আপনাতেই আমি পর্ব ৪২
ইশিকা ইসলাম ইশা
হসপিটালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রিদি।চারদিকে তখন সন্ধ্যা নেমেছে।আধারে ছেয়ে যাচ্ছে ধরনী।তবে যান্ত্রিক এই শহরে আধার নামতেই জায়গা জায়গা জ্বলে উঠেছে আলোর রেখা।প্রতিটি ল্যাম্পপোস্ট এ জ্বলছে আলো আর আলো।এতে আলোকিত হয়ে আছে পুরো শহর।এতো আলোর মাঝেও রিদির মনে হচ্ছে চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার।সে পাচ্ছে না কোন আলোর রেখা। দুপুরে তীব্র বের হয়ে এখনো আসে নি রিদির কাছে।এর মাঝে মেঘ, আয়ান,রুপা এসে দেখা করে গেছে।রিদিকে রেস্ট করতে বললেও ঘুম আসছে না।তাই বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।
তোমাকে খুব ভালোবাসে তীব্র রিদিতা!
রিদি পিছনে ঘুরে মোনা কে দেখে তাকালো তার দিকে।তবে উওর করল না।
মোনা একটু হেসে আবারো বলল,
তুমি খুব লাকি রিদি তীব্র তোমাকে ভালোবাসে।পাগলের মতো ভালোবাসে।
আপনিও তো ভালোবাসেন তাকে তাই না!আর সে হয়তো আপনাকে ভা……..
রিদির গলা ধরে এলো।আর বলতে পারল না।
মোনা তাচ্ছিল্য হাসল।আমি সারাজীবন অপেক্ষা করলেও তীব্র আমার না রিদি।সে তোমার।আর ভালবাসার কথা বলছ!সে কখনো আমাকে ভালোবাসে ই নি রিদি।ভালবাসা শব্দটা হয়তো তোমার জন্য বরাদ্দ তার কাছে ।তীব্রর ভালবাসা,ভালোথাকা সবটাই তুমি!মোনা একটু থেমে বলে,
জানো আমাদের গল্পটা শুরু হয়েছিল অনেক বছর আগে।তখন আমি ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হয়েছি।আমরা থাকতাম রাজশাহীতে।বাবার ঢান্সফার এর জন্য আমাদের আসতে হয় ঢাকা শহরে।আমি , আব্বু আম্মু আর আমার ছোট ভাই।আমার ছোট ভাই আমার থেকে ২ বছর ছোট ছিল।ওর নাম মাহিন।ওকেও এখান কার একটা কলেজ এ ভর্তি করিয়ে দেয় বাবা।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
একদিন বাসায় ফেরার পথে কিছু বদমাশ ছেলে আমার সাথে জোরাজুরি করে।ফাকা রাস্তায় কেউ ছিল না আমাকে সাহায্য করার মতো।আমার চিৎকার পৌছাচ্ছিলো না কারো কানে।কারন জায়গা ছিল খুব নিরিবিলি। বাসায় যাওয়ার শর্টকাট রাস্তা ছিল তাই সেই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলাম। কিন্তু এমন কিছু হবে কখনোই আশা করেছিলাম না। সেদিন দেখেছিলাম আমার মৃত্যু খুব কাছে। ভাবছিলাম আমার মৃত্যু কাল প্রতিটি হেডলাইনে চলবে।ঠিক তখনি ফেরেস্তার মতো পৌছে যায় তীব্র।ছেলেগুলোকে হিংস্র ভাবে আহত করে আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে।আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম একজোড়া নিলাভ চোখ। অসম্ভব সুন্দর একটা চেহেরা তবে রাগের কারনে কেমন ভয়ংকর দেখাচ্ছিল।বন্ধ জায়গা থেকে বেরিয়ে দেখি সামনে অনেক গুলো ছেলে দাঁড়িয়ে আছে তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে আমার ভাই মাহিন। মাহিন আমাকে দেখেই ছুটে আসে।এরপর আমার কিছু মনে নেই আমি ঙ্গান হারিয়ে পড়ে যায়।
