তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৯

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৯
ফারহানা নিঝুম

একটুকরো স্বপ্ন। জানালার ফাঁক দিয়ে রোদ ঢুকছে ধীরে ধীরে, গা ছুঁয়ে যাচ্ছে এক উষ্ণ কোমলতায়। দূরে কারও মিষ্টি হাসির শব্দ ভেসে আসছে, যেন ভোরের পাখির গান। কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে কোনো তাড়াহুড়ো নেই, শুধু নিঃশব্দে ভালোবাসার আবেশ।কফির কাপ থেকে ধোঁয়া উঠছে, যেন একটা ছোট গল্প বলছে প্রতিটা সিপে। পাশে থাকা প্রিয় মানুষটা ঘুম জড়ানো চোখে তাকিয়ে আছে, সেই চাহনিতে হাজারটা সকাল এক হয়ে যায়। ছাদ থেকে নেমে আসা রোদের আলোর মতোই মায়াবী, শান্ত, আর প্রেমে ভরা এই সকালটা। খাবার টেবিলে বসে চামচ নাড়াচ্ছে ফারাহ। মোটেও খেতে ইচ্ছে করছে না তার, কিন্তু রিজুয়ান শেখ যাওয়ার পূর্বে কড়া ভাবে বলে গেছেন চুপচাপ খেয়ে নিতে।

“গুড মর্নিং।”
পুরুষালী কন্ঠস্বর,ঘাড় ঘুরিয়ে ডানে তাকালো ফারাহ।অফ হোয়াইট শার্ট ইন করা, সাথে ব্ল্যাক জিন্স। একে বারে রেডি সে, আচ্ছা কোথায় কি যাচ্ছে? হয়তোবা। না হলে এত দিন এখানে আসার পর থেকেই দেখেছে সকালে টি শার্ট এবং ট্রাউজার পরে সকালে থাকতে।
“গুড মর্নিং।”
“খাচ্ছেন না কেন ম্যাডাম?”
“আপনি কোথায় যাচ্ছেন?”
বেডে জেল মাখাতে মাখাতে বাঁকা হাসলো তাশফিন, ফারাহ কে জ্বালানোর জন্য বলে উঠে।
“গার্লফ্রেন্ডের‌ সাথে মিট করতে।”
আশ্চর্যের ন্যায় তাকালো ফারাহ। বউ থাকতে গার্লফ্রেন্ড?
“কীঈ? আপনি পরকীয়া করছেন?”
“না আমি কীয়া পার্ট করছি।”
“মানে?”
“নাথিং।”
চিকন নাকটা ক্রমশ লাল হচ্ছে ফারাহর।
“এই আপনার সত্যি গার্লফ্রেন্ড আছে?”
“হুঁ।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

খেতে খেতে জবাব দিলো তাশফিন।এই বুঝি ফারাহ হাত পা ছুড়ে কেঁদে ফেলবে।
“আমার একটা বউ আছে, ফুটফুটে আদুরে বউ।সেই আমার গার্লফ্রেন্ড।”
চোখ পিটপিট করে তাকালো ফারাহ,চওড়া হলো ওষ্ঠো জোড়া।
তৎক্ষণাৎ কর্ণ স্পর্শ করলো গম্ভীর স্বর।
“শুনলাম কাল আর্দ্র সাথে দেখা করেছো?”
কন্ঠস্বর ভারী, ক্ষীণ ভয় পেলো ফারাহ।ডাগর ডাগর চোখ মেলে তাকাল তাশফিনের দিকে।
“আসলে নোট নেওয়ার ছিলো তাই আর কি।তবে ছেলেটা মোটেও খারাপ নয়, আমরাই ভুল বুঝেছি।”
ডান ভ্রু কুঁচকে উঁচিয়ে তাকালো তাশফিন।
“গুড অ্যানালাইসিস।”
কথার অর্থ দ্বারা ঠিক কি বুঝালো তা মোটেও বুঝতে পারলো না ফারাহ। লোকটা কি রেগে গেল নাকি?
“দেখুন আমি..
খাওয়া ছেড়ে উঠে গেল তাশফিন,ফারাহ উঠতে চাইলে মাহির এসে জড়িয়ে ধরে তাকে।
“মামি খাইয়ে দাও ‌।”
ফারাহ আর উঠতে পারলো না, চুপচাপ বসে পড়লো।তাশফিন বেরিয়ে গেল নিজের কাজে।

