টেরিবেল পর্ব ২৫

টেরিবেল পর্ব ২৫
অনুপ্রভা মেহেরিন

ভোরের আলো ফুটেছে সেই সাথে জ্ঞান ফিরেছে মালিহার সারাটা সময় পাপেট তার পাশেই ছিল।পাপেটের কালো চোখের মনি জোড়া অদ্ভুত ভাবে পরখ করছিল মালিহাকে।হঠাৎ মালিহার নাকে ধাক্কা লাগে সুঘ্রাণ এখানে আসার পর থেকে উটকো পঁচা কিংবা ফিনাইলের গন্ধ ছাড়া ভালো কোন গন্ধ নাকে প্রবেশ করেনি।পাপেটের হাতে কাছে একটি বাটি আর সেখানেই রান্না করা কিছু একটা দেখা যাচ্ছে।
” কেমন লাগছে?”
সারা শরীরকে জখমের পর জখম দিয়ে প্রশ্ন করছে কেমন লাগছে!পাপেটের এই প্রশ্নটা কাটা গায়ে নুনের ছিটা রূপে লাগল মালিহার কাছে মেয়েটা কোন মতে চোখ খুলেছে।

” ক্ষুধার্ত তুমি?”
মালিহা কয়েকবার চোখের পাতা ঝাপটালো পাপেট বাঁকা হেসে মালিহাকে চামচের সাহায্যে মাংস তুলে দিল।বোকা মালিহা সাত পাঁচ না ভেবে খাওয়া শুরু করল।খাওয়ার মাঝামাঝিতে পাপেট হো হো শব্দে হেসে উঠল বেচারা অনেকক্ষণ হাসি থামানোর চেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু আর পারা যাচ্ছে না।
” মালিহা কিসের মাংস খাচ্ছো তুমি?”
মালিহা প্রত্যুত্তর করে না অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে পাপেটের পানে।
” তোমার মাংস তুমি খাচ্ছো।এর স্বাদ কেমন?আমিও চেখে দেখব নাকি?”
পুনরায় পাতালপুরী কাঁপিয়ে হেসে উঠল পাপেট।মালিহা কয়েক সেকেন্ড দম খিঁচে গড়গড়িয়ে উগড়ে দিল পেটের সব।কি বিশ্রি কাণ্ড পাপেট তার সীমা লঙ্ঘন করছে মানুষ রূপি একটা জন্তু এই পৃথিবীর এক কোণের মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আন্দ্রিয়াকে ডাবল ডোজ ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে আজ পুনরায় প্যালেস থেকে বেরিয়ে পড়ল এডউইন।বৃষ্টির প্রকোপ কমেছে তবে বাতাসের দাপট এখনো কমেনি।ভেজা রাস্তায় গান চালিয়ে বেশ আরামে গান গাইতে গাইতে গাড়ি চালাচ্ছে এডউইন।আজ অভ্রের বাথডে পার্টি আছে।অভ্র বারবার করে বলেই দিয়েছিল আন্দ্রিয়াকে যেন নিয়ে আসা হয় কিন্তু এডউইন এমন কাজ কখনো করবে না আন্দ্রিয়ার প্যালেসের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই অবশ্য প্যালেসের বাইরে বললে ভুল হবে এই জঙ্গলের বাইরে যাওয়ারি অনুমতি নেই।
মধ্য রাতে অভ্রের নিরিবিলি বাড়িটা জমজমাট হয়ে উঠেছে।শহরের এক কোনে ধনিদের আজ আসর জমেছে অভ্রের বন্ধু থেকে শুরু করে তার বাবার বন্ধু কলিগ তার মায়ের কলিগ সবাই আজ নিমন্ত্রিত।অভ্রের বাবা একজন এএসপি তিনি ভীষণ অমায়িক মানুষ এই যে বাইরে থেকেই যতটা অমায়িক পেছনে পেছনে ছল চাতুর্যে টাকার পাহাড় গড়েছে।লোভ এমন একটা জিনিস এক নিমিষে মানুষকে ঘায়েল করতে প্রস্তুত।অভ্র অপেক্ষায় ছিল এডউইনের সেই সাথে সন্দিহান ছিল আন্দ্রিয়াকে আনবে তো?অভ্র বেশ কয়েকবার এডউইনকে ফোন করেছে কিন্তু বান্দা ফোন ধারার নামি নিচ্ছে না।

