মি মাফিয়া পর্ব ২৩
সুমাইয়া সাবিহা
আফরান পকেটে হাত গুজে বাহিরে তাকিয়ে আছে ,পেছনে তানভীর কিছু কাগজ পত্র হাতে নিয়ে দাড়িয়ে ।
__ভূল রিপোর্টে নিয়ে আমার কাছে আসার কারনে তোর কি অবস্থা হতে পারে তোর অইডিয়া আছে?
কথাটা দাঁতে দাঁত পিষিয়ে বললো আফরান ।
___ভাই এবারের মতো মাফ করে দেন । নেক্সট টাইম এমন হবে না কিন্তু স্যার কেউ ইচ্ছে করে ফাইল গুলো পাল্টিয়ে দিয়েছে সেটা আমি নিশ্চিত কারন আমি এই ফাইল গুলো আগে দেখিনি কিন্তু আসল রিপোর্ট গুলোও পরিনি তাই সঠিক টা বলতে পারছি না ।
আফরান পেছনে ফেরে বললো
___কি বললি ? কেউ ইচ্ছে করে ফাইল চেন্জ করেছে এটাও আমার শুনতে হবে ? আফরান চৌধুরীর সাথেও কেউ গেইম খেলছে।
তানভীর মাথা নত করে বললো
___সরি স্যার কিন্তু এমন টাই হয়েছে আমি শিউর
___সরি? হুয়াট সরি? নিজের দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করতে পারিস না । এখন আমার কি করা উচিৎ বল তো? তোকে মেরে দেওয়া উচীৎ তাইনা?
শান্ত গলায় বাঁকা হেসে বললো
___স্যার আপনি আমায় যেকোনো শাস্তি দিতে পারেন আমি মাথা পেতে মেনে নেবো কিন্তু আমি আপনার এসিসট্যান্ট হয়ে থাকতে চাই আজ অবদি কোনো ভূল করিনি কিন্তু কাল এটা কিভাবে হয়ে গেছে আমার জানা নেই।
__শাট আপ ইডিয়ট । চোখের সামনে থেকে চলে যা ।
আফরানের ঝাঁঝালো কন্ঠে কেঁপে উঠে চুপচাপ রুম ছাড়ে তানভীর।
আফরান কপাল কূচকে সব টা হিসাব মিলাচ্ছে । যেটা সন্দেহ করেছিলাম সেটাই হলো । চোখের সামনে দিয়ে সবকিছু করে বেরাবি আর আফরান চৌধুরী কিছুই বুজবেনা ? আফরান চৌধুরী এতো কাচা প্লেয়ার নয় বাট বলতে হবে তোর দম আছে যে , আফরান চৌধুরীর সাথে গেইম খেলছিস। এবার আমিও দেখি আর কি কি করতে পারিস ,বলে ডেভিল হাসে আফরান।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আফরান আজ একটু জলদি বাসায় এসে গেছে । বাসায় ঢুকেই চোখ আটকায় নতুন ডেকোরেশনে ড্রয়িংরুম সাজানো ,,
বাড়িতে মেহমানে ভর্তি । আরিয়ার মা বাবারাও এসেছে । সামিরার বাড়ি থেকে সবাই এসেছে ।
কিন্তু এতে আফরানের কি আসে যায় সে সোজা উপরে চলে যায় । কিন্তু চোখ আটকায় সিড়িতে তে গিয়ে আরিয়া হালকা গোলাপী রঙের পাতলা শাড়ী পড়ে আছে পাশে সামিরা আরিয়া ধরে নিচে নামছে । আফরান কে দেখে সামিরার হাত পা কাপছে । কিন্তু আরিয়া মনে হয় তাকে দেখেও দেখলো না কারো তোয়াক্কা না করে সোজা নিচে নামছে ।
আফরান প্রথমে একদফা হা হয়ে গিয়েছিলো আরিয়া কে শাড়ী পরা দেখে ।
“চোখে জোড়ায় কাজল ,
-কানে আছে দুল,
ঠোট যেন রক্তে রাঙা ফুল,
– মুখে মিষ্টি হাঁসি,
উফ আজ আরুকে পিষিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে তার ।
কিন্তু আরিয়ার লাপাত্তা দেওয়ায় কপাল কুচকায় । কি হচ্ছে সেটা বুঝার চেষ্টা করে । তাই সব টা রুম একবার দেখে নেয় । সোফায় সামিরার মা বাবা পাশে নাবিল আর সামনেই আরিয়ার মা বাবা আর জাফর সবাই কথা বলে যাচ্ছে হেসে হেসে মনে হচ্ছে যেনো আগে থেকেই সবাই পরিচিত কোনো দ্বিধা নেই কথায় ।
আফরান প্রথমে না বুজলেও যখন আরিয়া কে জাফর সাহেবের পাশের সোফায় বসতে বললো তখন সব টা ক্লিয়ার হয়ে যায় ।
আফরানের চোখ মুখ লাল হয়ে আসছে । হাতের মুঠি শক্ত হয়ে আসে । আচ্ছা এই ব্যাপার ?
