হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ১৯
Tahrim Muntahana
সূর্যের কিরণ চোখে পড়তেই পিটপিট করে চোখ খুলে কনস্টেবল আজাদ আলী। ঝিমুতে ঝিমুতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে টের পায় নি। বয়স তো কম হলো না, এত দখল কি আর এখন শরীর সইতে পারে? আড়মোড়া ভাঙতে উঠে দাঁড়ায়, চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে ছিলেন। এক পা বাড়ানোর আগেই কিছুর সাথে লেগে হোঁচট খেয়ে পড়তে পড়তেও সামলে নেন নিজেকে। তাকিয়ে দেখেন বাকি দুজন কনস্টেবল গেইটের সাথে হেলান দিয়ে মাটিতে বসে ঘুমাচ্ছে। চোখ কপালে উঠে যায় তার, ডিউটি রেখে এভাবে তারা ঘুমাচ্ছে? হুট করেই মনে পড়ে আশরাফ উদ্দিন কে ফিরতে দেখেন নি তিনি। ঘুমাতে দেখতে পায় নি তো? যদি নালিশ জানায়? চাকরি খোয়ানোর ভয়ে দুটোকেই লাথি দিয়ে ডাকতে থাকেন। গভীর রাতে ঘুমিয়েছে, এত সহজে ঘুম ভাঙে? উঠতে বেশ খানিকটা দেরীই হলো তাদের। ইতিমধ্যে আজাদ আলীর মুখ থেকে বিশ্রী গালি গুলো রাগের বশে বেরিয়েই এসেছে। ধমকে বললেন,
~ পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস। তোদের ঘুমাতে না করেছিলাম না? ওই বুড়ো ফিরেছে? যদি ঘুমাতে দেখে নালিশ করে?
ঘুম যেন এক ছুটে পালিয়ে যায়। ভীতু দৃষ্টিতে তিনজনই আশেপাশে পরখ করে। কম বয়সী হ্যাংলা পাতলা ছেলেটা ফিসফিস করে বললো,
~ আমরা তো চারটার পর ঘুমাইছি। বুইড়া তো তখনো ফিরে নাই চাচা।
চমকে যায় আজাদ আলী। শুকনো ঢুক গিলে, ছেলেটার মাথায় থাপ্পড় দিয়ে কর্কশ কন্ঠে বললেন,
~ এতক্ষণে কইতাছোস। এখন কি হইবো? বুড়োর যদি কিছু হয়, কি জবাব দিবো?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আজাদ আলী’র কথা বলতে দেরী বাইরের দিকে দৌড় দিতে দেরী হয় নি। এক দৌড়ে থামে কবরস্থানের সামনে। গেইটে বড় তালা ঝুলানো। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন তিনি। বুঝতে বাকি থাকে না আশরাফ উদ্দিন তাদের মিথ্যে বলেছে। আঁকা বাঁকা পা ফেলে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসেন। সকালের মিষ্টি বাতাসেও সে ঘামছে। মনে হচ্ছে রক্তের চাপ বেড়ে যাচ্ছে। ধপ করে চেয়ারে বসে পড়েন। বাকী দুজন সাংঘাতিক রকমের ভয় পেয়ে যায়। কম বয়সী ছেলেটা দৌড়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে। আগে জানা প্রয়োজন বাড়িতে সত্যিই কি ফেরেনি? পরপর কয়েকবার কলিং বেলে চাপ দেয়। লাভ হয় না।
দরজা খোলা তো দূর, ভেতর থেকে কারো সাড়া শব্দও ভেসে আসে না। ধৈর্য হারিয়ে ছেলেটি শক্ত হাতে দরজায় ধাক্কা দেয়। তৎক্ষণাৎ তাকে অবাক করে দরজা খুলে যায়। চোখ বুজে নেয় ছেলেটি। অঘটন যা ঘটার ঘটে গেছে। চাকরি টা কি এবার সত্যিই যাবে? পুরো পরিবার যে তার দিকে তাকিয়ে! যে বয়সে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল, বইয়ে মুখ গুঁজে রাখার কথা ছিল সে বয়সে পরিবারের হাল ধরতে এসেছে। প্রথম প্রথম যখন এসেছিল, ইশ কি যন্ত্রণার ছিল দিনগুলো। কতই না নির্ঘুম রাত সে পাড় করেছে। এতদিনের প্রতিদান স্বরূপ সরকার কি তাকে এখন জেল জীবন উপহার দিবে? কেন সে ঘুমাতে গেল? নিজের উপরেই কেমন রাগ হচ্ছে। টলমলে চোখ নিয়ে এলোমেলো পা ফেলে গেইটে ফিরে যায় সে। উদাস কন্ঠে আজাদ আলী কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
~ দরজা খোলা চাচা, আশরাফ উদ্দিন ফেরে নি!
