মি মাফিয়া পর্ব ১৭
সুমাইয়া সাবিহা
হলুদের অনুষ্ঠান চলছে গান বাজছে বক্সে ।নাচের জন্য ছেলে পুলে আনা হয়েছে।
সামিরা স্টেজে বসে আছে পাশে প্রেমা আছে ,
আরিয়া একটু আগে ঘুম থেকে উঠে এখন রেডি হচ্ছে ।
সবাই তো শাড়ি পরেছে কিন্তু আমার ভাগ্যটাই খারাপ যে শাড়ি কিনেও পড়তে পারছি না শুধুমাত্র ঐ মাফিয়া টার জন্য সব দোষ ঐ মাফিয়ার কিছু হলেই মারতে হবে ?কিছু হলেই আঘাত করতে হবে ,?সারা শরীর টায় আঘাতের চিহ্ন করে দিয়েছে ।শাড়ি পড়লেই তো ছোট হাতার ব্লাউজ দেখা যাবে আঘাতের চিহ্ন আবার গলায় ও আছে সব দেখা যাবে ,,কথা টা ভেবেই ঠোট ভেঙে কান্না করে দেয় আরিয়া।
কারো হালকা ধ্বনিত পায়ের শব্দে পেছন ফিরে তাকায় । নাবিল দাড়িয়ে আছে হাতে এক টা নিল রঙ্গের লেহেঙ্গা নিয়ে।
আরিয়া চোখ মুছে বলে:জি ভাইয়া কিছু বলবেন?
নাবিল : আসলে আমি জানি তুমি হলুদ শাড়ী পরতে পারবেনা কিছু মনে না করলে এটা পরতে পারো ফুল হাতা আছে আর ইচ্ছে করলে উরনা টা দিয়ে গলায় ঢেকে রাখতে পারবে।
আরিয়া আশ্চর্য হয় ,উনি কিভাবে জানলেন?
নাবিল হেসে বললো ,
__আরে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? বোনের বিয়ে কার কিভাবে সমস্যা হচ্ছে সব টাই তো দেখতে হবে তাইনা?
___আমার নতুন ড্রেস আছে ।এটা লাগবেনা অন্যটা পরে নেবো।
__কেউ কিছু দিলে ওটা গ্রহন করতে হয় জানো না? বলে খাটের উপর লেহেঙ্গা টা রেখে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় নাবিল ।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আরিয়া আর কিছু না ভেবে এটাই পরে নেয় ,,হালকা মেকাপ করে নেয়। আয়নাতে নিজেকে একবার দেখে নিয়ে লজ্জায় লাল হয় দ্বিতীয় বার তাকানোর ফুরসৎ হয়নি আর ।
আরিয়া কে সিড়ি বেয়ে নামতে দেখে সবাই ঐদিকেই তাকিয়ে রয় হা করে ,,বড় রা ও তাকিয়ে আছে , লাল নিল বিভিন্ন কালারের লাইটের মাঝে সাদা ফোকাস বাতিটা এই মুহুর্তে তার উপরেই আছে। সবার দৃষ্টি আরিয়ার দিকে বিষয় টা বুঝতে পেরে কাচুমাচু করে কিছুটা। নীল ড্রেসে আরিয়া কে পুরাই নিল পরী লাগছে ।
প্রেমা সামিরা কে বললো ,
__দেখ ঢংগি আসছে ,হলুদ শাড়ি পড়তে ওর নাকি চুলকানী আছে তাই এটা পরেছে
সামিরা:যাই বলিস আরিয়া কে কিন্তু সত্যি খুব সুন্দর লাগছে।
জাফর এগিয়ে এসে বললো ,বাহ আজ আমার মামনি কে তো একদম নিলপরী লাগছে