শহরের কোলাহল থেকে অনেক দূরে, জনমানবশূন্য এক এলাকা। চারপাশে সুনসান নীরবতা, যেন বাতাসও ধীরে চলতে শিখেছে। রাস্তা কাঁচা, দুপাশে ঝোপঝাড় আর আগাছায় ভরা। দিনের আলোতেও জায়গাটা অস্বস্তিকর, যেন কোথাও কিছু লুকিয়ে আছে।
এই নির্জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল পুরনো গোডাউন। লোহার তৈরি বড় গেটটা বহুদিন ধরে বন্ধ, জং ধরে গেছে পুরোটা। দেয়ালগুলো ধূসর, খানিকটা ফাটল ধরা যেন সময়ের ভারে ক্লান্ত। জানালাগুলোয় ধুলোর পরত, কাঁচ ভাঙা, ভেতর থেকে কোনো আলো আসেনা। মাঝে মাঝে ভেতর থেকে যেন একটা শব্দ আসে আচমকা ধাতব কিছু পড়ে যাওয়ার, অথবা কারো নিঃশব্দ পায়ের আওয়াজ।
লোকমুখে শোনা যায়, একসময় এখানে কিছু একটা ভয়ানক ঘটনা ঘটেছিল। কেউ আর ঠিক জানে না কী। রাত হলে কেউ এদিকে আসতে চায় না। এমনকি পাখিরাও এই জায়গাটা এড়িয়ে চলে বলে অনেকে বলে।
বেড়ি পারা নির্জন একটি এলাকা বললে চলে।শহর থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থিত। সেখানে বড়সড় একটি খালি গোডাউন রয়েছে। অনেক গুলো বড় বক্স ছাড়া আর কিছুই নেই সেখানে।এক দল এসেছে সবে, তাদের মধ্যে প্রথম লোকটির মুখে মাস্ক পরা।

“এগুলো সব ট্রাকে তুল আজকেই জাহান লোড করে পাঠাতে হবে।”
কথা গুলো শেষ করা মাত্র লোক গুলো কাজে লেগে পড়লো।
“স্যার আমরা এখানে এসেছি এটা টিম কে জানানো উচিত ছিলো।”
নাইমের কথায় অল্প হাসলো তাশফিন,এদিক সেদিক তাকিয়ে গালে হাত বুলিয়ে বলে।
“বুঝলে নাইম তুমি এখনো বাচ্চা রয়ে গেছো।”
“মানে স্যার?”
“মানে তোমার জন্য এখন মিল্ক খুঁজতে হবে আমাকে।”
আহাম্মক বনে গেল নাইম,তাশফিন তার জন্য দুধ খুঁজতে এখানে এসেছে?
“ছিহ ছিহ স্যার আমি এই বয়সে দুধ খাবো? না না এসব আমি খাবো না।”
ফিচলে হাসে তাশফিন, গম্ভীর স্বরে বলল,
“খেতেই হবে চলো।”
পিছনের দিকে ভাঙ্গা পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকে গেল তাশফিন, তার সাথে নাইম ইসলাম। ভেতরে বড় একটা তালা ঝুলছে, আশেপাশে সূক্ষ্ম দৃষ্টি বুলিয়ে নিল তাশফিন। নাইম দ্বিধা নিয়ে শুধোয়,

“কমান্ডার এটা অনেক গুলো থেকে বন্ধ ছিলো, কিন্তু আপনি…
“হুস!”
হঠাৎ করেই কথার মাঝখানে থামিয়ে দিলো তাশফিন,কান খাড়া করে শুনছে কিছু শব্দ।যা গোডাউনের ভেতর থেকে আসছে। বাঁকা হাসলো তাশফিন,নাইমে্য দিকে ইশারা করে।
“গোডাউন বন্ধ তাই না? চলো গিয়ে ভূতেদের সাথে আড্ডা দেওয়া যাক।”
ভেতরে প্রবেশ করা মাত্র পিছন থেকে রিভলবার বের করলো তাশফিন। অকস্মাৎ তাদের আগমনে আঁতকে উঠে দুটো লোক। এখানে সেই মাস্ক পরা লোকটা নেই।
“ওই কারা তোরা? ভেতরে এলি কি করে?”
তাশফিন এবং নাইম কে দেখে তটস্থ ভঙ্গিতে জিজ্ঞাস করে লোক দু’টো। রিভলবার আঙ্গুলের ডগায় ঘুরাচ্ছে। অদ্ভুত স্বরে বলে।

“আমরা তোদের বাপ।”
অকস্মাৎ গোলাগু’লি শুরু হলো,পর পর দু’টো গু’লি খেলো দু’টো লোক।অন দ্য স্পট মারা যায়।
“নাইম তাড়াতাড়ি জায়গাটা সিল করো আর হ্যাঁ রেড এলার্ট জারি করতে বলো।”
“ওকে কমান্ডার।”
যেতে গিয়েও থেমে গেল নাইম।
“কিন্তু আপনি যে বলেছিলেন দুধ খুঁজতে এসেছেন?”
সহসা হেসে ফেলল তাশফিন।
এগিয়ে গিয়ে নিচে রাখা বাক্স গুলো বের করলো, সজোরে লাথি দিয়ে উপরের প্লাস্টিকের ঢাকনা ভেঙে ফেলে। ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো সাদা পাউডার জাতিও কিছু। ড্রা’গস, অবাক হয় নাইম।
“কি বুঝলেন নাইম?”
নাইমের বুঝতে বাকি রইল না বাকি ব্যাপার টা।
“তবে কি এটাই দুধ কমান্ডার?”
“কেনো নাইম তুমি কি সত্যি দুধ খেতে চাও?”
লজ্জা পেয়ে গেলো নাইম।কি সব ভাবছিল সে?