আজাদ আলী ছেলেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন। টলমলে চোখ দেখে হয়তো তার মায়াও হয়। কিছু না বলে ভাবে কয়েক মুহূর্ত। তারপর হুট করে প্যান্টের পকেট থেকে কম দামী বাটন ফোন টা বের করতে করতে বললেন,
~ চিন্তা করিস না। আমাদের চাকরি গেলে ওই অফিসারেরও চাকরি যাইবো। আর যাই হোক আমাদের কাছ থেকে তো আসামি পালায় নাই। একটু চালাক না হইলে হয়? চুপচাপ বইসা থাক, আমি দেখতাছি!
ছেলেটি মাথা নেড়ে সম্মতি দেয়। তবে চিন্তা সরে না। চিন্তিত মুখ নিয়েই আজাদ আলীর দিকে তাকিয়ে থাকে। আজাদ আলী হাসেন। সেই যুবক বয়সে চাকরিতে যোগ দিয়েছিল। অনেকটা অনিচ্ছাতেই তাকে এই পেশা বেছে নিতে হয়েছিল। তখনকার সময়ে তো পুলিশ বলতেই ভয়, এখন কি আর সেই যুগ আছে? বাবা’র উপর রাগ করে কাজও করতো না, হেলায় ফেলায় কাটিয়ে দিত। এই হেলা টাই যদি না করতো, এখন হয়তো সেও প্রমোশন পেয়ে বড় কোনো পোষ্টে থাকতো! কত অফিসার, কত আসামি দেখলো। কত অফিসারের হয়ে মিথ্যা বলতে হয়েছে, চাকরির শেষ বয়সে এসে নিজের চাকরির জন্য মিথ্যা বলতে পারবে না? ফোন দেয়, বাজতে বাজতে কেটে যায়। ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন না তিনি, দিতেই থাকেন।
অন্যদিকে ঘুমে বিভোর নোমান। আযানের পরপরই একটু শুয়েছে। ঘুমিয়েছেই বা কয় ঘন্টা। ঘন্টা দুয়েক হবে। এর মধ্যে কানের কাছে বারবার ইলেকট্রনিক যন্ত্রটি নিজ উদ্যোগে বাজতে থাকায় কপাল কুঁচকে যায় তার। চরম বিরক্তি ফুটে উঠে মুখশ্রী তে। ফোন রিসিভ করে কানে ধরেই বলে উঠে,
~ হয়েছে টা কি? এই সকালে এতবার ফোন দিচ্ছেন কেন চাচা?
~ স্যার আশরাফ উদ্দিন মিসিং!
নিম্ন স্বরে কথাটি বলে উঠেন আজাদ আলী। ঘুমের ঘোরে নোমান কথাটির সারমর্ম না বুঝেই ভাবালেশ কন্ঠে বলে,
~ তো আমি কি করবো? থানায় যোগাযোগ করেন!
কথাটা বলার পরপরই নোমান টের পায় কি বলেছে সে। চট করে ঘড়ির দিকে তাকায়। সকাল সাড়ে ছয়টা বাজে। উত্তেজিত হয়ে বললো,
~ হোয়াট? মিসিং মানে? কোথায় গেল? তোমাদের কি ঘাস কাটতে রাখছি ওখানে? একটা জলজ্যান্ত মানুষ উধাও হয়ে গেল, আর আমাকে এখন বলছো?
আজাদ আলী ভড়কে যান। কি বলবে সে? ‘স্যার ঘুমিয়ে যাওয়ায় টের পাইনি!’ এটা বললে চাকরি কেন, জীবন নিয়ে টানাটানি হবে না তার গ্যারান্টি আছে? আমতা আমতা করে বললেন,
~ স্যার বুইড়া টা রাতে ঝামেলা করছে। অনেক রাতে আইসা বলে তার ছেলে অন্ধকার ভয় পায়, সে গেলে ভয় পাবে না। ইমোশনাল ব্যাপার স্যার। পোলার শোকে ভুলভাল বলছিল। আমাদের হুমকিও দিয়েছে। ছুরিও দেখাইছে স্যার। আমরা ভয় পেয়ে গেছিলাম। একজন সাথেও যাইতে চাইছিলাম, নেয় নাই। বাড়ি ছেড়ে যাইতেও না করছেন। ভাবছি কি আর হবে? কিন্তু এখন আশেপাশে খুঁজছি, নাই স্যার।
বাকি দুজন কনস্টেবলের মুখ হা হয়ে আসে। কি সুন্দর সত্য-মিথ্যে মিলিয়ে সব দোষ আশরাফ উদ্দিনের ঘাড়ে দিয়ে দিল। বুড়ো ফিরলে যে পুলিশের হাতে নির্ঘাত দুই ঘা খাবে এটা তারা ওয়ারেন্টি সহকারে দিতে পারবে। এতক্ষণের চিন্তা যেন দূর আকাশে পালিয়ে যায়। ঝলমলে হাসি ফুটে সবার মুখেই। তবে হাসতে পারে না নোমান। গভীর চিন্তায় ডুবে যায় সে। আর কথা বাড়ায় না। দাঁতে দাঁত চেপে ফোন কেটে দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে। পুরো সকাল তার নষ্ট, না জানি পুরো দিন কেমন যায়! যদিও সে বুঝতে পারছে দৌড়ের উপর থাকতে হবে! হালকা ফ্রেশ হয়ে সিবিল ড্রেসেই বের হয়ে যায় সে। আগে বুড়োটা কে খুঁজে বের করতে হবে। এখন তো দেখা যাচ্ছে, তার চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে! তা কি করে হতে দেয়?