পরে যখন আমার ঙ্গান ফিরে তখন নিজেকে বাড়িতে পায়।এরপর জানতে পারি বাঁচানো ছেলেটার নাম তীব্র চৌধুরী। বিশিষ্ট শিল্পপতি আমির চৌধুরী ও ডক্টর তিশা চৌধুরীর ছোট ছেলে।মন্ত্রী আয়মান চৌধুরীর ছোট নাতি। বিশাল অভিজিত্য আর সোনার চামুচ মুখে জন্ম তার। তবে নাকি !ভয়ংকর রাগী সে।রেগে গেলে তাকে কন্টোল করার সাধ্য কারো নেই। গম্ভীর স্বভাব! কথা কম বলে। মেডিকেল কলেজের সবচেয়ে ব্রাইট স্টুডেন্ট সে।পুরো মেডিকেল কলেজ তাকে এক নামে চিনে।খুব বেশি গম্ভীর। দরকার ছাড়া কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলে না।তুখর মেধাবী আর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হওয়াই সব কিছু খুব সহজেই হ্যান্ডেল করতে পারে। ক্ষমতার জোরে মেডিকেল কলেজে পড়লেও ভার্সিটি পর্যন্ত লিড দেয়।ভাসিটিতেও সবাই এক নামে চিনে।
তীব্র সম্পর্কে জেনে তার প্রতি চাওয়া যেন শতগুণ বেড়ে গেল। আসক্ত হয়ে পড়লাম মানুষটার উপর। ভীষণ ভাবে আসক্ত।যার প্রতি আমার মনের গহিনে ভালবাসার ফুল ফুটল তাকে সেদিনের ঘটনার পর দেখেছি প্রায় ৪ মাস পর।কারন মানুষটা আমার ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল। ইচ্ছে করলে তাকে দেখতে পেতাম না।তাই একটা ছবি আমার ফোনে সেভ করেছিলাম ওর প্রোফাইল থেকে।
৪মাস পর যখন দেখা হয় সেদিন ছিল ভার্সিটির বিশাল বড় অনুষ্ঠান।সকল ডিপার্টমেন্ট মিলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান।সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মন্ত্রী আয়মান চৌধুরী আর তীব্র চৌধুরী। তাঁদেরকে ঘিরে চারদিকে তখন কালো পোশাক পড়া গাড দাঁড়িয়ে।ওনাদের স্বাগতম এর দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাদের ওপর।আমি সহ কয়েকটা ছেলে মেয়ে তাদের জন্য ফুল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে তাদের ওয়েল কাম জানানোর জন্য। ভাগ্য দোষে তাকে ফুল দেওয়া আমার কপালে ছিল না।আমি অন্য এক নেতাকে ফুল দিতেই ওনি আমার হাত ছুঁয়ে দেয়।চমকে উঠে তার দিকে তাকিয়ে দেখি সে আমাকে দেখে বিশ্রী হাসছে।আমি চটজলদি চলে আসতে গেলে শাড়িতে বেঁধে তার সামনে পড়ে যায়।সে আমাকে উঠানোর বাহানায় আমার ………
রিদি শুকনো ঢোক গিলল।মোনার কথা আটকে গেছে। হয়তো বিষাক্ত অতীত মনে করেই।একটু থেমে মোনা বলে,
আমার চোখ দিয়ে তখন গড়িয়ে পড়ে পানি।ঠাসস করেই থাপ্পর মেরে দেয় লোকটাকে ।তখন সবার নজর আমার দিকে। লোকটা রেগে কটমট করছে তখন।ভাবেনি হয়তো আমি থাপ্পর মেরে দিব। লোকটা রেগে আমাকে কিছু হয়তো বলতো! তার আগেই সেখানে উপস্থিত হয় তীব্র। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে, তাকালো ঐ বাজে নেতার দিকে।ওর চেহারায় তখন আতঙ্ক স্পষ্ট। তীব্র ঠাস করে দুটো থাপ্পর মেরে খুব শান্ত কন্ঠে বলে,
মেয়েদের সন্মান করতে পারবি না।ওকে! কিন্তু অসম্মানিত করবি কেন?ঠান্ডা কন্ঠের কথাতেই যেন ভয় পেল লোকটা।এরপর কি হয়েছে জানি না। আমাকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার কয়েকদিন পর থেকে শুরু হয় নেতা রাফির অত্যাচার।হুমকি ধামকি দেয় ফোন করে।তার সাথে বেড শেয়ার……..
