প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২০
আদ্রিতা নিশি
~ভাবী আর কয়েকটা দিন থেকে গেলে হতো না?
সাথী বেগম অনেকটা অস্বস্তি নিয়ে মিতা বেগমকে বললেন।মিতা বেগমের মুখশ্রী থমথমে। গতকাল থেকেই মন,মেজাজ কোনোটাই ভালো নেই তার। সারারাত মেয়েকে বুঝিয়েছেন, শান্তনা দিয়েছেন।ইফা উদাসীন ভঙ্গিতে শুধু শুনে গেছে। কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।চক্ষুদ্বয়ে অনবরত অশ্রু ঝরেছে।মা হয়ে মেয়ের ক ষ্ট তার সহ্য হচ্ছে না। চোখের সামনে সারহানকে দেখলে হয়তো আরও অনেক বেশী ক ষ্ট পাবে ইফা।তাই আর একমুহূর্ত দেরি শোভনীয় মনে হলোনা মিতা বেগমের কাছে। সবার সামনে নিজেকে স্বাভাবিক রাখলেও গতকালকের ঘটনা তার কাছে অপমানজনক মনে হয়েছে। তিনি সাথী বেগমকে প্রতিত্তোর করলেন~ আজই ইফা যেতে চাইছে। আগামীকাল হতে নাকি ক্লাস এটেন্ড করবে। বেশী দিন ছুটি কাটালে পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আবার তোমার ভাই কল করেছিলো দ্রুত যাওয়ার জন্য।
সাথী বেগম মিতা বেগমকে আর কিছু বললেন না। নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। পরিবারের মাঝে বিষয়টা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। তানিয়া বেগম সাথী বেগমকে প্রথমে সারহানের সাথে ইফার বিয়ের কথাটা বলেন। সাথী বেগম বারণ করতে চেয়েছিলেন। কারণ সারহান যদি না বলে দেয় তাহলে বিষয়টা অন্যরকম পর্যায়ে যাবে। কিন্তু বড় জা এর মুখের ওপর বারণ করা দৃষ্টিকটু। তার ধারণা সঠিক প্রমাণ করেছে সারহান। মিতা বেগম কিছুটা মিথ্যাশ্রয়ী হয়েছেন আজ। ইফার আগামীকাল কোনো ক্লাস নেই। কোনো একটা কারণ দেখিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে মিথ্যা বললেন তিনি। তারও এখানে আর থাকতে ইচ্ছা করছে না।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আফ্রিদি গ্যারেজের সামনের দিকটায় দাঁড়িয়ে হাঁপিয়ে যাওয়া ভঙ্গিতে মিতা বেগমকে বললেন~ মা লাগেজ গাড়িতে রেখে দিয়েছি। আর কোনো কিছু আছে যেগুলো গাড়িতে রাখতে হবে?
মিতা বেগম কিছুটা ভেবে বললেন~ সব তো নেয়া হয়েছে।আর কিছু বাকি নেই।
~ওহহ। ইফা কোথায় এখনো আসছে না কেনো?
~অরিত্রিকার সাথে আসছে। আমরা গাড়িতে গিয়ে বসি তাহলে!
~ঠিক আছে চলো।
আফ্রিদি গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পরলো। তার পাশের সিটে মিতা বেগম বসলেন।সাথী দুজনের পিছু পিছু বেগম গাড়ির কাছে এগিয়ে গেলেন।
ইফা আর অরিত্রিকা ডাইনিং রুম পেরিয়ে সদর দরজার কাছে এসেছে। রুম থেকে দুজনে একসাথে আসলেও কথা নেই তাদের মাঝে। দুজনেই নিশ্চুপ। কারো মুখে কোনো কথা নেই।অরিত্রিকা বার বার ইফার মুখ পাণে দৃষ্টিপাত করছে। ইফাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতোটা কষ্ট পেয়েছে। একনিমিষেই অল্প কিছু সময়ের ভালোলাগা যেনো দাবানল বানিয়ে দিয়েছে মনকে।ভঙ্গুর মনঃকষ্ট আসলেই অনেক যন্ত্র ণার। চক্ষু সম্মুখে অরিত্রিকা সারারাত ইফার কান্না দেখে উপলব্ধি করেছে। অরিত্রিকা ইফাকে চুপ করে থাকতে দেখে শুধালো~ আপু তোমার কি খুব ক ষ্ট হচ্ছে?
ইফা অরিত্রিকার দিকে তাকালো।নিশ্চল চক্ষুদ্বয়,শুকনো মুখশ্রী, মলিনতা ছেয়ে আছে মুখে।ইফা শুকনো মুখে মলিন হাসি এঁটে বললো~ আমায় দেখে কি এমন মনে হচ্ছে?
