আমি আমার নাম বলতে ইচ্ছুক নই।”
হাতের ব্যাগ টা তুলে অফিস রুমের দিকে এগুতে লাগলো ফারাহ। পিছনে দাঁড়ালো আর্দ্র বলে উঠে।
“হেই লিসেন তুমি তো এখানেই পড়ছো তাহলে আবার দেখা হবে।”
অদ্ভুত বিহেভিয়ার গুলো ভীষণ বিরক্তিকর লাগছে ফারাহর নিকটে।গায়ে পড়া মানুষ গুলো মোটেও পছন্দ নয় তার।দেখছে কথা বলতে চায় না তারপরেও জোর করে কথা বলতে এসেছে যত্তসব।

বিষন্ন বিকেল,আকাশে সূর্যের আলো ফিকে হয়ে আসছে, চারপাশে যেন একধরনের ম্লান সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়েছে। বাতাসের স্পর্শে আছে ক্লান্তির ছোঁয়া, গাছের পাতাগুলো নরম বাতাসে ধীরে ধীরে দুলছে।
একাকী রাস্তা ধরে হেঁটে চলা কেউ, মাথা নিচু করে, হয়তো পুরনো কোনো স্মৃতির ভেতর ডুবে আছে। দূরে কোথাও একা একটা পাখি কেবল করুণ স্বরে ডাকছে, যেন হারিয়ে যাওয়া দিনের গল্প শুনিয়ে যাচ্ছে। নদীর জলও আজ শান্ত, ঢেউয়ের কোলাহল নেই, শুধু ধীর গতিতে বয়ে চলা। কোথাও হয়তো একটা শুকনো পাতা হঠাৎ করেই মাটিতে ঝরে পড়ছে, তার শব্দটুকু যেন এই নিস্তব্ধতার মাঝে আরও গভীর শূন্যতা এনে দিচ্ছে।
খাবার শেষে উঠে দাঁড়ালো ফারাহ, প্লেট গুলো নিজ দায়িত্বে ধুয়ে দিচ্ছে সে। সকাল থেকে দু’বার ফারাহ তাশফিন কে কল করেছে, অথচ লোকটা রিসিভ করেনি। মনটা কেমন লাগে? মনে মনে বদ লোকটাকে আচ্ছা করে বকছে সে। একবার আসুক কথাই বলবে না ফারাহ।

রাতবিরেতে দু হাত ভর্তি মেহেদি দিয়ে বসে আছে ফারাহ। মেয়ে মানুষ একটু আধটু তো শখ আহ্লাদ থাকবেই। কিন্তু কথা হচ্ছে হুট করে দুই বোন দু’হাতে এমন ভর্তি করে মেহেদি লাগিয়ে দেওয়ার কারণ খুঁজে পেলো না ফারাহ।
“আচ্ছা কাল কি কোনো অনুষ্ঠান আছে?”
মুখ তুলে তাকায় নূপুর।
“হ্যা খুব বড় অনুষ্ঠান আছে।”
শ্বশুর বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠান‌ সম্পর্কে জানতেই পারেনি?
“এমা আপু আমাকে তো কিছুই বললে না?”
বোকা নেত্রে পল্লব ঝাপটায় ফারাহ। হেসে ফেলল ঝুমুর।
“আরে বলো না কি উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছে?”
“জামাই আসবে তোমার জামাই, এটার থেকে বড় অনুষ্ঠানের উপলক্ষ চাই নাকি?”
ঝুমুরের কথায় মন কাননে অদ্ভুত ঝড় উঠেছে! এই তো সপ্তাহ খানেক আগেই গেল লোকটা, তাহলে ফিরছে কেন আবার?

স্বামীর প্রত্যাবর্তনের খবর শুনে কিশোরী বধূর হৃদয়ে যেন এক অদ্ভুত আলোড়ন বয়ে যায়। বুকের গভীরে কোথাও এক ঝড়ের আভাস, অথচ সে ঝড়ে নেই কোনো বিধ্বংসী তাণ্ডব বরং আছে অস্থিরতার এক মধুর স্পন্দন।
প্রথমে অবিশ্বাস! সত্যিই কি ফিরছেন তিনি? এতদিন পর? প্রিয় মানুষটির সান্নিধ্যের স্বপ্ন যেন বাস্তব হতে চলেছে এই ভাবনাতেই তার শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ে শিহরণ। দু’হাতে মুখ ঢেকে লজ্জায় লুকায় ফারাহ।চোখের তারায় খেলে যায় অজানা এক উচ্ছ্বাস।

তারপর অপেক্ষা! প্রতিটি মুহূর্ত যেন দীর্ঘায়িত হয়ে যায়, প্রতিটি নিশ্বাসে কেবলই অনুভূত হয় এক অপরিচিত ব্যাকুলতা। ঘরদোর পরিপাটি করতে গিয়ে হাত কাঁপে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বারবার দেখে নিজের মুখ।
কিশোরী বধূর মনে তখন একসঙ্গে জাগে শঙ্কা ও আনন্দ, লজ্জা ও উচ্ছ্বাস। স্বামীর সান্নিধ্য কেমন হবে? এতদিন পরও কি সে তার আগের মতোই? এই ভাবনাগুলোর মাঝেই সে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়, বুকে এক অদ্ভুত আলোড়ন নিয়ে, এক অদ্ভুত টান। লজ্জায় আড়ষ্ট হয় মুখশ্রী।নিজ হাতের মেহেদি দেখে বুকের ভেতর দুরুদুরু অনুভব করে ফারাহ। ইশ্ ফিরলেই তো বলবে “ম্যাডাম আমার জন্য কি গাঢ় লাল রঙে হাত সাজিয়েছেন?”
ইশ্ তখন ফারাহ কী বলবে? আচ্ছা এত গুলো দিনে কি তাশফিন একটি বারও তাকে মনে করেনি? হয়তো করেনি।শয়’তান পুরুষ না না শুধু শ’য়তা’ন নয় ঠোঁটকাটা লোক। না হলে কেমন কেমন কথা বলছিল সেদিন ফোনে!

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২২

রুবেনা শেখ বিছানায় বসে আছেন, ছেলে আসবে কাল উনার। সেই আনন্দ আর ধরে না। চুপিসারে উনার রুমে গেলো ফারাহ। ফারাহ কে দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল উনার।
“আয় আম্মু আয়।”
মিষ্টি হেসে এগিয়ে গেল ফারাহ।দুহাত ভর্তি মেহেদি দেখে হাসেন তিনি।
“কি সুন্দর দেখাচ্ছে! একদম নতুন বউ।”
লজ্জায় নুইয়ে গেল ফারাহ। আলমারি থেকে একটা শাড়ি বের করে তাকে দিলো রুবেনা শেখ।
“এই নে এটা কাল পরিস কেমন!”
শাড়িটা উল্টে পাল্টে দেখে ফারাহ।বেশ পছন্দ হয়েছে তার।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৪