হ্যালো 2441139 পর্ব ২১

হ্যালো 2441139 পর্ব ২১
রাজিয়া রহমান

মধ্যরাতে বাহিরে ঝিঁঝি পোকার একটানা সুর কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিলো।আকাশে পূর্ণ চাঁদ উঠেছে আজ।
চাঁদের আলো পুকুরের পানিতে পড়ে কেমন মায়াবী স্বপ্নের মতো আবহ সৃষ্টি করেছে।শান্ত পুকুরের পানিতে চাঁদের প্রতিচ্ছবি।
হালকা বাতাস এসে পারভীনকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
এতো সুন্দর মায়াবী রাতে মনটা আনচান করে নিজের প্রিয় মানুষটার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য।
অথচ এসব কিছুই এখন পারভীনকে স্পর্শ করতে পারছে না।একটু আগে শাহেদ কল করেছিলো। শাহেদের কল পেয়ে পারভীনের অভিমান যেনো পাহাড় সমান হয়ে যায়।

পিয়াসা ঘুমাচ্ছে। পারভীন জানে এখন রুমে কথা বললে পিয়াসা জেগে যাবে।নিজেদের মধ্যকার কলহ মেয়ে যাতে না জানে তাই পারভীন রুম থেকে বের হয়ে এলো।সামনের দরজা খুলে পারভীন পুকুর ঘাটে গিয়ে কল রিসিভ করে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে শাহেদের কুৎসিত গালাগালি ভেসে আসে।
জমিরন সন্ধ্যা বেলায় ছেলেকে যা বলার বলেছেন।একটু আগে একটা প্রস্টিটিউটের সাথে সময় কাটিয়ে এসেছে শাহেদ। তখন পারভীন কল করেছে।শাহেদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায় পারভীনের কল পেয়ে।
কিছুক্ষণ পর মা কল করে শাহেদকে নালিশ করে। শাহেদের মাথা আরো গরম হয়ে যায়।
শাহেদ দুই বোতল ম দ খেয়েছে। মদ খেয়ে সে পারভীনকে কল দিলো। এই কাজটা শাহেদের ভীষণ ভালো লাগে। এই দুনিয়ার যত গালাগাল, বিকৃত ভাষা সব প্রয়োগ করতে পারে সে।মাতাল হয়ে পারভীনের কিছু গোপন ছবি আছে সেগুলো দেখে শাহেদ। সাথে বন্ধুদের দেখায়।ভীষণ মজা পায় এই কাজটা করে সে।নিজের সুন্দরী বউকে দেখে তার মাতাল বন্ধুরা যখন কিছু নোংরা কথা বলে শাহেদের ভীষণ ভালো লাগে।
পারভীন নিজের কষ্টের কথা বলার আগেই অপরাধী, চরিত্রহীনা হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে গেলো।
কল কেটে দিয়ে চুপচাপ বসে রইলো।অথচ শাহেদকে সে কিছুই বলতে পারলো না।মাতাল একটা লোকের সাথে কথা বলা না বলা একই কথা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

এই জীবনই কি পারভীন চেয়েছিলো?
এতো বছর ধরে সে তো নিজেকে ঠিকই সুরক্ষিত রেখেছে। অথচ শাহেদ কি করছে!
একটু আগে ও একটা মহিলার সাথে থেকে এসে মদ খেয়ে পারভীনকে সেসব কথা ও বলছে!
পারভীন এই কথাগুলো নিতে পারে না শাহেদ জানে।জানে বলেই এসব করে এসে মদ খেয়েই পারভীনকে কল করে। তারপর কিছুক্ষণ গালাগাল করে বর্ণনা করে কিভাবে সময় কাটিয়েছে। সেই মুহূর্তে পারভীনের ইচ্ছে করে নিজের জীবন নিজের হাতে শেষ করে দিতে।
কার জন্য সে অপেক্ষা করছে?
কার জন্য সে এতো যন্ত্রণা অত্যাচার সহ্য করছে?
সাদেক জেগেই ছিলো। দরজা খোলার শব্দ শুনে জানালা খুলে বাহিরে তাকাতেই দেখলো পারভীন বের হয়েছে।
পুকুর ঘাটে বসে পারভীন কোলে মাথা রেখে ব্যাকুল হয়ে কাঁদতে লাগলো।
সাদেকের বুকের ভেতর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে।

