মি মাফিয়া পর্ব ১৪

মি মাফিয়া পর্ব ১৪
সুমাইয়া সাবিহা

এদিকে হঠাৎ করে সামিরার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়,অবশ্য হঠাৎ বললে ভুল হবে ছেলেটা অনেক দিন ধরেই সামিরা কে কলেজে ফলো করতো।কিন্তু সামিরা অত গুরুত্ত দেয়নি বিধায় সোজা বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় ,ছেলের বিলাশ বহুল ঐশর্য দেখে আর ছেলের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জেনেই সামিরার বাবা আজমল সিকদার রাজি হয়েছেন এই বিয়ে তে। এদিকে সামিরার মা রাবেয়া বেগম অবশ্য এতো জলদি মেয়েকে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালেও লাভ হলো না ,

সেদিন বাসায় ফিরার পর চাচা আমার হাতে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করাতে বলেছিলাম দরজায় চিপায় হঠাৎ লেগেছে একটু ব্যাথা পেয়েছি,।আয়শ ভাইয়াও সেখানে ছিলো তবে আগ বাড়িয়ে আর প্রশ্ন করেনি সেটা নিয়ে ।
কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা ,আজ তিন হয় ভাইয়াকে দেখিনা সে দিন হোষ্টেল থেকে ভাইয়া আমাকে গাড়ীতে তুলে দিয়েছিল।এর পর আমি ভাইয়ার সামনে যাইনি পরে জানতে পেরেছি ভাইয়ার নাকি কোনো প্রয়োজনে দেশের বাহিরে গেছে।
এই মুহুর্তে আমরা সবাই সিকদার বাড়িতেই আছি ।প্রেমা ও আমাদের সাথেই আছে। শুনেছি আমার বাবা মা কেও আসতে বলেছিলেন কিন্তু বাবা নাকি ব্যাস্ত আছে।তাই আসতে পারবেনা চাচা বললো।
হঠাৎ ধ্যান ভাঙে কাঁধে কারো হাত রাখার স্পর্শ পেয়ে

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

__সেই কখন থেকে ডাকছি কি ভাবছিস হ্যা?
আমি ভাবনা ভেঙে তাকিয়ে দেখলাম প্রেমা বললাম ,
__কখন ডেকেছিস?
___আমার তো মনে হচ্ছে বছর কয়েক ধরে ডাকছি,যাই হোক নিচে চল সামিরা ডাকছে ।
___কিছু হয়েছে?
___চল না আগে । বলে এক প্রকার টানতে টানতেই নিয়ে গেলো আমায়।
বাড়ির বড় রা এদিক সেদিক ছুটে কাজ করছে ।আর দুদিন পরেই তো বিয়ে ।এতো বড় বাড়ি গুছিয়ে বিয়ের মতো ডেকোরেশন করা কি এক দিনেই সম্ভব নাকি ।
সামিরা একটু অভিযোগ করে বললো

___তোরা আমাকে একা ফেলে রেখে কোথায় ছিলিস হ্যা?
এখানে আমার কি কেউ পরিচিত আছে গল্প করার জন্য?
আরিয়া একটু ঠাট্টা করে বললো:
___আহারে বেচারী টা তা ভাইয়াকে কল দিয়ে কথা বলে একাকীত্ত কাটাতে পারেননা। আমরা কি আপনার পাশে সব সময় তাসবীহ গুনবো?
প্রেমা হেসে বললো:
__সেটাই তো,ভাইয়ার সাথে তো পরিচয় আছিস এই কল দিয়ে কথা বললেই পারিস।
আরিয়া:একটা জিনিস মানতেই হবে জানিস ,ভাইয়ার কিন্তু ভিষন সাহস ,কিভাবে তোর বাবা মাকে ডিরেক্ট বিয়ের কথা জানিয়ে দিলো।ইশ আমার জিবনেও যদি কেউ এমন আসতো ,আফসোস আর আফসোস😑
প্রেমা:একেবারে মনের কথাটাই বললি,কিন্তু তুই আর স্বপ্ন দেখে লাভ নেই তোর তো আয়শ ভাইয়ার সাথে এক্সামের পরেই বিয়ে।
আমি অবশ্য একটু আশা রাখতে পারি কেউ একজন এমন আসুক । উফস কি রোমান্টিক বলে খিলখিল করে হাসলো প্রেমা।