ঠিক আছে সেও দেখতে চায় কতদুর যেতে পারে এই অবাধ্য মেয়ে টা । তার কথার গুরুত্ব এই মেয়ের কাছে কোনো দিন ছিলো না তাতে তার কিছু যায় আসেনা । না শুনলে বাধ্য করবে কিন্তু আজ লিমিট ক্রস করে ফেলেছে এই মেয়ে । এই মেয়েকে কিভাবে সোজা করতে হবে তার বুঝা হয়ে গেছে । সোজা কথা বুঝার মেয়ে ও নয় । তাই তার সাথেও বাকা ভাবেই কথা বলতে হবে । নয়তো একদম মেরে ফেলে দিবে তার কিছু যায় আসেনা । এমনিতেও পিছুটান কারো জন্য কোনো কালেই ছিলো না আফরানের ।এবারও যেটুকু আছে সেটারও সমাপ্তি ঘটাবে। এটাকে না মেরে আফরানের শান্তি হবেনা ।
আরিয়া সবার সামনে মাথা নিচু করে বসে আছে । আরিয়াকে দেখে রাবেয়া বেগম (সামিরার মা) বললেন:
__মাশা আল্লাহ,সত্যি বলতে আরিয়া মাকে আমার আগে থেকেই পছন্দ কিন্তু এভাবে কখনো দেখা হয়নি ।
জাফর: – হুম আমার মেয়েকে যে দেখবে তার চোখ আটকাবেনা এটা কখনো হতে পারে? মায়া জড়ানো চেহারা আমার মেয়ে আবার ততটাই মিশুক তাইনা ।
আজমল : – সে তো অবশ্যই ।
রহিমা বেগম বললেন (আরিয়ার মা )
__ভাই সাহেব ! আমি বলতে চাচ্ছিলাম কি আমার ইচ্ছে ছিলো দেশে সব কিছু ঠিক হবে । কিন্তু পরিস্থিতি টাই এমন যে এখানে আসতে হলো । আবার বাড়িতে তো কাজ আছে দুদিনের জন্য এসেছি । সব যদি একটু জলদি হতো ভালো হতো না?
জাহর হেসে বললো
___এতো তারা কেনো হুম? মেয়ে তো একটাই সব কিছু যদি মন মতো নাহয় চলবে?
খলিল সাহেব(আরিয়ার বাবা) বললো
___আমিও সেটাই বলি । মেয়ে আমার একটাই এখানে কিছু কমতি দিলে হবে না । আর আরিরা আম্মু তুমি চিন্তা করো না বাড়ির বাহির টা সামাল দেওয়ার জন্য দুজন লোক রেখে এসেছি চিন্তার কিছু নেই।
__তাহলে তো হয়েই গেলো । এখানে আমার কি বলার আছে ।
সবার মাঝ থেকে নাবিল বলে উঠলো
____চাচা আমি একটা কথা বলতাম কিছু মনে না করলে।
____হুম বলো । তুমার জন্যই তো সব আয়োজন ।
__আমি একটু ওর সাথে আলাদা কথা বলতে চাচ্ছি।
নাবিলের কথায় উপস্থিত সবাই হু হু করে হেসে উঠলো।
জাফর সাহেব বললো,,
__বাহ বাহ এতো দেখছি বিয়ের আগেই বউ পাগল । তা কবে থেকে চোখে পড়লো আমার মেয়েকে ।
নাবিল লজ্জায় পায় একটু ।
তখনি আগমন ঘটে আয়শের । এসব দেখে মনে হয় আকাশ থেকে পরলো মনে হয় ।
জাফর সাহেব আয়শ কে দেখে বললো
___তুমি এসেছো ভালো হয়েছে । বসো এখানে।(আয়শকে লক্ষ্য করে)
___বাবা এসব কি ?
______হুম । এসবই হচ্ছে আমার মামনি কে এখানে রেখে রেখে প্রতিদিন তো আর বিপদের সম্মুখিন হতে দিতে পারিনা? বিনা কারনে প্রতিনিয়ত এই বাড়ির ছেলের কাছেই মার খেতে হয় । ভবিষ্যতে আরো বেরে যাবে যেটা আমি হতে দিতে চাইনা।
__কিন্তু বাবা আরুর সামনে এক্সাম।
____সেটা বিয়ের পরেও দেওয়া যাবে চিন্তা নেই।
__কিন্তু বাবা নাবিলের সাথেই কেনো? আর নাবিল তোর না কেউ একজন আছে তাহলে…?
আয়শের কথা টা এই মুহুর্তে নাবিলের পছন্দ হয়নি সবার জিজ্ঞাসা দৃষ্টি নাবিলের দিকে ।
নাবিল কথা ঘুরিয়ে বলে:
__আরে সে তো আমি তোকে এমনে মজা করে বলেছিলাম ।
___ হুয়াট ? বাট সব টা তো..
____আচ্ছা আগে যা হয়েছে সেটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করে সময় নষ্ট করে লাভ নেই এখন যেটা হচ্ছে সেটা নিয়ে ভাবো।
আয়শের চেহারায় স্পষ্ট কষ্টের ছাপ বুঝা যাচ্ছে । হয়তো এখনো আগের মতোই আরু কে কারো সাথে নিতে পারেনা।কিন্তু তার মধ্যেই দৃষ্টি যায় আফরানের দিকে ।আফরান কে দেখেই বুঝা যাচ্ছে এখনি বোধয় ঝড় তুলবে বাড়িতে । ব্যাপার টা আয়শের বেশ মজার মনে হলো তাইতো বৈঠকে না বসে সোজা আফরানের কাছে গিয়ে আফরানের থেকে দুটো সিড়ি নিচে দাড়িয়ে আফরানের একদম কাছে গিয়ে বললো-
___একটা কথা কি জানিস ? যেটা মানুষ ছিনিয়ে নেয় শেষে দেখা যায় ভাগ্য নিজেই তার কাছ থেকে সে-ই টা জিনিস ছিনিয়ে নেয় । যার জন্য আমার আর সামিরার বিয়ে দিলি বাধ্য করিয়ে এখন সেই তো .. এটুকু বলে আয়শ মুখ ফুটিয়ে বিদ্রুপ হাসে ।
তা এখন কি করবি? উফ দুঃখ হচ্ছে জানিস তোর জন্য মি.আফরান চৌধুরি ও নাকি ছ্যাকা খায় ।
বলেই আয়শ আবার দাত কেলিয়ে হাসে । তারপর নিজ রুমের দিকে পা বাড়ায় ।
আয়শের প্রত্যেক টা কথা আফরানের কানে তীরের মতো বিদ্ধ হলো মনে হয় ।
সামিরা নিচের থেকে সব টা খেয়াল করছে। আর ভয়ে শরীর ঘামছে ।এই বুঝি আফরান ভাইয়া সবাইকে গুলি করে মারবেন । আজ বুঝি আফরান ভাইয়ের হাতে তাকে মরতে হবে । ইশ যদি আর কটা দিন বেচে থাকতাম ।
জাফর সাহেব : – নাবিল তুমি মামনির সাথে কথা বলো কিছু বলার থাকলে।
নাবিল উঠে দাড়ায় । আড়িয়া কে রহিমা বেগম উঠতে বলে নিজে হাতে দাড় করিয়ে দিয়ে বলেন ; নাবিলের সাথে একটু আলাদা কথা বলো গিয়ে ।
আরিয়া চুপচাপ দাড়ায় ।
আফরানের বোধয় ধৈর্য ভাঙে । চুপচাপ সোজা সিড়ি বেয়ে নিচে নামে।
জাফর আফরান কে আসতে দেখে বলে উঠল
__একদম আর এক পা এগুবেনা আজ উল্টা পাল্টা করলে তোমার জন্য ভালো হবেনা ।
আফরান এবার নিজের জায়গায় দাড়িয়ে মুঠি বদ্ধ হাত দুটি হালকা করে একবার চোখ বন্ধ করে দীর্ঘশাস নিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করে বলে
__সরি বাবা আমি এখানে উল্টা পাল্টা করতে আসিনি । আমিও তো এই বাড়ির একজন মেম্বার তাইনা ? আমি কি এখানে এসে বোনের বিয়ের ব্যাপারে শামিল হতে পারবোনা?