পারভীন কাঁদছে অথচ তার মনে হচ্ছে তার বুকটা ছিঁড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়।
এরকম মায়াবী একটা পরিবেশে পারভীনের খিলখিল করে হাসার কথা। অথচ তাকে কাঁদতে হচ্ছে।
একটা মানুষকে এতো দিক থেকে কষ্ট দিলে সে-ই মানুষ বাঁচে কিভাবে?
সাদেকের মনে হলো যা হবার হোক।লোকে তাকে খারাপ বললে বলুক তবুও আর চুপ থাকবে না।
পারভীনকে সে আর কষ্ট পেতে দিবে না।
দরজা খুলে বাহিরে বের হলো সাদেক।পারভীন দুই হাটুতে মাথা রেখে কাঁদছে।
সাদেক গিয়ে পারভীনের মাথায় হাত রাখে।
চমকে উঠে পারভীন উঠে দাঁড়ায়। সাদেক কে দেখে হতবাক হয়ে বললো, “স্যার, আপনি? ”
“কি হয়েছে আপনার? এভাবে কাঁদছেন কেনো?”
“কিছু না।আপনি এখানে কেনো এসেছেন এই সময়ে? ”
“আপনাকে কাঁদতে দেখে আমি নিজেকে আর আটকাতে পারি নি।আপনি প্লিজ কাঁদবেন না আর এভাবে। ”
পারভীন ভ্রু কুঁচকে বললো, “কেনো?”

“আমি জানি না।আপনি কাঁদলে আমার সহ্য হয় না।আমি সব লণ্ডভণ্ড করে দিবো যদি দেখি আবারও আপনার চোখে পানি আসে।আপনাকে কেউ কষ্ট দেয়।”
পারভীন সাদেকের কথা শুনে অবাক হয়। কি বলছে এই লোকটা এসব?পাগল হয়ে গেছে না-কি!
“আপনার সাথে মালিহার বিয়ে দিবে আমার শাশুড়ী আম্মা।আমি পরস্ত্রী। আপনার উচিত হয় নি এরকম সময়ে এখানে আসা।”
“আমি কি একটা বার কাউকে বলেছি আমি মালিহাকে বিয়ে করবো?আপনি পরস্ত্রী আমি জানি,কিন্তু এটা কোনো দাম্পত্য জীবন হতে পারে না। ১২ বছর আপনার হাজব্যান্ড দেশে আসে না।সে যে কখনো আসবে তার নিশ্চয়তা কি?
কিসের আশায় আপনি নিজের জীবন নষ্ট করছেন?এই জাহান্নামে জ্বলে পুড়ে মরছেন কেনো আপনি? আমি সোজা কথা বলতে পছন্দ করি।৬ মাসের মধ্যে যদি আপনার হাজব্যান্ড দেশে না আসে তাহলে আপনি তাকে ডিভোর্স দিবেন এবং আমার সাথে আমি আপনাকে নিয়ে যাবো।আমি আপনাকে আমার জীবন সঙ্গী করতে চাই।”
পারভীনের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।এই লোক কি বলছে এসব?

আস্তাগফিরুল্লাহ বলে পারভীন দৌড়ে ঘরে চলে গেলো মোবাইল রেখেই।
সাদেক দাঁড়িয়ে রইলো পুকুর ঘাটে। ভুল ঠিক সে জানে না।কিন্তু এই মানুষটার জন্য তার বুকে যে মমতা জন্ম নিয়েছে কবিতা তাকে ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় কারো জন্য এরকম হয় নি।
পারভীনের ফোন বেজে উঠে। সাদেক হাতে নিয়ে দেখে শাহেদ কল করেছে। সাদেক ফোনটা রেখে দেয়।
পরমুহূর্তেই একটা ভয়েস মেসেজ এলো।
সাদেক ভয়েস মেসেজ অন করতেই শুনতে পেলো শাহেদের বিকৃত মুখের ভাষা।
নিজের স্ত্রীকে কেউ এই ধরনের বিশেষণে বিশেষায়িত করতে পারে সাদেকের জানা ছিলো না।
একটা মানুষের মুখের ভাষা এতটা নোংরা হতে পারে!
সাদেকের মাথা গরম হয়ে গেলো। পারভীন কেনো এসব সহ্য করছে এখনো?
শাহেদ আবারও কল দিলো সাদেক রিংটোন অফ করে দিলো।
শাহেদ আবারও ভয়েস দিলো।

