প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ৯
আদ্রিতা নিশি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে বসে আছে সারহান। আশেপাশে আরও কিছু সংখ্যক তার দলের লোক ঘিরে বসে আছে।সারহান তাদের সাথেই সামনে ইলেকশন তাই নানাবিধ আলোচনা করছে।দলের লোকগুলো সারহানের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে।সারহান সবাইকে সব তথ্য বুঝিয়ে দিয়ে বললো~ সবাই বুঝেছিস কি করতে হবে?
সবাই একযোগে বলে উঠলো ~ বুঝেছি।
আবির সারহানের পাশে দাঁড়ানো। সে চিন্তিত স্বরে বললো~ সব কিছুই বুঝলাম কিন্তু আমার মনে হচ্ছে নয়ন তালুকদার চুপচাপ বসে থাকবেন না।কোনো গন্ডগোল করবেই।
সারহান আবিরের কন্ঠস্বর শুনে বুঝলো আবির গভীরভাবে কিছু নিয়ে চিন্তা করছে।রাজনীতি করতে হলে এমন পরিস্থিতিতে পরতে হয়। সেও অনেকবার পরেছে।নিজ বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সব কিছুর সমাধান করেছে একাই।সারহান আবিরের কথা শুনে ফিচেল হেসে বললো~ কি করবে করুক। আমিও দেখতে চাই কতো উড়তে পারে।
আবিরও একটু চিন্তামুক্ত হলো।সেও হেসে উঠলো।আবির হেসেই বললো~ হয়তো ভুলে গেছে তুই কে? উড়তে দিচ্ছিস তাই উড়ছে।একবার বল ডানাটা ছেঁটে দেই।
সারহান সিরিয়াস ভাব নিয়ে বললো~ উড়তে থাকুক সময়মতো ডানা ছেঁটে দিবো।
~আসসালামু আলাইকুম ভাই।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কারো কন্ঠস্বর শুনে সারহান কথা থামিয়ে সামনের দিকে তাকালো।দেখলো ইসাম দাঁড়িয়ে আছে। ইসাম সারহানের দুবছরের জুনিয়র।ভার্সিটিতে পড়ার সময় সারহানের সাথে পরিচয়।ইসাম যখন নতুন ভার্সিটির স্টুডেন্ট তখন কোনো একদিন সিনিয়রদের বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলো।তখন সারহান গিয়ে ইসামকে হেল্প করে।ইসাম সারহানের জন্য তাদের থেকে ছাড়া পেয়েছিলো না হলে কি যে হতো?তারপর থেকে কেউ কখনো আর ইসামকে কোনো কিছু বলেনি।কারণ সারহান তাদের ওয়ার্নিং দিয়েছিলো যেনো ইসামকে কেউ বিরক্ত না করে। মূলত এই কারণের জন্যই সারহানের সাথে ইসামের সখ্যতা গড়ে উঠে।
সারহান ইসামকে দেখে মৃদু হেসে বললো~ ওয়ালাইকুম আস সালাম। আরে ইসাম যে! কেমন আছো?
ইসাম একটু হেসে বললো~ ভালো আছি ভাই।আপনি কেমন আছেন?
~আমিও ভালো আছি। দাঁড়িয়ে আছো কেনো? বসো।
ইসাম সারহানের পাশের চেয়ারে বসলো।সারহান বললো~ পড়াশোনা কেমন চলছে?
~চলছে কোনো রকম।
~কোনো রকম কেনো? রাজনীতির ভূত কি এখনো নামেনি মাথা থেকে?
ইসাম একটু লজ্জা পেয়ে বললো~তেমন কিছু না ভাই।
সারহান জানে ইসামের রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সারহান ইসামকে রাজনীতির জগতে পা দিতে দেয়নি। ভবিষ্যতেও দিবেনা।রাজনীতির সাথে যে একবার জরিয়ে যায় সে কখনোই এখান থেকে বের হতে পারেনা। ইসাম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার মা আর ছোট বোন আছে। বাবা কয়েক বছর আগে মা রা গেছে। ইসাম টিউশনি করে তার আর পরিবারের খরচ চালায়।এই অনিশ্চিত জীবনে জরিয়ে গেলে তার পরিবারের কি হবে?এসব বুঝিয়ে ইসামকে দূরে রেখেছে রাজনীতি থেকে।ইসামও বুঝেছে রাজনীতিতে জরিয়ে গেলে যে কোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে তখন তার পরিবারকে কে দেখবে? সারহান ইসামের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়। নিজের সাধ্য অনুযায়ী পাশে থাকে।
সারহান বললো ~আমি এসেছি জানলে কীভাবে?
