হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক গল্পের লিংক || Tahrim Muntahana

হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ১
Tahrim Muntahana

~ তুমি আমার ভাইয়ের ব‌উ হতে রাজী হ‌ও নয়তো এই ছাদ থেকে এখনি আমি লাফিয়ে পড়বো!
শান্ত, স্তব্দ পরিবেশ! কথাটি যেন সবার কর্ণকুহরে আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো ঢুকে গেল‌। সেই সাথে মস্তিষ্কে প্রবেশ করিয়ে দিল উত্তেজনা। যে উত্তেজনা’র বশীভূত হয়ে হ‌ইচ‌ই করলো উঠলো উপস্থিত থাকা মানুষগুলো। যারা দু’তলার ছাদে দন্ডায়মান মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে নানান কথার তীর ছুঁড়ে দিচ্ছিল। নামার আহ্বান জানাচ্ছিলো, লাফিয়ে না পড়ার অনুরোধ করছিলো। তবে একজন মানুষ ই ভাবালেশ, যাকে ঘিরে আজকের এই দৃশ্য সে মেয়েটিই অত্যন্ত নিরব। মুখশ্রী তে নেই কোনো অবাকতা, উৎকণ্ঠা, স্তব্দতা। মেয়েটি আবার বলে উঠলো,

~ শুনতে পাচ্ছো আফরা? আমি তোমাকে বলছি। সিদ্ধান্ত জলদি নাও, উত্তর হা বোধক হলে তোমার আমার দুজনের জন্য‌ই ভালো। তবে উত্তর না হলে আমি ঝাঁপিয়ে পড়বো, মৃত্য নিশ্চিত। আর জেলে যাবে তুমি। আমি কিন্তু তোমাকে হুমকি দিচ্ছি না, অনুরোধ করছি। রাজি হয়ে যাও প্লিজ।
আফরা নামক মেয়েটি তবুও শান্ত। কোনো রকম উত্তর না পেয়ে যখনি মেয়েটি ঝাঁপিয়ে পড়বে মেয়েটির বন্ধুমহল আফরা’র সামনে এসে দাঁড়ায়। অনুরোধ করে বলে উঠে,
~ প্লিজ আফরা রাজি হ‌ও, মিথ্যে মিথ্যেই রাজি হ‌ও। নাদিয়ার জেদ তুমি জানো না, ও সত্যি সত্যি লাফিয়ে পড়বে। ও খুব ডেস্পারেট, প্লিজ রাজি হয়ে যাও।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আফরা এবার ভাবে। তার একটা মিথ্যে যদি একজন মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে পারে, ক্ষতি কি বলতে? মাথা নেড়ে সায় জানিয়ে কিছু বলবে তার আগেই আফরা টের পায় তার পাশে থাকা একজন মেয়ে মাথা নেড়ে না করছে, আড়ালে! যেন কেউ দেখে ফেললেই কিছু একটা হয়ে যাবে। আফরা’র মনে বিষয়টা ধাক্কা খেল, তীক্ষ্ম চোখে নাদিয়ার বন্ধুমহল কে পরখ করতেই সবার ঠোঁটের ভাজে দুর্গম কিছু হাসিল করা সুক্ষ্ম এক হাসি দেখতে পেল। নড়েচড়ে উঠলো আফরা! হুট করে তার ঠোঁটের ভাঁজেও ফুটে উঠলো অদ্ভুত এক হাসি, যে হাসি হয়তো কারো জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে! উচ্চস্বরে বললো,

~ আমি তোমার ভাবী হতে রাজি, তবে একটা শর্ত আছে। তুমি রাজি?
পরিবেশ যেন আরো গমগম করে উঠলো। নাদিয়া মেয়েটি ছাদের রেলিং থেকে নেমে হাসি মুখে বললো,
~ কি শর্ত বলো? আমি রাজি!
~ তোমাকে এই মুহূর্তে ছাদ থেকে লাফ দিতে হবে!
আফরা দুর্লভ হাসলো। আতকে উঠলো সবাই, অদ্ভুত বিস্মিত নজরে সবাই মেয়েটিকে দেখতে লাগলো। ভাবাবেগ হলো না আফরার। বরং পরিস্থিতিটাকে আরো অদ্ভুত করতে বললো,

~ বলো রাজী? যে মেয়ে ভাইয়ের ব‌উ করতে আত্মহত্যার ব্লেকমেইল করতে পারে, সে মেয়ে ভাইয়ের জন্য আত্মহত্যা করতে পারবে না? জলদি করো, তুমি লাফিয়ে পড়ার পরপর‌ই আমি তোমার ভাইকে বিয়ে করবো, প্রমিস!
নাদিয়া দু’পা পিছিয়ে গেল। টের পের তার হাত-পা অসম্ভব রকমের কাঁপছে। এত তাড়াতাড়ি সে মরতে চায় না! হঠাৎ করেই চারপাশ অন্ধকার হয়ে এলো, ধপ করে আছড়ে পড়লো ফ্রোরে। আতকে উঠলো নাদিয়ার বন্ধুমহল, দৌড়ে গেল ছাদে। এসব নাদিয়ার পরিবার জানলে তাদের অবস্থা যে কি হবে ভাবতেই তারা মূর্ছা যাবে ভাব। এত ভয়, তবুও কেন যে এতবড় রিস্ক নিতে গেল! তার জন্য‌ই বলে ভাবিয়া করিও কাজ!
এতকিছুর মাঝেও আফরার ঠোঁটের ভাজে হাসি। হাতে থাকা কম দামী ঘড়িটাই একপলক নজর ঘুরিয়ে ক্লাসের দিকে হাঁটতে লাগলো। ভার্সিটি আসতে না আসতেই এরকম পরিস্থিতিতে পড়বে আগে জানা ছিল না। নয়তো আজ সে ভার্সিটিতেই আসতো না। এসব বড়লোকি ঝামেলা থেকে যতদূরে থাকা সম্ভব, তত মঙ্গল। বড়লোকেরা কি মানুষ কে মানুষ মনে করে?

সাইকোলজি নিয়ে পড়ছে মেয়েটি, ফাইনাল ইয়ার সবে উঠেছে। আর একটা বছর কেটে গেলেই ভার্সিটির পাঠ চুকাবে সে। তবে এখন আর এই বিষয় টা তার মাথায় আসছে না। সে ঢের বুঝতে পারছে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে কেউ তাকে ডাকছে! একদম ছিন্ন ভিন্ন করে দিবে। বাবা-মা বিহীন মেয়েটার এতদিনের লড়াই কে ধূলিসাৎ করে দিবে এক নিমিষেই। ভয় পেল আফরা, একপ্রকার কুঁকিয়ে উঠলো। টের পেল কেউ তার হাতটা শক্ত করে ধরেছে। ভরসা খুঁজে পেল, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতেই অপর পাশে দাঁড়ানো মেয়েটি বললো,
~ ঠিক আছিস আফরা?
মাথা নাড়ালো আফরা। মধ্যম দিকের একটা চেয়ারে বসেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো যেন। তবে সেটা বেশীক্ষণ স্থায়ী র‌ইলো না, কিছু মানুষের তীক্ষ্ম চোখের দৃষ্টি তাকে এফোড়‌ওফোড় করে দিতে সক্ষম। চোখ বুজে পড়ে র‌ইলো নিজ আসনে। পাশে বসা মিরা দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বসে র‌ইলো। মেয়েটার এমন আচরণ তাকে কষ্ট দেয়, এমনি ঝামেলার শেষ নেই। তার মধ্যে আজকে বাড়তি ঝামেলা জুটলো! উপর ওয়ালায় জানে সামনে কি হয়!

অপরাহ্ন! নির্দয়, নির্দাগ সূর্য উপচে পড়া ভালোবাসা দিচ্ছে ধরণীকে। অতিষ্ঠ মানবসমাজ, এক চিলতে বাতাসের জন্য‌ ছটফট করে‌। কর্মজীবনে ব্যস্ত মানুষ গুলো হাঁসফাঁস অবস্থায় কাজ করে। না করলে তো টাকা মিলবে না! খাবে কি? ঘামে জুবুথুবু শরীর, বিতৃষ্ণ মন। রাস্তার ধার ঘেঁষে হাঁটছে আফরা। রোদের আলোয় ধুলোবালি গুলো চিকচিক করছে, দৃষ্টি ফেলা দায়। তাইতো চোখ মুখ কুঁচকে হাঁটছে সে। মনের মধ্যে এখন আর চিন্তারা নেই, শুধুমাত্র এই রোদ থেকে বাঁচার আকুতি। দ্রুত পায়ে হেঁটে ছোটখাটো এক দোকানে ঢুকে পড়ে সে। পাঁচ টাকার একটা চকলেট কিনে আবার হাঁটা ধরে। বড়লোকের আট বছরের এক আদুরে দুলালি কে পড়ায়, প্রতিদিন তার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে যেতে হয়, নাহলে নাকি সে পড়বে না।

অগত্যা পাঁচ টাকা বাড়তি খরচের অনিচ্ছা থাকা সত্যেও তাকে খরচ করতে হয়! কয়েক কদম হাঁটতেই দোতলা সুন্দর বাড়িটা চোখে পড়ে। বাড়িটা দেখলেই যেন আফরার প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মনে মনে কতশত ইচ্ছে পোষণ করে এরকম বাড়ি তাদের‌ও হবে, আরাম আয়েশে সেও কাটাবে! তবে সব ইচ্ছে কি আর সত্য রূপ নেয়? তাদের মতো নিম্নবিত্ত দের এমন ইচ্ছে পোষণ করা যে পাপ। ফুস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে ভেতরে ঢুকে আফরা। আর ঢুকতেই তার দৃষ্টি তীক্ষ্ম হয়ে যায়। ড্রয়িং রুমের সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে এ বাড়ির ছোট ছেলে আরাফ। দৃষ্টি তার আফরার উপরেই। দৃষ্টিটা ঠিক কি রকম আফরার বুঝতে বাকি থাকে না, ভেতরে ঢোকার সাহস হয়না। তবে যে যেতেই হবে, কাঁপা কাঁপা পা ফেলে এগিয়ে যেতেই সামনে এসে দাঁড়ায় ছাত্রী মা। এ বাড়ির বড় ব‌উ! স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ছাত্রীর রুমে ঢুকে পড়ে আফরা। এ বাড়ির ছেলেদের যে চরিত্রের দোষ আছে আগে থেকেই জানা ছিল তার, টিউশন টা তার ভীষণ দরকার ছিল, এক ঘন্টা পড়িয়ে আর একঘন্টা সময় মেয়েটার পেছনে ব্যয় করলেই মাস প্রতি দশ হাজার টাকা। তার জন্য‌ টাকা টা বিশাল, ঘরে যে অসুস্থ ছোট বোন টা যন্ত্রণা ভোগ করছে। সে এতটুকু কুদৃষ্টি সহ্য করতে পারবে না?

তার জন্য‌ই অপেক্ষা করছিলো মিহি। আফরা যেতেই তার সামনে হাত পেতে দেয়, আফরা ভ্রু কুঁচকে বিরক্ত প্রকাশ‌ করে পাঁচ টাকার চকলেট টা হাতে তুলে দেয়। মেয়েটার মুখে হাসি ফুটে, আফরা কিছুক্ষণ তাকিয়ে র‌ইলো সেই হাসিমাখা মুখটার দিকে। একটু বেশীই মায়া মায়া লাগে তার, পরের মেয়ের জন্য এত টান আসে কেন? এদের রক্তে যে বিষ রয়েছে, তবুও কেন বাইরের খোলশ এত সুন্দর। কথা গুলো মনে হলেই আফরার মনে হয় নিজ হাতে যদি এই বাড়ির তিন ছেলেকে খু* ন করতে পারতো! রক্ত গুলো হাতে মাখতো, এই বন্দিদশা থেকে বাড়ির মহিলা গুলোকে মুক্ত করতে পারতো! কিন্তু আফরার যে সেই শক্তি-সাধ্য নেই! না আছে সাহস! রক্তে যে তার ভয়! সে মানুষের মন নিয়ে খেলতে পারে, কিভাবে মানুষের মনের কথা এক ছুটে বুঝে ফেলা যায় সে বুঝতে পারে। সাইকোলজি সাবজেক্ট টা তো এমনি‌ এমনি‌ নেয়নি। বৃহৎ এক উদ্দেশ্য যে সাইকোলজি নামটার আশপাশে কিলবিল করে!

~ এই ম্যাম, কি এত ভাবছো? সময় তো চলে যাচ্ছে, পড়াবে কখন?
আকাশকুসুম ভাবনা থেকে বের হয় মিহির কথায়। ভেতরে ভেতরে ক্রোধে ফেটে পড়ে আফরা। এই মেয়ে তাকে সময়জ্ঞান শেখাচ্ছে? আজ একটু বেশীই পড়াবে বলে ঠিক করে বললো,
~ আমাকে সময়জ্ঞান শেখাতে হবে না, আজ একটা পড়া ভুল হলে স্কেলের বারি পড়বে তোমার নরম হাতে!
ভয় পেয়ে যায় মিহি। এই মুহূর্তে আফরা কে তার দানবের মতো মনে হচ্ছে। বড়বড় চোখ দুটো কেমন আরেকটু বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ভয়ে কাচুমাচু করতেই আফরা স্বাভাবিক হয়, একটু বেশীই রাগ দেখিয়ে ফেলছে। শান্ত স্বরে কিছু বলবে তার আগেই মিহি বলে উঠে,

~ তুমিও কি স্কেল দিয়ে আমাকে মারবে যেমন টা বাবা মা কে মেরেছে?
আফরা আতকে উঠে। সে শুধু জানতো এ বাড়ির মহিলারা মানসিক ভাবে নির্যাতিত কিন্তু শারীরিক প্রহার‌ও যে করে সে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। মেয়েটার উপর অসীম মায়া টের‌ পায় আফরা। শান্ত স্বরে বলে উঠে,
~ তোমার বাবা তো মা কে মারে না, তখন তো তারা খেলছিল! তোমরা ছোট রা যেমন পুতুল পুতুল খেল, পুতুলের বিয়ে দাও। তেমনি তারাও খেলছিল। তাদের তো বিয়ে আগেই হয়েছে, এখন তারা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি নামক খেলাটা খেলছিল! এটা বড় দের খেলা, ছোটদের নয়। এখন পড়তে বসো।
~ তাহলে মা ওমন‌ করে কান্না করে কেন? মা’র খুব কষ্ট হয়।
কি বলবে ভেবে পায় না আফরা। এরকম পরিবারে একজন সুস্থ মানুষ ও অসুস্থ হয়ে পড়বে। এই মেয়েটার ভবিষ্যত আদ‌ও শক্ত কিনা আফরার সন্দেহ হচ্ছে। বললো,

~ তোমার মায়ের কোনো কষ্ট‌ই হয় না মিহি। তোমরা যখন পুতুলের বিয়ে দাও, মেয়ে পুতুলের মালিক মিছে মিছে কান্না করে না? তেমনি তোমার বাবা-মা যে খেলাটা খেলে ওইখানেও তোমাদের মতো মিছে মিছে কান্না করতে হয়। তোমরা ছোট বলে আস্তে আস্তে কান্না করো, তোমার মা তো বড় তাই শব্দ করে কান্না করে। ওটাতো খেলা, সত্যি সত্যি নাকি!
আফরা এমন ভাবে কথাগুলো মিহির মাথায় ঢুকিয়ে দিল, মেয়েটা এক ছুটে সহজ হয়ে গেল। আফরার কথাটা সে সত্যিই ধরে নিয়েছে। আফরাও মুখ হা করে শ্বাস ফেললো, কতগুলো মিথ্যে‌ বলতে হলো! যদিও তার জীবনটাই মিথ্যেতে ভরা! দরজার অপাশ থেকে সরে দাঁড়ায় মিহির মা মনিরা। এসেছিলো আফরার জন্য নাস্তা নিয়ে, কথাগুলো কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই থেমে যায় সে। ভেতরে ঢুকে আফরার চোখে
চোখ মেলানোর সাহস তার হয় না। তাই চলে যাওয়ার জন্য হাঁটা ধরে। যাওয়ার সময় খেয়ে যেতে পারবে!

~ জানিস বোন তোর ননদ আজ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কোন‌ ভাইয়ের জন্য দিয়েছে সেটাই বুঝতে পারছি না। না বুঝলে কি করে রাজি হবো বলতো?
বড় বোনের কথায় কেঁপে উঠলো অথৈ। সেই কম্পন টের পেল না আফরা। ডান সাইড প্যারালাইজড তার, সারাদিন এই ছোটখাটো শক্ত বিছানায় পড়ে থাকে। বড় বোন টা আসলে খাইয়ে দেয়, নাহলে সারাটা দিন খিদে নিয়ে পড়ে থাকে। অভিযোগ করার সাহস হয় না! করবে কি করে? তার ভুলেই তো এই দুর্গতি! আফরা নিজ মনে আবার বললো,

~ কি বলিস অথৈ? বিয়েটা করেই নিই বল। শক্তপোক্ত এক অভিভাবক হবে, তোর অপারেশন টাও করাবো।
কার্ণিশ বেয়ে তপ্ত জল গড়িয়ে পড়ে। ভালো বাম হাত নড়ানোর চেষ্টা করে অথৈ। খুব একটা সুবিধা করতে পারে না। হাসে আফরা। জেনে শুনে কেউ মৃত্যর পথ বেছে নেয়? তার ছোট বোন টা বুঝতে পারছে না? তার মতো ভিতু মেয়ে আগুনের গুহায় ঢুকবে? দু মুঠো খেয়ে পড়ে জীবন চললেই যে তার হলো। বিলাসীতা তাদের সাথে যায় না। সহ্য‌ও হবে না। বিড়বিড় করে বললো,

~ আমি ভিতু! সাহসী হতে চাই না! তবে কেন মনের মধ্যে বিদ্রোহ টের পাই? কিছু জীবন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিতে ইচ্ছে করে কেন? তবে কি আমি পাগল? স্বাভাবিক মানুষ না?

হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ২