আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩২
ইশিকা ইসলাম ইশা
সকালের সূর্যের আলো মুখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেল রিদির। পিটপিট করে চোখ খুলে আড়মোড়া ভেঙে গায়ের ওরনা খুঁজে সেটা গায়ে জরিয়ে সোজা ওয়াসরুমে ঢুকে গেল।চোখে এখনো তার ঘুম।ফজরের নামাজ পড়ে উঠে শরীর খারাপ থাকায় আবারো ঘুমিয়ে পড়েছিল।
এখন বাজে ৭টা ৪০ ।আজ ছুটির দিন। সবাই হয়তো উঠে গেছে।রিদিও ফ্রেশ হয়ে আসতেই নজর গেল সোফায় রাখা বিলাল সাইজের একটা কাটুন বক্স এর দিকে। এতো বড় বক্স রিদি অবাক হয়ে দেখল।তার রুমে এতো বড় বক্স!
রিদিতা একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল।উপরে সাদা কাগজে লেখা আছে কিছু।রিদি লেখাটুকু পড়ল,
ফর:-রিদিতা চৌধুরী
রিদিতা অবাক হল।রিদিতা চৌধুরী! চৌধুরী!! মানে!! চৌধুরী বাড়ি থেকে পাঠিয়েছে!!কে??দাদি!! কিন্তু কি আছে এতে?
রিদির ভাবনার মাঝেই রিয়া রুমে ঢুকে বলল,
এই রিদু!!উঠে…..
ওহহ উঠেছিস।তোর নামে একটা বক্স……
তুই দেখেছিস!!
রিদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
দেখেছি!!
কি আছে এতে??
জানি না!!
খুলে দেখ। খুব ভোরেই এটা দরজার বাইরে পেয়েছি।রিদিতা চৌধুরী দেখে বুঝলাম এটা তোর।হয়তো চৌধুরী বাড়ি থেকে পাঠিয়েছে!!
রিয়া চলে যেতে চাইলে আবার ফিরে এসে বলল,
তোর হলে বলিস একটু বাজার যাব!আজ সন্ধ্যায় মনসুর আঙ্কেলদের বাড়িতে অনুষ্ঠানের জন্য টুকটাক কিছু জিনিস কিনব!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রিয়া যেতেই রিদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বক্স খুলতেই নজরে এলো অনেক গুলো প্যাকেট!রিদি ভু কুঁচকে একটা প্যাকেট বের করে খুলতেই নজরে এলো গর্জিয়াস লং পার্টি গাউন!মেরুন কালারের গাউনটা অসম্ভব সুন্দর!রিদি হতবাক হতভম্ব হয়ে দেখল গাউন টা।এরপর একে একে সব গুলো বের করে রাখল বিছানায়।
রিদি কপালে হাত দিয়ে নিজের বিছানা দেখল।পুরো বিছানা জুড়ে কাপড় আর কাপড়!এতো কাপড়!!
৬ টা গর্জিয়াস লং পার্টি গাউন,৭-৮ টা পাকিস্তানি গর্জিয়াস থ্রি পিচ,১৫-২০ টা সুতি থ্রি পিচ,৭-৮ সুতি লং গোল গাউন জামা,৮-৯টা এমব্রয়ডারি,ব্লক প্রিন্ট, সুতার কাজের থ্রি পিচ,১৯-২০ টা শাড়ি(যার মধ্যে কাতান,সিল্ক,সুতি,হাতের কাজের, জর্জেট) সাথে ম্যাচিং পেটিকোট, ব্লাউজ।
৭-৮ টা গর্জিয়াস বোরকা, অনেক ধরনের হিজাব ৪৮ টার মতো, প্রায় ১৯-২০টার (হিল সহ উচু নিচু, জুতো,স
স্লিপার) আরো কিছু হিজাব পিন,কানের দুল, চুরি।
সবার শেষে একটা চিঠি,
“এগুলো ব্যাতিত তোর শরীরে অন্য কোন পোশাক দেখলে মিজা বাড়িতে আগুন জ্বলবে প্রমেস !