আফরানের কথায় আরিয়া একটু চমকায় কিন্তু বিচলিত হয়না ।কেন হবে? মি মাফিয়া কি তাকে ভালোবাসে নাকি ? বাসে না তো ।
এইতো তাকে ফেলে রেখে সকালে চলে গিয়েছিল ঐ মেয়েটার সাথে । সে বারান্দা দিয়ে দেখেছে তো নিচে গাড়ির সামনে মেয়েটা দাড়িয়ে ছিলো।
পরে নাবিল ভাইয়া যদি সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে না বলতো তাহলে তো সে অন্ধই থাকতো সারাজীবন ভাবতো তাকে আফরান ভাইয়া ভালোবাসে । সে মিথ্যা নিয়ে থাকতে চায়না । তার চেয়ে বরং ভাইয়া যাকে ভালোবাসে তার সাথেই সুখে থাকুক আমি নাহয় মানিয়ে নিবো ভাইয়া কে ছাড়া । হুম ! লাগবেনা এমন বয়ফ্রেন্ড । আমাকে তো কখনো নিজের মুখে বলেওনি ভালোবাসে ।আমি তো নিজেই ভেবে নিয়েছিলাম ।
আফরান দুহাত পকেটে গুজে সামনে আসতে আসতে বললো
__,তা আরিয়া পছন্দ হয়েছে ? সব কিছু ঠিকঠাক আছে তো ? চ্যাক করে নিয়েছিস?
আরিয়ার কাছে আফরানের শান্ত গলায় কথা বলাটা একদম ভয়ংকর রকম শুনালো।
আফরান আরিয়ার একদম সামনে এসে বললো ,
___কি হলো এমন কি ভাবছিস এতো? আজ তোকে একদম মারবোনা চিন্তা করিস না । আজ তোর একটা শুভ দিন তাইনা।
সামিরার শরীর থরথর করে কাপছে এই বুঝি কিছু একটা করে বসবে আফরান ।
জাফর : তুমি এখানে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো তবে থাকতে চাইলে চুপ করে বসো ।
__ বাবা কি বলছো ? বোনের বিয়ে আর আমি চুপ থাকবো? এটা কেমন কথা?
_____আ…আমি তো আজ ই..ইচ্ছে…
__হুম বল তারপর ? বিয়েটা কবে করছিস?
আরিয়া কাপা গলায় :
___ব….বি..বিয়ে
আফরান সোফায় বসে সামনে থাকা একটা আপেল সাথে ছুরি নিয়ে আপেল টা কাটলে কাটতে বললো
__,হুম বল ; শুনছি আমি ।
____বি….বিয়ে আমি কবে জানি আসলে জানিনা। চাচা জান…
আফরান হাতের ফল টাকে ছুরি দিয়ে ক্রমাগত ভাবে কেটে কুচি কুচি করে যাচ্ছে অথচ মুখে তুলছে না।
রহিমা: – বাবা তুমি কি করছো ? দেখো এখানে মেহমান আছে সুন্দর ভাবে কথা বলো ।
আফরান যেনো কিছুই শুনলো না । পিচ পিচ করে কেটে আপেল টা ফেলে দিয়ে ছুরিটা নিয়ে আরিয়ার সামনে গিয়ে ছুড়ি টার দিকে তাকিয়ে বললো
___হুম তারপর? বাসর কবে হবে?
______ দেখুন এখানে এসব কি বলছেন ?
___বাহ সাহস আছে তোর দেখছি ।
বলে আরিয়ার ডান হাত টা নিজের হাতের তালুতে নিয়ে চেপে ধরে বললো
___এই যে নাবিল তোমার হবু বউয়ের হাত টা কিন্তু খুব কোমল দেখো রক্ত গুলো কেমন টলমল করছে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ।
নাবিল সুন্দর ভাবে বললো :
___ব্রো তুমি এসব কি করছো ? ওর হাত টা ছেড়ে দাও ।ও ব্যাথা পাচ্ছে
__ হুম গুড । কেয়ারিং হাসব্যান্ড হওয়াটা সুন্দর
__ছাড়ুন । ব্যাথা পাচ্ছি তো।
আফরান তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো
__: ওহ সরি সরি ।
বলে হাত টা ছেড়ে দিলো।
আজমল সাহেব বললেন:
__এখানে হচ্ছে টা কি আফরান ?
আফরান : কম্পানি তে লস এসেছে বুঝি ? ভেরি সেড স্যার ।আপনার জন্য ভিষন দুঃখ হচ্ছে ।
আজমল এবার আমতা আমতা করে বললো
___মা..মানে কি বলছো?
____কি বলছি এখানে কেউ না বুজলেও আপনি নিশ্চয়ই বুজেছেন দ্বিতীয় বার স্বরন করিয়ে দেওয়ার আমার অভ্যেসে নেই।
আমজাদ সাহেব এবার চুপসে গেলো।
আফরান আরিয়াকে একবার পা থেকে মাথা অবদি দেখে নিয়ে বললো ,
___নাবিল তোমার ভাগ্য ভালো ফিগার কিন্তু জুস ।
নাবিল : __ ভাইয়া আপনি এবার লিমিট ক্রস করছেন ।
আফরান নাবিলের কথার প্রতি উত্তর না করে আরিয়ার বাম পাশে গিয়ে দাড়িয়ে ছুরিটা দিয়ে আরিয়ার পাতলা শাড়ীর নিচে দৃশ্যমান পেটে ছুরিটা ছুইয়ে বললো ,,
__হুম এভাবে প্রতিদিন বের হবি ।
বলে ছুরিটা দিয়ে আক টানলো ।ফর্সা পেট চিরে রক্তের আভার দেখা মিললো সাথে সাথে।
আরিয়া আহ বলে আওয়াজ করলো ,,
আয়শ পেছন থেকে এসে আফরান কে নিজের দিকে ফিরিয়ে ঠাস করে একটা চর বসালো । আকস্মীক ঘটনায় আফরানের যেনো কোনো অনুভূতি হলো না। চোখ মুখ আগের মতোই শান্ত ।
আয়শ বিচলিত গলায় বললো
__: কি করেছিস? মাথা ঠিক আছে ? এভাবে আঘাত দেওয়ার মানে আছে ? কি করেছে ও ? বল ওর দোষ টা কোথায় ?
আফরান বাকা হাসলো কিন্তু কিছু বললো না,
আরিয়ার পেট বেয়ে রক্ত বের হচ্ছে দেখে নাবিল এসে আরিয়া কে ধরতে চাইলো কিন্তু আফরান আরিয়ার হাত ধরে নিজের পাশে এনে বললো ,,
__একদম কেউ একে ছোয়ার চেষ্টা করো না ফল ভালো হবে না ।একদম মেরে দেবো ।বলে আরিয়াকে সবার সামনেই নিজের সাথে মিশিয়ে চুল গুলো পিঠ থেকে এক হাতে সাইড করে সরিয়ে ঘারের নিচ বরাবর পিঠেও ছুড়ি ছোয়ালো ।
আরিয়া আবারো “আহ “শব্দ উচ্চারন করলো ব্যাথায় ।আরিয়ার চোখ বেয়ে পানি পরছে ।কিন্তু মুখে কোনো কথা নেই ।
আফরান আরিয়া কে নিজের থেকে সরিয়ে বললো ,
___যাহ এবার তুই স্বাধীন । তোর মতো মেয়ে হাজার টা আমাকে একটু দেখার আশায় পরে আছে আর তুই … ছেহ ! লজ্জা হচ্ছে নিজের উপর । তোর মতো মেয়ের জন্য কিনা নিজের লাইফ টাই নষ্ট করে দিলাম ।
একটা মাইয়া মানুষ কে নিজের করে রাখতে পারলাম না কেমন কাপুরুষ আমি ।
আফরানের মুখে যতোটা কঠোরতা চোখে তেমন না চাইতেও শ্রাবন ধারা লাল হয়ে চোখ বেয়ে পানি গাল ছুয় । আফরান নিজেই হয়তো খেয়াল করেনি ।
মি মাফিয়া পর্ব ২২
সবাই শুধু আফরানের কর্মকান্ড দেখছে যদি মাঝে কিছু বলে আর আফরান উল্টা পাল্টা কিছু করে দেয় এই ভয়ে কেউ কথা পর্যন্ত বলছে না।
আবার ক্ষনিক বাদে আফরান আরিয়া চুলের মুঠো ধরে বললো ,
___আফরান চৌধুরীর সাথে ধোকাবাজি! তোর অনেক সাহস আছে বেবি । বলে আরিয়ার গলায় ছুরি ধরলো —তারপর….