আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৪৮

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৪৮
ইশিকা ইসলাম ইশা

রাত পেরিয়ে তখন ভোর। চারদিকে পিনপতন নীরবতা হলেও গাড়ির শব্দে চট করেই উঠে বসে রুপ। দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলতেই নজরে এলো তীর কে।তীর রুপ কে হঠাৎ এখানে দেখে হচকচিয়ে বলল,
একি রুপ!তুমি এখানে??
রুপ তীরের দিকে তাকিয়ে হতাশ হয়ে বলল,
তীব্র ভাইয়া কোথায়?আমি তো জন্মদিন উপলক্ষে সারপ্রাইজ দিতে এসেছিলাম। কিন্তু তোমরা কেউ নেই। কোথায় ছিলে তোমরা?
তীর রুপের দিকে তাকালো।পড়নে জিন্স টপস গলায় স্কাফ জড়ানো। অতিরিক্ত সুন্দরী হওয়াই কালো টপস একদফ ফুটে উঠেছে।পিঠ পর্যন্ত চুলগুলো ছড়িয়ে আছে।হালকা সাজে মারাত্বক লাগছে।সে নিজেই তো চোখ ফেরাতে পারছে না।

তীর ভাইয়া….
তীর নিজেকে সংযত করে বলল,
তীব্র হয়তো আসছে! কিন্তু তুমি হুট করে চলে এলে!
রুপ মিষ্টি হেসে বলল,
আমি তো আয়ান ভাইয়ার সাথে এসেছি। ভাইয়ার প্রফেশনাল কাজে। তবে মজার ব্যাপার জানো!
তীর রুপের হাস্যোজ্জ্বল মুখটা দেখে বলল,
কি??
রাইমা আপু ও এসেছে!সাথে ওনার হাজবেন্ড আর বেবি!
তীর অবাক হয়ে বলল,
কিহহহ?????
রুপ তীরের অভিব্যক্তি দেখে হেসে বলল,
আরে আরে এতোটা অবাক হচ্ছো কেন?রাইমা আপুও তার কোন প্রফেশনাল কাজের জন্যই এসেছে এইখানে! এয়ার পোর্টে আমাদের দেখা।কাল আমি ওদের আসতে বলেছি। জন্মদিনে তো জন্ম দিনের পার্টি হলো না তাই ভাবছি কাল………..

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ঘুমন্ত রিদিকে তীব্রর কোলে দেখে আশ্চর্য হয়ে কথা থামিয়ে দিল রুপ।রিদিকে তীব্রর কোলে দেখে না চাইতেও বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠলো।মনে মনে কেউ একটাই প্রশ্ন বারবার করল।
তুই কেন নস?কেন তোর কপালে সেই সুখ লিখা নেই যা ওর কপালে আছে।কেন ঐ পুরুষালী চওড়া বুকে তুই মাথা রাখতে পারলি না? কেন??কি কাজে লাগল তোর এই রুপ!এই রুপের জাদুতে কেন ঐ পুরুষকে বাঁধতে পারলি না।
রুপের চোখে টলমল করছে পানিতে। ঘুমন্ত রিদি কি সুন্দর তীব্রর বুকে মিশে আছে।এহাতে খিচে ধরে আছে তীব্রর শার্ট।অথচ এই পুরুষেরই মেয়েদের প্রতি কতোই না অবঙ্গা ছিল।কোন মেয়ে তার আশেপাশে আসলেও সহ্য করত না। সেখানে তাকে ছোঁয়া তো দুঃস্বপ্ন।হাজারো সুন্দরী মেয়েদের দিকে যে একপলক তাকাই নি সে এক শ্যামলা মেয়েকে বুকে জায়গা দিয়েছে।তার দিকে তাকিয়ে যার মুখে মিষ্টি হাসি।এসব কখনো বাস্তবে সম্ভব হয়! এমন পুরুষ যা প্রতিটি নারীর স্বপ্ন পুরুষ সে নাকি এক শ্যামকালো মেয়েতে আবদ্ধ।রুপের এখনো এই সত্যি মানতে কষ্ট হয়।মনে হয় এসব মিথ্যা সে কল্পনাতে বসবাস করছে।

তীব্র একপলক রুপ কে দেখে কিছু না বলে রিদিকে নিয়ে চলে যাই রুমে।তীব্রর এই অবঙ্গা যেন রুপের মন ভেঙ্গে চুরমার করে বারবার।বার বার মনে হয়!সে কেন নয়?
তীর তীব্রর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে এবার রুপের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।মেয়েটা মাত্রাতিরিক্ত সুন্দর। তবুও তীব্র চৌধুরী তাকে ছেড়ে দিয়েছে।রুপের একনিষ্ঠ ভালবাসা বোঝেনি।এতে একটা কথা আজ সে ক্লিয়ার বুঝতে পারে,
“”রুপ একটা মোহ! মায়া না।মোহ হয়তো দুদিনে কেটে যায় কিন্তু মায়া!!মায়া শত জনমেও কাটে না।””
রুপ….. অনেক রাত হয়েছে……
সে কেন আমার হলো না তীর ভাইয়া??
তীর কিছুটা বিব্রত বোধ করল।রুপ সরাসরি এই কথা বলবে সে ভাবেনি। তবে তীর রূপের কষ্ট দেখে কিছুটা মিষ্টি সুরে বলল,

বুঝলে তো রুপ…দুনিয়াতে কাকে কখন কার পছন্দ হয় সেটা বলা মুশকিল।ভালবাসা কি দেখে হয় সেটা আমি জানি না।একেক জনের কাছে ভালবাসা একেক রকম।তবে সবচেয়ে বড় কথা কী জানো!ভালবাসা মানে কিন্তু ত্যাগ ও।পেতেই হবে,পাওয়াই লাগবে সেটা কি জরুরী??
রুপ তীরের দিকে তাকালো।তীর আবারো মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বলল,
তীব্র রিদিকে ভীষণ ভালোবাসে রুপ।হয়তো মুখে কখনো স্বীকার করবে না। কিন্তু রিদি ছাড়া তীব্রর অস্তিত্ব মুছে যাবে।রিদিকে নিয়ে তীব্রর পাগলামী কোন আশিক টাইপ না পুরোটাই ভয়ংকর!ভালো থাকতে তার রিদিকে চাই ই চাই!

আমরা হয়তো তীব্রর মতো করে ভালোবাসতে পারি না।তবে ত্যাগ করে আমাদের ভালোবাসার মানুষটাকে তো ভালো রাখতে পারি তাইনা।
রুপ চোখের পানি মুছে নিজেকে সামলে বলল,
হয়তো!
তীর কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করে বলল,
অনেক ট্রায়াড হয়তো তুমি রেস্ট কর।
বলেই সে নিজের জন্য বরাদ্দ রুমে ঢুকে যায়।রুপ তীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে,
“ভালোবাসলেই সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না”

সময়টা তখন সকাল,
রিদি পিট পিট করে চোখ খুলে একপলক তাকিয়ে আবারো চোখ বন্ধ করে নিল।রাতের কথা মনে হতেই চট করে উঠে বসতে চাইল কিন্তু পারল না।বুকের উপর ভারি কিছু অনুভব করতেই তাকালো ঘুমন্ত তীব্রর দিকে।ঠিক সেদিন গাড়িতে তার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিল আজো তাই।রিদি তীব্রকে দেখে দুহাতে তীব্রর মাথা ধরে আরো শক্তভাবে আঁকড়ে ধরল।কাল তার কাছে ভয়ংকর একটা সময় ছিল।তীব্রর কপালে হাত রেখে দেখল কালকের ওর বাঁধা ওরনা এখনো পর্যন্ত সেভাবেই বাধা।রিদি ছটফটিয়ে উঠতে চাইল কিন্তু আবারো ব্যর্থ হলো।হতাশ হয়ে তীব্রর মুখখানা দেখতেই নজর এলো তীব্রর ঠোঁটের কোনায় কালচে দাগের দিকে। গাড়িতে তীব্রর সাথে রোমান্টিক মূহুর্তের কথা মনে পড়তেই রিদি মুচকি হেসে হাত ছোয়াল ঠোঁটের দাগের দিকে।তীব্রর সাথে পেরে উঠতে না পেরে কামড়ে ধরেছিল তীব্রর ঠোঁট।এতে সে থামে নি বরং আরো উতলা হয়েছিল।ক্ষতের উপর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল।
বৌ…..……

রিদি ভাবনার মাঝে বৌ ডাক শুনে হচকচিয়ে তাকাল তীব্রর দিকে।তীব্রর ঘুম ঘুম ডাকটা নেশার মতোই টানলো তাকে।আনমনেই বলল,
হুম…….
কিস করতে মন চাইলে করতে পারেন।আমি কিছু মনে করব না।নয়তো আমিই করছি আপ……….
রিদি চট করেই তাকালো তীব্রর দিকে। দুহাতে তীব্র কে ঠেলে এলোপাথাড়ি দৌড়ে ঢুকল ওয়াসরুমে। তীব্র কিছুক্ষণ আহাম্মক এর মতো তাকিয়ে সেও দৌড় দিল কিন্তু রিদি ইতিমধ্যে দরজা আটকে দিয়েছে।
এই বৌ!!বৌ… খুলুন আমিও তো গোসল করব কাল সারাদিন গোসল করি নি।
রিদি তীব্রর কথায় চেঁচিয়ে বলল,

আমি আগে তারপর আপনি!!
তীব্র মিষ্টি সুরে বলল,
একসাথে করি সমস্যা কোথায়?আমার বাথটপ অনেক বড়…….
আপনার উদ্দেশ্য আমি বুঝি না…..
আপনি আমাকে এতোই ডেসপারেট ভাবেন! বিশ্বাস করুন আমি খুব জেন্টেলম্যান…..
জি না!আপনার ভাবনারএর চেয়েও বেশি ভাবি।আর আপনি কেমন জেন্টেলম্যান আমার জানা হয়ে গেছে।
তীব্র কিছুটা রেগে দরজা বারি দিতে গিয়েও রিদির কথায় অবাক হয়ে থেমে যাই।কারন ওপাশ থেকে
রিদি বলছে,

এই খবরদার!! যদি রাগ দেখিয়েছেন তো! আজকে সারাদিন আমার আশেপাশেও আসবেন না।
তীব্র অবাক হয়েই মনে মনে বলে,
এই টুকু বৌ তাকে হুমকি দিচ্ছে! তাকে??মানে সে তীব্র চৌধুরী কে!!যে তাকে দেখলেই দিনে দুবার করে ঙ্গান হারাতো তাকে!!
আবার পরক্ষনেই মুচকি হাসল। ছোট্ট বৌটা এবার তাকে ঠিক সামলে নিবে!

যার জীবন শেষ করার জন্য ঐ গ্রামে গেছিল আজ সেই মেয়েটাই তার জীবন হয়ে গেছে।তার রৌদ্র তপ্ত জীবনে একফালি মেঘ হয়ে ছায়া দিয়েছে।যার ছায়া তীব্রকে আশান্ত থেকে শান্ত করে।যার স্পর্শ জলন্ত আগুনে ঠান্ডা পানির মতোই তাঁকে ঠান্ডা করে।ঐ মিষ্টি মুখখানা সকল কিছু ভুলতে বসায়।আর ঐ হাসি এই হাসিতেই তো সে আটকে গেছে।টানা টানা গভীর আখিযুগলে যখন কান্নারা ভির জমাই তখন পাপড়িগুলো ভেজা ভেজা হয়ে লেপ্টে থেকে তাকে আকর্ষন করে। ঠোঁট ফুলিয়ে যখন কাঁদে ইচ্ছে করে বসিয়ে রেখে দেখি। প্রিয় মানুষের কান্না কারো পছন্দ হয় কি না তার জানা নেই তবে তার প্রিয় বৌয়ের কান্নারত মুখখানা তার পছন্দ।
তীব্র এসব ভাবতে ভাবতে আবারো গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরল।রিদির বালিশে মুখ গুজতেই বৌয়ের মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে এসে বারি খেল।চোখ বুজে ঘ্রাণ নিতেই ভেসে এলো রিদির কন্ঠস্বর।

এই শুনছেন!!
না শুনছি না!
আসলে ইয়ে মানে আমার কাপড় একটু দিবেন!
পারবো না!
দিন প্লিজ……
নো!!!
দিন না প্লিজ….আমি কাপড় নিতে ভুলে গেছি!
তীব্র ত্যারামি করে শুয়ে থাকলেও একটু পর চট করে উঠে লাগেজ থেকে একটা গাউন টাইপ জামা বের করে কিছু খুজতে খুজতে বলল,

এই বৌ আপনার ওই জিনিস কোথায়??
রিদি হচকচিয়ে গেল তীব্রর কথায়,
ঐই জিনিস মানে??
কি হলো বলুন??
রিদি চট করেই যেন তীব্রর অভিব্যাক্তি বুঝতে পারল। লজ্জায় লাল হয়ে আমতা আমতা করে বলতেই তীব্র বলল,
পেয়েছি।থাক আর বলতে হবে না। স্বামীর কাছে এতো লজ্জা।তবে কি আমি লজ্জা ভাঙ্গাতে পারি নি। তীব্র চৌধুরী কি না লজ্জা ভাঙ্গাতে পারল না।হায় আফসোস!!!

রিদি তীব্রর এমন হায়তাপাশ দেখে লজ্জা পেল না শুধু অবাক হল।তীব্র রিদির সাথে খুব নরমাল স্বামী স্ত্রীর মত কথা বলছে।যেন যুগ যুগ তাদের প্রেম চলছে আর তীব্র সেই টাইপ প্রেমিক।রিদি উপন্যাস পড়েছে মায়ের সুটকেসে বেশ কিছু উপন্যাসের বই ছিল।সেই থেকেই প্রেম প্রেমিক ভালোবাসা সম্পর্কে বেশ ধারনা হয়েছে তার।তবে তীব্রর সাথে এমন প্রেমিক টাইপ ব্যাপার কখনো যাবে??সে তীব্র চৌধুরী না!তীব্র চৌধুরীর সাথে ভিলেন টাইপ ব্যাপার গুলো যাবে!প্রেমিক টাইপ না।তবে এই পাষাণ, নিষ্ঠুর মানুষটা কখনো এমন কথাও বলতে পারে জানা ছিল না।রিদি তো এখানে আসার আগে ভেবেছিল তীব্র তাকে দেখামাএই হয়তো আঘাত করবে,মারবে,বকবে,হয়তো তাকে মেরেই ফেলবে।তবে তীব্র তাকে এভাবে আগলে নিবে এটা আশা করেনি।তার জন্য এতোটা ডেসপারেট হবে ভাবেনি,তার জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বাজি রাখবে ভাবেনি।সে তো ভাবনায় ও আনেনি তীব্র তাকে মেনে নিবে।সে ভেবেছিল তার সকল চেষ্টায় বিফলে যাবে। ফিরে যেতে হবে দেশে।

আবার ভেবেছিল তীব্র তাকে একবার ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিবে।তার মতো মেয়েকে বৌয়ের পরিচয় দিয়ে কখনো ভালোবেসে আগলে রাখবে না। নামমাত্র বৌ হয়ে থাকবে সে তীব্র চৌধুরীর।কখনো তার সাথে একটা সুখের সংসার হবে না।
তবে আজ এই মুহূর্তে রিদির মনে হচ্ছে তার সকল ভাবনা ভুল। ভিলেন হয়েও যদি তাকে আগলে রাখে,তাকে ভালোবাসে, তার জন্য শত সুন্দরী রমনীকে ত্যাগ করে,সেই ভিলেনের কাছে তো হাজার টা শুদ্ধ পুরুষের ভালোবাসা তুচ্ছ।কারন শুদ্ধ পুরুষ সর্বদা সুন্দরী নারীতে আসক্ত হয়। ঠিক উপন্যাসে পড়া চোখ ধাঁধানো সুন্দরী নারীদের প্রতি তাঁদের আসক্তি জন্মে।আর ভিলেন সে তো শুদ্ধ পুরুষ হয় না তারা তো রুপে আসক্ত হবেই।
আর সেই ভিলেনই যদি তার মতো কালো মেয়েতে আটকায় তবে তার জন্য তো হাজারো ব্যাথা সহ্য করা যায়।তার জন্য সাত খুনও মাফ করা যায়।রিদি করবে।সব ভুলে এই পুরুষটিকে উজার করে ভালোবাসবে।
রিদিকে ভেজা শরীরে এভাবে দাড়িয়ে থেকে গভীর ভাবনায় দেখে তীব্র ভু কুঁচকে এগিয়ে গেল।
এই বৌ……..

ব্যাস এইটুকুই শোনার ছিল।বৌ!!!রিদি ভেজা শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ল তীব্রর বুকে।তীব্র প্রথমে হচকচিয়ে গেলেও পরক্ষনেই মুচকি হেসে বলল,
আমার বৌ!আমার বৌ জান!
তীব্রর সম্মোধনে রিদি মুখ তুলে তাকালো তীব্রর দিকে।ভেজা ভেজা চুল, ভেজা চেহেরায় কতোই না সিগ্ধ লাগছে বৌটাকে।তীব্র রিদির দিকে তাকিয়ে ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে থাকা বৌ টাকে দেখে শুকনো ঢোক গিলে বলল,
বৌ!! একটুখানি ছুঁয়ে দিই!!

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৪৭

রিদি চমকে উঠল তীব্রর কথায়।শরীরে লোম দাড়িয়ে গেল। শীতল বাতাস বয়ে গেল সর্বাঙ্গে। ততক্ষনে তীব্র মুখ গুজেছে গলার ভাঁজে।রিদি উত্তেজিত হয়ে খামচে ধরল তীব্রর মাথার পেছনের চুল।সায় দিল তীব্রর পাগলামিতে।আরো একবার ডুব দিল তীব্র ময় ভালোবাসায়।

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৪৯