Violent love part 10

Violent love part 10
Mariam akter juthi

‘এক্ষুনি বাইকে ওঠ।
‘না আমি আপনার সাথে যাব না। অন্য দিক তাকিয়ে।
‘যাবি কিনা সেটাতো জিজ্ঞেস করিনি, গাড়িতে উঠতে বলেছি। করা কন্ঠে।
‘দেখুন আমরা সবাই ঘুরতে এসেছি, আপনি,,,
~ঠাসসসস
‘আমি তোকে কথা পেচাতে বলেছি? বাইক থেকে নেমে চেঁচিয়ে বলল।
ওর চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে রাদিফ সহ সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়। রাদিফ জুথির চোখে পানি দেখে জুথির দুই বাহু পিছন থেকে ধরে কাছে নিয়ে বলল,
‘তুই এখানে কি করছিস?

আরিশের রাদিফের কোথায় তেমন ভাবন্তর হলো না, ওর চোখ রাগি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে রাদিফের ধরে রাখা জুথির কাদের দিক। আরিশের দৃষ্টি সবার চোখের আড়াল হলেও ফাড়ির চোখ এড়াইনি। তাই আস্তে করে জুথির পাশে গিয়ে রাদিফের কাজ থেকে ওকে ওর কাছে এনে দাঁড় করায়। আরিশ কে দেখে রোদ তো মহা খুশি, সবাইকে সাইড কাটিয়ে ওর সামনে গিয়ে বললো,
‘আরে আরিশ তুমি? তোমাকে তো বাড়িতে পাওয়াই যায় না। সারাদিন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকো। সে যাই হোক এখন এখানে এসে ভালোই করেছো, এখন আমি তোমার সাথে বাইকে ঘুরবো। লাজুক হেসে।
আরিশের রাগে এমনি ঘর পুড়ছিল রোদ এসে এখন আবার আরিশ বলে আলুপোড়া দিল। আরিশ কোন কথা না বলেই রোদের গালেও ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ওই তোর ছোট আমি? আরিশ কি হ্যাঁ? গুনে গুনে তোর সাত বছরের বড় আমি, তাই ভাইয়া বলে ডাকবি, বুঝেছিস?
রোদ এত জোরে থাপ্পড় খেয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করে বললো,
‘আর কিছুদিন পর এমনিতেই তো তোমাকে এই নামে ডাকবো, তাইতো এখন থে,,,
আরিশ রোদের বাকি কথাটুকু শেষ করতে না দিয়ে তেরা কন্ঠে বললো,
‘আমার সামনে থেকে সর,তোর সাথে কথা বলতে আমি এখানে আসিনি।
‘কিন্তু আমি তো ত,,
‘যাবি নাকি আরও একটা খাবি? ধমক দিয়ে।

রোদ আরিশের ধমকে দুপা পিছিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে আড় চোখে একবার জুথির দিকে তাকিয়ে মনে মনে ফুসতে থাকল। সাথে মনে মনে বিড়বিড় করল,—‘এর শোধ আমি তোর উপর বাড়ি গিয়ে নেব।
আরিশের সামনে থেকে রোদ সরে যেতেই, ও জুথির কাছে গিয়ে ওকে পাজা কোলে তুলে, বাইকে সামনের দিকটায় বসিয়ে নিজেও বাইকে উঠে ততক্ষণে বাইক স্টার্ট দিয়ে ফুল স্পিডে ওখান থেকে চলে আসে। অনেকটা পথ আসতে জুথি আরিশ কে খিচে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। কারণ সে শুনশান একটা রাস্তায় এসে গাড়ির স্পিড আরো জোরে করায়,জুথি বুকটা অনেকটা কেঁপে উঠে। কারণ সে এত স্পিডে গাড়িতে কখনো চলে নি, বাইকে তো আরো না। ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে নিতে আরিশের পিছন থেকে টি শার্ট খামচে ধরে চোখমুখ খিচে কোনরকম বললো,
‘প্লিজ একটু আস্তে চালান না, আমার ভয় লাগছে তো?