এবারের ভয়েস মেসেজ শুনে সাদেকের মনে হলো সে যেনো এই দুনিয়ায় নেই।
শাহেদ বলছে,”ওই মা**,তোরে আমার মা কইছে না তোর ভাইদের থাইকা ২ লাখ টাকা আইনা দিতি?দিছস?এখনো দেস নাই ক্যান?শোন,দ্রুত টাকার ব্যবস্থা কর।নয়তো খুব খারাপ হইবো।তুই জানস না তোর যত ন্যুড ছবি আছে আমার কাছে আমি ওইসব বিক্রি করে দিমু।শালী!”
সাদেকের ইচ্ছে করলো এক আছাড়ে ফোনটা ভেঙে ফেলে।
সাদেক নিজেকে সংবরণ করে ভয়েস মেসেজ ডিলিট করে দেয়। এসব পারভীন শুনলে আরো ভেঙে পড়বে।শাহেদের ফোন নাম্বার নেয় সাদেক।তারপর ফোন নিয়ে দ্রুত ঘরে যায়।
কিছু একটা করতে হবে।

রুমে গিয়ে সর্বপ্রথম শাহেদের ফেসবুক আইডি খুঁজে বের করে সাদেক।
শাহেদের আইডি ঘুরে তার দুবাইয়ের ঠিকানা খুঁজে বের করে সাদেক।
তার সাথে ছবি থাকা কয়েকজন বন্ধুর আইডি বের করে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায় সাদেক।
তাদের আইডি থেকে তাদের ফ্যামিলি মেম্বারদের খুঁজে বের করে আবার।
এই ব্যাপারটা একটা মহিলা যতটা ভালো বুঝবে একটা পুরুষ তা বুঝবে না।
দুজনের ওয়াইফের ফেসবুক আইডি খুঁজে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিয়ে, মেসেজ ও পাঠায় সাদেক।
তারপর অপেক্ষা করতে থাকে রিপ্লাই পাওয়ার জন্য।
পারভীন রুমে এসে পিয়াসাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। এই যাবত অনেকেই পারভীনকে অনেক রকম ইশারা ইঙ্গিত করেছিলো। সবার মনোবাসনাই,ইঙ্গিতই ছিলো নোংরা। এই প্রথম কেউ তার মুখোমুখি এসে সোজাসাপটা নিজের পছন্দের কথা জানিয়েছে।
পারভীনের কান্না পায়।

যার জন্য সে প্রতিনিয়ত যন্ত্রণার আগুনে পড়ে শুদ্ধ হচ্ছে সে কি-না তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পারভীন ডাইনিং টেবিলের উপর নিজের মোবাইল দেখতে পায়।
সারাদিন ভীষণ ভয়ে ভয়ে থাকে পারভীন। এই বুঝি স্যারের মুখোমুখি হয়ে গেলো।
এই মানুষটাকে পারভীন আগে সম্মান করতো, সেই সম্মান হারিয়ে এখন জন্ম নিয়েছে ভয়,শঙ্কা।
জমিরন থমথমে সুরে বললো, “মাস্টাররে নাশতা দিছস?যা নাশতা দিয়ে আয়।”
পারভীন না তাকিয়ে বললো, “মালিহাকে বলেন নাশতাটা দিতে।”
“মালিহা নাশতা দিবো ক্যান?তোর কি গতরে তেল জমছে যে তুই দিতে পারস না?যা বলছি।”
পারভীন কথা বাড়ায় না।নাশতার ট্রে নিয়ে সাদেকের দরজায় কড়া নাড়ে।সাদেক ভেতর থেকে বললো, “দরজা খোলা আছে।”
পারভীন নাশতার ট্রে টেবিলে রেখে চলে যেতে নিলো।সাদেক পেছন থেকে ডেকে বললো, “গত রাতে আমি ৬ মাস সময় দিয়েছিলাম,এখন আমার মনে হচ্ছে ৬ মাস অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমি তোমাকে ১ মাসের সময় দিলাম।১ মাসের মধ্যে তোমার স্বামী দেশে না এলে তুমি আমার সাথে চলে যাবে।আমি তোমাকে বিয়ে করবো। আর আমার সিদ্ধান্ত একেবারে ফাইনাল।তুমি রাজি না হলে আমি তোমাকে তুলে নিয়ে যাবো।তবুও এই নরকে তোমাকে পচে মরতে দিবো না।”

