মি মাফিয়া পর্ব ৩৫
সুমাইয়া সাবিহা
আফরান বের হয়ে এসে ফোন টা হাতে নিয়ে স্ক্রিন অন করে ফ্লাশ জ্বালাবে তখনি আরিয়া দুর্বল শরীর টাকে নিয়ে মূহুর্তে শুয়া থেকে চট করে উঠে বসে আফরানের দিকে শেষ বারের মতো অনুনয়ের চোখে তাকিয়ে মাথা টা দুদিকে নাড়িয়ে কিছু ইশারা করে,
এই দৃষ্টির ভাষা বুঝতে আফরানের অসুবিধে হয়নি , তাই ফ্লাশ না জালিয়ে আরিয়ার হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে মুখে বাধা উড়না টাও খুলে দিয়ে ক্ষীন আওয়াজে বললো , হুম ।
আরিয়ার এই শরীরে যেই টুকু শক্তি অবশিষ্ট আছে সেটা নিয়েই পাশ থেকে মায়ের ছেঁড়া অবশিষ্ট কাপড় খানা সামনে দেখেই সেটা নিয়ে পুরো শরীর ঢেকে নিয়ে খাট থেকে নামতে চায় ।
আফরান কোনো কথা না বলে আরিয়া কে কোলে তুলে ওয়াশরুমে নামিয়ে দিয়ে আসলো।
আমি দরজা টা আটকিয়ে শাওয়ার টা ছেড়ে দিয়ে হাতের মুঠোয় কম্বল টাকে খিচে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে নিজের এতোক্ষণের কষ্ট ভারাক্রান্ত হৃদয় টাকে কান্নার আবেশে ভাসিয়ে দিলাম । কেনো আমার জীবন টা এমন করে নষ্ট করে দিলেন ভাইয়া ? কি করেছি আমি আপনার সাথে? বলে বলে ডুকরে কেঁদতে লাগলাম ,চোখের সমস্ত জল পানির সাথে মিশে যাচ্ছে। আজকের এই দিনের জন্য আপনাকে খুব করে আফসোস করতে হবে দেখে নিয়েন ভাইয়া।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
চোখ খুলে চারদিক নিজেকে আবিষ্কার করলাম একটা রুমে ,শরীর টা ভিষন ধরে আছে , চারদিকে একবার চোখ ঘুরালাম রুম টা চিনতে আমার অসুবিধা হয়নি,
উঠে বসতে চাইলাম কিন্তু শরীরের ব্যাথায় অক্ষম হলাম ,
তন্মধ্যেই দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকালাম ।
সামিরা কে দেখে কেন জানিনা হঠাৎ বুকটা আতকে উঠলো , হকচকিয়ে উঠলাম ,এর মধ্যেই আয়শ ,জাফর চাচা সাথে সাদেক ভাইও আসলেন ।
সামিরা আসতে আসতে জিজ্ঞেস করলো :কোথায় গিয়েছিলি এমন না বলে ? যদি কিছু হয়ে যেতো? বলে সামিরা আমার পাশে বসলো।
জানিনা কেন এই মুহূর্তে আমার এই বাড়িতে প্রত্যেক টা মানুষ কে খুব ভয়ঙ্কর মনে হতে লাগলো ।
আমি শুয়া থেকে কাঁপতে কাঁপতে উঠে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে কাপা বললাম,আমার কাছে আসবেননা কেউ । আমি কিছু করিনি ।এখান থেকে চলে যান ।
আরিয়ার চোখ জোড়া লাল হয়ে আছে , চোখে পানি ভাসমান কিন্তু টপকে পড়ছে না ভিষন ভয় পেয়ে আছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। মুখের উপর দুহাতে ঢেকে মাথা টা খাটের সাথে গুজার চেষ্টা করছে আরিয়া লম্বা চুল গুলো এলোমেলো আছে ।
আরিয়ার এমন আচরণে হতবাক সবাই । আয়শ ভরকে গিয়ে কাছে এসে বললো ,আরু কি হয়েছে তোর ?
আরিয়া নিজেকে আরেকটু দুরে সরিয়ে বললো , প্লীজ এখান থেকে চলে যান সত্যি বলছি আমি কিছু করিনি।
সামিরা আরিয়ার একদম কাছে গিয়ে বললো ,ভয় পাচ্ছিস? আমি সামিরা ,দেখ আমায় ,এমন করছিস কেনো আরু? কি হয়েছে বল ?
আরিয়া:চলে যাও এখান থেকে তোমরা ।
জাফর সাহেবের চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরে ,বলেছিলাম না তোমাদের কে আফরান নিশ্চয়ই মেয়েটার উপর অত্যাচার করেছে । আমি দেখেই বুঝেছিলাম তোমরা তো বিশ্বাস করোনি ।এখন দেখো কি হয়েছে ।
সাদেক: আঙ্কেল তেমন কিছুই হয়নি ,হয়তো কিছু তে ভয় পেয়ে আছে ।ঠিক হয়ে যাবে একটু টাইম দিন পরে জিজ্ঞেস করা যাবে।
সামিরার চোখে পানি ,আরুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো ,আরু ভয় নেই কিছু করবো না তোকে ,আমি সামিরা দেখ ।
আরিয়া একটু সামিরার দিকে তাকালো ,
সামিরা বুঝিয়ে কোমল গলায় বললো : শান্ত হ কিছু করবো না তোকে এখানে আস।
আরিয়া ঠাস করে সামিরা কে ঝাপ্টে ধরে বললো ,ওনাকে বল চলে যেতে ,আমি ..আমি কিছু করিনি সত্যি বলছি ।আমাকে কেনো শাস্তি দিচ্ছে। বলে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো আরিয়া।
সাদেক: আঙ্কেল এই মুহূর্তে একটুর জন্য সবাই এখান থেকে চলে যান প্লীজ,উনি ভয় পাচ্ছে হয়তো সবাইকে।
আয়শ:কি হয়েছে আরুর? সবাইকে এমন ভয় পাচ্ছে কেনো? সাদেক তুই তো কম বেশি বুঝিস এসব বলে না কি হয়েছে।
সাদেক:উনি হয়তো ভয় পাচ্ছে আমাদের ,উনার সাথে হয়তো ভয়াবহ কিছু হয়েছে যার ফলে ওটাকে ভুলতে পারছেনা ।এই ধরনের মানুষ অনেক দেখেছি আমি ।
আয়শ :হুয়াট? কি বলছিস এসব? আফরান তো বললো বাড়ি গিয়েছিলো আসার পথে নাকি মাথা ঘুরে অজ্ঞেন হয়েছিলো।
জাফর সাহেব: বললেই ঐ ছেলেকে বিশ্বাস করে নিতে হবে? এখন তো আমি নিশ্চিত আমার মেয়েটাকে ঐ ছেলে এমন কিছু শাস্তি দিয়েছে ,,হয়তো খুব মেরেছে ,দেখছিস না বললো , শাস্তি না দিতে ।
আয়শ কি যেনো একটা ভেবে সামিরা কে বললো ,তুমি একটু ওর সাথে থাকো দেখো কিছু বলে কিনা ।
সামিরা : হুম।
সাদেক জাফর কে ধরে নিয়ে যায় ,আয়শ ও বেরিয়ে যায় ।
সামিরা দরজা টা লাগিয়ে দিয়ে এসে আরিয়ার মাথায় কিছুক্ষণ হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো , কিছু খাবি?
আরিয়া চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে চুপ করে শান্ত হয়ে ।
সামিরা: কিছু নিয়ে আসি?
আরিয়া:লাগবেনা।
আলিয়ার স্বাভাবিক কন্ঠ শুনে সামিরা আরিয়ার দিকে তাকালো । আরু কি হয়েছে বলবি?
আরিয়া আস্তে ধীরে উঠে বসে বললো, হেল্প করবি? আর কিছু তোর কাছে চাইবো না,একটা আবদার রাখবি?
সামিরা আরিয়ার স্বাভাবিক অবস্থা দেখে খুশিতে বলে উঠে:তুই ঠিক আছিস আরু? তখন এমন করছিলি কেনো? কোথায় ছিলি কাল?বাড়ি কেনো গিয়েছিলি কাউকে না বলে? নাকি ভাইয়া মিথ্যা বলেছে বলনা।
আরিয়া নিরেট গলায়: আমি তোকে কিছু বলেছি , হেল্প করবি কিনা সেটা বল।
সামিরা :কিসের কথা বলছিস রে? কিসের হেল্প লাগবো তোর?
আরিয়া:এই বাড়ি থেকে পালাতে সাহায্য করবি ।
সামিরা:হুয়াট? পাগল হয়েছিস? পালিয়ে কোথায় যাবি?
আরিয়া:যেদিকে গেলে একটু বাঁচতে পারবো নয়তো শান্তি তে মরতে পারবো।
সামিরা :পাগল হয়ে গেছিস? কিসব বলছিস? ভাইয়া তোকে আবার মেরেছে? এই কারনে বলছিস তাইনা।দেখ আরু ভাইয়া তোকে ভালোবাসে তাই….
এইটুকু বলতে আরিয়া বললো,অনেক হয়েছে আর কিছু বলবি? তুই হেল্প না করলে আমি নিজেই চলে যাবো ।
সামিরা:দেখ আরু পাগলামু করিস না । আর তোর মা বাবার কথা ভূলে যাচ্ছিস তুই ,ওনারাও আছে,কি অবস্থা হবে উনাদের ভেবেছিস? ভাইয়ার থেকে পালিয়ে কোথাও থাকতে পারবিনা সেটা তুইও জানিস। ভাইয়া তোকে খুঁজতে আকাশ পাতাল এক করে হলেও বের করে আনবেই। ভাইয়া তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে আরু তুই দেখতে পাচ্ছিস না কেনো ভাইয়ার….
আরিয়া মুখে বিদ্রুপের হাসি রেখা টেনে বললো ,রাইট বাট হালকা মিস্টেক,পাগলের মতো নয় সাইকো চিনিস? উনি সেই কাতারের একজন ,বাট ভালোবাসা এটা উনার সাথে যায়না ,আর কতো প্রমান দেখবি? দেখেও তোরা অন্ধ কেনো? হুয়াই?
সামিরা : দেখ আরু ভূল করছিস বুজতে ।
আরিয়া :রুম থেকে বের হয়ে যা নয়তো ভালো হবেনা । একা থাকতে দে ।
সামিরা :দেখ আরু….
আরিয়া চেঁচিয়ে বললো,বললাম না কারো কথা শুনার মতো ইচ্ছা আমার নেই ,এখন যেটা আমি বলবো সেটাই শুনতে হবে ওকে । গেট আউট নাউ ।
সামিরা আরিয়ার ধমকে চমকালো,কখনো তো এমন আচরন করেনি আরু আমার সাথে কেনো শুধু কারো সাথেই নয় ।আজ কি হলো?
আরিয়া এবার সামিরা কে এক হাত দিয়ে টেনে খাট থেকে নামিয়ে দিয়ে বললো ,কি বলি বুঝিস না?
সামিরা আর এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে থেকে বের হয়ে যায় ।
আফরানের পেছনে কয়েক হাত দুরে ৫/৬ জন বডিগার্ড ব্লাক জেকেটে হাটছে তাল মিলিয়ে । তানভীর প্রায় পাশাপাশি দ্রুত পায়ে আফরানের সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটছে উদ্দেশ্য আফরানের চেম্বারে যাওয়া ।
পরনের কোট টা খুলে তানভিরের দিকে ছুড়ে মারতেই তানভীর সেটা কেস করে নেয় ।
আফরান: Did you know who it was?
তানভীর: yes boss
আফরান: I want full details ।
তানভীর: আসলে সেদিন ভাবিকে যে ছেলেগুলো আটকিয়ে ছিলো ওরা কাজী মিসেস শবনম এর পাঠানো লোক ছিলো। উদ্দেশ্য ছিলো ভাবির সাথে আপনার কিসের সম্পর্ক সেটা জানা ,পরে ভাবি কে মেরে দেওয়া ।
আফরান তানভীরের কথায় হাটা থামিয়ে দুহাতের মুঠি বদ্ধ করে দাঁতে দাঁত পিষিয়ে বললো , who is shobnom? I will kill him ।
তানভীর অফরানের কথা শুনে কাঁপা গলায় বললো ,ks ইন্ড্রাস্ট্রির মালিক । সেদিন যে বিয়ে বাড়িতে দুটো ছেলেকে মেরেছিলেন ঐ ছেলে দুটির বড় বোন । প্রতিশোধ নিতে চায় ।শুনেছি ঐ মহিলার বেশ ভালো ভালো গেংস্টার দের সাথে হাত আছে ,,
আফরান বাঁকা হেসে বললো ,লেডিস ! ওহ গড,এখন আমার গার্লস দের সাথেও গেম খেলতে হবে।হাউ ফানি ।
আফরান : ওটার খবর নিয়েছিস?
তানভীর দরজা টা লক করে দিয়ে এসে বললো, স্যার ,জানতে পেরেছি কিন্তু এতোটা সহজ নয় ।
আফরান হাত থেকে ফাইল টা এক সাইডে রেখে রক্তিম চোখে তাকায়।
তানভীর ভয়ে জড়সড় হয়ে বললো ,আসলে আমরা জেনে গিয়েছি এটা এখনো মাহিন খান জানেনা ।জেনে গেলে সরিয়ে ফেলবেন তাই কাজ টা একটু ধীর ভাবে করা উচিৎ।
আফরান দাত দিয়ে নিচের ঠোট কামড়িয়ে ধরে কি যেনো একটা ভেবে বললো , আগামীকালের মধ্যে যেনো ওরা একদম সুস্থ হয়ে ফিরতে পারে ,,
তানভীর: কিন্তু বস ….
আফরান চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো সব গুলো ফাইলের উপর হাত মেরে ডেভিল হেসে বললো মুখের উপর কথা বলতে শিখে গেছিস দেখছি ,কি করা উচিৎ এখন তোকে বলতো ।
তানভীর মাথা ঝুঁকিয়ে নত শিকার করে বললো ,সরি বস ,নেক্সট হবেনা ।
আফরানের হাতে ছোট চাকু ,ওটার দিকে তাকিয়ে টেবিলের পাশে কেটে ধীর পায়ে আসতে আসতে বললো,এতো বছর ধরে আছিস তবুও চেনা হলো না আমায় ।
তানভীর বুঝলো এই বুঝি প্রান টা যাবে ।
আফরান তানভীরের কাছে এসে বাম হাত টা ধরে চোট চাকু টা দিয়ে শিরা টার একটু উপরে আস্তে ধীরে লিখতে শুরু করলো ,
L O S E R
তানভীর চিৎকার করছেনা চোখ বন্ধ করে পানি জড়িয়ে যাচ্ছে আর শরীর থেকে ঘাম সবেগে বেড়িয়ে পড়ছে ঠিক পানিতে ভিজে আছে মনে হচ্ছে। চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে ।
আফরান কিঞ্চিত রক্ত মাখা হাত চাকু টা তানভীরের সেই হাতেই ধরিয়ে দিয়ে বললো ,এখন ঠিক আছে তাইনা বল ।
তানভীর চোখ মেলে প্রথমে লেখাটার দিকে তাকায় । ফর্সা ত্বকে চোখ লাল হয়ে যাওয়া ঠিক বেমানান লাগছে তানভীর কে ।
আফরান তাচ্ছিল্যের হাসি টেনে পাশ থেকে কোটটা নিয়ে বের হয়ে যেতে নেয় আবারো কিছু একটা মনে করে ফিরে এসে বললো ,সন্ধার মধ্যে সকল কম্পানির প্রত্যেক স্মেল এর পারফিউম হাজির করবি । দেন আমাকে ইমেইল করবি আমাকে ওকে ।আমি ঠিক সন্ধ্যা ৬ টায় এসে চেক করবো। এর নড়চড় হলে কি হবে বুজতে পারছিস?
তানভীর ভাঙা গলায় জানায় ,ওকে ।
আফরান দরজার কাছে গিয়ে একটু আওয়াজ করে বললো , ফার্স্ট এইড বক্স আছে বাম দিকে দেখ ।
তানভীর আগে থেকেই আফরানের এই ভয়ঙ্কর রুপটার সাথে পরিচিত, কিন্তু কি বলবে সে তাকে ,যে অসহায় মূহুর্তে তাকে বাঁচার আশ্বাস দিয়েছিলো ,যে তাকে করুন মুহূর্তে আশ্রয় দিয়েছিলো ,যে হাজার টা বিপদ থেকে বাঁচিয়ে ছিলো তাকে, আজকের মতো কখনো এমন ব্যাবহার করেনি তার সাথে আফরান , কিন্তু যখন এমন করেছে নিশ্চিত মাথা গরম আছে আফরানের এখন কিছু নিয়ে যেটা ওর উপর মিটিয়েছে এটা বুজতে তানভীরের অসুবিধা হয়নি।হয়তো ভাবির সাথে আবারো কিছু হয়েছে নাহয় ভাবি আবারো ভূল করেছে ,যতোবার ভূল করে ততবারই তো কাউকে না কাউকে অফিসে এসে শাস্তি দিবেই।এটা তো আজ নতুন না । সেই থেকে এটা লক্ষ্য করছে তানভীর যেদিন থেকে আরিয়ার কথা জেনেছে ।
ঠিক সন্ধ্যা বেলা আফরান আসে।
তানভীর একহাত অপর হাতে ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে ।
একজন লোক সব গুলোর কেফ গুলো খুলে দিচ্ছে আর আফরান একেক করে সেগুলোর ঘ্রান শুকছে।
প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত এখানেই বসে আফরান একই কাজ করে যাচ্ছে, হঠাৎ করে হাতে হালকা পিংক রঙের একটা পারফিউম হাতে নিয়ে বলে উঠল ,ইয়েস ,এটাই ।
তানভীর আফরানের দিকে তাকায় এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বোরিং হচ্ছিলো বেচারা ।
আফরান: এটার কম্পানি তে গিয়ে খোঁজ নে কারা কারা ইউজ করে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে যারা যারা এটা নিয়েছে সবার নামের লিস্ট চাই কালকের মধ্যেই।
তানভীর কিছু টা নয় অনেক টাই অবাক হয় কিন্তু জিজ্ঞেস করার সাহস নেই ,,,কি করবে এটা দিয়ে? পারফিউম নিয়ে আবার কি হলো?
আফরান আর কিছু না বলে চুপ করে বেড়িয়ে যায় । তানভীর ও পিছনে পিছনে যায় , ড্রাইভ তো তাকেই করতে হবে । দুপুরে হাতের জন্য যায়নি আফরান ও কিছু বলেনি সেটা নিয়ে কিন্তু এখন আবার না গেলে নিশ্চয়ই কপাল টা পুরতে হবে এবার ।
তাই দৌড়ে আফরানের আগেই গিয়ে গাড়িতে উঠে ।
আফরান এসে গাড়িতে তানভীর কে দেখে কপাল কুঁচকে বললো ,পেছনে বস।
তানভীর:বস আসলে দুপুরে হাতের জন…
আফরান:কি বললাম শুনিসনি,পেছনে বস।
তানভীর আফরানের ধমক খেয়ে পেছনে গিয়ে বসে। নিশ্চয়ই জরুরি কোথায় যাবে ।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর তানভীরের ভাবনা পাল্টে যায় ,আফরান গাড়িটা নিয়ে ঠিক তানভীরের বাসার সামনে এসে থামিয়ে বললো ,Go
মি মাফিয়া পর্ব ৩৪ (২)
তানভীর অবাক হয় ,এই প্রথমবার তার বাড়িতে এসেছে ।
তানভীর নেমে একটু হেসে আফরানের সামনে গিয়ে বলতে লাগলো , স্যার আসুন না আমার বা……
কথা শেষ করার আগেই আফরান গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চোখের পলকে অনেকটা দূরে চলে যায়।
তানভীর অবাক তাকিয়ে থাকে, আফরান অবশ্য খানিক টা এমন সেটা তার অজানা নয় ।তারপর……