আরিশ এটা শুনে যেন আরো একটু জেঁকে বসলো, বাইকের স্পিড টা আরো বাড়িয়ে দিল। কারণ বাইকের স্পিড যদি একটু বাড়ে তাতে যদি তার বউ এভাবে জড়িয়ে ধরে তাহলে বাইকের স্পিড বাড়ানোই ভালো। এক সময় একটা শুনশান নিরিবিলি জায়গায় এসে বাইকটা থামায়, বাইক থামাতে জুথি আস্তে করে আরিশের থেকে সরে বাইক থেকে নেমে দাঁড়ায়।জুথির নামতে আরিশ ও নেমে জুথিকে রেখে সোজা সামনের দিক হাঁটতে থাকে, এটা দেখে জুথি তো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। এই কুলাঙ্গার ব্যাটা ওকে একলা রেখে এই রাত্রিবেলা কোথায় যাচ্ছে?মনে মনে আরো কিছু বিড়বিড় করে, জেদ ধরে ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে,সেও এই অসভ্য লোকের পিছু পিছু যাবেনা। কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়াতে আরিশ কে আসতে না দেখে, মনে মনে কিছুটা ভয় অনুভব করে,তাই ও, ও আরিশ যেদিকটাই গেছে, ছোট ছোট পায়ে সেদিকটায় হাঁটা শুরু করে। কিছুদূর যেতেই দেখে আরিশ বসার মত একটা কংক্রিট বেঞ্চে মাথাটা নিচের দিকে করে বা হাত দিয়ে কপালে ধরে বসে আছে।আরিশ কে এভাবে দেখে ওর যতটুকু মনে হলো, আরিশ রাগ কমাতে এমন মাথা নিচু করে বসে আছে। আরিশ এমন অনেক ক্ষন থাকার পরে যখন জুথির অস্তিত্ব অনুভব করে মাথাটা তুলে সামনের দিকে তাকিয়ে ভাঙ্গা গলায় গাইতে শুরু করে,

Kya jaane tu mere iraade
Main toh khoya hoon tere khwaabon mein
Tere khwaabon mein, tere khwaabon mein
Tujh bin jee na paayenge hum
Mar bhi gaye toh yaad aayenge hum
Tere khwaabon mein, tere khwaabon mein
Kya jaane tu mere iraade
Main toh khoya hoon tere khwaabon mein
Kab se hai tu dil mein basi
Tu hai wohi, tu hai hasi
Jis ke liye hum jeete rahein
Saans lein ya ke mar jaayein hum
Tere khwaabon mein, tere khwaabon mein
Kya jaane tu mere iraade
Main toh khoya hoon tere khwaabon mein
Pal pal tujhe yaad karoon
Main toh sirf tujh se hi pyaar karoon
Jab tak hai yeh saansein chalen
Tu hi toh hai jismein hum palkein khulen
Tere khwaabon mein, tere khwaabon mein
Kya jaane tu mere iraade
Main toh khoya hoon tere khwaabon mein
Tu hai khushi, tu hai gham
Tu hi meri duniya hai sanam
Tere liye jee rahe hain hum
Mar bhi gaye toh kya gham
Tere khwaabon mein, tere khwaabon mein
Kya jaane tu mere iraade
Main toh khoya hoon tere khwaabon mein
Tere khwaabon mein, tere khwaabon mein…

আরিশ গানটা শেষ করে, আকাশের দিক তাকিয়ে বড় করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে। তার কিছু ভালো লাগছে না, লাগবে কি করে তার প্রিয়সি এখনো তার থেকে দূরে দাঁড়িয়ে, তার পাশে এসে বসছে না তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে না। সে রাগটা কমাতে চেয়েও বারবার মাথায় হাত দিচ্ছে। এই মুহূর্তে তার প্রিয়সির ভালবাসা চাই আর নয়তো এই রাগ কখনো কমার নয়। এদিকে জুথি আরিশের এত আবেগময় গান শুনে, হা করে পিছন থেকে ওর দিক তাকিয়ে আছে। ওর জানামতে এই লোক শুধু জানে রাগ করতে চিল্লাপাল্লা করতে, মারামারি করতে। এখন তো দেখছে এই লোকটা মারাত্মক গান গাইতেও জানে? ওর বারবার মন বলছে,আরিশ কে একবার গিয়ে বলুক আপনার গানের গলাটা ভীষণ সুন্দর। কিন্তু মনের কথা মনেই রেখে চুপচাপ ওখানেই দাঁড়িয়ে রইলো।

এতে আরিশের কোন হেলদোল না দেখে,জুথি কিছুটা বিরক্ত হয়ে যায়। কি আজব লোক রে বাবা, ওকে কি এখানে এভাবে নিয়ে এসেছে গান শোনানোর জন্য?জুথি বিরক্তি নিয়েই আরিশের থেকে আগের জায়গায় আসতে নিলে, কতগুলো ছেলের সামনে পড়ে। ছেলেগুলো ওকে দেখে একজন আরেকজনের দিক তাকিয়ে বিকট শব্দে হেসে দিল। এটা দেখে জুথি কিছুটা কপাল কুচকিয়ে, পাশ কাটিয়ে যেতে নিলে ওদের মধ্যে একটা ছেলে বলে ওঠে,
‘আরে লম্বা ও চুলওয়ালি, কোথায় যাচ্ছ?
জুথি কোন উত্তর কোরলো না, নিজের মতো করে চলে যেতে নিলে আর একটা ছেলে ওর হাত ধরে বলল,
‘আরে সুন্দরী তো দেখি আমাদের রেখেই চলে যাচ্ছে। তা সুন্দরী তুমি কি জানো এই রাস্তা আমাদের ইশারায় চলে? বাঁকা হেসে।