পারভীন ঘুরে দাঁড়িয়ে বললো, “আমি পচে মরলে আপনার কিসের অসুবিধা এতো? আপনি এতো মাথা ঘামাচ্ছেন কেনো?আমার স্বামী,আমার শ্বশুর বাড়ি আমার ব্যাপার। আপনার কি?”
“স্বামী? কে তোমার স্বামী? আমি অনেক কিছুই জানি পারভীন। তুমি যাকে স্বামী ভেবে এই আগুনে পুড়ছো তার কাছে তোমার এক আনার দাম ও নেই।যখন থেকে তুমি আমার বুকের ভেতর ঢুকে একটা শক্ত আসন পেতে বসেছো তখন থেকেই তোমার সব ভালো মন্দ আমার সাথে জড়িয়ে গেছে।আমি তোমাকে ভালোবাসি।তোমাকে ভালোবাসি বলেই আমি তোমাকে সুখী দেখতে চাই।রানীর মতো দেখতে চাই।তা যদি শাহেদ করতে পারে আমি কখনো তোমাকে চাইবো না।কারণ আমি জানি তুমি ও শাহেদকে চাও।
কিন্তু শাহেদ যদি আমার ভালোবাসাকে অযত্নে রাখে তাহলে আমি সেটা থাকতে দিবো না।যার আসন আমার বুকে তাকে অন্য কেউ পায়ের নিচে রাখলে আমি কেনো মেনে নিবো?”
পারভীন আর দাঁড়ালো না।এই লোকটা পাগল হয়ে গেছে না-কি!
কি সব হাবিজাবি বলছে এসব?

নাশতা করে সাদেক কলেজে চলে গেলো। মালিহা ও কলেজে।পিয়াসা স্কুলে।জমিরন পাড়া বেড়াতে বের হয়েছে।
এই শুনশান দুপুরে চারদিকে কেমন অদ্ভুত শূন্যতা। পারভীন কাপড় নিয়ে গোসল করতে গেলো পুকুর ঘাটে।
হাতে পায়ে সাবান দিচ্ছে পারভীন সেই মুহূর্তে কাদের এসে হাজির হলো।কাদের এসে পারভীনের পাশে বসতেই পারভীন ভয় পেয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়।
কাদের এক গাল হেসে বললো, “ভয় পান ক্যান?আমি আসছি গোসল করতে, আপনেরে তো কিছু করি নাই আমি।আপনার গোসল আপনে করবেন আমার গোসল আমি করবো।আপনার যদি কোনো সাহাইজ্জ লাগে লাগলে তাও করবো।এই ধরেন,পিঠ তো আপনে নিজে সাবান দিয়ে ঢলতে পারবেন না,আমি না হয় একটু সাবান দিয়ে ভালো করে ঢলে দিলাম।”
এরকম ঘৃণ্য কথায় পারভীনের শরীর গুলিয়ে উঠে।
কাদের হাসি মুখে বসে আছে পুকুর ঘাটে। পারভীন মাঝ পুকুরে দাঁড়িয়ে আছে। এই সময় বাড়িতে কেউ থাকে না।একা বাড়ি হওয়ায় কেউ আসার ভয় নেই।কাদের পারভীনকে বললো, “আইজ আমি এই ঘাটে বইসা থাকমু।আপনার কাপড় এইখানে রাখা।আপনে কতক্ষণ পানিতে থাকবেন এভাবে?বাড়িতে কেও নাই,আমি চাইলে এখন পানিতে নাইমা যাইতে পারি।আমি নামমু না।এইখানে বইসা থাকমু।সতী অগ্নি পরীক্ষা দিছিলো নাকি।আপনে দিবেন জল পরীক্ষা। ”

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ। ঠান্ডায় পারভীন কাঁপছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে পারভীন বললো ,”আর কতো যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে খোদা?আমি জানি না কোন পাপ করছি আমি।কোন অপরাধের শাস্তি দিতেছো আমাকে এভাবে?আমাকে একেবারে এই দুনিয়া থেকে নিয়ে যাও আল্লাহ। এভাবে তিলে তিলে আমাকে শেষ করে দিও না।এতো যন্ত্রণা একটা মানুষ কিভাবে সহ্য করে আল্লাহ? আমার আর কতো ধৈর্য্য পরীক্ষা নিবা?”

হ্যালো 2441139 পর্ব ২০

সময় যেনো কাটছে না।পারভীন চিৎকার করে আম্মা আম্মা বলে জমিরনকে ডাকে।কাদের বসে বসে হাসে।শাশুড়িকে সে নিজেদের বাড়িতে দেখে এসেছে। দুই তিন ঘন্টায় সে বাড়িমুখো হবে না কাদের জানে।
আশেপাশের কোথাও কারো কোনো সাড়া পাওয়া গেলো না।পারভীন অন্য কোন পাশ দিয়ে উঠে যেতে ও পারছে না।ঘরে ঢুকতে গেলে কাদের সামনে এসে দাঁড়ায় যদি তখন?
তাছাড়া ভেজা কাপড়ে শরীরের সব অঙ্গ স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
কাদেরের পশুর দৃষ্টি পারভীনকে শেষ করে ফেলবে।
পানিতে দাঁড়িয়ে পারভীন দোয়া ইউনুস পড়তে লাগলো।

হ্যালো 2441139 পর্ব ২২