যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩১

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩১
মম সাহা

মৃদু বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘ কুঞ্জে আজ ঝড় হওয়ার আভাস। বাতাস বইছে সুন্দর। শির শির করে সেই বাতাস মিশে যাচ্ছে গায়ের সাথে।
সামান্য বৃষ্টির ছাঁট এসে পড়ছে চাঁদনীর চোখ-মুখে। সে দাঁড়িয়ে আছে নিউ মার্কেটের ডান দিকের রাস্তাটায়। এতদিন পর দেশে ফিরেছে বলে নিজের দেশের রাস্তাঘাট গুলো, পরিচিত জায়গাগুলো একটু ঘুরে ঘুরে দেখার জন্য বের হয়েছিলো। আবহাওয়াটাও ঠাণ্ডা ছিলো তাই পরিচিত জায়গা ঘোরার লোভটা সামলাতে পারেনি। তাছাড়া আজকের প্লেনে টুইংকেল ও লুসেফের আসার কথা ছিলো। তাদেরকেও রিসিভ করতে যাবে।
রাস্তার ফুটপাতে উঠে গেলো সে। দু’পা এগুতেই পেছন থেকে গমগমে স্বরের ডাক ভেসে এলো,

“ইন্দুবালা…”
পরিচিত ডাক, কণ্ঠস্বর চাঁদনীর বেশ ভালো করে চেনা। এই সম্বোধনে আদৌ তাকে একজন ব্যতীত কেউ ডাকেনি কখনো।
চাঁদনী দাঁড়াতেই তার বেশ কিছুটা কাছে এসে দাঁড়ালো মৃন্ময়। মৃন্ময়ের হাতে ছাতা রয়েছে। যা সে একটু উঁচু করে ধরায় বর্তমানে চাঁদনীর গায়েও আর বৃষ্টির জল পড়ছে না।
“কিছু বলবে?”
চাঁদনীর প্রশ্নে কিছুটা সময় চুপ করে থাকল মৃন্ময়। গত পরশুর ঘটনায় সে যথেষ্ট লজ্জিত। একে তার মা চাঁদনীর বিয়ে নিয়ে কটুক্তি করছেন তার উপর সে বাহার ভাইয়ের শার্ট টেনে ধরেছিলো! এতকিছুর পরেও আর কথা বলার মুখ থাকে?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

নিজের ভেতর ভেতর অনেকটা প্রত্যয় জুগিয়ে বলল, “কোথায় যাচ্ছেন? বাড়ি নিশ্চয়! চলুন এগিয়ে দিই।”
মৃন্ময়ের প্রশ্নে চাঁদনীর কোনো পরিবর্তন হলো না। সে যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল, “আমার একা চলার অভ্যাস, মৃন্ময়।”
এমন কাঠকাঠ প্রত্যাখ্যানের পর দ্বিতীয় কিছু বলার জোর মৃন্ময়ের কণ্ঠে ছিলো না।
চাঁদনী আর উত্তরের আশাও করলো না। বরং ছাতা থেকে বেরিয়ে হাঁটা আরম্ভ করল। মৃন্ময় কয়েক সেকেন্ডে দাঁড়িয়ে আবার ছুটলো পিছু। বলল, “বৃষ্টি হচ্ছে তো! বেশিক্ষণ ছাতা ছাড়া হাঁটলে ভিজে যাবেন।”
“ভিজবো বলেই তো ছাতা আনিনি। আমার নিজের খেয়াল আমি রাখতে জানি।”
“আমরা এই ছাতাটি শেয়ার করতে পারি দু’জনে।”
“ধন্যবাদ। প্রয়োজন নেই।”

মৃন্ময় আশাহত হলো। ভঙ্গুর কণ্ঠে বলল, “আমি তো ছাতা-ই হতে এসেছি।”
“অথচ আমার বৃষ্টি পছন্দ।”
“একটিবার কি সুযোগ দেওয়া যায় না?” প্রশ্নটি করেই উত্তরের আশায় তাকিয়ে রইলো ছেলেটা।
চাঁদনী আগাগোড়া পরখ করল তাকে। উত্তরে বলল, “দেওয়া যায়। তবে সেই সুযোগ তুমি বিশেষ কাজে লাগাতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।”
“কেন পারবো না?”
“যে ছেলের মা ভরা সমাজে আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন তা নিয়ে ঠাট্টা করেন এবং ছেলে মা’কে কিছু না বলে বরং মায়ের হয়ে প্রতিবাদ করতে আসে তার আসলে আমার কাছ থেকে সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা নেই। মৃন্ময়, তুমি সুন্দর জীবন সঙ্গিনী পাবে। তাই শুধু শুধু আমি নামক মরিচীকার পেছনে না-ই ছুটলে। তোমার মা এমনিতেও আমায় মানবেন না।”

“যদি মা’কে আমি মানাতে পারি?”
“পারবে না। আমাদের বয়সের পার্থক্য দেখো। তাছাড়া তুমি আমার জীবনে প্রায় সবটা সময় কেবল এমন এমন স্মৃতি তৈরি করেছ যা দিয়ে আসলে সংসার করা সম্ভব নয়। তোমার মুখটি মনে পড়লেই আমার কেবল মনে হয় তুমি কাপুরুষ। প্রতিটা সময় তুমি আমার ক্ষতি করে গিয়েছো। আমাদের ছবি ভাইরাল করা থেকে শুরু করে এ অব্দি, কখনো আমার উপকারের জন্য কিছু করেছো? বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে তুমি আমার জীবনে কোনো ভালো কিছু করেছো কি-না?”

চাঁদনীর কথা থামতেই নাটকীয় ভঙ্গিতে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল মুষলধারায়। মৃন্ময় উত্তর খুঁজে পেলো না চাঁদনীর প্রশ্নের। স্মৃতিতে প্রচণ্ড পরিমাণের জোর প্রয়োগ করেও সে ভালো স্মৃতি খুঁজে বের করতে পারল না। মেয়েটার ভালোর জন্য আদৌ তো তার কিছুই করা হয়নি। তাহলে কোন মুখে নতুন সুযোগের আবদার সে করবে?
চাঁদনী আর অপেক্ষা করল না। এই ভীষণ বৃষ্টির ভেতরও হাঁটা আরম্ভ করল ফুটপাত দিয়ে। কোনো ব্যস্ততা নেই তার হাঁটায়। মুখ লুকিয়ে তো সে পালাচ্ছে না, তাহলে কেন শুধু শুধু ছোটাছুটি করবে? সে তো সত্য। তার পুরো জীবনটা জুড়ে সব সম্পর্কের প্রতি একনিষ্ঠতা, সততা এবং পবিত্রতা ছিলো। তাহলে সে কেন পালাবে? সে হাঁটবে বীর বেশে। সত্যের যে কোনো ভয় নেই। মৃন্ময়ের মতন ভালোবাসতে পারা ছেলেকেও এই সত্য প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা রাখে। কারণ তার যে আত্মসম্মান বড্ড বেশি! সেই আত্মসম্মান বাঁচাতে কিছু জিনিস হাসিমুখে ছেড়ে দিতে হয়। জীবনে যে সব পেতে নেই। গানে আছে— সব পেলে নষ্ট জীবন!

নিজের মনে মনে লাইনটির সুর ধরে হেসে উঠল চাঁদনী। না পাওয়াদেরও যে এত আনন্দ থাকে তা কি এমন শূন্য না হলে সে বুঝতে পারত? পারতো না।
মৃন্ময় প্রাণহীন চোখে সেই যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইল। এই সময়টিতে এসে সে উপলব্ধি করল আসলে চাঁদনীর মতন মেয়ের যোগ্য মানুষ সে কখনোই হয়ে উঠবে না। সেই মেরুদণ্ডটিই তার হয়নি আজও। চিরজীবন বাবা-মায়ের আহ্লাদের ছোটো সন্তানটি হয়ে জেদ করে সব পেতে চেয়েছিল। অথচ ভালোবাসা যে যত্ন করে অর্জন করতে হয় রয়েসয়ে, তা কখনোই বুঝে উঠতে পারেনি। তাই আজ সব পেয়েও কিছু না পাওয়া রয়ে গেল।

রান্নাঘরে আনন্দ নিয়ে পায়েস রাঁধছে অহি। নতুন বউরা যেমন হয় ঠিক তেমনই দেখতে লাগছে তাকে। শরীরে নতুন ভাঁজ ভাঙা একটি খয়েরী রঙের শাড়ি। নাকে, হাতে, গলায় স্বর্ণের হালকা গহনা। সুন্দর মুখটিতে স্বর্ণ যেন আরও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছে। জানালা দিয়ে বৃষ্টির প্রহরের শীতল বাতাস প্রবেশ করছে।
“আমার বউটা কী করে?”
নওশাদের ঝলমলে কণ্ঠস্বর। অহির শরীর কিঞ্চিৎ কাঁপলো। বউ শব্দটায় যেন আলাদা শিহরণ ছিলো। কিন্তু সেই শিহরণের ভালো লাগাটুকু সে প্রকাশ করল না। পায়েসের পাত্র চামচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে বলল,
“নাচছে।”

“বাহ্, বেশ ভালো নাচছে তো বউটা! সুন্দর ঘ্রাণ বের হয়েছে নাচের।”
অহি বিস্ময়ে হা হয়ে তাকালো নওশাদের দিকে। বিহ্বল হয়ে বলল, “নাচার আবার ঘ্রাণ হয় কীভাবে?”
“যেভাবে নাচলে পায়েস রাঁধা হয়, সেভাবে।”
নওশাদের দুষ্টুমি এবার ধরতে পারল অহি। চোখ গোল গোল করে বলল, “রাঁধছি দেখেও জিজ্ঞেস করেছেন কেন?”
“কারণ আপনার কণ্ঠস্বরকে মিস করছিলাম। প্রেমও বুঝলেন না। প্রেমিকরেও বুঝলেন না, হাহ্!”
অহি মুখ ভেংচি কাটে বলল, “ওরে আমার কী প্রেমিকরে।”
নওশাদ ডান হাতে প্যাঁচিয়ে ধরল অহিকে। কিছুটা কাছাকাছি এসে বলল, “কী প্রেমিক দেখাবো?”
নওশাদের আচমকা এত কাছাকাছি আসা অহিকে আরেকটু অপ্রস্তুত এবং লজ্জায় ফেলল। সে নওশাদের বুকে মৃদু ঢাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করতেই নওশাদ আরও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল। ধীর স্বরে বলল,
“গতবার কোনো বাঁধন ছিলো না, আটকানোর কোনো অধিকার ছিলো না তাই ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পেরেছিলেন। আজ অধিকার আছে, বাঁধনও আছে। একটু সরার চেষ্টা করবেন তো পা ভেঙে রেখে দিবো। নওশাদ নিজের মানুষকে এক সেকেন্ডের দূরত্বেও থাকতে দেয় না।”

চিত্রা আজ খিচুড়ি রাঁধছে তা-ও বাহার ভাইদের বাড়িতে। খিচুড়ির ঘ্রাণ এবং বৃষ্টির মোহনীয় শব্দ যেন বাড়িটার ভেতরে অনন্য মাত্রার স্বর্গীয় আভাস ছড়িয়ে দিতে লাগলো।
বনফুল দাঁড়িয়ে আছে ঠিক চিত্রার পাশে। উৎসাহ নিয়ে তাকিয়ে আছে খিচুড়ির পাত্রটার দিকে। আজকাল মেয়েটা শান্ত হয়েছে বেশ। আগের মতন পাগলামোও করে না। সবটা বুঝে। স্বাভাবিক হওয়ার একটি আভাস ওর ভেতর লক্ষ্যণীয়।
“আর কতক্ষণ লাগবে বল তো? বৃষ্টি থাকতে থাকতে তো খেতে হবে না-কি?”
বনফুলের উৎসুক বাক্যে গাল ভরে হাসল চিত্রা। খিচুড়ির হাঁড়িতে ঢাকনা দিয়ে তার প্রাণ প্রিয় বান্ধবীর গালে হাত রাখলে। সস্নেহে বলল,

“এইতো আরেকটু পর হয়ে যাবে। এরপর খাবি।”
“খিচুড়ি আর তার সাথে কী?”
“তোর ভাইয়ার পছন্দের ইলিশ মাছ ভাজা।”
“এই গরমে যে রাঁধছিস, তুই রান্না শিখলি কবে?”
বনফুলের প্রশ্নে চিত্রার চোখের মণিগুলো জ্বলজ্বল করল। হাসিটা সরে যেতে চাইলো মুখ থেকে। তবুও সে সরতে দিলো না। এখন তো হাসির দিন, সুখের দিন। এখন দুঃখ মনে করে লাভ আছে?
চিত্রাকে আর উত্তর দিতে হয়নি। তার আগেই বাহার ভাই উপস্থিত হলেন রান্নাঘরে। তাড়া দিয়ে বললেন,
“বনফুল, চিত্রা রান্নাঘরে কী তোদের? বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে যা দু’জনে ভিজে আয়। বৃষ্টির পানিতে দেখবি শরীরটা ঠান্ডা হয়ে যাবে।”
বাহার ভাইয়ের কথায় উভয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকালো। বাহার ভাই কি-না বলছেন বৃষ্টিতে ভিজতে? যে লোক বৃষ্টিই দেখতে পারেন না!
চিত্রা আড়চোখে তাকিয়ে বলল, “আপনি না আগে ভিজতে দেখলে বকা দিতেন?”

“সেটা পাস্ট। এখন যাও তো দু’টোতে। গিয়ে মজা করো।”
বনফুলের আনন্দ আর দেখে কে? সে উৎফুল্লতা নিয়ে চিত্রার হাত টানলো। ছুটে গেলো বাহিরে। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে বলে রাস্তা ফাঁকা। দু’জনেই গিয়ে দাঁড়ালো ঝমঝমিয়ে পড়া বৃষ্টির মাঝে। সেকেন্ডেই শরীর ঠান্ডা করে ভিজে গেলো দু’জনে।
বনফুল যেন পুনরায় অতীতের বনফুল হয়ে গেলো। হাঁক ছেড়ে ডাকতে লাগলো,
“এই চাঁদ আপা, চেরি, তাড়াতাড়ি আসো। বৃষ্টিতে ভিজবা না? এই মৃন্ময় ভাই তাড়াতাড়ি আসো। এই লতা, রিমু তাড়াতাড়ি আসো। বৃষ্টি হচ্ছে।”
চিত্রা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইল বনফুলের দিকে। আজ থেকে আড়াই- তিনবছর আগের বনফুল যেন ফেরত এসেছে। আগে বৃষ্টি হলেই বনফুল হাঁক ছেড়ে সবাইকে এভাবেই ডাকতো। আশেপাশের বাড়ির অনেকেও একসাথে নেমে ভিজতো। অথচ এখন তো বহুদিন পেরিয়ে গিয়েছে। লতারও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। রিমু চলে গেছে বাহিরে। মৃন্ময় ভাই এখন অফিস সামলান। চাঁদনী আপাও নেই বাড়িতে। বনফুল কি কয়েক মুহূর্তের জন্য সব ভুলে গেলো? অবশ্য ওর এই বদলের কথা তো জানারই কথা নয়। ও তো ছিলোই না এখানে। তাই কত কিছু যে আবহাওয়ার মতন বদলে গেছে তা আর খবর পেলো না।

বনফুলের ডাকে হুড়মুড়িয়ে নেমে এলো চেরি। চিত্রার মুখে হাসি ফুটল। যাক কেউ তো সাড়া দিলো!
এবং চিত্রাকে অবাক করে দিয়ে পেছন পেছন এলেন অবনী বেগম। প্রাণোচ্ছল কিশোরীর মতন ছুটে এলেন মানুষটা। কপাটে দাঁড়ালেন মুনিয়া বেগম তা-ও হাসিমুখে। বনফুলের এই ডাক ফেরানোর সাধ্যি যেন কারো নেই।
বাহার ভাইও নিজের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। বনফুল গিয়ে টেনে নিয়ে আসলো মানুষটাকে।
এই বৃষ্টি যেন কাছে আসার গল্প লিখলো। বৃষ্টিতে প্রত্যেকে ভিজে চুপসে গেলো। আনন্দে মাতলো ছোটো থেকে বড়ো সকলে।
বাহার ভাই সকলের অগোচরে চিত্রার মাথায় হাত রাখলেন। প্রচণ্ড স্নেহময় ভাবে মনে মনে বললেন,
“তোমার ভালো হোক, মেয়ে। তোমার ভালো হোক। আমার বুকে ঝড় উঠে তোমার দুঃখ হলে। সেই ঝড় আমায় অশান্তি দেয়। আমার উপর সকল দুঃখ নেমে এলেও আমি সামলে নিতে পারি কিন্তু তোমার দুঃখ সামলানোর ক্ষমতা আমার নাই।”

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩০

এই বৃষ্টির মাঝেই সওদাগর ভিলার কিছুটা দূরে দাঁড়ালো একটি গাড়ি। সেখান থেকে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে নেমে দাঁড়ালো চাঁদনী। ছুটে গিয়ে সে-ও যেন চিত্রাদের সাথে বাচ্চা হয়ে গেলো।
হাত নাড়িয়ে গাড়ি থেকে ডাকল কাকে যেন! এবং তখনই বিদেশী একটি মেয়ে নেমে এলো। ধবধবে গায়ের রঙ। হাসি মুখে মেয়েটি বৃষ্টি দিয়ে এগিয়ে এলো। একত্রে এত মানুষকে একসাথে ভিজতে সে এর আগে কখনো দেখেনি। এই দেশের মানুষদের ভেতরে যেই বন্ধুত্ব, মায়া সেটা কি আর কোথাও আছে?
টুইংকেল এগিয়ে যেতে যেতে তার চোখ পড়ল শ্যামলাটে গায়ের রঙের একটি পুরুষের দিকে। বৃষ্টির ছাঁট ভেদ করে সেই মুখটি হুট করে টুইংকেলের চোখে পড়ল। হাসিটা কেমন অদ্ভুত সুন্দর না মানুষটার?

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩২