যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৩

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৩
মম সাহা

সওদাগর বাড়ির দালান জুড়ে আনন্দের ফিরকি। ড্রয়িং রুম থেকে শোনা যাচ্ছে হাসাহাসির তীব্র শব্দ। সদ্য বিবাহিতা অহি এবং নওশাদ এসেছে বাড়িতে। তাদের উপলক্ষেই আজ বাড়িটায় আনন্দের হামাগুড়ি।
অবনী বেগম আলমারির ড্রয়ার থেকে কিছু একটা বের করছেন ব্যস্ত হাতে। মেয়ে এবং মেয়ের জামাই এসেছে বলে তার ব্যস্ততা একটু বেশিই। তাই তাড়াহুড়ো করছেন কাজে।
আমজাদ সওদাগর বিছানায় বসা হেলান দিয়ে। স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “একটু চা দিও তো। বিকেল তো হলো। চা-টা পাবো না না-কি?”

অবনী বেগম হাতের কাজটা দ্রুততার সাথে শেষ করতে করতে বললেন, “ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসলেই তো পারো। দেখছো না কাজের কী ব্যস্ততা? তোমায় রুমে এনে চা দেওয়ার সময় নেই।”
আমজাদ সওদাগর স্ত্রী’র এমন সহজ-সরল প্রত্যাখ্যানে বিরক্তবোধ করলেন। কপাল কুঁচকে বললেন, “তোমার কি সব ব্যাপারে না বলাটা এখন স্বভাব হয়ে গিয়েছে, অবনী?”
অবনী বেগম সে কথায় রা-ও করলেন না। প্রয়োজনবোধ করলেন না জবাব দেওয়ার। আমজাদ সওদাগর এতে আরও ক্ষিপ্ত হলেন। উঠে এলেন বিছানা থেকে। অবনী বেগমের ডান হাতটা টেনে অবনী বেগমকে ঘুরালেন নিজের দিকে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

এতে বিরক্ত হলেন অবনী। চোখ-মুখ প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কুচকে বললেন, “দেখছো না কাজ করছি? বয়স বাড়ার সাথে সাথে কি বুদ্ধি কমছে?”
আমজাদ সওদাগর আশ্চর্য না হয়ে পারলেন না। এই অবনীরই হাজার বকলেও মুখ থেকে কথা বের হতো না। মারলেও জবাব দিতো না। অথচ কী হলো এখন মানুষটার? আমজাদ সওদাগরকে যেন এক ফোঁটাও দেখতে পারেন না। কথায় কথায় কেমন ছ্যাত করে উঠেন।
আমজাদ সওদাগর নির্ভার, নিরুদবিগ্ন স্বরে বলেন, “কী হয়েছে তোমার? এভাবে কথা বলো কেন? গুরুলঘু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছো?”

“আমি তোমার সাথে কেমন করে কথা বলছি তাতে কি আদৌ কিছু যায় আসে না-কি? আমার কোনো কিছু তোমার জীবনে প্রভাব কেন ফেলবে, আমজাদ? আগে তো এমন হতো না?”
আমজাদ সওদাগর হাত ছেড়ে দেন। উত্তরটুকু আর দেন না। তিনি হলেন বরাবরই চুপচাপ স্বভাবের লোক। দরকার না হলে জবাবটুকু দেন না। আর অবনী বেগমের সাথে কথা বলার টানই তো তিনি কখনো অনুভব করেননি এর আগে। সেই যে এক নারীতে আবদ্ধ হয়ে ছিলেন এরপর আর দ্বিতীয় কারো কথা ভাবাে কথা মাথাতেও আসেনি।
কিন্তু আজকাল বড়ো মন পোড়ে তার। দ্বিধা জমে বুকে। অবনীটা আর আগের মতন৷ আর তাকে ডাকেন না। কথাও বলতে চান না। কিন্তু এখন যে আমজাদ সওদাগরের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে অবনী। এখন কি চাইলেও সেই অভ্যাস বদলাতে পারেন? পারেন না৷ কিন্তু এ সকল কথা অবনীকে বলবে কে?
অবনী বেগম স্বামীর নীরবতা দেখে আর কিচ্ছুটি বললেন না। আলমারিটা আটকে বেরিয়ে গেলেন ঘর ছেড়ে। যেন তার রাজকার্য রয়েছে। আজকাল আর আমজাদ সওদাগরকে নিয়ে ভাবনার সময় নেই।
কিশোরী অবনীর সাথে এই অবনীর বিস্তর পার্থক্যে মনে যাতনা হয় আমজাদ সওদাগরের। এত যত্ন করা মানুষটা হারিয়ে ফেলেছেন অযত্নে তা কি আর তার মন জানে না?

ড্রয়িং রুমের একদিকে আড্ডা চলছে বর্তমান জেনারেশনের। ওদের হাসাহাসিতেই জুড়িয়ে যাচ্ছে ড্রয়িং রুম। সবচেয়ে বেশি হাসছে চিত্রা মেয়েটা। যেন ওর সুখের বাঁধ ভেঙেছে। কী এক আনন্দ ওর জীবন জুড়ে। বড়োরা কথার মাঝে সাঝেই তাকাচ্ছে এদিকটায়। চিত্রার হাসিতে তাদের যেন প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। মেয়েটা তো বরাবরই এমন ছিলো। হাসতে ভালোবাসে। হুট করে কয়েক বছর মেয়েটার জীবনে বেশ ঝড় গিয়েছে। এখন আবার সেই পুরোনো চিত্রাকে ফিরে পেতেই তাদের ভেতর আনন্দ কাজ করছে।
নওশাদ চিত্রার হাসির মাঝেই বলল, “চিত্রা, তোমাকে বেশি বেশি খুশি লাগছে যে আজকাল? কোনো বিশেষ কারণ আছে কি?”
সবাই সে কথায় ঠোঁট চেপে হাসলো। অহি নওশাদের সাথে তাল মিলিয়ে বলল, “নিশ্চয় আছে। হয়তো প্রেমে-টেমে পড়েছে।”

চাঁদ আপা আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলল, “কেবলই কি প্রেমে পড়েছে? বল, গুরুতর প্রেমে পড়েছে। আজকাল তো ও কিছুই দেখছে না চোখো। প্রেম জমে ক্ষীর।”
চিত্রার এবার লজ্জা লাগছে। আড়চোখে সে একবার বোনদের দিকে তাকাচ্ছে, তো একবার বড়োদের দিকে তাকাচ্ছে৷ চোখের ইশারায় শাসাচ্ছেও। কিন্তু কে শুনে কার কথা?
নওশাদ চিত্রার নাজুক অবস্থা দেখে আরেকটু টিটকারি মেরে বলল,
“প্রেম করো তো কী হয়েছে, চিত্রা? লজ্জা পাচ্ছো কেন? তুমি ছেলের ঠিকানা বলো। আমরা প্রয়োজনে পাত্রকে তুলে এনে তোমার সঙ্গে বিয়ে দিবো। চিন্তা নাই অত। তা পাত্রের বাড়ি কি কাছে? না-কি অনেক দূরে?”
“অনেক দূরে। শ্বাস বন্ধ করে ঠিক পাঁচ পা যেতে হয়। এতদূর যে যেতে যেতে এক মিনিট লেগে যায়।” আবারও ঠাট্টা করল অহি। চিত্রার যেন লজ্জায় মাথাকাটা। এ কাদের পাল্লায় পড়লো সে? সকলে তাকে লজ্জা দিতে যেন ব্যস্ত। তাছাড়া বাড়ির বড়োরাও তো এখানে আছেন। সবচেয়ে বড়ো কথা আব্বু এখানে বসা। যদি উনিশ-বিশ হয় তখন কী হবে?

চিত্রা কথা ঘুরানোর চেষ্টা করল। বলল, “ধ্যাত, চুপ থাকোতো। আমি গিয়ে বনফুলকে নিয়ে আসি দাঁড়াও।”
“তাই নাকি? কেবল বনফুলকেই আনতে যাবে তো, শ্যালিকা? না-কি বনফুলের পাশাপাশি বনফলকেও দেখার ইচ্ছে?”
প্রথম ‘বনফল’ শব্দটির অর্থ বোধগম্য না হলেও পরক্ষণেই নওশাদের কথা ঠিক বুঝতে পারল চিত্রা। জিভ কেটে চোখের ইশারায় বাবাকে দেখালো। বলল, “ধ্যাত, যাবোই না।”
টুইংকেল এই সবকিছুতেই এতক্ষণ কেবল মুচকি হেসে ভূমিকা রাখছিলো। চিত্রা যাবে না বলাতে সে আগ্রহ নিয়ে, চিত্রারন রাখতেই বলল, “আচ্ছা, তুমি বসো। আমি না-হয় ডেকে নিয়ে আসি?”
চিত্রা সম্মতি দিলো খুশি মনে। আগ্রহী স্বরে বলল, “অবশ্যই। তুমিই ডেকে নিয়ে আসো।”
টুইংকেল চাঁদনীর হাতে তার ফোনটা রেখে বেরিয়ে গেলো।

বনফুলদের বাড়িতে তখনো সন্ধ্যার আলো জ্বালানো হয়নি। আকাশের গাঢ় আঁধারিয়া নীল অন্ধকারটুকু এসেই কোনো রকমে অন্ধকারে এক চিমটি আলোর ছটাক এঁকেছে। নীরব বাড়িটা। কোনো মানুষের সাড়াশব্দ নেই।
টুইংকেল আগ্রহ নিয়েই চপল পায়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। বনফুলের রুমে যাওয়ার আগেই তার চোখ পড়লো ড্রয়িং রুমের ডানদিকের রুমটায়। সেখানে চোখ পড়ারও একটি কারণ আছে। সেখানটায় জ্বলজ্বল করছে কিছু হলুদ তারার শেপের বাতি। জ্বলছেও সেগুলো। সে আলোয় ঘরের কোণার গিটারটাও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। টুইংকেলের আবার গিটার বেশ প্রিয়। তাই সে ঐ আকর্ষণেই এগিয়ে গেলো। হালকা দরজাটা ভেজানো ছিলো ঘরটার। সে দরজাটা খুলে ধীর পায়েই গেলো।

ঘরটায় কিছু নেই। একটি তোশক বিছানো মেঝেতে। সেই তোশকের উপর টানটান করে বিছানো বিছানার চাদর। এক কোণায় পড়ার একটা টেবিলে হরেক রকমের বই। ঘরের আরেক কোণায় ছোটো একটি ওয়ারড্রব। দেয়ালগুলোর রঙ খসে গেলোও ঘরটি বেশ পরিপাটি। সুন্দর একটি ঘ্রাণও ঘরটায়। মনে হচ্ছে যত্ন করেই সাজানো ঘরটা।
“আরে আপনি! কিছু প্রয়োজন, মিস?”
আচমকা গম্ভীর পুরুষালী কণ্ঠে টুইংকেলের গায়ে কাঁপুনি দিয়ে উঠে। সে তড়িৎ বেগে পেছনে ঘুরে। বাহার ভাই দাঁড়িয়ে আছেন সেখানটায়। ঠোঁটে তেমন হাসি না থাকলেও মনে হচ্ছে মানুষটার মুখটি হাসছে। কপালের চুলগুলো ঘামে লেপ্টে আছে কপালে।

টুইংকেল খুব ফর্মালিটি বজায় রাখা মেয়ে। আচমকা একজন মানুষের ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করাটা যে শোভনীয় নয় তা সে জানে। তাই বাহার ভাইকে দেখেই সে এক গাল হাসলো। কিঞ্চিৎ অপরাধী স্বরে বলল,
“দুঃখিত, না বলে বাড়িতে ঢুকেছি এমনকি রুমেও। আসলে বনফুলকে ডাকতে এসেছিলাম আমাদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য। তখনই এই স্টার শেপের লাইটগুলো দেখে এখানটায় চলে এসেছি। এটা কার রুম? বেশ সুন্দর, গোছানো।”
“আমার রুম।”

“অনেক সুন্দর করে তো আপনি গোছগাছ করে রাখেন! বেশ পরিপাটি মানুষ আপনি।”
টুইংকেলের কথায় ডানে-বামে মাথা নাড়ালেন লোকটা। বললেন, “আমি গোছগাছ জানি না। আমি পরিপাটিও নই। এগুলো চিত্রা করেছে। এই লাইট গুলোও ওর লাগানো। মেয়েটা যখনই আসে রুমটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়ে যায়। নিজের মতনই সাজায় রুমটা।”
টুইংকেল খেয়াল করল চিত্রার কথা বলতে গিয়ে বাহার ভাইয়ের মুখটি চকচক করছে। একটি অন্যরকম আনন্দ তার চোখ-মুখ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যেন চিত্রা নামক টপিকে সে পিএইচডি করে এসেছে। সেটা নিয়ে বলতে তার কোনো ক্লান্তি নেই।

“বাহ্, চিত্রার পছন্দ সুন্দর।”
“কোনো সন্দেহ নেই। তা বনফুল তো ঘুমাচ্ছে। ডেকে দিবো?”
“না, না। আমি ডেকে নিবো। সমস্যা নেই।”
বাহার ভাই মাথা নাড়িয়েই চলে গেলে উপরে, ছাঁদে। আর একটি অক্ষরও বেশি অপচয় করলেন না। টুইংকেল বাহার ভাইয়ের পুরুষালী এই গম্ভীর সৌন্দর্যপূর্ণ আচরণে আরও একটু হত-বিহবল হলো, মুগ্ধ হলো। মানুষটা প্রয়োজন ব্যতীত একটি অক্ষরও কারে সাথে বলেন না কেবল চিত্রা ছাড়া। এমনও পুরুষ হয়? যে নিজ নারীকে এতটা বুঝে? চিত্রা কত ভাগ্যবতী!
টুইংকেলের ঠোঁটে হাসি থাকলেও বুক থেকে বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস। বাংলাদেশ না এলে সে বোধহয় কখনো জানতোই না দীর্ঘশ্বাসের স্থায়িত্ব কতটা। কতটা আফসোসে শ্বাস এতটা দীর্ঘ হয়।

হৈ-হল্লা, হাসিঠাট্টায় সওদাগর বাড়ির ড্রয়িং রুম তখন নিমজ্জিত। পকোড়া আর চায়ের আড্ডায় জমে উঠেছে সুখী গল্পরা। ঠিক তখনই নুরুল সওদাগর সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। নিজের বড়ো ভাই আফজাল সওদাগরের দিকে তাকিয়ে বিনয়ী কণ্ঠে বললেন,
“বড়ো ভাইজান, আমাদের মেঝো মেয়ের তো সুখী সংসার হলো। বাকি রইলো বড়ো মেয়ে আর ছোটো মেয়ে। এবং আমাদের ছেলে। আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে— চাঁদ মা তো এখন বিয়েশাদির কথা ভাবছে না। তাই যদি চিত্রার বিয়ের ভাবনাচিন্তা নিয়েই আমার এগিয়ে যাই তাহলে ভালো হয় না কি?”

আনন্দের ঋতুতে যেন হুট করেই উপস্থিত হলো উৎকণ্ঠা। যদিও সকলের মুখে চাপা হাসি। কারণ সবাই জানেই চিত্রার বিয়ে মানে তার সাথে আর কেই-বা পাত্র হিসেবে হবে? বাহার ভাই ছাড়া!
আফজাল সওদাগর তো বেশ উৎফুল্ল হলেন। বললেন, “ভালো সংবাদ তো, নুরু। মেয়েটাও এবার সুখী হোক। তা কী ভেবেছিস তুই?”
নুরুল সওদাগর একবার মেয়ের দিকে তাকালেন। কণ্ঠ স্বাভাবিক রেখেই বললেন, “আমাদেরই জুনিয়র একজন আফিসার আছে, নাম- হাসিব মাহমুদ। ছেলে হিসেবে ও খুবই নম্র এবং ভদ্র। আমি চাচ্ছি ওর পরিবারের সাথে কথা বলতে।”

নুরুল সওদাগর যে চিত্রার পাত্র হিসেবে অন্য কারো নাম বলবেন তা কেউ-ই বোধহয় ভাবতে পারেননি। চিত্রা তো তৎক্ষণাৎ বসা থেকেই উঠে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আফজাল সওদাগরও বিস্মিত স্বরে বললেন,
“আহাম্মক নাকি তুই? কার সাথে ওর বিয়ের কথা বলছিস? ভেবে বলছিস না-কি? মেয়েটার পছন্দের কথা পুরো দুনিয়া জানে আর তুই জানিস না?”
“ওর পছন্দ দিয়ে মাতামাতির মানে হয় না, ভাইজান। নিশ্চয় কোনো বাবা নিজেরে মেয়েকে পানিতে ভাসিয়ে দিবেন না অমন একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে!”
হাসির মহলে যেন বজ্রপাত হলো নুরুল সওদাগরের এহেন কথায়।
ঠিক তখনই বাহার ভাইয়ের কণ্ঠ ভেসে এলো,
“আমার বাড়িটা শাক্ত পোক্ত মাটির উপরেই তো! পানি কোথায় পেলেন? ভিলেন হিসেবে আপনাকে একদমই মানাচ্ছে না। শ্বশুর হয়েই থাকেন।”

“খবরদার, ভদ্র ভাবে কথা বলো।”
“না বললে? মেয়ে দিবেন না? মেয়ের বাপ হয়েছেন বলে এত দেমাগ? আপনি কী ভেবেছেন, আপনি মেয়ে না দিলে বিয়ে আটকে থাকবে? বউ হেঁটেই চলে যাবে। কী বউ, যাবে না?”
শেষের প্রশ্নটি ঠাট্টা করে চিত্রার দিকে তাকিয়ে করলো লোকটা। গম্ভীর গম্ভীর পরিবেশটা মুহূর্তেই সিনেম্যাটিক হয়ে গেলো। চিত্রা যদিও বাবার কথায় রেগে যেতে নিয়েছিলো কিন্তু বাহার ভাইয়ের আগমন সবটাই অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিলো।

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩২

নুরুল সওদাগর জায়গা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। তেড়ে এসে বললেন, “বাড়ি ছেড়ে বের হও অভদ্র। মেয়েকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিলেও কোনো আসামির কাছে দিবো না।”

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৪