প্রকৃতির হাওয়া গাঁয়ে মেখে চারপাশের মানুষের বিচিত্র আলাপের কানাঘুষা শ্রবণ করতে করতে জার্নিটা খারাপ না। আপাতত আফীফের তো বেশ ভালোয় লেগেছে। মানুষের সাথে মিশলে, মানুষের আশেপাশে থাকলে তবেই না তাদের মানসিকতা’র পরিচয় মেলে। দূর থেকে তো সবই সুন্দর, সাবলীল! জীবন যখন দেখার সুযোগ দেয় তখন মিস করতে হয় না।
দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা পর বাস থামলো। যাত্রী গুলো নামার পরেই আফীফ মা’কে নিয়ে বের হয়। জনপ্রতি নব্বই টাকা ভাড়া, খারাপ না। সেখানে কন্ট্রাক্টর কে বোনাস সরূপ চকচকে দুশো টাকার নোট দিয়ে এসেছে আফীফ। কন্ট্রাক্টর যখন খুশি হয়ে ফকাফকা দাঁতের হাসি দিলো, আফীফের মনে হলো সুখ তো এখানেই! পরমুহূর্তেই কেমন যেন নিজেকে কঠোর করে নিলো! গাড়িতে উঠার পরপরই কামিনী বেগম নিশ্চুপতা কে বরণ করে নিয়েছেন। আফীফ ও কিছু বলে নি। থাক কিছু মুহূর্ত নিজের মতো। বাস থেকে নেমেই আফীফ সেন্জী নিয়ে নেয়। উদ্দেশ্য হোটেল প্লাজা।
নিরিবিলি পরিবেশ ও বান্দরবান শহরের মধ্যে থাকায় হোটেল প্লাজা’র বিকল্প নেই।
অনেক ধরণের সুযোগ-সুবিধা, আতিথেয়তা দিয়ে ইতিমধ্যে মন জয় করে নিয়েছে সকল ভ্রমণপিপাসুদের! নিজস্ব রেষ্টুরেন্ট ব্যবস্থা থাকায় আফীফ ভেবে চিন্তে এটাই আগ থেকে বুকিং করে রেখেছিল। রুম অনুযায়ী ভাড়া থাকায়, সর্বোচ্চ রেটের রুমটাই নিজেদের জন্য চয়েজ করেছে। অনেক হলো কোলাহলে থাকা, এবার একটু সবুজে ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশে গাঁ ভাসানো যাক!
স্তব্ধতায় ঘেরা পরিবেশ। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের হত্যাকান্ড! প্রতিবেশীরা আবার ভিড় করেছে, সবার চোখে মুখেই প্রকাশ পাচ্ছে ভয়। দিশাহারা নোমান। হুট করে এমন হবে সে ভাবেও নি। খোঁজাখুঁজিই চলছিল, এরমধ্যে এক প্রতিবেশী লাশ দেখেই চিৎকার করে উঠে। কয়েকজন জড়ো হতেই স্থানীয় থানায় ফোন করে জানায়। খবরটা শোনা মাত্রই ছুটে আসে নোমান। এরপর থেকেই সে কেমন নিশ্চুপ হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত কাউকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করে নি। এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে আজাদ আলী ও বাকি দুই কনস্টেবল। খুব শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে কেউ দেখেই বুঝতে পারবে না। চোখ টলমল করছে তিনজনেরই। ভালো মানুষ টা কিছুক্ষণের ব্যবধানে লাশ হয়ে আসবে তারা কি ভেবেছিল? লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নোমান উঠে দাঁড়ায়। মারিয়া কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
~ আশরাফ উদ্দিনের ঘরটা দেখিয়ে দিন, সার্চ করবো!