এডউইনের চকচকে অডি গাড়িটা থামল গেটের সামনে।বেশ ভাবসাব নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে এক নজরে পুরো আয়োজনে চোখ বুলাল।আশেপাশের মেয়েরা সবার নজর আটকালো এডউইনের পানে কেউ কেউ তো আবার কানাঘুষা শুরু করে দিয়েছে।এক দল বাঙালির মাঝে ভিনদেশী এডউইনকে দেখে কানাঘুষা করবে না?কালো ব্লেজার হাতে দামি ফোন নিয়ে ভীষণ ব্যস্ততা দেখাল এডউইন।অভ্র এডউইনকে দেখেই ছুটে এলো,
” তুমি আইসো।তোমারে দেহি কি যে খুশি হইছি।আন্দ্রিয়া কোনাই?”
” আজকে অন্তত ঠিকঠাক কথা বল।”
” ওমা আঁই কিচ্ছি?”
” অভ্র তোর নাকে ঘুষি পড়ার আগে নিজেকে সংযত কর।”
” ওহ, ওকে ওকে।টপিক চেঞ্জ আন্দ্রিয়া কোথায়?”
” আসেনি।”
অভ্রের হাস্যোজ্জ্বল মুখটা মুহূর্তে কালো মেঘে ঢেকে গেছে।
” আন্দ্রিয়াকে কেন আনলি না এডউইন?”
” আনার ইচ্ছে হয়নি আনিনি।”

” এসব কী এডউইন?মেয়েটাকে কি কারারুদ্ধ করেছিস?এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল আমার জন্মদিন আর সে… ”
” এমন একটা ভাব করছিস যেন…বাই দা ওয়ে বেশি রাগারাগি করলে আমি কিন্তু উলটা দিকে হাটা শুরু করব।”
অভ্র দমে গেল।এডউইন যা বলবে তাই করবে তাই সে মুখে কুলুপ এঁটে দিল।এই ব্যাপারে আর সে কোন কথাই বলবে না আন্দ্রিয়াকে পেয়েছে কি?এভাবে একটা মেয়েকে দিনের পর দিন বন্দি করবে!এডউইন চুপচাপ এগিয়ে গেল ভেন্যুর দিকে মুহূর্তে দেখলা হলো এডউইনের সৎ বাবা জিসানের সাথে।
” এডউইন কেমন আছো?”
” জি আঙ্কেল ভালো।”
” আন্দ্রিয়া আসেনি?”
” আসলে আমার পাশেই থাকতো।”

এডউইনের শটকাট জবাব অথচ জিসান চান এডউইন তার সাথে একটু ফ্রি হয়ে কথা বলুক তাদের সম্পর্কটা এমন ভাবে গড়ে উঠুক তারা যেন সত্যিকারের বাবা ছেলে।জিসান একটি জুসের গ্লাস নিয়ে এডউইনের হাতে দিলেন এবং নিজেও নিলেন,
” এডউইন একটা কথা তোমাকে বলতে চাই একটু আড়ালে আসা যাবে?এখানে খুব বেশি ক্রাউড।”
” চলুন।”
এডউইন জিসান হাটতে হাটতে কিছুটা আড়ালে গেল।জিসান আমতা আমতা করে শুধায়,
” আমার বড় ভাই মানে তোমার বড় আঙ্কেল আমাদের সেই রাজবাড়িটা দখল করতে চাইছে আই মিন কি বলতে চাইছি বুঝতে পারছো?”
” জঙ্গলের রাজ বাড়িটা নিয়ে উনি কি করবেন?”

” ওই বাড়িটাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে একটা হোটেল বানাতে চায় মানে কেউ যদি একরাত জঙ্গলে কিংবা বলা যায় প্রাসাদে কাটাতে চায় তার জন্য ওই বাড়িটা…মানে নতুন কিছু তিনি চাইছেন আর কি।”
জিসান এডউইনের পানে তাকিয়ে সম্পূর্ণ কথা গুছিয়ে বলতে পারলেন না।কথাগুলো কেমন এলোমেলো জড়িয়ে গেল।তিনি জানেন এই প্রাসাদ জুড়ে অর্থাৎ এই প্যালেস জুড়ে এডউইনের কতটা ইমোশন।এডউইন দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ল বাইরে থেকে যতটা নীরব ভেতরে ভেতরে ঠিক ততটাই রাগে জেদে ফাটছে।
” আমি আগেই বলেছিলাম টাকা দিয়ে দিব।টাকা আপনি কেন নিলেন না আঙ্কেল?”
” আমি টাকা চাই না এডউইন এটা আমি তোমাকে গিফট করেছি।”
” কিন্তু এই প্রাসাদটা আপনার দাদা কিনেছেন আর উনি আপনার বাবাকে দিয়েছেন।আপনার বাবা আপনাকে দিয়েছেন আপনি দিলেন আমাকে আর আমি এমন এক ব্যক্তি যে কি না আপনার রক্তের কেউ না।আপনার বড়ো ভাইয়ের এই প্রাসাদ নিয়ে হিংসা বিদ্বেষ থাকারি কথা যাই হোক উনাকে বলবেন যত টাকা লাগবে আমি দিব তবে প্যালেস আমার মানে আমার।”

” আমি আগেই বলেছি কিন্তু সে বলল তোমার সাথে একবার যোগাযোগ করতে চায়।”
” এডউইন উইলসনের এতটাও অহেতুক সময় নেই যে এসব নিয়ে কথা বলবে।”
এডউইন থামতেই নাওমি এসে হাজির হলেন অনেকদিন পর ছেলেকে কাছে পেয়ে একটুখানি তৃপ্তি মিশিয়ে হাসলেন।
” কেমন আছো এডউইন?”
” ভালো।”
” আন্দ্রিয়া আসেনি?”
” না।”
” কিন্তু কেন?”
” আমি আনিনি তাই।”
” তোমার কি মনে হচ্ছেনা তুমি বাড়াবাড়ি করছো?মেয়েটাকে এভাবে কতদিন আড়ালে রাখবে?”
” যতদিন প্রয়োজন।”

” আর কতদিন প্রয়োজন তোমার?ওর অস্তিত্ব সমাজের কাছে বিলিন করে দিয়েছো।তুমি যে জেনে বুঝে ক্রাইম করছো তা আমি জেনেও কিচ্ছু করতে পারছি না,আফসোস।”
এডউইন অবজ্ঞায় হাসল।তার মায়ের এসব আহাজারি তার ভীষণ মজা লাগছে শুধু কি মজা?ইচ্ছে করছে ভরা বাড়িতে এক্ষুনি সবার সামনে ডান্স করতে।
এডউইন কঠিন গলায় বলল,
” আমি ন্যায় অন্যায় বুঝিনা।আন্দ্রিয়া আমার কাছে আছে ব্যস এইটুকুই এনাফ।”
” এডউইন এবার তো বিয়ে করেছো সবার সামনে ওঁকে আনো।জানিয়ে দাও আন্দ্রিয়া মেরি জীবিত।”
” চুপ কর তুমি।আন্দ্রিয়া সবার সামনে এলে নিশ্চিত মরবে।”
” কে মারবে তাকে?”
“এডউইন উইলসন মারবে।”

নাওমি জিসান দুজনেই চমকে গেলেন এডউইন ঠিক কি বলছে কি বুঝাতে চাইছে?সে আন্দ্রিয়াকে মারবে!তবে আন্দ্রিয়াকে বিয়ে করল কেন?শুধুমাত্র নিজের লালসার জন্য?নিজের লালসা মেটাতে মেয়েটাকে এভাবে বন্দি করেছে এডউইন?নাওমির বুক কাঁপে মনে মনে জেদ চাপে আন্দ্রিয়াকে সবার সামনে আনবে আর এডউইন থেকে দূরে সরাবে।নাওমি যখন এসব ভাবছিল তখনি এডউইন ফিরে আসে আর নাওমির বাহুতে হাত রেখে ঘেড়ে মাথা ফেলে আহ্লাদী হয়ে বলে,
” আমার সোনা মম।আমাকে নিয়ে ভেবো না আর আন্দ্রিয়াকে নিয়ে একদম না।অতি বাড়াবাড়ি করলে তোমার প্রফেশনাল লাইফ আর… ”
” এডউইন তুমি তোমার মমকে হুমকি দিচ্ছো!”
” এডউইন উইলস হুমকি দেয় না দিতে পছন্দ করে না।আমি জাস্ট বললাম আমাদের নিয়ে ভেবো না।তোমার বোধহয় আর ভালোলাগছে না তাই না?তোমার কি নাতি নাতনি লাগবে?বাট সরি আমি এত তাড়াতাড়ি এসবে যাচ্ছি না আমার আন্দ্রিয়া ছোট্ট কুইন এসব দখল এক্ষুনি সামলাতে পারবে না।সে তো আমাকেই সামলাতে পারেনা।”
নাওমি এডউইনের হাতটা ছিটকে সরিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে যান, জিসান এর আগেই সরে গেছেন।এডউইন চারপাশে নজর ঘুরিয়ে ফিরে যায় অভ্রের কাছে।

মার্ভেলাসে ভায়োলিনের ক্লাস করা নিয়মিত ছাত্রী শ্রাবন্তি নিখোঁজ।তার নিখোঁজ সংবাদটা হুড়মুড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে আজ আবার মার্ভেলাস থেকে ছাত্রী নিখোঁজ ব্যাপারটা নিয়ে সবার মাঝেই বেশ চিন্তা দেখা যাচ্ছে।শ্রাবন্তির বাবা মা এসে ভীষণ কাঁদছেন জানা গেছে মার্ভেলাস থেকে ক্লাস করে মেয়েটা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই নিখোঁজ।এই শহরে একেরপর এক অস্বাভাবিক কাণ্ড ঘটে চলছে কিন্তু জোরদার তৎপরতার অভাবে কালপিট হাওয়া লাগিয়ে ঘুরছে।

অনেকটা সময় পার হলো প্রত্যেকে নিজেদের ক্লাস শেষ করে বসলেন অফিস কক্ষে।গ্রেস, ব্রিক,ডেরিক,এলফ্রেড, মার্টিন তাদের প্রত্যেকের চোখে মুখে আতঙ্ক এত এত মেয়ে গায়েব হচ্ছে যাদের সাথে মার্ভেলাসের নাম জড়িয়ে।আর এবারের কেস তো পুরোটা মার্ভেলাসের উপরেই পড়বে মেয়েটা মার্ভেলাস থেকে বাড়ি ফিরছিল চারদিকে সবাই মুখে মুখে মার্ভেলাসের নাম আওড়াবে।কোন তুখোড় মস্তিষ্কের সাংবাদিক তো তুড়ি বাজিয়ে ধরে ফেলবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন জেলা থেকে নিখোঁজ হওয়া মেয়েরা মার্ভেলাসের শিক্ষার্থী কেউ অনলাইনের কেউ বা অফলাইনের।এসব কথা বিশ্রি ভাবে রটার আগে তৎপর হতে হবে।
ব্রিক চিন্তিত কণ্ঠে বলেন,
” এসব যা হচ্ছে ভালো হচ্ছে না।মার্ভেলাস থেকেই এত মেয়ে নিখোঁজ।হ্যাঁ এটা কাকতালীয় হতে পারে তাই বলে সাম্প্রতিক যারা নিখোঁজ হচ্ছে কেউ না কেউ মার্ভেলাসের ছাত্রী।”
মার্টিন দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলেন,

” আর নয় আমাদের উচিত পুলিশের সাহায্য নেওয়া।পুলিশ পারবে আমাদের এসব থেকে রক্ষা করতে।”
গ্রেস সহমত পোষণ করে বলেন,
” একদম ঠিক বলেছো মার্টিন পুলিশ তদন্তের জেরে আসার আগেই আমরা পুলিশের কাছে আমাদের সন্দেহের কথা জানাব।”
সবাই সহমত পোষণ করলেও ডেরিক এই ব্যাপারে ছিল একদম চুপচাপ।তিনি চান না এখানে পুলিশ আসুক আর তদন্তে লেগে যাক।প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে মুখটা কুচকে ডেরিক বলেন,
” হাস্যকর,বড়ো বড়ো প্রতিষ্ঠান অন্যায় করেও অন্যায় ঢাকার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা অফার করে আর আমরা সেধে সেধে বিপদ ঘাড়ে আনছি?আমি তোমাদের সাথে একমত নই।”
ডেরিকের কথা এলফ্রেড অবাক না হয়ে পারলেন না।এখানে বসে থাকা প্রত্যেকটা ব্যক্তি সৎ ন্যায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করে সেখানে ডেরিকের হাবভাব বড্ড স্বার্থপর।
” শুনো ডেরিক আমি তোমার কথার সাথে একমত হলাম কিন্তু একবার ভাবো আমরা জেনে বুঝে অন্যায় সহ্য করতে পারব না।সামনে আমাদের ছুটি আমরা সবাই নিজ নিজ দেশে ফিরে যাব তখন কিছুই করতে পারব না।এখন সুযোগ আছে আসল অন্যায়কারীকে খুঁজে বের করা।”

মার্টিন ঐকমত্য হয়ে বলেন,
” ইয়েস,ইউ আর রাইট এলফ্রেড।এখানে আমরা একা নই দারোয়ান কেয়ারটেকার থেকে শুরু করে যারা যারা আমাদের সাথে কাজ করছে মানে তরুণ তরুণী যারা আছে তারাও এসবে জড়িয়ে থাকতে পারে।আমাদের উচিত পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা।”
ডেরিক সবার কথায় নিজের মতামত জোরদার ভাবে কাজে লাগাতে পারলেন না।সবাই যখন এক জোট তখন তিনি ভিন্ন থাকলে সন্দেহের তীর তার দিকেই আসবে তাই তিনি স্মিত হেসে বলেন,
” ঠিক আছে তবে তাই হোক।পুলিশকে জানাও।”
কালো মেঘে ছেঁয়ে গেছে সমস্ত আকাশ বিকট শব্দে আকাশ ডাকছে সেই সাথে ডাকছে মঞ্জুর পেট।পেটের ভেতর কেমন গুড়গুড় শব্দ হচ্ছে।ইতোমধ্যে তার কানেও এসে গেছে মার্টিন স্যার আর এলফ্রেড স্যার মিলে পুলিশের কাছে গেছেন।মঞ্জু গেটের সামনে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না একটা সিগারেট ফুঁকলে শান্তি লাগত।পাশের জনকে দায়িত্ব দিয়ে মঞ্জু রাস্তার কোনা ধরে হাটতে লাগলেন সিগারেট ধরিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পাইচারি করলেন।অবশেষে ফোন এলো সেই কাঙ্খিত ব্যক্তির।
মঞ্জু এক মুহূর্ত দেরি না করে ফোন তুলল,

টেরিবেল পর্ব ২৪

” হ্যালো স্যার।”
” মঞ্জু শুনেছো কিছু?”
” জি স্যার শুনছি। পুলিশের নাম কি মার্টিন স্যার তুলছেন?”
” না এবার সবাই এক জোট হয়ে তুলেছে।”
” ইতর তো মার্টিন স্যার ছিল।বেটা কিছু হইলেই পুলিশ ডাকে ওনার নাচনি দেখে বাকি স্যাররাও নাচ দেখাচ্ছে এবার পুলিশ আনবে সবাইকে জেরা করবে কি যে হবে স্যার।আমার তো হাত পা কাঁপে কোথা থেকে কি ফেঁসে যাই।”
” ভয় পাবে না মঞ্জু।একদম ভয় পাবে না।এসব থেকে কয়েকদিন দূরে সরে যাও।কেউ যেন সন্দেহ করতে না পারে।”
” জি স্যার।”

টেরিবেল শেষ পর্ব