নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৪৫

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৪৫
সিনথিয়া

“কী দেখছেন ওভাবে তাকিয়ে?”
সফেদ শিফনে মোড়া ত্রিকোণাকৃতির টেন্টটির ভিতরে হাঁটু আগলে বসে আছে আরশি। গায়ের ওপর আলোগোছে চাঁপানো শেহজাদের ওভারকোট। অনামিকায় জ্বলজ্বল করছে প্রিয়র থেকেও প্রিয় মানুষটার দেয়া দ্বিতীয় উপহার।
কপোলে একরাশ নরম লজ্জা মিশিয়েই শেহজাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা ছুড়েছিল আরশি।
তবে শেহজাদের বিশেষ ভাবান্তর হলো না তাতে। একহাঁটু ভাজ করে উঠিয়ে তারউপরে কনুই রেখেছে সে মানুষ। মুষ্টিবদ্ধ হাতের আঁজলায় স্থান পেয়েছে তার তীক্ষ্ণ চোয়াল।
প্রিয়দর্শিনীকে নিঃশব্দে অবলোকন করতে করতে একসময় নীরবতা ভাঙলো। তার স্থুল স্বর বড্ড মুগ্ধতার সাথে আওড়ালো,

“স্নোফ্ল্যাক!”
শেহজাদের পৌরুষ কন্ঠে থমকে গেলো আরশি। প্রকট চোখে শুনলো প্রাণ পুরুষের অকাট্য সম্ভাষণ। ‘স্নোফ্ল্যাক’! সহজ সাহিত্যে কোনো নির্দিষ্ট তুষারকণা বা বরফের ফুল।
মানুষটার নীল চোখের নিবিষ্ট চাওনি, ঘোর লাগা স্বরের এই মিষ্টি সম্ভাষণে কুন্ঠায় হাঁসফাঁস করে উঠলো আরশি। ইতিউতি অপ্রস্তুত দৃষ্টি ফেলে মন চাইলো প্রসঙ্গ বদলাতে। কিন্তু মস্তিষ্ক শব্দ করে বলে বসলো,
“স্নোফ্ল্যাক নিশ্চয়ই টেন্টের ভিতরে ঝড়ছে না? তাহলে এদিকে তাকিয়ে আছেন? বাইরে তাকান!
“উহু! প্রথমত আমি আমার ব্যক্তিগত স্নোফ্ল্যাককে দেখছি! আর দ্বিতীয়ত এই মূহুর্তে বাইরে তাকিয়ে তাকে চোখের আড়াল করতে চাইছি না!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ঢিপঢিপ বুকে শুকনো ঢোক গিললো আরশি। পরপর তাড়াহুড়োয় হাতে তুলে নিলো সামনে রাখা ডেজার্ট প্লেট। একটু আগেই দু’জনে মিলে যে কেকটা কাটলো সেটাই স্লাইস করে এই প্লেটে উঠিয়ে রেখেছে শেহজাদ।
তটস্থ হাতে সেখান থেকে কিছুটা তুলে মুখে দিতেই আরশির মনে পড়লো কেক কাটার সময় শেহজাদ ওর পাশে দাঁড়ায়নি। বরং দাঁড়িয়েছিল পিছনে। হালকা ঝুঁকে চিবুক রেখেছিল আরশির কাঁধে। পুরুষালী বলিষ্ঠ এক হাত আধিপত্যের জোয়ারে ভাসিয়েছিল তার মেদুর কোমর। অন্য হাতটা ছুঁয়ে রেখেছিল ছুড়ি ধরে রাখা হাতের কব্জি। পৌরুষ স্বর তার কানের পাশে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করেছিল,
“সো ফ্রম নাও অন, অ্যাম আই অলসো এলাউড টু কন্সিডার মাইসেল্ফ এজ ইয়র ফ্রেন্ড মিসেস শেহজাদ?”
“হঠাৎ?”

“বৈবাহিক সম্পর্কের ভিতটাই তো বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হয় ম্যাডাম! যার সাথে সবটা বলা যায়, যার সাথে প্রাণ খুলে হাসা যায়, দুষ্টুমি করা যায়, আর ক্লান্ত দিনের শেষে যার কথা মনে করে বাড়ি ফেরা যায়! তো পারমিশন পাচ্ছি কি?”
আরশি বয়ঃসন্ধিতে প্রেমে পড়া লাজুক কিশোরীর ন্যায় হেসে জানালো,
“মনে তো হয়, পাচ্ছেন!”
অথচ, “ফ্রেন্ড? অসম্ভব!” বলেই প্রবল বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠেছিল, আরশির ভিতরে থাকা শেহজাদের জাবরা ফ্যান সত্তাটা। আরশির মনের সুপ্তকোণে লুকিয়ে থেকে সে আহুতি জানিয়ে বলেছিল, “দিলো তো বউ থেকে জাস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে! আহারে আহারে! আরো অপেক্ষা করা!”

