হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ২
Tahrim Muntahana
অন্ধকার ঘর! আলোর ছিটেফোঁটা নেই। নরম বিছানার ঠিক মাঝখানটাই এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে নাদিয়া। বেছানো বাম হাতে আগলে ধরা মদের গ্লাস! আয়েশ করে একটু পর পর চুমুক বসাচ্ছে সে। এই মুহূর্তে এর থেকে আরামের কিছু নেই যেন। মদ খেলে তো দুঃখকে ভুলে থাকা যায়, এই যে সে মনের যাতনা গুলো ভুলে গিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে। তার লক্ষ্যই তো এমন! পর পর ছ’গ্লাস মদ গলাধঃকরণ করে উঠে দাঁড়ায় নাদিয়া। নেশা তেমন হয় নি, দিব্যি হাঁটছে সে। হাঁটতে হাঁটতে নিজের ঘর থেকে বের হতেই বাবা-মা কে চোখে পড়ে। টিভি তে দুজন রোমান্টিক মুভি দেখছে! দুজনের হাতেও সেইম দুটো গ্লাস। যেখানে বিচরণ করছে এলকোহল! নাদিয়া সরাসরি বাবা-মা’র পাশে বসে। দুজন টিভি তে এতই মত্ত, মেয়ে যে তাদের পাশে বসেছে খেয়াল করেনি। কেশে উঠে নাদিয়া, হালকা নড়েচড়ে উঠলেও রিমোর্ট হাতে তুলে চ্যানেল পরিবর্তন বা টিভি টাই বন্ধ করার কোনো প্রয়াস তাদের মধ্যে দেখা যায় না। যেন এগুলো নিত্য দিনের চলমান ঘটনা! নাদিয়ার মধ্যে লজ্জা বা অস্বস্তি টের পাওয়া গেল না। পায়ের উপর পা তুলে বসে বললো,
~ ভাইয়া আজও আসেনি?
~ তোমার ভাই কবে বাড়িতে আসে?
মিসেস নুরি কথাটা বলে উঠলেন। মহিলার নাম ছিল নুরজাহান আক্তার। বিয়ের পর হয়েছিলেন নুরজাহান বেগম। কিন্তু হুট করেই কবে যে নুরজাহান বেগম থেকে মিসেস নুরি হয়ে উঠলেন, নাদিয়ার বুঝ আসে না! আর এই মিসেস নুরি হওয়ার সাথে সাথেই তাদের ভাই-বোন দের জীবনেও আমূল পরিবর্তন ঘটে গেল। ছোট্ট নাদিয়া ফ্যাশন বুঝতে শিখলো, স্ট্যাটাস বুঝতে শিখলো, এখন আর তার পা মাটিতে পড়ে না! নিম্নস্তরের মানুষদের পিষিয়েই মাটি থেকে বহুহাত উপর দিয়ে হাঁটে! নাদিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে বললো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
~ তোমার কি উচিত নয় ভাইয়াকে বাড়িতে আনা?
বিরক্ত হলেন মিসেস নুরি! রোমান্টিক সিনে কনসেনট্রেট করতে অসুবিধা হচ্ছে তার! বরের সাথে একটু আলাদা সময় ও দেখছি কাটানো যাবে না! অথচ চব্বিশ ঘন্টা সময়ের প্রায় বাইশ ঘন্টাই তিনি অনল মাহমুদের সাথে আঠার মতো লেগে থাকেন! আর এই দুই ঘন্টার কথা না হয় নাই বলা হলো, সে তো মিনিটে মিনিটে ফোন করতেই কেটে যায়! অনল মাহমুদ বললো,
~ তোমার ভাইয়া কি বাড়ি আসার মানুষ? দেখ গিয়ে কোনো হোটেলে মেয়ে নিয়ে পড়ে আছে!
~ খবরদার বাবা। এমন অপবাদ আমার ভাইকে দিবেন না। নাটক কম করে করবেন। কি ভাবছেন আমি কিছু জানি না? প্রতি রাতে মেয়ে আপনি পাঠান, কিন্তু আমার ভাইয়া আপনার মুখের উপর বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেয়ে গুলো কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। কেচ্ছা আমাকে শুনাতে আসবেন না।
অনল মাহমুদের মাঝে কোনো পরিবর্তন দেখা গেল না। এমন কাজ করে বা বর্তমানে মিথ্যে বলেও সে অনুতপ্ত বা ইতস্ততের মধ্যে পড়েন না। বরং বিরক্ত হয়ে বললেন,
~ আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার ভাই সত্যিই পুরুষ মানুষ তো? এত এত সুযোগ থাকার পরেও কেউ হেলায় ছেড়ে দেয়? ঠিক ভাবে মানুষ হয় নি।
~ ভাগ্যিস হয় নি! তোমার মানুষ মানেই তো অন্যদের চোখে অমানুষের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যাই হোক, খুব তাড়াতাড়ি আমার ভাই কে বিয়ে করাবো। এরপর তোমাদের কেও আমি দেখে নিবো।
হনহনিয়ে বাইরে হাঁটা ধরে নাদিয়া। মিসেস নুরি আর অনল মাহমুদ নাদিয়ার কথাটা হেসেই উড়িয়ে দেন। কারণ ঘুড়ি যতই উড়ুক না কেন, নাটাই তো তাদের হাতেই বন্দি! দুজনেই দৃষ্টি ঘুরায় টিভির পর্দায়। মুখে মুচকি হাসি বিরাজমান দৃশ্য দেখে। একে অপর কে যখনই জড়িয়ে নিতে যাবে উপর থেকে ভেসে আসে কোনো এক পুরুষালি চিৎকার,
~ আমার বউ এনে দাও, আমার বউ চাই, আমার বউকে কোথায় রেখেছো!
এমন অনেক আহাজারি, যার মধ্যে একটাই কমন শব্দ বউ! ছেলেটার সবকিছুতেই যেন বউ নামক নারী টি মিশে রয়েছে। অনল মাহমুদ উপর দিক তাকিয়েই বিশ্রী ভাষায় কয়েকটা গালি দিলেন, তা ছেলেটিকে নাকি ছেলেটির বউ কে বুঝা গেল না। কিন্তু মিসেস নুরি ঠিক বুঝলেন। হেসে উঠলেন তিনি। একসময় আহাজারি থেমে গেল, শান্ত হয়ে গেল পুরো বাড়ি। ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে দুজন মধ্যবয়সী পুরুষ-মহিলাও মত্ত হয়ে পড়লেন উল্লাসে!
নাদিয়া সরাসরি গাড়ি নিয়ে বের হয়, হাইওয়ের রাস্তা ঘেসে, ধুলোবালি উড়িয়ে ছুটতে থাকে সে। চোখে মুখে ক্রোধের দাবানল! কোনো এক রাজ্যকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম যেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা!
নিজের ঘরে পড়ছিল আফরা। এই রাতটুকুই পায় নিজেকে নিয়ে ভাবার জন্য। যার একাংশই সে ভবিষ্যতের কথা ভেবে পড়ালেখায় ডুবে থাকে। পড়তে ইচ্ছে না হলেও জোর করে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে বইয়ের গোটা গোটা অক্ষরে। ছোটবেলায় মামা যখন বলতো, ‘গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে সে, পড়ালেখা করে যে!’ তখন আফরা ভাবতো, কই সে তো পড়ালেখা করে না। স্কুলে যায়, আসে।এইটুকুই, পড়তে ইচ্ছে হয় না তার। তবুও তো সে গাড়িতে চড়ে, ঘুরে বেড়ায়। মামা তাহলে এমন বলছে কেন? মামা কে শুধাতো সে। সবসময়ের মতো সে দেখতো প্রশ্ন টা শুনেই তার মামা এক গাল হাসতো। আদুরে ভঙ্গিমায় কোলে নিয়ে বলতো,
~ এখন তো তুমি অন্যের গাড়িতে চড়েছো, টাকা দিতে হচ্ছে বিনিময়ে। কে টাকা দিচ্ছে? আমি, তোমার মা অথবা তোমার বাবা। এগুলো আমরা উপার্জন করি, তুমি না তো। তাই এগুলো তে তোমার হক সামান্য। কিন্তু তুমি যখন বড় হবে, পড়ালেখা করবে, মস্ত বড় কলেজে ভর্তি হবে, একসময় মস্ত বড় অফিসার হয়ে বের হবে, তখন তোমার টাকা হবে। যেভাবে পারো খরচ করতে পারবে। কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে না। নিজের কেনা গাড়িতে চড়বে, তোমার নিজস্ব ড্রাইভার থাকবে। তাকে যখন তখন হুকুম করতে পারবে। এর জন্য তোমাকে পরিশ্রম করতে হবে। এখন বলোতো কোনটা বেশী ভালো?
আফরা তখন ভাবতো। পরিশ্রম জিনিসটা যেন বড্ড কষ্টের। বাবা- মামা কে তো দেখতো। তাই তার কাছে মনে হতো বাবার টাকায় অন্যের গাড়িতে চড়ায় ঢের ভালো। চটপট বলে উঠতো,
~ আগের টাই ভালো।
আফরার মামা হাসতো, তার হাসি যেন তখন চওড়া হতো। এই হাসির মানে ছোট্ট আফরা বুঝতো না। কিন্তু এখন বুঝে। জীবন নামক বাস্তবতায় ঘুরপাক খেয়ে যুবতী আফরা এখন মামার সব কথা বুঝে। তবে মামা কে জোর গলায় নিজের বোকামো, ভুলের কথা বলতে পারেনা। বলতে পারে না, নিজের টাকায় বিলাসীতা করা ঢের ভালো। মামা টা যে হুট করে কোথায় হারিয়ে গেল, আফরা এত খুঁজেও পেল না!
গাড়ির শব্দে আপন ভাবনা থেকে বের হয় আফরা। ভ্রু কুঁচকে দরজার দিকে তাকায়। এতরাতে এদিকে কে গাড়ি নিয়ে আসবে? কিছু টা ভয় ও পায় সে। ভয় তার দ্বিগুণ হয় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে। বড়সড় ঢোক গিলে, তবুও যেন গলা শুকিয়ে যায়। সে এত ভিতু কেন? নিজ মনেই প্রশ্ন করে, উত্তর আসে না। দৌড়ে যায় বোনের ঘরে। দরজায় তালা লাগিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে, চাবিটা গুপ্ত জায়গায় লুকিয়ে কাঁপা কাঁপা পায়ে এগিয়ে যায় দরজার দিকে। ক্রমশ যেন মাথা ঘুরে উঠে। এবার অপর পাশের মানুষটা বিরক্ত হয়, বারকয়েক জোরে বারি বসায় দরজায়। আফরা দরজা খুলে বাইরে চোখ রাখতেই ভয় গুলো পালিয়ে গিয়ে একরাশ অবকতা ফুটে উঠে। অস্পষ্ট সুরে বলে উঠে,
~ নাদিয়া তুমি!
নাদিয়া হাসে, আফরা কে পেছনে ফেলে নিজে নিজেই ঘরে ঢুকে পড়ে। বিরক্ত আর ভয়ের মিশ্রণে অদ্ভুত মুখের ভঙ্গিমা হয় আফরার। শক্ত কন্ঠে বলে উঠে,
~ কার পারমিশনে ঘরে ঢুকলে? আমি তোমাকে ঘরে ঢুকার অনুমতি দিয়েছি?
অপমানিত হওয়ার কথা থাকলেও নাদিয়া হয় না, বরং আফরার এমন কাঠখোট্টা টাইপের আচরণ তার ভালো লাগে। ভাবালেশ বলে উঠে,
~ তোমার কাছে আসার আগে মদের ছয়টা গ্লাস শেষ করে এসেছি। তারপরেও দেখ নেশা হয়নি, গাড়ি চালিয়ে এসে তোমার সামনে বসে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলছি, তোমার কথা বুঝতে পারছি। অথচ তুমি স্বাভাবিক থেকেও আমার আসার কারণ বুঝতে পারছো না? এটা কেমন কথা বলোতো? তোমাকে আমি অত্যন্ত চালাক ভেবেছিলাম!
~ তোমার মনে হয় না তুমি একটু বেশীই করছো? আজ যে কান্ড টা তুমি করেছো, এর জন্য আমি চাইলেই তোমাকে মানহানির কেসে ঢুকিয়ে দিতে পারতাম জানো? একে তো ব্লেইমেইল করেছো, তারউপর পুরো ভার্সিটি আজ থৈ থৈ হয়ে গিয়েছে, আমার সম্মানে একটু হলেও আঁচ লেগেছে নাদিয়া! এরপর আবার তুমি আমার বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছো! সাহস কি করে হয় তোমার?
আফরার কথায় নাদিয়া হুট করেই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। চমকায় আফরা, এই মেয়ে কি থাকার চিন্তাভাবনা করছে নাকি? নাদিয়া বলে উঠে,
~ তোমার বিছানা টা এত শক্ত কেন? ঘুমানো যায়? আমার বাড়ির বিছানা কত নরম জানো?
এক মুহূর্তেই নাদিয়ার ইঙ্গিত বুঝে ফেললো আফরা। এই মেয়ে তাকে বিলাসীতার লোভ দেখাচ্ছে! আফরা তাচ্ছিল্য হাসলো। মুখে হাসি ধরে রেখেই বললো,
~ আমার বিছানা শক্ত নয়, নরম তোমার শরীর! কিন্তু আমার শরীর এতটা নরম নয়! খাপ খাবে না, তোমার দূরে থাকাই শ্রেয়!
সেদিকের কথা আর বাড়ালো না নাদিয়া, শুয়ে থেকেই বললো,
~ আমি যতদূর জানি তোমার বয়ফ্রেন্ড নেই, না আছে কোনো পরিবার, আছে বলতে একটা ফ্রেন্ড! তাহলে না করছো কেন? আমার ভাইয়া কে তো চিনোই, তারপরেও না?
~ তোমার ভাইয়া কে?
আফরার প্রশ্নে চোখ বড় বড় হয়ে এলো নাদিয়ার। বিশ্বাস ই করতে পারছে না, তার ভাই কে এই মেয়ে চিনে না, তাও আবার এই এলাকাই থেকে! অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করে,
~ আমার ভাইয়া কে তুমি চিনো? এও সম্ভব?
£ কেন? তোমার ভাই কি প্রধানমন্ত্রী নাকি? যে তাকে চিনতেই হবে!
নাদিয়া হেসে উঠলো। মেয়েটাকে তার দারুণ লেগেছে। আর বললো না তার ভাই কে! অজানা থাকুক, ব্যাপারটা তার মজা লাগছে। অথচ আফরা মনে মনে নাদিয়াকে বেকুব বলে গালি দিলো! সে ভেবেছিল মেয়েটা চালাক, এখন তো দেখছে বোকার হদ্দ! বললো,
~ বের হও আমার বাড়ি থেকে, আমি তোমার প্রস্তাব আগেই নাকচ করে এসেছি, তাই ছ্যাচড়ার মতো পেছনে ঘুরবে না। এসব আমি একদম পছন্দ করি না!
একপ্রকার জোর করেই বের দিল নাদিয়াকে। নাদিয়ার খানিক রাগ হলেও কিছু বললো না। গাড়ির কাছে গিয়ে আবার কি মনে করে যেন ফেরত আসলো। দরজায় দাঁড়িয়ে বললো,
~ তোমাকে আমি এমনি এমনি সিলেক্ট করিনি! তোমাকে আমার ভাবি করেই ছাড়বো, ওপেন চ্যালেঞ্জ করে গেলাম। মিলিয়ে নিও!
আফরার ঠোঁটের কোণেও সুক্ষ এক হাসি দেখা যায়, যা স্পষ্ট হওয়ার আগেই মিলিয়ে যায়। চ্যালেঞ্জ? তার জীবন টা কি এখন কারো চ্যালেঞ্জের সংঘর্ষে শেষ হয়ে যাবে? সে তো এমন চায়নি! তাহলে? প্রতিবার কেন সেই এমন সংঘর্ষের কারণ, হাতিয়ার হয়! তার স্বাভাবিক জীবন কোথায় গিয়ে হারালো! কোথায় গেল সেই শৈশব? কোথায় গেল সেই খিলখিল হাসি? কোথায় ই বা গেল সেই চেনা পরিচিত বাবা-মা, মামা! কোথাও নেই! তার জীবনটা সময়ের পরিক্রমায় যাচ্ছে ঠিকই, তবে কোনো দিক নেই! নেই কোনো লক্ষ্য, নেই কোনো স্বপ্ন! শুধু ইচ্ছে টা হলো দুমুখো! একবার নিজের জন্য, আরেকবার বোনের জন্য কথা বলে! তার জীবনচক্রের সীমান্তই মৃত্যতে!
~ এই তোর সাহস তো কম না, ভাবির কাছ থেকে টাকা নিস, জন্মের রিকশা চালানো শিখাই দিবো।
সবে মাত্র রিকশা থেকে নেমে ভাড়াটা পরিশোধ করবে আফরা, ঠিক তখনি উগ্র কন্ঠের আওয়াজ ভেসে আসে। চোখ তুলে তাকায় আফরা। ভার্সিটিরই কিছু ছেলেপেলে। ভাবি ডাকের অর্থ টা বুঝতে পারে না। রিকশাওয়ালা ভয় পেয়ে রিকশা ঘুরাতে নিলেই আফরা ভ্রু কুঁচকে বিরক্ত প্রকাশ করে বলে উঠে,
~ এই মামা দাঁড়ান! আমি আপনাকে যেতে বলেছি?
ভাড়া হাতে ধরিয়ে দিয়ে ইশারা করে যাওয়ার জন্য। রিকশাওয়ালাকে আর পায় কে, জীবন নিয়ে এখান থেকে যেতে পারলেই যেন বাঁচে। একজন রিকশাচালকের পুঁজির উৎস টাই যে রিকশা। সেটা খোয়ালে জীবন নিয়ে টানাপোড়েন হবে না? রিকশাওয়ালা যেতেই আফরা সামনের ছেলেগুলোর দিকে তাকায়। বেশভুষায় বড়লোকি ভাব! হয়তো তার থেকে জুনিয়র ই হবে। শক্ত কন্ঠে বললো,
হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ১
~ ভাবি কে? ভাইয়া টাই বা কে?
ছেলেগুলো মাথা নিচু করে নেয়। যেন জোর করে সম্মান ধরে রাখছে। আফরা বুঝতে পারে এদের বলে কোনো কাজ হবে না, তাই ভার্সিটির ভেতর ঢুকে পড়ে। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করলে আর কোনো কাজ করা সম্ভব হবে না, তার আজ অনেক কাজ বাকি!