জাফরের মুখে প্রশংসা মুলক শব্দ শুনে আরিয়া স্মিত হাসলো।
আরিয়া এসে সোফার এক কোনে বসে। একটু দূরে থাকা কিছু ছেলে আরিয়া কে এখানে বসতে দেখে জায়গা থেকে উঠে আরিয়ার পাশ ঘেসে বসার চেষ্টা করে ।
আরিয়া ব্যাপার টা ভালো চোখে দেখেনি তাই এক মুহূর্তও আর এখানে না বসে উঠে গেলো জায়গা থেকে । ছেলে দুটিও উঠে আরিয়ার পিছু নিলো।
পেছন থেকে একটা ছেলে আরিয়া কে লক্ষ করে বললো ,
__এই নীল পরী এখনো সিঙেল নাকি? অবশ্য মিঙ্গেল হলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই ।
আরিয়া কথা টা শুনে একটু ভয় পায় তাই চাচার পাশের চেয়ার টায় গিয়ে বসলো । ছেলে দুটিও আরিয়ার পেছনের চেয়ার টায় বসলো ।
কিছুক্ষন পর দুজন ছেলের একজন পেছন থেকে আরিয়ার পিছে পিঠে হাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে হাত বাড়াতে যায় দুর থেকে প্রেমা বিষয় টা লক্ষ্য করে জলদি করে এসে একটু আস্তে করে দুটো ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ,
__এটাতে হাত বাড়িয়ে নিজের প্রান হারানোর ইচ্ছা করোনা ।
– প্রেমা কে পাশে দেখে আরিয়া একটু স্বস্থী পেলো যেনো ।
ছেলে দুটির একজন বলে উঠলো ,এই মেয়ে তুমি কে ? কাবাব মে হাড্ডি হইয়ো না।
প্রেমা বিদ্রুপ হেসে বললো
__ভালোর জন্য বললাম ভালো লাগেনি? ওকে দেও হাত ,আগে চারপাশ টা দেখে তারপর দেও ওকে ? নাহলে আগামী ১০ মিনিট বেচে থাকার নিশ্চয়তা আমি তোদের দিতে পারছিনা।
আরিয়া : অযথা এদের সাথে কথা কেনো বলছিস?
প্রেমা:তুই জানিস এরা কি করেছে?
আরিয়া : হুম দেখছি কখন থেকে পিছু নিচ্ছে তাই চাচার সাথে এসে বসলাম কিন্তু চাচাকে বলার সাহস পাচ্ছি না গানের আওয়াজে চাচা শুনবেনা।
প্রেমা:ওরা পেছন থেকে তোকে টাচ করার চেষ্টা করছিলো সেটা জানিস?
আরিয়া:হুয়াট?
প্রেমা:হুম ,আমি ঐখান থেকে দেখছিলাম তোকে । এরা ফলো করছে তোকে।
আরিয়া :ঝামেলা করে লাভ নেই চল অন্য কোথাও যাই,আমি স্টেজে গেলে ভাইয়া বকবে জানি তাই যাচ্ছি না।
প্রেমা:কোন ভাইয়া..ওহ আচ্ছা আমি তো ভুলেই গেছিলাম আপনার মি,মাফিয়া তো আপনার ভাইয়া …
দুটি ছেলের একজন ছেলে বললো
__তোমরা কিন্তু বাড়াবাড়ি করছো । আর তোমাকে না যেতে বললাম এখান থেকে যাচ্ছো না কেনো ?
প্রেমা :সো ফানি। আচ্ছা আপনারা এখানে কার কি হোন?
-আমার বাবার বন্ধু বিয়ের কন্যা তথা বউয়ের বাবা ।
প্রেমা: গুড ।কিন্তু আপনারা কি জানেন আমরা কারা?