ফ্যান সত্তার এমন প্রশ্নে আরক্তিম হওয়া বৈ প্রতিত্তোর আরশি করতে পারেনি তখন। এখনো পারছে না। অথচ সে নিজেও যে চাইছে এই সুন্দর সন্ধ্যেটা বিফলে না যাক। শেহজাদ ভালোবাসার প্রলয় আনুক তার বিশ বছরের জীবনে।
কিন্তু শেহজাদ তেমন কিছুই করলো না। কোনো প্রলয় ট্রলয়ও আনলো না। আর তার এই লক্ষ্মী ছেলে হয়ে বসে থাকাই যেনো নির্বাক যুদ্ধ চালালো আরশির অসহায় হরমোনগুলোর সাথে!
“কীসের…হরমোন?”
শেহজাদের সপ্রশ্ন কন্ঠে সপ্রতিভ হলো আরশির বিক্ষিপ্ত ভাবনা গুলো। হুঁশে ফিরতেই দেখলো শেহজাদ কপালে ভাজ ফেলে চেয়ে আছে ওর দিকে।
মনে মনেই সপাটে নিজের গালে নিজে চড় বসালো আরশি। শেষমেশ মুখ ফসকে কিনা ঐ শব্দটাই বেরোতে হলো ওর?

এবার আর লজ্জা নয়, বিপন্ন বোধ করলো লাজবন্তী। তড়িঘড়ি মুখে কেকের অনেকটা একসাথে পুরে ঘাড় ঘুরালো সে। জানে শেহজাদও এবার আর নিজে থেকে এগোবে না, তারউপর এমন ধারা মানসম্মানের হাঁটে হাড়ি ভাঙলো? আর কী করে এই মুখ দেখাবে সে তার জাম্বুবানকে?
স্ত্রীর এমন নাজেহাল দশা দেখে ঠোঁট টিপলো শেহজাদ। প্রসঙ্গ পাল্টে জিজ্ঞেস করলো,
“কেকটা কী অনেক মজার?”
আরশির অন্যমনস্ক জবাব এলো,
“কেনো?”
“না মানে খেতে গিয়ে নাকেও লাগিয়ে ফেললে যে, তাই ভাবলাম ওকেও বোধহয় দিলে খানিকটা টেস্ট করতে! আফসোস! শুধু আমাকেই কেউ এভাবে একটু টেস্ট করতে দিলো না!”
শেহজাদের অতশত হেয়ালি কথা খেয়াল করলো না আরশি। তবে মোটামুটি মার্বেল সাইজের চোখ বানিয়ে সে ফিরে চাইলো। পাল্টা শুধালো,

“নাককে টেস্ট করতে দিয়েছে মানে?”
“মানে খেতে গিয়ে নাকেও ক্রিম লাগিয়ে ফেলেছো, তাই বললাম!”
কথাখানা শোনা মাত্রই আরশি প্রথমে কিছুক্ষণ আন্দাজেই ডললো নাকের উপর। ক্রিম মুছতে না পেরে চোখ ট্যারা করলো। কিন্তু আজ যেনো নিজের নাকও তার দৃষ্টি সীমানার বাইরে চলে গেছে। এতোকিছুর পরও যখন লাভের লাভ কিছুই হলো না, তখন ঝুঁকে এলো শেহজাদের মুখের দিকে। উদ্বিগ্ন স্বরে জানতে চাইলো,
“কোথায় লেগেছে, একটু দেখিয়ে দিন তো!”
শেহজাদ মোহাবিষ্টের ন্যায় তাকিয়ে ছিল এতক্ষণ। আরশির প্রশ্নে হঠাৎ সপ্রতিভ হলো তার মস্তিষ্ক।
ধীরে ধীরে নিজের নাকের মাথায় তর্জনী দেখিয়ে বললো,

“এখানটায়!”
আরশি মাথা নাড়লো। কিন্তু মোছার জন্য হাতটা তুলতেই বাঁধ সাধলো শেহজাদ। বলে বসলো,
“কিউট লাগছে তো! মুছো না!”
কিউট লাগছে? না তার মজা নিচ্ছে জাম্বুবান?
চোখ ছোট ছোট করে চাইলো আরশি। অকস্মাৎ নিজের টিকালো নাকটা লাগিয়ে দিলো শেহজাদের গালের সাথে। শেহজাদকেও ক্রিমে মাখামাখি করে দিয়ে সরে এলো বিদ্যুৎ গতিতে। হতভম্ব বোনে থাকা মানুষটার মুখের দিকে ছদ্ম অনুনয়ের চোখে তাকিয়ে বললো,
“এবার আপনাকেও কিউট লাগছে! প্লিজ মুছবেন না!”
বিস্ময় কাটতেই চোখ খিঁচে হেসে ফেললো শেহজাদ।

তবে আরশি হাসলো না। শেহজাদের সহাস্য মুখখানা মুগ্ধতার বৃষ্টি ঝড়ালো তার কৃষ্ণ বিবরে। শেহজাদকে এভাবে হাসতে আগে কখনো আরশি দেখেনি। কেউই বোধহয় দেখেনি। কী আশ্চর্য! যার হাসি দেখলেই প্রেমে পড়ে যেতে হয় তাকে কি-না আরশি এতোদিন এতোভাবে এড়িয়ে গেলো? কীভাবে পারলো সে?
আরশির অমূলক চেয়ে থাকা নজরে এলো শেহজাদের। দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলতেই হাসি থামলো তার।
রমনীর প্রেমে না পড়ার অনুতাপ কমার আগেই আরেকখানা কান্ড ঘটালো সে। হুট করেই কাছে এসে মিটিয়ে ফেললো ইঞ্চি খানেকের দূরত্ব। ধীর লয়ে নরম গালে গাল ছোঁয়াতে চোখ বন্ধ করলো আরশি।
ভালোবাসার স্পর্শে দ্রবীভূত হলো তার কৈশোর পার হওয়া মন। কিন্তু যখন চোখ খুললো তখন শেহজাদ নিজের জায়গায়। ঠোঁট টিপে হাসছে সে৷

আরশি বিব্রতস্বরে শুধালো,
“এটা কী ছিল?”
“টেকনিকালি ইটস কলড সেটেলমেন্ট! তুমি আমার গালে ক্রিম লাগিয়ে দিয়েছো তাই আমিও দিলাম!”
আরশির মন খারাপ হয়ে গেলো ভীষণ। অন্যদিকে তাকিয়ে মুখ ভার করলো। পরপর বিড়বিড় করেই আওড়ালো,
“কোথায় ভাবলাম আপনি বোধহয় চু..!”
“আমি বোধহয়?”
শেহজাদ শুনে ফেলেছে বুঝতেই চুমুটুকু আর উচ্চারণ করলো না আরশি।
তবে এদিকওদিকের ভাবনায় হুট করেই মাথায় এলো স্নোবলের কথা। এতোকিছুর মধ্যে যার জন্য ছাঁদে এলো তার কথাই কি-না বেমালুম ভুলে গিয়েছে সে? পরিতাপ কন্ঠে নিয়ে আঁতকে উঠলো মেয়েটা! শুধালো,
“আচ্ছা! আপনি তো ছাঁদেই ছিলেন! স্নোবলকে দেখেছিলেন কোথাও?”

আরশির উদ্বাস্তুর মতো করা প্রশ্নে নির্বিকার শেহজাদ। সে বেশ নির্লিপ্ত স্বরে বললো,
“রিল্যাক্স! তোমার ছেলে তার দাদা-দাদির কাছেই আছে।”
স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও আরশির কৌতূহল থামলো না। সে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে শুধালো,
“যাক! এক সেকেন্ড, আপনি জানলেন কী করে সেটা?”
প্রলম্বিত শ্বাস ফেললো শেহজাদ। পরপর নরম স্বরে বললো,
“আমিই স্নোবলকে রাখতে বলেছিলাম তাদের!”
“তারমানে স্নোবলকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে আমাকে ছাঁদে পাঠানো আপনার প্লান?”
“বলতে পারো!”
আরশি তখনও বিমূঢ় চোখে তাকিয়ে! অবিশ্বাস কন্ঠে নিয়ে বললো,

“এটা তো রীতিমতো কিডন্যাপিং! শেষমেশ আপনি আমার ছেলেটাকে কিডন্যাপ করালেন?”
“ভুল! কিডন্যাপ করাইনি বরং স্নোবল তার বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে হেল্প করেছে মাত্র। তবে এমনি এমনি করেনি! তাকেও আগে ট্রিট দিয়েছি তারপর করেছে!”
“তাকেও মানে? আর কাকে কী দিয়েছেন?”
শেহজাদ স্মিত হাসলো। আরশির প্রশ্নের পিঠে বললো,
“বাবা! তাকে বউয়ের রাগ ভাঙনোর টিপস দিয়ে তারপর স্নোবলকে রাখতে রাজি করিয়েছি! ভাবতে পারছো? কী পরিমাণ স্ট্রাগল করতে হয়েছে তোমার জন্য!”
আরশি ঠোঁট টিপলো। ক্রিমে গাল নাক মাখামাখি হওয়া মেয়েটার হাসি মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে রইলো শেহজাদ। পরপর কিছু একটা ভাবতেই বললো,

“অনেক রাত হয়েছে! ঠান্ডা আরো বাড়বে! নিচে যাই চলো!”
আরশি কপাল গোঁটালো। মাথা নাড়িয়ে জানালো, আজ রাতে তো সে মোটেই ঘরে ফিরবে না। দরকার হলে এখানেই ঘুমোবে।
বউয়ের জেদের কাছে হার মানলো প্রফেসর। উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
“বেশ! ঘুমিও না হয়। কিন্তু ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়লে?”
“আপনি আছেন তো!”
আরশির ডাগর চোখের এমন আবদারে শেহজাদ থমকালো। লাফিয়ে বাড়লো তার অলিন্দের গতি। তবুও বুঝতে দিলো না আরশিকে। কথা এড়িয়ে বলে উঠলো,
“আমি থাকলেও কী আর ঠান্ডা আঁটকাতে পারবো ম্যাডাম! আপনি বরং বসুন! আমি তাহলে অন্তত রুম থেকে কিছু গরম কাপড় নিয়ে আসি?”

আরশির মাথা নাড়লো। সম্মতি পেতেই হাঁফ ছাড়লো শেহজাদ। তবে যাওয়ার আগে হুট করেই ঝুঁকে এসে চুমু খেলো আরশির কপালে। ললাটপটে ঠোঁট ছুঁইয়ে রেখে বললো,
“একটু অপেক্ষা করো, আমি জাস্ট যাবো আর আসবো!”
অধরপটে হাসির রেখা ফুটে উঠেও আবারও মিলিয়ে গেলো আরশির। আদরের ঘোর যতক্ষণে কাটলো ততক্ষণে শেহজাদ সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেছে।
হঠাৎ আরশি আবিষ্কার করলো পুরো ছাঁদে সে একা বসে। গা ছমছমে অন্ধকার না থাকলেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে হুহু নীরবতা। আলো ঝলমলে টেন্টটির বদৌলতে যেটুকু যা স্বস্তি। বাদবাকি হাত-খানেক দূরে থাকা ছাঁদের রেলিংও ভূতূড়ে লাগছে এখন।

আরশি ঢোক গিললো। ভয় পাবে না পাবে না করেও গলা শুকিয়ে এলো ওর। হাতের কাছে পানি না পেয়ে তুলে নিলো মকটেলের বোতলটা। পরপর এক ঢোকেই যেনো সাবাড় করলো পুরো বোতল।
ভয় আর আতঙ্ক সাথে নিয়েই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললো সে। তবে মকটেলের স্বাদ নিয়ে মাথা ঘামানোর ফুরসত আর পেলো না বোধহয়।
তার আগেই কর্ণগোচর হলো ভারী পায়ের আওয়াজ। ধুপধাপ পা ফেলে নয়, খুব সতর্ক হয়ে কেউ একজন হাঁটছে টেন্টের পিছনে।
“কে-কে ওখানে?”

বসে থেকেই উঁচু স্বরে ডেকে উঠলো মেয়েটা। আগন্তুক উত্তর না দিলো না। তবে আরশিকে থমকে দিয়েই যেনো অস্বাভাবিকভাবে হাসলো। অসুস্থ হাসির সাথে নৈকট্য বাড়ালো তার পদযুগলের। যেনো এবার মুখোমুখি হওয়ার পালা আরশির সাথে।
সীমাহীন ভয়ে দু’হাতে ভর দিয়ে পিছিয়ে গেলো আরশি। ফ্যাকাসে মুখে দেখলো লম্বা ছায়া পড়েছে টেন্টের সামনের মেঝেতে। তারপরপরই হলদে আলোতে এক পা এক পা করে এগিয়ে এসে দাঁড়ালো কালো আলখাল্লা ধরনের কিছু একটা।

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৪৪

হৃৎস্পন্দন থমকালো আরশির। আতঙ্কিত চোখজোড়া উপরে তোলার সাহস হলো আর। কোনো এক অজানা কারণেই বুঝতে পারলো চোখ তুললেই সম্মুখীন হবে আদির মতো কোনো এক স্কেলিটন মাস্ক পরিহিত আগন্তুকের।
তখনই আরশির শিরদাঁড়ায় হিমস্রোত বইয়ে আগন্তুক তার মোটা স্বরে বলে উঠলো,
“ডার্লিং! গেইস, হু ইজ ব্যাক ফ্রম জেইল?”

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৪৫ (২)