মি মাফিয়া পর্ব ৪

মি মাফিয়া পর্ব ৪
সুমাইয়া সাবিহা

বাবা,বাবা বলে চিৎকার করতে করতে আফরান নিচে নামছে সকাল প্রায় ৮টা কি সাড়ে ৮ টা বাজবে ,,তার চিৎকার শুনে সব সার্ভেন্ট টা এক সাথে জড় হলো ,,
জাফর সাহেব:কি হয়েছে এভাবে পাগলের মতো চেঁচামেচি করছিস কেন ?
আফরান রাগী কন্ঠে বলল:আমার রুমে কে গিয়েছিল ?
জাফর:তোর রুমে কে যাবে ? এই বাড়ির কোনো সার্ভেন্ট তো তর কথা ছাড়া তোর রুমে যায় না ।
আফরান দাঁতে দাঁত চেপে চারদিকে একবার তাকালো মনে হলো কাউকে খুঁজছে,তারপর কোনো কথা না বলে সোজা উপরে চলে গেলো ,,গিয়ে সোজা আরিয়ার রুমে গিয়ে দরজা ধাক্কা মেরে খুলে ভেতরে গেলো , আরিয়া তখনও ঘুমে বিভোর ছিল বিধায় এতোক্ষণ এর চেঁচামেচি শুনতে পায়নি ,,
জাফর সাহেব পেছন থেকে ডাকতে ডাকতে উপর পর্যন্ত আসলো ,, আফরান কোনো দিক বিবেচনা না করে আরিয়ার দু বাহু ধরে নিচে দাড় করিয়ে দু গালে থাপ্পড় মারতে লাগলো,

সব টা যেনো আরিয়ার মাথার উপর দিয়ে গেলো,কি হলো কিছুই বুজতে পারলো না ,বেচারী,
জাফর সাহেব আরিয়া কে নিজের কাছে আগলে নিয়ে বললেন,,পাগল হয়ে গেছিস আফরান ,,কি করছিস কি এসব,, হ্যাঁ!মেয়েটাকে এভাবে ঘুম থেকে তুলে মারলি কেন? অসভ্যতামীর সিমা পেরিয়ে যাচ্ছিস দেখছি দিন কে দিন ,,
আফরান জাফরের কথা যেনো শুনলো না উল্টো আরিয়া কে জাফর সাহেবের থেকে টেনে নিয়ে আরো একটা থাপ্পড় বসালো গালে ,,টাল সামলাতে না পেরে আরিয়া নিচে পরে যায় ,,ও তখনো বুঝে উঠতে পারছিল না হলো টা কি ,,আরিয়া ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো,, কিছু একটা বলতে চাইলো তার আগেই আফরান তার দিকে ঝুঁকে বললো,,আমার রুমে কেন গিয়েছিলিস হ্যাঁ? চুরি করতে গ্রাম থেকে এখানে এসেছিস ? বল কেন গিয়েছিলিস ,, কি কি আনলি আমার রুম থেকে ?বলে ফেল,,নাহলে কি হবে তোর কোনো আইডিয়া আছে?
জাফর সাহেব: হচ্ছে টা কি আফরান, মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছিস বলে দিচ্ছি,,ও কি করেছে হ্যাঁ এভাবে মারছিস কেন?
আফরান:তোমার আদরের মেয়েকে জিজ্ঞেস করো কি করেছে,,চুরি করতে এসেছে এই বাড়িতে,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

জাফর:কি চুরি করেছে ও
আরিয়া ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলতে লাগল: চাচাজান আমি কিছু চুরি করিনি বিশ্বাস করো ,,আমি কেন চুরি করবো,,আর কি চুরি করবো যে , আমার উনার জিনিস নিতে হবে? বলো চাচা,,
আফরান:নেকামো করার জায়গা পাস না ?
আরিয়া:ভাইয়া বিশ্বাস করো আমি কিছু চুরি..কথা শেষ করার আগেই আফরান আবার থাপ্পড় বসালো আরিয়ার দুধ সাদা গালটা টকটকে লাল হয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গে,বললো,,কে তোর ভাইয়া? তোর কোন মাসতুতো ভাই লাগি আমি?তোর ঐ মুখে ভাইয়া ডাক টা ঘৃনা হয় আমার জানিস।
আরিয়া ফুঁপিয়ে কেঁদেছি চলেছে।
আফরান:বলতে পারবি যে , তুই কাল আমার রুমে যাসনি?বল স্বীকার করতে পারবি? আর চোর কি কখনো স্বীকার করে? আমি অকারনেই জিজ্ঞেস করলাম ছিহ,,,
আরিয়া:আ…আমি কাল গিয়েছিলাম আপনার রুমে কিন্তু আপনি তখন…
কথা শেষ করার আগেই আফরান বসা জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে জাফর সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললো দেখলে বাবা এবার কি বলবে তুমি? আর কিছু বলার আছে থাকলে বলো শুনি,,

