প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১৬
আদ্রিতা নিশি
মৃদু বাতাসে জানালার হালকা গোলাপী পর্দা হেলেদুলে নড়ে চলেছে।সকালের শীতল মনোরম পরিবেশ। রাতের বৃষ্টিতে গাছের পাতাগুলো যেনো অনেক বেশী গাঢ় সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। গাছের পাতায় অবশিষ্ট বৃষ্টিকণায় সূর্যের আলো পরতেই মুক্তার ন্যায় জ্বলজ্বল করে উঠছে।সূর্যের আলো জানালা ভেদ করে অরিত্রিকার রুমে প্রবেশ করছে। ঝিকিমিকি রৌদ্রস্নাত প্রকৃতি মোটেও মন্দ লাগছে না। অরিত্রিকা বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে আছে। মুখশ্রী শুকনো,মলিন। একরাতেই মেয়েটিকে জ্বর অনেকটাই কাবু করে ফেলেছে।অতিরিক্ত ঘুমের কারণে চোখ মুখ ফুলে গেছে।রাতে ঝড় বৃষ্টি কমে এলে ডাক্তার এসেছিলেন চৌধুরী বাড়িতে ।
তিনি অরিত্রিকাকে অতিরিক্ত জ্বর ওঠার কারণে ইনজেকশন দিয়েছেন,সাথে আরো কিছু ঔষধ।এতেই অরিত্রিকা ঘুমে বিভোর হয়ে গিয়েছিলো।এখনো চোখে ঘুম জড়িয়ে আসছে। কখন রাত পেরিয়ে ভোর হয়েছে বুঝতেই পারেনি।অরিত্রিকা ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির দিকে তাকালো নয়টা বিশ বাজে।রাতে স্যুপ খেয়েছে শুধু। ক্ষিধে তে পেটে মনে হচ্ছে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে।সাথী বেগম অরিত্রিকাকে ডেকে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে থাকতে বলেছেন।সে অসুস্থ হয়ে একটা দিক ভালো হয়েছে মায়ের আদর,যত্ন, ভালোবাসা পাচ্ছে বেশি করে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অরিত্রিকা এক ধ্যানে অফ হোয়াইট দেয়ালে রং তুলির স্বতঃস্ফূর্ত আঁচড়ে আঁকা ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে রইল।দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।তার মনে পড়ে যখন সে সদ্য কলেজে উঠেছিলো।সেই সময়ে তাদের বাড়ি পুনরায় রং করা হয়। অরিত্রিকা তার বাবাকে বলেছিলো নিজের ঘরের দেয়ালে ফুলের পেইন্ট করাবে। আজমল সাহেব মেয়ের কথা রাখেন। কিন্তু মেডিকেলে চান্স না পাওয়ায় সবকিছু অন্যরকম হয়ে গেলো। অরিত্রিকার সাথে তার বাবা ভালোভাবে কথা বলেন না। অরিত্রিকা মানে তার গাফিলতির কারণেই মেডিকেলে চান্স পায়নি। ভাবতেই বুক চিড়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেড়িয়ে এলো।
সাথী বেগম খাবার প্লেট হাতে রুমে প্রবেশ করলেন।মেয়েকে গভীর চিন্তায় মগ্ন দেখে তিনি ডেকে উঠলেন~ অরিত্রিকা এতো কি ভাবছিস?
অরিত্রিকার ভাবনার সুতো ছিড়লো তখনি।সে সাথী বেগমের দিকে তাকিয়ে ধীর কন্ঠে বললো~ তেমন কিছু না।
সাথী বেগম গিয়ে মেয়ের পাশে বসলেন।নিজ হাতে ভাত মাখিয়ে অরিত্রিকাকে বললেন~ নে হা কর।
অরিত্রিকা খাবার মুখে নিলো।নিতেই অনুভব করলো সে খেতে পারছেনা। কেমন বিস্বাদ লাগছে মুখে।চোখ মুখ কুঁচকে গেলো তার। সাথী বেগম অরিত্রিকার মুখশ্রী কুঁচকানো দেখো বললেন~ কি হয়েছে?