সোফার উপর বসে আছে স্নেহা, অপেক্ষা করছে কখন সৌহার্দ্য নেমে আসবে?ফরমাল ড্রেসে সিঁড়ি বেয়ে নিচে এলো সৌহার্দ্য। মুগ্ধ নয়নে তাকালো স্নেহা,মনটা নেচে উঠল তার। উফ্ সে তো পুরোই ফি’দা হয়ে গেছে।
“আরে স্নেহা বসে আছো যে?”
ক্ষীণ চমকে উঠে স্নেহা, কথারা সব গুলিয়ে যাচ্ছে তার। আইঢাঁই করে বলল,
“এমনি বসে ছিলাম, কিন্তু তুমি কোথায় যাচ্ছো? মানে দেখে মনে হচ্ছে কোথাও যাচ্ছো?”
সৌহার্দ্য ডাইনিং টেবিলের‌ দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল,
“হ্যা একটু বাইরে যাবো ওই আর কি?”
স্নেহা মুচকি হেসে বলল,
‘ও আচ্ছা।”
সৌহার্দ্য পানি খেয়ে ফের ঘুরে দাঁড়ালো,স্নেহা কে এক পলক দেখে বলল।
“বাই দ্যা ওয়ে তোমাকে আজকে একটু অন্য রকম লাগছে।”
থতমত খেয়ে গেল স্নেহা।তাকে কি খারাপ লাগছে? ইস্ সৌহার্দ্য নামবে বলেই তো আগে থেকেই একটু সাজগোজ করে বসে ছিল।এখন যদি খারাপ লেগে থাকে তাহলে কেমন হবে ব্যাপারটা?
“আরে চিল খারাপ লাগছে না, বলতে চাচ্ছি তোমাকে বেশ সুন্দর লাগছে।”
মনের কোণে উঁকি দেওয়া হাজারো প্রশ্ন এবং মন খারাপেরা ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল।এক গাল হাসি হাসি মুখ করে তাকালো স্নেহা।

“থ্যাংক ইউ।”
চমৎকার হাসি উপহার দিয়ে বেরিয়ে গেল সৌহার্দ্য।
স্নেহা পারছে না উড়ে ফারাহর কাছে চলে যেতে।
“ফারু ফারু রেএএ!”
তাড়াহুড়ো করে ফারাহর রুমে প্রবেশ করলো স্নেহা। ঝাপটে গিয়ে ধরতে চায়, দুজনেই ঠাস করে নিচে পড়ে গেল। কোমড়ে দারুণ ব্যথা পেলো ফারাহ,স্নেহাও ব্যথা পেয়েছে।
“ওরে বাবা রে স্নেহার বাচ্চা! এটা কি করলি?ওমা আমার কোমড়!”
জিহ্ব কা’টে স্নেহা।
“সরি সরি।”
“রাখ তোর সরি,গাধি একটা।”