‘দেখুন আমার হাতটা ছাড়ুন। কোমল কন্ঠে।
‘বাহ মেয়েটার বয়েজ টাতো মেয়েটার মতই হট, দেখছি।
ওর কথায় তাল মিলিয়ে পেশের ছেলেটা বলে,
‘আরে ফিগার টা দেখেছিস,
‘হুম।
‘দেখে তো বয়স বেশি মনে হচ্ছে না। সাথে পোষাক দেখে তো মনে হচ্ছে বড়লোক বাড়ির মেয়ে।
‘হ্যা ঠিক বলেছিস,
‘তা তোমার নাম কি?
জুথি ছেলে গুলোর থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য হাত মোচড়ানোর মধ্যে পিছন থেকে আরিশ গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
‘আমি বলি ওর নাম?
ছেলেগুলো আরিশের কথায় কিছু বলতে নিবে তার আগেই আরিশের মুখ দেখে সাথে সাথেই জুথির হাত টা ছেড়ে দিয়ে বললো,

‘ভা,ভাই আপনি? আড় চোখে একবার জুথির দিকে তো আর একবার আরিশের দিকে তাকিয়ে।
আরিশ ছেলেগুলো কে ভয় পেতে দেখে, ঠান্ডা কণ্ঠে বললো,
‘সাইডে আয় কথা আছে। বলে সামনের দিকে হাটা শুরু করে।
ওখানে থাকা মোট চার জন ছেলে আরিশের এমন কন্ঠ শুনে ঢোগ গিলে নিজেদের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে ভয়ে ভয়ে আরিশের সাথে হাঁটতে শুরু করে। অনেকটা হেটে একদম নির্জন জায়গায় এসে আরিশ থেমে যায়।আরিশ কে থেমে যেতে দেখে ছেলেগুলো ও থেমে যায়। ওদের ভিতর একটা ছেলে সদ্য সহস নিয়ে বললো,
‘ভাই কি কথা বলার জন্য এমন জায়গায় নিয়ে এসেছেন?

আরিশের কোন হেলদোল নেই,সে এখনো সামনের দিকে তাকানো,আরিশ হাঠাত করেই ডান হাতে কোমরে গুজে রাখা পিস্তল বের করে গুরেই চার জন ছেলে কে কোন সময় না দিয়েই পর পর চার চারটা গুলি করে দিলো,,গুলি খাওয়ার সাথে সাথে ছেলেগুলো কি হয়েছে বুঝলো না। যখন আস্তে করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রক্ত দেখলো তখন বুঝতে পারলো আরিশ ওদের এখানে মারার জন্য নিয়ে এসেছে,আর সেটা করে দিয়েছে। কিন্তু তাদের হাতে এখন আর সেই সময় নেই যে এখান থেকে পালাবে। ছেলে গুলো কিছু বলতে চাইছিলো আরিশ কে, কিন্তু ওদের কিছু বলার আগেই আরিশ হুংকার দিয়ে বললো,

‘হারামির *বাচ্ছা যে মেয়েকে এক সেকেন্ড চোখের আড়াল হতে দেই না, যাকে পর পুরুষের সঙ্গে সহ্যে করতে পারিনা,আর সেখানে কিনা তোরা ওর হাত ধরেছিস? আবার হট বলে কূ দৃষ্টি দিয়েছিস,যে চোখ ওই নারীর দিকে ইচ্ছা কৃত তাকাবে সেই চোখ আমি তুলে নিব। যেই হাত ওই নারীকে ছোবে তাকে দুনিয়া থেকে বিলুপ্ত করতে আমার এক সেকেন্ড ও সময় লাগবে না। যেমন টা তোদের করলাম।

Violent love part 9

ছেলে গুলো আরিশের সম্পুর্ন কথা শুনতে ও পারলো না তার আগেই পৃথিবী থেকে পরাগায়ন করলো,,আরিশ ওদের দিকে তাকিয়ে পিস্তল টা ঘুরিয়ে আবারো কোমরে গুজে নিতে নিতে বললো,
‘বান্দির বাচ্ছা হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়ার মজা আজকে তোকে বুঝাবো,,

Violent love part 11