~ মা ভাত খেতে পারছিনা। স্বাদ লাগছে না।পানি দাও।
সাথী বেগম অরিত্রিকার হাতে পানির গ্লাস এগিয়ে দিলেন।অরিত্রিকা পানি দ্বারা মুখের ভেতরে থাকা ভাত গিলে ফেললো।পানিও তেঁতো লাগছে। মুখ কুঁচকেই বললো~ আমার খেতে ইচ্ছে করছে না আর। নিয়ে যাও খাবার।
~ঔষধ খেতে হবে এতো অল্প খেলে হবে না। আরেকটু খা।
অরিত্রিকা মুখ ভাড় করলো।সাথী বেগম দেখলেও ভাত মাখিয়ে অরিত্রিকাকে খাইয়ে দিলেন।তিন,চারবার খেয়ে আর খেলোনা অরিত্রিকা।সাথী বেগম প্লেটে হাত ধুয়ে ডাক্তারের দেয়া কয়েক রকমের ঔষধ খোসা ছাড়িয়ে মেয়ের হাতে দিলেন।অরিত্রিকা সবগুলো ঔষধ খেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাচলো যেনো।অরিত্রিকা নিজের রুমে কারো উপস্থিতি না দেখে সাথী বেগমকে জিজ্ঞেস করলো~ মা কাউকে দেখছিনা! কোথাও গিয়েছে কি?
~ নাহহ।সবাই নিচে আছে।তুই যখন ঘুমচ্ছিলি সবাই তোকে দেখতে এসেছিলো।ইশরা বাসায় চলে গেছে। তোর ফুপা কল করেছিলো। সাদাত বাইকে করে রেখে এসেছে।
~ওহহ।
~ আমি নিচে গিয়ে ইফাকে তোর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। একা একা নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না।
অরিত্রিকার মুখ থমথমে হয়ে গেলো। সে থমথমে ভাব বজায় রেখে বললো ~ ঠিক আছে।
সাথী বেগম রুম থেকে বেরিয়ে যাবে এমন সময় অরিত্রিকা মিইয়ে যাওয়া কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো~ মা, বাবা আমায় দেখতে এসেছিলো?
সাথী বেগম থেমে প্রতিত্তোর করলো~উনি তোর বাবা হয় কোনো শ/ত্রু না। মেয়ে অসুস্থ তা দেখে বাবা কি চুপ করে বসে থাকতে পারে? রাত থেকে তোর জন্য টেনশন করছে।রাতে অনেকবার এসে দেখে গেছে।
অরিত্রিকার মন ভালো হয়ে গেলো।
~ সারহান! তোর চোখ এতো লাল লাগছে কেনো? সারারাত ঘুমাসনি?
সারহান আজ এমপি মহোদয়ের সাথে দেখা করতে উনার বাড়িতে এসেছে।সাথে আবিরও আছে।আবির সোফায় বসে অনেকক্ষণ যাবৎ খেয়াল করছে সারহানের চোখ টকটকে লাল।এর দুইটা কারণ হতে পারে প্রথমত গঞ্জি/কা সেবন, ছাই পাশ খাওয়া, দ্বিতীয়ত’ রাতে ঘুম না হওয়া। প্রথম কারণটা সারহানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।সে জানে তার বন্ধু যথেষ্ট ভালো এসবের দিক দিয়ে।তাহলে কি দ্বিতীয় কারণ?মনে মনে এই ছোট্ট বিষয় নিয়ে জগা খিচুড়ি পাকাচ্ছে আবির।মাথায় তার অসংখ্য কথা ঘুরছে।সে আর কৌতুহল দমিয়ে না রেখে সারহানকে সরাসরি প্রশ্ন করেই ফেললো।
সারহান আবিরের কন্ঠস্বর শুনে ছোট্ট করে উত্তর দিলো ~হুমম।
আবির যেনো সারহানকে জ্বালানোর পথ পেয়ে গেলো। মনে মনে অসংখ্য শয়/তানী ফন্দি আটলো।আবির শয়তানী হাসি দিয়ে বললো~ নতুন নতুন গার্লফ্রেন্ড হয়েছে নাকি ভাই? এমন হয় রে। প্রথম প্রথম প্রেমে পরলে সারারাত জাগতে হয়, প্রেমালাপ করতে হয়।
আবিরের কথা শুনে সারহানের ভ্রু কুঁচকে গেলো।এসব কি বলছে আবির? গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা। আজব!সারহান ব্যগ্র কন্ঠে বলে উঠলো~ ভালোই তো তোর এক্সপেরিয়েন্স আছে দেখছি। থাকারই কথা। তোর গার্লফ্রেণ্ডের সংখ্যা তো গুনে শেষ করা যাবে না। কিছুদিন পর পর নতুন নতুন।
আবির সারহানের কথা শুনে গা গুলিয়ে হেসে দিলো।সারহান মোটেও মি/থ্যা বলছেনা।আবির হেসেই বললো~ সেই বাতাস তো তোর ও লেগেছে ব্রো।এবার বল ভাবীর নাম কি?