অরিত্রিকা তা শুনে কিছুটা মিইয়ে গেলো।তার কাছে ইফার মনোভাব একদম স্পষ্ট।ভালোলাগার পরিমাণটা যখন বেশী থাকে, তখন ক ষ্টের পরিমাণটা বেশী থাকে। ইফা আর অরিত্রিকা গ্যারেজের সামনের দিকটায় দাঁড়ালো। আফ্রিদির গাড়ি কিছুটা দূরে।অরিত্রিকা মিইয়ে যাওয়া কন্ঠে বললো~ আপু তুমি কি সারহান ভাইকে ভালোবাসো?
ইফা বোধহয় একটু থমকালো। তা আড়াল করেই ঝিমিয়ে যাওয়া কন্ঠে বললো~ ভালোবাসার কি বুঝিস তুই? বয়স তো এখনো আঠারো পেরোই নি।
অরিত্রিকা নিষ্প্রাণ হেসে বললো~ আঠারো না পেরোলেও বুঝতে পারি। এই যে তোমার অনেক ক/ষ্ট হচ্ছে তবুও কেমন চেপে রেখেছো ক/ষ্টগুলো। ব্যথাগুলো আড়াল করার বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছো। তবুও আমি বুঝতে পারছি।
ইফা মলিন মুখে চমৎকার হেসে বললো~ বুঝলাম। আমার এই পিচ্চি বোনটা আর ছোট নেই।বড় হয়ে গেছে। মানুষের মনের খবরও বুঝতে শিখেছে। এমন মন বোঝার ক্ষমতা ক’জনের হয় বল?
অরিত্রিকা মুখ গোমড়া করে বললো~ আপু তুমি কিন্তু কথা ঘুরাচ্ছো।
ইফা আবারও হেসেই বললো~ সত্যি বলবো নাকি মি/থ্যা বলবো বল তো? উমমম,সত্যিটাই বলছি।
সারহানকে আমার ভালো লাগে। হয়তো ভালোও বাসি। এই কারণে এতোটা মূর্ছে পরেছি।দেখেছিস সবার সামনে স্বাভাবিক থাকার এক্টিং করলাম অথচ তুই বুঝে গেলি।
ইফার মুখে সত্যিটা শুনে অরিত্রিকার বক্ষস্থল ধক করে উঠলো। চমকিত হলো তার মন সত্তা। খেই হারিয়ে যাওয়া নৌকার মতো মনে হলো নিজেকে। ভেবেছিলো হয়তো ভালোলাগে বলবে কিন্তু ভালোবাসা? অরিত্রিকার মুখশ্রীতে আঁধার নেমেছে যেনো।
ইফা অরিত্রিকা চুপ থাকতে দেখে বললো ~ কিরে চুপ হয়ে গেলি কেনো? সারহান ভাইকে সারহান বলে সম্বোধন করেছি তার জন্য মুখ গোমড়া করেছিস? একটা কথা জানিস সারহান ভাই ডাকটা আমার আসে না। তাই বলেছি।
অরিত্রিকা প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে নিরব চোখে ইফার দিকে তাকিয়ে বললো~ তেমন কিছু নয় আপু।
~ আমার মতো ভুল করবি না অরি। ভুল মানুষকে কখনো ভালোবাসবি না।নাহলে এই যে একজন ভুল মানুষকে ভালোবেসেছি।একজন ভুল মানুষকে ভালোবাসা আমৃত্যু অশ্রুপাতের কারণ হয়। একতরফা ভালোবাসা খুবই ভয়াবহ জানিস!
অরিত্রিকার বক্ষে যেনো ঝড়ো হাওয়া বইছে। তার মুখশ্রী আতংকিত।অজানা ভয় যেনো চেপে ধরেছে।মন বলছে ইফা আপুর মতোই যদি তাকেও সারহান ভাই না বুঝে তখন কি হবে? ইফা আপু মতোই কি এই কষ্ট,দুঃখে জর্জরিত হবে সে?একতরফা ভালোবাসা নিয়ে কাঁদবে সে? অরিত্রিকার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। ভালোলাগা থেকে শুরু হয় প্রণয়ের সূচনা। প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে এসে যদি অপূর্ণতার দরজায় কড়া নাড়তে হয় তখন তো সে নিঃশেষ হয়ে যাবে। তার চোখ আশ্রুতে ভিজে আসছে। ইফা অরিত্রিকার কন্দনরত মুখশ্রী দেখে বিচলিত ভঙ্গিতে বলে উঠলো ~ কি হয়েছে তোর? কাঁদছিস কেনো?
