টেরিবেল পর্ব ৩
অনুপ্রভা মেহেরিন
” আন্দ্রিয়া মেরি তুমি নাকি মার্ডার করেছো?আমাকে ভয় দেখাও অথচ একটা কিউট সাপ দেখে জ্ঞান হারালে!দিস ইজ নট ফেয়ার।”
এডউইন তাচ্ছিল্য হেসে কথাটি বলল।আন্দ্রিয়া তার কোলেই আছে মেয়েটাকে যত্ন সহকারে শুইয়ে দিল বিছানায়।আন্দ্রিয়ার চোখে পানির ঝাপটা দিলে নিশ্চিয়ই জেগে উঠবে কিন্তু এডউইন এই মুহূর্তে চায় না আন্দ্রিয়া জেগে উঠুক।
সে সারারাত জেগেছে এখন সকাল হলো অন্তত দুপুর পর্যন্ত এডউইনের ঘুমানোর সময় আন্দ্রিয়া যদি জেগে থাকে তবে কোথা থেকে কি করবে কে জানে।তার থেকে বরং মেয়েটা ঘুমিয়ে থাকুক।আন্দ্রিয়ার ফোলা ফোলা গালে চুমু খেল এডউইন।আন্দ্রিয়া চেহারায় বাঙালি ছাপ- মেয়েটা মহা সুন্দরী না হলেও তাকে একবার দেখলে যে কারো দ্বিতীয়বার দেখার লোভ জাগবে।
লম্বায় হয়তো পাঁচ ফুট ছুঁয়েছে, ফোলা ফোলা গাল দীঘল লম্বা চুল।তার ছোট চোখের চাহনি সব মিলিয়ে অপরূপা।
এডউইনের ঘাড় চেপে বসে আছে রেড কোরাল কুকরি সাপটি।আন্দ্রিয়া নিশ্চিয়ই জেগে উঠে সাপটিকে দেখলে পালটা জ্ঞান হারাবে।এডউইন চলল তার কক্ষে।আলিশান কক্ষ জুড়ে একমাত্র এডউইনের রাজত্ব।সে বসল তার সিংহাসন সমতুল্য আসনে দুপা ছড়িয়ে কোলে আনল রেড কোরাল কুকরিকে।পরম যত্নে সাপটির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
” কুকুরি তুমি ভীষণ দুষ্টু।তুমি জানও না আজ তুমি কি করেছো।যাই হোক এখন যেতে পারো আমি ঘুমাব।”
এডউইন তুড়ি বাজাল সঙ্গে সঙ্গে সাপটি চলে গেল।এরা এডউইনকে এতটাই মান্য করে যা দেখলে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেই না।
আন্দ্রিয়ার ঘুম ভাঙল বেশ কয়েক ঘন্টা পর।মুখ জুড়ে তার এখনো আতঙ্ক কাটেনি সব কেমন অস্বস্তিতে ভরে গেছে।এমন লাল রঙের অদ্ভুত সাপ এর আগে সে কখনো দেখেনি সবচেয়ে বড় কথা এডউইনের বাড়িতে সাপ কি করে?এই লোকটার কি তার ছেড়া?বাড়িটা কি চিড়িয়াখানা বানিয়ে রেখেছে? হ্যামস্টার,সাপ,কুকুর কিচ্ছুর অভাব নেই।
আন্দ্রিয়া ক্লান্ত শরীর নিয়ে উঠে দাঁড়াল দরজার কাছে যেতেই বুঝতে পারল বাইরে থেকে বন্ধ।বেশ কয়েকবার জোরে জোরে ডাকল এডউইনকে কিন্তু বান্দার হদিস নেই।কক্ষে থাকা ঝুলন্ত বারান্দায় যেতেও আন্দ্রিয়ার ভীষণ ভয় করছে কালকের লোকগুলো নিশ্চয়ই এই বাড়ির উপর নজর রাখছে আর তাকে দেখে ফেললেই যা হবার হয়েই যাবে।আন্দ্রিয়া মন খারাপ করে বসল বিছানায়,টেবিল থেকে পানি গ্লাসটা তুলে পানি পান করতে বুঝতে পারল তার ঠোঁট’টা ভীষণ জ্বালা করছে।হঠাৎ ঠোঁট কেন জ্বলছে?সাপটা কি তাকে কামড়ে দিয়েছে?নাকি ঘুমন্ত অবস্থায় হ্যামস্টার কামড়ে দিয়েছে?যারপরনাই ভাবতে ভাবতে আন্দ্রিয়া ডেকে উঠল তার রাজ্যের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ফেইরি ‘শালোমী’কে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” শালোমী তুমি কোথায়?”
হাঠৎ আগমন ঘটল নজর কাড়া সুন্দরী ফেইরি শালোমীর।
” কুইন আপনি ডেকেছেন আর আমি না এসে থাকতে পারি?”
” কোথায় থাকো তুমি?”
” আমি সর্বদা আপনার সাথেই থাকি।কুইন আপনি কেমন আছেন?”
” জানি না।দেখতেই তো পারছো কি হচ্ছে আমার সাথে।”
” হুম।আপনার অবস্থা দেখে আমি আমার বাকি ফেইরিদের সাথে আলোচনা করেছি তারা ভীষণ দুঃখ প্রকাশ করেছে।আপনি ঘাবড়ে যাবেন না কুইন, নিজেকে দৃঢ় রাখুন।”
শালোমী বেশ ভরসা দিয়ে বলল আন্দ্রিয়াকে।
আমাদের সবারি নিজস্ব একটা কাল্পনিক জগৎ আছে।আমাদের জগৎ’এ আমরাই রানী,শেহজাদী আরো কত কি।বাস্তবে যা পাইনা কল্পনার শক্তিতে তা আমাদের।কেউ কেউ বা বিশ্বস্ত মানুষের অভাবে নিজেই নিজের সাথে কথা বলে,নিজেই নিজের সাথে হাসে,কাঁদে,দুঃখ পায়।তেমনি আন্দ্রিয়া ছোট থেকেই নিজস্ব জগৎ গড়ে তুলছে সেই জগৎ-এর একটি সুন্দর প্রসাদের রানী সে আর তার প্রহরীরা হলো একদল ফেইরি।
সেই ফেইরিদের মাঝে আন্দ্রিয়ার সবচেয়ে পছন্দের এবং বিশ্বস্ত হলো শালোমী।আন্দ্রিয়ার প্রাসাদে সে কুইন হলেও তার কোন কিং নেই।সে অপেক্ষায় একদিন তন্দ্রা কেটে গিয়ে প্রভাতের আলোয় উঠে দেখবে ঘোড়ায় চড়ে তার কিং হাজির।
আন্দ্রিয়া আনমনেই বলল,
” শালোমী তোমার এডউইনকে কেমন লাগে?”
” এডউইন উইলসন?ভীষণ অদ্ভুত লোক।তার প্যালেস ঘুরে দেখেছেন?”
” না না সেই সুযোগ হয়নি।”
” তবে যাই বলুন,এডউইন উইলসনকে কিং এর চেয়ে কম লাগে না।তার চলন বলন আমাদের ফেইরিদের বেশ প্রলুব্ধ করেছে।”
আন্দ্রিয়া হঠাৎ রেগে গেল শালোমী সেই রাগান্বিত চেহারা বুঝতে পেরে থেমে গেল।
” মার্জনা করবেন কুইন আপনি কি রেগে যাচ্ছেন?”
” এখান থেকে যাও শালোমী।”
” যাব তবে তার আগে বলুন আপনার ঠোঁটে কি হয়েছে?লাল কেন?”
আন্দ্রিয়া ঠোঁটে হাত রাখল ভীষণ চিন্তিত স্বরে শুধায়,
” আমি জানি না।”
” কিং কি আপনাকে…মানে..”
” শালোমী!”
শালোমী খিলখিলিয়ে হেসে ফেলল।আন্দ্রিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।নিজের লজ্জা ভাবটা প্রকাশ না করে পালটা রাগ দেখিয়ে বলে,
“ইচ্ছে করছে তোমার ডানা দুটো টেনে ছি*ড়ে ফেলি।”
শালোমী জানে আন্দ্রিয়া মোটেও রেগে নেই বরং রাগ দেখানোর ভাব করছে।আন্দ্রিয়ার লজ্জা মাখা চেহারায় শালোমী লজ্জা দ্বিগুন বাড়িয়ে বলে,
” কিং আর আমাদের কুইন সবচেয়ে সেরা জুটি।আমি গেলাম কুইন আন্দ্রিয়া মেরি।”
চোখের পলকে শালোমী গায়েব হয়ে গেল।অপরদিকে আন্দ্রিয়া লজ্জায় দম খিঁচে বসে আছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মার্ভেলাস’ (কাল্পনিক)।অনলাইন কিংবা অফলাইন দুই মাধ্যমেই এই প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনাম অর্জন করেছে।মূলত এটি একটি এমন প্রতিষ্ঠান যা একাডেমিক শিক্ষার বাইরে ছেলে মেয়েদের জন্য অনন্যা শিক্ষনীয় স্থান।যেমন পেইন্টিং,গান,ভায়োলিন,এবাকাস সহ ভাস্কর্য কিভাবে নির্মাণ করা যায় সেই সম্পর্কে বিভিন্ন কোর্স রয়েছে।
প্রত্যেকটাকে আলাদা আলাদা সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে এবং এসব সেক্টররে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মধ্যমে আলাদা ক্লাস নিয়ে শেখানো হয়।সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার এই ক্লাসগুলো বাংলাদেশী কোন শিক্ষকরা নেন না যারা এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান তারাই ক্লাস নেন।