এন্ড আই ডোন্ট ব্রেক মাই প্রমেস!রিমেম্বার ইট। ইউর টাইম ইনন্ড এট 9.00 ”
রিদি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বসে আছে।এতো জিনিস সাথে এই হুমকি!কে দিল এসব??রিদি থম মেরে বসে রইল!এতো পুরো মার্কেট তুলে এনেছে।
রিদির বিষ্ময় নিয়ে সব কিছু দেখার মাঝেই রুমে ঢুকল লতিফা বেগম আর রিয়া।এতো জিনিস এভাবে ফেলানো দেখে দূইজনেই হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে!
লতিফা আশ্চর্য হয়ে বলল,
পুরো বাজার উঠায় আনছে দেহি নাতজামাই!!!
ইয়ে মানে!!কেডা দিল???
রিয়া নিজেকে সামলে বলল,
জানি না দাদি!আসলে সকালে আমি দরজার বাইরে এই বক্স দেখেছিলাম।উপরে লেখা ছিল রিদিতা চৌধুরী। আমি ভাবলাম চৌধুরী বাড়ি থেকে রিদিতার কোন জিনিস হয়তো এসেছে তাই এখানে রাখতে বলেছিলাম।
কেডা পাঠাইছে??রিদি জানছ কিছু?
রিদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
জানি না!
ভালা হয়ছে!ঐ কুটনি মাইয়ার মুখে এবার তালা পড়ব।আমি অহনি ঐ কুটনিরে ডাইক্যা আইতেছি।কাল তো কম তোরে হুনাইলো না!আইসা দেইখা যাক চৌধুরী বাড়ির বৌয়ের কাপড় কেমন হয়!!!বলতে বলতে লতিফ বেগম রুম থেকে বের হয়ে মূচকি হাসতে হাসতে চলে গেল।রিদি রিয়া এখনো হতভম্ব হয়ে আছে।রিয়া আশ্চর্য হয়ে বলল,
কালকের ঘটনা কি ওনারা জেনে গেছিল নাকি?? আশ্চর্য কিভাবে??
রিদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
সেটাই!!কিভাবে সম্ভব???
গতকাল,
রিদিতা,রিয়া,রিয়ার মেয়ে, আর লতিফা বেগম তপ্ত রোদ থেকে বাঁচতে বাগানের হুরহুর বাতাসে এসে বসেছে। রিদিতা কচি আম মাখা করেছে।সেটাই বসে খাচ্ছে তখন।
মির্জা ম্যানশনে বড় বড় দুটা গাড়ি এসে থেমেছে। সেখান থেকে নেমে এসেছে আলিশা।পড়নে তার অফ হোয়াইট রঙের গজিয়াস শাড়ি।সাথে হাই হিল। ফর্সা চেহারায় ভারি মেকআপ!খোলা পিঠ ছাড়ানো চুলগুলো কালার করা।চোখে চারকোনা কালো সানগ্লাস। ঠোঁট গাড় লাল লিপস্টিক! দেখে মনে হবে কোন নায়িকা।আলিশা চোখের সানগ্লাস মাথায় তুলতে তুলতে এগিয়ে এলো রিদিদের দিকে,
What a pleasant surprise??রিদি??কবে আসলি??
রিদিতা অবাক হয়ে দেখল আলিশাকে।আলিশাকে দেখে খুশি হয়ে এসে তার কাছাকাছি দাড়াতেই আলিশা ন্যাকা স্বরে বলে,
ঈউউউ!!রিদি কি অবস্থা তোর?গায়ে এতো ধুলোবালি??
রিদি অবাক হয়ে নিজেকে দেখে বলল,
কোথায় আপু?
ওহহ সরি!!আমি তো ভুলেই গেছিলাম।কালো গায়ে ময়লা জমে গেলেও বোঝার উপায় নেই!তা তুই এখানে যে?? চৌধুরী বাড়ির পুত্রবধূর এই কি অবস্থা? আমি তো ভাবছিলাম চৌধুরী বাড়ির বধূ রানী হয়ে আছে! কিন্তু আহারে!