~আবির ভাই বলেছে।
সারহান কথাটা শুনে আবিরের দিকে তাকালো।আবির মাথা চুলকে হেসে বললো~ তুই কবে ক্যাম্পাসে আসবি সে খবর ইসাম জানতে চেয়েছিলো তাই আমিও বলে দিয়েছি তুই আজ আসবি।
ইসামও বললো~ আমি আবির ভাইকে বলেছিলাম।আপনি যদি ক্যাম্পাসে আসেন তাহলে জানাতে।
সারহান বললো ~ বুঝলাম।
সারহান আর ইসাম নিজেদের মাঝে কথা বলছে। আবির কয়েকটা বাইকের আওয়াজ শুনে রাস্তার দিকে তাকালো।দেখলো নয়ন তালুকদার কয়েকটা বাইকে দলবল সহ হাজির হয়েছেন।সে সারহানকে ডেকে বললো~ সারহান নয়ন তালুকদার এসেছে।
সারহান ভ্রু কুঁচকে তাকালো নয়ন তালুকদারের দিকে। স্বাস্থ্যবান চেহারা ,মেদওয়ালা, মাথায় গুটিকয়েক চুলের আস্তরণ, সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত,পান চিবাতে চিবাতে এগিয়ে আসছেন। মুখে ঝুলে আছে বিদঘুটে হাসির রেখা।দেখেই সারহানের চোয়াল শক্ত হয়ে আসলো।সারহান আর না বসে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আবিরকে বললো~ কোনো কথা বললে মাথা গরম করবি না। চুপচাপ দেখবি।আর সবাইকে বলে দে মাথা ঠান্ডা রাখতে।
আবির বললো ~ ঠিক আছে।
নয়ন তালুকদার এসে সারহানের সামনে দাঁড়ালো তার পেছনে দশ-বারো জন লোক দাঁড়িয়ে আছে।সারহানের দলের লোক নয়ন তালুকদারকে আসতে দেখে মাথা গরম হয়ে গেছে। তবুও এসব আপদকে চুপচাপ সহ্য করতে হবে তাছাড়া আর কোনো উপায় নাই। আবির ভাবছে নিশ্চয়ই ব্যাটা কোনো কুবুদ্ধি নিয়ে এসেছে আজ।এসব কাজই তো করে। নয়ন তালুকদার সারহানের দিকে তাকিয়ে বিদঘুটে হেসে বললেন~দিনকাল কেমন চলছে? রাজনীতি নিয়ে তো ভালোই মেতে আছো দেখছি।
সারহান ভরাট কন্ঠে বলে উঠলো~ চলছে ভালোই।কিন্তু আজকের দিনটা মনে হয় ভালো যাবেনা।আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো যে।
নয়ন তালুকদারের হাসি মুখটা কালো হয়ে গেলো।সবার সম্মুখে অ পমান করে দিলো এইভাবে? তবুও নয়ন তালুকদার স্বাভাবিক ভাবে বললেন~ তুমিও না সারহান এইভাবে কেউ মজা করে?
সারহান বিদ্রুপ করে হেসে বললো~ আপনার সাথে নিশ্চয়ই মজা করার সম্পর্ক নয় আমার।তাহলে মজা করতে যাবো কেনো?বাদ দিন এসব এখন বলুন আপনার সময় কেমন যাচ্ছে? ওয়েট এ মিনিট আমি তো আপনার উত্তরটা জানি।উমম,নিশ্চয়ই ভালো যাচ্ছেনা।চিন্তা করবেন না আমি থাকতে ভবিষ্যতেও আপনার দিন ভালো যাবেনা।
নয়ন তালুকদার এতোক্ষণ শান্ত থাকলেন না। সবার সামনে অপ মান তার সম্মানে লেগেছে।নয়ন তালুকদার সারহানের দিকে আঙুল তুলে হিসহিসিয়ে বললেন ~ তুমি কিন্তু তোমার লিমিট ক্রস করছো।এভাবে আমাকে অপমান করার রাইট নেই তোমার।
সারহান তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো ~ ওহহ আচ্ছা।গায়ে লাগলো বুঝি? এসব গায়ে না লাগিয়ে কেনো এসেছেন বলুন।নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য আছে।দ্রুত বলে ফেলুন, বেশী সময় নেই আমার হাতে।
নয়ন তালুকদার অগ্নি শর্মা হয়ে বললেন~ দুইদিনের ছোকরা রাজনীতিতে এসে আমায় ব্যস্ততা দেখাও।তোমার সাহস দেখে অবাক হচ্ছি। আমার মতো মানুষের সাথে অভদ্রতা দেখাচ্ছো।
সারহান চোখ মুখ শক্ত করে বললো~ আপনার মতো মানুষের জন্য আমার হাতে সময় কম।যা বলার বলে ফেলুন।
