এলিজা পর্ব ১৯
Dayna
,, চারদিকে মানুষদের কো’লাহল। সবাই আতং’কে দিকভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।ভয়ে চুপসে যাচ্ছে।একজন ডিসি সাহেব এর ছেলের এরকম নির্মম হত্যা,,কান্ড।
এ কোন সাধারণ বিষয় নয়।
সৈকতের লা,শের কাছে বসে কাঁদছে, ডিসি সাহেব।
কাঁদছে শাহানা বেগম,, সৈকতের মা।
ভাগ্যের কি নির্মম খেলা। একমাত্র ছেলেকে হারাতে হলো। চারদিক হইহই,
অপূর্ব ডিসি সাহেব কে শান্ত না দিতে থাকলেন। কিন্তু তাতে কিছু ই হলো না।
কাপা কন্ঠে ডিসি সাহেব বললো,
আমরা অযোগ্য অপূর্ব। আমরা পুলিশের যোগ্য না।পুলিশ হয়ে ও নিজেদের মানুষ দের ই রক্ষা করতে পারলাম না।
সবাই অভাক হয়ে মমিটা দেখছে ।কি সুন্দর করে সাজানো।একটা বিয়ের গাড়ি যেভাবে সাজায় ঠিক সেইভাবে সাজানো। ঢাকার শহরের সমস্ত মানুষের ভির জমেছে।এমন নির্মম মৃত্যু কোনদিন কেউ কল্পনাতেও দেখেনি।
,,, চিঠি টা একজন কনস্টেবল অপূর্বর কাছে দেয়।অপূর্বর শরীর কেঁপে উঠে। তাজা র’ক্ত টক টক করছে।হয়তো সৈকতের র,ক্ত দিয়েই লেখা।
চিঠিটায় লেখা—
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আমার পাপের সম্রাজ্য সবাইকে স্বাগতম। নির্মম মৃত্যু খেলায় সবাইকে স্বাগতম ।কেমন লাগছে আজকে সন্তান হারিয়ে ,?বেশ লাগছে? আমার খুব আনন্দ হচ্ছে ।সবার কান্নার আহা,জারি তে খুব তৃপ্তি পাচ্ছি।দেখা হবে খুব শীঘ্রই,, কোন এক হৃদয়বিহীন দেহ নিয়ে দেখা তো হতেই হবে।
,,, অপূর্ব চিরকুট টাকে টুকরো টুকরো করে ফেলে,, কি ভয়ং’কর শব্দ গুলো। অপূর্বর পূরো শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে। নাক,চোখ, লাল কার্নিশ হয়ে যায়।
এলিজা বিড়বিড় করে বললো,উনি বেরিয়ে গেলেন।.একটাবার বলার প্রয়োজন বোধ করলো না। তারজন্য ভালোবেসে এতকিছু রান্না করলাম, মানুষটার কোন হদিস ই নেই।
পাশ থেকে অর্পা বললো,বউমনি এত বেশি চিন্তা কেন করছো, চলে আসবে ভাইয়া।
এলিজা কোন জবাব দিলো না।
অর্পা :বউমনি তুমি সিনেমা পছন্দ করো?
এলিজা : হুম অনেক!তবে এখন তো দেখা হয়না.সংসার সামলাতে হয়!
অর্পা এলিজা কে নিয়ে, দোতলায় চলে যায়। টিভির রুমে।
সিডি, চালু করে,।
এলিজা : আহা কি করছো তুমি !সক্ট লেগে যাবে তো!
অর্পা :আচ্ছা এবার বলো তোমার পছন্দের নায়ক কে!
এলিজা মৃদু হেসে বললো, উত্তম কুমার। তবে দ্বিতীয়তম।
আমার স্বামী আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নায়ক। যে কিনা আমার বিপদে আমার ঢাল হয়ে দাড়ায়,।দুঃখের স্বারতি।
কেউ আমাকে স্পর্শ করলে তাকে,তার জান কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
,, সে যে আমার ঐস্বর্যের শুখ।সে যে আমার জান্নাত।
বলেই চেয়ারে দোল খেতে থাকে। এলিজা চোখ বুঝে ভারি একটা দ্বির্ঘশ্বাস ফেললো।
অর্পা অপলক দৃষ্টিতে এলিজাকে পরোখ করলো।কত টা সুন্দরী তার বউমনি।
—– রাত হয়ে যায় অপূর্ব এখনো বাড়ি ফিরেনি। জয়া ছেলের চিন্তায় চিন্তায় দিন দিন আদমরা হয়ে যাচ্ছে।
জয়া নিজের ঘরে বসে তসবিহ পড়ছে।
তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয় এলিজা।বললো,
মা আপনি কিছু খেয়ে নিন, নয়তো শরীর খারাপ করবে, এভাবে কতক্ষন বসে থাকবেন আমি অপেক্ষা করছি তো!