জাফর সাহেব কি বলবেন বুজতে পারলেন না ,,
আফরান আর কিছু না বলে সেখান থেকে বলে গেলো ।
জাফর সাহেব আরিয়া কে তুলে চোখের জল মুছে দিয়ে মাথায় আদরের পরশ একে বললেন ,,বেশি ব্যাথা পেয়েছিস মা? আফরান এর রুমে কেনো গিয়েছিলিস,,আরিয়া ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বললো ,, চাচাজান আমি সত্যি বলছি আমি চুরি করিনি ,,
জাফর সাহেব:আমি জানি মা ,,তুই কেনো চুরি করবি নিজের ঘরে কি কেউ চুরি করে নাকি,,আর শুন তোর যা লাগবে আমাকে বলিস,, এখন যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আস,আর আজকে স্কুল যাওয়া লাগবেনা ,,আরিয়া কান্না থামিয়ে বললো কেন চাচা?
জাফর:আজকে তোকে মার্কেট নিয়ে যামু ,,যা যা লাগবে সব নিয়ে আসিস,,এখানে তো তোর সব কিছু গুছানো নেই তাইনা,,
আরিয়া মাথা নেড়ে শায় দিল,,
জাফর সাহেব:আর শুন আজকে আমার এক বন্ধু ফ্যামিলি সহ এখানে আসবে ,,আর দুই এক দিন থাকবে হ্যাঁ সুন্দর ভাবে সেজে গুজে থাকবি ,,আর বেয়াদব টার রুমে আর কখনো যাবি না ওকে ,,আমি এখন অফিসে যাচ্ছি ২/৩ ঘন্টা পরে কাজ শেষে তোকে নিয়ে মার্কেট বের হবো রেডি হয়ে থাকিস হ্যাঁ,,,আরিয়া চোখ মুছতে মুছতে বললো,ঠিক আছে ,,

🦋🦋আমি আজ একটু বেশিই খুশি কারন আজ নাকি চাচার ছোট ছেলে আসবে ,,,বয়স প্রায় ২০/২১ হবে ,তিনি এই বাড়িতে থাকেন না কারন এই বাড়িতে নাকি তার কাছে দম বন্ধ হয়ে আসে,,ফাঁকা বাড়ি অবশ্য এমন লাগার ই কথা কারন আমি আছি ৩/৪ দিন হলো তার মধ্যেই আমার কেমন কেমন লাগছে একা একা আর উনি তো ছেলে মানুষ থাকবে কি করে তার জন্য তার বাবার বন্ধুর বাড়িতে সে থাকে অবশ্য তার বাবার বন্ধুর ছেলেও নাকি তার ফ্রেন্ড তাছাড়া তারা নাকি আয়শ ভাইয়া কে নিজের ছেলের মতোই মানুষ করেছেন,,
আমি আসছি বিধায় চাচাজান ঐ বাড়ির সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে । যদি তাদের ফ্যামিলি তে কোনো মেয়ে থাকে আমার জন্য ভালো হবে একটা ফ্রেন্ড তো অবশ্য হবে।কথা বলার জন্য হলেও আমার একজন ফ্রেন্ড লাগবে,,,এখন বুজতেছি চাচা কেনো আমাকে এখানে এনেছেন,,উনিও তো এতো গুলো বছর একাই ছিলেন।

-আমি চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে, একটা সাদা কালারের টপস পরেছি,হালকা মেকআপ করেছি ,,ঠুঠে একটা পিংক কালারের লিপস্টিক দিয়েছি তাও হালকা ,, সত্যি বলতে মেহমান আসবে বিধায় আমি সাজিনি ,আজ চাচার সাথে মার্কেট করেছি তো সব কিছু কিনেছি তাই একটু ইচ্ছে হলো আর কি,হাতে হালকা গোলাপী রেশমী চুরি পরেছি ,, আমার অবশ্য একটু পরিপাটি থাকতে পছন্দ,, আচ্ছা আজ তো সবাই থাকবে বাসায় তাহলে আফরান ভাইয়া ও কি থাকবে ? অবশ্য না থাকলে আমার জন্য ভালো হবে যদি থাকে তাহলে আমাকে দেখলেই তো .. ….থাক এতো কিছু এখন ভাবতে হবেনা আমি ঐ লোকটার সামনে কখনো যাবো না তাহলেই তো হবে ,,,,,