-বউয়ের বান্ধুবী হবে আর কি ।
প্রেমা :গুড ,বাট সব টা জানেন না। চুপচাপ থেকে চলে যান।নাহলে পরে আফসোস করবেন।
__কি করবে তুমি হ্যা?এটুকু মেয়ে মুখে এতো বড় কথা ,আমরা তোমার পিছে আসিনি নীলপরীর পিছে এসেছি সো তুমি চলে যাও এখান থেকে ।
প্রেমা:হুম জানি,কিন্তু আপনাদের নীল পরী তো বিবাহীত ।
আরিয়া অবাক হয় বাট সে চুপ করে দেখছে প্রেমা হয়তো পিছু ছাড়ানোর জন্যই বলছে তাই ।
___ আমাদের কোনো সমস্যা নেই ,বিয়ের পরেও এর রুপ তো আর যায়নি।
প্রেমা কিছুটা বিরক্ত নিয়েই শেষে জাফর চাচাকে ডেকে বললো,চাচা এই ছেলে দুটি কখন থেকে ডিস্টার্ভ করছে।
জাফর প্রেমার আওয়াজ পেয়ে এদিকে ফিরে বললো : কি হয়েছে এখানে ? তোমাদের কে তো ভদ্র ঘরের সন্তান মনে হয় ,এখান থেকে চলে যাও।
__ছেলে দুটি অপমান বোধ করে চেয়ার ছাড়ে।
জাফর হেসে বললো
__ কোনো সমস্যা হলে জানিও মামনি ।
__আরিয়া মাথা নাড়লো।
রাত অনেকটাই হয়ে গেছে এখনো অনুষ্ঠান চলছে ।সামিরা স্টেজ ছেড়েছে ঐখানে বসে থাকতে ভালো লাগছে না আর । কিন্তু এসেও শান্তি পেলোনা মা খারামনিরা ডেকে নিয়ে গেলো এখন হলুদ দিবে ।
হৈহুল্লুর সব রকম মজার মধ্যেই শেষ করলো হলুদ লাগানো।
হলুদ লাগানু শেষ করে সামিরাকে গোসলে পাঠালো ,,সামিরা ঘরে গিয়ে চমকে উঠে ,আয়শ হাত পা ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে আছে ,,প্রতিটা রুমে রুমে মানুষ হয়তো খালি না পেয়ে এখানে শুয়েছে।
আয়শ এতো বছর ধরে এই বাড়িতে আছে কখনো অন্য নজরে তো সামিরা তাকে দেখেনি তাহলে এই দুইদিন ধরে কি হয়েছে ? হয়েছে কি তার? ।
হঠাৎ করেই দুপুরের কথা মনে পড়ে ,আরিয়া আফরান যে একে অপর কে ভালোবাসে এতে কোনো সন্দেহ নেই । কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে আফরান ভাইয়াও কারো প্রেমে পড়েছে সেটাই ।
কিন্তু আয়শ ভাইয়া তো সেই কত বছর ধরে আরিয়ার অপেক্ষায় ,আচ্ছা উনার কি কষ্ট হচ্ছে না?
হবেই তো এতো বছরের ভালোবাসা হাড়ালে কে না কষ্ট পাবে ? তাই তো সারাদিন তার দেখা পায়নি ,বাড়িতে যে ছিলো না সেটা সামিরা বুঝতে পেরেছিল কারন বিকেল বেলা সারাবাড়ি খুজেছিল এক পলক দেখার আসায় ।কিন্তু পায়নি ,কিন্তু কখন আসলেন তিনি? এসেও অনুষ্ঠানে যায়নি কেনো?
থাক আর কিছু এখন না ভাবি ,কি অবস্থা হয়ে আছে শরীর গোসলে যাই ,বলেই কবার্ড থেকে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
-সুন্দুরী এখন কি করবে বলো ,এখন কে বাচাবে তোমায় ?
আরিয়া সোফায় বসে জুস টা হাতে নিয়েছিল ,প্রেমা একটু আগে উপরে গেছে আমাকে বসতে বললো।আপাতত মানুষ কমে এসেছে এখানে,চাচাও নেই। আছে কয়েকজন মুরুব্বী মহিলারা তাও সবাই নিজের মতো ব্যাস্ত হাতে হাতে কাজ করছে । উপরে জায়গা নেই একটা রুমেও খালি নেই ,প্রেমা সেই ব্যাবস্থা করতেই গিয়েছে।
আরিয়া ভয়ে সোফা থেকে উঠে গেলো।
পেছন থেকে একটা ছেলে আরিয়ার উরনা ধরে ধীরে ধীরে পেচাতে লাগলো।
আরিয়া কাপা গলায় :দেখুন আপনারা ভুল করছেন আমি কিন্তু চেচাবো।
–আমরা জানি তোমার চেচানোর মতো সাহস নেই সোনা
আরিয়া : আমি আবারো বলছি ভুল করছেন ।আমার বয়ফ্রেন্ড যদি দেখে এভাবে আপনাদের কে মেরে ফেলবে।
–ছেলে দুটি বিদ্রুপ হেসে বলে ,তার মানে তুমি বিবাহীতো নও ? গুড ,আচ্ছা শুনো তুমি যেহেতু বিবাহিত নও তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানুই যায় তাইনা?