যারা ক্লাস করান এর মাঝে কয়েকজন আমেরিকান,লন্ডন,রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত।অবশ্য এদের সাথে বাংলাদেশী বেশকিছু তরুন-তরুণি কাজ করছে।মার্ভেলাস একটি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।এই প্রতিষ্ঠানের চারজন মালিক হলো, ‘ব্রিক’ তিনি গানের শিক্ষক।’ডেরিক’ ভায়োলিনের শিক্ষক।’এলফ্রেড’ ভাস্কর্য নির্মানের শিক্ষক এবং ‘মার্টিন’ যিনি এবাকাস শেখান।
আজ রৌদ্র ঝলমলে একটি দিন।সকল কাজ শেষ করে ব্রিক,মার্টিন,ডেরিক,এলফ্রেড ক্যান্টিনে বসল।সবার মুখেই চিন্তার ছাপ ইতোমধ্যে একটা খবর বেশ চারিদিকে চর্চা হচ্ছে আর সেটা হলো তাদের আগের ব্যাচে ভাস্কর্যের ক্লাসে থাকা মেধাবী মেয়ে তুন্নি চারদিন যাবৎ নিখোঁজ।ভাস্কর্যের কোর্স শেষ হয়েছিল প্রায় দেড় মাস আগেই হঠাৎ এমন একটা সংবাদ শুনে সবার মাঝেই খারাপ লাগা সৃষ্টি হলো।কেউ বলছে মেয়েটা পালিয়ে গেছে কেউ বলছে হয়তো কোন দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে।পুলিশ এখনো কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।এর মাঝে ডেরিক আরেকটি দুঃসংবাদ জানাল।
ডেরিকের বর্তমান ভায়োলিন অনলাইন কোর্সের সবচেয়ে ছটফটে মেয়ে আন্দ্রিয়া নিখোঁজ।আজ সকালেই খবরের কাগজে আন্দ্রিয়ার নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।মেয়েটার বাড়ি চট্টগ্রাম শহরে হঠাৎ এই মেয়েটা কোথায় উধাও হলো কেউ জানে না।বাদ বাকি টিচাররা আন্দ্রিয়া মেয়েটাকে বেশ ভালো ভাবেই চিনে কেননা আন্দ্রিয়ার চাচা যখন তাকে অনলাইন ক্লাসে ভর্তি করান প্রত্যেকটা টিচারের সাথেই আলাদা আলাদা যোগাযোগ রেখেছেন এবং বারবার জানিয়েছেন আন্দ্রিয়া যেন ক্লাসে ফাঁকি দিতে না পারে।
হাতের পত্রিকাটা টেবিলে রেখে আফসোস সুরে মার্টিন বলে,
” এসব কি হচ্ছে!আন্দ্রিয়া মেয়েটা ভীষণ ভালো এবাকাস ক্লাসে সে ভীষণ মনোযোগী থাকে।”
ডেরিক তার কথায় সহমত জানিয়ে বলে,
” ঠিক বলেছো।আমাদের উচিত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা মেয়েটা যেন সুস্থ শরীরে বাড়ি ফেরে।”
সেই সকালের রুম বন্দি আন্দ্রিয়া
বিকাল হতে চললো অথচ এডউইনের কোন খবর নেই।বাধ্য হয়ে বেশ কয়েকবার করাঘাত করল সে কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হলো না। উপায়ন্তর না পেয়ে আন্দ্রিয়া নিজের ব্যাগে থাকা চকলেট খেতে লাগল কিন্তু যখনি ব্যাগ চেক করে দেখতে পেল তার পাসপোর্ট নেই তখনি যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।সারা ঘর জুড়ে পাসপোর্ট তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া গেল না আন্দ্রিয়া নিজের ধৈর্য শক্তির কাছে হেরে গিয়ে কেঁদেই ফেলল।শুধু একটু জেদ আর দুঃসাহসিকতা আজ তাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছে ভাবতেই গা শিউরে উঠে।আন্দ্রিয়ার সবটা এলোমেলো লাগছে।
হঠাৎ দরজা খুলে গেল এডউইন এসেছে ছেলেটার গায়ে সিলভার রঙের ঢিলেঢালা টি-শার্ট।আন্দ্রিয়া তখন হাত পা ছড়িয়ে ফ্লোরে বসে , ঘুম ঘুম চোখে আন্দ্রিয়ার এমন অবস্থা দেখে এডউইনের সংবিৎ ফিরল মাফিন আন্দ্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল অবাক দৃষ্টিতে।মাফিন লেজ নাচিয়ে এগিয়ে গেল আন্দ্রিয়ার কাছে।
” হোয়াট হ্যাপেন আন্দ্রিয়া?”