এরপর যখন সব সহ্যর বাইরে তখন আমার ভাই মাহিন বলে তীব্র ভাইকে সব বলবে। মাহিন কলেজে উঠেই ছাত্রলীগের সদস্য হয়েছে।তাই তার আজি তীব্র পর্যন্ত যাই।তীব্র ঠিক পরের দিন ভার্সিটিতে যায়।সামনা সামনি বসে সেদিন কথা বলে আমার সাথে।আমি শুধু দেখছিলাম তাকে।
কিন্তু পরের দিন বাঁধল আরেক বিপত্তি।আমি লাইব্রেরীতে বই নিতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত হয় রাফি। ফাঁকা লাইব্রেরীতে আবারো আমার সাথে জোরাজুরি শুরু করে।আমি সেদিন বাঁচার জন্য মিথ্যা বলি আমি তীব্রর প্রেমিকা।রাফি আমার কথা বিশ্বাস করে আগের দিনের ঘটনার জন্য।এরপর সে চলে গেলেও তীব্র আর আমাকে নিয়ে বাজে কথা ছাড়াই।সবাই আমাকে বাজে, নষ্ট মেয়ে বলে গালিগালাজ করে।আমি এসব নিতে না পেরে সুইসাইড করি।
হসপিটালে ঙ্গান ফেরার পর আমি নিশ্চুপ হয়ে যায়। আমার অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছিল।সেই হসপিটালে কর্মরত ডক্টর তিশা চৌধুরী।তীব্রর মা।তীব্রর মা আর আমার মা ছোটবেলার বান্ধবী ছিল।সেই সূত্রে মা তিশা আন্টি কে সব বলে দেয়।মা তখনো জানত না তিশা আন্টির ছেলে তীব্র।তীব্র ছিল নাকি !ছোট থেকেই বেপরোয়া।তবে মা ভক্ত।তিশা আন্টির কথায় আমাকে সেদিন দেখতে আসে হসপিটালে।এসেই প্রথম প্রশ্ন তার,
আমাকে দেখলে তোমার রোগ ভালো হয়ে যাবে??
আমি মনে মনে হাজারো কথা প্রিয় মানুষটার জন্য সাজালেও মুখ দিয়ে বের করতে পারলাম না। তার চেহেরায় আমার জন্য সামান্য দয়াও দেখেনি আমি।মায়া ভালবাসা সে তো দূরের কথা।সেদিন বলেছিল,
অত্বহত্যা করলে কি তুমি মুক্ত হয়ে যেতে।
আমার কানে সেদিন কোন কথাই গেল না।হুট করেই বললাম,
আমি আপনাকে ভালোবাসি।তীব্রর মুখভঙ্গি স্বাভাবিক রেখে বলে,
আমি ভালবাসার মতোই মানুষ।ভালোবাসতেই পারো।
আমি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি তীব্র।
দেখ মেয়ে তোমার কথা শোনার সময় আমার নেই।নিহাত মায়ের কথা ফেলতে পারিনি।এখন বলো কি চাও!
আপনার প্রেমিকা হতে!
তাতে লাভ!
প্রেমিকা হতে লাভ!
হ্যা !!!তোমার অবশ্য লাভ!ঠিক আছে তুমি আমার জি এফ।এরপর তোমার দিকে কেউ আঙ্গুল তুলবে না !ইজ ইট ওকে??
অবহেলা!!সেদিন থেকে হয়ে গেলাম আমি নামমাত্র জি এফ। সবটাই তখন আমার সাথে ভালো হলো।জি এফ হবার সুবিধার্থে মাঝে মাঝে তীব্রর আশেপাশে থাকতে পারতাম ব্যাস।মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতেও যাওয়া হতো। কিন্তু তীব্র তখনো ছিল আমার আয়ত্তের বাইরে।
এসবের ২বছরের মাঝে তিথি আন্টি মারা যেতেই তীব্র আমেরিকায় চলে যায়। ওখান কার কালচার এ থেকে অনেকটা পাল্টে যায়।আমার পড়াশুনার জন্যও আমি আব্বুকে বলি আমেরিকা যাব। আব্বু অনেক কষ্টে আমার আমেরিকা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
৩ বছর আমেরিকা থাকার পর তীব্র পাল্টে যায় অনেক।আমি গিয়ে নতুন এক তীব্র কে দেখি। মাফিয়া!মেয়ে বাজ তীব্র।তবে তীব্রর কাছে যারা আসত সবাই স ইচ্ছায় আসতো।আসবেই না কেন নীলাভ চোখের নেশায় সবাই আসক্ত।তার ওপর সুপার হ্যান্ডসাম। হলিউড বলিউড এর নায়কের চেয়ে কম না।আমি তীব্রর এসব দেখে চেষ্টা করি তাকে ভালো করার।নিজের সতীত্ব বিসর্জন দিতেও রাজি ছিলাম তাকে পেতে!কিন্তু তীব্র সেদিন আমাকে বলে,
