টেরিবেল পর্ব ২১
অনুপ্রভা মেহেরিন
ঘুম থেকে মাত্র উঠে ফোলা মুখ নিয়ে স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে আন্দ্রিয়া।মেয়েটা উপুড় হয়ে শুয়ে আনমনে তাকিয়ে আছে দুটি খরগোশের পানে।দুটো খরগোশের হাতে লম্বা সরু করে কাটা দুটো গাজরের পিস।ফর্সা সুন্দরী খরগোশেরা তাদের ছোট ছোট দাঁত দিয়ে কুটিকুটি করে গাজর খাচ্ছে এই দৃশ্যটা দেখে আন্দ্রিয়ার এত ভালোলাগল।সে হাত বাড়িয়ে খরগোশ গুলোকে ডাকতে তারা ছুটে এসে বিছানার সামনে বসল।
” একা একা খাও কেন?আমাকে দিবে?”
আন্দ্রিয়া খরগোশদের সাথে আনমনে কথা বলে এরা এত সুন্দর কেন?ইচ্ছে করছে কোলে এনে আদর করতে কিন্তু শরীরটা আজ চলছে না।নগ্ন দেহে কোন মতে চাদর জড়িয়ে উঠে দাঁড়াল ঘড়ির দিকে এক পলক তাকিয়েই কপালে হাত পড়ে যায়।বেলা দেড়টা বাজে অথচ সে মাত্র ঘুম থেকে উঠল!সবাই যে আগে বলত একবার শ্বশুর বাড়ি যাও গেলে বুঝতে পারবে সারা বেলায় পড়ে পড়ে ঘুমানো এই জন্মের মতো ছুটিয়ে ছাড়বে।আন্দ্রিয়ার এসব কথা বড্ড বিরক্ত লাগতো সে তো কুইন আর কুইনদের কি কাজ-মাজ নিয়ে ঝামেলা আছে?কুইনরা শুধু তাদের কর্মীদের আদেশ করবে এই ছাড়া আর কী?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অথচ আন্দ্রিয়ার কল্পনার জগৎটা ছিটকে বাস্তবতায় ধরা দিল সে কি আর করবে আদেশ করার আগেই স্বয়ং কিং তার জন্য খাবার নিয়ে প্রস্তুত।এতটা ভালোবাসা আহ্লাদ সত্যিই কি সে পাওয়ার যোগ্য?আনমনে ভাবতে ভাবতে ঝরনার পানি ছাড়তে পানির ফোঁটা যখনি গায়ে লাগল তৎক্ষণাৎ ‘আহ!’ শব্দে আহাজারি করল।এডউইনের ভালোবাসা নামক আঘাত গুলো কেমন জলের ছোঁয়া পেয়ে জ্বালা করছে।আন্দ্রিয়া আয়নার সামনে দাঁড়াল গলায় ঘাড়ে রক্তের জমাট বাঁধা ছোপ ছোপ দাগ সেই সাথে গাল দুটো রেহাই পায়নি।লজ্জায় দ্রুত আয়নার থেকে সরে দাঁড়াল সে;এই এডউইন দিন দিন লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটছে একে বন্দি করা দরকার।আন্দ্রিয়া মনে মনে একটি ছক কষলো এডউইনকে জব্দ করার একটি পরিকল্পনা মুহূর্তে সে করে ফেলেছে।
আসমানি রঙের একটি ফ্রক পরে আন্দ্রিয়া ভেজা চুল নিয়েই নিচে নামল হাতে তোলায়ে নিয়ে এডউইনকে খুঁজছে সে।চুলের পানি বেশ ভালোভাবেই ঝেরেছে তার পরেও লম্বা চুলে একা কুলিয়ে উঠে না।বাসায় তো হেয়ার ড্রায়ার ছিল এখানে তাও নেই কোন মতে চুল মুছতে পারে এই যা।এডউইন কিচেনে মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা করছে আন্দ্রিয়া গিয়েই পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল এডউইনকে।
” কুইন ঘুম ভেঙে গেল?আরকেটু ঘুমাতে।”
ইসস কি সুন্দর কথা!আরেকটু ঘুমাতে।ওই বাড়িতে মামিরা তো দশটা বাজলেই বকাবকি শুরু আর এখানে এডউইন তাকে আরো ঘুমাতে বলছে!ভাগ্যিস ভারি সংসার শ্বশুর বাড়ি সে পায়নি তাহলে মামিরা যে বলতো সকাল সাতটা থেকে কাজে লেগে যেতে হবে এমন হলে কি করে মানিয়ে উঠত আন্দ্রিয়া?