ছায়ার কথা টা আরিয়ার বুক টায় ছ্যাত করে উঠলো। আয়শ ভাইয়াকে সে বিয়ে করতে চায়না বিন্দুমাত্র না। সে কেনো আয়শ ভাইয়া কে বিয়ে করবে ।সে তো আফরান ভাইয়াকে….কথা ভাবতেই ঠোটের কোনে এক চিলতে হাসি জমে।লজ্জায় আড়শ্ঠ হয় ।
সামিয়া :কিরে প্রেমা ব্যাপার টা কি হলো ,আরু এভাবে লজ্জা পাচ্ছে কেন?
প্রেমা:সে তো পাবেই একটু আগে আয়শ ভাইয়ার কথা বললাম না। এই মেয়ে তো দিন দিন আয়শ ভাইয়ার প্রেমে পড়ছে দেখিস না। ঐ দিন স্কুলে গেলো দেখলিনা গলার লাভ বাইট নিয়ে ঘুরছে আজ কাল।অবশ্য আয়শ ভাইয়া একটু রোমান্টিক সেটা দেখেই বুঝা যায়।
প্রেমার কথায় আরিয়ার মুখ টা একটু মৌলিন হয়।
-তোমাদের আয়শ ভাইয়া রোমান্টিক সেটা কিভাবে জানো?
কথার আওয়াজ শুনে তিনজন পিছে ঘুরলো।
এদিক দিয়েই যাওয়ার সময় প্রেমার শেষের কথাটা শুনতে পেয়ে কথার রেশ টানলো আয়শ।
সামিয়া:ভাইয়া কখন আসলে?

আয়শ :এইতো একটু আগেই ,তা কি নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে ,কথার মাঝে যে আমি আছি সেটা কিন্তু শুনে ফেলেছি।
প্রেমা আয়শ কে দেখে এক দফা আবারো ক্রাশ খায়। চুল গুলো গুছানো ,ফর্সা গায়ে লাল মেরুন টিশার্ট পরে আছে ,কালো পেন্ট টাখনুর উপরে গুটানো।
প্রেমা তো হা হয়ে আছে ।
আরিয়া কথা কাটিয়ে বললো ,তোরা গল্প কর আমি আসছি ।বলে আয়শের পাশ কেটে চলে যাওয়ার মাঝেই আয়শ আরিয়ার বা হাত ধরে বলে,তোমার সাথে কথা আছে ,
আরিয়া আয়শের দিকে তাকিয়ে হাত ছুটানোর জন্য হাত মুচরিয়ে যাচ্ছে।
আয়শ :পারবেনা ছুটতে , শুধু শুধু এমন করো না,বলে আরিয়া কি নিয়ে চলে গেলো।
সামিরা প্রেমা মিটিমিটি হাসছিলো ওরা যাওয়ার পর পাহাড় সমান হাসি গুলো ছাড়লো।

আয়শ আরিয়া কে নিয়ে একটা খালি রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিলো।
আরিয়া:ভাইয়া প্লীজ হাত ছাড়ুন বলছি ,আমার ব্যাথা লাগছে।
আয়শ:মিথ্যে বলবিনা,আমার উপর এখনো রেগে আছিস তাইনা ।তাই এমন করছিস
আরিয়া দরজাটা খুলে দিন,মানুষ কি ভাববে বলুন তো?
আয়শ:কি ভাববে ?হবু হাসবেন্ড ওয়াইফ একটু আলাদা থাকতেই পারে তাই নয় কি?
আরিয়া :দেখুন আমার খারাপ লাগছে হাত ছাড়ুন ,আপনি তো কখনো এমন জোড় করেননি ,তাহলে? আজ এমন করছেন কেনো?
আয়শ: করিনি তো কি হয়েছে ,আজ থেকে করবো। তুই আমার কথা একটুও ভাবিস কি ?
এতোদিন হয়েছে এংগেজড হয়েছে ইচ্ছে করে একটু কথা বলেছিস কি? আমার কষ্ট হয় না? তোকে আমি ভালোবাসি এটাই কি আমার ভূল? বল আরিয়া।
আরিয়া:আমি জানিনা কিন্তু আমি কাউকে ভালোবাসিনা।

আয়শ আরিয়ার হাত ছেড়ে বাহু শক্ত করে ধরে বললো,কেন? কেনো বাসিস না? আমি কি তোকে কোনো কিছুতে কিছু বলি? তোকে তো আমি বকিও না তাহলে? এতোটা বছর নিশব্দে ভালোবেসে এসেছি ,আজ পর্যন্ত তোকে ছুয়ে দেখিনি ,আমার ভালোবাসা তোর চোখে লাগেনা?
আরিয়া:কি করছেন কি ? ছাড়ুন বলছি আমার ব্যাথা লাগছে খুব।
আয়শ এবার আরিয়া কে ছেড়ে দেয় ।
আরিয়া:আমাকে ছুবেন না বলে দিলাম ,আমার ভালো লাগেনা অন্য কেউ আমায় ছুলে ,,অন্য কারো স্পর্শ্ব আমার অশ্বস্তী হয় ।
আয়শ আরিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো অসহায়ের মতো।এতোটা ভালোবেসেও তার মন ছুতে পারলো না। সামান্য সাভাবিক ছোয়া টাকে এতো কিছু মনে করছে। আজ আয়শের ধৈর্যের বাধ ভেঙেছে।তাই তো চোখ দিয়ে পানি পরছে।
আরিয়া:আরে ভাইয়া এভাবে কাদছেন কেন।আমি তেমন কিছু বলিনি তো।কাদবেন না আপনি ।
আয়শ হঠাৎ করেই আরিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলে,প্লীজ আরিয়া আমাকে ফিরিয়ে দিস না আমি বড্ড ভালোবাসি তোকে।

আরিয়া কিছু বলার মতো আর সাহস পেলো না।ছেলে হয়ে চোখে জল সত্যি বেমানান।
হঠাৎ বাহিরে কিছুর আওয়াজে আরিয়া কে ছেড়ে দেয় আয়শ। দরজা খুলে বুঝার চেষ্টা করে কি হয়েছে ।কিন্তু সব কিছুই সাভাবিক। আরিয়া পেছন থেকে বলে উঠে ,উফ এই ফুলদানিটা কিভাবে পড়লো।
আরিয়ার কথায় আয়শ নিচের দিকে তাকায় ,এতো বড় একটা ফুলদানি বাতাশে তো পরে যাওয়ার কথা না কিভাবে পরলো। হয়তো কেউ যাচ্ছিলো ধাক্কা খেয়ে পরে গেছে কিন্তু এটাও কিভাবে হয়,যদি কেউ অনাচ্ছাকৃত ভাবে ফেলতো তাহলে নিশ্চয়ই এখানেই থাকতো এটা তোলার জন্য।
আয়শের সন্দিহান দৃষ্টা চারদিকে কাউকে দেখার চেষ্টা করলো।
আরিয়া আর এখানে দাড়িয়ে না থেকে বললো,ভাইয়া প্লীজ আমাকে সাইড দেন আমার এখানে ভালো লাগছে না।
আয়শ আর কথা না বাড়িয়ে সাইড দিয়ে দেয় ।

নাবিল:তা তোর প্রেম কেমন চলছে হবু বউয়ের সাথে?
আয়শ:আমার টা বাদ দে আগে বল কোনো মেয়ে পেলি কিনা নাকি সেই আগের পছন্দ নিয়েই পড়ে আছিস?
নাবিল:যেটা পছন্দ হয়েছে সেটা তো আমি চাই কিন্তু বাকীটা ভাগ্য
আয়শ:বাব্বাহ ,,তা আজকেও কি তার ছবি টা দেখতে পারিনা?
নাবিল:এতোটাই হট যে দেখলেই শক্ড খাবি সো আমি চাইনা আমার বন্ধুর এতো জলদি হার্টের সমস্যা হোক , বলে চোখ টিপ মারলো।
আয়শ:সে যাই বল তোর ঐ একটা চয়েজ দেখার বড্ড ইচ্ছা আমার জানিস,যে কিনা ক্রাশ খেয়ে বসে আছে আর ওদিকে মেয়ে টা জানেই না ,হাহা
নাবিল:মজা নিচ্ছিস নে। সময় হলে এমনিতেই হাতে চলে আসবে ।হঠাৎ করে কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে নাবিল বলে উঠলো,দেখে চলতে পারেন না আজব তো।
পেছন ফেরে প্রেমা বলে উঠলো ,বাড়ি টা যেহেতু আপনাদের আপনি ভালো জানেন তাইনা ।আমি না দেখতেই পারি সাভাবিক ।

নাবিল:বোনের ফ্রেন্ড বলে ছেড়ে দিলাম যাও এখান থেকে ।
প্রেমা:আমি কি বলেছি ছেড়ে দিন? আজব আগে শুনেছি সামিরার মুখে আপনি নাকি ঝগড়ায় ১০০ ,আজ দেখেও নিলাম মহিলাদের মতো উঠে পরে ঝগড়া করেন।
নাবিল: আজব তো ,আমি কিছু বলেছি নাকি তোমাকে।
আয়শ:আরে কি করছিস টা কি ।চল তো। প্রেমা তুমি যাও।
প্রেমা: আপনার বন্ধু কে একটু বুদ্ধি দিন আপনার মতো ভালো হওয়ার ,বলে হনহন করে চলে গেলো।
নাবিল :দেখলি কেমন ব্যাবহার করলো। এই জন্যই সামিরা কে প্রেমার সঙ্গ দিতে নিষেধ করতাম
আয়শ:মেহমানের সাথে কেউ এমন ব্যাবহার করে পাগল?
নাবিল:তুইতো দেখছি আমার নয় ওদের পক্ষেই আছিস।যাহ তো আমার সাথে কি করছিস । বলে নাবিল ও চলে গেলো।