“তুমি নিঃসন্দেহে সুন্দর! পুরুষের আকর্ষণ করার মতো সুন্দর।তবে তুমি নেশাক্ত না। তোমার প্রতি আসক্ত হচ্ছি না আমি। শুধু চাহিদা ছাড়া কোন ফিল নাই তোমার প্রতি।ইভেন কারো প্রতি ই নাই।তাই আমাকে ছেড়ে অন্যতে ফোকাস কর।”
নির্দয়, হৃদয়হীন একটা মানুষ কে ভালোবাসার শাস্তি পেয়েছি আমি।তিলে তিলে বুজেছি ভালোবাসা না পাওয়ার কষ্ট।তবে সেদিন আমিও বলেছিলাম,” এমন একদিন আসবে যেদিন তীব্র চৌধুরী ভালবাসা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। কিন্তু ভালোবাসা সে পাবে না। যার প্রতি আসক্ত হবে সেই আসক্তি তার থেকে দূরে চলে যাবে”। সেদিন তীব্র হেসে বলেছিল।তীব্র চৌধুরীকে বাধবে এমন কোন বাঁধন নেই।
এরপর তীব্র বাংলাদেশ এ ব্যাক করে।দাদা মারা যাবার পর বিজনেস,আন্ডারওয়াল্ড সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তোলে তার নিজস্ব রাজ্য।
মোনা থামল। জোরে কয়েকবার শ্বাস নিল।রিদি সব শুনে থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মোনার ব্যাথা রিদি ফিল করতে পারল। তীব্র কে মোনা সত্যিই ভালোবাসত!!নাকি বাসে!! তীব্র সেই ভালবাসা সন্মান জানাতে তাকে হয়তো সেদিন সুযোগ পেয়েও কিছু করে নি।যেমন সে রুপ আপির সাথে…..
মোনা আবারো বলে,
জানো রিদি আমার বরদোয়া আল্লাহ কবুল করেছে। তীব্র তোমার প্রতি ভীষণ ভাবে আসক্ত।তুমি ছাড়া তীব্রর আসক্তি আর কেউ নেই,কিছু নেই।তবে আমি দোয়া করি তোমরা সবসময় একে অপরের আসক্তি হয়ে থাকো।আমি চাই না তুমি কখনো তীব্রর জীবন থেকে হারিয়ে যাও।নয়তো তীব্র কেও হারিয়ে ফেলতে হবে।ওর ছন্নছাড়া জীবন তুমি শুধু আলো না ওর দুনিয়া!!যে ভালোবাসার জন্য আমি এতোবছর অপেক্ষা করেও পাইনি তুমি পেয়ে হারিয়ে ফেল না রিদি।
আমি তোমাদের দুপুরের কথা শুনেছি।আমি চাই তীব্র সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক।তীব্র ভালো থাকাটাই আমার চাওয়া রিদি।তাই তোমাকে সবটা জানালাম।আর হ্যা সেদিন ক্যাফেতে আমরা শুধু কথা বলছিলাম। আর আমি একটু ইমোশনাল হয়ে কান্না করছিলাম।তবে সত্যিই তীব্রর ফোনে চার্জ ছিল না।আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েই ঝর শুরু হয়।সেই ঝরের মাঝেই বের হয়ে যায় তীব্র !!কারন তুমি।তোমার সাথে কোন যোগাযোগ হচ্ছিল না।আমি দেখেছিলাম সেই অস্থির তীব্রকে। তার অস্থিরতা এমন। যেন তোমার সান্নিধ্যে না পেয়ে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তোমার খোঁজ না পেয়ে অস্থির হয়ে উঠা তীব্রকে দেখে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম।খুব লাকি তুমি রিদি।আমি শুনেছি তোমার প্রতি তীব্রর ভালবাসার গল্প। মজনু মিয়া হয়ে তোমার সাথে বিয়ে সব।সব শুনে বিশ্বাস কর আমি সেদিন যাস্ট অবাক বা আশ্চর্য হয় নি। বরং শকড্ হয়েছিলাম।
আপনাতেই আমি পর্ব ৪১
তীব্রকে কষ্ট দিও না রিদি।সে সবার সাথে” দি তীব্র চৌধুরীর”মতো ব্যবহার করলেও তোমার সাথে সে পাগল প্রেমিকের মতো আচরণ করে।
রিদি সব শুনে অনুতপ্ত হল।তীব্র কে কারো সাথে দেখে তার মাথা ঠিক ছিল না।
আমাকে মাফ করে দিবেন আপু।আমি আসলে!!
ক্ষমা চাইতে হবে না রিদি। তোমার জায়গায় আমি হলেও এমন করতাম।আ…..
তখনি মোনার ফোন বেজে ওঠে।মোনা রিদির থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে যায়।রিদির কান্না পাচ্ছে।সে কিভাবে পারল তীব্র কে এতো কথা শোনাতে।