প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে চিঠি স্পেশাল
আদ্রিতা নিশি
–❝ এমপি সাহেব আজ পহেলা সেপ্টেম্বর। আজ চিঠি দিবস অথচ আপনি আমায় চিঠি দিলেন না। ❞
অভিমানমিশ্রিত কন্ঠস্বর শুনে সারহান ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে অরিত্রিকার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকায়।সে দেখলো বিছানায় বসে মুখ গোমড়া করে অরিত্রিকা তার দিকে তাকিয়ে আছে। সারহান তা ল্যাপটপ বন্ধ করে ডিভান থেকে উঠে দাঁড়ায়। অরিত্রিকার সামনে দাঁড়িয়ে বুকে হাত গুজে অভিমানী রমনীকে পরখ করতে থাকে।
অরিত্রিকা সারহানকে চুপ থাকতে দেখে কিছুটা রা’গ হলো। সে রাগান্বিত হয়ে বললো – এভাবে চুপ করে আছেন কেনো বলুন তো? সবাই চিঠি পাচ্ছে অথচ আমায় চিঠি দেওয়ার মানুষ নেই। অথচ বিয়ের পর চিঠি দিবসে আপনার থেকে আমার প্রথম চিঠি পাওয়ার কথা ছিলো। চিঠিতে কতো ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে জানেন?
সারহান হঠাৎই অরিত্রিকার বাহু ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো সন্তর্পণে। অরিত্রিকা ভ’য়ে সারহানের টি শার্ট আঁকড়ে ধরে। ভ’য়ে চোখ মুখ খিঁচে রেখেছে সে।
সারহান দুহাতে অরিত্রিকার কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে কিছুটা টেনে নেয়। অরিত্রিকা লেপ্টে যায় সারহানের বক্ষস্থলে। সে মুখ উঁচিয়ে পিটপিট করে মানবটির মুখের দিকে তাকায়। সারহান শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। অরিত্রিকার এই চাহনিতে গলা শুকিয়ে আসছে। হার্টবিট তীব্র গতিতে লাফাচ্ছে। আজও সেই প্রথম দিনের মতো অনুভূতি হচ্ছে। সারহান অরিত্রিকাকে ঘুরিয়ে দেয়।সে উন্মুক্ত গলদেশে চোয়াল ছোঁয়ায়।
– কে বলেছে আমি তোর জন্য চিঠি লিখিনি। লিখেছি অনেক আগেই। মনে আছে তোর অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে আমায় চিঠি লিখেছিলি! চিঠিটা পড়ে তখনই বুঝতে পেরেছিলাম তোর মনে আমার জন্য অনুভূতি জন্মেছে। আমি সেই অনুভূতির অপ’মান করতে চাইনি। কোথাও তোর প্রতি আমি একটু দুর্বল ছিলাম। তাই চিঠিটা সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। সেই চিঠির প্রতিত্তোর স্বরুপ আমিও তোকে নিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। চিঠি লিখতে পারিনা তবুও তোর জন্য লিখেছি। তুই হয়তো একটু অবুঝ কিন্তু তুই জানিস আমি তোকে কতোটা ভালোবাসি।
অরিত্রিকা সারহানের কথায় অবাক হয়ে গেলো। সেই চিঠি এখনো রেখে দিয়েছে সারহান। অরিত্রিকা অযথা মানুষটিকে রাগ দেখালো। এটা ভেবে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেলো যে তার এমপি সাহেব তার জন্য চিঠি লিখেছে। ভাবতে অবাক লাগছে। এই প্রথম তার প্রিয় মানুষটির থেকে প্রেম পত্র পাবে ভাবতেই তার মন নেচে উঠলো।
সারহান অরিত্রিকাকে ছেড়ে দিয়ে কাবার্ড খুলে দুটো হলদেটে বর্ণের খাম বের করে। অরিত্রিকা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়ে সারহানের কার্যকলাপ সুক্ষ ভাবে অবলোকন করতে লাগলো।সারহান কাবার্ড বন্ধ করে দুটো খাম অরিত্রিকার হাতে দেয়। অরিত্রিকা অবাক হয়ে তাকায় খামগুলোর দিকে।
সারহান মুচকি হেসে বলে উঠলো – তোর নাম লেখা আছে ওই খামটা খোল।
অরিত্রিকা সারহানের কথামতো খামটা খুলে শুভ্র কাগজটা দুহাতে মেলে ধরে। শুভ্র কাগজ জুড়ে অনুভূতি মিশ্রিত ভালোবাসার ছোঁয়া ফুটে উঠেছে। লেখাগুলোর গভীরতা অনুভব করতেই আবেগ প্রবণ হয়ে গেলো অরিত্রিকা। আনন্দের অশ্রু গড়িয়ে পরলো গাল বেয়ে।
অরিত্রিকা বিস্মিত হয়ে সারহানের দিকে তাকিয়ে কম্পনরত কন্ঠে বলে উঠলো – আপনি আমায় প্রেমপত্র লিখেছেন এমপি সাহেব? আপনার মতো গম্ভীর মানব ও চিঠি লিখতে পারে? ভাবতেই অবাক হয়ে যাচ্ছি।
সারহান অরিত্রিকার অশ্রু মুছে দিয়ে ওষ্ঠ ছোয়ালো কপালে। অরিত্রিকা কিছুটা কেঁপে উঠলো।
সারহান স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে আদুরে কন্ঠে বলে উঠলো – আমার বউজানের জন্য আমি সব কিছু করতে পারি।
অরিত্রিকা আহ্লাদিত হয়ে সারহানকে জড়িয়ে ধরলো। সারহান প্রেয়সীকে আগলে নিলে নিজ বক্ষে। ভালোবাসার মানুষটিকে খুশি করতে দামী উপহারের প্রয়োজন হয়না। চিঠি,ফুল এগুলোই ভালোবাসার মানুষটির মুখে হাসি ফোটাতে যথেষ্ট।
#হলদে_খামে_প্রণয়🌸
#আদ্রিতা_নিশি
০১.০৯.২০২৪
–❝ এমপি সাহেব আজ পহেলা সেপ্টেম্বর। আজ চিঠি দিবস অথচ আপনি আমায় চিঠি দিলেন না। ❞
অভিমানমিশ্রিত কন্ঠস্বর শুনে সারহান ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে অরিত্রিকার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকায়।সে দেখলো বিছানায় বসে মুখ গোমড়া করে অরিত্রিকা তার দিকে তাকিয়ে আছে। সারহান তা ল্যাপটপ বন্ধ করে ডিভান থেকে উঠে দাঁড়ায়। অরিত্রিকার সামনে দাঁড়িয়ে বুকে হাত গুজে অভিমানী রমনীকে পরখ করতে থাকে।
অরিত্রিকা সারহানকে চুপ থাকতে দেখে কিছুটা রা’গ হলো। সে রাগান্বিত হয়ে বললো – এভাবে চুপ করে আছেন কেনো বলুন তো? সবাই চিঠি পাচ্ছে অথচ আমায় চিঠি দেওয়ার মানুষ নেই। অথচ বিয়ের পর চিঠি দিবসে আপনার থেকে আমার প্রথম চিঠি পাওয়ার কথা ছিলো। চিঠিতে কতো ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে জানেন?
সারহান হঠাৎই অরিত্রিকার বাহু ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো সন্তর্পণে। অরিত্রিকা ভ’য়ে সারহানের টি শার্ট আঁকড়ে ধরে। ভ’য়ে চোখ মুখ খিঁচে রেখেছে সে।
সারহান দুহাতে অরিত্রিকার কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে কিছুটা টেনে নেয়। অরিত্রিকা লেপ্টে যায় সারহানের বক্ষস্থলে। সে মুখ উঁচিয়ে পিটপিট করে মানবটির মুখের দিকে তাকায়। সারহান শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। অরিত্রিকার এই চাহনিতে গলা শুকিয়ে আসছে। হার্টবিট তীব্র গতিতে লাফাচ্ছে। আজও সেই প্রথম দিনের মতো অনুভূতি হচ্ছে। সারহান অরিত্রিকাকে ঘুরিয়ে দেয়।সে উন্মুক্ত গলদেশে চোয়াল ছোঁয়ায়।
– কে বলেছে আমি তোর জন্য চিঠি লিখিনি। লিখেছি অনেক আগেই। মনে আছে তোর অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে আমায় চিঠি লিখেছিলি! চিঠিটা পড়ে তখনই বুঝতে পেরেছিলাম তোর মনে আমার জন্য অনুভূতি জন্মেছে। আমি সেই অনুভূতির অপ’মান করতে চাইনি। কোথাও তোর প্রতি আমি একটু দুর্বল ছিলাম। তাই চিঠিটা সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। সেই চিঠির প্রতিত্তোর স্বরুপ আমিও তোকে নিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। চিঠি লিখতে পারিনা তবুও তোর জন্য লিখেছি। তুই হয়তো একটু অবুঝ কিন্তু তুই জানিস আমি তোকে কতোটা ভালোবাসি।
অরিত্রিকা সারহানের কথায় অবাক হয়ে গেলো। সেই চিঠি এখনো রেখে দিয়েছে সারহান। অরিত্রিকা অযথা মানুষটিকে রাগ দেখালো। এটা ভেবে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেলো যে তার এমপি সাহেব তার জন্য চিঠি লিখেছে। ভাবতে অবাক লাগছে। এই প্রথম তার প্রিয় মানুষটির থেকে প্রেম পত্র পাবে ভাবতেই তার মন নেচে উঠলো।
সারহান অরিত্রিকাকে ছেড়ে দিয়ে কাবার্ড খুলে দুটো হলদেটে বর্ণের খাম বের করে। অরিত্রিকা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়ে সারহানের কার্যকলাপ সুক্ষ ভাবে অবলোকন করতে লাগলো।সারহান কাবার্ড বন্ধ করে দুটো খাম অরিত্রিকার হাতে দেয়। অরিত্রিকা অবাক হয়ে তাকায় খামগুলোর দিকে।
সারহান মুচকি হেসে বলে উঠলো – তোর নাম লেখা আছে ওই খামটা খোল।
অরিত্রিকা সারহানের কথামতো খামটা খুলে শুভ্র কাগজটা দুহাতে মেলে ধরে। শুভ্র কাগজ জুড়ে অনুভূতি মিশ্রিত ভালোবাসার ছোঁয়া ফুটে উঠেছে। লেখাগুলোর গভীরতা অনুভব করতেই আবেগ প্রবণ হয়ে গেলো অরিত্রিকা। আনন্দের অশ্রু গড়িয়ে পরলো গাল বেয়ে।
অরিত্রিকা বিস্মিত হয়ে সারহানের দিকে তাকিয়ে কম্পনরত কন্ঠে বলে উঠলো – আপনি আমায় প্রেমপত্র লিখেছেন এমপি সাহেব? আপনার মতো গম্ভীর মানব ও চিঠি লিখতে পারে? ভাবতেই অবাক হয়ে যাচ্ছি।
সারহান অরিত্রিকার অশ্রু মুছে দিয়ে ওষ্ঠ ছোয়ালো কপালে। অরিত্রিকা কিছুটা কেঁপে উঠলো।
সারহান স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে আদুরে কন্ঠে বলে উঠলো – আমার বউজানের জন্য আমি সব কিছু করতে পারি।
অরিত্রিকা আহ্লাদিত হয়ে সারহানকে জড়িয়ে ধরলো। সারহান প্রেয়সীকে আগলে নিলে নিজ বক্ষে। ভালোবাসার মানুষটিকে খুশি করতে দামী উপহারের প্রয়োজন হয়না। চিঠি,ফুল এগুলোই ভালোবাসার মানুষটির মুখে হাসি ফোটাতে যথেষ্ট।
#হলদে_খামে_প্রণয়🌸
#আদ্রিতা_নিশি
০১.০৯.২০২৪