নাকে এসে ধাক্কা লাগল বিরিয়ানির ঘ্রাণ আন্দ্রিয়া এডউইনকে ছেড়ে হাড়িতে তাকাল এডউইনের বিরিয়ানি রান্না শেষ পর্যায়ে।
” আপনি বিরিয়ানি করেছেন!আমার বিশ্বাস হচ্ছে না কিসব পুষ্টিকর খাবারের নাম করে চংভং খেতে দেন এসব আমার মোটেও ভালোলাগে না।”
” ওসব হেলদি কুইন।মাঝে মাঝে বিরিয়ানি খেতেই পারো সমস্যা নাই।”
এডউইন হাতের তোয়ালে নিয়ে আন্দ্রিয়ার চুল মুছতে লাগল যখনি চোখে পড়ল গালের দাগ গুলো তখনি আলতো হাতে দাগগুলো ছুঁয়ে দিল।
” ব্যথা লাগছে কুইন?”
” লাগছে তো।”
এডউইন আন্দ্রিয়ার গলায় ঘাড়ে হাত বুলিয়ে দিল।এডউইনের ভালোবাসার চিহ্নগুলো মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে এতটা বাড়াবাড়ি না করলে হতো না?এডউইন নিজেকে নিজেই গালি দিল আলতো ঠোঁটে চুমু খেল আন্দ্রিয়ার ঠোঁটে।মেয়েটার ঠোঁটের কোনায় কালচে দাগ পড়েছে।
” ব্যথা করছে?ওখানে বসো বরফ আনছি।”
আন্দ্রিয়া বসলো না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল সে এডউইনকে পর্যবেক্ষণ করতে ব্যস্ত।চটজলদি হাতে বরফ এনে আন্দ্রিয়ার গলায় গালে লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল এডউইন।
” এখন লাগিয়ে দিচ্ছেন পরে তো আবার ঠিকি আঘাত করবেন।”
” করব না কুইন।এগুলো আঘাত নয় ভালোবাসা বুঝলে?”
” না।আগে তো ভালোবাসিনি ধারণা নেই।”
এডউইন আন্দ্রিয়াকে কিছু বলার জন্য উদ্যত হতে চোখ পড়ল সোফায় শুয়ে থাকা মাফিন আর নাটের দিকে।এডউইন তাজ্জব বনে তাদের দিকে তাকিয়ে, নাট মাফিনের গলায় গালে জিহ্ববার সাহায্যে আদর করছে তাদের রোমান্টিক মুহূর্তটা দেখে এডউইন বেশ বিব্রত হলো।এডউইনের চাহনি অনুসরণ করে আন্দ্রিয়া পেছনে তাকাতে দেখতে পেল মাফিন আর নাটের কাণ্ড।আন্দ্রিয়া আচমকা হেসে উঠল হাসতে হাসতে এডউইনের পা জড়িয়ে বসে পড়ল সে।
” যেমন গুরু তেমন তার শিষ্য এটা আমি কি দেখলাম এডউইন?অবুঝ প্রাণিগুলো আপনাকে দেখে দেখে রোমান্স শিখে ফেলেছে।”
এডউইন আন্দ্রিয়ার হাসিতে ঠোঁট বাঁকিয়ে এগিয়ে গেল মাফিনের দিকে।এডউইন নাটের ঘাড় ধরে টেনে তুলল মাফিনের উপর থেকে সঙ্গে সঙ্গে মিয়াও মিয়াও শব্দে চেচিয়ে উঠল নাট।
” আমার খেয়ে আমার পড়ে আমার সামনে রোমান্স?একটু লজ্জা শরম কি নেই তোমাদের?”
” মিয়াও মিয়াও।”
” চুপ কর।এসব আড়ালে গিয়ে করতে হয় আমার সামনে করবে না।”
” মিয়াও মিয়াও মিয়াও।”
” সভ্য হবে কবে?অসভ্য হয়ে যাচ্ছো দিন দিন আর মাফিন তোমাকে বলছি সুযোগ পেয়েই চিটপটাং!একটুতো লজ্জা রাখো নিজের।”
মাফিন উঠে এক দৌঁড়ে পালাল এডউইন ছেড়ে দিল নাট’কে।নাট অতিদ্রুত পিছু নিলো মাফিনের।
হাতে বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে বসে আছে সাবা।তার সম্মুখে আছেন পাঁচজন শিক্ষক সাবা আন্দ্রিয়ার বন্ধু সে ঢাকাতেই থাকে।আন্দ্রিয়া মূলত ঢাকায় এসে তাদের বাসায় থাকার কথা ছিল কিন্তু ঢাকায় এসেই মেয়েটা নিখোঁজ কি অদ্ভুত সমীকরণ।সাবা আজ মার্ভেলাসে এসেছে গানের ক্লাসে জয়েন হতে ইতোমধ্যে তার ভর্তি কার্যক্রম সব শেষ।গানের শিক্ষক ব্রিক সাবার সব কাজ সম্পূর্ণ করে নিজের ক্লাসে চলে গেলেন।এলফ্রেড সাবার পানে তাকিয়ে বলেন,
” আন্দ্রিয়া বন্ধু হিসেবে কেমন?”
” ভালো।সে একটু অন্যরকম মানে নিজে যা বুঝেছে বা নিজের যা ইচ্ছা তাই করে সে সবসময় নিজেকে আগে প্রাধান্য দেয়।”
” যেদিন নিখোঁজ হলো সেদিন রাতে তোমার সাথে ওর যোগাযোগ হয়েছে?”
” হ্যাঁ বাস থেকে নেমে বলল পৌঁছে গেছে এরপর যতবার তাকে ফোন করলাম পাওয়া গেল না।”
গ্রেস সাবাকে কিছুক্ষণ পরখ করে বলেন,
” ওর চাচা চাচিরা কেমন?মানে ওর প্রতি তাদের আচরণ কেমন?”
” ওর চাচা চাচি ওঁকে ভীষণ আদর করেন আন্দ্রিয়া নিজের মতো করেই চলে।যেমন মার্ভেলাসে ভর্তি হওয়ার ভুত চেপেছে সে ভর্তি হয়েছে আবার কয়েকদিন আগে মানে নিখোঁজ হওয়ার আগের সাপ্তাহে একটা নাচের স্কুলেও ভর্তি হয়েছে।যখন যা মন চায় সে সেটাই করে এক কথায় তার জীবনে ধরা বাঁধার কিছু নেই।”
ডেরিক কফি শেষ করে গলা ঝেরে বলেন,
” যা হয়েছে তা নিয়ে আর কথা বাড়ানো কি খুব বেশি জরুরি?এসব টপিক বাদ দাও মামনি।তুমি বরং তোমার ক্লাসে মনোযোগ দাও যার যাওয়ার সে গিয়েছে।”
ডেরিকের এমন মন্তব্যে মার্টিন সহ বাকিরা ভীষণ বিরক্ত হলো।একটা মেয়ের মৃত্যুতে এই ডেরিকের বিন্দু মাত্র শোক নেই অদ্ভুত তো!হঠাৎ সাবা চমকে বলে,
” আন্দ্রিয়া ঢাকায় আসার ব্যাপারে আপনাদের মধ্যে একজন শিক্ষক বেশ ভালো করেই জানতো সে যে ঢাকায় আসছে। তাছাড়া আন্দ্রিয়াকে ভীষণ সাপোর্ট করেছে।এক কথায় তার সহযোগীতায় আন্দ্রিয়া ঢাকায় আসার অনেকটা সাহস পেয়েছে।”
মুহূর্ত সবাই নড়ে চড়ে বসল।মার্ভেলাসের কোন শিক্ষক আন্দ্রিয়াকে সাহায্য করবে?ডেরিক মার্টিন আন্দ্রিয়ার ক্লাস পায় এই ছাড়া আর কেউ তার ক্লাস পায় না।গ্রেস ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়ল,
” মার্ভেলাসের শিক্ষক?কে সে?”
” নাম তো আমি জানি না। আমি চিনি না তবে আন্দ্রিয়া তাকে ডিয়ার স্যার বলেই ডাকতো।”
মার্টিন ভ্রু কুচকে ফেলল ভীষণ অবাক কণ্ঠে বলল,
” ডিয়ার স্যার?”
” জি সে ডিয়ার স্যার বলেই ডাকে।”
উপস্থিত চার জন স্যারে হাব ভাব চার রকমের।এই প্রতিষ্ঠানের এক বিন্দু পরিমান কোন কথা বা বিষয় একে অপরকে জানানো হয় তাহলে মার্টিন কিংবা ডেরিক কেউ তো বলেনি আন্দ্রিয়া ঢাকায় আসার ব্যাপারটা তারা জানত।তারা এই কথা কেন আড়াল করল?সাবা গ্রেসের দিকে তাকিয়ে পুনরায় বলে,
” আন্দ্রিয়ার সাথে গ্রেস স্যার আপনার তো ভীষণ ভালো সম্পর্ক ছিল তাই না? সে তো পেইন্টিং ক্লাসে ভর্তি হবে বলেও জানিয়েছিল।”
” ইয়ে মানে তুমি…”
গ্রেস কিছু বলার আগেই ডেরিক বিরক্ত কণ্ঠে বলে,
” সাবা তোমার কাজ শেষ মামনি তুমি যাও আমাদের ক্লাস আছে।কাল যথা সময়ে চলে আসবে।”
সাবা আর দাঁড়াল না সবার কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে চলে গেল সে।এই মেয়েটা যাওয়ার আগে সবার মনে গেঁথে গেছে সন্দেহের বিজ।সেই ডিয়ার স্যারটা কে?সত্যিই সে কোন মার্ভেলাসের শিক্ষক?নাকি মার্ভেলাসের সাথে তার কোন যোগসূত্র আছে?নাকি আন্দ্রিয়া সাবার কাছে মিথ্যা গল্প বলেছে?ডেরিকের ঘামাক্ত মুখখানি দেখে মার্টিন বলে,
” ডেরিক আপনি এই সম্পর্কে কিছু বলতে চান?”
” হ্যাঁ চাই প্লিজ এসব বন্ধ করুন।আন্দ্রিয়ার মৃত্যু নিয়ে আর কোন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করবেন না।”
” একটা মেয়ে মারা গেল তাও কি না রহস্য নিয়ে সেই সত্যটা আমরা খুঁজে দেখব না?শুরুতে আরেকটা মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে তার তো লাশও পাওয়া গেল না।সেও আমাদের প্রতিষ্ঠানের।”
মার্টিনের মতামতকে গুরুত্ব দিলেন না গ্রেস তিনি তাচ্ছিল্য হেসে বলেন,
” আন্দ্রিয়ার কেস তার ফ্যামিলি তুলে দিয়েছে আমরা বাইরের কেউ হয়ে এত মাথা ব্যথা না দেখানোই ভালো।আমি চাই এসব এবার ক্লোজ হোক।”
সবাই একমত পোষণ করলেন।আন্দ্রিয়ার মৃত্যু সবার মাঝে জটিলতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কি অদ্ভুত পরিস্থিতি!
রাত বাড়ল এডউইন বিছানা গুছিয়ে আন্দ্রিয়াকে ডাকল ঘুমাতে অথচ আন্দ্রিয়া অন্য কক্ষে ইতোমধ্যে কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে পড়েছে সে আজ থাকবে না কিছুতেই এডউইনের সাথে ঘুমাবে না।এডউইন আন্দ্রিয়াকে না পেয়ে পাশের কক্ষে যেতেই দেখতে পেল আন্দ্রিয়া শুয়ে আছে,
“তুমি এখানে কেন? ”
” আমি আজ এখানেই ঘুমাব এডউইন।আপনি ওই রুমে ঘুমাবেন।”
” কিন্তু কেন?”
” সব সময় মন মানসিকতা এক থাকে না।আজ আমরা আলাদা ঘুমাই প্লিজ আপনি যান অন্য রুমে।”
” তোমার খারাপ লাগলে ওকে ফাইন আমি তো জোরাজোরি করছি না।তুমি ঘুমাও আমি ঘুম পাড়িয়ে দেব কিন্তু আলাদা রুমে ঘুমাতে বলবে না আমি পারব না।”
আন্দ্রিয়া ঠোঁট চেপে হাসল সে তো চায় এডউইনকে জব্দ করতে।আজ এডউইনকে একা ঘুমাতে বাধ্য করবে যে করেই হোক।
” এডউইন প্লিজ ওয়াইফের কথার গুরুত্ব দিতেই হয় তবেই ভালোবাসা বাড়বে।”
‘ লাগবে না ভালোবাসা বাড়ানো যা আছে যথেষ্ট, আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও কমবে না।এবার বলো তুমি যাবে না?”
” না।”
” সত্যিই যাবে না?”
” না।”
” আন্দ্রিয়া মেরি, মাই কুইন ভালোবেসে ডাকছি চলো।”
” এডউইন প্লিজ আপনি যান আমাকে একা থাকতে দিন।”
” একা থাকবে?”
” হুম।”
” ঠিক আছে থাকো।আমি বিরক্ত করব না।”
এডউইন মুখটা কেমন বিষণ্ণ করে চলো গেল।আন্দ্রিয়া বিজয়ের হাসি হাসল আন্দ্রিয়া মেরি এডউইন উইলসকে জব্দ করেছে এবার থাকো তুমি একা একা।
আন্দ্রিয়া কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে পড়ল।তবে একটুপরেই আগমন ঘটে এডউইনের।এডউইনের কোলে বিশাল আকৃতির একটি পাইথন সাপ।সাপটি আন্দ্রিয়ার থেকেও বড়।বাদামি রঙের সাপটা এডউইন আন্দ্রিয়ার পাশে রেখে দিল সাপটাও মাথা তুলে আন্দ্রিয়ার দিকে তাকাল।মুহূর্তে চেচিয়ে উঠল আন্দ্রিয়া তার চিৎকারে প্যালেসের ঘুমন্ত পাখিরা উড়া উড়ি শুরু করেছে নিস্তব্ধ পরিবেশে আন্দ্রিয়ার চিৎকার প্যালেসের প্রতিটা কোনায় বারি লাগছে।আন্দ্রিয়া ছুটে এসে এডউইনকে জড়িয়ে ধরে।
এডউইন আমোদে বলল,
” একা থাকবে কেন পাইথন তোমার সাথে থাকুক তাই ওকে পাহারাদার হিসেবে আনলাম।”
আন্দ্রিয়া কাঁদতে কাঁদতে হেচকি তুলে ফেলেছে এডউইন আন্দ্রিয়াকে টেনে পাইথনের পাশে বসালো এবং তার ঘাড়ে তুলে দিল প্রকাণ্ড সাপটি।সাপ নিয়ে সবারি মনে ভয় আছে ছোট খাটো সাপ দেখলে যেখানে সারা শরীর শিউরে উঠে সেখানে এত বিশাল সাপের সংস্পর্শে এসে আতঙ্কে আন্দ্রিয়া ইতোমধ্যে চেতনা হারিয়ে ছিটকে পড়েছে। এডউইন দ্রুত হাতে পাইথনকে সরিয়ে আন্দ্রিয়াকে কোলে তুলে নেয়।
টেরিবেল পর্ব ২০
আন্দ্রিয়ার কপালে গালে চুমু খেয়ে বলে,
” আন্দ্রিয়া মেরি,মাই কুইন অল্পতে দম ফুরিয়ে গেল কেন?মনে রাখবে
কিং ইজ কিং, ওকে?”