জয়া কোন এক অজানা কারণে কাঁদছে, এলিজা-চোখ মুছে দেয়।
জয়া,ভারি একটা দ্বির্ঘশ্বাস ফেলে বললো
আঁচ্ছা মা পৃথিবীর সব পাপ কি মোচন হয়?
এলিজা বললো,
দুনিয়াটা পাপের বিলাশী,, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা অধম দয়াবান –
রাত বেড়ে চলেছে।
জয়া ঘুমিয়ে পরে সাথে জাহাঙ্গীর।
চাঁদনী অর্পা একঘরে।
এলিজা বাড়িটার চারদিক ঘুরে ঘুরে দেখলো।বললো,।শ্বশুর মশাই ভালো ই বানিয়েছে। রাজকীয় বাড়ির মতন।
রাত ১২ টা নাগাদ —
পুরো বাড়ি টা নিঝুম।
আকাশ টা কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। কি যেন কি ধেয়ে আসছে,।
গা ঝিমঝিম করছে,, চারদিক টা শ্মুনশান।
নিভোর এক পরিবেশ।
এলিজা ঘরে চলে আসে।খাটের উপর চাঁদর পেঁচিয়ে বসে আছে। তৎক্ষণাৎ এলিজা স্পষ্ট শুনতে পায় চপর চপর পায়ের আওয়াজ।কেউ আসছে । অপূর্ব নয় তো,।
এলিজা ঘাপটি মেরে বসে আছে।ভালো ভাবে বুঝতে পারছে। পায়ের আওয়াজ টা তার ঘরের সামনে এসেই থমকে গেছে।
অপূর্ব হলে ম্যাডাম ম্যাডাম বলে এতক্ষণে গগন তুলতো।
এলিজা ধিরে ধিরে দরজার দিকে এগোয়।
তাদের ঘরের মধ্যে ই ছিল রা,মদা,।
এলিজা রামদাটা হাতে নেয়।
এলিজা আতং’ক স্বরে জিজ্ঞাসা করলো,দরজার বাহিরে কে? কোন উত্তর নেই।
জবাব দাও না হলে ..। এলিজা চুপ হয়ে যায়। বাহিরে কোন সাড়া শব্দ নেই।
এলিজা দরজা টা খুলে দেয়। বাহিরে কেউ নেই তবে হাটার আওয়াজ কার ছিলো?
হঠাৎ এলিজার পেছন থেকে কেউ তার মুখ চেপে ধরে।এলিজা উউহউউ করতে থাকে,।
হাতের রামদাটা দিয়ে অচেনা লোকটিকে আঘাত করে।পেছনে পরে যায় লোকটি।
এলিজা: কে তুমি আমাকে কেন মারতে চাইছো,?
লোকটি কালো মুখোশ পরা,, কোন কথার জবাব না দিয়ে এলিজাকে ছু’রি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে।এলিজা ঘুরে গিয়ে ফুলদানি টার উপরে পরে।কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে লরিঝাপটা হয়।
দোতলায় অনেক টি জিনিস পত্র ভেঙে যায়।লোকটি ব্যার্থ হয়।অচেনা লোকটি,, যেতেই , এলিজা দ্বিতীয় বার জিজ্ঞেস করলো,কে তুমি বলে যাও,, আমার পুলিশ বাবু কিন্তু তোমাকে ছারবে না।
লোকটি পেছন ঘুরে বললো,
তোকে মারার জন্য ১০ লাখ টাকায় চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছি।তোকে ছারবো না।
ভয়ং’কর এক অচেনা কন্ঠ।
এলিজা পর্ব ১৮
কে এই লোক আমাকে কেন মারতে চায়।,, এলিজা চিন্তা য় পরে যায়,,
,, এতক্ষণ এখানে এত তোরঝোপ হলো, এতকিছুর ভাঙার আওয়াজ হলো,, মা বাবা , অর্পা , চাঁদনী ,ছোট চাচা, মনোরা,বাড়ির কেউ শব্দ পেলো না,….. কেউ আমাকে বাঁচাতে এলো না।