আরে এটা তো দেখছি আমার সেই পুরনো জামা!!সেই আগের আমার পড়া জামাই পড়ছিস বুঝি!
কিন্তু কেন?? চৌধুরী বাড়ির পুত্রবধূ অন্যর পুরানো জিনিস ব্যবহার করছে এটা কি মানানসই?
আরে হ্যাঁ!!আমি ও না!আসলে আমি না ভুলেই গেছিলাম তোকে তো চৌধুরী বাড়ি থেকে বের করে করে দিয়েছে।সো স্যাড!!তা শুধু বের করেই দিয়েছে নাকি সাথে টাকা পয়সা কিছু দিয়েছে??
যাই বল তীব্র চৌধুরীর মতো ওমন ভয়ংকর সুদর্শন পুরুষ তোকে তো আর সারাজীবন ব্যবহার করবে না।
রিদির চোখ পানিতে চকচক করছে। তবুও নিজেকে শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে!
তবে তুই চিন্তা করিস না।আমি আছি না!তোর জামা কাপড়ের কোন অভাব হবে না!আমি আবার একটা ড্রেস দুইবারের বেশি পড়ি না!গবিরদের দান করে দিই।তোকেও না হয় দিলাম??
আমি তোর বড় বোন হয় তবুও একটা কথা বলি,
ওমন পুরুষের তোকে দিয়ে কখনো পুষাবে না!বয়সই বা কতো তোর! পরিপক্ক একটা বয়য়স হওয়া চাই!!
তাছাড়া শুধু বিয়ে হলেই তো আর হয় না। চৌধুরী বাড়ির বৌ হওয়ার যোগ্যতা থাকা লাগে।বড়োই আফসোস এর সাথে বলতে হচ্ছে সেই যোগ্যতা তোর নেই!তবে কি আর করার!!!
রিদির চোখ দিয়ে এবার না চাইতেও পানি গড়িয়ে পড়ল।তার মতে আলিশার কথা মিথ্যা নয়। আসলেও সে চৌধুরী বাড়ির যোগ্য না।
এই!!এই!!তুই ওরে কি কথা কইতাছিস!রিদু কান্দে কেন?বলেই লাঠি ভর দিয়ে এগিয়ে এলেন লতিফা বেগম,
তুই ওরে কি কইলি??(রেগে)
তেমন কিছুই তো বলি নি দাদি!
এক থাবর লাগামু।আমি কানে একটু কম হুনি কিন্তু চোখে এহনো ভালাই দেহি! মিথ্যা কথা কস!!বেদদপ ছেমরি….
রিয়া এবার তেড়ে এসে বলল,
এতো অহংকার ভালো না আলিশা!সময় বদলাতে দেরি লাগে না! তাছাড়া তোমাকে আর কি বা বলব!!
আর তুই তোকে এতো কিছু শুনালো তবুও তুই নিশ্চুপ কেন রিদি?
রিদি চোখ মুছে হাসার চেষ্টা করে বলল,
ভুল তো কিছু বলে নি আপু!
বলেই ধীরে হেঁটে বাসায় ঢুকে গেল।রিয়া আলিশার দিকে ঘৃণিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মেয়েকে নিয়ে চলে গেল!
এদিকে লতিফা বেগমের কপালে জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম।তার দৃষ্টি দূরে দাঁড়িয়ে থাকা তীব্রর দিকে।তীব্রর দৃষ্টি বলছে আলিশা রিদিকে ভালো কিছু বলে নি। লতিফা শুকনো ঢোক গিলে বলল,
তুই দ্রুত বাসায় যা!ষাড় ক্ষেপছে!!তেড়ে আসার আগেই ভাগ!!
কোথায় ষাড়??
আমার কপালে!!এই ছেমড়ি যাস না কেন?যা…..
