হ্যালো 2441139 পর্ব ১৫

হ্যালো 2441139 পর্ব ১৫
রাজিয়া রহমান

পিয়াসার পরনে একটা হলুদ রঙের লেহেঙ্গা। শারমিন মেয়ের জন্য গতরাতে এই লেহেঙ্গা এনেছে।
পিয়াসা লেহেঙ্গা পরে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। এতো সুন্দর পোশাক পিয়াসার ভাগ্যে জোটে নি আগে।
আয়নায় ঘুরেফিরে পিয়াসা নিজেকে দেখে।বাবা তার রুমে বিশাল একটা আয়না লাগিয়ে দিয়েছেন। পিয়াসা যখন তখন আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
নিজেকে দেখে।
আজও নিজেকে দেখছে ভালো করে। লেহেঙ্গার টপসটার ব্যাকসাইড পুরোটা ফিতে দেওয়া। ফ্রন্ট সাইডে ভারী কারচুপির কাজ।

পিঠ প্রায় পুরোটাই উন্মুক্ত।
ফর্সা পিঠের মাঝখানে একটা তিল।
শারমিন মেয়েকে দেখে মুগ্ধ হলো।আল্লাহ এতো যত্ন নিয়ে কাউকে কাউকে সৃষ্টি করেন?
তবে সেই সৃষ্টিকে আবার যত্ন ও করতে হয়।
পিয়াসাকে শারমিন আগেও দেখেছেন।ভালোবাসা আর যত্নে মানুষের সৌন্দর্য আরো বিকশিত হয় শারমিন বিশ্বাস করে।
আনোয়ার চৌধুরী মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললো, “মাই প্রিন্সেস।”
ড্রাইভার গাড়ি বের করে হর্ণ দিল। আনোয়ার হোসেন মেয়ের হাত ধরে বের হলেন বাসা থেকে।
সকাল সকালেই বের হয়েছেন তারা যাতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ১০ টা বেজে যায়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কিছুক্ষণ গল্পগুজব, আড্ডা দিতে পারেন যাতে।এরপর প্ল্যান আছে মেয়েটাকে নিয়ে ঢাকায় কিছুক্ষণ ঘুরবেন।নিজের ব্যস্ততা, শারমিনের ব্যস্ততা মিলিয়ে মেয়েকে সময় দিতে পারছেন না,কোথাও বেড়াতে যেতে পারছেন না।
রান্নাঘরে চুলার আগুনে রজনীর মনে হচ্ছে সে নিজেও সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। মহুয়া বেগম বলেছেন তিনি জাউ ভাত খাবেন।রান্না করে বের হওয়ার পর মহুয়া বেগমের ফরমায়েশ মতো রজনী আবারও জাউ ভাত রান্না করতে এলো।
বাহিরে গাড়ির হর্ণ শুনে ঝুনি ছুটে এসে বললো, “ভাবী,মেহমান আইসা গেছে।আপনে ওই দিকে যান আমি এদিকে দেখতাছি।”
রজনী ইতস্তত করে গেলো বান্ধবীকে অভ্যর্থনা জানাতে। পিংকি ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে পিয়াসাকে।পিয়াসার সাথে সেদিন তার খুব ভাব হয়।আজকে তাই ছুটে এসে পিয়াসাকে জড়িয়ে ধরে সে।
ছাদে কবুতরের ঘরের দরজা খুলে আষাঢ় কবুতর ছেড়ে দেয়।পিয়াসা গাড়ি থেকে নামতেই দেখে এক ঝাঁক কবুতর মাথার উপর ঘুরছে।

পিয়াসার কেমন অদ্ভুত আনন্দ লাগে।কি সুন্দর দৃশ্য!
পিয়াসা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে সেদিকে।
পিংকি বললো, “আমাদের ছাদে আরো অনেক কবুতর আছে পিয়াসা।চলো তোমাকে দেখাই।”
পিয়াসা পিংকির হাত ধরে ছাদে চলে গেলো।
মেহমান দেখে আষাঢ় আর নিচে নামলো না।এমনিতেই তার এসব ফ্যামিলি ফাংশন তেমন একটা ভালো লাগে না।
সবসময় সবাই একটাই কথা বলে, “এইটুকু ছেলে রাজনীতিতে জড়িয়েছে,লাইফ শেষ হয়ে যাবে। ”
এই কথাটা আষাঢ়ের ভীষণ অপছন্দের। এজন্যই আষাঢ় এসব থেকে দূরে থাকতে চায়।
বাড়ির ভেতরে ঢুকে শারমিন অবাক হয়। এতো বড় বাড়ি বর্তমান সময়ে থাকতে পারে শারমিনের ভাবনাতেও ছিলো না।
বাড়ি ভর্তি মানুষ।