নয়ন তালুকদারের রাগ যেনো মাথায় চড়ে বসেছে। সে রেগে সারহানের শার্টের কলার চেপে ধরলো। সারহানের দলের লোক এমন দৃশ্য দেখে রে গে নয়ন তালুকদারকে মার তে যাবে এমন সময় সারহান হাত উঁচিয়ে সবাইকে ইশারা করলো থামতে।সবাই থেমে গেলেও রা গে ফুঁসছে। একবার অনুমতি পেলেই বুঝিয়ে দেবে সারহানের গায়ে হাত দেওয়ার নাতিজা কি হতে পারে?আবির তো পারছেনা টাকলুর মাথা ফাটিয়ে দিতে।মন চাচ্ছে একটা ইট দিয়ে মাথা ফা টিয়ে দিতে।
নয়ন তালুকদার রে গে বললেন~ ভেবেছিলাম তোকে বুঝিয়ে ওই এমপির ভোট করতে নিষেধ করবো। টাকাও দিতাম যতো চাইতি ততো। কিন্তু তুই তো কথা শোনার মানুষ না। উল্টে অপ মান করছিস।
সারহান নয়ন তালুকদারের হাত নিজের শার্টের কলার থেকে ছাড়িয়ে কলার ঠিক করতে করতে শান্ত কন্ঠে বললো~ সবাইকে নিজের মতো ভাববেন না। এই সারহান ইদায়াত চৌধুরীকে কখনো কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারবে না।সো, আমার কাছে এমন প্রস্তাব না নিয়ে আসা ভালো। পরবর্তীতে বিদ্বে ষমূলক কোনো ঘটনা ঘটাবেন না আশা করি।
~এই অরিত্রি এই রুমে আর কতোকক্ষণ বসে থাকবো? চল বাহিরে থেকে ঘুরে আসি।
অরিত্রিকা, ইশরা আর ইফা তিনজন রুমে বসে আছে।তাদের তিনজন বোরিং সময় পার করছে।অরিত্রিকা ইফার কথা শুনে মন খারাপ করে বললো ~ আপু বাহিরে তো যেতে দিবেনা।
ইফা বললো ~ কেনো যেতে দিবেনা?
অরিত্রিকা মুখ গোমড়া করে বললো~ সামনে তো ইলেকশন তাই আমাদের একা বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষেধ।
~ ইলেকশনের সাথে আমাদের যেতে না দেওয়ার সম্পর্ক কি?আর কে যেতে দিবে না?
~ সারহান ভাই যেতে দিবে না। যদি জানে আমরা একা ঘুরতে গেছি তাহলে তো কপালে দুঃখ আছে।
~ ইলেকশন হতে তো দেরি আছে তাহলে এখনই বের হতে দিচ্ছে না কেনো?
~ সারহান ভাই বর্তমান এমপি যিনি আছেন উনার হয়ে কাজ করছেন।এ কারণে নাম ডাক বেশী তাই শ ত্রুও আছে। উনাকে তো সহজে কিছু করতে পারে না। তবে আমাদের হাতে পেলে মে রেও দিতে পারে।বুঝেছো রাজনীতি করলে পরিবারের সকলকে সাবধানে থাকতে হয়। এই যে যতোদিন ভোট না হবে ততোদিন বসে থাকতে হবে বাড়িতে।
ইফা অবাক হয়ে বললো~ উনি রাজনীতি করেন? আমি ভেবেছিলাম কি আর হলো কি? এটা কিভাবে মানবো বলতো? এতো হ্যান্ডসাম ছেলে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার না হয়ে শেষে কিনা রাজনীতিবিদ।এটা করা একদম ঠিক হয়নি উনার।
ইশরা ইফার দিকে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালো।অরিত্রিকা চোখ ছোট ছোট করে বললো ~ রাজনীতি করেন উনি আর তুমি মানতে পারছোনা কেনো বলোতো আপু?
ইফা বুঝলো সে ভুল জায়গায় ভুল কিছু বলে ফেলেছে। সে হাসার চেষ্টা করে বললো ~ আরে এমনি বললাম। আমি ভেবেছি ডাক্তার অথবা ইন্জিনিয়ার।এখন শুনি রাজনীতি করেন।
অরিত্রিকা বললো ~ ওহহ।
ইশরার ইফার ভাবভঙ্গি দেখে সন্দেহ হচ্ছে।নিশ্চয়ই সারহান ভাইকে ভালো লেগেছে। এসব মেয়েদের চক্করে সারহান ভাই একসময় গান গাইবে”” বিধি তুমি বলে দাও আমি কার?””” এসব ভাবতেই খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো ইশরা। ইশরাকে হাসতে দেখে অরিত্রিকা বললো ~ কিরে হাসছিস কেনো?