এডউইন প্রশ্ন করেই আন্দ্রিয়াকে কোলে তুলে নিল।তার এই কাণ্ডটা মাফিনের মোটেও পছন্দ হলো না।এডউইনের কোলে সবসময় সে থাকে তাহলে হঠাৎ তার প্রভু কেন এই মেয়েটাকে কোলে নিল?বাক-শক্তিহীন প্রাণিটা বোধহয় তার চাহনি দিয়ে এডউইনের উপর রাগ ঝারলো।এডউইন মাফিনের চাহনি দেখে কিঞ্চিৎ হেসে বলে,
” মাফিন ডোন্ট বি জেলাস,ওকে?”
আন্দ্রিয়া লজ্জায় পড়ল সজ্ঞানে এডউইনের কোলে উঠেনি।আচ্ছা এডউইনের কি লজ্জা নেই?
” আন্দ্রিয়া কি হয়েছে?”
” আমার পাসপোর্ট খুঁজে পাচ্ছি না।আপনি পেয়েছেন?আমার ব্যাগেই ছিল।”
” আমি কেন পাব?পেলে অবশ্যই দিয়ে দিতাম।”
আন্দ্রিয়া চুপ রইল।এডউইন এখনো তাকে কোলে নিয়ে বসে আছে।আশ্চর্য সে কি বাচ্চা মেয়ে?এডউইনের ঘুমন্ত দেহটা আবার জেগে উঠেছে ক্রমশ প্রবল নেশায় ঘোর হারিয়ে ফেলছে।এডউইনের চাহনি বুঝতে পারল আন্দ্রিয়া লজ্জায় বশ হয়ে কোন মতে সরল মনে বলল,
” এডউইন আ..আমার খিদে পেয়েছে।”
” আন্দ্রিয়া কি খাবে?”
” যা খাওয়াবেন।”
এডউইন কাল বিলম্ব করল না।আন্দ্রিয়ার মাথাটা চেপে ধরে শুইয়ে দিল বিছানায়।তার বিশাল দেহটায় মুহূর্তে ঢাকা পড়ল আন্দ্রিয়ার দেহ।মেয়েটার সরু দু’ঠোঁট নিজের আয়ত্তে নিয়ে এডউইন সুধা পানে ব্যস্ত।প্রথমে আন্দ্রিয়া হতবাক হলেও এডউইনের মতো সুপুরুষের সান্নিধ্য তার মনটাও অদ্ভুত ভাবে বশ হলো।এডউইনের শরীর থেকে আসা কস্তুরী’র সুগন্ধী আরো বেশি মাতাল করছে আন্দ্রিয়াকে।এডউইনের বিশাল দেহটা দুইহাতের সাহায্যে জড়িয়ে ধরতে চেয়েও পারল না তাই এডউইনের চুল খামছে ধরল।সময় যত যায় এডউইন ততই লাগামহীন হচ্ছে।প্রাপ্তবয়স্ক এডউইনের শক্তির সাথে কি আন্দ্রিয়া পারে?মোটেও না।
কিছুটা সময় পর হাঁপিয়ে উঠল আন্দ্রিয়া।তবুও তাকে ছাড়তে চাইল না এডউইন, মেয়েটার জোরাজোরিতে ছাড়তে বাধ্য হলো সে।আন্দ্রিয়া ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে এডউইন ঠোঁটে স্লাইড করে বলে,
” ফাস্ট টাইম কিসিং?”
” নাহ।দ্বিতীয় বার।তবে এত দীর্ঘ প্রথমবার।”
আন্দ্রিয়া হাঁপাতে হাঁপাতে কথাটি বলছিল মুহূর্তে রেগে গেল এডউইন।বিছানার সহিত চেপে ধরল আন্দ্রিয়ার দু’হাত।
” দ্বিতীয় বার মানে?কি হলো কথা বলছো না কেন?”
” ইয়ে মানে আমার প্রাক্তন যাস্ট একটু কিস করেছিল আর আপনি তো… ”
টেরিবেল পর্ব ২
আন্দ্রিয়া কথা শেষ করার আগেই এডউইন পুনরায় হামলে পড়ল তবে এবার আর আদর যত্ন নয় বরং তীব্র রাগে।আন্দ্রিয়া অনুভব করল তার কোমল দু’ঠোটে কামড়ের আঘাত এডউইন এতটা রাগ কেন দেখাচ্ছে!টনটনে ব্যথায় আন্দ্রিয়ার চোখে পানি চলে এলো তাতেও থামল না এডউইন হয়তো রক্তও বেরিয়ে গেছে।
আন্দ্রিয়া আর এডউইনের কাণ্ড মাফিন গোল গোল চোখে দেখছে।কি হচ্ছে এসব?ওরা এসব কি করছে?