আরিয়া কাপছে ভয়ে চারদিকে দেখছে আজ ভীষন করে কাউকে খুজছে।
আমার উরনা টা ছাড়ুন ,নয়তো আপনাদের সমস্যা হয়ে যাবে ,,নিজেরা তো মরবেন আমাকেও মার খাওয়াবেন।
আরিয়ার কথার রেশ টেনে কেউ বললো , গুড সব টা আগেই বুঝে নেওয়ার জন্য।
কালারিং বাতির জন্য চেহারা স্পস্ট না হলেও আওয়াজ শুনে আরিয়া স্বস্থির নিশ্বাস আছে। কিন্তু মুহুর্তেই আবার আরেক টা ভয়ে আরিয়ার শরীর কাপে নিশ্চয়ই আজকেও কপালে মাইর আছে,😑, ভেবেই বলে উঠলো,বিশ্বাস করুন আমি এখানে চুপচাপ বসে ছিলাম শুধু ,কিছু করিনি ।
পাশে থাকা ছেলে দুটি দাড়িয়ে বললো ,,এই সালা মাজখানে কোথা থেকে আসলি ? যতোসব আজাইরা পেচাল ,মালটারে যখনি একলা পাই তখনি একটার পর একটা জুটে ।
আফরান হেসে বলে :ভাই বিশ্বাস কর মাল টা একদম হেব্বি টেষ্ট করে দেখতে পারিস ,আমিও করেছিলাম । কিন্তু কি জানিস ভিটামিন ছাড়া তো তাই একটু কম মিষ্টি ।
আফরানের কথার ঠিক একটু আগে গান বক্স অফ করায় পুরো রুমে তার আওয়াজ আসলো রুমের লাইট জলে উঠলো ,এখন সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
আরিয়া:কিসব বলছেন ভাইয়া ,,আপনিও এদের মতো …
–ছেলেদুটি আফরান কে দেখে চমকে উঠে ,,হাত থেকে উরনাটা হালকা হয়ে আসে ,পাশের ছেলেটি বললো,ব…বস আ..মরা …
-আরিয়া অবাক হয় ।
ড্রয়িংরুমে এই মুহুর্তে যারা উপস্থিত সবার দৃষ্টি আফরানের উপর । আফরান এখানে এসেছে যেনো স্বপ্নের মতো । কম বেশ এখানে আফরান কে সবাই চিনে ,কিন্তু সে যে এখানে আসবে কেউ ভাবেনি ,দুপুরে এসেছিল কাজের মধ্যে কেউ হয়তো খেয়াল করেনি।
আফরান পাশের সোফা টায় বসে পায়ের উপর পা রেখে বললো ,,এভাবে তুতলাচ্ছিস কেনো?
চল একটা গেম খেলি। তদের মধ্যে যে আগে টেষ্ট করবে মেয়েটা তার ,,আই মিন যে প্রথমে মেয়েটাকে ছোবে।
আফরানের করায় আরিয়া এবার ঠোট ভেঙে কান্না করে দেয় । আপনি খুব খারাপ মি,মাফিয়া ,আপনি সত্যি খুব খারাপ। আপনিও এদের মতো।
ছেলে দুটি আফরানের কথায় যেনো সাহস পায় ,তারা ভাবছে হয়তো মেয়েটার সাথে আফরানের কোনো অংক আছে তাই নিজের হাতে না করে ওদের দিয়েই করাতে চায় ।
–স্যার সত্যি বলছেন?