অরিত্রিকা মনে চলা ঝড়োমেঘের কথা আড়াল করে চক্ষ দ্বয়ের অশ্রু হাত দ্বারা মুছে বললো~ তুমি চলে যাবে তাই খা/রাপ লাগছে।
ইফা অরিত্রিকা জরিয়ে ধরে মলিন স্বরে বললো~ আরে পাগলী একবারে যাচ্ছি নাকি? আবার আসবো তো তোর বিয়ে খেতে। অনেক মজা হবে তখন।
অরিত্রিকা মেকি রাগ দেখিয়ে বললো ~ আপু মজা করো না তো।
~আমি মজা করছিনা। সত্যি আসবো দেখিস।
কথাটা বলা শেষ হতে ইফার দৃষ্টি আটকালো চৌধুরী বাড়ির সদর দরজার দিকে। তাকাতেই তার অন্তঃস্থল কেঁপে উঠলো। আবারো হুহু করে কেঁদে উঠলো মন। চক্ষু ভিজে আসছে নোনা পানির বিন্দুতে।ভিজে চোখেই তাকিয়ে আছে সারহানের দিকে।সারহান অরিত্রিকা আর ইফার দিকে একধ্যানে তাকিয়ে আছে। ইফা আর কঠিন মানুষটির দিকে না তাকিয়ে অরিত্রিকাকে ছেড়ে দ্রুততার সাথে বলে উঠলো ~ আর সময় নেই রে। বাসায় পৌঁছে অনেক কথা বলবো বুঝলি।
~ঠিক আছে। চলো তোমায় গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
~চল।
ইফা আর অরিত্রিকা আফ্রিদির গাড়ির দিকে যেতে লাগলো। ইফা অনিশ্চিত বাসনা নিয়ে অবাধ্য টানে একবার পিছু ফিরে তাকালো। দেখলো সারহান এখনো তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।ইফা চোখ ফিরিয়ে সামনের দিকে তাকালো।
মিতা বেগম ইফাকে আসতে দেখে বললেন~ এতোক্ষণ কি করছিলি দুজনে?
~ জরুরী কথা বলছিলাম।
আফ্রিদি বলে উঠলো ~ দ্রুত বস।যেতে অনেক সময় লাগবে।
ইফা সাথী বেগম আর অরিত্রিকার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।আফ্রিদি আর মিতা বেগমও সাথী বেগম আর অরিত্রিকার থেকো বিদায় নিলো। আফ্রিদি আর দেরি না করে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে মেইন গেইট পেরিয়ে গেলো মুহুর্তেই।
অরিত্রিকা আর সাথী বেগম বিদায় দিয়ে সদর দরজায় ঢুকতে যাবে এমন সময় খেয়াল হলো সারহান দাঁড়িয়ে আছে। সাথী বেগম পাশ কাটিয়ে ভেতরে গেলেও অরিত্রিকা গেলো না।
সারহান অরিত্রিকার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। অরিত্রিকার চোখে মুখে বিচলিত ভাব স্পষ্ট।মনে জমা হয়েছে একটাই প্রশ্ন? সারহান ভাই এখানে কি করছেন? সবাইকে বিদায় দিতে এসেছেন? উৎকন্ঠা চাপা না রাখতে পেরে অরিত্রিকা সারহানকে শুধালো~ আপনি এখানে কি করছেন সারহান ভাই?
সারহান একটু নড়ে চড়ে উঠলো।অরিত্রিকার কথায় পাত্তা না দিয়ে সরু দৃষ্টিতে অরিত্রিকার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো~ কেঁদেছিস কেনো?
অরিত্রিকার মনে হালকা ভালোলাগার দোলা দিলো। সারহান ভাই তার মুখশ্রী খেয়াল করেছে।তার ওষ্ঠের কোণে বিরাজ করছে মৃদু হাসির রেখা। মনটা নিমেষেই ফুরফুরে হয়ে গেলো তার।ভালোলাগার প্রজাপতি যেনো উড়ছে মন আকাশে।অরিত্রিকা উচ্ছ্বসিত ভাব অপ্রকাশিত রেখে বললো~ ইফা আপু চলে গেলো তাই।
সারহান কিছুটা সময় চুপ থেকে থেকে সরাসরি প্রশ্ন করলো~ তোর কি মনে হয় আমি মায়ের কথা মতো বিয়েটা না করে ভুল করেছি?
অরিত্রিকা আন্দাজ করলো কেনো সারহান এমন প্রশ্ন করেছে। সকাল হতে তানিয়া বেগম রুম থেকে বাহিরে বের হননি। আরশাদ সাহেবও গম্ভীর হয়ে আছেন। কারো সাথেই তেমন কথা বলছেন না। সাথী বেগমও চুপচাপ নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করছে। আজমল সাহেব দু,একটা কথা বলেছেন।সাদাত আর অরিত্রিকা সকাল হতে এসব শুধু পর্যবেক্ষণ করছে। বাড়ির পরিবেশ অস্বাভাবিক।
অরিত্রিকা শান্ত কন্ঠে বড়দের ন্যায় সারহানের প্রশ্নের জবাব দিলো~ আপনি আমার থেকে বয়সে অনেকটাই বড়। আমার থেকে আপনার বোঝার ক্ষমতা বেশী। জীবন সম্পর্কেও ধারণা বেশী।বিয়েটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। ইফা আপুকে কেনো বিয়ে করলেন না তা অস্পষ্ট থাকলেও কিছুটা অবগত আমি। আপনি না করেছেন হয়তো আরও কোনো কারণ আছে। যাই হোক আমার দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল বা সঠিক কোনোটাই বলবো না।আপনার যা ভালো মনে হয়েছে তাই করেছেন।একটা কথা কি জানেন আমি ইফা আপুর চোখে আপনার জন্য ভালোলাগার থেকে বেশী ভালোবাসা দেখেছি। আপনি তবুও তাকে রিজেক্ট করেছেন।এসব এখন ভেবে আর লাভ নেই। আমার মনে হয় বড় মার রাগ ভাঙানো জরুরী আপনার। সকাল থেকে তো আমাদের সাথেও কথা বলছে না।
সারহান অরিত্রিকার বলা কথাগুলো শুনে গাম্ভীর্য ভাব নিয়ে বললো~ আমার মনে হয় তোর মোটিভেশনাল বক্তা হওয়া উচিত।
~ কেনো?
~ জানতে চাইলাম একটা কথা আর তুই বললি কি করা উচিত আমার।
অরিত্রিকা বিরক্ত হলো খুব। তবুও স্বাভাবিক ভাবেই বললো~ আমার থেকে জানতে চাইছেন তাই বলেছি।না হলে বলতাম না।
সারহানের আর অরিত্রিকার সাথে তর্ক করার ইচ্ছে হলোনা।সে অরিত্রিকাকে আর কিছু না বলে চলে যাবে এমন সময় অরিত্রিকা ডেকে উঠলো।সারহান পা থামিয়ে অরিত্রিকার দিকে তাকিয়ে ইশারা করলো কি হয়েছে?
অরিত্রিকা মনের মাঝে জমিয়ে রাখা কথাগুলো উপস্থাপন করলো~ আপনি গতকাল বলেছিলেন, যে রমণী আপনার জীবনে নিজ ইচ্ছেতে জড়াতে চাইবে তাকে আপনি জীবন সঙ্গীনি রুপে গ্রহণ করবেন। আপনি হয়তো জানেন অনেক রমণীই নিজ ইচ্ছেই আপনার জীবনে আসতে চাইবে।তখন আপনি কাকে বেছে নিবেন?
সারহানের মুখ গম্ভীর থাকলেও রহস্যময় হাসির রেখা ফুটে উঠলো।মুলত অরিত্রিকার এমন প্রশ্ন যেনো সারহানকে কিছুটা বিস্মিত করেছে। তবে একটু মজাও পেয়েছে সে।সারহানকে অরিত্রিকা এমন একটা প্রশ্ন করবে তা একটু অবাক করা।সারহান রহস্যময় হাসি ওষ্ঠকোণে বজায় রেখেই বললো~ সেই রমণী নিশ্চয়ই বাকীদের থেকে আলাদা হবে।
~ নিশ্চয়ই বলতে চাইছেন আপনার জন্য তার মনে প্রগাঢ় ভালোবাসা লুকায়িত থাকবে।আপনাকে সম্মান করবে,ভালোবাসবে, সুঃখে, দুঃখে পাশে থাকবে কখনো আপনাকে ভুল বুঝবে না। আপনার সাথেই সারাটা জীবন কাটিয়ে দেবে। একটা কথা কি জানেন আমি খেয়াল করেছি ভালোবাসা কখনো বয়স দেখে হয় না। আবার অপ্রকাশিত ভালোলাগার অনুভুতি গাঢ় হয়েও ভালোবাসায় পরিণত হয়। প্রথম ভালোবাসার মানুষটি যে রমণীর ভাগ্যে থাকে সে নিশ্চয়ই ভাগ্যবতী হয়।
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১৯
অরিত্রিকা আর দাঁড়ালো না।নিরবে সারহানের সামনে হতে প্রস্থান করলো। সারহান বিস্মিত হলো অরিত্রিকার কথায়।সে অরিত্রিকার চলে যাওয়ার পাণে তাকিয়ে রইল ক্ষণ সময়। মেয়েটা কি তবে তাকে ভালোবাসে এটাই বুঝাতে চাইলো? ভাবতেই সারহানের হার্টবিট ফাস্ট হলো।সে নিজ হাত দ্বারা বক্ষ স্থলে চেপে ধরলো।কথাগুলোর পরিধি অনেকটা। এতোটা গভীরভাবে জমে থাকা গোপন কথা উদাহরণস্বরূপ ব্যাখ্যা করা অনেকটাই চমকপ্রদ।