মনিরা মাথা নেড়ে সায় জানিয়ে হাঁটা ধরে। নোমান একা যায়। ঘর দেখিয়ে দিয়ে মনিরা বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকে। ব্যাপার টা তারও হজম হচ্ছে না। যে এসব করছে, তার দ্বারা কি তাদের ও বিপদের আশঙ্কা রয়েছে? শুধু এই কথাটায় সে ভাবছে। শাশুড়ি, মেয়ের ভালো থাকাটায় এখন তার কাছে মেটার করে। ঘরে সন্দেহজনক তেমন কিছুই পায় না নোমান। খুব জলদিই ফিরে আসে। মনিরা কে অন্যমনস্ক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হেসে বলে উঠে,
~ এত চিন্তিত কেন মিসেস আতিকুর?
মিসেস আতিকুর সম্বোধন শুনে মারিয়া’র শরীরে যেন টগটগ করে আগুন জ্বলে উঠে। কর্কশ কন্ঠে বলে উঠে,
~ মিসেস মারিয়া বলুন!
~ কেন? স্বামী মা* রা গেলে পরিচয়টাও ঘায়েব হয়ে যায় নাকি?
মনিরা কথা বলে না। নোমান আচমকায় একটু শব্দ করে হাসে। মেয়েটিকে রাগিয়ে বেশ ভালো লাগছে তার। আবার বললো,
~ আপনার স্বামী সত্যিই আপনার প্রতি লয়াল ছিল তো মিসেস আতিকু.. উপস সরি মিসেস মারিয়া?
চমকিত দৃষ্টিতে নোমানের দিকে তাকায় মারিয়া। চোখে মুখে কেমন একটা ভয়। নোমানের যেন হুট করেই আনন্দ হয়। হাসতে হাসতে বড় বড় পা ফেলে ড্রয়িং রুমে এসে বসে। মারিয়া ইতস্তত ভঙিমায় নিজের ঘরে যেতে চাইলে বাঁধা দেয় নোমান। তার সবাইকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য লাগবে। আজাদ আলী কে ডাক দিতেই তার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তবুও নিজেকে স্বাভাবিক দেখিয়ে সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই নোমান প্রশ্ন করে,
~ আশরাফ উদ্দিন কখন বাইরে গিয়েছিল?
~ সাড়ে এগারোটার দিকে স্যার। কবরস্থানে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু যায় নি।
নোমান কিছুক্ষণ ভাবে। তড়িৎ গতিতে বলে উঠে,
~ এ বাড়ি থেকে তারপর কেউ বেরিয়েছিল?
আজাদ আলী মাথা নেড়ে না জানান। নোমান তপ্ত শ্বাস ফেলে। তখনই মহিলা কনস্টেবল একজন এসে বলে উঠে,
~ স্যার এই বাড়ি থেকে শুধু আফরা নামের মেয়েটা বেরিয়েছিল রাতে, আর ফেরেনি।
থুতনি তে আঙুল ঘঁষে মুচকি হাসে নোমান। একনজর মারিয়া’র দিকে তাকায়। মেয়ে টা দ্বিধাহীন দাঁড়িয়ে আছে। উঠে দাঁড়ায় সে। প্রতিবেশী সকল কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
~ পুলিশের নির্দেশনা’র বাইরে কেউ বাড়ি থেকে সরবেন না। দৈনন্দিন কার্য যেমন করেন, করবেন। তবে শহর ছাড়তে পারবেন না। কেউ ই আমাদের সন্দেহের বাইরে না। মিসেস মারিয়া, মিস আফরা কে থানায় এসে দেখা করতে বলবেন দুপুরের আগে। সন্দেহের তালিকায় সেই প্রথম!
আতকে উঠে মারিয়া। আফরা? মেয়েটা উদ্ভট প্রকৃতির তবে খু* ন করতে পারে না! ওমন মেয়ের হাতে রিভল* বার মানায়? চট করে বলে,
~ সন্দেহের তালিকায় প্রথম মানে? মাথা খারাপ আপনার? একজন মেয়ে হয়ে কাউকে গু* লি করে মা* রা সম্ভব?
~ টাকার কাছে যেমন সত্য কে মিথ্যে, মিথ্যে কে সত্য প্রমাণ করা সম্ভব! রক্তে মাংসে গড়া, চতুর মস্তিষ্কের অধিকারী মানুষের পক্ষেও কোনো কিছু অসম্ভব নয়! আসামি তো আর যেচে এসে বলবে না, আমি খু* ন করেছি! আমাদের সাথে কো-অপারেট করুন।
হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ১৮
গাড়িতে উঠে বসে নোমান। হাত দিয়ে কপাল চেপে ধরে। মিলছে না ব্যাপারটা। আশরাফ উদ্দিনের ফোনের কললিস্ট চেইক করে পাওয়া লাস্ট কল কোথায় থেকে করা হয়েছে ট্রেক করেছে। এখন সেখানেই যাবে। হয়তো সব খোলাসা হবে, নাহয় তো এই কেইসও ঘুরতে থাকবে রহস্যের জ্বালে!