আয়শ উপরে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিলো হঠাৎ সামিরার আওয়াজ পেয়ে থামলো।
-ভাইয়া একটু এদিকে আসো তো।
আয়শ সামিরার কাছে গিয়ে বললো,কিছু লাগবে?
সামিরা:প্রেমা আর আরিয়া কে দেখেছো কোথাও?
আয়শ:সেতো অনেক্ষন হয় দেখিনা ।কেনো আমাকে বল কিছু লাগবে?
সামিরা কাচুমাচু করতে করতে:হুম
আয়শ:কি বল
সামিরা পেছন ঘুরে দাড়িয়ে বললো,এটা..
আয়শ ঠিক বুজলো না।
বুজিয়ে বল ।
সামিরা:জামার চেইন টা একা পারছিনা।
আয়শ বুজলো। চেইন টার দিকে তাকিয়ে এটা লাগাতে গেলেই হয় সমস্যা ,আসলে এটা একটু টাইট হয়ে আছে ।আয়শ একটু জোড়ে লাগাতে যায় আর এটা ছিরে যায়। সামিরার স্লীম শরীর থেকে জামাটা সাথে সাথে কাধ ভেদ করে পরতে যায় আয়শ সেটা ধরে ।আয়শের হাত সামিরার ঘারে স্পর্শ্ব করে। অবশ্য আয়শের এতো খেয়াল নেই এসবে।

কিন্তু সামিরার ভিষন আনইজি হচ্ছে।
এতো বছর এই বাড়িতেই আয়শ ভাইয়া ছিলো কই এমন পরিস্থিতি তে কখনো পরেনি তাহলে আজ কেনো এমন হচ্ছে।
আয়শ:সরি তোর জামাটা নষ্ট করে ফেললাম আসলে এটার যিব টাই ভালো ছিলো না ।এক কাজ কর অন্য টা পরে নে ।
সামিরা মাথা নেড়ে শায় দেয় ।
আয়শ : নে এটা ধর
সামিরা জামা ধরার আগেই আয়শ ছেড়ে দেয় খেয়াল না করে ।
এখানেই হয়েছে বিপত্তি টা। জামাটা সাথে সাথে সামিরার বুক বরাবর পরে যায় । আয়শ না বুঝে চট করে সামিরাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ।আয়শের ডান হাত সামিরার বুকের উপর। সত্যি বলতে আয়শ ভাবেনি কি থেকে কি হয়ে যাচ্ছে আয়শ শুধু সামিরার উন্মুক্ত পিঠ ঢাকতে চেয়েছিল।

আয়শ:সেট ,ঠিক মতো নিজিকেও সামলে রাখতে পারিস না হা? একটু ধমকিয়ে।
সামিরা কিছু বললো না ,এই মুহুর্তে সামিরা কি করবে সেটাও তার জানা নেই। ,বুক টা ধুকধুক করছে।
আয়শ হয়তো এতোক্ষনে বুজেছে ব্যাপার টা।
কোমল কন্ঠে বললো,কি করবো বল,ইচ্ছে করে ….
সামিরা আয়শের কথা শেষ করতে না দিয়ে বললো,প্লীজ হাত টা সরান।
আয়শ টুপ করে হাত টা সরিয়ে নেয়।
এতেও হয় আরেক বিপত্তি জামাটা এতোক্ষন যাই টানাপুড়ায় কাধের সাইড অবদি ছিলো এখন কোথায় আছে সেটা বুজাবার ক্ষমতা আমার নেই।
আয়শ চোখ দুটো অফ করে বিরক্তি নিয়ে বললো,ডেম এড ।
সামিরা চুপ একদম কিছু বলছে না।

মি মাফিয়া পর্ব ১৩

আয়শ পরিস্থিতি কি হতে পারে কেউ দেখলে সেটা আচ করতে পারছে কিন্তু কিছু করার নেই ,দ্রুত করে ডান হাতে সামিরার জামার সাইড খুজছে ,এতেও তার হাত কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে নিজেও জানেনা। সামিরা বারবার কেপে উঠছে।
সামিরা এই অনুভূতির ঢেউ সামলাতে না পেরে আচমকাই সামনের দিকে ফিরে আয়শের টিশার্টের গলার দুদিকে খামচে ধরে।
আয়শ এবার চোখ খুলে ধমকিয়ে বললো,পাগল হয়েছিস? নাকি মাথা টা একদম গেছে? বলেই কোনো কিছুর পরোয়া না করে সব টা বুঝেই সামিরার জামা ঠিক করে ওর হাতে তুলে দিয়ে দ্রুত পায়ে রুম ছাড়ে। তারপর…..

মি মাফিয়া পর্ব ১৫