আত্মার আগলে পর্ব ৭

আত্মার আগলে পর্ব ৭
সানজিদা আক্তার মুন্নী

মেহনূর এগিয়ে যেতেই মেহরুব একপ্রকার দৌড়ে এসে ঝাপটে নিজের বোনকে বুকে জড়িয়ে নেয়”! যেন ছাড়লেই এহসান মেহনূরে কে এক ঝটকায় নিয়ে যাবে মেহরুব পাগলের মতো বলতে তাকে
—- আমার বোন আমার বোন”! তুই ঠিক আছিস তো কলিজা বল আমায়”! তোর কোনো ক্ষতি করেনি তো”!ঐ পশুটা তোকে মেরেছি কি? বল বল ভাইজান কে বল “!তোর ভাইজান তোকে নিয়ে যাবে”! দেখ তোর জন্য চলে এসেছে “!জানিস কেউ ভালো নেই তোকে ছাড়া “! আমরা ঐ জমি দিয়ে দিব, প্রয়োজনে সব দিয়ে দিব, এই লোক কে “!তার বিনিময় তোকে নিয়ে যাব “!তোকে ছাড়া বাঁচব না আমি “!তোকে এই বাড়িতে এই নরখাদক তিলে তিলে শেষ করে দিবে ‘!নিয়ে যাব তোকে”! একদম হতাশ হবি না আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের সাথে আছেন “!

ভাইদের প্রান মেহনূর সে জানে এটা”! তাই মেহরুব কে আর-ও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করতে তাকে “!
কিন্তু কি শান্ত করবে উল্টো নিজের ভিতর ফেটে কান্না আসছে”! কলিজা ফেটে যাচ্ছে, ছিঁড়ে যাচ্ছে ভাইজান কে এমন বাচ্চাদের মতো করতে দেখে”! কান্নার জন্য কিছু বলতেও পারছে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে মেহনূর আর চিৎকার দিয়ে বলে
—– ভাইজান শান্ত হও আমার কিচ্ছু হয়নি কিচ্ছু করেনি কেউ আমায় “!ভাইজান শান্ত হও ভাইজান শান্ত হও শান্ত হও…… আর কিছু বলতে পারছে না কান্নার জন্য “! গলা ছিঁড়ে যাচ্ছে, কিন্তু কথা আর বের হচ্ছে না ‘!
ছেলে-মেয়েদের এতটা আকুতি-মিনতি দেখে মেহনূরের বাবা আর কিছু না ভেবে সোজা এহসানের পা জড়িয়ে ধরেন। চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না, কান্নায় কাঁপতে কাঁপতে বললেন—

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

—“এহসান, আল্লাহর জন্য হলেও আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দে! আমার একমাত্র মেয়ে, আমি ওর জন্যই বাঁচি। ও-ই আমার প্রাণ, আমার ছেলেদের প্রাণ! দেখ, আমার দুই ছেলে পাগল হয়ে গেছে! আমার বড় ছেলে তো হাসপাতালে ভর্তি… কান্না করতে করতে তার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে! আল্লাহর দোহাই লাগে, ভাই, ছেড়ে দে! সারাজীবন তোর গোলামি করব, কিন্তু আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দে… আল্লাহর দোহাই লাগে!”
এহসানের মন গলে না, উল্টো নিজের পা ছাড়িয়ে মেহনূরের বাবার সামনে বসে হো হো করে হেসে বলে,
“—-কষ্ট হচ্ছে বুঝি? কষ্ট হচ্ছে, তাই না? নিজের আপনদের জন্য, নিজের ছেলে-মেয়ের জন্য! তাহলে ভাব, আমার আব্বার কতটা কষ্ট লেগেছিল সেদিন, যেদিন তোদের সামনেই আমার বড় ভাই মারুফকে খুন করা হয়েছিল! একবার ভাব, পশুর দল! কেমন লেগেছিল আমার আর আব্বার, যখন ওই জসিমরা আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে আমাদের গোসল করিয়েছিল!

আমি অবুঝ এহসানকে আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে গোসল করিয়েছিল! আমার সামনে, আমার ভাইয়ের নিথর দেহের বুক থেকে হৃদপিণ্ডখানা টেনে ছিঁড়ে এনে ধরেছিল! তখন তোরা শুধু তামাশা দেখেছিস! তোদের চোখের সামনে তোদেরই চাচাতো ভাইকে খুন করে তোদেরই চাচাকে রক্ত দিয়ে গোসল করিয়েছিল! কিন্তু তোরা কিছু করিসনি!
সেদিন যদি আমি নয় বছর বয়সের না হয়ে, আজকের মতো তাগড়া যুবক থাকতাম, আমার ভাইজানরা বাড়িতে থাক থাকত, তাহলে এমনটা হতো না! তোরা ছয়জন ছয়দিকে যদি আসতি, তাহলে আমাকে, আর আমার “আব্বাকে বড় ভাইজানের রক্ত দিয়ে গোসল করা লাগত না! কী এমন হতো রে, তোরা একটু সাহায্য করলে? আমরা তো এক রক্তই ছিলাম!”তাহলে এখন কেনো আমি তোর মেয়ে কে তোর পরিবার কে দয়া করব বল বল?
এ বলে এহসান মেহনূরের বাবাকে ধাক্কা দেয়! মেহনূরের বাবা মাটিতে ধপাস করে বসে যান “!

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়—এহসান এত কিছু বলল, অথচ মেহনূর একটাও শুনতে পেল না। ওর কান ঝাঁঝাঁ করে বাজছিল, মন শূন্য হয়ে গিয়েছিল। একটাই ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথায়—ওর আব্বার মতো কঠিন মানুষও শত্রুর পা ধরে মিনতি করতে পারে? তাও তার জন্য!মেহনূর স্তব্ধ হয়ে বসে ছিল, একেবারে নিথর।
এহসান যখন তার বাবাকে ধাক্কা দেয়, তখন হুঁশ ফেরে মেহনূরের। মেহরুবের বাঁধন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছুটে যায় বাবার কাছে। আব্বাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে—
— “আব্বা! আপনে কেনো আমার জন্য এই নরপশুর কাছে মাথা নত করছেন? কেনো, আব্বা? আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাকে ছাড়বে না এই নরখাদক! আব্বা, আপনে চলে যান! আমার জন্য কষ্ট করবেন না! ভেবে নিন, আপনার মেয়ে মরে গেছে!”
মেহনূর কান্নায় ফেটে পড়ে।
এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে মুস্তফা সাহেব আর স্থির থাকতে পারেন না। তিনি মনিরুলের হাত ধরে মিনতি করে বলেন—

— “ভাইজান! আপনি কিছু বলেন না! আমার ফুলকে ছেড়ে দিতে বলেন! আমার বাড়িটা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে! ভাইজান, মাফ করে দিন আমাকে! নিয়ে নেন সব! কিন্তু আমার ফুলকে যেতে দেন!”
কিন্তু মনিরুল সাহেব তার হাত সরিয়ে নেন, মুখে কঠিন এক হাসি ফুটে ওঠে।
— “এসব আমি জানি না! চুক্তি যখন করেছো, মাশুলও দিতে হবে! আর আমি বললেই হবে না! সব এহসানের উপর নির্ভর করছে! তাছাড়া, এখন এহসানের স্ত্রী, তোমার নাতনি! এহসানের কাছে যাও, তাকে বোঝাও!”
মুস্তফা সাহেব কিছু বলতে যাবেন, কিন্তু তার আগেই মেহরুব চিৎকার করে উঠে—
—- কি বলবেন দাদা আপনে কিচ্ছু বলার নাই আমার বোনকে আমি নিয়ে যাব এই কুত্ত***** বাচ্চা কি বা-***** ল ছিড়বে “!

এহসানের মাথার রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে! এমন কথায় ও চারপাশে চোখ ঘুরিয়ে একটা লাঠি তুলে নেয়, মুখের শিরাগুলো ফুলে ওঠে, গলা বাজখাঁই হয়ে যায়—
— **”সর—*রে বাচ্চা! আমার বাড়িতে এসে আমায় গালি দিচ্ছিস?!”
এই বলে এহসান যখন মেহরুবের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে যাবে, ঠিক তখনই মেহনূর এক ঝটকায় উঠে দাঁড়ায়!
ওর দুই হাত দিয়ে এহসানকে আঁকড়ে ধরে, নিজের শরীরের সব শক্তি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখে, যেন এহসান মেহরুবকে মারতে না পারে! মেহনূরের গলা কান্নায় ভেঙে পড়ে—
— “না… নাআআ! আমার ভাইজানকে কিছু করবেন না! এহসান চাচা, না! চাচা, এমন করবেন না!”
মেহনূরের কান্নায় মুহূর্তের জন্য থমকে যায় এহসান। ওর বুকের ভেতর ধকধক করে ওঠে, যেন কিছু একটা ভেঙে যাচ্ছে ভিতরে!
মেহনূর ওকে জড়িয়ে ধরে আছে—একদম শক্ত করে! এহসানের গলা দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে, ওর হাত থেকে লাঠিটা পড়ে যায় মাটিতে!

পরক্ষণেই এহসান ওকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে, ওর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়, গভীর গলায় বলে—
— “এই নারী শুধু আমার! শুধু আমার! এই নারীকে যে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চাইবে, মনে রেখো—তার কলিজা ছিঁড়ে আনতে আমি এহসানের এক মুহূর্তও লাগবে না!”
তারপর কড়কড়ে স্বরে চারপাশের সবাইকে হুঁশিয়ার করে বলে—
— “তোরা চুপচাপ বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে! ভুলে যা তোদের মেয়ের কথা! আজ থেকে,! এই নারী এই এহসান তালুকদারের অস্তিত্ব!”
এহসান মেহনূরকে সবার সামনে কোলে তুলে নেয় এবং তার পর নিজের কক্ষে নিয়ে যেতে শুরু করে। যাওয়ার পথে, সে কঠোর গলায় বলে—
— “আব্বা! এই কুকুরগুলোকে লাতি দিয়ে বের করো বাড়ি থেকে!”
মেহনূরের বাবা, ভাই, এবং দাদা হতাশ হয়ে বুকে কষ্ট চেপে বাড়ি চলে যান। তবে মেহরুব যাওয়ার সময় মনিরুল সাহেবকে এক হুমকি দিয়ে যায়—

— “মনে রেখো এমন ধ্বংস আর কলঙ্কে কলঙ্কিত করব তোমায়, মনিরুল সাহেব! যে তুমি এই সমাজে আর মুখ দেখাতে পারবে না!
এই বলেই মেহরুব ক্ষোভ ভরা মনে নিয়ে চলে যায়।
এহসান মেহনূরকে নিজের কক্ষে নিয়ে আসে, কিন্তু সে মেহরুবের কথা শুনেনি। যদি শোনতে পতে, হয়তো মেহরুবের কলিজা ছিঁড়ে নিত।
মেহনূরকে কক্ষে এনে এহসান তাকে সোফায় বসিয়ে দেয়। তবে মেহনূরের কোনো ভাবান্তর নেই। সে যেন পাথর হয়ে গেছে, শরীর ভেঙে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে নিজের উপর পাগল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে—এ সব যেন এক দুঃস্বপ্ন! ঘুম ভেঙে গেলে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।
তবে হঠাৎ এহসান তার শরীর ঝাঁকিয়ে বলে—

— “মেহনূর!”
মেহনূরের হুশ ফিরে আসে। এহসানকে সামনে দেখতেই সে কোনোদিকে না তাকিয়ে টাশ করে এক থাপ্পড় বসিয়ে দেয় এহসানের গালে। এরপর তার কলার চেপে ধরে, চিৎকার করে বলে—
— “আপনি একটা পাপ, একটা অমানুষ, জানোয়ার! আপনি আপনার মনুষ্যত্ব হারিয়েছেন। আমি আপনাকে কোনোদিন ক্ষমা করব না, কোনোদিনও না! ধ্বংস হয়ে যাবেন আপনি, ধ্বংস!”
এহসানের মাথা রাগে ফেটে যেতে থাকে। রাগের চটে, মেহনূরের হাত নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দাত চেপে বলে—
— “এতে আমার বা****লও ছিড়ে যাবে না তোর কাছে আমি চেয়েছি ক্ষমা, , প্রয়োজন নেই তোর বা****লের আমার”!
মেহনূর এমন উক্তি শুনে কিছুক্ষণ থমকে গিয়ে বলে—
— “এতটুকু তো মানুষের মতো কথা বলুন! মানুষ তো আপনি, নাকি দেখতেই শুধু !”
এহসান চিৎকার করে বলে—

— “হ্যাঁ! আমি দেখতেই মানুষ, কিন্তু আসলে আমি একটা আস্ত নরখাদক, আমি একটা ভয়ংকর পাপ, আমি একটা পশু, আমি খারাপের চেয়েও খারাপ, আর মনে রাখিস এই খারাপের অধীনেই তুই অধীনস্থ!”
মেহনূর রাগে তীব্রভাবে এহসানের হাত থেকে নিজের হাত সরিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর, ক্ষোভের মাথায় আবারও এহসানের পাঞ্জাবির কলার শক্ত করে ধরে নেয়। আর কোনো কিছু না ভেবে, এক ঝটকায় নিজের দাঁত এহসানের কাঁধে বসিয়ে দেয়।
এহসান একটুও প্রতিক্রিয়া দেখায় না। আগের মতো স্থির হয়ে মেহনূরের দিকে ঝুঁকে রইল। মেহনূর এই দৃশ্য দেখে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তার মনের সমস্ত রাগ এক মুহূর্তে প্রতিফলিত হলো, আর কিছু না ভেবে এহসানের গলায়, কাঁধ এবং গাড়ে নিজের দাঁত বসিয়ে দিতে লাগলো ।
এহসান তাও একটিও শব্দ করল না, নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে রইল।
কিছু সময় পর, মেহনূর ক্লান্ত হয়ে সোফায় হালকা শ্বাস নিয়ে মাথা এলিয়ে দিল। তার ভেতরটা আরও ভারী হয়ে উঠল, কিন্তু এহসান কোনো সাড়া না দেওয়ার কারণে তার বিরক্তি বাড়ছিল।
এহসান, তার নির্বিকার হাসি মুখে, মুচকি হেসে বলল, “

—ব্যাস, এই শেষ। তোমার আমার প্রতি ক্ষোভ, মাএ কয়েকটা কামড়ে।”
মেহনূর এহসানের কথায় এক পলক তাকায়, ওর পানে তাকিয়ে মেহনূর আঁতকে উঠে, কারণ কামড়িয়ে সে এহসানের গলায় রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিয়েছে। নিজের অজান্তে কি করছে, এত বড় একটা খারাপ কাজ করলো, কি করলো!
এহসান নিজের কলার ঠিক করতে করতে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। বেরিয়ে আসতেই হাসিব খবর দেয়
— ঐ স্নাইপার, মানে রাতুল, তার কাজ শেষ করে মেরে বাগানে এসে বসে আছে এহসানের অপেক্ষায়।
এহসান স্নাইপারের কাছে বাগানে যায়। স্নাইপারের সামনে এসে বসতে বসতে সে বলে—
— “ইউ হ্যাভ ডান ইউর ওয়ার্ক বিউটিফুলি!”
(তুমি তোমার কাজ করেছো সুন্দরভাবে)
স্নাইপার হেসে উত্তর দেয়—

— “ইয়েস, আই হ্যাভ ডান দ্যাট!”
(জ্বি, আমি তা করেছি)
এহসান একটু মুচকি হেসে বলে—
— “থেন আই অ্যাম গিভিং ইউ ইয়োর মানি, ১০ লাখ, রাইট?”
(তাহলে আমি তোমায় তোমার টাকাটা, ১০ লাখ, দিয়ে দিচ্ছি, তাই তো?)
স্নাইপার মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়—
— “ইয়েস, বাট অ্যালং উইথ ধ্যাট, আই উইল নিড সামথিং এলস!”
(হ্যা, তবে তার সাথে আমার আরেকটি জিনিস লাগবে)
এহসান তার মগজে ঘোরাফেরা করতে থাকা ভাবনায় অস্থির হয়ে ওঠে, কিন্তু হাসি দিয়ে বলে—
— “ওয়াট?”
(কি?)

আত্মার আগলে পর্ব ৭

স্নাইপার তখন বাগানে থাকা মালির মেয়ে নিপার দিকে ইশারা করে, যে গাছে পানি দিচ্ছিল। সে নিপাকে দেখিয়ে বলে—
— “দিস গার্ল, হু আই ওয়ান্ট, অন হার ওন বেড, ফর অনলি টু আওয়ার্স।
(এই মেয়ে, যে আমি চাই, নিজের বিছানায়, শুধুমাত্র দুই ঘণ্টার জন্য)
এহসানের মগজে রাগে উত্তেজনা টগবগ করে ওঠে, কিন্তু সেগুলো এক মুহূর্তের জন্য চাপা দিয়ে হাসি দিয়ে বলে—
— “ওহ, ইন ধ্যাট কেস, ওয়েট আ মোমেন্ট!”
(ওহ, এই বেপার তাহলে একটু অপেক্ষা কর)

আত্মার আগলে পর্ব ৯