আলিশা ভেংচি কেটে চলে গেল ভেতরে। তীব্র এখনো সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। লতিফা বেগম ধীর পায়ে এগিয়ে গেল তীব্রর দিকে।তীব্রর হাতের মুঠোয় ফোলা হাতের রগ দেখে শুকনো ঢোক গিলে বলল,
কি কইছিল আমি হুনি নাই!!
আমি শুনেছি! শুধু দোয়া করবেন দাদি!!
কার জন্য!!
বৌয়ের বড় বোন সম্পর্কে কি হয়??
আপা!!
ঐ বড় আপার জন্যই করেন তাহলে!!
লতিফা বেগম তীব্রর কথার আগা গোড়া কিছুই বুঝল না। শুধু ড্যাবড্যাব করে দেখল তীব্রর যাওয়া।
আপাতত জায়গা না থাকায় রিদি সব কাপড় গুছিয়ে সেই বক্স এ গুছিয়ে রাখছে।তার ধারনা মতে এসব দাদি পাঠিয়েছে। তাছাড়া আর কে বা পাঠাবে!রিদি কাজ করার মাঝেই ছুটে আসল রিয়া,
এই রিদু!!!জানিস মির্জা ম্যানশনে আগুন লেগেছে!!!
কিহহহ???বলে ছুটে বাইরে আসে রিদিতা।দপদপ করে আগুন জ্বলছে ভেতরে।রিদির ভেতরে ধকধক করছে।এই সাত সকাল বেলা কিভাবে কি হয়েছে??রিদি বাইরে এসে দেখল রুপেস,আমিনা,আলিশা বাইরে দাড়িয়ে আছে। আলিশান মিজা বাড়ির প্রতিটি কোনায় আগুন জ্বলছে!!!আলিশা ভ্যা ভ্যাঁ করে কাঁদছে!গ্রামের সবাই ছোটাছুটি করে আগুন নিভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
লতিফা বেগম থমকে দাঁড়িয়ে আছে!তার দৃষ্টি পানি দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করা তীব্রর দিকে। লতিফা বেগম বিরবির করে বলল,
“যে আগুন লাগিয়েছে সেই সবার সামনে ভালা সাজতে আগুন নিভাচ্ছে! একখান জিনিস বানাইছে ”
অবশেষে আগুন নিভেছে। মির্জা ম্যানশনে বিশেষ কোন ক্ষতি না হলেও।কাপড় কিছুই বাকি নেই পুরতে!! আশ্চর্য বিষয়।একটা কাপড় ও বাকি নেই যতে আগুন লাগে নি। বিশেষ করে আলিশার রুমে সব পুড়েই ছাড়খাড় হয়ে গেছে।বেচারি আলিশার পড়ার মতোও কোন কাপড় নেই!তবে সকাল সকাল আগুন লাগার বিষয় টিতে সবাই অবাক!! কিভাবে কি হলো কেউ জানে না!তবে মজনু মিয়া ঠিক সময়ে এসে তাঁদের বাঁচিয়েছে বলে পুরো গ্রামে চলছে তার সুনাম!
এদিকে রিদি সকাল সকাল একটার পর একটা চমক পেয়ে চিন্তিত মুখে বসে আছে।হুট করেই কিছু মনে করে তাকালো ঘড়ির দিকে! ঘড়িতে তখন বাজে সকাল ১০:২০ রিদি সময় হিসাব করে দেখল আগুন লেগেছে ৯:১২ মিনিটে!মানে হুমকি অনুযায়ী তাকে ঠিক নয়টায় ওগুলো মধ্যে একটা জামা পড়তে হতো!!রিদির মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো!জামা বিষয়টি এখনো তার মাথায় ঢুকছে না। তাছাড়া মজনু মিয়া কে সন্দেহ করতে পারছে না কারন তার জন্য নাকি আজ সবাই বেঁচে গেছে।
আলিশা বলেছে মজনু তাকে ঘুম থেকে তুলতে পরপর দুটা থাপ্পর দিয়েছে!এতে কারো তেমন কিছু বলার নেই।কারন তীব্র মানে মজনু মিয়া কথা বলতে পারে না!তখন জাগানোর জন্য থাপ্পর মারা ব্যাপার না!তবে আলিশার গালে ১০ আঙ্গুল এর ছাপ পড়ে আছে এখনো।বেচারির সুন্দর চেহেরায় ১০ আঙ্গুলের ছাপ বিদ্যামান!