সারহান সরু চোখে আবিরের দিকে তাকিয়ে বললো~ তোর মতো আমার ক্যারেক্টারে সমস্যা নেই যে রাত জেগে কথা বলে নিজের সময় নষ্ট করবো।ওসব ছাড়াও আমার অনেক কাজ আছে।
আবির দুঃখী মুখ করে হতাশার ভঙ্গিতে বললো~আমার মনে হয় তোর জীবনে কোনো শখ- আহ্লাদ নেই। রাজনীতিতেই সংসার পেতে বসে আছিস। আমার ক/ষ্ট হয় জানিস! আমি মনে হয় এই জীবনে চাচ্চু ডাক শুনতে পাবো না।অন্তত চাচ্চু ডাক শোনার ইচ্ছা পূরণ করতে বিয়েটা কর ভাই।
সারহান মুখ কুঁচকে বললো~ তোর মতো ড্রামা বাজ আমি খুব কম দেখেছি। মেয়েদের মতো এতো ন্যাকামি করিস কেন?
~ সত্যি বললেই ন্যাকা লাগে তোর। এমন একজনের সাথে তোর বিয়ে হোক যে তোর সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মানুষ ।সারাদিন তোকে জ্বালিয়ে মারবে তখন দেখবি ন্যাকামি কি!
~ আস্তে কথা বল। ভুলে যাস না আমরা এখন কোথায় আছি।
আবির চুপ হয়ে গেলো।মনে মনে অনেকটা বিরক্ত সে। সারহান বিয়েটা করলে বাড়িতে সে মা -বাবাকে বলতে পারতো ” সারহানেরও বিয়ে হয়ে গেলো। সকলের বউ আছে। এবার আমার বিয়েটাও তোমরা দিয়ে দাও”।তা আর হচ্ছে কোথায়?? সারহানকে বিয়ের কথা বলেও কোনো লাভ হচ্ছেনা। সাহস করে নিজের বাড়িতেও নিজের বিয়ের কথা বলতে পারছে না। কি যে মুসিবত।!! সারহান আবিরের কথায় আর পাত্তা না দিয়ে পকেট হতে ফোন বের করলো। কপালে চিন্তার ভাজ।ফোনের লক খুলে কল লিস্টে কারো নাম্বার খুঁজতে লাগলো।কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটি করে কাঙ্খিত নাম্বারটা ভেসে উঠলো ফোন স্কিনে। ইংরেজী অক্ষরে “FAIRUJ” নামটা সেভ করা।কিয়ৎ সময় ভাবনায় মত্ত হলো সে। ভাবতে লাগলো কল দিবে কি না! দু-তিনবার কল দিতে গিয়ে সারহানের আঙুল আঁটকে গেলো।কল দেয়ার সিদ্ধান্ত বদলে মেসেজ দিতে পারে।সেটাই ঠিক বলে মনে হয়েছে তার কাছে। চিন্তিতগ্রস্থ হয়ে হাতের আঙুল গুলিয়ে কিছু লিখে নাম্বারটিতে সেন্ড করে দিলো সে।
~আ’ম সরি জেন্টলম্যান।একটা কাজে আঁটকে গিয়েছিলাম তাই আসতে দেরী হলো।
আজাদ সাহেবের কন্ঠস্বর শুনে সারহান ফোন সাইলেন্ট করে পকেটে রেখে দিলো।আজাদ সাহেব একটা মিটিংয়ে আঁটকে গিয়েছিলেন।ফিরতে অনেকটা লেট হয়ে গেছে। সোফা থেকে উঠে সারহান আজাদ সাহেবের সাথে হাত মিলিয়ে বললো~ ছোট্ট একটা বিষয়কে এতোটা সিরিয়াসলি নেয়ার প্রয়োজন নেই আজাদ সাহেব।
আবির ও সারহানের সাথে দাঁড়িয়েছে।
আজাদ সাহেব হেসে বললেন~ সময়ের মূল্য অনেক।একবার সময় চলে গেলে ফিরে পাওয়া যায় না।আমিও সময় নষ্ট করে পছন্দ করি না। যাই হোক দুজনেই বসো।
সারহান, আবির আবারও বসে পরলো।আজাদ সাহেব আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আবিরকে বললেন~ কি খবর আবির! রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আছো দেখছি।ভালোই প্রচার প্রচারনা করছো দেখলাম।
আবির মৃদু হেসে জবাব দিলো ~ হুমম অনেকটাই ব্যস্ত।
আজাদ সাহেব হেসে বললেন~ চালিয়ে যাও। ইলেকশনে আবারও জয়লাভ করতে হবে।