নিচে সবাই বসে আছে সার্ভেন্ট রা তাদের মেহমান দারিতা করছে ,,আমাকে চাচাজান নিচে ডাকছে ,,
আমি: হ্যাঁ চাচা?
জাফর সাহেব:এই হলো আমার মেয়ে ,,
বসে থাকা মহিলা টি বললো ,মাশা আল্লাহ্ কতো সৌন্দর্য দিয়েছে আল্লাহ তোমায় ,,এদিকে আসো ,,
আমিও লক্ষী মেয়ের মতো এগিয়ে গেলাম ,
তিনি বললেন বসো এখানে ,
আমি বাধ্য মেয়ের মতো পাশের চেয়ার টায় বসলাম,,
তিনি বললেন,আমি তোমার আরেক মা মনে করো,,আয়শ এর আরেক মা হলে তো তোমার ও মা হবো তাইনা ,,
আমি ঠোঁটে হাসি রেখে বললাম : হুম।
তিনিও ক্ষুদ্র হাসলেন,
এমন সময় একটা মেয়ে আমার সামনে এসে বললো তার মানে আম্মু এই কিউট আপু টা আমার বোন হবে তাইতো ,,
আমি হাসলাম,,
মহিলা টি শায় দিলেন,,

মেয়েটি আমার দুহাত ধরে বললো , আচ্ছা আম্মু এই আপু টাকে আমার ভাবি বানাবে?
মহিলা টি বোধ হয় তার কথায় নাখোশ হলেন , বললেন,,তুমি কখন কি বলতে হয় এখনো শেখোনি? ওর কি এখনো বিয়ের সময় হয়েছে ,, বাচ্চা একটা মেয়ে তোমার মতোই তো,,
মেয়েটি তার মায়ের কথায় থতমত খেয়ে বললো তাইতো ,,আমি তো খেয়াল করিনি ,, তারপর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,আমার নাম সামিরা ,,তোমার নাম কি ?
আমি:আরিয়া
সামিরা মনে হয় নাম টা শুনে বেশ চমকালো,,বললো ,ও তার মানে তুমিই আয়শ ভাইয়ার চাচাতো বোন তাইনা ?
আমি হেসে বললাম:হুম ।
চাচাজান আমাদের উদ্দেশ্য বললেন,,মামনি তোমরা কথা বললে অন্য কোথাও গিয়ে বলো এখানে বড় রা কথা বলছে ,,
আমিও শায় দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম এমন হয় আয়শ ভাইয়া আমাকে বললো তোর সাথে আমার কথা আছে শুনে যাস,,
আমি বললাম:ঠিক আছে ।বলে একটু হাসলাম ,,
লক্ষ্য করলাম আয়শ ভাইয়ার পাশের ছেলেটি কি যেনো আমার দিকে তাকিয়ে হেসে আয়শ ভাইয়ার কাছে ফিসফিস করছে।

আমি ওদের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম হঠাৎ করে আমার হাতে কারো শক্ত স্পর্শে আমি তার দিকে তাকানোর আগেই আমাকে নিয়ে উপরের দিকে যাওয়া ধরল ,,এই শক্ত হাতের ছোঁয়া আমার পরিচিত ,,আমি তার দিকে তাকালাম ,,যেটার ভয় ছিল সেটাই হলো,,আজ তো আমি কিছু করিনি তাহলে এভাবে রেগে আছে কেনো,,আমাকে এভাবে টেনে নিয়ে যাওয়ার মানে কি আজব তো,,
জাফর চাচা সহ এখানে উপস্থিত সবাই তাকিয়ে রইলো আমাদের দিকে,,
আমি প্রশ্ন করলাম:এভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়? ছাড়ুন আমার হাত ,,আমার লাগছে ,এতো শক্ত হাত কেনো আপনার গরুর হাড্ডির মতো ঠিক,,আজব তো ছাড়ছেন না কেনো ,,আমি তো কিছু চুরি করিনি । আপনার রুমেও যাইনি তাহলে? আমার কথা যেনো তার কানে গেলো না ,,আমি চিৎকার করে চাচা কে ডাকতে লাগলাম,,চাচা আমি আজ উনার রুমে যাইনি ,,আমাকে শুধু শুধু মারবে ,,চাচা কিছু বলো ,,বলে আমি কাঁদতে লাগলাম ভয়ে,,

জাফর সাহেব বোধহয় এতক্ষণ বুজতে পারছিলেন না কি হচ্ছে স্মিত চোখে দেখছিলেন , স্তম্ভিত ফিরতে চাচা চেয়ার ছেড়ে দৌড়ে আসতে লাগলেন আমাদের পেছনে,,এই আফরান করছিস কি ,,মেয়ে টাকে ছেড়ে দে শুধু শুধু ওর পেছনে কেনো লেগে আছিস,,ও কি ক্ষতি করেছে তোর ,,দিন দিন বিগড়ে যাচ্ছিস কিন্তু,,এতো বাঁড়া ভালো নয় ।
চাচার কথা গুলো মনে হয় তিনি শুনতে পেলেন না,,কপালের রগ গুলো ভেসে আছে, চোখ গুলো লাল হয়ে আছে ,, মানুষ অতিমাত্রায় রাগ করলে মনে হয় এমন টা হয় । আমি কাঁদতে কাঁদতে তার থেকে হাত ছোটাতে চাইলাম ,, কিন্তু উনার এই বলিষ্ঠ শক্তির কাছে আমার শক্তি কিছুই মনে হলোনা ,,

উনি আমাকে তার রুমে নিয়ে দরজা আটকে দিলেন,,বাহির থেকে চাচা আয়শ ভাইয়া দরজা ধাক্কাচ্ছে কিন্তু উনি খুললেন না উল্টো আমাকে খাটের উপর ছুড়ে ফেলে দাঁতে দাঁত চেপে আমার দিকে তেরে আসলেন,, হঠাৎ করেই আমার গায়ের উরনা টা খুলে ছিটকে ফেলে দিলেন আমি ভয়ে ঢোক গিললাম,,ভাইয়া কি করছেন,,প্লীজ আমাকে মারবেন না ,আমি কিছু করিনি তো, বলে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম।
উনার লাল চোক্ষুদয় থেকে অতি রাগের কারনে মনে হয় দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো ,,আমি ভয়ে গুটি মেরে একটু করে পিছিয়ে যাচ্ছি,ভাইয়া খাটের উপর এসে আমার প্রায় উপরে এসে অল্প জায়গা স্থীর রেখে আমার মুখের কাছাকাছি এসে বলতে লাগলো,,ছেলেদের কে শরীর দেখাতে ভিষন ভালো লাগে তাইনা ? এখন আসছি তো কাছে দেখা আমায় ,,কি হলো ভয় পাচ্ছিস কেন দেখা ,
বলে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল ,,আমি ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে বললাম,,ভাইয়া প্লীজ আমাকে মেরো না ,,আমি সত্যি কিছু করিনি ,, প্লীজ আমাকে মেরো না ,,দোহাই লাগে তোমার ,, হঠাৎ ঠোঁটে কারো শক্ত স্পর্শে কেঁপে উঠে চোখ খুলে তাকালাম ,ভাইয়া আমার ঠোটের লিপস্টিক টা লেপটিয়ে দিচ্ছে,,
আমি গোঙালাম ,, এ্যাঁ আমার লিপস্টিক,,, এ্যাঁ,,

তারপর আমার কপালের টিপ টাও ফেলে দিল ,পরে আমার চোখের কাজল টাও লেপ্টে দিলো ,,সাথে সাথে চোখজোড়া লাল হয়ে গেলো ব্যাথায় এতোটা জোড়ে স্পর্শ করছেন ।
গলার চেইন টা এক টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেললো ,আমি হঠাৎ ব্যাথায় “আহ” বলে শব্দ করলাম ,, ব্যাথার জায়গায় হাত দিয়ে দেখলাম গলার এক সাইডে কেটে হালকা রক্ত জড়িত হয়েছে মনে হয় ,,
পরপর আমার সব সাজ এবরো থেবরো করে দিলো ,,,আমি কষ্টে দুঃখে আরো জোড়ে জোড়ে কাঁদতে লাগলাম,,এবার ভাইয়া আমার মাথার চুল গুলো মুঠো করে শক্ত করে ধরে বললো ,,এই বাড়িতে থাকতে হলে আমি যেভাবে বলবো ঐভাবেই থাকতে হবে তা নাহলে আমার চেয়ে খারাপ কিন্তু কেউ হবেনা,,

মি মাফিয়া পর্ব ৩

বলে আমার ডান হাতের মুঠোর চুরি গুলো চাপ দিয়ে ভাঙ্গলো আমি হাতের ব্যাথায় সহ্যের সীমার বাইরে গিয়ে চোখ বন্ধ করে বাম হাতে ভাইয়ার শার্টের বোতাম দুটো খোলা ছিল এখানেই খুব জোড়ে খামচে ধরলাম কিন্তু কোনো শব্দ করে আওয়াজ করলাম না ,,আমার মনে হলো আমি এখনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমাবো,,ভাইয়া আমার হাত ছেড়ে দিলো কখন তা বুজে উঠতে পারলাম না ,, শুধু মিনিট কয়েক পর শান্ত হয়ে চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলাম ভাইয়ার বুকে ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে ।তারপর………

মি মাফিয়া পর্ব ৫