আফরান:একবার কথা দুবার বলতে পছন্দ করিনা।
যে ছেলেটার হাতে আরিয়ার উরনা পেচানো ছেলেটা বাকা হেসে এক হাত আরিয়ার দিকে বাড়াতে গেলে ..আহ শব্দ উচ্চারণ করে।
সবাই দেখছে এখানে কি হচ্ছে আসলে এটা যে হবে কেউ হয়তো ভাবেনি ,
ছেলেটা যে হাতে স্পর্শ্ব করতে চেয়েছিল ঐ হাতের আঙুল গুলো টা এই মুহুর্তে জুড়া লাগানো নেই।
আফরান সোফায় বসে থেকেই কোটের নিচ থেকে ছোট একটা ধারালো ছুরি বের করে ছুড়ে মারে ।সাথে সাথে ছেলেটার আঙুল গুলো আলাদা হয়ে যায়।
পাশে থাকা ছেলেটা ভয়ে হাটু গেড়ে বসে তুতলাচ্ছে।
আরিয়া ঠিক বুঝলো না কি হলো সব টা ,কয়েক সেকেন্ড দেখে চিৎকার করে সেখান থেকে গিয়ে হাসিনা বেগমের পিছে লুকায় ,
সবাই ভয়ে জড়শড় হয়ে আছে ,তারা এতোদিন টিভিতে নিউজ দেখেছে ,আফরান চৌধুরে এটা করেছে ওটা করেছে। কিন্তু আজ সামনে থেকে দেখছে।
আফরান:তোরা জানিস আজ তোরা কোথায় হাত দিয়েছিস? ওহ,,আফসোস হচ্ছে জানিস,?মেয়েটা বারবার বলছিলো তোদের কে বাচানোর জন্য কিন্তু তোরা বুজঝি কই? আমার তো কিছু করার নেই এখন তাইনা।
আফরান যে ছেলেটার আঙুল কেটে দিয়েছিল ঐ ছেলেটাকে ইশারা করলো ছুড়িটা দিয়ে যেতে । ছেলেটা ভয়ে কাপতে কাপতে ছুড়িটা উঠিয়ে আফরানের সামনে নিয়ে এসে বললো ,,আর হবে না স্যার ,,ভুল করে ফেলেছি ,আমরা বুজতে পারিনি ….আআআ
ছেলেটার বুক থেকে রক্ত পরছে ,ছুড়িটা ঠিক বুক বরাবর বসিয়ে আফরান বললো,,ওহ সরি রে আসলে বুজতে পারিনি সামান্যতেই মরে যাবি বলে ডেভিল হাসি দিয়ে পেছনে তানভীর কে ইশারা করলো কি জানি ,তারপর তানভীর কাকে যেনো কল করলো ,,
আফরান তানভীর কে উদ্দেশ্য করে বললো: আর ঐটাকে যা ইচ্ছা কর তোর ইচ্ছা । বলে আফরান উঠে দাড়ালো।
মিনিটের মাথায় দুইজন জন বলিষ্ট লোক এসে ছেলেদুটোকে নিয়ে গেলো। আর জায়গাটা আগের মতো পরিস্কার করে গেলো।
প্রেমা সামিরা সারা বাড়ি নিশব্দ পেয়ে বাড়ান্দায় এসে দাড়িয়ে নিচের সব টাই দেখেছে এতোক্ষণ।
জাফর এসে আফরান এর গালে চর বসালো হঠাৎ , আফরান কিছু বললো না শুধু বাকা হাসলো।
জাফর:তোর কি গুন্ডামি খুন খারাপী নিত্য দিনের অভ্যেস হয়ে গেছে? জানোয়ার হয়ে যাচ্ছিস দিন দিন ,মন বলতে কিছু আছে তোর ? আমি তোকে জন্ম দিয়েছি এটাই আমার ভুল ।তর মতো ছেলেকে আগেই গলা টিপে মেরে ফেলা উচিৎ ছিলো।
আফরান :তখন যেহেতু মারতে পারোনি এখন বলে লাভ নেই ,,তখন তো মারতে নিষেধ করিনি ? কিন্তু এখন মারতে পারবেনা আমার বেচে থাকা টা ভীষন জরুরী।
মি মাফিয়া পর্ব ১৬
বলে আফরান উপরে প্রেমা সামিরার দিকে তাকিয়ে বললো ,,ওটাকে নিয়ে জ্ঞান ফিরাও,,নাহলে নিশ্বাস আটকে এমনিতেই মারা যাবে । বলে আফরান রুম ছাড়লো।
আফরানের কথার মানেটা তখন প্রেমা সামিরা না বুজলেও খনিক বাদে যখন তারা হুসে ফিরে সবার দিকে তাকায় তখন বুজতে পারে ,কারন আরিয়া সবার পিছে বেহুস হয়ে পরে আছে। হয়তো চোখের সামনে এমন খুন খারাবী কখনো দেখেনি বিধায় ।