শারমিন মহুয়া বেগমের রুমে যায়।
মহুয়া বেগম শারমিনকে দেখে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে।
মহুয়া বেগমের রুমটাও বিশালাকৃতির। এই রুমটাই যে সবার আড্ডাখানা বুঝতে শারমিনের অসুবিধা হয় না।
চা নাশতার পাশাপাশি আড্ডা জমে উঠেছে।
মিরা ভ্রু কুঁচকে পিয়াসাকে দেখছে।এই মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে আগুনের গোলা যেনো।
এর পাশে মিরার সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। মিরা উঠে গেলো তাই।
গল্প করতে করতে ঝুনি বললো, “আপা,আপনে স্কুলে পড়ান নাকি?বড় ভাবী কইছে আপনে অনেক বড় আপা স্কুলের। আপনেরে দেখলে বড় ভালা লাগে।কি সুন্দর কইরা ঘর,বাহির দুইটা সামলান আপনে।”
মহুয়া বেগম শারমিনকে কটাক্ষ করে বললো, “মহিলারা হচ্ছে গিয়ে ঘরের শোভা।তাগোরে ঘরেই সুন্দর লাগে।মহিলারা যখন ঘর থেকে বাইর হয়ে গিয়ে পুরুষ মানুষের লগে মিইল্লা চাকরি করে তখন সেই শোভা বাইরে চলে যায়। ঘরের সৌন্দর্য কমে তখন।ঘর হইয়া যায় অন্ধকার।আলো দেখলে পোকা আসবোই।মহিলারা যখন নিজের রুপ বাহিরের মাইনসেরে দেখায় তখন তো দুর্ঘটনা ঘটবোই।

এজন্যই আমি আমার বাড়ির বউগো চাকরি করতে দিই না এই তালুকদার বাড়ির বউয়েরা ঘরের বাহিরে গিয়া কাম করবে তা কখনো হয় নি,কখনো হবে ও না।বেডাগো লগে ঘেসঘেসি!”
শারমিন বুঝতে পারলো ইঙ্গিতটা যে তাকেই করা হয়েছে।
শারমিন বললো, “খালাম্মা,মহিলারা তো ঘরের শোভা তাহলে তাকে কেনো তার জীবন শেষ করতে হয় তপ্ত রান্নাঘরে খেটে। সে তো শোপিসের মতো শোকেসে সাজানো থাকবে।”
রজনী তাৎক্ষণিক নিজের বাম হাত কাপড়ের আঁচল দিয়ে ঢেকে নেয়।হাতটা পুড়েছে গত কাল দুপুরেই।এখন পর্যন্ত সবার থেকে লুকিয়েই রেখেছে রজনী।শারমিন কখন দেখলো!
মহুয়া বেগম বুদ্ধিমতী মহিলা। ইঙ্গিত বুঝতে অসুবিধা হয় নি তার।তাৎক্ষণিক হেসে বললো, “কারো কথা জানি না কিন্তু আমার বাড়ির হিসাব আলাদা।এই সংসার যার আমি তার হাতেই সব দায়িত্ব উঠাই দিছি।নিজের সংসারে কতো জ্বালাপোড়া সইয্য করন লাগে মা।তোমার ও তো সংসার আছে তুমি তো জানোই সেটা। ”
এরপর আর কিছু বলার থাকে না।কথার ফাঁকি দিয়ে কিছু মানুষ সহজে কাজ হাসিল করে নিতে জানে।কিন্তু মুখ গোমড়া হয়ে গেলো নার্গিসের।

যার সংসার তার হাতে দিছেন মানে কি?
এই সবকিছু তাহলে বড় জা’য়ের?
তাহলে সে কে?
তার কোনো অবস্থানই নেই এই সংসারে?
বসা থেকে উঠে নার্গিস চলে গেলো। যাওয়ার সময় ধড়াম করে দরজা বন্ধ করে দিলো।
মহুয়া বেগম চোখ বন্ধ করে ইজি চেয়ারে হেলান দিলেন।নার্গিসের উপস্থিতি তিনি ভুলে গেছেন। রজনীর সংসার বলাতে যে নার্গিস রাগ করে উঠে গেছে তা মহুয়া বেগম বুঝতে পেরেছেন।
খেতে বসে মহুয়া বেগম বললেন, “আইজার জাউ ভাত এই রকম হইছে ক্যান রজনী?”
ঝুনি বললো, “কই খালাম্মা? ঠিকই তো আছে।আমি নিজেই তো রানছি।”
মহুয়া বেগম বললেন, “ও এখন থাইকা বুঝি আমার তোর হাতের রান্দন খাওন লাগবো?”
ঝুনি রজনীর দিকে তাকায়।
শারমিনের ভীষণ অস্বস্তি লাগে।ভাগ্যিস আনোয়ার মেয়েকে নিয়ে আগেই খেয়ে উঠেছে বাড়ির পুরুষদের সাথে।
শারমিন বসেছে বাড়ির মহিলাদের সাথে।

মহুয়া বেগম না খেয়ে উঠে গেলেন।সংসারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে হলে মাঝেমধ্যে ইচ্ছে কইরা ও একটু আধটু রাগ,জিদ দেখানো লাগে।এই বয়সে রাগ দেখাই বউ,পোলাগোরে একটু টাইটে রাখন যায়।
মহুয়া বেগম উঠে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর শিরিন গিয়ে বড় ভাইরে জানিয়ে এলো তার মা না খেয়ে উঠে গেছে।
দুপুরের পর শারমিনরা বিদায় নিলো।বিকেলের দিকে মহুয়া বেগম নাশতা খায়। রজনী নাশতা নিয়ে গেলে মহুয়া বেগম রাগ করে খেলেন না।
কিছুক্ষণ পর মহুয়া বেগম সিরাজুল ইসলামকে ডাকলেন।সিরাজুল ইসলাম আসতেই বললেন,”আমারে বৃদ্ধাশ্রমে রাইখা আয়।আমি এই সংসারে সবাইর বোঝা হই গেছি বুঝা হই গেছে আমার।”
সিরাজুল ইসলাম বুঝতে পারছেন মা’য়ের রাগের কারণ কি।

তিনি কিছু বলার আগে শিরিন বললেন,”মাগো,তোমার সংসারেই এখন তোমার কোনো দাম নাই।তোমার পছন্দ অপছন্দ কেও বুঝে না।তোমার লাইগা সবাইর কতো নিন্দা শুনি ও এইখানে পইড়া আছি।”
মহুয়া বেগম বললো, “তোর বউয়ের ক্ষেভ কিসের আমি সব বুঝি।তোর বন্ধুর বউ চাকরি করে, এইটা দেইখা আসনের পর থাইকা তোর বউ ঘরের সব কাজে উথালপাতাল দেখায় আমারে।”
মহুয়া বেগম কাঁদতে লাগলেন।
সিরাজুল ইসলাম মহুয়া বেগমের কান্না শুনে মাথা গরম হয়ে গেলো। চিৎকার করে রজনীকে ডাকলেন।
বাবার চিৎকার শুনে আষাঢ় অবাক হলো।বাবাকে এতো রাগী গলায় মা’কে ডাকতে শোনে না আষাঢ়।রজনীর পিছুপিছু আষাঢ় ও এলো।

সিরাজুল ইসলাম রজনীকে বললো, “মা’য়ের জন্য কি রান্না করছো?”
শিরিন বললো, “তুই একটু খাইয়া দ্যাখ,এগুলো জাউ ভাত হইছে?লোহা মনে হয় ভাত।”
মহুয়া বেগম মুখ কঠোর করে ছাদের দিকে তাকিয়ে রইলো।
আষাঢ় এগিয়ে এলো।রজনীর দিকে তাকিয়ে বললো, “আমি কথা বলছি তুমি এই চেয়ারে বসো মা।”
মহুয়া বেগম তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলেন আষাঢ় তার মুখোমুখি একটা চেয়ার টেনে দিলো তার মা’কে।
এতো বড় স্পর্ধা!
মহুয়া বেগম, এই আধিপত্য যার,তার মুখোমুখি রজনীকে বসিয়েছে তার ছেলে!
আষাঢ় বাবার পায়ের কাছে বসে বললো, “আমার মা মানুষ বাবা,রোবট না।সবসময় সবকিছু পারফেক্ট হবে এরকম কোনো কথা আছে?”

সিরাজুল ইসলাম ইতস্তত বোধ করলেন।সন্তানের সামনে কখনো স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি করেন না তিনি। রজনীর স্বভাব সব অভিযোগে নিরব থাকা।
আজকে ছেলের মুখোমুখি কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারলেন তার পক্ষে সম্ভব হবে না ছেলের সামনে স্ত্রীকে শাসন করা।
আষাঢ় হেসে বললো, “কথা বলো বাবা।”
শিরিন ধমকে বললো, “তুই এখানে কথা বলতেছস ক্যান?এখানে তোর কাজ কি?তোর মা তোরে নিয়ে আসছে না তার হয়ে ওকালতি করার জন্য? ”
“তুমি আর তোমার ভাই যদি মহুয়া বেগমের হয়ে ওকালতি করতে পারো,আমি রজনীর ওকালতি করবো না তা ভাবছো কিভাবে ফুফু? ”

শিরিন চোখের পানি ফেলে বললো,”দেখছো মা,আমি এই বাড়িতে শুধু তোমার দেখাশোনা করার লাইগা থাকি,এরা সবাই আমারে মনে করে শত্রু।দেখলা তোমার নাতি কি বললো,আমি না-কি তোমার ওকালতি করি!”
আষাঢ় হেসে বললো, “ফুফু,এখানে থেকে এতোই যদি দাদীর দেখাশোনা কর তাহলে আমার মায়ের রান্না দাদী খেতে পারে নি যখন, তুমি কেনো রান্না করে দিলে না আবারও ঠিক করে?আমার মা’য়ের বিচার করার জন্য কোমর বেঁধে লেগেছো,তোমার নিজের মা যে না খেয়ে আছে সেদিকে খেয়াল আছে?”
মহুয়া বেগম বললো, “আমার মেয়ে এই বাড়িতে কাজ করার জন্য আসছে?এতো বড় স্পর্ধা তোর তুই আমার মেয়েকে কাজ করতে আদেশ করছিস?”
আষাঢ় মহুয়া বেগমের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, “হ্যাঁ আদেশ করছি।আমি আমার বাবার বড় ছেলে,আমার দাদার বড় নাতি আমি তোমার মেয়েকে আদেশ করছি রান্না করার জন্য। কোনো অসুবিধা আছে?কি বলবে এখন?তোমার মেয়ে তোমার আদরের মেয়ে?তোমার মেয়ে জমিদার বংশের মেয়ে?এসবই তো?
শোনো দাদী,তোমার মেয়ে জমিদার বংশের মেয়ে এটা তার কোনো যোগ্যতা না।যোগ্যতা কি জানো?আমার মা মাস্টার্স পাশ মহিলা এটা আমার মায়ের যোগ্যতা।”

মহুয়া বেগম সিরাজুল ইসলামের দিকে তাকিয়ে বললো, “তোর সামনে বসে তোর ছেলে আমার সাথে এতো বড় বড় কথা বলছে আর তুই চুপ করে বসে আছিস?”
আষাঢ় বাবার দিকে তাকালো। সিরাজুল ইসলাম এই প্রথম বুঝতে পারলেন সন্তানের সামনে স্ত্রীকে শাসন করা কতটা কঠিন।
মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো, “মা,আমি যেমন তোমাকে ডিফেন্স করছি,আষাঢ় তার মাকে ডিফেন্স করছে।আষাঢ় ভুল কিছু বলে নি।
আপা তো পারতো তোমার খাবারটা ঠিক করে এনে দিতে তা না করে বিচারসভা বসানোর অপেক্ষা করছিলো কেনো?তুমি এতো বেলা পর্যন্ত না খেয়ে আছো কেনো?সবসময় সবকিছু রজনীকেই করতে হবে এরকম তো কোনো কথা নেই মা।”
মহুয়া বেগম বললেন, “বুঝছি,সব বুঝা হই গেছে আমার। তোরা যে সবাই এই সংসার থাইকা আলাদা হওয়ার জন্য এসব শুরু করছস আমি সব বুঝি।যা,বের হয়ে যা।মনে রাখিস,সবকিছু আমার নামে।এক কানাকড়ি ও আমি দিবো না তোকে ছক্কা।”

হ্যালো 2441139 পর্ব ১৪

সিরাজুল ইসলাম হেসে ফেললেন মা’য়ের কথা শুনে। স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা হওয়ার ভাবনা থাকলে তিনি আরো আগেই আলাদা হতেন।এতো বছর রজনীকে এতো ঝক্কি সামলাতে হতো না।তার নিজের কম কিছু নেই যে পৈতৃক সম্পদের লোভ করবেন তিনি।
মা’য়ের হাত ধরে বললেন, “মা,তোমার ছক্কাকে আল্লাহ অর্থ,সম্পদ,সম্মান কম দেয় নি।তাই এসবের লোভ আমার নেই।সংসার থেকে আলাদা হতে হলে আরো আগেই হতাম,রজনীকে এতো পুড়তে হতো না এই সংসারে।পুড়ে যখন ছাই হয়ে গেছে ও,এখন আর আলাদা হয়ে কি লাভ!”
মহুয়া বেগম কথা বাড়ালেন না।বেশি কিছু বলে আর ছেলেকে রাগাতে চান না।

হ্যালো 2441139 পর্ব ১৬