“আরে ওইসব বাদ দে আর আমার মোস্ট ইমপোর্টেন্ট কথাটা শুন।”
ভ্রু কুঞ্চিত করে তাকালো ফারাহ।
“কি হয়েছে এরকম করছিস কেন?”
স্নেহা গদগদ হয়ে বলল।
“ভাই তুই জানিস সৌহার্দ্য বলেছে আমাকে নাকি সুন্দর লাগছে।তোর কি মনে হয় সময় হয়ে গেছে আমাকে তোর জা বানানোর।”
মুখ বাঁকালো ফারাহ, ভাবলেশহীন ভাবে জবাব দেয়।
“গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল!”
“তুই এটা বলতে পারলি ফারু?”
“কেন রে শুনতে পাসনি?তবে আবার বলছি শোন গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।”
তেতে উঠল স্নেহা,এক লাফে উঠে দাঁড়ালো।
“থাক তবে তুই পড়ে।”
ফ্যালফ্যাল করে তাকালো ফারাহ।
“এই আমি কোমড়ে ব্যথা পেয়েছি আমাকে তোল!”
স্নেহা ঘুরেও তাকালো না,বড় বড় কদম ফেলে বেরিয়ে গেল। ফারাহ উঠতেই পারছে না,কোমড়ে বেশ লেগেছে তার।
খট করে শব্দ করে ভেতরে এলো তাশফিন।তাশফিন দেখে থতমত খেয়ে গেল ফারাহ।নাক মুখ কুঁচকে নিল তাশফিন।
“এভাবে প্রতিবন্ধীদের মতো ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছো কেন?”
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ফারাহর, তাকে প্রতিবন্ধী বললো?
“আপনি আমাকে প্রতিবন্ধী বলতে পারলেন লেফটেন্যান্ট সাহেব?”
জবাবে কিছু বললো না তাশফিন, দরজাটা বন্ধ করে কাবাড থেকে জামাকাপড় বের করতে লাগল।হাত পা ছড়িয়ে একই ভাবে বসে আছে ফারাহ। মনে মনে ইচ্ছে বকা দিচ্ছে তাশফিন কে।
“আমাকে প্রতিবন্ধী বলছে ফাজিল লোক একটা। আপনার বউ প্রতিবন্ধী।”
বিড়বিড় করে বলা কথা গুলো শুনে ফেলল তাশফিন, বাঁকা হেসে বলল,
“ঠিকই বলেছো আমার বউ প্রতিবন্ধী!”
আরেক দফা থতমত খেয়ে গেল ফারাহ।

এমা সে নিজেই তো এই লোকটার বউ!গোলমাল হয়ে গেল ব্যাপারটা।
জিন্স প্যান্ট আর টিশার্ট বেডের উপর রেখে এগিয়ে এলো তাশফিন, জিন্স প্যান্ট হালকা টেনে উপরে তুলে এক হাঁটুতে ভর দিয়ে নিচে বসলো ফারাহর মুখোমুখি।
“মাই ডিয়ার বোকা ওয়াইফ এভাবে নিজেকে প্রতিবন্ধী বলতে নেই সুইটহার্ট।”
চিকন নাকের ডগা ফুলে উঠছে ফারাহর।পারে না ভ্যাঁ করে কেঁদে দিতে। ভীষণ মজা পেলো তাশফিন।
“আহারে তা মাই ডিয়ার ওয়াইফ এভাবে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছো কেন? এত বড় বেড থাকতে?”
তেতে উঠল ফারাহ, চেঁচিয়ে উঠলো।
“তাতে আপনার কি?নিজের কাজ করুন না গিয়ে!”
“হুস ডোন্ট সাউন্ড। চিৎকার করে কথা বলতে মানা করেছিলাম না?”
“বলব একশো বার বলব। দরকার পড়লে হাজার বার বল…
কথার মাঝখানে থেমে গেল ফারাহ, তাকে থামিয়ে দিল তাশফিন শেখ। ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে সেকেন্ডের মধ্যে সরে গেল।ভনভন করে মাথা ঘুরছে ফারাহর? এটা কি হলো? এখন কি সে অজ্ঞান হবে?
“ছিহ্ আপনি আমাকে..
“কি?”
দুষ্টুমির সহিতে শুধোয় তাশফিন, নিচের ঠোঁট নিদারুণ ভঙিতে কা’মড়ে ধরে আছে। লজ্জায় লাল হচ্ছে ফারাহ।
“আপনার ঠোঁট? আমার..
কানের লতি ছুঁয়ে যায় তাশফিন,ফু দিয়ে বলল।

“পরের বার আমার ঠোঁট আপনার বডির প্রতিটি পার্ট ছুঁয়ে যাবে মিসেস শেখ!জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ!”
চোখ দুটো খিঁচিয়ে বুঁজে নিল ফারাহ।তাশফিন চিরচেনা হাস্কিটুনে বলল।
“আপনার টাইম শুরু,আর মাত্র চার রাত আপনার।এর পরের সব গুলো রাত কিন্তু আমার মিসেস শেখ।”
শেষের কথায় বুঝতে অসুবিধা হলো না লোকটা কিসের হিসেব কষে চলেছে!
চট করে উঠে গেল তাশফিন, আলমারিতে প্যাকেট রাখতে রাখতে বলল।
“আপনার ন্যাপকিনের প্যাকেট রাখলাম।আর কিছু লাগলে..
“ছিহ আপনি শেষমেষ এসব?”
গা দুলিয়ে হেসে ফেলল তাশফিন।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৮

“যেহেতু আপনি আমার, তাহলে আপনার সব জিনিসের খেয়াল তো রাখতেই হবে সুখ। হিসেবটাও রাখতে হচ্ছে। আফটার অল এরপর আমার বাসর রাত।”
লজ্জায় লাল হয়ে আসে ফারাহ,তাশফিন একই ভঙ্গিতে বলল।
“বাসর সংক’টে ভু’গছি ম্যাডাম, এবার তো বাসর টা করতে দাও।”

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩০