তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩২

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩২
ফারহানা নিঝুম

রুমজুড়ে পিনপতন নীরবতা একটা গভীর, গুমোট নিস্তব্ধতা যেন সমস্ত শব্দকে গিলে ফেলেছে। জানালার ফাঁক গলে ঢুকছে ম্লান বিকেলের শেষ আলোটা। ধুলোমাখা সোনালি রোদের রেখা দু’জন মানুষের মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে,তবু তাতে উষ্ণতা নেই, কেবল একরাশ অতৃপ্তি।
নিহাল বসে আছে চোখে এক অপার ভালোবাসা নিয়ে, যেন মেয়েটার প্রতিটা নিঃশ্বাসে নিজের প্রাণ রেখে দিয়েছে। তার দৃষ্টিতে আশ্রয় খোঁজা, গভীর মায়া, আর একরাশ অপেক্ষা যেটার কোনো শেষ নেই।
আর নূপুর? সে চুপচাপ, স্থির। চোখ দুটো যেন কুয়াশা ঢাকা নদী যেখানে ভালোবাসার কোনো প্রতিফলন নেই, আছে শুধু অপরাধবোধের ছায়া। তার দৃষ্টি ঠিক ছেলেটার চোখে নয়, বরং তার চোখের ভিতর দিয়ে কাউকে খুঁজে ফেরে সে, যে তার হৃদয়ের আসল অধিপতি।

এই মিলন যেন দুই বিপরীত স্রোতের মুখোমুখি হওয়া যেখানে ভালোবাসা আছে, তবু একতারা বাজে না। এই নীরবতা আর চোখের ভাষা একটা অসম প্রেমের সবচেয়ে সুন্দর অথচ কষ্টের প্রতিচ্ছবি।
“নূপুর আমার অনূভুতি বা ভালোবাসা যাই বলো আমি তা কখনোই তোমার সামনে প্রকাশ করিনি। এক মাত্র তাশফিন ছাড়া কেউই জানতো না। কিন্তু আজকে আমি চাই তুমি জানো, আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি?”
সহসা কেঁদে ফেলল নূপুর।সে নিহালের ভালোবাসা কে সম্মান করে।করতেই হবে, কারণ লোকটা কখনোই তার খারাপ আচরণ করেনি আর না কখনো নিজের ভালোবাসা দেখিয়েছে।
নূপুরের কান্না অস্থির করে তুলেছে নিহাল কে।
“নূপুর কি হয়েছে? কাঁদছো কেন তুমি?কি হলো বলো আমাকে?”
শব্দ করে হেঁচকি ওঠা শুরু হয় নূপুরের। কম্পিত সুরে বলল,
“আমি.. আমি আপনাকে ভালোবাসি.. ভালোবাসি না নিহাল ভাইয়া!”
বরফের ন্যায় শরীর জমে যায় নিহালের।থমকায় সে। নূপুর ফের বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আমি ভালোবাসি না। আমি সাইফুল কে ভালোবাসি।নিহাল ভাইয়া আমি চাই নি আপনাকে অপমান করতে,বা আপনার ভালোবাসা কে অপমান করতে। আমি.. আমি কি করবো জানি না!”
নিহালের প্রাণ টা যেনো কেউ ছিঁড়ে বের করে নিয়ে আসছে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে তার। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে তার।সে কি কষ্ট পাচ্ছে?খুব যন্ত্রনা হচ্ছে বুকের বাঁ পাশে।
“মানে? নূপুর কি বলছো এগুলো? সাইফুল..
“আমি ওনাকে ভালোবাসি, আম্মু জানে সবটা। এখন হঠাৎ করে এসব হয়ে যাবে আমি ভাবতে পারিনি। আমি জানতাম না আপনি আমাকে..সরি আমি..
কথা গুলো আটকে আসছে নূপুরের, এদিকে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে হাঁসফাঁস করছে। থাকতে পারলো না সে,কাশি শুরু হয়েছে তার।বুকে হাত মালিশ করতে করতে বেরিয়ে এলো সে।

সেদিনের পর আর কখনোই নূপুরের কাছে নিজের ভালোবাসার কথা জাহির করেনি নিহাল।আর না তার বিয়েতে বাঁধা দিয়েছে। আচ্ছা পূর্ণতা না পেলে কি ভালোবাসা যায় না?নিহাল আজও গোপনে ভালোবাসে নূপুর কে। ভীষণ আদর করে মাহির কে।হোক না সে অন্য কারো, আড়ালে আবডালে থেকেই না হয় তাকে আজীবন ভালোবেসে যাবে।
“নূপুর নেমে এসো,কি হলো কি ভাবছো তুমি?”
অনেকক্ষণ ধরে ডেকে চলেছে নিহাল,অথচ নূপুরের সাড়া শব্দ নেই। অবশেষে শুনতে পেলো সে। অতীতে এমন ভাবে ডু বে ছিল, আশেপাশে কি ঘটছে কিছুই মনে নেই।

নিহাল দায়িত্ব নিয়ে মাহির কে ডক্টর দেখায়, ওষুধ পত্র সব কিনে নূপুর কে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে।এক পলক ফিরে নূপুর কে অস্বস্তিতে ফেলে না সে।তবে দূর থেকে লুকিয়ে দেখে চলে গেল নিজ পথে। হাপিত্যেশ করছে নূপুর। কষ্ট হচ্ছে তার, মাঝে মধ্যে মনে হয় নিহাল নামক মানুষটির সাথে সে যেনো অন্যায় করেছে।খুব করে কষ্ট লাগছে তার। অনেক প্রেমিক তো দেখেছে সে। কখনোই ভালো বিহেভিয়ার করে না। নিজের মনমতো মানুষ টি কে না পেয়ে পাগলামি করে, কখনো কখনো তো সেই ভালোবাসার মানুষটির ক্ষতি করে ফেলে। সেখানে নিহাল নূপুর কে আর কখনোই বিরক্ত করেনি, কষ্ট দেয়নি।

সন্ধ্যা হয়ে এসেছে প্রায়। সূর্য্যি মামা পাড়ি জমিয়েছেন পশ্চিম আকাশে। লালচে আবরণে মাখো মাখো প্রকৃতি।
হালকা শীতল বাতাস গায়ে এসে লাগছে, এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা এনে দিচ্ছে মনজুড়ে। রাস্তার বাতিগুলো টিমটিম করে জ্বলছে, যেন ক্লান্ত চোখে রাতের নিস্তব্ধতা দেখছে। দূরের কোনো বাড়ির জানালা দিয়ে ক্ষীণ আলো বেরিয়ে আসছে, কিন্তু তার চারপাশের অন্ধকার এত গভীর যে সেই আলোও যেন হেরে যাচ্ছে। আকাশে টলমলে রুপালি চাঁদ, তার কোমল আলো ছড়িয়ে দিয়েছে ধরণির সর্বত্র। গাছের পাতায়, নদীর জলে, ঘাসের ডগায় ঝরে পড়েছে সেই রুপালি আলোর কুয়াশা। রাতটা যেন নিস্তব্ধতার মাঝে এক গভীর মায়াবী সুর তুলে বাজিয়ে যাচ্ছে।
পাখিরা নিদ্রায়, বাতাসও যেন আজ একটু ধীর, একটু শান্ত। এমন রাতে হৃৎপিণ্ডে জমে ওঠে না বলা কথা, দূরের কারো কথা মনে পড়ে যায় অজান্তেই।
জানালার কাছে চুপটি করে বসলো ফারাহ।তাশফিন ফিরেছে সবে,এই তো নিচে খেতে গিয়েছে। ফারাহ ইচ্ছে করেই গেলো না,খেতে ইচ্ছে করছে না তার। বিরক্ত লাগছে খুব।তাশফিন কি তাকে একটুও ভালোবাসে না?কই কৃষ্ণপুরে থাকা কালীন তো কত্ত পাগলামি করতো!
খট করে দরজা খুলে ভেতরে এলো তাশফিন।তার উপস্থিতি টের পেয়েও চুপ রইল ফারাহ।

“মিসেস শেখ!”
প্রত্যুত্তর করলো না ফারাহ। নিশ্চুপ ভঙ্গিতে বসে আছে। এগিয়ে গিয়ে ব্যালকনিতে রাখা সোফা সেটের টেবিলের উপর প্লেট রেখে দিল। ফারাহ ঘুরেও দেখলো না একবার।
“কি হলো খাবে না?”
“না ইচ্ছে নেই আমার?”
অভিমানী কন্ঠস্বর, ভীষণ হাসি পাচ্ছে তাশফিনের।
“কেনো ইচ্ছে নেই?”
জ্বা’লানোর জন্য বলে উঠে তাশফিন।
“খিদে নেই তাই।”
“খেতে হবে উঠো।”
উঠলো না ফারাহ,জেদ দেখিয়ে বসে রইলো একই ভাবে।সে ভেবেছিল তাশফিন চলে যাবে,আকস্মিক তাকে অবাক করে দিয়ে হাঁটুর নিচে হাত গলিয়ে চট করে কোলে তুলে নিল তাকে।তাশফিনের এহেন কান্ডে ভড়কে গেল ফারাহ।
“এই নিচে নামান আমাকে। নামান বলছি, আরে..
তাশফিন কারো কথা শুনতে বা আদেশ মানতে বাধ্য নয়।
সোফার উপরে বসিয়ে নিজেও বসে পড়ল তাশফিন। প্লেট নিয়ে ভাত মাখতে লাগল,চমকে তাকালো ফারাহ। লোকটা কি তাকে খাইয়ে দেবে?মোটেও খাবে না সে।

“হা করো।”
মুখ ডান দিকে বাঁকিয়ে নিল ফারাহ। সে খাবে না মোটেও।
“খাবো না বলেছি তো।”
“আমার দিকে তাকিয়ে বলো।”
ফারাহ সেই করলো,তাশফিনের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,
“আমি খাবো…
পুরুষ্ট ওষ্ঠো দ্বারা উষ্ণ ছোঁয়া পেয়ে চমকালো সে।
“এটা কি করলেন?”
তাশফিন নিম্নাষ্ট কাম’ড়ে হাসলো।
“তুমিই তো বললে খাবে।”
রেগে গেল ফারাহ, তিরিক্ষি মেজাজে বলে উঠে।
“আমি বলেছি, আমি খাবো..

পরপর দু’বার চুমু দ্বারা মুখ বন্ধ করে দিল তাশফিন। চুপসে গেল ফারাহ, ভয়ে আর কিছু বলার সাহস পেলো না। চঞ্চল কন্যা কে জব্দ করতে পেরে হাসলো তাশফিন। প্রথম লোকমা মুখে ধরে ফারাহর।
“একটাও কথা না বলে চুপচাপ খাও।”
অনিচ্ছা সত্ত্বেও খেতে হচ্ছে ফারাহ কে।খাওয়ার পাট চুকিয়ে প্লেট রেখে এলো তাশফিন। ফারাহ একই ভাবে ব্যালকনিতে বসে আছে। শরীরে উষ্ণ ছোঁয়া পেয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে তার অন্তঃস্থল। আলগোছে ফারাহ কে কোলে তুলে নিল তাশফিন। দু’হাতে মেদহীন উদরে হাত চেপে মুখ গুঁজে দিল ঘাড়ে।
“এত জেদ,এত রাগ কেন এই ছোট্ট শরীরে?”
“ছাড়ুন আমায়, সবসময় এমন করেন। অবহেলা!”
ঘাড়ে আলতো করে চুমু এঁকে দিল তাশফিন।
“অবহেলা না রে সুখ। আমি যদি কাছাকাছি আসি তাহলে যে বেসামাল হবো।আর আমি বেসামাল হলে তুমিই থামুন থামুন বলে চেঁচিয়ে উঠো।”
কপাল কুঁচকে নেয় ফারাহ,এখন কি সব দোষ তার?লোকটা ছুঁলেই তার সুড়সুড়ি লাগে। পরপর অনুভব করলো তার ঘাড়ে কোমল স্পর্শ।

লজ্জায় আড়ষ্ট হলো ফারাহ ‌।মেকি রাগ দেখিয়ে বসে রইলো।
“কি রে সুখ একটুও শান্তি দিচ্ছিস না!”
“দেবো না।”
“আচ্ছা বলো কি করলে রাগ কমবে?”
মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল ফারাহর।তাশফিন কে জব্দ করতে বলে উঠে,
“গান শুনাতে হবে।”
সশব্দে হেসে ফেলল তাশফিন।
“ব্যস এটুকুই?”
অবাক হলো ফারাহ,তবে কী কমান্ডার এখন গান গেয়ে শোনাবে তাকে?
“সত্যি?”
“গিটার টা নিয়ে এসো।”
ফারাহ এক গাল হেসে দৌড়ে গিয়ে দেয়ালে টাঙ্গানো বড় গিটার টা নিয়ে এসে পাশে বসলো।
তাশফিন ব্যস্ত হাতে সুর তুলে।ধীরে ধীরে তা নরম হতে লাগলো।

তুমি আছো আমার মনের ভেতর
তোমায় দেখার পর থেকে,
দুনিয়া কেমন বদলে যায়।
তোমার চোখে যেন স্বপ্নেরা,
নতুন করে জেগে ওঠে হায়।
তুমি আছো আমার মনের ভেতর,
চুপিচুপি বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
তুমি ছাড়া এই হৃদয়টায়,
কিছুই আর আজকাল ধরে না।
হাওয়ার সাথে বাজে তোমার গান,
নরম আলো ছুঁয়ে যায় প্রাণ।
তোমার হাসির ছোট্ট শব্দে,
জীবন খুঁজে পায় নতুন মানে।
তুমি আছো আমার মনের ভেতর,
তোমার মায়া এতো,
চুপিচুপি বৃষ্টি হয়ে ঝরে..হু..হুঁ..
তুমি ছাড়া.. এই হৃদয়টায়,
কিছুই আর আজকাল ধরে না।
হাওয়ার সাথে বাজে তোমার গান,
নরম আলো ছুঁয়ে যায় প্রাণ।
তুমি ছাড়া.. এই হৃদয়টায়,
কিছুই আর আজকাল ধরে না।

(গানটা আমার নিজের লেখা।এই গানের প্রতিটি লাইন ফারহানা নিঝুম তার লেখা।আশা করি কপি হবে না)
গালে হাত রেখে গান টা মন দিয়ে শ্রবণ করে ফারাহ। অতিশয় আশ্চর্য হয় সে।তার লেফটেন্যান্ট সাহেব যে শিল্পীদের থেকে কম নয়।গানের প্রতিটি লাইন যেনো তাকে উজাড় করে দিয়েছে তাশফিন।
শেষের দিকে এসে গিটারের টুংটাং শব্দ ধীরে ধীরে বাজাতে বাজাতে শান্ত স্বরে শেষের লাইন গুলো বলতে লাগলো। গিটারের সুর থামতেই দুহাতে তালি বাজিয়ে তুলল ফারাহ।
“ব্রিলিয়ান্ট। আপনি এত্ত সুন্দর গাইতে পারেন? কই আগে তো বলেন নি!”
হেসে ফেলল তাশফিন, গিটার টা সোফায় রেখে ফের কাছে টেনে নিল ফারাহ কে। আলগোছে ছুঁয়ে দিল তার গাল।
“আমি অনেক কিছুই পারি।সময় মতো দেখাবো।”
চোখ টিপে বলল তাশফিন,চোখ পাকিয়ে তাকালো তাশফিন। ইস্ কি লজ্জা!
“আপনি তো মহা পাজি লোক!”

ঘাড় ম্যাসাজ করলো তাশফিন, লম্বা নিঃশ্বাস টেনে আওড়াল।
“ঠিক কতটা পাজি সেটা না হয় সময় মতো দেখাবো।বাই দ্য ওয়ে রাত হয়ে এসেছে এটাই তো সময় কি বলেন মিসেস শেখ?”
খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো ফারাহ। ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখ করে তাকালো তাশফিন,মা’তাল করা হাসি টেনে বলে।
“চলুন ম্যাডাম এবার ঘুমাই!”
তাকে কোলে নিয়েই বিছানার দিকে এগিয়ে গেল তাশফিন। কপালে পরপর অনেক গুলো চুমু খেয়ে বললো।
“আগামীকাল আমরা একটা জায়গায় যাচ্ছি ম্যাডাম।রেডি থাকবেন।”
অবাক হয় ফারাহ, কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে কিন্তু তা আর হতে দেয়নি তাশফিন।বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে দু’জনেই।
“নো মোর ওয়ার্ড’স সুখ, আমি সত্যি খুব টায়ার্ড আজ।”
চুপচাপ শুয়ে আছে ফারাহ, তবে এটুকুতে থেমে নেই সে। সবসময় এই লুচু লেফটেন্যান্ট সাহেব তাকে জ্বালাতন করে আজকে সে করবে।

“উঁহু উঁহু ঘুমাবো না।এই রাতটা আইসক্রিম খাওয়ার।যান আইসক্রিম নিয়ে আসুন।”
ডান ভ্রু উঁচিয়ে তাকালো তাশফিন।
“তাই নাকি? ইচ্ছে করে জ্বালাচ্ছো ম্যাডাম! পরে সইতে পারবে তো?”
গাল ফুলিয়ে উঠে বসলো ফারাহ।
“আনবেন না আপনি?”
সহসা উঠে বসে তাশফিন।
“লেটস্ গো।”
ড্রয়িং রুম পুরোটা ফাঁকা, অন্ধকারে ডু’বে আছে তা
পা টিপে টিপে এগুচ্ছে দু’জনে। ফ্রিজের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো ফারাহ আর তাশফিন।
“ওপেন করো।”
ফ্রিজ টেনে খুলতেই অবাক হলো ফারাহ, ইতিমধ্যেই আইসক্রিম রয়েছে চকলেট ফ্লেভারের।
“আপনি আগে থেকেই এনে রেখেছেন?”

“ইয়েস মিসেস শেখ। এবার আপনি খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।”
মুচকি হেসে নিজের মনমতো আইসক্রিম পুরোটা শেষ করলো ফারাহ, ঠোঁটের নিচে একটুখানি লেপ্টে আছে তা। গভীর দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে তাশফিন, এতক্ষণে লক্ষ্য করেছে ফারাহ।
মিনমিনে গলায় শুধোয়।
“ওভাবে কি দেখছেন?”
“আমার পাওনা টা দিয়ে দিন মিসেস শেখ।”
“মানে?”

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩১

একটুখানি দূরত্ব ঘুচিয়ে দিলো তাশফিন,একে অপরের সহিতে মিশে গেলো। অপ্রত্যাশিত স্পর্শে নুইয়ে পড়ে ফারাহ।পিছুতে পিছুতে শেলফের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঝনঝন শব্দে কিছু বাসন পরে যায়।
ওষ্ঠো জোড়া তখনো আঁকড়ে ধরে রেখেছে ফারাহ, পরপর খৈ,হারায় ফারাহ ।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৩৩