ইশরা কোনো মতে হাসি আটকিয়ে বললো ~ তেমন কিছু না।একটা কথা মনে পরে গেলো।
~ আমি ভাবলাম তুই পা গল হয়েছিস।
ইফা বললো~ অনেকদিন পর তোদের বাড়ি আসলাম। বাড়িটা আমায় ঘুরে দেখা।
অরিত্রিকা বিছানা থেকে নেমে বললো ~ চলো। ইশরা তুই চল।
ইশারা আর ইফা বিছানা নেমে দাঁড়ালো ।অরিত্রিকা রুম থেকে বেরিয়ে সোজা হাঁটতে শুরু করলো। পিছু পিছু ইফা আর ইশরাও গেলো।
অরিত্রিকা হাত দিয়ে ইশারা করে তার পাশের রুম দেখিয়ে বললো ~ এটা অরিন আপুর রুম। যখন আপু শশুড় বাড়ি থেকে আসে তখন এখানে থাকে। আর তার পরের রুমটা মা,বাবা থাকে। পরের দুইটায় কেউ থাকেনা। এমনি খালি পরে আছে।
ইফা বললো ~ তারমানে সিঁড়ির একপাশের সকল রুম তোদের?
~হুম। চলো সিঁড়ির অপর পাশের রুম চিনিয়ে দেই।
~চল।
অরিত্রিকা,ইশরা আর ইফা হেঁটে সিঁড়ির ওপর পাশের দিকে গেলো।অরিত্রিকা ইফাকে সিঁড়ির পাশের রুমটা দেখিয়ে বললো~ এটা হলো সারহান ভাই মানে ওই যন্ত্র মানবটার রুম। ভুলেও এদিকে আসবে না বুঝছো।আসলেই শেষ।
অরিত্রিকা কারো সাড়া শব্দ না পেয়ে কথা থামিয়ে পিছে তাকালো দেখলো কেউ নেই। এরা আবার কোথায় গেলো?না বলে চলে যাওয়া কোনো মানে হয়?বলে গেলেই তো পারতো। সে সারহানের দরজার দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো সারহান তার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।দরজা আধ খোলা।নিশ্চয়ই এই কারণেই দুটো তাকে বা ঘের সামনে রেখে পালিয়েছে।সে কথা বলায় এতোটাই মগ্ন ছিলো যে খেয়াল করেনি সারহান দরজার সামনে দাড়িয়ে ছিলো। অরিত্রিকা নিজের কাজে নিজেই বিরক্ত হলো।
সারহান অরিত্রিকাকে স্ট্যাচুর ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো ~ আমার রুমের সামনে এসে কি বলছিলি?
অরিত্রিকা সারহানকে উত্তর দিতে যাবে এমন সময় সারহানের দিকে তাকাতেই চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।সে চিল্লাতে গিয়েও চিল্লালোনা।গলার রোধ করে রাখলো। অরিত্রিকা আর দেরি না করে তক্ষুনি দুহাতে চোখ ঢেকে নিলো। এসব কি দেখলো সে।সারহান অরিত্রিকাকে এমন করতে দেখে রুষ্ট হয়ে বললো ~ এমন উদ্ভট আচরণ করছিস কেন?
অরিত্রিকা নাক মুখ কুঁচকে বললো ~ ছিঃ সারহান ভাই আপনি এই অবস্থায় একটা মেয়ের সামনে আসতে পারলেন?আপনার লজ্জা করলোনা? আমার মতো বাচ্চা মেয়ে এগুলো দেখলে কি ভাববে বলুন তো?
সারহান না বুঝে বললো ~কী অবস্থায় এসেছি?
অরিত্রিকা একটু ঝাড়ি দিয়ে বললো~ এই যে অর্ধ ন*গ্ন অবতারে যে একটা মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন লজ্জা লাগছে না আপনার।
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ৮
সারহান নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললো ~ না লাগছে না। এমন ভাব করছিস মনে হচ্ছে থাক আর বললাম না।
অরিত্রিকা মুখ বাঁকিয়ে বললো ~ নির্ল জ্জ পুরুষ মানুষ আপনি। তাই তো লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে বসে আছেন।
~লজ্জা নারীদের ভূষণ। পুরুষদের নয়।বলেই সারহান দরজা আঁটকে দিলো।
দরজা আটকানোর আওয়াজে অরিত্রিকা চোখ থেকে হাত নামিয়ে ফেললো।এই মানুষটা যে নির্ল জ্জ আছে তার প্রমাণও পেলো সে।আর কতো কি যে দেখবে সে? বারবার এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পরতে হয় তাও আবার সারহানের কারণেই অসহ্যকর বিষয় একটা। আর একটু হলেও হৃদপিন্ড বাহিরে চলে আসতো। এখনো ঘোড়ার মতো লাফাচ্ছে মনে হচ্ছে।