অরিত্রিকা গোসল সেরে মাত্রই রুমে এসেছে। তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুছে চলেছে দুর্বল হাতে। মুখে কিছুটা বিরক্তির ভাজ। কোনো মতে ভেজা চুল মুছে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়ালো। সেখান হতে চিরুনি নিয়ে চুল আঁচড়াতে লাগলো।চুল মুছে তোয়ালে পড়তে বসে সেই চেয়ারে মেলে দিলো।এখন বাহিরে যেতে ইচ্ছে করছেনা। অরিত্রিকার শরীর কিছুটা সুস্থ এখন জ্বর নেই।তবে শরীরে ব্যথা করছে।দুর্বল ও লাগছে। ক্লান্তভঙ্গিতে বিছানায় বসে পরলো।এতোটুকু কাজ করতেই হাঁপিয়ে গেছে সে।বিছানায় হেলান দিয়ে তিশাকে কল করার জন্য ফোনটা হাতে নিলো।ইশরা চলে গেছে মনটা ভালো নেই।ইফা থাকলেও কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।তিশা আসলে হয়তো মনটা ভালো লাগবে। ফোন হাতে নিয়ে দেখলো ফোন স্কিনে অসংখ্য নোটিফিকেশন জমা হয়েছে। অরিত্রিকা নোটিফিকেশন অল ক্লিয়ার করতে গিয়ে একটা নোটিফিকেশনে তার চোখ আঁটকে গেলো।বক্ষে তখনি মৃদু কম্পন বয়ে গেলো।কিছুটা অস্থিরতা অনুভব করলো সে।অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে কয়েকবার পলক ঝাপটালো সে। মেসেজ নোটিফিকেশনে জ্বলজ্বল করে মেসেজ দাতার নাম ভেসে উঠেছে। “SARHAN VAI” নামে সেভ করা নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে।সে মেসেজটি ক্লিক করলো।
~”জ্বর কমেছে?” এই ছোট্ট মেসেজ অরিত্রিকার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটালো। কিছুটা উৎচ্ছসিত হলো ভেতরে ভেতরে। আরেকটা মেসেজও আছে সে। সে মেসেজটা উৎসাহের সাথে পড়তে লাগলো।
~”খাবার খেয়ে ঠিকমতো ঔষধ খাবি। রেস্ট নিবি। উড়নচণ্ডীর মতো এই অসুস্থ শরীরে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরবি না।”
অরিত্রিকা যতটুকু খুশি হয়েছিলো তা এক নিমিষে ফাটা বেলুনের ন্যায় চুপসে গেলো। সে কি সবসময় এমন লাফিয়ে বেড়ায় নাকি? মাঝে মাঝে একটু শ/য়তানী করে। তাই বলে উড়নচণ্ডী বলবে!! এটা মানা যায় না। বারবার শুধু অপ/মান তাই না? এবার থেকে আরও উড়নচণ্ডী পণা করবে তাও আবার যন্ত্র মানব টার সামনেই।
অরিত্রিকা কিছুটা রে/গে মেসেজে লিখলো~ আমি আপনার সামনে লাফাবো, নাচবো, গোটা বাড়ি নেচে নেচে বেড়াবো তাতে আপনার কি? দরকার হলে সারাদিন মঞ্জুলিকার মতো সেজে নৃত্য করবো, হুহ্।
তৎক্ষনাৎ আর কোনো মেসেজের রিপ্লাই আসলো না। অরিত্রিকা রেগে থাকলেও তার মন পরে রইল ফোনের দিকে।মন বলছে রিপ্লাই আসুক। অনুভূতি আসলেই ছন্নছাড়া হয়। কিছুটা সময় যেতেই মনে পরলো সে তো তিশাকে কল দিতে চেয়েছিলো। তখনি মেসেজের টুং করে শব্দ হলো।দেখলো সারহান মেসেজের রিপ্লাই করেছে। অরিত্রিকা আগ্রহ নিয়ে দ্রুত মেসেজ বক্স ওপেন করে পড়তে লাগলো।
“লুঙ্গি পরেছিলি সেদিনের সাজ টা মঞ্জুলিকার থেকে কম কিছু লাগছিলো না।অন্য কেউ হলে নিশ্চিত ভাবতো তুই তার ঘাড় মটকাতে এসেছিস। তবে বলতে হবে সেই সাজ টা তোর জন্য একদম পারফেক্ট ছিলো। একদম ছোট্ট মঞ্জুলিকা লাগছিলো তোকে।”
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১৫
অরিত্রিকার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।এটা কি সারহান ভাই তার প্রশংসা করলো নাকি অপ/মান করলো তা নিয়ে অরিত্রিকা কনফিউজড হয়ে গেলো। অরিত্রিকা আর দেরি না করে আবারও লিখলো~ আপনি আমার প্রশংসা করলেন নাকি অপ/মান করলেন?