এসব বেশ ভালো ভাবেই পর্যবেক্ষণ করেছেন লতিফা বেগম।যদিও তিনি আগুন লাগানো সমর্থন করছেন না।তবে আলিশার উচিত শিক্ষা হয়েছে এতেই তিনি খুশি!
সবাই মনসুর আলীর দাওয়াত রক্ষার্থে যাচ্ছে পাশের গ্রামে। রওনাফ মির্জা এসে দেখল মজনু গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছে!এর মাঝে লতিফা বেগম ও এসে দাড়ালো। রওনাফ মির্জা মজনুর দিকে এগিয়ে এসে বলল,
তোমাকে ধন্যবাদ মজনু!আজ তুমি সঠিক সময়ে রুপেসের বাসায় না পৌঁছালে কি যে হত??
মজনু উরফে তীব্র বাঁকা হাসল! ইশারায় বুঝালো,
কি বলছেন স্যার!এটা তো আমার দায়িত্ব!
রওনাফ মির্জা তীব্রর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
আল্লাহ তোমার সব চাওয়া পূর্ন করুক বাবা!খুব ভালো থাকো দোয়া করি!!
এদিকে লতিফা বেগম ছেলের সরলতা দেখে মনে মনে বললেন,
“পোলাডা আমার অনেক ভোলা! কিন্তু এই পোলা তো আগুনের গোলা!”
তীব্র দাদির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল।বয়স হলেও বেশ রসিক বটে লতিফা বেগম।বুঝে সবটা।অন্য কেউ হলে এতোক্ষণ হয়তো তাকে জেরা করত!অথচ তিনি কোন প্রশ্ন করে নি এখনো আগুন লাগানো নিয়ে!
একে একে সবাই বাইরে বেরিয়ে এলো। তীব্র এক পলক রিদিকে দেখে সাথে সাথে অবারো অবাক হয়ে তাকালো!! রিদির পড়নে তার দেওয়া মেরুন কালার গাউন!ঠিক গাউন না কারন সাথে ম্যাচিং গর্জিয়াস ওরনা রয়েছে।ঘের আলা পারফেক্ট বডির জামায় রিদিকে মানিয়েছে বেশ।পায়ে অল্প ঊচু হিল!ঘন কালো লম্বা রেশমের মত চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া।কানে সিমপল একটা কানের,মুখে মেকআপ এর আবরন আছে কিছুটা।ডাগর ডাগর ঘন পাপড়ির চোখে কাজল দেওয়া।
তীব্র জোরে জোরে শ্বাস নিল। নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে আড়চোখে তাকালো রিদির দিকে।রিয়ার মেয়ে মণি তাকে টেনে নিয়ে আসছে।
আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩১
বাড়ির সবাই ই বেশ অবাক হয়ে দেখল রিদিকে।মণি মিষ্টি হেসে আধো আধো গলায় বলল,
রিদু মাম্মাআ তুন্দর লাগছে!!
রিদি মণির আধো আধো কথায় হেসে বলল,
আমার মামনিকেও আজ মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর লাগছে!
এদিকে মজনু উরফে তীব্র রিদির দিকে আর তাকালো না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে গাড়িতে গিয়ে বসল।বৌ কে এমন রুপে দেখে তীব্রর মাথা এমনিতেই ভো ভো করছে!তীব্রর নিজেকে সামলানো দায় হয়ে পড়ছে।সে চায় না তার এতো মাসের পরিশ্রম বেকার যাক!বৌ কে দেখে উল্টাপাল্টা কিছু করলেই সবটা বৃথা যাবে। কিন্তু মন!!একে সে কিভাবে বুঝাবে!!এই বৌ তাকে কিভাবে জলাচ্ছে। তীব্র বিরবির করে বলল,
“” বালের একটা বৌ ”